প্রেগনেন্সির লক্ষণ - মাসিক মিস হওয়ার কতদিন পর প্রেগনেন্ট বোঝা যায়

যারা প্রথমবার মা হতে চলেছে তাদের অনেকেরই প্রেগনেন্সির লক্ষণ সম্পর্কে বিস্তারিত জ্ঞান থাকে না এবং অনেকে সঠিকভাবে এটিও জানেন না যে মাসিক মিস হওয়ার কতদিন পর প্রেগন্যান্ট বোঝা যায়। এই কারণে এই পোস্টের মধ্যে আলোচনা করা হবে প্রেগনেন্সির লক্ষণ এবং মাসিক মিস হওয়ার কতদিন পর প্রেগন্যান্ট বোঝা যায় সেই বিষয়ে গুলো নিয়ে।

আপনি যদি প্রেগনেন্সির লক্ষণ এবং মাসিক হওয়ার কতদিন পর প্রেগন্যান্ট বোঝা যায়, এই বিষয়ে জানতে আগ্রহী হয় তাহলে অবশ্যই পোস্টটি শেষ পর্যন্ত পড়ুন, কারণ এই পোস্টের মাধ্যমে আপনি প্রেগনেন্সির লক্ষণ এবং মাসিক মিস হওয়ার কতদিন পর প্রেগন্যান্ট বোঝা যায় এই বিষয় দুটি ছাড়াও প্রেগনেন্সি টেস্টের ঘরোয়া পদ্ধতি এবং প্রেগন্যান্ট হলে করণীয় বিষয়সহ প্রেগন্যান্ট অবস্থার আরো বিভিন্ন তথ্য জানতে পারবেন। যে তথ্যগুলো ভবিষ্যতে আপনার উপকারে আসবে বলে ধারণা করছি।

পোস্টে প্রেগনেন্সি বিষয়ে যা যা থাকছেঃ প্রেগনেন্সির লক্ষণ - মাসিক মিস হওয়ার কতদিন পর প্রেগনেন্ট বোঝা যায়।

প্রেগনেন্সির লক্ষণ

যারা প্রথমবার মা হতে চলেছেন অথবা যারা বাচ্চা নেয়ার কথা ভাবছেন তাদের মধ্যে অনেকেই ভালভাবে জানেন না প্রেগনেন্সির লক্ষণ গুলো সম্পর্কে।অনেক সময় দেখা যায় মাসিকের দিন গুলোর সঠিক গননা না থাকার কারনে বাচ্চা কন্সেপ করেছে কিনা সেটি বুঝতেও অসুবিধা হয়।এ কারনে,জেনে রাখা ভাল প্রেগনেন্সির লক্ষন গুলো সম্পর্কে। এবার তাহলে শুরু করা যাক প্রেগনেন্সির লক্ষণ গুলো নিয়ে আলোচনা। হরমোনাল চেঞ্জ এর কারণে প্রেগন্যান্ট অবস্থায় শারীরিক বিভিন্ন ধরনের পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়। প্রেগনেন্সির লক্ষণ গুলো আপনার জানা থাকলে আপনি খুব সহজেই বুঝতে পারবেন যে আপনি প্রেগন্যান্ট কিনা। প্রেগনেন্সির লক্ষণ গুলো হলো,

  • খাবারে অরুচি ও গন্ধ লাগা
  • মাথা ঘোরা
  • বমিভাব
  • ক্লান্তি লাগা
  • শরীরের তাপমাত্রা বেশি হওয়া
  • মন মেজেজ খারাপ থাকা
  • একটু পর পর প্রসাবের চাপ
  • কোমর ভারী হওয়া 
  • পেট ফোলা ফোলা অনুভব হওয়া
  • স্তন ফুলে ওঠা এবং ব্যাথা হওয়া
  • মাসিক মিস হওয়া

আরো পড়ুনঃ কতটুকু সাদা স্রাব হওয়া মেয়েদের জন্য স্বাভাবিক।

খাবারে অরুচি ও গন্ধ লাগাঃ প্রেগনেন্সি শুরুর দিকে আপনার যে লক্ষণটি প্রকাশ পাবে সেটি হলো যে অরুচি ও বিভিন্ন জিনিসে বা খাবারের গন্ধ লাগা। সাধারণত শরীরের ইস্ট্রোজেন হরমোনের বেশি হওয়ার কারণে এই খাবারে অরুচি এবং গন্ধ লাগার প্রবণতাটি দেখা যায়।

