এশার নামাজ কয় রাকাত - এশার নামাজের নিয়ম

এশার নামাজ পড়া আমাদের ওপরে ফরজ তাই আমাদেরকে সঠিকভাবে এশার নামাজের নিয়ম সম্পর্কে জেনে নিতে হবে ।আজকের এই পোস্টটিতে আলোচনা করা হবে এশার নামাজ কয় রাকাত , এশার নামাজের নিয়ত সহ এশার নামাজ সম্পর্কিত হাদিস। এই পোষ্টটি পড়লে আপনারা জানতে এবং উঠতে পারবেন এশার নামাজের ফজিলত বা মর্যাদা কত বেশি। মর্যাদা পূর্ণ হওয়ার কারণে আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (সা) এশার নামাজ পড়ার জন্য তাগিদ দিয়েছে।


আপনি যদি সঠিকভাবে এশার নামাজের নিয়ম , এশার নামাজ কয় রাকাত , এশার নামাজের নিয়ত এবং এশার নামাজের ফজিলত সম্পর্কে না জেনে থাকেন তাহলে অবশ্যই দেরি না করে এশার নামাজ সম্পর্কে এই সকল তথ্যগুলো সঠিকভাবে জেনে নিন। আজকের এই পোস্টটির মাধ্যমে আপনি এশার নামাজ পড়ার নিয়ম সম্পর্কে সঠিক তথ্যগুলো পেয়ে যাবেন ।তাই নামাজ পড়ার জন্য মনোযোগ সহকারে শেষ পর্যন্ত পড়ুন এবং এশার নামাজের নিয়ম কানুন গুলো জেনে নিন।

সূচিপত্র ঃ এশার নামাজ কয় রাকাত - এশার নামাজের নিয়ম

এশার নামাজের ইতিহাস

এশার নামাজ কয় রাকাত , এশার নামাজের ফজিলত জানার পূর্বে আমরা জেনে নেব এশার নামাজের ইতিহাস সম্পর্কে।একজন মুসলমান হিসেবে আমাদের জানা দরকার নামাজের ইতিহাস সম্পর্কে।আজ যেহেতু আমরা এশার নামাজ নিয়ে আলোচনা করছি ,তাই আমরা এখুন জানবো এশার নামাজের ইতিহাস এবং কোন নবী এ নামাজ পড়ে ছিলেন।সর্বপ্রথম হযরত মূসা (আ) এ নামাজ পড়েছিলেন। হযরত মুসা (আ) যখন -কিভাবে নীলনদ পার করবেন , ইসরাইলগণকে কিভাবে নীলনদ পার করিয়ে তীরে নিয়ে যাবেন , ফেরাউনের হাত থেকে কিভাবে মুক্তি পাবেন এবং ফেরাউনের বাহিনীকে কিভাবে ধ্বংস করবেন এসব নিয়ে চিন্তিত ছিলেন, তখন আল্লাহপাক তার অশেষ করুণায় এই সব চিন্তা এবং বিপদ থেকে মুক্তির পথ বের করে দেওয়ায় , আল্লাহর শুকরিয়া স্বরূপ সর্বপ্রথম মূসা (আ) এশার চার রাকাত নামাজ আদায় করেন। এবং আল্লাহ পাক এই নামাজ পরবর্তীতে উম্মতে মুহাম্মদীর উপরে ফরজ উপরে দেন।

এশার নামাজের ফজিলত

আজকে আমরা জানবো এশার নামাজের ফজিলত সম্পর্কে। হাদিস থেকে জানতে পারা যায় এশার নামাজের গুরুত্ব এবং ফজিলত অনেক বেশি আর এই কারণে নবীজি এশার নামাজের উপরে জোর তাগিদ দিয়েছেন। এমনকি হাদিসে বলা আছে , মুনাফিকদের মধ্যে এশার নামাজের ও ফজরের নামাজের গাফিলতি দেখা যাবে। অর্থাৎ এশা এবং ফজরের নামাজ না পড়া মুনাফিকের একটি লক্ষণ। হাদিস থেকে আরও জানতে পারা যায় যে , নবীজি বলেছেন-যে ব্যক্তি জামাত সহকারে এশার নামাজ পড়ল , সে অর্ধেক রাত্রি ইবাদতের সওয়াব পেল (মুসলিম শরীফ হাদিস;১৩৭৭)। 

