মাইগ্রেনের ব্যথা কমানোর ১২টি উপায় - মাইগ্রেন ব্যথার লক্ষণ

সারাবিশ্বের বিপুল সংখ্যক মানুষের মাইগ্রেন এর সমস্যা রয়েছে এবং অগনিত মানুষ এই মাইগ্রেন এর যন্ত্রণায় কষ্টপেয়ে থাকেন।ইস্ট্রোজেন হরমোনের তারতম্যের কারণে,পুরুষদের তুলনায় নারীরাই মাইগ্রেনের সমস্যাই বেশি ভুগেন। মাইগ্রেনের ব্যথা থেকে মুক্তি পেতে জেনে রাখা উচিত মাইগ্রেনের ব্যথা কমানোর উপায়গুলো।আর তাই এ পোস্টে আজ আমরা জানবো মাইগ্রেনের ব্যথা কমানোর ১২টি  উপায়  এবং মাইগ্রেন ব্যথার লক্ষণ সম্পর্কে। 

আমরা মাথা ব্যথা হলেই সেটাকে মাইগ্রেইন বলি,কিন্তু সব মাথা ব্যথায় মাইগ্রেইন নয়।মাইগ্রেনে রয়েছে আলাদা কিছু বৈশিষ্ট বা লক্ষণ।মাইগ্রেনের ব্যথা কমানোর ১২টি  উপায় এবং মাইগ্রেন সম্পর্কিত বিভিন্ন তথ্য জানতে হলে এই পোস্টটি পড়ুন , কারন এ পোস্টে আলোচনা করা হবে মাইগ্রেনের ব্যথা কমানোর ১২টি  উপায় সহ আরো- মাইগ্রেন কি,মাইগ্রেন কেন হয়, মাইগ্রেন ব্যথার লক্ষণ ,মাইগ্রেন কি ভালো হয় ইত্যাদি বিষয়গুলো।চলুন তাহলে আর দেরী না করে জেনে নেয়া যাক মাইগ্রেনের ব্যথা কমানোর উপায় গুলো।

সূচিপত্রঃমাইগ্রেনের ব্যথা কমানোর ১২টি  উপায় - মাইগ্রেন ব্যথার লক্ষণ

মাইগ্রেন কি

গ্রিক শব্দ হেমিক্রানিয়া থেকে মাইগ্রেন শব্দের সৃষ্টি হয়েছে যার অর্থ হল ' মাথার একপাশে ব্যথা'। অনেক মানুষের শোনা যায় মাইগ্রেন প্রবলেম রয়েছে , মাইগ্রেন বলতে আমরা সাধারণভাবে মাথাব্যথা কে বুঝি , কিন্তু মাইগ্রেন কি আসলেই শুধু মাথাব্যথা? চলুন আজকে মাইগ্রেন কি এই বিষয়টি ভালোভাবে জেনে নেওয়া যাক। মাইগ্রেন এক ধরনের মাথাব্যথা হলেও এর পেছনে রয়েছে স্নায়বিক সমস্যা। অর্থাৎ মাইগ্রেন হলো এক ধরনের নিউরোলজিক্যাল প্রবলেম। সুতরাং বুঝতেই পারছেন মাইগ্রেনের কারনে মাথা ব্যথা হলেও এর পেছনে রয়েছে স্নায়বিক সমস্যা। মাইগ্রেনের সমস্যা তৈরি হওয়ার পরে এটি আস্তে আস্তে শরীরের রক্তের শিরা গুলোতে ছড়িয়ে পড়ে। মাইগ্রেনের বেশ কয়েকটি ধরনের রয়েছে, এক একজনের ক্ষেত্রে এক একটি বিষয়ে মাইগ্রেনের সমস্যা হতে দেখা যায় যেমন কারো শব্দে মাইগ্রেন সৃষ্টি হয় আবার কারো আলোতে। আবার অনেক সময় বিভিন্ন খাবার খেলেও মাইগ্রেনের সমস্যা হতে দেখা যায়।

মাইগ্রেন কেন হয়

আপনি কি জানেন মাইগ্রেন কেন হয় , আপনি যদি মাইগ্রেন কেন হয় বিষয়টি না জেনে থাকেন , তাহলে এবার জানুন ও মাইগ্রেন কেন হয়। সাধারণত মস্তিষ্কের স্নায়ুগুলো কোন কারনে আক্রান্ত হলে এর থেকে মাইগ্রেন অথবা তীব্র মাথা ব্যথার সৃষ্টি হয়। যদি কোন কারণ নেই মাথার হাড়ের ভেতরে সাইনোসাইটিস দেখা দেয় তাহলে সেখান থেকে তৈরি হতে পারে মায়ের জন্য। এছাড়াও আরো যে সকল কারণে মাইগ্রেনের সমস্যা সৃষ্টি হয় সেগুলো হল