মাথা ঘোরাঃ খাবারের অরুচি সাথে সাথে আপনার মাথা ঘোরার সমস্যাটি প্রকাশ পাবে। উঠাবসা হাঁটাচলা ইত্যাদি সময় আপনি মাথা ঘুরা অনুভব করবেন এবং অনেক সময় শুয়ে থাকা অবস্থাতেও মাথা ঘুরা ঘুরা ভাব হবে।

বমিভাবঃ প্রেগনেন্ট বা গর্ভবতী হলে কারনে অকারনে বমি বমি ভাব হবে।কোন কিছুর গন্ধ বা স্মেল আপনার সহ্য হবে না।খাবার মুখে দিলেই বমি আসবে।

ক্লান্তি লাগাঃ প্রেগনেন্ট হলে যেহেতু শরীরে Progesterone হরমনের মাত্রা বেড়ে যায় এ কারনে একটুতেই ক্লান্তি অনুভব হয় এবং শরীরের ভেতরে অস্থিরতা দেখা যায়।

শরীরের তাপমাত্রা বেশি হওয়াঃ প্রেগনেন্সির আরেকটি অন্যতম লক্ষণ হল শরীরের তাপমাত্রা বেশি হওয়া ,এই সময়  ডাক্তাররা পানি বেশি পান করতে উপদেশ দিয়ে থাকেন।

পাতলা পায়খানা ও কোষ্ঠকাঠিন্যঃ প্রেগনেন্সির শুরুর দিকে মাসিক হওয়ার সময় যেমন পাতলা পায়খানা অথবা কোষ্ঠকাঠিন্য হতে পারে। প্রেগনেন্ট হলে শরীরের অভ্যন্তরে বিভিন্ন ধরনের পরিবর্তন দেখা যায় বিধায় এসিডিটি সমস্যা ও বাড়তে পারে। সেই সময় বেশি বেশি পানি পান এবং ফাইবার যুক্ত শাকসবজি ফলমূল খাওয়ার মাধ্যমে এই সমস্যাগুলো কিছুটা এড়ানো সম্ভব হয়।

মন মেজেজ খারাপ থাকাঃ কারণে-অকারণে মেজার সব সময় খিটখিটে থাকে। একটুতেই বিরক্ত হওয়া একটু তে রেগে যাওয়া এটি প্রেগনেন্সির শুরুর দিকে আরেকটি লক্ষণ।

একটু পর পর প্রসাবের চাপঃ স্বাভাবিক অবস্থায় চাইতে প্রেগন্যান্ট অবস্থায় প্রস্রাবের চাপ ঘন ঘন আসে। শরীরের অভ্যন্তরে বিভিন্ন হরমোনের নিঃসরণ বেড়ে যাওয়ায় বিভিন্ন তরল পদার্থ এসে মূত্রথলিতে জমা হয় এই কারণে ঘন ঘন প্রস্রাবের বেগ আসে। ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়ার কারণে প্রেগন্যান্ট অবস্থায় বেশি বেশি পানি খেতে উপদেশ দেওয়া হয়

কোমর ভারী হওয়া ঃ প্রেগনেন্ট হলে আপনার কোমর ভারী হয়ে থাকবে, কোমরের ভেতরে সব সময় মৃদু যন্ত্রণা বোধ হবে। এবং কোমরের ভেতরে আঁকড়ে ধরার মতন অনুভব হবে।

পেট ফোলা ফোলা অনুভব হওয়াঃ প্রেগন্যান্ট অথবা গর্ভবতী হলে প্রথমদিকে আপনি পেট ফোলা ফোলা অনুভব করবেন আপনার পেট উপর থেকে দেখে খোলা বোঝা যাবে না কিন্তু আপনি ভিতরে ভিতরে খোলা অনুভব করতে পারবেন। এবং পেটের ভেতরে মাঝে মাঝে মোচড় দিবে এবং সাথে সামান্য ব্যথা হতে পারে।

স্তন ফুলে ওঠা এবং ব্যাথা হওয়াঃ প্রেগন্যান্ট অবস্থায় আপনার স্তন আস্তে আস্তে ফুলে উঠবে ভারী ভারী ভাব হবে এবং সাথে ব্যথা ও অস্বস্তি থাকবে। তবে এই রকম পরিস্থিতি শুরুর দিকে হয় না ৬ থেকে ১১ সপ্তাহের মধ্যে দেখা যায়।

