পোস্ট সমূহ

Bornomala It https://www.bornomalait.com/2023/04/periods.html

অবিবাহিত মেয়েদের মাসিক বন্ধ হওয়ার কারণ - মাসিক না হলে কি বাচ্চা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে

ভবিষ্যৎ জীবনে মেয়েদের মা হওয়ার ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রক্রিয়া হল মাসিক। এই কারণে মাসিক সংক্রান্ত যেকোনো সমস্যা বা জটিলতা হলে এ ব্যাপারে আমাদের সচেতন হওয়া উচিত।অবিবাহিত মেয়েদের মাসিক বন্ধ হওয়ার কারণ অনেক হতে পারে তবে দেখতে হবে এই কারণগুলো স্থায়ী নাকি অস্থায়ী। আবার অনেকে অনেক সময় প্রশ্ন করে থাকেন মাসিক না হলে কি বাচ্চা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এই সকল প্রশ্নের উত্তর আজকের এই পোস্টে সলভ করে দেবে।

অবিবাহিত মেয়েদের মাসিক বন্ধ হওয়ার কারণ যদি স্থায়ী মনে হয় তাহলে অবশ্যই এটির ব্যাপারে ডাক্তারি পরামর্শ গ্রহণ করা উচিত। আর মাসিক না হলে কি বাচ্চা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে এই প্রশ্নের উত্তরটি জানতে হলে আপনাকে পুরো পোস্টটি মনোযোগ সহকারে শেষ পর্যন্ত করতে হবে। আপনি যদি পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়েন তাহলে অবিবাহিত মেয়েদের মাসিক বন্ধ হওয়ার কারণ এবং মাসিক না হলে কি বাচ্চা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে এই দুটি প্রশ্নের উত্তরই পেয়ে যাবেন। আপনাদের মূল্যবান সময় আর নষ্ট না করে শুরু করছি অবিবাহিত মেয়েদের মাসিক বন্ধ হওয়ার কারণ এবং মাসিক না হলে কি বাচ্চা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে এই বিষয়ে দুটি নিয়ে আলোচনা।

সূচিপত্রঃ অবিবাহিত মেয়েদের মাসিক বন্ধ হওয়ার কারণ - মাসিক না হলে কি বাচ্চা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

অবিবাহিত মেয়েদের মাসিক বন্ধ হওয়ার কারণ

অবিবাহিত মেয়েদের মাসিক বন্ধ হওয়ার কারণ গুলো কি আপনি জানেন? অবিবাহিত মেয়েদের মাসিক বন্ধ হওয়ার কারণ গুলো যদি আপনি না জেনে থাকেন তাহলে এটি অবশ্যই দ্রুত জেনে নিন, কারণ অবিবাহিত মেয়েদের মাসিক বন্ধ হওয়ার পেছনে বেশ কিছু কারণ রয়েছে আর অবিবাহিত মেয়েদের মাসিক যদি রেগুলার না হয় তাহলে ভবিষ্যতে বাচ্চা ধারণের ক্ষেত্রে প্রভাব পড়তে পারে। এজন্য অবিবাহিত মেয়েদের মাসিক বন্ধ হওয়ার কারণগুলো দ্রুত জেনে এর প্রতিকারের ব্যবস্থা করুন। অবিবাহিত মেয়েদের মাসিক বন্ধ হওয়ার কারণ সম্পর্কে। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক অবিবাহিত মেয়েদের মাসিক বন্ধ হওয়ার কারণ গুলো কি কি

  • ডিম্বাশয় পরিপক্ক না হওয়া
  • অতিরিক্ত শরীর চর্চা
  • অতিরিক্ত ওজন
  • ওজন কম হওয়া
  • পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিনড্রোম
  • থাইরয়েড সমস্যা
  • অনিয়মিত খাদ্যাভ্যাস
  • মানসিক চাপ
  • ভাজাপোড়া ও ফাস্টফুট জাতীয় খাবার খাওয়া

অবিবাহিত মেয়েদের মাসিক বন্ধ হওয়ার কারণগুলো আমরা জেনে নিয়েছি এবার এই কারণগুলো বিস্তারিত আলোচনা করব।

