নিম পাতার উপকারিতা - নিম পাতার উপকারিতা এলার্জি
আমাদের আশেপাশে থাকা অতি পরিচিত একটি গাছ হল ' নিম গাছ '। এই নিমের পাতার মধ্যে যে কিছু অসাধারণ উপকারিতা রয়েছে এটির সম্পর্কে আমরা হয়তো অনেকেই অজানা। আমাদের আশেপাশে থাকা এই নিমের পাতা ব্যবহার করে, খুব সহজে আমরা বিভিন্ন রোগ সারিয়ে ফেলতে পারি। নিমপাতা ব্যবহার করে কোন কোন অসুখগুলো সারানো যায় এবং নিম পাতার উপকারিতা ও নিম পাতার উপকারিতা এলার্জি এর ক্ষেত্রে কতটুকু এই বিষয়গুলো জানতে হলে এই পোস্টটি পড়ুন।
পড়ুন এই পোষ্টের মাধ্যমে আপনাদের জানাবো নিমপাতা সম্পর্কে অজানা বিশেষ কিছু তথ্য । যেই তথ্যগুলো জানলে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন সমস্যা দূর করতে আপনার অনেক উপকারে আসবে। এই পোস্টে বিশেষভাবে আলোচনা করা হবে নিম পাতার উপকারিতা এবং নিম পাতার উপকারিতা এলার্জি এর ক্ষেত্রে কতখানি এ বিষয়ে দুটি সহকারে আরো বিভিন্ন ধরনের নিম পাতা বিষয়ক তথ্য। নিমপাতা যে অত্যন্ত উপকারী এই কথাটি আমাদের কারোরই অজানা নেই। তবে উপকারিতার পাশাপাশি এর কিছু অপকারিতাও রয়েছে। নিম পাতার অপকারী দিকগুলো জানার জন্য এই পোস্টের শেষের অংশ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে করুন এবং বিষয়গুলো ভালোভাবে জেনে নিন।
সূচিপত্রঃ নিম পাতার উপকারিতা - নিম পাতার উপকারিতা এলার্জি
- নিম পাতার উপকারিতা
- নিম পাতা খাওয়ার নিয়ম
- চুলের জন্য নিম পাতার উপকারিতা
- নিম পাতার উপকারিতা এলার্জি
- ত্বকের যত্নে নিম পাতার উপকারিতা
- ব্রণের জন্য নিম পাতার ব্যবহার
- খালি পেটে নিম পাতার রস খেলে কি হয়
- নিম পাতা মুখে দিলে কি হয়
- নিম পাতার অপকারিতা
নিম পাতার উপকারিতা
নিমের মধ্যে অনেক ঔষধি গুন রয়েছে এটি আমাদের কারোরই অজানা নয়। নিমের গাছ
থেকে শুরু করে পাতা পর্যন্ত সবই অত্যন্ত উপকারী এবং এগুলো কোন না কোন কাজে আসে।
আজকে আমরা জানবো নিম পাতার উপকারিতা সম্পর্কে। দৈনন্দিন বিভিন্ন কাজে নিম পাতা
ব্যবহার করা যায় এবং নিম পাতার উপকারিতা অনেক বেশি। নিম পাতার উপকারিতা অনেক
বেশি শুধু এই কথাটুকু বলে শেষ করলে চলবে না আমাদেরকে অবশ্যই জানতে হবে নিমপাতার
উপকারিতা গুলো সম্পর্কে যাতে প্রয়োজন অনুসারে ক্ষেত্র বিশেষে আমরা এগুলো প্রয়োগ
করতে পারি এবং এর থেকে সফল লাভ করতে পারি। আপনার যদি নিম পাতার উপকারিতা গুলো
সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা না থাকে তাহলে এখনই পোস্টের এই অংশটি পড়ুন এবং নিমপাতার
উপকারিতা গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন।
ত্বকের যত্নেঃ ত্বকের যত্ন নেওয়ার জন্য অথবা রূপচর্চার কাজে লাগানোর জন্য
নিম পাতার বহুবিধ ব্যবহার রয়েছে। নিম পাতা স্কিনে যেকোনো ধরনের ছত্রাক ও
ব্যাকটেরিয়ার প্রভাব থেকে মুক্ত রাখে। ব্রণের সমস্যা দূর করতে নিমপাতা অত্যান্ত
কার্যকরী। নিম পাতার পেস্ট ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতে পারে এবং রোদে পোড়া দাগ
দূর করতেও নিমপাতা অত্যন্ত ভালো একটি উপাদান।
