দাঁড়িয়ে সহবাস করা যাবে কিনা - দাঁড়িয়ে সহবাসের ২ টি উপকারিতা - সহবাসের দোয়া
সহবাস বা সেক্স হল যৌন উত্তেজনা মেটানোর একটি প্রক্রিয়া। স্বামী-স্ত্রী সহবাস বা সেক্স করা এটি আল্লাহর বিধান সম্পর্কিত একটি ব্যবস্থা। এই সহবাসের মাধ্যমে শিশু জন্মদানের প্রক্রিয়া অর্থাৎ বংশবিস্তারের প্রক্রিয়াটি অব্যাহত থাকে। সহবাস করার আগে আমাদের জেনে নিতে হবে দাঁড়িয়ে সহবাস করা যাবে কিনা, সহবাসের নিয়ম, এবং সহবাসের পরিকল্পনীয় বিষয়গুলো আর এই পোস্টের মাধ্যমে আপনি আরো জানতে পারবেন দাঁড়িয়ে সহবাসের ২টি উপকারিতা সম্পর্কে।
আজকের এই পোস্টটিতে আপনাদের সাথে আলোচনা করব দাঁড়িয়ে সহবাস করা যাবে কিনা এ বিষয়ে কি কারণ বিভিন্ন সময় এই বিষয়টি নিয়ে অনেকেই দ্বিধা দ্বন্দ্বে ভোগেন ,আর তাই সেই দ্বিধা দ্বন্দ্ব থেকে মুক্ত করার জন্য আজকে আপনাদেরকে জানাবো দাঁড়িয়ে সহবাস করা যাবে কিনা সে বিষয়টি । এবং আপনি যদি এই পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়েন তাহলে আরো জানতে পারবেন, দাঁড়িয়ে সহবাসের ২টি উপকারিতা , সহবাসের নিয়ম , সহবাসের দোয়া এবং সহবাসের পরে করণীয় বিষয়গুলো সম্পর্কে। এ বিষয়গুলো আপনার যদি জানা না থাকে তাহলে পোষ্টটি পড়ে আপনি জেনে নিতে পারেন-দাড়ি সহবাস করা যাবে কিনা, দাঁড়িয়ে সহবাসের ২ টি উপকারিতা এবং সহবাসের দোয়া সম্পর্কে।
সূচিপত্রঃ দাঁড়িয়ে সহবাস করা যাবে কিনা - দাঁড়িয়ে সহবাসের ২ টি উপকারিতা - সহবাসের দোয়া
- দাঁড়িয়ে সহবাস করা যাবে কিনা
- দাঁড়িয়ে সহবাসের ২ টি উপকারিতা
- সহবাসের নিয়ম
- সহবাসের দোয়া
- সহবাসের পরে করনীয়
দাঁড়িয়ে সহবাস করা যাবে কিনা
একটি প্রশ্ন অনেকের মধ্যে ঘুরপাক খায়, এই প্রশ্নটি হল দাঁড়িয়ে সহবাস করা
যাবে কিনা। আমি আপনাদেরকে কুরআনের আলোকে এই প্রশ্নটির উত্তর দেয়ার চেষ্টা করব।
আপনি যদি না জেনে থাকেন দাঁড়িয়ে সহবাস করা যাবে কিনা অথবা আপনি যদি জানতে চান
দাঁড়িয়ে সহবাস করা যাবে কিনা তবে অবশ্যই পোস্টের এই অংশটি পড়ুন। প্রতি এই
অংশটি পড়লে আমি আশা করছি দাঁড়িয়ে সহবাস করা যাবে কিনা এই বিষয়ে আপনি উত্তর
পেয়ে যাবেন।
এক কথায় বলতে গেলে দাঁড়িয়ে সহবাস করা যাবে বা এটি জায়েজ আছে। আর
বিস্তারিতভাবে বলতে গেলে বলতে হয়, পবিত্র কুরআনে আল্লাহ পাক সূরা বাকারার ২২৩
নম্বর আয়াতে বলেছেন-তোমাদের স্ত্রীরা তোমাদের শস্যক্ষেত্র, সুতরাং তোমরা যেদিক
দিয়ে খুশি সেদিক দিয়ে , যেভাবে খুশি সেভাবে তোমাদের শস্যক্ষেত্রে। কুরআনের
এই আয়াতটি দ্বারা স্পষ্ট ভাবে বোঝা যায় যে দাঁড়িয়ে সহবাস করা জায়েজ আছে।
সহবাস যেদিক দিয়ে খুশি সেদিক দিয়ে এবং যেভাবে খুশি সেভাবে করা যাবে তবে এটি