আরো পড়ুনঃ ফরজ গোসলের সঠিক নিয়ম

মুসলিম শরীফের আরেকটি হাদিস থেকে জানতে পারা যায় যে , নবীজি বলেছেন - যারা এশার নামাজ পড়ে না তারা যদি এই নামাজের ফজিলত জানতো তাহলে হামাগুড়ি দিয়ে হলেও এই নামাজে অংশগ্রহণ করত। বিভিন্ন কেতাব গ্রন্থ থেকে উল্লেখ পাওয়া যায় যে এশার নামাজ মনোযোগ সহকারে পড়লে -মৃত্যুর কষ্ট ,কবরের আজাব, দোযখের আযাব থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। আমাদের প্রিয় নবী (সা) এর হাদিস গুলো থেকেই বুঝতে পারা যায় যে এশার নামাজের ফজিলত কত বেশি।

এশার নামাজ কয় রাকাত

এশার নামাজ পড়ার আগে আমাদেরকে ভালোভাবে জেনে নিতে হবে এশার নামাজ কয় রাকাত এই বিষয়টি। কারণ বিভিন্ন সময় , বিভিন্ন জনের মধ্যে এশার নামাজের রাকাত সংখ্যা নিয়ে মতবিরোধ দেখা যায়। তাই আমাদের সকলেরই ভালোভাবে জেনে নেওয়া উচিত এশার নামাজ কয় রাকাত। তাই চলুন আজকে আমরা ভালোভাবে জেনে নেই এশার নামাজ কয় রাকাত পড়তে হয়। এশার নামাজ মোট ১২ রাকাত। বিতর নামাজ সহকারে গণনা করিলে এশার নামাজ ১৫ রাকাত । বিতরের নামাজ যদিও আলাদা তারপরেও যেহেতু এশার নামাজের পরপরই বিতর নামাজ পড়া হয় এই কারণে, এশার নামাজের সাথে একে গননা করা হয়। বিতরসহ এসার ১৫ রাকাত মধ্যে,

  • প্রথম ৪ রাকাত নামাজ - সুন্নতে গায়রে মুয়াক্কাদা
  • তারপর ৪ রাকাত নামাজ - ফরজ
  • এরপর ২ রাকাত নামাজ - সুন্নতে মুয়াক্কাদা
  • এরপর আবার ২ রাকাত নামাজ - নফল
  • সবশেষে ৩ রাকাত বিতর নামাজ - ওয়াজিব

তবে এশার নামাজ মোট ১৫ রাকাত হলেও , অনেকে প্রথম চার রাকাত সুন্নাতে গায়রে মুয়াক্কাদা নামাজ এবং পরের দুই রাকাত নফল নামাজ বাদ দিয়ে শুধু চার রাকাত ফরজ , দুই রাকাত সুন্নত এবং তিন রাকাত বিতর নামাজ পড়েন , যদিও অশেষ সব লাভের ক্ষেত্রে এই নামাজগুলো কখনো ছেড়ে দেওয়া উচিত নয়। আবার অনেকে এশার নামাজ চার রাকাত সুন্নতে গায়েরে মুয়াক্কাদা , চার রাকাত ফরজ , দুই রাকাত সুন্নত ও তিন রাকাত বিতের নামাজ পড়েন।

এশার নামাজের নিয়ত

আমরা এতক্ষন এশার নামাজের রাকাত সম্পর্কে জানলাম,এশার নামাজ পড়ার জন্য এবার আমাদের  জানতে হবে এশার নামাজের নিয়ত গুলো। তাই এখন আমরা একে একে জানবো এশার সুন্নত , ফরজ , নকল এবং বিতর নামাজের নিয়ত এর বাংলা অর্থ গুলো। তাহলে চলুন এবার এশার নামাজের নিয়ত গুলো জেনে নেওয়া যাক।

এশার ৪ রাকাত সুন্নত নামাজের নিয়ত ঃ নাওয়াইতু আন্ উসাল্লিয়া লিল্লাহি তা’আলা আরবাআ রাকয়াতাই সালাতিল এশাই সুন্নাতু রাসূলিল্লা-হি তা’আলা মুতাওয়াজ্জিহান ইলা জিহাতিল কাবাতিশ শারীফাতি আল্লাহু আকবার।

অর্থঃ আমি কেবলামুখী হয়ে এশার ৪ রাকাত সুন্নত নামাজ পড়ার জন্য নিয়ত করলাম , আল্লাহু আকবার।

এশার ৪ রাকাত ফরজ নামাজের নিয়ত ঃ নাওয়াইতু আন্ উসাল্লিয়া লিল্লাহি তা’আলা আরবাআ রাকয়াতাই সালাতিল এশাই ফারদুল্লাহি তা’আলা মুতাওয়াজ্জিহান ইলা জিহাতিল কাবাতিশ শারীফাতি আল্লাহু আকবার।তবে অবশ্যই ইমামের পেছনে  “ফারদুল্লাহি তা’য়ালা” বলার পরে “ইকতাদাইতু বিহা-যাল ইমাম” পড়বেন।

