বাতের ব্যথার লক্ষণ - কি খেলে বাতের ব্যথা বাড়ে

বাতের রোগে আক্রান্ত রুগী আমাদের আশেপাশে অনেক রয়েছে , বিশেষ করে বয়স একটু বেশি হলে বাতের রোগ যেন আকঁড়ে ধরে। তবে শুধু বেশি বয়সী নয় অল্প বয়সেও এই রোগটি হতে পারে। বাত নামক এই রোগটি অতি সাধারণ হলে অত্যন্ত যন্ত্রণাদায়ক একটি রোগ। এই রোগে আক্রান্ত মানুষ অনেক থাকলেও অধিকাংশ মানুষের মধ্যেই বাত নামক এই রোগটি সম্পর্কে পর্যাপ্ত জ্ঞান নেই আর এই কারণেই অনেক সময় বাতের অসহ্য ব্যথায় কাতরাতে হয়।বাতের ব্যথা সম্পর্কে জানাতে আজকে আপনাদের সাথে আলোচনা করা হবে বাতের ব্যথার লক্ষণ ও কি খেলে বাতের ব্যথা বাড়ে এই বিষয়ে বিস্তারিত।

আজকের এই পোস্টটি সেসব রোগীদের জন্য যারা বাতের ব্যথায় আক্রান্ত এবং মাঝে মাঝেই বাতের ব্যথার কারণে যন্ত্রণা পোহাতে হয়। এই পোস্টটি পড়ার মাধ্যমে আপনি জানতে পারবেন বাতের ব্যথার লক্ষণ ও কি খেলে বাতের ব্যথা বাড়ে এই বিষয়ে দুটি ছাড়াও বাতের ব্যথা থেকে মুক্তির উপায় , দাঁতের ব্যথা কোথায় কোথায় হয় এবং বাতের ব্যথা কেন হয় এ সকল বিষয়গুলোও। বাতের ব্যথা থেকে রেহাই পাওয়ার জন্য অবশ্যই এই পোস্টটি সম্পন্ন মনোযোগ সহকারে পড়ুন পোষ্টের মাধ্যমে বাতের ব্যথা থেকে মুক্তির উপায় আপনি বিস্তারিতভাবে জানতে পারবেন এবং এই বিষয়গুলো পরবর্তীতে আপনার উপকারে আসতে পারে।

সূচিপত্রঃ বাতের ব্যথার লক্ষণ - কি খেলে বাতের ব্যথা বাড়ে

বাতের ব্যথা কেন হয় 

বাতের রোগী আমাদের আশেপাশে অনেক আছে ,কিন্তু আপনি জানেন কি বাতের ব্যথা কেন হয় ?অনেকেই হয়ত জানেন না বাতের ব্যথা কেন হয় ।আসলে আমাদের শরীরের বিভিন্ন জয়েন্টে যখন ইমিউন সিস্টেম অ্যাটাক করে ঠিক তখনই বাত নামক এই যন্ত্রণাদায়ক রোগের সৃষ্টি হয় ।বাতকে  রিউমাটয়েড আর্থাইটিস বা অটো ইমিউম রোগও বলা হয়। বিভিন্ন ধরনের মানুষ এই বাত নামক রোগে আক্রান্ত হতে পারে। সাধারণত আমাদের শরীরের অস্থিসন্ধি গুলোতে ইউরিক এসিড জমা হয়ে এই রোগের সৃষ্টি হয় , খাবারের মাধ্যমে অথবা অন্য কোন কারনে রক্তে যদি ইউরিক এসিডের পরিমাণ বেড়ে যায় বা জমা হতে থাকে তাহলে ইউরিক এসিডের পরিমাণ রক্তে বেড়ে গিয়ে বাতের ব্যথার সমস্যা সৃষ্টি হয় , এছাড়াও বাতের ব্যথা আরো যে সকল কারন গুলো কে দ্বায়ী করা হয় সে কারনগুলো হল-

  • কিডনির সমস্যা
  • ডায়াবেটিস
  • অতিরিক্ত শারীরিক ওজন
  • অ্যালকোহল পান করা
  • আঘাত লাগা
  • বার্ধক্য
  • বংশগত কারন
  • সিকল সেল এনিমিয়া নামক এক ধরনের স্বল্পতার কারণে বাতের ব্যথা হয়ে থাকে
  • অপুষ্টি
  • বেশ কিছু ঔষধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া এবং
  • ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণের কারণে বাত হয়ে থাকে

