১ বিটকয়েন সমান কত টাকা - বিটকয়েন কিভাবে ইনকাম করবো

বিটকয়েন হল অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি স্ক্রিপ্টোকারেন্সি। এই বিটকয়েন এর মাধ্যমে লেনদেন করা অনেক সহজ এবং নিরাপদ। যেহেতু বাংলাদেশের বিটকয়েনের বৈধতা নেই সেহেতু বিটকয়েন সম্পর্কে আমরা খুব বেশি অবগত নই। আজকে এই পোষ্টের মাধ্যমে আমরা জানার চেষ্টা করব বিটকয়েন কি বাংলাদেশে বৈধ এবং ১ বিটকয়েন সমান কত টাকা। আপনি আগ্রহী হলে পোস্টটি পড়ার মাধ্যমে জেনে নিতে পারেন বিটকয়েন কি বাংলাদেশে বৈধ এবং ১ বিটকয়েন সমান কত টাকা।

বিটকয়েনের সাথে আমরা এখন পর্যন্ত অতি পরিচিত না হলেও, বিটকয়েন সম্পর্কে ধারণা রাখা আমাদের দরকার। বিটকয়েন হচ্ছে একটি ডিজিটাল মুদ্রা আর যেহেতু প্রযুক্তির অগ্রগতির সাথে সাথে সবকিছুই ডিজিটালাইজড হয়ে যাবে সুতরাং ভবিষ্যতে আমাদের কেউ বিটকয়েন ব্যবহারের প্রয়োজনীয়তা দেখা দিতে পারে সম্পর্কে মৌলিক ধারণা রাখা আমাদের প্রত্যেকেরই প্রয়োজন। আজকের এই পোষ্টের মধ্যে আমরা বিটকয়েন সম্পর্কে কিছু আলোচনা করব যার মধ্যে থাকবে বিটকয়েন কি বাংলাদেশে বৈধ এবং ১ বিটকয়েন সমান কত টাকা। আপনি যদি না জেনে থাকেন তাহলে পোস্টটি পড়ার মধ্যে দিয়ে জেনে নিন বিটকয়েন কি বাংলাদেশে বৈধ এবং ১ বিটকয়েন সমান কত টাকা।

সূচিপত্রঃ বিটকয়েন কি বাংলাদেশে বৈধ - ১ বিটকয়েন সমান কত টাকা

বিটকয়েন কি

বিটকয়েন কে বলা হয় স্ক্রিপ্টোকারেন্সি। অন্যভাবে বলা যায় বিটকয়েন হল ডিজিটাল মুদ্রা যেটি নাকি ইন্টারনেটের মাধ্যমে লেনদেন করা হয় বিটকয়েনের শর্ট ফর্ম হল-BTC। ২০০৯ সাল থেকে মূলত বিটকয়েন এর যাত্রা শুরু হয় এবং এটি বর্তমানে অনেক জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। বিটকয়েনের প্রতিষ্ঠাতা নাম হলো সাতোশি নাকোমত নামের এক ব্যক্তি। ব্যাংকিং খতিয়ানের মতন বিটকয়েনের মাধ্যমে লেনদেন করার সময়ও লেনদেনের সমস্ত তথ্য ব্লক ট্রেনের মাধ্যমে লিপিবদ্ধ করা থাকে। বিটকয়েন কিন্তু এভেলেবল নয় এর সংখ্যার লিমিট রয়েছে। সমগ্র পৃথিবী জুড়ে বিটকয়েন রয়েছে মাত্র ২১ মিলিয়ন। বিশ্বের সকল বিটকয়েন ইউজারদেরকে এই একুশ মিলিয়ন বিটকয়েন ই ব্যবহার করতে হয় ।