মাসিক মিস হওয়াঃ প্রেগনেন্সি অন্যতম প্রধান এবং উল্লেখযোগ্য লক্ষণ হল মাসিক মিস হওয়া। শারীরিক সম্পর্কের পর উপরের লক্ষণ গুলোর সাথে সাথে যদি আপনার রেগুলার মাসিক বা পিরিয়ড বন্ধ হয়ে যায় তাহলে নিশ্চিত হতে পারেন যে আপনি প্রেগন্যান্ট বা গর্ভবতী হয়েছেন।

মাসিক মিস হওয়ার কতদিন পর প্রেগনেন্ট বোঝা যায়

অনেক সময় দেখা যায় অতি উৎসাহী হয়ে মানুষ মাসিক মিস হওয়ার চার থেকে ৫ দিনের মধ্যেই প্রেগনেন্সি টেস্ট করে ফেলেন। এতে করে অনেক সময় সঠিক ফলাফল আসে না। পিরিয়ড মিস হয় পরে একটি নির্দিষ্ট সময় আছে এই সময়ে টেস্ট করলে আপনি সঠিক ফলাফল পেতে পারেন। এবার তাহলে আসুন জেনে নেওয়া যাক মাসিক মিস হওয়ার কতদিন পরে প্রেগনেন্ট বোঝা যায়। মাসিক মিস হওয়ার কতদিন পরে প্রেগনেন্ট বোঝা যায় এই প্রশ্নটি বিভিন্ন সময় বিভিন্ন জন করে থাকেন।

আরো পড়ুনঃ মেয়েদের অনিয়মিত মাসিকের কুফল

আপনার মাসিক যদি রেগুলার হয় তাহলে যেদিন মাসিক হওয়ার কথা ছিল সেই দিন থেকে গণনা শুরু করে পরবর্তী ১৫ দিন পর আপনি যদি টেস্ট করেন তাহলে সঠিক ফলাফল পাবেন। এর মানে হলো যে মাসিক মিস হওয়ার ১৫ দিন পর প্রেগনেন্সি টেস্ট করলে সঠিক রিপোর্ট পাবেন। তবে এটি শুধু যাদের রেগুলার মাসিক হয় তাদের জন্য যাদের অনিয়মিত মাসিক তাদের জন্য নয়।

প্রেগন্যান্ট হলে করণীয়

প্রেগনেন্ট হলে আপনাকে অবশ্যই কিছু সাবধানতা অবলম্বন করে চলতে হয়। কারণ এটি আপনার নিজের শরীরের জন্য এবং আপনার ভেতরে বেড়ে ওঠা সন্তানের জন্য খুবই জরুরী। আপনার যদি জানা না থাকে প্রেগন্যান্ট হলে করণীয় কি, তাহলে এই বিষয়টি আজই জেনে নিন। আসুন তাহলে আলোচনা শুরু করা যাক প্রেগন্যান্ট হলে করনীয় কি সে বিষয়ে। 

