মাথা ব্যাথা কোন রোগের লক্ষণ - মাথা ব্যাথার ঔষধ

আমাদের সকলেরই বিভিন্ন সময় মাথার যন্ত্রণায় ভীষণ কষ্ট পেতে হয়। পুরুষদের তুলনায় বেশিরভাগ ক্ষেত্রে নারীরাই মাথা ব্যথার সমস্যায় বেশি আক্রান্ত হয়ে থাকে। অনেক সময় মাথাব্যথা হতে পারে কোন জটিল রোগের লক্ষণ। তাই আপনাদের সকলকে সতর্ক করার জন্য আজকে এই পোস্টটি আমরা মাথা ব্যাথা কোন রোগের লক্ষণ এবং মাথা ব্যাথার ঔষধ সহ মাথা ব্যথা সংক্রান্ত আরো বিভিন্ন তথ্য জানবো


মাথা ব্যথা সংক্রান্ত বিভিন্ন ধরনের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য যেমন, মাথা ব্যাথা কোন রোগের লক্ষণ ,মাথা ব্যাথা হলে করণীয় ,ঘন ঘন মাথা ব্যাথার কারণ কি ,মাথা ভারী লাগার কারণ ইত্যাদি বিষয়ে সহ মাথাব্যথা সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য জানতে চান তাহলে অবশ্যই মনোযোগ সহকারে এই পোস্টটি শেষ পর্যন্ত পড়ুন। আশা করছি এ বিষয়গুলো জানা থাকলে আপনাকে আর মাথা ব্যথার যন্ত্রণায় কষ্ট পেতে হবেনা।

সূচিপত্রঃ মাথা ব্যাথা কোন রোগের লক্ষণ - মাথা ব্যাথার ঔষধ

মাথা ব্যথার কারণ

মাথা ব্যথা আমাদের সকলের মাঝে কমন একটি সমস্যা। প্রায় সময়  বিভিন্ন কারনে মাথা ব্যথার যন্ত্রণায় আমাদের ভোগান্তির শেষ হয় না। মাথা ব্যথাকে আমরা খুব একটা প্রাধান্য না দিয়ে কখনো ভাবি এটি হয়তো বা অতিরিক্ত গরমের কারণে অথবা ঠান্ডা লাগার কারণে হয়ে থাকে। কিন্তু আমরা কি মাথা ব্যথা কারণ সম্পর্কে সঠিকভাবে জানি ? আমাদের মধ্যে অধিকাংশ মানুষেরই হয়তো বা ধারণা নেই মাথা ব্যথার কারণ সম্পর্কে। কিন্তু মাথাব্যথা কে কখনো হালকা ভাবে দেখা উচিত না এর পেছনে থাকতে পারে গুরুতর কিছু কারণ। তাই এই পোষ্টের মাধ্যমে আমরা আজকে জানবো মাথা ব্যাথার কারণ সম্পর্কে।

মাথাব্যথা মূলত এক ধরনের স্নায়বিক সমস্যা। আমাদের মস্তিষ্ক বিভিন্ন ধরনের রক্তনালী এবং মাংসপেশি দ্বারা আবৃত থাকে, এই মাংসপেশি গুলো অথবা রক্তনালী গুলোর প্রদাহ , চোখের সাইনাস ইত্যাদি স্থানের প্রদাহ হলো মাথা ব্যথার কারণ। এছাড়াও মাথা ব্যথা হতে পারে মাইগ্রেনের কারণে , অতিরিক্ত দুশ্চিন্তার কারণে , অনেক সময় এলার্জির কারণেও মাথাব্যথা হয়ে থাকে। অনেক সময় অনিদ্রা এবং অতিরিক্ত ঘুমানোও হতে পারে মাথা ব্যথার কারণ। আবার অনেক সময় দীর্ঘক্ষণ না খেয়ে থাকার কারণেও মাথা ব্যথা হতে দেখা যায়। এ সকল সাধারন কারণ ছাড়াও আরো বেশ কিছু জটিল কারণে হতে পারে মাথা ব্যথার সমস্যা যেমন,