বাতের ব্যথার লক্ষণ

হাড়ের সন্ধি স্থলের যে কোন ব্যথা কি বাপের ব্যথা ? না , হাড়ের সংযোগের স্থলের যে কোন ব্যথায় বাতের ব্যথা নয়। বাপের ব্যাথার আলাদা কিছু লক্ষণ এবং উপসর্গ রয়েছে আজকে আপনাদের সেই বাতের ব্যথার লক্ষণ বা উপসর্গ গুলো জানাবো।যারা বাতের ব্যথার লক্ষণ গুলো জানেন না তারা এ বিষয়ে জেনে রাখতে পারেন। বাত রোগের লক্ষণগুলো হলো,

  • হাড়ের সংযোগস্থলে , নখে , গোড়ালিতে প্রচন্ড ব্যথা অনুভব হওয়া
  • ব্যথার সাথে হালকা জ্বর থাকা
  • আক্রান্ত স্থানের ব্যথা কমে যাওয়ার পরে সেই স্থান ফুলে থাকা
  • আক্রান্ত স্থানে প্রদাহ , স্থানটি গরম হয়ে থাকা অনেক সময় লাল হতে দেখা যায়
  • উঠাবসা -হাঁটাচলা বা কাজকর্ম করতে অসুবিধা হওয়া এবং ব্যথা বেড়ে যাওয়া

বাতের ব্যথা কোথায় কোথায় হয়

আপনাদের মধ্যে অনেকেই জানেন না বাতের ব্যথা কোথায় কোথায় হয় এবং অনেকেই মাঝে মাঝে জানতে চান বাতের ব্যথা কোথায় কোথায় হয় বা হতেপারে, তাই এখন আপনাদের সাথে এ বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করবো আলোচনা ।আপনাদের আগেই জানানো হয়েছে বা আপনারা জানেন অস্থিসন্ধি বা হাঁড়ের সংযোগস্থলে ইউরিক এসিড কিংবা ইমিউন সিস্টেম অ্যাটাক করার মাধ্যমে এই বাক নামক রোগটি হয়ে থাকে।বাত নামক এই দীর্ঘমেয়াদি রোগটি হাড়ের সংযোগস্থল ছাড়াও দেহের বিভিন্ন অঙ্গে হতে পারে তবে অস্থিসন্ধি তাদের ব্যথার প্রকম বেশি দেখা যায়। বাতের ব্যথা হতে পারে ,

  • কাঁধে
  • হাতের কব্জিতে
  • হাঁটুতে
  • হাত পায়ের আঙ্গুলে
  • পায়ের গোড়ালিতে
  • এছাড়াও শরীরের যে কোন সংযোগস্থলে বাতের ব্যথা হতে পারে

বাতের ব্যথা থেকে মুক্তির উপায়

বাতের ব্যথা হল একটি যন্ত্রণাদায়ক রোগ। বয়স্ক ব্যক্তিরা ছাড়াও মাছ বয়সী এবং অল্প বয়সী মানুষের মধ্যেও বাতের সমস্যা দেখা যায়। বাতের  অসহ্য যন্ত্রণা থেকে মুক্তির জন্য অনেকেই এর উপায় খুঁজে থাকেন। বাতের এই সমস্যা সমাধানের জন্য আজকে আপনাদেরকে বাতের ব্যথা থেকে মুক্তির উপায় সম্পর্কে বেশ কিছু ঘরোয়া টিপস জানাবো।বাতের ব্যথা থেকে মুক্তির উপায় হিসেবে এই টিপসগুলো আপনাদের উপকারে আসবে বলে আশা করা যায়। বাতের ব্যথা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য আপনাকে অবশ্যই বিশেষ নজর দিতে হবে লাইফ স্টাইল এবং খাদ্য তালিকার ওপর , এই বিষয়গুলো সঠিকভাবে অনুসরণের মাধ্যমে বাতের ব্যথা থেকে উপশম পাবেন বলে আশা করা যায়। তাহলে চলুন আর দেরি না করে বাতের ব্যথা থেকে মুক্তির উপায় গুলো জেনে নেওয়া যাক। বাতের ব্যথা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য