  • বেশি বেশি পানি পান করুন কারণ অধিকাংশ প্রেগন্যান্ট মহিলাদের দেখা যায় পানি শূন্যতায় ভূগতে। এজন্য প্রতিদিন কম করে আর থেকে ১০ গ্লাস পানি খেতে হবে পারলে এর চাইতে বেশি খেলে ভালো হয়।
  • আপনার খাবার তালিকায় ফলিক এসিড রাখার চেষ্টা করুন, কারণ ফলিক এসিড বাচ্চার মেধাবিকাশে সাহায্য করে।
  • প্রেগন্যান্ট মহিলাদের জন্য নিজের এবং বাচ্চার সুস্থতার কথা মাথায় রেখে নিয়মিত ছোট ছোট কিছু শারীরিক ব্যায়াম করতে হবে।
  • দূরেও কাছে যাতায়াত করার জন্য সর্বোচ্চ সর্তকতা অবলম্বন করুন বিশেষ করে প্রেগনেন্ট হওয়ার প্রথম তিন মাস। কারণ প্রথম তিন মাসে মিসক্যারেজ হওয়ার সম্ভাবনা খুবই বেশি থাকে।
  • রেগুলার ডাক্তারি চেকআপে থাকুন যাতে কোন সমস্যা হলে আপনি সেটাটি বুঝতে পারেন এবং সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে পারেন।
  • আপনার গর্ভে সন্তানটি আপনার চলাফেরা এবং কথাবার্তা সবকিছু অনুভব করতে পারে। এই কারণে প্রতিদিন একটি নির্দিষ্ট সময়ে গল্পের বাচ্চাটির সাথে কথাবার্তা বা গল্প গুজব করার অভ্যাস গড়ে তুলুন।
  • পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমানোর চেষ্টা করুন প্রেগন্যান্ট অবস্থায় প্রতিদিন অন্তত 8 থেকে 10 ঘন্টা সাউন্ড ক্লিক হওয়া অত্যন্ত জরুরী। প্রেগন্যান্ট অবস্থায় ঘুমানো বা বিশ্রামের সময় অবশ্যই চেষ্টা করবেন বাম কাতে শোবার।
  • অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা করবেন না। অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা করলে আপনার শরীরের রক্তচাপ বেড়ে যাবে আর যেটি আপনার নিজের স্বার্থ এবং বাচ্চাদের ক্ষতি করে।
  • পর্যাপ্ত পরিমাণে পুষ্টিকর খাবার ,টাটকা শাকসবজি , টাটকা ফল এবং ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার খাওয়ার চেষ্টা করতে হবে।
  • খাদ্য তালিকায় মাছ , মাংস , দুধ ,ডিম এর পাশাপাশি আইরন, ক্যালসিয়াম , খনিজ লবণ , শ্বেতসার জাতীয় খাবার রাখতে হবে।
  • গর্ভাবস্থায় ঢিলাঢালা এবং আরামদায় কাপড় ব্যবহার করতে হবে। এই অবস্থাতে টাইট কাপড় চোপড়া ব্যবহার করা স্বাস্থ্যসম্মত নয়।
  • ডাক্তারি পরামর্শ মোতাবেক আপনাকে বেশ কিছু অসুখের টিকা গ্রহণ করতে হবে। এই টিকাগুলো গ্রহণ করা মা এবং শিশু উভয়ে জন্য খুবই জরুরী।

সাদা স্রাব কি প্রেগনেন্সির লক্ষণ

অনেকেই জানতে চেয়ে থাকেন সাদাস্রাব কি প্রেগনেন্সি লক্ষণ এই বিষয়টি। সাদাস্রাব হওয়া এটি মেয়েদের একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া সাধারণত মাসিক শুরুর কিছুদিন আগে থেকে শুরু করে মেনোপোজ হওয়া আগে পর্যন্ত সাদা স্রাব হয় তবে এই ব্যাপারটি ঠিক প্রেগন্যান্ট অবস্থায় সাদা স্রাব অতিরিক্ত হয়।

প্রেগন্যান্ট অবস্থায় স্বাভাবিক অবস্থার চাইতে সাদা স্রাব বেশি পরিমাণে যাওয়া শুরু করে কারণ শরীর এই স্রাবের মাধ্যমে জরায়ুর বিভিন্ন জীবাণু গুলো কে ভেতরে প্রবেশ করতে বাধা দেয়। সে ক্ষেত্রে সাদা স্রাব যাওয়া প্রেগনেন্সির লক্ষণ হিসেবে ধরে নেওয়া যেতে পারে। সাদা স্রাব যাওয়ার এই প্রক্রিয়াটি বাচ্চার মা হওয়া পর্যন্ত অব্যাহত থাকে তবে। শেষের দিকে স্রাবের ঘনত্ব বেশি হয়ে যায় এবং এটি চেটে আঠালো হয়।স্রাবের এই অবস্থা কি পর্যবেক্ষণ করে বোঝা যায় যে বাচ্চা প্রসবের সময় চলে এসেছি অথবা বাচ্চা প্রসবের সময়টি খুবই সন্নিকটে।