চুলের জন্যঃ ত্বকের মতন চুলের যত্নেও নিম পাতা বিশেষ ভূমিকা পালন করে।
তুলে নিম পাতার ব্যবহার করলে মাথার ত্বক থেকে বিভিন্ন ধরনের ফাঙ্গাস ও
ব্যাকটেরিয়া আক্রমণ থেকে মাথার কালকে রক্ষা করা যায়। মাথার ত্বকে নিমপাতা
ব্যবহারে ফলে চুলের গোড়া শক্ত হয় যার ফলে হিয়ার ফল হয় না এছাড়াও মাথায়
উকুনের সমস্যা থাকলে, কোন দূর করতে নিম পাতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন
করে। এবং নির্জিত চুলকে ঝলমলের স্বাস্থ্যজ্জল করতে নিম পাতার ব্যবহার করা হয়।
দাঁতের যত্নঃ দাঁতের যত্ন নিতে বা দাঁত ভালো রক্ত হাতের কাছেই রয়েছে
সহজলভ্য একটি উপাদান যার নাম নিম। নিমের দাঁতন দাঁত মজবুত করতে এবং দাঁতের যে কোন
সমস্যা দূর করতে অত্যন্ত কার্যকরী। দাঁত মজবুত করার পাশাপাশি নীমের দাঁতন
ব্যবহারের ফলে মুখের দুর্গন্ধ এবং মুখের অভ্যন্তরে বিভিন্ন ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণ
দূর করা যায়।
কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতেঃ শুধু বাহ্যিক ব্যবহারে নিম পাতার উপকারিতা পাওয়া
যায় না নিম পাতা খেলেও এর বহুবিধি উপকারিতা মেলে কারণ নিমের মধ্যে রয়েছে
বিভিন্ন ধরনের ঔষধি গুন। নিম পাতার রস কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করতে অত্যন্ত
ভালো কাজ করে।
লিভার ভালো রাখতেঃ নিমপাতার রস খেলে এটি শরীর থেকে বিভিন্ন ধরনের টক্সিক
এবং ক্ষতিকর পদার্থগুলো বের করে দিতে সাহায্য করে। পাশাপাশি নিম পাতার রস শরীরের
খারাপ কোলেস্টেরল দূরে রাখতেও সাহায্য করে আর যার ফলে লিভার ভালো থাকার পাশাপাশি
শরীরে বিভিন্ন ধরনের ওষুধের আক্রমণ থেকেও রক্ষা পাওয়া যায়।
হজম শক্তি বাড়ায়ঃ শরীরের হজম শক্তি বাড়ানোর অসাধারণ ক্ষমতা রয়েছে
মিমের পাতার ভেতর। নিম পাতার মধ্যে পাওয়া যায় প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম ,
ফসফরাস , ক্যারোটিন এবং ভিটামিন সহ আরো বিভিন্ন ধরনের খনিজ উপাদানগুলো যেগুলো
আমাদের হজম শক্তিকে বাড়াতে বিশেষ সাহায্য করে।
ক্ষতস্থান সারাতেঃ শরীরের কোন স্থানে ক্ষত দেখা দিলে বা কেটে গেলে সেখানে
নিম পাতার রস লাগালে কোন ধরনের জীবাণু সংক্রমণ ঘটাতে পারে না যার ফলে হত বা
কাটায় স্থান দ্রুত শুকাতে সাহায্য করে।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতেঃ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতেও নিম পাতার
ভূমিকা রয়েছে। কারণ নিম পাতার মধ্যে বিভিন্ন ধরনের ঔষধি গুণ রয়েছে আর তাই
নিম পাতার রস খেলে শরীরের পুষ্টি উপাদান গুলো পূরণ হয় এবং নিমপাতা রক্ত পরিষ্কার
করে ও শরীর থেকে খারাপ কোলেস্টেরল বের করে দেয় আর শরীরে খারাপ কোলেস্ট্রল
না থাকায় এটি আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে অত্যন্ত সাহায্য করে।
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করেঃ নিম পাতার রস শরীরের সুগারের মাত্রাকে কমাতে
এবং ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। ডায়াবেটিস রোগীরা যদি সকাল
বেলা খালি পেটে একটু কষ্ট করে নিম পাতার রস খেতে পারে তাহলে এটি ডায়াবেটিস লেভেল