আরো পড়ুনঃ কতটুকু সাদা স্রাব হওয়া স্বাভাবিক

ডিম্বাশয় পরিপক্ক না হওয়াঃ মেয়েদের যখন প্রথম মাসিক শুরু হয় তখন কয়েক বছর মাঝে মাঝেই মাসিক বন্ধ থাকতে পারে। এই অবস্থায় মেয়েদের মাসিক বন্ধ থাকার মূল কারণ হলো ডিম্বাশয় পরিপক্কন না হওয়া। ডিম্বাশয় পরিপক্কন না হওয়ার কারণে মেয়েদের মাসিক শুরু হওয়ার প্রথম কয়েক বছর ঘন ঘন অথবা হঠাৎ হঠাৎ মাসিক বন্ধ থাকতে পারে।

অতিরিক্ত শরীরচর্চাঃ বর্তমান যুগের মেয়েরা বিশেষ করে অবিবাহিত মেয়েরা তাদের শরীরের ফিটনেস এর ব্যাপারে খুবই সচেতন। কিন্তু এই বেশি সচেতনতাটি অনেক সময় তাদের বিভিন্ন সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়ায় যেমন-এখনকার অবিবাহিত মেয়েরা শরীরের ফিটনেস ধরে রাখার জন্য প্রয়োজনের অতিরিক্ত শরীর চর্চা করে থাকে, আর এই অতিরিক্ত শরীর চর্চা অবিবাহিত মেয়েদের মাসিক বন্ধ হওয়ার কারণ গুলোর মধ্যে একটি উল্লেখযোগ্য কারণ।

অতিরিক্ত ওজনঃ অবিবাহিত মেয়েদের শারীরিক ওজন যদি তার দৈহিক উচ্চতা এবং বয়স অনুযায়ী অতিরিক্ত হয়ে যায় তাহলে মাসিক বন্ধ হতে পারে। অতিরিক্ত ওজন অবিবাহিত মেয়েদের মাসিক বন্ধ হওয়ার উল্লেখযোগ্য একটি কারণ

ওজন কম হওয়াঃ শরীরের ওজন স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি হলে যেমন মাসিক বন্ধ হওয়ার সমস্যাটি হয়ে থাকে সেই রকম স্বাভাবিকের চেয়ে ওজন কম হয়ে যাওয়াও অবিবাহিত মেয়েদের মাসিক বন্ধ হওয়ার উল্লেখযোগ্য আর একটি কারণ।

পলিসিসটিক ওভারিয়ান সিনড্রোমঃ কোন অবিবাহিত মেয়ে যদি পলিসিসটিক ওভারিয়ান সিনড্রোম রোগে আক্রান্ত হয় তাহলে তাদের মাসিক বন্ধ হয়ে যাওয়ার সমস্যা দেখা দেয়।

থাইরয়েড সমস্যাঃ থাইরয়েড সমস্যা জনিত কারণে ও অবিবাহিত মেয়েদের মাসিক বন্ধ হয়ে যেতে পারে।

অনিয়মিত খাদ্যাভ্যাসঃ অবিবাহিত মেয়েরা সাধারণত খাবার খাওয়ার ব্যাপারে অত্যন্ত উদাসীন থাকে। দেখা যায় অনেক সময় অবিবাহিত মেয়েরা সকালের নাস্তা দুপুরে এবং দুপুরের খাবার বিকালে এইরকম নিয়মিত খাদ্যাভ্যাসের অভ্যস্ত হয়ে যায় যার ফলে তাদেরকে মাসিক বন্ধ হয়ে যাওয়ার মতন জটিলতায় ভুগতে হয়।

মানসিক চাপঃ অবিবাহিত মেয়েরা যদি অতিরিক্ত স্ট্রেস বা মানসিক চাপের ভেতরে থাকে তাহলে তাদের মাসিক নিয়মিত হয় না এবং মাঝে মাঝে মাসিক বন্ধ হয়ে যাওয়ার সমস্যায় পড়তে হয়।