  • দুশ্চিন্তা
  • অনিদ্রা বা ঘুম কম হওয়া
  • হরমোনাল সমস্যা
  • মাথায় টিউমার থাকলে
  • একটানা দীর্ঘক্ষণ ধরে ইলেকট্রিক ডিভাইস যেমন ল্যাপটপ , কম্পিউটার , স্মার্টফোন এগুলো ব্যবহারের কারণে
  • অতিরিক্ত আলো
  • অতিরিক্ত শব্দ
  • ডিহাইড্রেশন
  • বিশেষ কিছু খাবার খেলেও অনেকের মাইগ্রেনের সমস্যা হতে পারে

মাইগ্রেন ব্যথার লক্ষণ

মাথাব্যথার বিভিন্ন কারণ রয়েছে এবং বিভিন্ন ধরনের রয়েছে। সব ধরনের মাথা ব্যথায় কি মাইগ্রেন বা মাথা ব্যথা হলে কি সেটাকে আমরা মাইগ্রেন বলতে পারি। না সব ধরনের মাথা ব্যথা বা মাথাব্যথা হলেই সেটাকে মাইগ্রেন বলা যাবে না।মাইগ্রেনের আলাদা কিছু লক্ষণ রয়েছে। আপনি কি মাইগ্রেনের ব্যথার লক্ষণ গুলো জানেন , যদি না জেনে থাকেন তাহলে জেনে নিন মাইগ্রেন ব্যথার লক্ষণগুলো। মাইগ্রেন ব্যথার লক্ষণ হলো,

  • মাথা ব্যথা (এই ব্যথা সাধারণত কোন একটি পয়েন্ট থেকে শুরু হয়ে পুরো মাথায় ছড়িয়ে যায়)
  • বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই মাথার একপাশে ব্যথা হওয়া
  • মাইগ্রেনের মাথাব্যথায় চুল ধরে টানলে অনেক আরাম পাওয়া যায়
  • অনেক সময় মাথা ব্যথার সাথে মাথা ঘোরাও থাকে এবং বেশিরভাগ ক্ষেত্রে মাথার পেছন দিক থেকে এই ব্যথা হতে দেখা যায়।
  • বমি ভাব
  • চোখে ঝাপসা অথবা দৃষ্টি বিভ্রম হওয়া
  • চোখে ছোট ছোট আলো দেখতে পাওয়া অথবা চোখ হঠাৎ অন্ধকার হয়ে যাওয়া
  • মাইগ্রেনের সময় আলো এবং শব্দ সহ্য করতে না পারা
  • শরীর দুর্বল অথবা অবশ লাগা
মাইগ্রেনের ব্যথায় দৃষ্টির সমস্যা হলে সেটি যদি এক ঘন্টার বেশি ধরে চলতে থাকে তাহলে এটিকে মাইগ্রেনের সমস্যা বলা যাবে না এটি হতে পারে চোখের কোন সমস্যা, মাইগ্রেনের ব্যথা সাধারণত  ৩-৪ ঘন্টা থেকে শুরু করে প্রায় ৭২ ঘন্টা পর্যন্ত চলতে পারে

মাইগ্রেনের ব্যথা কমানোর উপায়

মাইগ্রেন থেকে প্রচন্ড রকম মাথা ব্যথার হয় এবং এই সময় সেই মাথা ব্যথা সহ্য করতে পারাটা ভীষণ কষ্টসাধ্য হয়ে দাঁড়ায়। আমাদের কর্মব্যস্ত জীবনে বিভিন্ন কারণে মাইগ্রেনের সমস্যা হতে পারে তবে এর মধ্যে বিশেষ উল্লেখযোগ্য কারণ গুলোর মধ্যে রয়েছে অতিরিক্ত স্ট্রেস এবং পর্যাপ্ত ঘুমের অভাব। মাইগ্রেনের যন্ত্রণাদায়ক কষ্টের কথা আমরা অনেকেই জানি বা উপলব্ধি করতে পারি। আর আজকে সেই যন্ত্রণাদায়ক পরিস্থিতি থেকে রেহাই পাওয়ার জন্য জানবো মাইগ্রেনের ব্যথা কমানোর উপায়। কিছু খাবার রয়েছে যে খাবার গুলো আপনার মাইগ্রেইনের ব্যথা কমানোর উপায় হয়ে কাজ করবে।তাহোলে চলুন এবার মাইগ্রেনের ব্যথা কমানোর উপায় গুলো জেনে নেয়া যাক।