  • সাইনোসাইটিস
  • মস্তিষ্কের প্রবাহ বা মস্তিষ্কে রক্ত জমাট বাধার কারণে
  • রক্তের শিরা ছিঁড়ে গেলে বা কেটে গেলে
  • হাই ব্লাড প্রেসারের কারণ
  • শরীরের পানি শূন্যতার কারনে
  • দাঁতের সমস্যার কারণে
  • স্ট্রোক অথবা মাথায় টিউমারের কারণে

মাথা ব্যাথা কোন রোগের লক্ষণ

এবার আমরা জানবো মাথা ব্যাথা কোন রোগের লক্ষণ এই বিষয়টি। মাথা ব্যাথা সাধারণত দুই ধরণের হয়ে থাকে ,যথা- প্রাথমিক মাথাব্যাথা ও সেকেন্ডারি মাথাব্যাথা। প্রাথমিক মাথাব্যাথা সেরকম জটিল না হলেও ,  সেকেন্ডারি মাথা ব্যাথা থেকে হতে পারে জটিল সমস্যা তাই, আমাদের জেনে রাখা উচিত মাথা ব্যাথা কোন রোগের লক্ষণ হিসেবে প্রকাশ পেতে পারে। আর মাথা ব্যাথা কোন রোগের লক্ষণ এ বিষয়ে জানা থাকলে আমরা সময়মত ব্যাবস্থা নিতে পারবো। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক সেকেন্ডারি মাথা ব্যাথা কোন রোগের লক্ষণ হিসেবে প্রকাশ পেতে পারে।

  • মাইগ্রেন
  • সাইনোসাইটিস
  • স্নায়ুতন্ত্রের সমস্যা
  • মস্তিষ্কের প্রদাহ
  • মস্তিষ্কের রক্তক্ষরণ
  • ব্রেন টিউমার
  • উচ্চ রক্তচাপ
  • ডায়াবেটিস
  • হার্টের সমস্যা

যদি তীব্র মাথায় দেখার সাথে বমি ভাব , জ্বর, চোখে ঝাপসা দেখা , ঘাড় শক্ত হয়ে যাওয়া , শরীরে র‍্যাশ বা চুলকানি হওয়া ইত্যাদি উপসর্গ গুলো প্রকাশ পায় তাহলে অবশ্যই এ ধরনের মাথা ব্যথা কেউ অবহেলা না করে দ্রুত ডাক্তারের শরণাপন্ন হওয়া দরকার , কারণ মাথা ব্যাথার সাথে এই ধরনের উপসর্গগুলো প্রকাশ পাওয়া যায় জটিল কোন রোগের লক্ষণ হিসেবে ধরা হয়।

মাথা ব্যাথা হলে করণীয়

প্রাইমারি বা সেকেন্ডারি যে কারণেই মাথা ব্যাথা হোক না কেন আমাদের যদি মাথা ব্যাথা কমানোর উপায় জানা থাকে তাহলে,খুব সহযেই মাথা ব্যাথা থেকে মুক্তি পেতে পারবো। অনেকেরই হয়তো মাথা ব্যাথা থেকে মুক্তির উপায় বা মাথা ব্যাথা হলে করণীয় কি সেই বিষয়ে।তাই আজ আমরা জেনে নেব মাথা ব্যাথা হলে করণীয় কি সেই বিষয়ে বিস্তারিত।

পানি পান করাঃ অনেক সময় শরীরে পানি শূন্যতা বা ডিহাইড্রেশন এর কারণে মাথাব্যথা হয়ে থাকে। যদি ডিহাইড্রেশনের কারণে মাথাব্যথা হয়ে থাকে তাহলে ঘন ঘন পানি পানের চেষ্টা করুন এতে আপনার শরীরে পানি শূন্যতা পূরণ হবে এবং ধীরে ধীরে মাথা ব্যথা দূর হবে। পানির বদলে বারবার তরল খাবার অথবা খুব জাতীয় খাবারও খেতে পারেন।