ঠান্ডা পানির সেঁকঃ বাতের ব্যথা থেকে মুক্তি পেতে হলে আইস ব্যাগ বা আইস কিউ ট্যাওয়েলে পেঁচিয়ে ব্যথায় স্থানে সেঁক দিতে পারেন। ঠান্ডা পানির সেঁক আপনার আক্রান্ত স্থানের প্রদাহ কমিয়ে ব্যথার উপশম দিতে অনেকটা সাহায্য করবে।

গরম পানির সেঁকঃ ঠান্ডা পানির মতন ব্যথা স্থানে  গরম পানির সেঁক দিলেও অনেক আরাম পাওয়া যায়।গরম পানি দিয়ে শরীরের বিভিন্ন সেঁক দিলে ,এই গরম পানির সেঁক গিরা গুলো শক্ত হতে দেয়না এবং বাতের ব্যথা কমাতে সাহায্য করে।

ব্যথাযুক্ত স্থানে মাসাজ করুনঃ মাসাজ আপনাকে বাতের ব্যথা থেকে উপশম দিতে অনেকটাই সাহায্য করতে পারে। ব্যথাযুক্ত স্থানে আলতো হাতে মাসাজ করুন ,মাসাজের ফলে শরীরে রক্ত এবং অক্সিজেন চলাচল বৃদ্ধি পাবে আর পাশাপাশি বাতের ব্যথা কম হতে মাসাজ অনেকটা আরাম দেবে।

বিশ্রাম করাঃ বাতের ব্যথা কমাতে আপনার প্রয়োজন হতে পারে পর্যাপ্ত বিশ্রামের। বাপের ব্যথা যখন বেশি হয় তখন যদি বিশ্রাম না নিয়ে অতিরিক্ত হাটাহাটি বা ব্যথায় স্থানে অতিরিক্ত চাপ প্রয়োগ করা হয় সে ক্ষেত্রে ব্যথা কমানো তো দূরের কথা আরো বেড়ে যেতে পারে তাই ভাতের ব্যথা থেকে আরাম পেতে হলে পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিন এবং যেই স্থানে ব্যথা বা যন্ত্রণা সৃষ্টি হয়েছে সে স্থানে পারোতো পক্ষে অতিরিক্ত চাপ না দেয়া বা জোর করে হাঁটা চলার চেষ্টা করবেন না।

আদা চা বা আদার রসঃ আপনারা হয়তো জেনে থাকবেন যেকোন প্রদাহ এবং ব্যথা দূর করতে আদা অত্যন্ত ভালো একটি উপাদান কেননা তার ভেতরে রয়েছে এন্টি ইনফ্লামেটরি উপাদান এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। শরীরের যেকোনো ব্যথার উপসংঘটানোর পাশাপাশি বাপের ব্যথা কম করতেও আদা চা বা আদার রস অনেক ভালো কাজ করে। তাই বাতে ব্যথা থেকে আরাম পেতে ঘন ঘন আদা চা খেতে পারেন।

হলুদঃ আদার পাশাপাশি ব্যথা নাশক আরেকটি অত্যন্ত উপকারী উপাদান হলুদ। হল প্রাকৃতিকভাবে ব্যথা দূরকারী হিসেবে কাজ করে থাকে। তাই বাতের ব্যথা থেকে মুক্ত থাকার জন্য হালকা গরম দুধের ভেতরে হলুদ মিশিয়ে পান করতে পারেন এই পানীয়টি আপনার বাতের ব্যাথায় এবং বেশির ব্যথা দূর করতে সাহায্য করবে।

আরো পড়ুণঃ হলুদের উপকারীতা

দুধ এবং দুগ্ধজাত খাবারঃ আপনারা জানেন আর দুধের ভেতর থেকে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম এবং ভিটামিন ডি পাওয়া যায় যা আমাদের হাড় মজবুত করতে এবং হাড়ের ক্ষয় রোধ করতে বিশেষ সাহায্য করে। দুধ এবং দুগ্ধ জাত খাবার গুলো শুধু হাড় মজবুত এবং হায়ারের ক্ষয় রোধই  নয় এর পাশাপাশি দাঁতের ব্যথা মুক্ত রাখতেও সাহায্য করে। তাই নিয়মিত ১ গ্লাস দুধ অথবা দুটো জাত খাবার খাওয়ার চেষ্টা করুন।