অবশ্যই যোনিপথে হতে হবে।
আরো পড়ুনঃ হস্তমৈথুন সম্পর্কে ইসলাম কি বলে।
তবে দাঁড়িয়ে সহবাস করার কিছু অসুবিধা বা শারীরিক অপকারিতার সম্ভাবনা থাকে এই
কারণে পারতো পক্ষে দাঁড়িয়ে সহবাস না করাই ভালো। শারীরিক কিছু অসুবিধার কথা
চিন্তা করে দাঁড়িয়ে সহবাসে অনুৎসাহী করা হলেও বিরুদ্ধে কোন নিষেধাজ্ঞা
নেই।
দাঁড়িয়ে সহবাসের ২ টি উপকারিতা
উপরিক্ত আলোচনায় আপনি নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন দাঁড়িয়ে সহবাস করা যাবে কিনা
তাহলে এবার জেনে নিন দাড়িয়ে সহবাসের ২ টি উপকারিতা সম্পর্কে করলে। অনেকে এ
প্রশ্নটিও করে থাকেন যে দাঁড়িয়ে সহবাস করলে কি হয় আজকে আপনাদেরকে জানিয়ে দেবো
দাঁড়িয়ে সহবাসের ২ টি উপকারিতা। আপনি যদি জেনে না থাকেন তাহলে এ বিষয়টি
এখনই জেনে নিন। দাঁড়িয়ে সহবাসের ২ টি উপকারিতা হলো।
- দাঁড়িয়ে সহবাস করলে অধিক সময় ধরে মিলন করা যায় অথবা বলতে পারেন বেশি সময় ধরে স্ত্রীকে আনন্দ দেওয়া যায়।
- দাঁড়িয়ে সহবাসের দ্বিতীয় উপকারিতা হলো, স্ত্রী যদি প্রেগনেন্ট হয় তাহলে দাঁড়িয়ে সহবাস করলে পেটে বেশি চাপ পড়ে না ফলে গর্ভের সন্তানের ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে না।
সহবাসের নিয়ম
এবার আমরা আলোচনা করব সহবাসের স্বাভাবিক নিয়ম সম্পর্কে, সহবাসে এই নিয়মগুলো
সবচেয়ে আরাম দেওয়ার এবং প্রশান্তি দায়ক। যদিও যদিও স্ত্রীর
যোনিপথে যেভাবে ইচ্ছা সেভাবে, যেদিক দিয়ে ইচ্ছা সেদিক দিয়ে প্রবেশ করা যায়
কিন্তু তারপরে সহবাসের একটি স্বাভাবিক নিয়ম রয়েছে। আজকে আপনাদেরকে সহবাসে
স্বাভাবিক নিয়ম সম্পর্কে জানিয়ে দেবে। চলুন তাহলে দেরি না করে জেনে নেয়া যাক
সহবাসের নিযম।
আরো পড়ুনঃমাসিকের কতদিন পর SEX করলে পেটে বাচ্চা আসে
সহবাসের স্বাভাবিক নিয়ম হল , স্বামী উপরে থাকবে আর স্ত্রী মিশে থাকে। প্রত্যেক
প্রাণীর ক্ষেত্রেও এ স্বাভাবিকই দেখা যায়। এই নিয়মটি হল সহবাস বা সেক্স করার
সবচাইতে আরামদায়ক এবং শরীয়ত সম্মত নিয়ম কারণ , এই নিয়মে সহবাস বাঁচে স্ত্রীর
কষ্ট বা পরিশ্রম করতে হয় না এবং এই নিয়মটি গর্ভধারণের জন্য অত্যন্ত সহায়ক একটি
নিয়ম। বিখ্যাত চিকিৎসা বিজ্ঞানী ইবনে সিনা তার ' কানুন' নামক বইয়ে , স্বামী
উপরে এবং স্ত্রী নিচে থেকে সহবাস করাতে সর্বোত্তম পন্থা বলে আখ্যায়িত করেছেন।
তিনি বলেন , স্বামীর নিচে আর স্ত্রী উপরে থাকা অবস্থায় সহবাস করলে অনেক সময়
বীর্য ভিতরে আটকে থেকে একটি কষ্টের কারণ হতে পারে।
সহবাসের দোয়া
সহবাস হলো আল্লাহ প্রদত্ত বিধানে, এর মাধ্যমে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে
সম্পর্ক দৃঢ়। তবে সহবাস করার পূর্বে আমাদেরকে খেয়াল রাখতে হবে শয়তান যেন