আদার রসঃ আদার ভেতরে রয়েছে অ্যাান্টিইফ্লামেটরি উপাদান, তাই আদা যেকোন ধরনের প্রদাহ বা ব্যাথা দূর করতে খুবই। এই কারনে দ্রুত মাথা ব্যথা কমাতে খেতে পারেন আদার রস অথবা আদা কুচি করে মধুর সাথে মিশিয়ে চিবিয়েও খেতে পারেন। কোন কারণে মাথা ব্যথা হলে আদাএবং লেবুর রস পানির সাথে মিশিয়ে কয়েকবার খেলে তার রিল্যাক্স বোধ হয়। এছাড়াও মাথা ব্যথা দূর করতে খেতে পারেন আদা চা।

কফি ও চা পানঃ মাথা ব্যথা কমাতে খেতে পারেন লবঙ্গ বা আদা দিয়ে বানানো চা অথবা কফি। কারণ চা বা কফির ভেতরে রয়েছে ক্যাফেইন নামক উপাদান যা মাথা ব্যথা কমাতে বিশেষ কার্যকরী ভূমিকা পালন করে থাকে। এই কারণে মাথা ব্যাথা হলে চা অথবা কফি খেলে দ্রুত মাথা ব্যথা কমানোর ক্ষেত্রে কার্যকরী ফল পাওয়া যায়।

পুদিনা পাতাঃ মাথা ব্যথা কমাতে খেতে পারেন পুদিনা পাতার রস অথবা কয়েকটি পুদিনা পাতা ভালোভাবে ধুয়ে চিবিয়ে খেতে পারে না এতে মাথা ব্যথা থেকে অনেকটাই মুক্তি মিলবে। এছাড়াও মাথাব্যথা সারাতে পুদিনা পাতার চা বানিয়ে খেলে ভীষণ ভালো উপকার পাওয়া যায়। শুধু পুদিনা পাতার রস খেলেই নয় মাথা ব্যথার সময় পুদিনা পাতা বেটে কপালে লাগিয়ে রাখলেও অনেক উপকার পাওয়া যায়।

মাথা বা কপাল মাসাজ করুনঃ নায়বিক কারণে অথবা সাইনাসের কারণে যদি মাথা ব্যথা হয়ে থাকে তাহলে মাথাতে এবং কপালে ম্যাসাজ করুন। মাসাজ করলে রক্তের শিরা গুলো প্রসারিত হয় এবং যার ফলে মাথাব্যথা থেকে অনেকটা আরাম পাওয়া যায়।

আইস ব্যাগঃ মাথা ব্যথা অসহ্য যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেতে ব্যবহার করতে পারেন আইস ব্যাগ। যদি মাইগ্রেনের কারণে মাথাব্যথা হয়ে থাকে তাহলে আইস ব্যাগের ভেতরে ঠান্ডা পানি অথবা বরফ কুঁচি ঢুকিয়ে মাথাতে , কপালে এবং ঘাড়ে কিছুক্ষণ পরে ধরে রাখুন এতে মাথা ব্যথার যন্ত্রণা থেকে অনেকটা রেহাই মিলবে।

দুশ্চিন্তা মুক্ত থাকেঃ দুশ্চিন্তা বা মানসিক চাপ থেকেও মাথা ব্যথা হতে পারে এই কারণে দুশ্চিন্তা মুক্ত থাকার চেষ্টা করি। মাথা ব্যথার সময় যদি আপনি দুশ্চিন্তাগ্রস্থ থাকেন তাহলে এর কারণে মাথার যন্ত্রণা আরো বেড়ে যেতে পারে তাই মাথা ব্যাথা হলে দুশ্চিন্তা মুক্ত থাকার চেষ্টা করুন।