ভিটামিন সি যুক্ত খাবারঃ বাতের ব্যথা কমাতে বা বাতের ব্যাথা থেকে মুক্ত থাকতে নিয়মিত ভিটামিন সি যুক্ত খাবার এবং ফলগুলো গুলো গ্রহণ করুন কারণ ভিটামিন সি যুক্ত খাবার গুলো হাড়ের সংযোগস্থল থেকে ইউরিক এসিড কমানোর মাধ্যমে বাতের ব্যথা কমাতে সাহায্য করে।

গ্রিন টিঃ বাতের ব্যথা কমাতে খেতে পারেন গ্রিন টি কেননা গ্রিন টির ভিতরে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা বাপের ব্যথা কমাতে সাহায্য করে। একটি গবেষণায় দেখা গেছে যারা নিয়মিতভাবে গ্রিন টি পান করে তাদের রোগ হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে এবং গ্রিন টি বাপের ব্যথা কমাতে বিশেষ সাহায্য করে থাকে।

ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখাঃ শারীরিক ওজন স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি হয়ে গেলে সে ক্ষেত্রে বাপের সম্ভাবনা বেড়ে যায়। তাই খেয়াল রাখতে হবে শারীরিক ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখার নিয়মিত ব্যায়াম এবং খাদ্যাভ্যাস এর মধ্যে দিয়ে ওজন নিয়ন্ত্রণে বা স্বাভাবিক পর্যায়ে রাখলে সেক্ষেত্রে বাপের সমস্যা অনেকটাই কমানো সম্ভব।

পুষ্টিকর খাবার গ্রহণঃ শরীর সুস্থ রাখতে এবং বিভিন্ন ধরনের রোগ থেকে মুক্ত থাকতে হলে পুষ্টিকর খাবার গ্রহণের কোন বিকল্প নেই এবং বাতের সমস্যাটিও এর বাইরে নয়। শরীরে পুষ্টি ঘাটতে থেকে বাত রোগ হতে পারে এই কারণে সব সময় পুষ্টিকর এবং স্বাস্থ্য সম্মত খাবার গ্রহণের চেষ্টা করতে হবে। পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ করলে শরীরে বিভিন্ন ধরনের পুষ্টি ঘাটতি থাকবে না এবং অন্যান্য অসুখের সাথে সাথে বাতের ব্যথাও দূর হবে।

ধূমপান এবং অ্যালকোহল পান পরিহার করতে হবেঃ ধূমপান এবং অ্যালকোহল পান করলে বাতের সম্ভাবনা এবং বাতের ব্যথা দুটোই বেড়ে যেতে পারে তাই বাত থেকে মুক্ত থাকতে হলে অবশ্যই ধূমপান এবং অ্যালকোহল পান করা পরিহার করতে হবে। ধূমপান ও অ্যালকোহল পান শুধু বাতের জন্যই ক্ষতিকর নয় এগুলো সেবনের ফলে শরীর বিভিন্নভাবে নানান ধরনের জটিলতা এবং সমস্যার সম্মুখীন হয়।

সাঁতার কাটা বা ব্যায়াম করাঃ সাঁতার আপনার বাতের ব্যথাকে কমাতে বিশেষ সাহায্য করতে পারে একারণে যারা বাতের রুগী রয়েছেন তাদের উচিত সম্ভব হলে সপ্তাহে অন্ততপক্ষে তিন থেকে চার দিন ৩০-৪০ মিনিট সাঁতার কাটা এছাড়াও সাঁতার কাটা পরিবর্তে ছোটখাটো হালকা পাতলা ব্যায়াম অথবা প্রতিদিন স্বাভাবিক গতিতে কিছুক্ষণ হাঁটা চলার অভ্যাস করলে সেক্ষেত্রে বাতের ব্যথা থেকে অনেকটাই উপশম পাওয়া যায়।