নিয়ন্ত্রণে রাখতে অত্যন্ত সাহায্যকারী অথবা হবে বলে আশা করা যায়, নিম
পাতার রসের সাথে গোলমরিচের গুড়া মিশিয়ে খেতে পারলে এটি আরো ভালো কাজ করে।
ওজন কমাতে সাহায্য করিঃ নিম পাতার রস শরীরে সুগারের মাত্রা কে কম
করতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে এবং শরীরের মেটাবলিজম বাড়াতে সাহায্য করে প্রতিদিন
খালি পেটে মধুর সাথে নিম পাতার রস মিশিয়ে খেলে এটি দ্রুত ওজন কমাতে বিশেষ
সাহায্য করবে।
ব্যথা নাশক হিসেবেঃ দ্রুত ক্ষতস্থান সারানোর পাশাপাশি নিমপাতা রস শরীরের
ব্যথা নাশক হিসেবেও কাজ করে। কোন বিষাক্ত পোকামাকড়ের কামড়ের ব্যথা কমানোর জন্য
নিম পাতার রস বা মিমপাতা বাটা আক্রান্ত স্থানে লাগালে সেখানকার ব্যথা সারাতে
সাহায্য করে নিম পাতা।
এগুলো ছাড়াও আরো বিভিন্ন ধরনের অসুখ সারাতে নিমপাতা বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে
যেমন -জন্ডিস , ভাইরাস আক্রান্ত কোনো রোগ , ম্যালেরিয়া , বাত , এলার্জি ,
একজিমা ইত্যাদি রোগ গুলো সারানোর ক্ষেত্রে রেগুলার যদি নিম পাতার রস খাওয়া
যায় তাহলে এসব অসুখ থেকে খুব দ্রুত আরোগ্য লাভ করা সম্ভব।
নিম পাতা খাওয়ার নিয়ম
এতক্ষণ ধরে আমরা নিম পাতার উপকারিতা সম্পর্কে জানলাম তবে শুধু নিম পাতা খাওয়ার
উপকারিতা জানলে হবে না, এর সাথে সাথে আরো জানতে হবে নিমপাতা খাওয়ার নিয়ম
সম্পর্কে। নিম পাতার বিভিন্ন ধরনের উপকারিতা পাওয়ার জন্য অবশ্যই আমাদের জেনে
নিতে হবে নিম পাতা খাওয়ার নিয়ম গুলো। নিম পাতা হলো ঔষধি গুনে ভরপুর এবং এর
মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের রোগ সারানোর ক্ষমতা। তাই চলুন এবার জেনে নেওয়া
যাক নিমপাতা খাওয়ার নিয়ম গুলো। আপনি বেশ কয়েকটি উপায় অবলম্বন করে নিমপাতা
খেতে পারেন যদিও অতিরিক্ত তিতা স্বাদ যুক্ত হওয়ার কারণে এটি অনেকে খেতে চান না
তারপরেও এটি খাওয়ার সঠিক নিয়ম জানলে নিমপাতা খাওয়া অসম্ভব কিছু নয়।
- নিম পাতা থেকে রস বের করে সরাসরি সেটি সেবন করা যায় অথবা
- ওজন কমাতে নিম পাতা থেকে রস বের করে , সেই রসের সাথে মধু মিশিয়ে খেতে পারে।
- ডায়াবেটিস রোগীরা নিম পাতার রসের সাথে গোলমরিচের গুড়া মিশিয়ে খেলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে অনেক ভালো উপকারিতা পাবে।
- সবজি রান্নার সময়, তরকারি ভেতরে দু একটি পাতা দিয়ে রান্না করা যেতে পারে।
- নিমের পাতা কিছুক্ষণ পানিতে ফুটিয়ে ঠান্ডা করে সেই পানিটি খেতে পারেন, এবং আপনি চাইলে এই পানির সাথে মধু মিশিয়ে নিতে পারেন
- মিমের পাতা ভালোভাবে শুকিয়ে সামান্য একটু তেল দিয়ে ভেজে ভাতের সাথে খাওয়া যায়
- নিম পাতার রসের সাথে হলুদ গুড়া মিশিয়ে খেতে পারেন
চুলের জন্য নিম পাতার উপকারিতা
চুলের জন্য নিমপাতা অত্যান্ত উপকারী। চুলের অথবা মাথার যেকোনো সমস্যা দূর করতে
নিম পাতার উপকারিতা পাওয়া যায়। মাথার ত্বকে বিভিন্ন সময় ফাঙ্গাস বা
ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ ঘটে, মাথার ত্বকের এই ধরনের সমস্যাগুলো দূর করতে নিম পাতা
বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। চলুন এবার তাহলে জেনে নেই চুলের জন্য নিম পাতার
উপকারিতা গুলো।
চুলের গ্রোথ বৃদ্ধি করেঃ মাথার ত্বকে অথবা চুলের যদি কোন সমস্যা থাকে
তাহলে চুলের বৃদ্ধি অনেকাংশে কমে যায়। নিম পাতার রস বা নিমপাতা বাটা মাথার ত্বকে
লাগালে চুলের বিভিন্ন সমস্যা এবং মাথার ত্বকে কোন ব্যাকটেরিয়াজনিত সমস্যা থাকলে
সেটি দূর হয় এবং এর ফলে চুলের গ্রোথ বৃদ্ধি পায়।
চুলের রুক্ষতা দূর করেঃ সূর্যের তাপ , ধুলোবালি ইত্যাদি বিভিন্ন
ধরনের কারণে আমাদের চুল দিন দিন রুক্ষ হয়ে যায়। সপ্তাহে যদি ২-৩ নিমের পাতা
পানিতে সিদ্ধ করে সেই পানি দিয়ে চুল ধোয়া যায় তাহলে চুলের রুক্ষতা দূর হয় এবং
চুলের উজ্জ্বলতা ফিরে আসে।
হেয়ার ফল রোদ করেঃ হেয়ার ফল বা চুল পড়ার সমস্যায় ভোগেন না এমন ধরনের
মানুষ খুব কমই খুঁজে পাওয়া যাবে। তবে হেয়ার ফল এর এই সমস্যাটি আমরা খুব সহজে
সমাধান করতে পারি নিমপাতা ব্যবহার করে। চুল পড়া রোধ করতে নিম পাতার রস চুলের
গোড়ায় লাগাতে পারেন অথবা নিমের প্যাক বানিয়ে সেটি চুলে এবং মাথায় ব্যবহার
করতে পারেন এছাড়াও নারিকেল তেলের সাথে কয়েকটি নিমপাতা গরম করে সেই তেলটি একটু
ঠান্ডা হওয়ার , কুসুম গরম থাকতে চুলের গোড়ায় ম্যাসাজ করলে এটি খুব দ্রুত
চুল পড়া রোধ করতে সাহায্য করবে।
আরো পড়ুনঃ হরমোনের সমস্যা দূর করার উপায়
চুলের আগা ফাটা দূরঃ করতে নিমপাতা চুলের আগা ফাটা দূর করতেও বিশেষ ভূমিকা
পালন করে। নিম পাতার রসের সাথে মধু মিশিয়ে কয়েক মিনিট চুলের গায়ে লাগিয়ে
রাখলে একদিকে এটি চুল সিল্কি হতে সাহায্য করে এবং অন্যদিকে চুলের আগা ফাটা রোধ
করতে বিশেষ ভূমিকা পালন। করে চুলের আগা ফাটা রোধ করতে পাতার রস এর সাথে অলিভ
অয়েল , লেবুর রস ও টক দই মিশিয়ে ব্যবহার করা যায়।
নতুন চুল গজাতে এবং খুশকি দূর করতেঃ মাথাই নতুন চুল গজাতে এবং চুলের খুশকি
দূর করতে সাহায্য করে নিম পাতার রস। নারিকেল তেলের সাথে বা অন্য যেকোনো তেলের
সাথে নিম পাতার রস মিশিয়ে এটি চুলের গোড়ায় ম্যাসাজ করলে মাথার ত্বকে রক্ত
সঞ্চালন বেড়ে যায় এবং নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে। এছাড়াও নিম পাতার রস মাথায়
ব্যবহার করার ফলে খুশকি সমস্যা থেকে খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে সমাধান পাওয়া
যায়।
মাথার উকুন দূর করতেঃ করতে মাথা থেকে উকুন দূর করতে নিম পাতার ভূমিকা
অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। উকুন দূর করার ক্ষেত্রে নিম পাতার সাথে তুলনা করা যায় এমন
দ্বিতীয় কোন উপাদান হয়তো বা নেই। নিয়মিত কিছুদিন নিমপাতা ফুটানো পানি ঠান্ডা
করে সেই পানি দিয়ে চুল ধুলে অথবা নিমপাতা বেটে মাথা এবং চুলে কিছুদিন ব্যবহার
করলে খুব তাড়াতাড়ি মাথা থেকে সকল উকুন গায়েব হয়ে যাবে।
নিম পাতার উপকারিতা এলার্জি
নিম পাতার ভেতরে যেসব সমস্যাগুলো দূর করার অসাধারণ ক্ষমতাগুলো আল্লাহ পাক দিয়ে
রেখেছেন তার মধ্যে এলার্জি দূর করার উপকারিতা অন্যতম। নিম পাতার উপকারিতা এলার্জি