বিটকয়েন মাইনিং

বিটকয়েন মাইনিং বলতে বোঝায় বিটকয়েন সংক্রান্ত যাবতীয় বিষয় সুন্দরভাবে পরিচালনা করার প্রক্রিয়া। বিটকয়েন মাইনিং সাধারণত Decentralized system এর মতন। বিটকয়েন প্রসেসিংয়ের পেছনে- যেমন এক ওয়ালেট থেকে অন্য ওয়ালেটে বিটকয়েন ট্রান্সফার করা এর সকল তথ্য ডাটাবেজে তুলে রাখা ইত্যাদি কাজ করার জন্য অনেক মানুষ কাজ করে। কম্পিউটারের মাধ্যমে বিটকয়েন লেনদেনের এই প্রসেসিং গুলো যারা করে তাদেরকে বলা হয় বিটকয়েন মাইনর আর বিটকয়েনের এই প্রসেসিং প্রক্রিয়াটিকে বলা হয় বিটকয়েন মাইনিং । বিটকয়েন মাইনিং এর ওপর ভিত্তি করে বিটকয়েন মাইনাদের পুরস্কৃত করা হয়। যে মাইনর যত তাড়াতাড়ি বিটকয়েন মাইনিং এর প্রসেসিং টি সম্পন্ন করতে পারে অ্যাওয়ার্ড রেংকিং এ তাকে তত ওপরে রাখা হয়।

বিটকয়েন এর সুবিধা

ডিজিটাল মুদ্রা বিটকয়েন ব্যবহারের বেশ কিছু সুবিধা রয়েছে। এবার আমরা আলোচনা করব বিটকয়েনের সুবিধা গুলো নিয়ে। বিটকয়েনের সুবিধাগুলো আপনার জানা না থাকলে এটি এখনই জেনে নিন। বিটকয়েন ব্যবহার করার সুবিধা গুলো নিম্নরূপ।

  • বিটকয়েন ব্যবহারের সবচেয়ে বড় সুবিধা হল ম্যানিপুলেশন হওয়ার সম্ভাবনা থাকে না
  • বিটকয়েন ব্যবহারকারীদের তথ্য সরাসরি অন্যরা দেখতে পায়
  • বিটকয়েন হ্যাক হওয়ার সম্ভাবনা থাকে না
  • দ্রুত সময়ের মধ্যে বিটকয়েন ব্যবহারকারীদের লেনদেনের রেকর্ড ডাটা বেজে সংযুক্ত হয়ে যায়
  • আন্তর্জাতিক অর্থ লেনদেন তাড়াতাড়ি করা সম্ভব হয়
  • বিটকয়েন ব্যবহারের জন্য কোন থি প্রদান করতে হয় না

বিটকয়েন কিভাবে আয় করা যায়

বেশ কয়েকটি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে আমরা বিটকয়েন অর্জন করতে পারি। আমরা জেনে নেব বিটকয়েন কিভাবে আয় করা যায় সেই সম্পর্কে। আপনি যদি বিটকয়েন কিভাবে আয় করা যায় এই সম্পর্কে জানতে ইচ্ছুক হন তাহলে পোস্টের এই অংশটি অবস্থিত মনোযোগ সহকারে পড়ুন। আর দেরি না করে জেনে নিন কিভাবে আয় করা যায়। এর বিটকয়েন আয়ের উপায় গুলো হলো,

  • ক্রিপ্টোট্যাব 
  • সোয়েটকয়েন
  • ব্লকচেইন গেম 
  • লনমাওয়ার 
  • এলিয়েন রান 
  • ক্যাশপাইরেট 
  • স্ট্রম প্লে 
  • ক্রিপ্টো.কম 
  • ফিচারপয়েন্টস 
  • হানিগেইন 
  • পাওয়ান্স বা আইপিরয়াল

এই সাইটগুলো ব্যবহার করে আমরা বিটকয়েন থেকে আয় করতে পারি। তবে অবশ্যই বিটকয়েন থেকে আয় করতে শুরুতে আপনাকে কিছুদিন সময় দিতে হবে।