ভাজাপোড়া ও ফাস্টফুড খাওয়াঃ অধিকাংশ অবিবাহিত মেয়েদেরকে দেখা যায় তারা বাইরের ভাজাপোড়া অথবা ফাস্ট ফুড জাতীয় খাবার খেতে বেশি পছন্দ করে। যার ফলে তাদের মাসিক বন্ধ হয়ে যাওয়া ছাড়াও আরো বিভিন্ন ধরনের শারীরিক জটিলতাই করতে হয়। বাইরে ভাজাপোড়া বা ফাস্টফুট জাতীয় খাবার বেশি খেলে এর দ্বারা শরীরে মেদ জমে যা অবিবাহিত মেয়েদের মাসিক বন্ধ হওয়ার প্রধান কারণ হিসেবে কাজ করে।

দ্রুত মাসিক হওয়ার উপায়

অনিয়মিত মাসিক হলে অনেক সময় আমাদেরকে মানসিক চাপের মুখে পড়তে হয়। মাসিক না হওয়ার ফলে টেনশন হতে থাকে কি কারনে মাসিক হলো না সে বিষয়ে। মাসিক অনিয়মিত বা মাসিক বন্ধ হলে টেনশন না করে দ্রুত মাসিক হওয়ার উপায় গুলো অনুসরণ করে আপনি মাসিক রেগুলার করে নিতে পারেন । আপনার যদি দ্রুত মাসিক হওয়ার উপায় গুলো সম্পর্কে জানা না থাকে তাহলে সেটি এখনই জেনে নিন। দ্রুত মাসিক হওয়ার উপায় গুলো হলো,

কাঁচা পেঁপেঃ মাসিক বন্ধ হয়ে গেলে নিয়মিত কাঁচা পেঁপে খাওয়ার চেষ্টা করুন। কারণ কাঁচা পেঁপে  রেগুলার মাসিক হওয়ার ক্ষেত্রে ভীষণ কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে অথবা যেকোনো উপায়ে কাঁচা পেঁপের রস বের করে দিনে অন্ততপক্ষে দুইবার খাওয়ার চেষ্টা করুন।

আরো পড়ুনঃ মেয়েদের অনিয়মিত মাসিকের কুফল

অ্যালোভেরাঃ দ্রুত মাসিক হওয়ার আরেকটি দুর্দান্ত উপায় হল অ্যালোভেরার রস খাওয়া। মধুর সাথে এলোভেরার রস বা জেল যেটাই বলেন না কেন সেটি বের করে সকালবেলা খাওয়ার চেষ্টা করুন। এটি আপনার দ্রুত মাসিক হওয়ার জন্য কাজ করবে।

ভিটামিন সিঃ দ্রুত মাসিক হওয়ার জন্য ভিটামিন সি জাতীয় খাবার গুলো গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে। খাদ্য তালিকায় ভিটামিন সি জাতীয় খাবার গুলো সংযুক্ত করলে এটি আপনার মাসিক দ্রুত ভরানোর ক্ষেত্রে ভীষণ ভালো কাজ করবে।

যৌন মিলনঃ আপনি যদি বিবাহিত হয়ে থাকেন তাহলে দ্রুত মাসিক হওয়াতে চান তাহলে ঘন ঘন যৌন মিলন করুন। যৌন মিলনের সময় শরীরের বিভিন্ন ধরনের হরমোন নিঃসরণের মাত্রা বেড়ে যায়। আর এই অতিরিক্ত হরমোন নিঃসরণের ফলে বন্ধ মাসিক ক্লিয়ার হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই দ্রুত মাসিক হওয়ার জন্য ঘন ঘন যৌন মিলন করুন।

মসলার ব্যবহারঃ মসলার মধ্যে যে বিভিন্ন ধরনের উপকারিতা রয়েছে এটি আমরা কম বেশি সবাই জানি। তবে কিছু কিছু মসলার মধ্যে দ্রুত মাসিক হওয়ার উপাদান রয়েছে এই মসলাগুলো হল ধনে, আদা, মেথি ইত্যাদি এই মেথি গুলো মাসিক দ্রুত হওয়ার ক্ষেত্রে সাহায্য করে বলে প্রেগন্যান্ট মহিলাদের জন্য ডাক্তাররা এই মসলাগুলো এড়িয়ে চলার জন্য পরামর্শ দিয়ে থাকে।