অর্থঃ আমি কেবলামুখী হয়ে এশার ৪ রাকাত ফরজ নামাজ পড়ার জন্য নিয়ত করলাম , আল্লাহু আকবার।

আরো পড়ুনঃ ফরজ গোসল না করার শাস্তি

এশার ২ রাকাত সুন্নত নামাজের নিয়ত ঃ “নাওয়াইতু আন্ উসাল্লিয়া লিল্লাহি তা’আলা রাকয়াতি সালাতিল এশাই সুন্নাতু রাসূলিল্লা-হি তা’আলা মুতাওয়াজ্জিহান ইলা জিহাতিল কা’বাতিশ শারীফাতি আল্লাহু আকবার।

অর্থঃ আমি কেবলামুখী হয়ে এশার ২ রাকাত সুন্নত নামাজ পড়ার জন্য নিয়ত করলাম , আল্লাহু আকবার।

এরশাদ ২ রাকাত নফল নামাজের নিয়ত ঃ নাওয়াইতু আন্ উসাল্লিয়া লিল্লাহি তা’আলা রাকয়াতি সালাতিল নফলে মুতাওয়াজ্জিহান ইলা জিহাতিল কা’বাতিশ শারীফাতি আল্লাহু আকবার।
অর্থঃ আমি কেবলামুখী হয়ে এশার ২ রাকাত নফল নামাজ পড়ার জন্য নিয়ত করলাম , আল্লাহু আকবার।

এশার নামাজের নিয়ম

পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের মধ্যে এশার নামাজ অন্যতম। তাই এবার আমরা এশার নামাজের নিয়ম সম্পর্কে জান, কেননা সঠিকভাবে নামাজ পড়তে হলে অবশ্যই আমাদেরকে জানতে হবে এশার নামাজের নিয়ম সম্পর্কে। তাই যারা নামাজের নামাজের নিয়ম জানেন না , তাদের জন্য এখন এশার নামাজের নিয়ম বর্ণনা করা হবে। তাহলে চলুন চলুন সঠিকভাবে এশার নামাজের নিয়ম জেনে নেওয়া যাক। এশার নামাজ পড়ার জন্য সর্বপ্রথমে সঠিকভাবে গোসল , তায়াম্মুম অথবা ওযুর মাধ্যমে পাক-পবিত্র অবস্থায় কিবলা মুখ হয়ে যায় নামাজে দাঁড়াতে হবে। এরপর প্রথমে , এশার চার রাকাত সুন্নত নামাজ আদায় করতে হবে, হবে এরপর চার রাকাত ফরজ , দুই রাকাত সুন্নত এবং দুই রাকাত নফল নামাজ আদায় করতে হবে।

এশার চার রাকাত সুন্নত নামাজের নিয়মঃ সঠিকভাবে পবিত্র হয়ে জায়নামাজে দাঁড়িয়ে সর্বপ্রথমে চার রাকাত সুন্নত নামাজের নিয়ত করে তাকবীরে তাহরীমা অর্থাৎ আল্লাহু আকবার বলে -পুরুষ হলে দুই হাত কানের লতি পর্যন্ত উঠিয়ে এবং মহিলা হলে কাঁধ পর্যন্ত উঠিয়ে এরপর পুরুষেরা নাভির ওপরে বাম হাতের উপরে ডান হাত রাখবে , এবং মহিলারা বুকের ওপরে বাম হাতের উপরে ডান হাত বাধবে। এরপর সানা , সুরা ফাতিহা এবং অন্য একটি সূরা অথবা কোরআনের অন্ততপক্ষে তিন আয়াত পাঠ করে রুকুতে যাবে। এরপর রুকু তাসবিহ পড়তে হবে , রুকুর তাসবিহ পড়া হয়ে গেলে, সোজা হতে হতে বলতে হবে-'সামি আল্লাহু লিমান হামিদা' সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে -'রাব্বানা লাকাল হামহ' বলার পরে 'আল্লাহু আকবার' বলে সেজদায় যেতে হবে।সেজদায় গিয়ে তাসবিহ পড়তে হবে, এরপর মাথা তুলে দুই সেজদার মাঝখানে দোয়া পড়ে আবার সেজদায় গিয়ে তাসবীহ পড়তে হবে।

এভাবে প্রথম রাকাত নামাজ শেষ হলে দ্বিতীয় রাকাতের জন্য উঠে দাঁড়িয়ে একই নিয়মে সূরা ফাতিহার পরে অন্য একটি সূরা অথবা কুরআনের কমপক্ষে তিন আয়াত পাঠ করে যথা নিয়মে রুকু সেজদা করতে হবে। এরপর দুইবার সেজদা করা হয়ে গেলে প্রথম বৈঠক করতে হবে। দুই রাকাত নামাজের পর প্রথম বৈঠকে আত্তাহিয়াতু পাঠ করে তৃতীয় রাকাতের জন্য উঠে দাঁড়াতে হবে। আবার একই নিয়মে পরবর্তী দুই রাকাত নামাজ পড়ে ,শেষ বৈঠকে বসে আত্তাহিয়াতু , দরুদ ,দোয়া মাসুরা পড়ার পরে প্রথমে ডান দিকে তারপরে বাম দিকে সালাম ফিরিয়ে এশার চার রাকাত সুন্নত নামাজ শেষ করতে হবে।