বিটকয়েন কি বাংলাদেশে বৈধ

অনেকে প্রশ্ন করে থাকেন বিটকয়েন কি বাংলাদেশে বৈধ? আজকে আমরা আলোচনা করব বিটকয়েন কি বাংলাদেশে বৈধ এ বিষয়টি নিয়ে। আপনার যদি জানা না থাকে যে বিটকয়েন কি বাংলাদেশের বৈধ এ ব্যাপারটি এবং আপনি যদি জানতে চান যে বিটকয়েন কি বাংলাদেশে বৈধ? তাহলে অবশ্যই পোস্টের এই অংশটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন। চলুন তাহলে আপনাদেরকে জানিয়ে দিই বিটকয়েন কি বাংলাদেশে বৈধ এই প্রশ্নের উত্তরটি।

পৃথিবীর অনেক দেশেই বিটকয়েন কে বৈধতা দিলেও ,বাংলাদেশ সরকার এখন পর্যন্ত বৈধতা দেয়নি।আর যেহেতু বাংলাদেশ সরকার দেশের ভেতরে বিটকয়েন লেনদেনের বৈধতা দেয়নি সেই কারণে বাংলাদেশে বিটকয়েন ব্যবহার করা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ বা অবৈধ । সরকার যেহেতু বৈধতা দেয়নি বিটকয়েন ব্যবহারের ক্ষেত্রে সুতরাং এটি ব্যবহার করা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ। তবে যখন সব লেনদেন নিয়ে অনলাইনের মাধ্যমে করার প্রচলন শুরু হবে তখন অবশ্যই সরকার বিটকয়েন এর বৈধতা দিতে হবে।

১ বিটকয়েন সমান কত টাকা

আপনি কি জানেন ১ বিটকয়েন সমান কত টাকা , আপনি যদি না জেনে থাকেন ১ বিটকয়েন সমান কত টাকা তাহলে চলুন জেনে নিন ১ বিটকয়েন সমান কত টাকা। বিটকয়েন যখন প্রথম প্রচলন হয় তখন এর মূল্য খুব একটা ছিল না কিন্তু যতই দিন যাচ্ছে ততই মানুষ প্রযুক্তির নির্ভর হয়ে পড়ছে যার ফলে সবকিছুই অনলাইন ভিত্তিক হয়ে যাচ্ছে আর বিটকয়েন যেহেতু একটি অনলাইন মুদ্রা এই কারণে অনলাইনে লেনদেনের মাধ্যমে হিসেবে দিন দিন বিটকয়েনের জনপ্রিয়তা বেড়েই চলেছে এই কারণে আগের তুলনায় এখন বিটকয়েনের মূল্য অনেক বেশি।

ডলারের মতন বিটকয়েনের মূল্য বিভিন্ন সময় ওঠানামা করে। এই কারণে সম্পূর্ণ নিশ্চিত ভাবে এক বিটকয়েন সমান কত টাকা হবে অথবা থাকবে এটি বলা যায় না তবে আপনাদেরকে ধারণা দেওয়ার জন্য একটি আইডিয়া দেওয়া যেতে পারে যে বর্তমানে এক বিটকয়েন সমান কত টাকা । যেমন ২০১৭ সালে ১ বিটকয়েন সমান ছিল ৭৫০০ ডলার যার বাংলাদেশী মূল্য হল ৭৯৬১৫৫.০০ টাকা। আর বর্তমানে এক বিটকয়েন সমান বাংলাদেশি টাকা হচ্ছে  ১৭,৭৮,০৮৫.৫৩ টাকা । আশা করছি ১ বিটকয়েন সমান কত টাকা সে সম্পর্কে ধারণা পেয়ে গেছে।