অবিবাহিত মেয়েদের মাসিক বন্ধ হলে করনীয়

উপরে আমরা আলোচনা করেছি অবিবাহিত মেয়েদের মাসিক বন্ধ হওয়ার কারণ সম্পর্কে। এবার আমরা আলোচনা করব অবিবাহিত মেয়েদের মাসিক বন্ধ হলে কি করনীয় সেই বিষয়টি। উপরের অংশ আপনারা জেনেছেন বিভিন্ন কারণেই অবিবাহিত মেয়েদের মাসিক বন্ধ হয়ে যাওয়ার মতন সমস্যা হতে পারে, সমস্যা যখন আছে এর সমাধানও নিশ্চয়ই আছে, আপনার যদি জানা না থাকে অবিবাহিত মেয়েদের মাসিক বন্ধ হলে করণীয় কি তাহলে এ বিষয়টি এখনই জেনে নিন কারণ মাসিক বন্ধ থাকা কখনোই কোন শুভ লক্ষণ নয় এর থেকে তৈরি হতে পারে দীর্ঘমেয়াদি বিভিন্ন ধরনের শারীরিক ও মানসিক জটিলতার। চলুন এবার তাহলে জেনে নিই অবিবাহিত মেয়েদের মাসিক বন্ধ হলে করণীয় কি।

  • পর্যাপ্ত ঘুমের ব্যবস্থা করা
  • আয়রন এবং প্রোটিন জাতীয় খাবার বেশি খাওয়া
  • প্রচুর পরিমাণে পানি পান করা
  • টাটকা শাকসবজি খাওয়া
  • ফলমূল বেশি খাওয়া
  • নিয়মিত শরীরচর্চা করা
  • শারীরিক ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা

আমরা জেনে নিলাম অবিবাহিত মেয়েদের মাসিক বন্ধ হলে কি করতে হবে এবার আমরা এই বিষয়গুলো নিয়ে নিচে বিস্তারিত আলোচনা করব।

পর্যাপ্ত ঘুমের ব্যবস্থা করাঃ অবিবাহিত মেয়েদের ক্ষেত্রে মানসিক চাপ মাসিক বন্ধ হওয়ার একটি উল্লেখযোগ্য কারণ, অবিবাহিত মেয়েদের এই মানসিক চাপ দূর করতে পর্যাপ্ত ঘুমের ব্যবস্থা করা প্রয়োজন ।পর্যাপ্ত ঘুমের মাধ্যমে মানসিক চাপ কম থাকবে এবং এটি মাসিক রেগুলার করতে সাহায্য করবে। মানসিক চাপ বা স্ট্রেস এর মধ্যে না থাকলেও অনিয়মিত বা মাসিক বন্ধ হয়ে গেলে পর্যাপ্ত ঘুমের প্রয়োজন ।

আয়রন এবং প্রোটিন জাতীয় খাবার বেশি খাওয়াঃ খাওয়া-দাওয়ার অনিয়মসহ আরো বিভিন্ন কারণে অবিবাহিত মেয়েদের শরীরে দেখা যায় আয়রন এবং প্রোটিনের ঘাটতি পড়ে যায় যার ফলে মাসিক বন্ধ হওয়ার মতন জটিলতা সৃষ্টি হয়। অবিবাহিত মেয়েদের মাসিক বন্ধ হওয়ার এই জটিলতা দূর করার জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে আয়রন এবং প্রোটিন জাতীয় খাবার গ্রহণ করতে হবে।

প্রচুর পরিমাণে পানি পান করাঃ পানি পান করা আমাদের শরীরের জন্য খুবই দরকার। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করলে এই পানির মাধ্যমে শরীরের বিভিন্ন ধরনের টক্সিক পদার্থগুলো বেরিয়ে যায় । এই টক্সিক পদার্থ গুলো বের হয়ে যাওয়ার ফলে, শরীরের বিভিন্ন সমস্যা দূর হওয়ার পাশাপাশি মাসিক বন্ধ হওয়ার সমস্যাটি দূর হয়ে যায়।