আদা বা আদা চাঃ মাইগ্রেন ব্যথা কমাতে আদা অত্যন্ত কার্যকর। আদার ভেতরে অ্যান্টিইনফ্লামেটরি উপাদানের পাশাপাশি রয়েছে আরও অনেক ধরনের ঔষধি গুন এবং ব্যথা নাশক উপাদান,যা কিনা মাইগ্রেনের ব্যথা কমাতে কার্যকরি ভূমিকা পালন করে থাকে। এ কারণে মাইগ্রেনের ব্যথা কমাতে কাঁচা আদা চিবিয়ে খান অথবা আদা চা বানিয়ে বার বার খাওয়ার চেষ্টা করুন।

লবঙ্গ ঃ সর্দি ,কাশি এবং গলা ব্যথা কমাতে লবঙ্গের উপকারিতার কথা আমরা অনেকেই জানি , কিন্তু অনেকেই হয়তো জানি না যে লবঙ্গের মধ্যে থাকা উপাদান গুলো আমাদের মাইগ্রেনের মাথা ব্যথাও কমাতে সাহায্য করে। মাইগ্রেনের ব্যথা হলে লবঙ্গ দিয়ে চা বানিয়ে অথবা লবঙ্গ পাউডার হালকা গরম দুধ বা পানির সাথে মিশিয়ে খেতে পারেন খেতে আপনার মাইগ্রেনের ব্যথা অনেকটাই কম হবে।

পর্যাপ্ত পানি পান করাঃ মাইরেনের অন্যতম একটি কারণ হতে পারে ডিহাইড্রেশন। তাই শরীর থেকে ডিহাইড্রেশন দূর করার জন্য এবং মাইগ্রেনের ব্যথা কমানোর জন্য পর্যাপ্ত পানি পান করুন।

ফল এবং শাক সবজিঃ মাইগ্রেনের ব্যথা কমাতে বা মাইগ্রেন সমস্যা দূর করতে খাদ্য তালিকা টাটকা ফলের এবং প্রচুর পরিমাণে শাকসবজি যুক্ত করুন । কারণ , ফলের রস এবং শাকসবজিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ম্যাগনেসিয়াম আর এই উপাদানগুলো মাইগ্রেনের সমস্যা কমাতে ভীষণ কার্যকরী।

আরো পড়ুন ঃ কলা খাওয়ার উপকারিতা

কলাঃ আপনারা জানেন , মাইগ্রেনের ব্যথা কমাতে ম্যাগনেসিয়াম নামক খাদ্য উপাদানটি অত্যন্ত জরুরি। তাই মাইগ্রেনের ব্যথা কমাতে সাহায্য করে কলা, কারণ গলাতে রয়েছে প্রচুর পরিমানে ম্যাগনেসিয়াম। এছাড়াও কলার ভেতরে রয়েছে হাইপোগ্লাইসেমিয়া যে উপাদানটি মাইগ্রেনের ব্যথা সহ অন্য যেকোন ধরনের মাথা ব্যথা কমাতে সাহায্য করে।

মাশরুমঃ মাথাব্যথা কমাতে  শাক-সবজি, ফলের রস , কলা ইত্যাদি খাবার গুলো পাশাপাশি খেতে পারেন মাশরুম। কারণ মাশরুমের ভেতরে রয়েছে উচ্চমাত্রার রিবোফ্লাবিন, যা সাহায্য করতে পারি মাইগ্রেনের ব্যথা কমাতে।

গোলমরিচঃ মাইগ্রেনের ব্যথা থেকে মুক্তি দিবে গোলমরিচের । মাইগ্রেনের ব্যথা হলে গোলমরিচ গুড়া মধু ও হালকা কুসুম গরম পানির সাথে মিশিয়ে খেয়ে নিন । গোলমরিচের এই পানীয়টি আপনার মাইগ্রেনের মাথাটা দ্রুত কমাতে সাহায্য করবে।

বাদাম এবং ড্রাই ফ্রুটঃ ড্রাইভ ফুডস জাতীয় খাবার বিশেষ করে বাদাম এর মধ্যে রয়েছে থাকা উপাদান গুলো স্নায়ুবিক চাপ কমাতে সাহায্য করে , আর স্নায়ুবিক চাপ কমানোর প্রভাবে বাদাম মাইগ্রেনের ব্যথা কমাতে সাহায্য করে। এছাড়াও , বাদামের ভেতরে প্রচুর পরিমাণে ম্যাগনেসিয়াম রয়েছে এবং আমরা আগেও জেনেছি যে , ম্যাগনেসিয়াম মাইগ্রেনের ব্যথা কমাতে বিশেষ কার্যকরী।

আরো পড়ুন ঃ বাদাম খাওয়ার উপকিরিতা

ডার্ক চকলেটঃ আমাদের মধ্যে অনেকেরই ধারণা চকলেট মানেই হয়তো শরীরের জন্য ক্ষতিকর।কিন্তু কিন্তু অনেকেই হয়তো জানে না যে ডার্ক চকলেট স্মৃতিশক্তি বাড়ানোর পাশাপাশি মাইগ্রেনের ব্যথা কমাতেও সাহায্য করে।