এতে কুমন্ত্রণা বা কুদৃষ্টি দিতে না পারে। এই কারণে স্বামী-স্ত্রী সহবাসের পূর্বে
অবশ্যই সহবাসের দোয়া পাঠ করে নেওয়া উচিত । সহবাসের পূর্বে যদি সহবাসের দোয়া
পাঠ করে না হয় তাহলে শয়তান কুদৃষ্টি দিতে পারে না এবং এই সহবাসের মাধ্যমে যদি
সন্তান গর্ভে আসে তাহলে সে সন্তানকেও শয়তানের কুদৃষ্টি থেকে নিরাপদ থাকতে
পারে। এই কারণে স্বামী-স্ত্রী দুজনেরই উচিত সহবাসের পূর্বে সহবাসের দোয়া পাঠ করে
নেয়া। আপনাদের যদি সহবাসের দোয়া জানা না থাকে তাহলে এই দোয়াটি আপনি জেনে নিন।
সহবাসের দোয়া হলো,
উচ্চারণঃ "বিসমিল্লাহি আল্লাহুম্মা জান্নিবানাশ শাইতানা ওয়া জান্নিবিশ শয়তানা মা রাযাকত্বানা"। এর অর্থ হলো- আল্লাহর নামে শুরু করছি। হে আল্লাহ আমাকে শয়তানের অনিষ্ট হতে দূরে রাখুন, আর আমাদেরকে যে সন্তান - সন্ততি দান করবেন তাদের কেউ শয়তানের অনিষ্ট থেকে দূরে রাখুন।
সহবাসের পরে করনীয়
সহবাসের পরে করণীয় বিষয়গুলো আমরা অনেকেই জানিনা। কিন্তু সহবাসের পরে করনীয়
বিষয়গুলো প্রাপ্তবয়স্ক প্রত্যেক নর-নারীর জেনে রাখা উচিত। কারণ সহবাসের পরে
করনীয় বিষয়গুলো আমরা যদি গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা না করি তাহলে এর থেকে বিভিন্ন
ধরনের রোগ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে । সুতরাং প্রত্যেক প্রাপ্তবয়স্ক
নারী-পুরুষের জেনে রাখা ভালো সহবাসের পরে করনীয় বিষয়গুলো। চলুন তাহলে জেনে
নেওয়া যাক সহবাসের পরে কি করণীয়।
আরো পড়ুনঃ হস্তমৈথনের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে বাঁচার উপায়
সহবাস শেষ করার পর স্বামী-স্ত্রী দুজনে প্রসাব করে নেব। সহবাসের পর ভালোভাবে
প্রস্রাব না করলে বিভিন্ন ধরনের দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা
থাকে। সহবাসের পর প্রস্রাব করলে ভেতরে আটকে থাকা বীর্য বের হয়ে যায় এতে
অসুখ-বিসুখ হওয়া সম্ভব না থাকে না। হযরত আলী (রা) এর মতে-সহবাসের পর
লজ্জাস্থান ভালোভাবে ধোঁয়া না হলে এখান থেকে বিভিন্ন ধরনের জটিল অসুখ হওয়ার
সম্ভাবনা থাকে। এই কারণে সহবাসের পর সম্ভব হলে হালকা গরম পানি দিয়ে লজ্জাস্থান
ধুয়ে নেওয়া ভালো, এতে অসুখ হওয়ার সম্ভাবনা থাকেনা।
মন্তব্য , আশা করছি উপরের পোস্টটি পড়ার মাধ্যমে আপনি আপনার কাঙ্ক্ষিত
প্রশ্নের উত্তরগুলো পেয়ে গেছে । আপনি যেহেতু সহবাসের দোয়া সম্পর্কে জেনেছেন তাই
এরপর থেকে সহবাস করার সময় অবশ্যই অবশ্যই সহবাসের দোয়াটি পাঠ করে নিবেন এবং
আপনার পরিবার ও আপনার ভবিষ্যৎ সন্তানকে শয়তানের খুব দৃষ্টি থেকে হেফাজতে
রাখবেন।
0 Comments
দয়া করে নীতিমালা মেনে মন্তব্য করুন