শান্ত পরিবেশে থাকুনঃ অতিরিক্ত আলো অথবা অতিরিক্ত শব্দ মাথা ব্যথার কারণ হতে পারে অথবা মাথা ব্যথা বাড়িয়ে দিতে পারে। এই কারণে মাথাব্যথা থাকলে শব্দ মুক্ত এবং অন্ধকার ঘরে বিশ্রাম করার চেষ্টা করি এতে আপনার মাথা ব্যথা কম করতে অনেকটা সাহায্য করবে। 

এছাড়াও মাথা ব্যথা হলে ঘরের আলো নিভিয়ে রাখুন এবং ইলেকট্রিক ডিভাইস গুলো থেকে দূরে থাকুন আর যদি ক্লান্তির কারণে মাথা ব্যথা হয়ে থাকে তাহলে পর্যাপ্ত ঘুমের ব্যবস্থা করুন । মাথা ব্যথা অবস্থায় রোদে গেলে অবশ্যই সানগ্লাস ব্যবহার করুন। এতে আপনার মাথা ব্যাথা থেকে অনেকটা রেহাই পাবেন বলে আশা করা যায়।

ঘন ঘন মাথা ব্যাথার কারণ কি

অনেক মানুষই রয়েছে যারা ঘন ঘন মাথা ব্যথার সমস্যার ভুলে থাকেন। তারা আসলে সঠিকভাবে জানেনই না তাদের এই ঘন ঘন মাথা ব্যাথার কারণ কি। আর এই কারণে আজকে আমরা আলোচনা এই বিষয়টি নিয়ে। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক ঘন ঘন মাথা ব্যাথার কারণ কি এই বিষয়টি। ঘন ঘন মাথা ব্যথা হতে পারে,

দুশ্চিন্তা বা মানসিক চাপের কারণেঃ দুশ্চিন্তা এবং মানসিক চাপ আমাদের জীবনের অবিচ্ছেদ্য একটা অংশ। বিভিন্ন কারণে অনেক সময় আমাদেরকে মানসিক চাপের ভেতরে অথবা দুশ্চিন্তাগ্রস্ত ভাবে জীবন কাটাতে হয় আর এই মানসিক চাপ বা দুশ্চিন্তা হলো ঘন ঘন মাথা ব্যথা হওয়ার অন্যতম কারণ।

অনিয়মিত খাবার খাওয়ার কারণেঃ নিয়মিত খাবার খাওয়ার অভ্যাস না থাকার কারণে হতে পারে মাথাব্যথা। অনেকেই দীর্ঘক্ষণ খাবার না খেয়ে কাটিয়ে দেয় , আর দীর্ঘক্ষণ খালি পেটে থাকার কারণে হতে পারে মাথা ব্যথা।

শব্দ দূষণের ফলেঃ অতিরিক্ত শব্দের ভেতরে থাকলে অথবা হাই ভলিউম এ কম্পিউটার , ল্যাপটপ চালালে এবং গান বা গজল শুনলেও হতে পারে ঘন ঘন মাথাব্যথার অন্যতম কারণ।

চোখের রোগের কারণেঃ আপনার চোখের রোগ থেকে থাকে তাহলে সেখান থেকেও ঘন ঘন মাথা ব্যথার সমস্যা হতে পারে। চোখের স্নায়ুতে প্রদাহ , মায়োপিয়া , চোখের শুষ্কতা ইত্যাদি সমস্যার কারণে ঘন ঘন মাথা ব্যথার সমস্যা দেখা দিতে পারে।

দাঁতের সমস্যার কারণেঃ আপনি যদি দাঁতের ক্ষয় বা দাঁতের অন্য কোন সমস্যাই আক্রান্ত হয়ে থাকেন তাহলে দাঁতের সমস্যাগুলোর কারনে হতে পারে ঘন ঘন মাথা ব্যথা।