ইয়োগা বা মেডিটেশনঃ মাইগ্রেনের ব্যথা কমানোর জন্য ইয়োগা করতে পারেন। কারণ মেডিটেশন বাইয়োগা আপনার স্নায়বিক চাপ , দুশ্চিন্তা এবং স্ট্রেস কমাতেকমাতে সাহায্য করে। তাই মাইগ্রেনের সমস্যা বা মাইগ্রেনের ব্যথা থেকে মুক্তি পেতে মেডিটেশন করুন।

ল্যাভেন্ডার অয়েলঃ লাফেন্ডার অয়েল এর মধ্যে রয়েছে এন্টি ইনফর্মেটরি উপাদান ,তাই এটি মাইগ্রেনের ব্যথা কমাতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। মাইগ্রেনের ব্যথা থেকে মুক্তি পেতে চাইলে , ব্যথার সময় ল্যাভেন্ডার অয়েল এর ঘ্রাণ গ্রহণ করলে অথবা কিছু সঙ্গে মিশিয়ে খেলে , এতে মাইগ্রেনের ব্যথা অনেকটা কম হয়।

আলো এড়িয়ে চলুনঃ অধিকাংশ ক্ষেত্রে দেখা যায় তীব্র আলোতে মাইগ্রেনের সমস্যা সৃষ্টি হয় এবং মাইগ্রেনের ব্যথা বেড়ে যায় । তাই মাইগ্রেনের ব্যথা কমাতে আলো থেকে দূরে থাকুন। এবং যাদের ইলেকট্রিক ডিভাইস গুলো ব্যবহারের কারণে অথবা এই যন্ত্র গুলো থেকে চোখের বা মাইগ্রেন সমস্যা হয় তারা অবশ্যই এই ডিভাইস গুলো ব্যবহারের সময় চশমা পরিধান করুন।

মাইগ্রেন কি ভালো হয়

মাইগ্রেন কি ভালো হয় এই উত্তরটি অনেকেই জানতে চান ,তাই আজকে আমরা জানার চেষ্টা করব, মাইগ্রেন কি ভালো হয় এর সঠিক উত্তর।অনেক সময় জেনেটিক কারনে হয়ে থাকে মাইগ্রেইন আর তাই মাইগ্রেন কখনো পুরোপুরি নিরাময় সম্ভব নয়। তবে ৪০-৪৫ বছরের পর থেকে স্বাভাবিক ভাবে এই সমস্যাটি কমতে থাকে। মাইগ্রেন পুরোপুরি নির্মূল বা ভালো না হলেও , নিয়ম তান্ত্রিক চলাফেরা ও খাওয়া দাওয়া , নিয়মিত ঘুমানো , পর্যাপ্ত পানি পান করা , মানসিক চাপমুক্ত থাকা সহ আরো যেসব কারনে  মাইগ্রেনের হয় সেই ধরনের কাজগুলো বর্জন করা বা এড়িয়ে চলার মাধ্যমে মাইগ্রেনের সমস্যা থেকে অনেকটা মুক্ত থাকা যায় বা মাইগ্রেনের ব্যথা নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়।

মাইগ্রনের ঔষধ

মাইগ্রেনের অসহ্য যন্ত্রণা থেকে মুক্তির জন্য এবার আমরা জানবো মাইগ্রনের ঔষধ এর নাম।মাইগ্রনের ঔষধ এর ঔষধের নাম গুলো জানা থাকলে এই ঔষধ গুলো সেবনের পূর্বে অব্যশই একবার একবার হলেও রেজিস্টার ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহন করে নেবেন।

  • Tb. migranil.0.5.mg./1.5mg.
  • Tb. Pezeo 0.5mg./1.5 mg.
  • Tb. Norium5 mg.10 mg 
  • Tb Tufnil200mg.
  • Tb. Tolcid200mg
মন্ত্যব্য,এই পোস্টে আপনাদের জন্য শেয়ার করা হয়েছে মাইগ্রেনের ব্যথা কমানোর ১২টি  উপায়। আশা করছি মাইগ্রেনের ব্যথা কমানোর উপায় এবং মাইগ্রেন ব্যথার লক্ষণ সম্পর্কে জানতে পেরে আপনি অনেক উপকৃত হয়েছেন।মাইগ্রেন প্রতিরোধ করতে অবশ্যয় নিয়মমত চলার চেষ্টা করুন এবং যে সকল বস্তু ও খাদ্যে মাইগ্রেইন এর ব্যথা সৃষ্টি হয় বা বৃদ্ধি পায় সে সকল জিনিসগুলো এড়িয়ে চলুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন

comment url