প্রেগনেন্ট অবস্থায় আমল

গর্ভাবস্থায় মায়ের সকল বৈশিষ্ট্যের প্রভাব গর্বের সন্তানের উপরে পড়ে এই জন্য গর্ভবতী মায়েদের উচিত বিভিন্ন ধরনের নেক আমল গুলো এই অবস্থায় করা। প্রেগনেন্ট অবস্থায় এমন সম্পর্কে আপনার যদি ধারণা না থাকে তাহলে আপনি এই পোস্টটি মাধ্যমে আপনি প্রেগন্যান্ট অবস্থায় আমল সম্পর্কে ধারণা পেয়ে যাবেন। প্রেগন্যান্ট অবস্থায় যথাসম্ভব বেশি বেশি ইবাদত বন্দেগি নামাজ কালাম দান খায়রাত দোয়া দরুদ কোরআন তেলাওয়াত করা করা উচিত।

প্রেগন্যান্ট মায়েদের বেশি বেশি নেক আমল করা উচিত যে প্রেগন্যান্ট অবস্থায় মায়ের প্রত্যেকটি কার্যকলাপ আচার-আচরণ কথাবার্তা ধরন চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য সবকিছুই গর্ভে সন্তানকে প্রভাবিত করে। প্রেগন্যান্ট অবস্থায় আমর হিসেবে আপনি কুরআনের কিছু সূরা নিয়মিত পড়তে পারেন।

  • যেকোন ধরনের ক্ষতির হাত থেকে রক্ষার জন্য আমল করতে পারেন -সূরা ইনশিক্বাক
  • গর্ভে সন্তানের চেহারা এবং চারিত্রিক সৌন্দর্যের জন্য আমল করতে পারেন -সূরা ইউসুফ
  • গর্ভের সন্তানকে দ্বীনদার করার জন্য আমল করুন -সূরা আল ইমরান
  • সন্তানকে পরহেজগার করার জন্য আমল করুন -সূরা মারিয়াম
  • সুন্দর চরিত্রের অধিকারী করার জন্য আমল করতে হবে -সূরা মুহাম্মদ

প্রেগন্যান্ট অবস্থায় সহবাস করা যাবে কিনা

অনেকের মনে এই প্রশ্নটি করবা খায় যে প্রেগন্যান্ট অবস্থায় সহবাস করা যাবে কিনা। মনের মধ্যে প্রেগন্যান্ট অবস্থায় সহবাস করা যাবে কিনা এই প্রশ্নটি থাকলেও অনেক সময় হয়তো লোক লজ্জার কারণে প্রশ্নের উত্তরটি পাওয়া যায় না। আপনাদের এই সমস্যার সমাধানের জন্য এই পোস্টের মাধ্যমে জানানো হবে প্রেগন্যান্ট অবস্থায় সহবাস করা যাবে কিনা এই বিষয়ে।

আপনার প্রেগনেন্সিতে যদি কোন অসুবিধা অথবা জটিলতার নাম থাকে তাহলে সাবধানতা অবলম্বন করি আপনি সহবাস করতে পারেন। তবে হ্যাঁ অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে প্রেগনেন্ট হওয়ার প্রথম তিন মাস এবং শেষ তিন মাস অত্যান্ত ঝুঁকিপূর্ণ সময়। এই সময়গুলো ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ার কারণে বেশিরভাগ ডাক্তার সাজেস্ট করেন এই সময়গুলোতে সহবাস না করা। কনসেপ্ট করার প্রথম তিন মাসে মিস ক্যারেজ হওয়া সম্ভব না অতিরিক্ত থাকে, এই কারণে সামান্য একটু অসচেতনতাও আপনার  মিসক্যারেজের কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। তবে হ্যাঁ আপনি যদি সাবধানতা অবলম্বন করি সহবাস করতে পারেন তাহলে কোন সমস্যা নেই।

শেষ কথা, উপযুক্ত আলোচনার মাধ্যমে বিস্তারিতভাবে আপনাদেরকে জানানোর চেষ্টা করেছি প্রেগনেন্সির লক্ষণ এবং মাসিক মিস হওয়ার কতদিন পরে প্রেগন্যান্ট বোঝা যায় সেই বিষয় সম্পর্কে। প্রেগন্যান্ট অবস্থায় যেকোনো জটিলতা এড়ানোর জন্য শুরুর থেকেই ভালো একজন গাইনি ডক্টরের চেকআপে থাকুন। তাহলে আপনি যেকোনো অসুবিধা বা জটিলতা শুরুতেই বুঝতে পারবেন এবং সে বিষয়ে সতর্ক হতে পারতেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন

comment url