এর ক্ষেত্রেও কম নয়। আজকে আপনাদের জানাবো নিম পাতার উপকারিতা এলার্জি এর
ক্ষেত্রে কতটুকু বা অ্যালার্জি সারাতে নিমপাতা কি উপকার করতে পারে সে সম্পর্কে।
চলুন তাহলে আর কথা না বাড়িয়ে নিমপাতার উপকারিতা এলার্জি বিষয়ক আলোচনাটি
সম্পন্ন করা যাক।
যেকোনো ধরনের এলার্জি দূর করতে, নিম পাতার গুড়া সকালে খালি পেটে এক গ্লাস পানির সাথে এবং রাতে ঘুমানোর আগে এক গ্লাস পানির সাথে মিশিয়ে খেলে ১-২ মাসের মধ্যে এলার্জির প্রকোপ অনেকাংশে কমে যাবে। ত্বকের এলার্জি অন্যতম প্রধান কারণ হলো ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ। ত্বকের যেকোনো ধরনের এলার্জি দূর করতে নিমপাতা সেদ্ধ করা পানি দিয়ে নিয়মিত গোসল করলে , এটি ত্বকের এলার্জি দূর করতে অসাধারণ ক্ষমতা রাখে।
শুধু এলার্জি নয় চর্মরোগ জাতীয় যেকোন সমস্যায় নিমপাতা সেদ্ধ পানি অথবা নিম
পাতা বেটে আক্রান্ত স্থানে লাগালে এটি খুব দ্রুত চর্মরোগ বা এলার্জি দূর করতে
সাহায্য করবে। এলার্জি দূর করতে নিম পাতা বাটা বাহ্যিকভাবে আক্রান্ত স্থানে
লাগানোর পাশাপাশি নিম পাতার রস খেলে অতি দ্রুত সুফল পাওয়া যায়। এলার্জি দূর
করতে নিম পাতার গুড়া সকালে খালি পেটে ইসবগুলের ভুষির সাথে মিশিয়ে খাওয়া যায়।
নিশ্চয়ই এতক্ষণে বুঝতে পেরেছেন নিম পাতার উপকারিতা এলার্জি সম্পর্কে।
ত্বকের যত্নে নিম পাতার উপকারিতা
পোস্টের উপরের অংশে আমরা চুলের জন্য নিম পাতার উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে
জেনেছি। কিন্তু আমরা জানি নিমপাতা শুধু জন্য না ত্বকের জন্য বিশেষ উপকারী। তাই
এবার আমরা ত্বকের যত্নে নিম পাতার উপকারিতা সম্পর্কে। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক
, ত্বকের যত্ন নিতে কিভাবে নিম পাতা ব্যবহার করা যায়।
ত্বক উজ্জ্বল করতেঃ গ্লোয়িং স্কিনের জন্য নিমপাতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধির পাশাপাশি স্কিনে বয়সের ছাপ পড়তে যদি না দিতে চান তাহলে নিয়মিত নিম পাতার রস তোকে ব্যবহার করুন। যেকোনো ধরনের ত্বকের যত্ন নিতে তুলসী পাতা , নিমপাতা , পুদিনা পাতা একসাথে পেস্ট করে এর সাথে একটু লেবুর রস মিশিয়ে একটি প্যাক তৈরি করুন চাইলে এর মধ্যে হলুদ গুঁড়া মেশাতে পারেন। এই প্যাকটি সপ্তাহে ২ দিন ত্বকে লাগালে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পাবে এবং ত্বকে কোন ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ থাকলে সেটি দূর হবে।
ব্রণের সমস্যা দূর করতেঃ ত্বকের যত্ন নেওয়ার জন্য নিম পাতার রস বা নিম পাতার গুড়ার সাথে গোলাপজল মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে এই প্যাক টি চেহারায় লাগাতে পারেন এতে খুব দ্রুত আপনার চেহারা থেকে ব্রণের সমস্যা দূর হবে। ত্বক থেকে রোদের কালো দাগ দূর করার জন্য নিম পাতার রসের সাথে কাঁচা দুধ এবং লেবুর রস মিশিয়ে নিয়মিত ১০-১৫ মিনিটের জন্য ব্যবহার করলে , রোদে পোড়া দাগ দূর হবে এবং চেহারা উজ্জ্বল দেখাবে। এছাড়াও ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধির জন্য নিম পাতার রসের সাথে টক দই অথবা অ্যালোভেরা জেল মিশিয়ে ফেসপ্যাক তৈরি করে সপ্তাহে ৩-৪ দিন ত্বকে লাগাতে পারেন।