উত্তেজক খাবার গ্রহণের ফলেঃ বিভিন্ন ধরনের উত্তেজক খাবার গুলো ঘটাতে পারে ঘন ঘন মাথা ব্যথা। আপনি যদি বিভিন্ন ধরনের উত্তেজক খাবারগুলোতে অভ্যস্ত হন তাহলে অতিরিক্ত উত্তেজক খাবার গ্রহণের ফলে হতে পারে মাথা ব্যথা। খাবার গুলোর মধ্যে রয়েছে চা , কফি , অ্যালকোহল ইত্যাদি এগুলো বেশি বেশি খাওয়ার অভ্যাস থাকলে ঘন ঘন মাথা ব্যথার সমস্যা দেখা দিতে পারে।

অতিরিক্ত ইলেকট্রিক ডিভাইস ব্যবহারের ফলেঃ বর্তমানে আমাদের প্রযুক্তি নির্ভর জীবনযাত্রা ঘন ঘন মাথা ব্যথার অন্যতম আরেকটি কারণ। দিনের অধিকাংশ সময়ে আমাদেরকে বিভিন্ন ধরনের ইলেকট্রিক ডিভাইস যেমন -কম্পিউটার , ল্যাপটপ , স্মার্টফোন ইত্যাদির মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের কার্যক্রম সম্পন্ন করতে হয়, আর যার কারণে দীর্ঘক্ষণ ব্যবহার করতে হয় এই সকল ইলেকট্রিক ডিভাইস। এই ইলেকট্রিক ডিভাইস গুলো হল ঘন ঘন মাথাব্যথা আরেকটি অন্যতম কারণ।

উচ্চ রক্তচাপের কারণঃ যারা উচ্চ রক্তচাপের রোগী রয়েছেন তাদের ক্ষেত্রে রক্তের উচ্চচাপের কারণে ঘন ঘন মাথা ব্যথা হতে পারে।

উপরের এই উল্লেখযোগ্য কারণগুলো ছাড়াও অনিয়ম তান্ত্রিক ঘুম , অতিরিক্ত পরিশ্রম , সর্দি কাশি , কোষ্ঠকাঠিন্য , এসিডিটির সমস্যা থেকে ঘন ঘন মাথা ব্যথার সমস্যা হতে পারে। এছাড়াও অতিরিক্ত গরম , অতিরিক্ত শীত অথবা এলার্জির কারণেও ঘন ঘন মাথা ব্যথা হওয়ার প্রবণতা দেখা যায়।

মাথা ভারী লাগার কারণ

আমাদের মাঝে মাঝেই মাথা ভারী লাগার অনুভূতি আসে। কিন্তু মাথা ভারী লাগার কারণ কি , এই বিষয়টি নিয়ে আমরা কি কখনো ভেবেছি। আপনি যদি না জেনে থাকেন অথবা জানতে চান মাথা ভারী লাগার কারণ সম্পর্কে তাহলে পোস্টের এই অংশটি এখনই করুন এবং জেনে নিন মাথা ভারি লাগার কারণ কি এই বিষয়টি। অধিকাংশ সময়ে আমরা কোন না কোন কারণে দুশ্চিন্তাগ্রস্ত বা মানসিক চাপে থাকে মাথা ভারী হওয়ার একটি উল্লেখযোগ্য কারণ হলো মাথা ভারী হওয়া। এছাড়াও বিভিন্ন ওষুধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া , হঠাৎ গরম বা শীতের অনুভূতি আসা , অতিরিক্ত ঘুম এবং অনিদ্রা , অতিরিক্ত শারীরিক পরিশ্রম ইত্যাদির মাথা ভারী লাগার মূল কারণ। আশা করছি মাথা ভারী লাগে কেন বিষয়টি বুঝতে পেরেছেন।