এশার চার রাকাত ফরজ নামাজের নিয়মঃ  এশার চার রাকাত ফরজ নামাজ পড়ার জন্য উপরে দেখানোর নিয়ম অনুযায়ী প্রথমে, সঠিকভাবে পবিত্র হয়ে চার রাকাত ফরজ নামাজের জন্য নিয়াত করতে হবে। এরপর সুন্নত নামাজ পড়ার সময় যেভাবে তাকবীরে তাহরিমা বাধার পরে ,সানা , সূরা ফাতিহা এবং অন্য সূরা অথবা কুরআনের তিন আয়াত করে যেভাবে চার রাকাত নামাজ শেষ করার নিয়ম বলা হয়েছিল ঠিক সেইভাবে , চার রাকাত ফরজ নামাজ আদায় করতে হবে তবে সুন্নত এবং ফরজ নামাজের পার্থক্য হলো , ফরজ নামাজের ক্ষেত্রে প্রথম বৈঠকের পরে তৃতীয় ও চতুর্থ রাকাতে শুধুমাত্র সূরা ফাতিহা পড়তে হবে এর সাথে অন্য কোন সূরা অথবা কুরআনের কোন আয়াত পড়তে হবে না। এরপর আবার যথা নিয়মে শেষ বৈঠক করার মাধ্যমে সালাম ফিরিয়ে চার রাকাত ফরজ নামাজ শেষ করতে হবে।

আরো পড়ুনঃ তায়াম্মুমের নিয়ম

এশার দুই রাকাত সুন্নত ও নফল নামাজের নিয়মঃ এশার দুই রাকাত সুন্নত নামাজ পড়ার জন্য, প্রথমে দুই রাকাত নামাজের নিয়ত করে তাকবীরে তাহরিমা বাঁধতে হবে এরপর সানা , সূরা ফাতিহা , অন্য কোন সূরা অথবা কুরআনের ৩ আয়াত পড়ার পরে যেতে হবে রুকু থেকে উঠে সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে আল্লাহু আকবার বলে সেজদায় যেতে হবে এবং প্রথম সেজদা ও দ্বিতীয় সেজদা করার পরে আবার একই নিয়মে উঠে দাঁড়িয়ে দ্বিতীয় রাকাতের জন্য সুরা কেরাত পড়ে রুকু ,সেজদা করতে হবে এবং আত্তাহিয়াতু , দরুদ , দোয়া মাসুরা পড়ার পরে ডানে এবং বামে সালাম ফিরিয়ে দুই রাকাত সুন্নত নামাজ পড়তে হবে। এবং এশার দুই রাকাত নফল নামাজও এই একই নিয়মে করতে হবে শুধু ২ রাকাত সুন্নত নামাজ পড়ার সময় সুন্নত নামাজের নিয়ত করতে হবে আজ নফল নামাজ পড়ার সময় দুই রাকাত নফল নামাজের নিয়ত করতে হবে। রাখবেন শুধুমাত্র প্রথম রাখার শুরুর সময় তাকবীরে তাহরিমার পরে 'সানা' পড়তে হবে পরের যাকাত গুলোতে শুধুমাত্র সূরা ফাতিহা এবং অন্য সূরা মিলিয়ে যথা নিয়মে নামাজ শেষ করতে হবে। আশা করছি এশার নামাজের নিয়ম বুঝতে পেরেছেন।

মন্তব্য, আশা করছি যদি আপনি এই পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ে থাকেন তাহলে এশার নামাজ সম্পর্কে আর কোন সংশয় বা মতবিরোধ নেই। এই পোষ্টের মাধ্যমে এতক্ষণে নিশ্চয়ই ভালোভাবে এশার নামাজের সকল নিয়ম কানুন সম্পর্কে ভালোভাবে জেনে নিয়েছেন। নিয়ে যদি এশার নামাজ সম্পর্কিত সকল তথ্য আপনার কোন ভাবে জানা হয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই নিয়মিত যথাযথ নিয়মে এশার নামাজ আদায় করুন এবং আপনার ওপরে অর্পিত ফরজ দায়িত্ব পালন করুন। আল্লাহপাক আমাদের সকলকে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের তৌফিক দান করুন (আমিন)।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন

comment url