ফেসপ্যাকঃ ত্বকের যত্ন নিতে নিম পাতার ফেসপ্যাক অতুলনীয়। নিম পাতার ফেসপ্যাক তৈরি করার জন্য, নিমপাতা ভালোভাবে ধুয়ে রোদে শুকিয়ে গুড়া করে নিন। এরপর নিম পাতার গোড়ার সাথে টক দই , গোলাপ জল ,চন্দন পাউডার মিশিয়ে আপনার ত্বকের ব্যবহার করুন। এই ফেস প্যাকটি ভ আপনার ত্বকে মশ্চারাইজ করতে এবং ত্বক থেকে বিভিন্ন ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ দূর করতে সাহায্য করবে।
আরো পড়ুনঃ শুষ্ক ত্বকের যত্ন নেওয়ার উপায়
প্রাকৃতিক ক্লিনজারঃ আমাদের স্ক্রিনে এবং লোমকূপে জমে থাকা ধুলো ময়লা দূর
করতে নিম পাতা প্রাকৃতিক ক্লিনজার হিসেবে কাজ করে। ত্বক পরিষ্কার করার জন্য নিম
পাতার রস একটু তুলায় মাখিয়ে, ত্বকে আলত করে ঘষতে থাকুন এতে
আপনার স্কিন থেকে ধুলোবালি এবং ময়লা দূর হবে পাশাপাশি ব্রণের সমস্যাও কেটে
যাবে।
প্রাকৃতিক টোনারঃ প্রাকৃতিক টোনার হিসেবেও নিম পাতার কাজ অতুলনীয়।
নিমপাতার টোনার তৈরির জন্য , বেশ কিছু নিম পাতা ভালোভাবে ধুয়ে পরিষ্কার পানিতে
সিদ্ধ করতে দিন। পানি কি সবুজ না হওয়া পর্যন্ত চুলায় গিয়ে ফুটাতে থাকুন।
নিমপাতা সেদ্ধ করা পানি যখন সবুজ রং ধারণ করবে সেই সময় তোলা থেকে নামিয়ে
ভালোভাবে ঠান্ডা করে স্প্রে বোতলে ভর্তি করে এটি আপনার ত্বকে টোনার হিসেবে
ব্যবহার করতে পারেন ।
ব্রণের জন্য নিম পাতার ব্যবহার
হরমোনাল তারতম্যের কারণে টিনেজারদের থেকে শুরু করে বিভিন্ন বয়সী মানুষের মুখে
ব্রণ উঠা অত্যন্ত স্বাভাবিক একটি ব্যাপার। তবে ছোট একটি ব্রণ আমাদের চেহারার
সৌন্দর্য অনেকটাই নষ্ট করে দেয়। এই ব্রণ থেকে ত্বক বা চেহারাকে রক্ষা করতে আমরা
কত কিছুই না করে থাকি। কিন্তু আমরা হয়তো অনেকেই জানিনা যে যেই বোন সারানোর জন্য
আমরা এত কষ্ট করি সেটি খুব সহজে এবং আমাদের আশেপাশে থাকা অতি পরিচিত নিম পাতা
ব্যবহার করে খুব সহজে এবং অল্প সময়ের মধ্যে ব্রণ দূর করে ফেলতে পারি। ব্রণের
জন্য নিম পাতার ব্যবহার সম্পর্কে। আপনি যদি ব্রণের সমস্যায় ভুগে থাকেন তাহলে
অবশ্যই ব্রণের জন্য নিম পাতার ব্যবহার সম্পর্কে জেনে নেই। চলুন তাহলে জেনে
আসা যাক ব্রণ সারাতে কিভাবে নিম পাতার ব্যবহার করতে হবে। বেশ কয়েক রকম
ভাবেই আপনি নিম পাতার ব্যবহার ব্রণ সারানোর জন্য করতে পারেন।
আরো পড়ুনঃ
চুল সিল্কি করার উপায়
ব্রণের সমস্যা দূর করার জন্য নিম পাতার পেস্ট তৈরি করে এর সাথে কাঁচা দুধ এবং
লেবুর রস মিশিয়ে সম্পূর্ণ মুখে অথবা ব্রণের স্থানগুলোতে ১৫- ২০ মিনিট লাগিয়ে
রাখুন। অথবা নিম পাতা সিদ্ধ করে নিয়ে সেটি বেটে কিছুক্ষণের জন্য চেহারায়
লাগিয়ে রেখে ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। এই পদ্ধতির দুটো অনুসরণ করলে
আপনার ত্বকে থেকে শুধু ব্রণের সমস্যা দূর হবে না ত্বক উজ্জ্বল এবং দাগ মুক্ত
করতেও সাহায্য করবে।
ব্রণ দূর করার জন্য নিমপাতা ভালোভাবে শুকিয়ে ব্লেন্ডারে অথবা সিল-পাটায়