টাটকা শাকসবজি খাওয়াঃ প্রচুর পরিমাণে টাটকা শাকসবজি খেলে এর মাধ্যমে শরীরের বিভিন্ন ধরনের পুষ্টি চাহিদা পূরণ হয়, আর অবিবাহিত মেয়েদের মাসিক বন্ধ হওয়ার কারণ যদি পুষ্টি ঘাটতি হয় তাহলে খাওয়ার ফলে এই পুষ্টি পূরণ হয়ে যাবে এবং মাসিক রেগুলার হওয়া শুরু হবে।

ফলমূল বেশি খাওয়াঃ প্রচুর পরিমাণে টাটকা ফলমূল খাওয়ার অভ্যাস করতে হবে কারণ অনেক সময় শরীরের রক্তশূন্যতার কারণেও মাসিক বন্ধ হওয়ার সমস্যা দেখা দেয়। প্রচুর পরিমাণে টাটকা ফলমূল খেতে থাকলে এই ফলমূল গুলো শরীরের রক্ত জোগাতে সাহায্য করবে যেমন-জাম, বেদানা, কলা, পিচ ইত্যাদি জাতীয় ফলগুলো শরীরের রক্ত বৃদ্ধি করে সুতরাং এই জাতীয় ফলগুলো বেশি পরিমাণে খেলে মাসিক বন্ধ হওয়ার সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।

আরো পড়ুনঃমাসিকের কতদিন পর SEX করলে পেটে বাচ্চা আসে

নিয়মিত শরীরচর্চা করাঃ নিয়মিত শরীরচর্চা করার মাধ্যমে শারীরিক বিভিন্ন ধরনের জটিলতা থেকে মুক্তি পাওয়া যায় , নিয়মিত হালকা-পাতলা শরীর চর্চা করা, হাটাহাটি বা দৌড়ানো ইত্যাদির মাধ্যমে মেয়েদের মাসিক বন্ধ হওয়ার সমস্যাগুলো দূর হয়। তবে শরীরচর্চা করার সময় অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে এটি যেন অতিরিক্ত না হয়ে যায় কারণ অতিরিক্ত শরীর চর্চার ফলে শরীরে উপকারের চাইতে উপকার হওয়া সম্ভব না বেশি থাকে।

শারীরিক ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখাঃ খুব শরীরের কোলেস্টেরলের মাত্রা বৃদ্ধির ফলে শারীরিক ওজন বেশি হয়ে যায়, যেটি নাকি অবিবাহিত মেয়েদের মাসিক বন্ধ হওয়ার অন্যতম কারণ। এর জন্য আপনার শরীরের ওজনকে নিয়ন্ত্রিত পর্যায়ে রাখতে হবে। শরীরের ওজন অতিরিক্ত বাড়তে দেওয়া যাবে না আবার শারীরিক ওজন স্বাভাবিকের চেয়ে কমিয়ে ফেলা যাবে না।

মাসিক না হলে কি বাচ্চা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে

মেয়েদের মাসিক হলো বাচ্চা উৎপাদনের প্রাথমিক প্রক্রিয়া। যাদের শুরু থেকেই মাসিকের সমস্যা থাকে যেমন তাদের ক্ষেত্রে ভবিষ্যতে বাচ্চা নিতে বেশ অসুবিধা পোহাতে হয়। অনিয়মিত মাসিকের ব্যাপারে শুরু থেকে সচেতন না হলে শেষ পর্যন্ত একটি মেয়ে বন্ধা  হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনাও থাকে। এখন অনেকেই এই প্রশ্নটি করেন যে মাসিক না হলে কি বাচ্চা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে? আজকে এই পোষ্টের মাধ্যমে আপনাদেরকে মাসিক না হলে কি বাচ্চা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে এই প্রশ্নের উত্তরটি দেয়ার চেষ্টা করব। মাসিক না হওয়া বা মাসিক বন্ধ হওয়া এটি দুই রকম ভাবে হতে পারে। যথা,