মাথা ব্যাথার ঔষধ 

অনেক সময় মাথাব্যথার অসহ্য যন্ত্রণায় অত্যন্ত কষ্ট পেতে হয় আর সেই সময় দ্রুত মাথা ব্যথা কমানোর জন্য আমাদের প্রয়োজন পড়ে মাথা ব্যথা কমানোর ঔষধ গুলো। মাথা ব্যথাকে হালকাভাবে না নিয়ে অবশ্যই প্রথমে ডাক্তারি পরামর্শ গ্রহণ করা উচিত এবং ডাক্তারি পরামর্শ মোতাবেক বিভিন্ন ঔষধ সেবন করা উচিত । শুধু মাথাব্যথা নয় শারীরিক অন্য যে কোন জটিলতায় অনভিজ্ঞ বা নিজে নিজে কোন ওষুধ না খেয়ে যে কোন রেজিস্টার ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে তারপরে ঔষধ সেবন করা উচিত। তারপরেও যারা মাথা ব্যাথার ঔষধ গুলোর নাম জানতে চান তাদেরকে আজকে এই পোস্টের মাধ্যমে মাথাব্যথা বেশ কিছু ওষুধের নাম জানা। আপনিও যদি মাথা ব্যাথার ঔষধ গুলোর নাম জানতে চান তাহলে এই পোস্টের মাধ্যমে অবশ্যই মাথা ব্যাথার ঔষধ গুলোর নাম এখনই জেনে নিতে পারেন। মাথা ব্যাথার ঔষধ গুলো হলো,

  • Tb. Tufnil 200mg
  • Tb. Rolac 200mg
  • Tb. Tolcid 200mg
  • Tb. Tofe 200mg
  • Tb. Tofratol 200mg
  • Tb. migratol 200mg
  • Tb . Achinl 200mg
  • Tb. Uffex 200mg
  • Tb. Arain 200mg
  • Tb. Minop 200mg
  • Tb.Tufmex 200mg
  • Tb .Anixil 200mg

মাথা ব্যাথা কমানোর দোয়া

কুরআনুল কারীমের আয়াতের মাধ্যমে আমরা মাথা ব্যথা দূর করতে পারি। কোরআনের এই আয়াতটি আমরা মাথা ব্যাথা কমানোর দোয়া হিসেবে ব্যবহার করতে পারি এবং বিশ্বাস ভরে যদি এটি আমরা আমল করি তবে অবশ্যই আল্লাহ পাক এতে আমাদেরকে মাথাব্যথা থেকে সেফা দান করবেন। তাহলে চলুন এবার আমরা মাথা ব্যাথা কমানোর দোয়া জেনে নিন। পবিত্র গ্রন্থ আল-কুরআনের ফজিলত পূর্ণ সূরা ওয়াকিয়ার 19 নম্বর আয়াতটি আমরা মাথাব্যথা কমানোর দোয়া হিসেবে ব্যবহার করতে পারি , এই আয়াতটি হল, 'লা- ইউসাদ্দাউনা আনহা ওয়া লা ইয়ুংযিফুন '। মাথা ব্যথা হলে মাথায় হাত রেখে তিনবার এই দোয়াটি পাঠ করলে ইনশাল্লাহ এর মাধ্যমে আল্লাহ পাক মাথা ব্যথা দূর করে দেবেন।

মন্তব্য , আলোচনার মাধ্যমে এতক্ষণে নিশ্চয়ই আপনারা মাথাব্যথা সম্পর্কিত বিভিন্ন তথ্য এবং মাথা ব্যাথার ঔষধ সম্পর্কে ভালোভাবে জেনে নিয়েছেন। আপনাদের সতর্কতার জন্য আরো একবার আপনাদেরকে জানিয়ে দেওয়ার প্রয়োজন মনে করছি যে , শুধু মাথাব্যথা নয় যেকোনো সমস্যাই অনভিজ্ঞ বা নিজে নিজে কোন ঔষধ না খেয়ে অবশ্যই ডাক্তারি পরামর্শ মোতাবেক ঔষধ সেবন করুন করুন না হলে বিভিন্ন ক্ষেত্রে হিতে বিপরীত হতে পারে , আশা করছি বিষয়টি খেয়াল রাখবেন।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url