গুড়া করে পাউডার তৈরি করুন, এরপর এই নিম পাতার গুড়ার সাথে গোলাপজল ও লেবুর রস
ভালোভাবে মিশিয়ে ব্রণের উপর ব্যবহার করুন সপ্তাহে ৩-৪ দিন এইভাবে ব্যবহার করলে
দেখবেন ৭-১০ দিনের মধ্যেই ড্রোনের সমস্যা দূর হয়ে গেছে। আপনার কাছে যদি নিমপাতার
ঘোরার সাথে ব্যবহার করার মতন গোলাপ জল অথবা লেবুর রস না থাকে তাহলে নিম পাতার
গুড়ার সাথে হলুদ গুঁড়া ও সামান্য দুধ মিশিয়ে ফেসপ্যাক তৈরি করেও ব্রণে লাগাতে
পারেন।
ব্রণ দূর করতে বেসন, নিম পাতার গুঁড়া বা পেস্ট , টক দই একসাথে করে মিশিয়ে প্যাকটি আপনার পুরো মুখে লাগিয়ে 20 মিনিটের জন্য অপেক্ষায় থাকুন এরপর ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ভালোভাবে ধুয়ে ফেলুন। এই প্যাকটি আপনার মুখের ব্রণ দূর করার পাশাপাশি ব্রণের কালো দাগও দূর দূর করে ফেলবে। ব্রণের সমস্যা বা ব্রণের দাগ দূর করার জন্য আরেকটি অত্যন্ত ফলদায়ক পদ্ধতি হলো এলোভেরা জেল এর সাথে নিমপাতার পেস্ট মিক্স করে ব্যবহার করা। নিমপাতা এবং অ্যালোভেরা জেল দুটি উপাদানই ব্রণ দূর করতে সাহায্য করে , তাই এই দুটি উপাদান যখন একসাথে মিশ্রণ করে ব্রণের সমস্যা দূর করার জন্য এপ্লাই করা হয় তখন খুব দ্রুত এবং কাঙ্খিত ফল পাওয়া যায়। আশা করছি ব্রণের জন্য নিম পাতার ব্যবহার সম্পর্কে বুঝতে পেরেছেন।
খালি পেটে নিম পাতার রস খেলে কি হয়
সকালের নিমপাতার রস খেলে বিভিন্ন ধরনের শারীরিক জটিলতা দূর হয় এবং অনেক অসুখ
থেকে মুক্ত থাকা যায়। নিম পাতার উপকারিতার কথা এই পোস্টের উপরে নিচে আমরা
অনেকভাবে জেনেছি বা জানবো। আমাদের মধ্যে অনেকেই হয়তো জানে না খালি পেটে নিম
পাতার রস খেলে কি হয়। তাই আজকে আপনাদের খালি পেটে নিম পাতার রস খেলে কি
হয় সেই বিষয়ে স্বচ্ছ একটি ধারণা দেয়ার চেষ্টা করব। সকালে খালি পেটে নিম
পাতার রস খেলে কি হয় বা উপকারিতা আপনি পেতে পারেন তা নিচে একে একে তুলে ধরা
হলো।
আরো পড়ুনঃ
খালি পেটে খেজুর খাওয়ার উপকারিতা
- রক্ত পরিষ্কার করে
- ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখে
- কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে
- দৃষ্টি শক্তি বৃদ্ধি করে
- দাঁত গঠনে সহায়তা করে
- চুলের স্বাস্থ্য ভালো রাখে
- রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে
- শরীরের খারাপ কোলেস্ট্রল দূর করে
- শরীর থেকে বিভিন্ন ধরনের দূষিত পদার্থ বের করতে সাহায্য করে
- পেটের সমস্যা দূর করে এবং পেট পরিষ্কার করে
- ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে ও তোকে বয়সের ছাপ পড়তে বাধা দেয়
নিম পাতা মুখে দিলে কি হয়
আপনি জানেন কি যে নিমপাতা কে আমরা অত্যন্ত সাধারণ মনে করি সেই নিমপাতা মুখে
দিলেই কি অসাধারণ প্রতিক্রিয়া ঘটতে পারে? যদি জানা না থাকে তাহলে বিষয়টি
আপনাদের এখনই জানিয়ে দিচ্ছি। নিমপাতা মুখে দিলে কি হয় এই বিষয়টি আপনাদের আজকে
পরিষ্কারভাবে জানিয়ে দেবো। আমরা ত্বকের যত্ন নিতে বা ত্বক সুন্দর করতে প্রায়ই
বাজারে কেমিক্যাল যুক্ত প্রোডাক্ট এর উপরে নির্ভর করি , বাজারে কেমিকাল গুরুত্ব