  • শারীরিক জটিলতার কারণে মাসিক না হওয়া
  • পুরুষের সাথে SEX  বা সহবাসের পর মাসিক না হওয়া

শারীরিক জটিলতার কারণে মাসিক না হওয়াঃ শারীরিক জটিলতার কারণে যদি মাসিক না হয় তাহলে কখনো এটি শুভ লক্ষণ বা শুভ বার্তা বয়ে নিয়ে আসে না। আপনাদেরকে আগেই জানিয়েছি যে মাসিক হলো মেয়েদের বাচ্চা জন্মদানের বাচ্চা ধারণের প্রথম ধাপ। শারীরিক সম্পর্কের আগে বা পরে যদি আপনার শারীরিক সমস্যার কারণে মাসিক বন্ধ থাকে তাহলে অবশ্যই এটি নিয়ে ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা উচিত কারণ মাসিক নিয়মিত না হলে মেয়েদের বাচ্চা নিতে অথবা বাচ্চা কনসেপ করতে অনেক অসুবিধায় পড়তে হয়। মাসিক না হওয়ার ফলে শুধু বাচ্চার কনসেপর করার ক্ষেত্রে শুধুমাত্র অসুবিধা জটিলতায় হয় না মাসিক বন্ধ থাকলে বা অনিয়মিত মাসিক হলে বাচ্চা উৎপাদন ক্ষমতার সম্পূর্ণ রূপে বাধাগ্রস্ত হয় এবং মেয়েরা বন্ধ্যা হয়ে যায় ।

পুরুষের সাথে SEX  বা সহবাসের পর মাসিক না হওয়াঃ আপনার মাসিকের যদি কোন সমস্যা না থাকে অথবা আপনার মাসিক যদি রেগুলার থাকে এবং পুরুষের সাথে সেক্স বা সহবাস করার পরে সেই মাসে বন্ধ হয় তাহলে হ্যাঁ এটি প্রেগন্যান্ট হওয়া বা বাচ্চা হওয়ার লক্ষণ। কারণ ফ্যালোপিয়ান টিউবের মধ্যে মেয়েদের শুক্রাণু এবং ছেলেদের ডিম্বাণু মিলিত হয়ে বাচ্চা উৎপাদনের প্রক্রিয়াটি শুরু হয়। নারী এবং পুরুষের মিলনের ফলে শুক্রাণু এবং ডিম্বাণু মিলিত হয়ে বাচ্চা হওয়ার প্রক্রিয়াটি শুরু হলে মেয়েদের মাসিক হয় না এবং এই মাসিক কত দিন হয় না যতদিন না গর্ভের সন্তান ভূমিষ্ঠ হচ্ছে । সুতরাং বুঝতেই পারছেন পুরুষের সাথে সহবাস করে মেয়েদের যদি মাসিক বন্ধ হয় তাহলে এটি গর্ভধারণ অথবা বাচ্চা হওয়ার লক্ষণ হিসেবে ধরে নেওয়া যেতে পারে। তবে ভালোভাবে পরীক্ষা নিরীক্ষা করার আগ পর্যন্ত কোন ব্যাপারেই পুরোপুরি নিশ্চিত হওয়া উচিত নয়।

আরো পড়ুনঃ হস্তমৈথনের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে বাঁচার উপায়

মন্তব্য, আশা করছি পোস্টটি পড়ে আপনি বুঝতে পেরেছেন পেরেছেন অবিবাহিত মেয়েদের মাসিক বন্ধ হওয়ার কারণ এবং মাসিক না হলে কি বাচ্চা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে এই বিষয়ে দুটি। মাসিক যেহেতু খুবই সেনসিটিভ একটি বিষয় এই কারণে মাসিক সংক্রান্ত যেকোনো সমস্যায় সময় নষ্ট না করে দ্রুত ডাক্তারি পরামর্শ গ্রহণ করুন এবং আপনার মাতৃত্বের প্রক্রিয়াকে সুস্থ রাখুন।

অন্যদের সাথে শেয়ার করুন

0 Comments

দয়া করে নীতিমালা মেনে মন্তব্য করুন ??

নটিফিকেশন ও নোটিশ এরিয়া