বিটকয়েন একাউন্ট খোলার নিয়ম

পোস্টের এ পর্যায়ে আমরা আলোচনা করব বিটকয়েন একাউন্ট করার নিয়ম সম্পর্কে। বিটকয়েন সংরক্ষণ করা হয় বিভিন্ন ধরনের ওয়ালেটের মাধ্যমে যেমন-বাইনান্স ,ফাসেট পে , কয়েনবেস ইত্যাদি।বিভিন্ন ওয়ালেটের মাধ্যমে সংরক্ষণ করতে হয় বিটকয়েন্টি কয়েনের আলাদা কোন একাউন্ট তৈরি করতে হয় না। তবে বিটকয়েন সংরক্ষণ এবং লেনদেনের পরিমাণের ওপরে ভিত্তি করে বিভিন্ন ধরনের ওয়ালেট ব্যবহার করা হয় যেমন-বেশি বিটকয়েন ব্যবহারকারীদের জন্য কয়েনবেস, অল্প বিটকয়েন ব্যবহারকারী বা লেনদেন কারীদের জন্য সাধারণত ফাসেট পে ব্যবহারের পরামর্শ দেওয়া হয়।বিটকয়েনের আলাদা কোন একাউন্ট না থাকলেও আমরা যখন পয়েন্ট বের অথবা ফাসেট পে জাতীয় কোন ওয়ালেট ব্যবহার করব , তখন এই ওয়ালেট গুলো ব্যবহার করার আগে এগুলোতে একাউন্ট করে নিতে হবে। আপনাদের সুবিধার জন্য নিচে কয়েনবেজ এর একাউন্ট করার নিয়ম বর্ণনা করা হলো।

কয়েন বেচে একাউন্ট করার জন্য প্রথমে আপনাকে coinbase.com এই ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে এরপর আপনি প্রথমে যে ইন্টারফেসটি শো করবে এর ওপরে Get start লিখাটির ওপরে ক্লিক করবেন। ক্লিক করা হয়ে গেলে আপনি দেখতে পাবেন এখানে আপনাকে দিতে বলা হবে,

  • First name
  • Last name
  • Email
  • Password
  • Agreement

এরপর নিচে থাকা create free account বাটনে ক্লিক করতে হবে। এরপর আপনার ইমেইলে কয়েনবেস থেকে একটি লিঙ্ক পাঠিয়ে দেবে, এবং আপনি সেই লিংকটি ওপেন করার মধ্যে দিয়ে কয়েনবেজ একাউন্টটি একটিভ করে নিতে পারবেন। আপনি যখন অ্যাকাউন্টটি ওপেন করবেন তখন আপনার সামনে একটি ইন্টারফেস চালু হবে এখানে আপনি সফল ধরনের ক্রিপ্টোকারেন্সির আইকন দেখতে পাবেন এর মধ্যে বিটকয়েনের আইকনটিও আপনার সামনে আসবে। এখানকার এই বিটকয়েন লিখা আইকনটির ওপরে ক্লিক করলেই আপনি আপনার বিটকয়েনের ঠিকানা পেয়ে যাবেন। এখান থেকে আপনি বিভিন্ন জায়গায় বিটকয়েন লেনদেন করতে পারবেন।

মোবাইলে বিটকয়েন উপার্জনের APK

এবার আমরা জেনে নেব কোন কোন APK ব্যবহার করে আমরা মোবাইলের মাধ্যমেও বিটকয়েন উপার্জন করতে পারি। বেশ কয়েকটি APK রয়েছে যেগুলো ব্যবহার করে আপনি চাইলে ঘরে বসেও বিটকয়েন আয় করতে পারেন। চলুন এবার জেনে নিই মোবাইলে বিটকয়েন উপার্জনের বিশ্বস্ত কয়েকটি APK এর নাম।

  • Bitcoin blast
  • Bitcoin blocks
  • Bitcoin sollitiare

মন্তব্য, পুরো পোস্টটি পড়ার মধ্যে দিয়ে আমরা জানতে পেরেছি বাংলাদেশের বিটকয়েন কি বৈধ এবং ১ বিটকয়েন সমান কত টাকা। আশা করছি এ বিষয়গুলো আপনি ভালোভাবে বুঝতে পেরেছেন এবং এই নিয়ে আপনার মনে আর কোন ডাউট বা সন্দেহ নেই।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন

comment url