প্রোডাক্টগুলো কখনো আমাদের আশানুরূপ ফল দেয় আবার কখনো কখনো কোনো ফল দেয় না
বরঞ্চ স্কিনের ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। কিন্তু আপনি আপনার হাতের কাছে থাকা এই
নিমপাতা দিয়ে ত্বকের কোনো ক্ষতি ছাড়াই করে নিতে পারেন ত্বকের যত্ন। তাহলে চলুন
এবার আপনাদের জানিয়ে দিই নিমপাতা মুখে দিলে কি হয়। নিম পাতা মুখে দিলে বেশ কিছু
উপকারিতা আপনি পাবেন যেমন,
- আপনার ত্বক উজ্জ্বল হবে
- রোদে পোড়া দাগ সহ যেকোনো দাগ দূর হবে
- ব্রণ দূর করবে
- প্রাকৃতিক ক্লিনজার হিসেবে কাজ করবে
- প্রাকৃতিক টোনার হিসেবে কাজ করব
- ত্বক মশ্চারাইজ করবে
- বিভিন্ন ধরনের ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ থেকে তথ্যের রক্ষা করবে
নিম পাতার অপকারিতা
ঔষধি গুন সম্পূর্ণ নিমপাতা যতই উপকারিতা থাকুক না কেন পাশাপাশি এর কিছু পার্শ্ব
প্রতিক্রিয়া বা অপকারী তা রয়েছে। তাই অবশ্যই নিমপাতা খাবার পূর্বে অথবা
ব্যবহারের পূর্বে নিম পাতার অপকারিতা গুলো সম্পর্কে জেনে নেওয়া প্রয়োজন।
বিভিন্ন ক্ষেত্রে নিমপাতা উপকার করলেও কোন কোন ক্ষেত্র গুলোতে নিম পাতার অপকারিতা
রয়েছে সেগুলো এবার আপনাদের জানাব। এবার তাহলে নিম অপকারিতা গুলো জেনে নেওয়া
যাক
গুলো নিমপাতার রস বা নিম জাতীয় যেকোনো খাবার সবচেয়ে বেশি যে সমস্যার সৃষ্টি করে
সেটি হতো গর্ভাবস্থায়। গর্ভাবস্থায় নিম পাতার রস বা নিমপাতা তৈরি কোন কিছুই
খাওয়া উচিত নয় কারণ এটি গর্ভের ভ্রমকে নষ্ট করতে সাহায্য করে। অতিরিক্ত নিম
পাতার রস খেলে বন্ধ্যাত্বের সমস্যা দেখা দিতে পারে। এছাড়াও ছোট বাচ্চা বা
শিশুদের নিম পাতার রস খাওয়ানো অথবা নিম পাতার কোন কিছু খাওয়ানো উচিত
নয় এতে বাচ্চাদের শারীরিক জটিলতা সৃষ্টি হতে পারে।
আরো পড়ুনঃ গর্ভাবস্থায় মুড়ি খাওয়ার উপকারিতা
যাদের লো প্রেসার এর সমস্যা রয়েছে তাদের নিম পাতা না খাওয়াই ভালো কারণ নিমপাতা
প্রেসার এর চাপ কমাতে সাহায্য করে। আর এই কারণে প্রেসার লো থাকার সময় যদি
নিমপাতা খাওয়া হয় তবে এটি প্রেসার কে আরো নিচে নামিয়ে দিয়ে মারাত্মক সমস্যার
সৃষ্টি করতে পারে। তাছাড়াও অতিরিক্ত নিম পাতার রস খেলে বমি বমি ভাব , শারীরিক
দুর্বলতা , ব্রেনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। অনেক সময় নিম পাতা খেলে মাথাব্যথা ও
ডায়রিয়ার সমস্যা দেখা দিতে পারে যদি এইরকম সমস্যা কারো দেখা দেয় তার জন্য
নিমপাতা না খাওয়াই বেটার।
মন্তব্য, এই পোষ্টের মাধ্যমে আমরা নিম পাতার বিভিন্ন উপকারিতা সম্পর্কে
জানতে পেরেছি এবং পাশাপাশি নিম পাতার উপকারিতা এলার্জি এর ক্ষেত্রে কতটুকু সে
বিষয়ে বিস্তারিত জেনেছি । তবে নিম পাতা যতই উপকারী বা ঔষধি গুনে ভরপুর
হোক না কেন কয়েকটি বিষয়ে এর কিছু মারাত্মক পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া রয়েছে এর
কারণে অবশ্যই কখনো অতিরিক্ত নিমপাতা রস খেতে যাবেন না। আপনাদের সুবিধার জন্য এবং
আপনাদেরকে সতর্ক করার জন্য মনে রাখা প্রয়োজন মনে করছি যে প্রতিদিন ৩-৪ টির বেশি
নিম পাতা খাওয়া উচিত নয়।