ফিজিওথেরাপিঃ বাতের ব্যথা কমাতে আপনি সাহায্য নিতে পারেন ফিজিওথেরাপির। বর্তমানে ফিজিওথেরাপি পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া বিহীন এবং কার্যকরী একটি চিকিৎসা পদ্ধতি , এই পদ্ধতিতে চিকিৎসকগণ বিভিন্ন ধরনের ব্যায়াম , ম্যানুয়াল থেরাপি অথবা ইনজেকশন এর মাধ্যমে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হীন ভাবে বিভিন্ন ধরনের ব্যথা কমানোর চিকিৎসা করে থাকেন। তাই বাপের ব্যথা কমানোর জন্য আপনি অবশ্যই একজন বিশেষজ্ঞ ফিজিওথেরাপিস্ট এর পরামর্শ গ্রহণ করতে পারেন।

আরো পড়ুনঃ রাতে ঘুম না হলে করণীয়

এছাড়াও বিভিন্ন ধরনের ড্রাই ফ্রুটস , বেরি জাতীয় ফল , ওমেগা থ্রি জাতীয় খাবার , শস্য জাতীয় খাবার গুলোর মধ্যে থেকে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম , লোহ , জিঙ্ক , প্রোটিন , পটাশিয়াম , আইরন পাওয়া যায় এবং এই খাবার গুলো প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় যুক্ত করার মাধ্যমে শরীরে পুষ্টি চাহিদা পূরণের পাশাপাশি বাতের ব্যথা থেকেও মুক্ত থাকা যায়

কি খেলে বাতের ব্যথা বাড়ে

বিভিন্ন বয়সী বাতের রুগী অনেক থাকলেও অধিকাংশ মানুষেরই বাতের রোগ সম্পর্কে বিস্তারিত জ্ঞান নেই বললেই চলে। অনেকেই হয়তো জানেন না বেশ কিছু খাবার রয়েছে যেগুলো খেলে বাতের ব্যথা বেড়ে যেতে পারে, তাই আজকে আপনাদের জানাবো কি খেলে বাতের ব্যথা বাড়ে সেই খাবার গুলোর নাম।যারা বাতের রুগী রয়েছেন তারা জেনে রাখতে পারেন কি খেলে বাতের ব্যথা বাড়ে সে খাবার গুলো নামের তালিকা, কারণ বাতের ব্যথার সময় এই খাবারগুলো খেলে ব্যথা বৃদ্ধি পেয়ে আপনি বিরম্বনাই করতে পারেন। তাই চলুন আর দেরি না করে কি খেলে বাতের ব্যথা বাড়ে সে সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।ব্যথা মুহুর্তে যে সকল খাবার গুলো প্রদাহ বা বাতের ব্যথা বাড়াতে পারে সে খাবারগুলো হলো,

  • ক্যাফেইন
  • অ্যালকোহল
  • তামাক 
  • ময়দা এবং ইস্ট এর তৈরি খাবার
  • গ্লাটেন যুক্ত খাবার
  • দুগ্ধ জাত খাবার
  • চিনি এবং মিষ্টিযুক্ত খাবার
  • আইসক্রিম
  • অতিরিক্ত লবণ
  • কোমল পানীয় ,সোডা, কেকে-পেস্ট্রি  জাতীয় খাবার
  • অতিরিক্ত ভাজাপোড়া জাতীয় খাবার এবং ফাস্টফুড
  • প্রসেসফুড বা প্রক্রিয়াজাতকরণ কিংবা কৌটা জাতকরণ খাবার
  • রেডমিট
  • টমেটো , লেবু জাতীয় ফলগুলো
  • ওমেগা-৬ জাতীয় খাবার
মন্তব্য, উপরিউক্ত আলোচনার মাধ্যমে এতক্ষণে নিশ্চয়ই বাতের ব্যথার লক্ষণ এবং কি খেলে বাতের ব্যথা বাড়ে এই বিষয়ে দুটি পাশাপাশি বাতের ব্যথা থেকে মুক্তির উপায় গুলো ভালোভাবে জেনে নিয়েছেন। বাতের ব্যথা থেকে মুক্তির উপায় গুলো সঠিকভাবে অনুসরণের মাধ্যমে অল্প সময়ের মধ্যে আপনি বাতের ব্যথা সারাতে পারবেন বলে আশা করা যায়। বাত নামক এই দীর্ঘমেয়াদি রোগটি মারাত্মক কোন রোগের সৃষ্টি না করলেও , আপনার হাড়ের সংযোগস্থলে ক্ষতি করতে পারে তাই শুরু থেকেই বাতে রোগ সম্পর্কে আপনাদের সচেতন হওয়া  উচিৎ।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url