অ্যামাজনে কিভাবে কাজ করব - অ্যামাজন থেকে কিভাবে আয় করা যায়
বেকার যুবক এবং চাকরিজীবীদের পার্ট টাইম জবের জন্য অ্যামাজন হতে পারে অর্থ উপার্জনের খুব ভালো একটি মাধ্যম। অ্যামাজনে কিভাবে কাজ করব এবং অ্যামাজন থেকে কিভাবে আয় করা যায় বিষয়গুলো যদি আপনি না জেনে থাকেন তাহলে এই পোস্টের মাধ্যমে এ বিষয়গুলো আপনি ক্লিয়ার ভাবে জেনে নিতে পারবেন।
আজকের এই পোস্টটি মূলত তাদের জন্য যারা অ্যামাজনে কিভাবে কাজ করব এবং অ্যামাজন থেকে কিভাবে আয় করা যায় সেই বিষয়ে জানতে আগ্রহ তাদের জন্য। অ্যামাজনে কিভাবে কাজ করব এবং অ্যামাজন থেকে কিভাবে আয় করা যায় এই বিষয়গুলি সম্পর্কে জানতে আগ্রহী হন তাহলে আশা করছি এই পোস্টটি আপনার অনেক উপকারে আসবে। আর এই পোষ্টের মাধ্যমে উপকৃত হতে হলে অবশ্যই আপনাকে পোস্টটি শেষ পর্যন্ত ভালোভাবে পড়ে দেখতে হবে।
সূচিপত্রঃ অ্যামাজনে কিভাবে কাজ করব - অ্যামাজন থেকে কিভাবে আয় করা যায়।
- অ্যামাজন কি
- অ্যামাজনে কিভাবে কাজ করব
- অ্যামাজন থেকে কিভাবে আয় করা যায়
- Amazon অ্যাকাউন্ট তৈরি করার নিয়ম
- অ্যামাজন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কিভাবে করব
- অ্যামাজন থেকে কিভাবে শপিং করবেন
অ্যামাজন কি
অ্যামাজনে কিভাবে কাজ করব সেই সম্পর্কে জানার আগে চলুন জেনে নেওয়া যাক আমাজন কি amazon সম্পর্কে অধিকাংশ মানুষের ধারণা থাকলেও ২০% লোক এখনো জানেন না amazon কি। বর্তমানে অ্যামাজন হলো সবার কাছে সবচেয়ে জনপ্রিয় একটি ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান। এখন অ্যামাজন হলো আমেরিকার ইলেক্ট্রনিক কোম্পানি। আর এটি আমেরিকা ওয়াশিংটন রাজ্যের সিয়াটলে অবস্থিত। বর্তমান বিশ্বে, আমাজন শুধু আমেরিকাই না বরং সারা পৃথিবীর অনেক দেশের মানুষের কাছেই এটি বেশ বড় ইন্টারনেট খুচরা বিক্রেতা নামেরও খ্যাতি লাভ করেছে এই ইকমার্স প্রতিষ্ঠান অ্যামাজন।
বিশ্ব ব্যস্ততা মধ্যে যখন কারোরই সময় নেই জরুরি, প্রয়োজনীয় বা শখের কিছু কেনার তখন এই প্রতিষ্ঠানটি যেন সবার পাশে একটি গুরুত্বপুর্ণ ছায়া হয়ে দাড়িয়েছে। ফলে তারা অনেকেই দিনের কাজ শেষে সামান্য সময়েই তাদের প্রয়োজনীয় অথবা তাদের কাছের মানুষের জন্য কিছু কেনা কাটা করতে পারেন।
অ্যামাজনে কিভাবে কাজ করব
প্রিয় পাঠক , আপনাদের মধ্যে অনেকেই আছেন যারা অ্যামাজনে কাজ করতে চান কিন্তু অ্যামাজনে কিভাবে কাজ করর সেই প্রসেসিং সম্পর্কে সঠিকভাবে জানেন না। চলুন তাহলে আজকে জেনে নেওয়া যাক অ্যামাজনে কিভাবে কাজ করব সেই বিষয়টি। আর অ্যামাজনে কিভাবে কাজ করব সেটি জানতে হলে আপনাকে পোস্টের এই অংশটি অবশ্যই মনোযোগ দিয়ে পড়তে হবে। অ্যামাজনে কাজ করার বেশ কয়েক ধরনের পদ্ধতি আছে চলুন সেগুলো আমরা একে একে আলোচনা করি।
অ্যামাজন এফিলিয়েট মার্কেটিং: বর্তমানে অ্যামাজনের সবচেয়ে সহজ কাজটি হলো অ্যামাজন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং। আপনি যদি আমাজনের প্রোডাক্ট সমূহ ভালোভাবে বিক্রি করতে পারেন তাহলে আপনি ২৩-৫১% পর্যন্ত কমিশন পেয়ে যেতে পারেন। বর্তমানে প্রায় ১২টি দেশ এই এফিলিয়েট প্রোগ্রাম এর সাথে যোগদান করে আয় করছে।
অ্যামাজন kindle: অ্যামাজনের আরেকটি জনপ্রিয় ইনকাম বিভাগ হল amazon kindle. এই কাজটি সাধারণত amazon এ বই লিখে অনলাইনের মাধ্যমে তা সবার সামনে নিয়ে আসতে পারাকে বোঝায় । আপনি যদি সাহিত্য, গল্প , উপন্যাস লিখার ক্ষেত্রে পারদর্শী হন তাহলে অ্যামাজন থেকে ইনকাম করার এটি আপনার জন্য খুব ভালো একটি উপায় হতে পারে। এর জন্য আপনাকে amazon kindle publishing থেকে আপনার লেখাগুলিকে অনলাইনে প্রকাশ করতে হবে। এরপর amazon ই আপনার এই বইটি ই-কমার্সের মাধ্যমে খুব বেশি হলে ২৪-২৮ ঘন্টার মধ্যে তার গ্লোবাল নেটওয়ার্কে পৌঁছে দিবে এবং যত বিক্রি হবে তার সবটুকু থেকে আপনি ৬৯-৭২% পর্যন্ত কমিশন পেয়ে যাবেন।
Amazon ফ্লেক্সঃ অ্যামাজনের কাজ করার আরেকটি সহজ মাধ্যম হলো অ্যামাজন ফ্লেক্স। যারা বিভিন্ন জায়গা বা দেশে ভ্রমণ করতে বেশি পছন্দ করে তাদের জন্য অ্যামাজন ফ্লেক্স এর মাধ্যমে কুরিয়ার বা ডেলিভারি ম্যান হিসেবে প্রোডাক্ট ডেলিভারি করাও আপনি amazon ফ্লেক্স থেকে ইনকাম করতে পারেন। এর জন্য আপনি আপনার নিজের মত একটি টাইম বা সিডিউল তৈরি করে সেখানে কাজ করতে পারবেন আর এর জন্য আপনাকে ২০-২৫ মতন ডলার দেয়া হতে পারে।
হ্যান্ড মেড ক্রাফটসঃ আপনি যদি হ্যান্ড মেড ক্রাফটস তৈরি করতে পারেন তাহলে এটি আপনার জন্য আরেকটি সুযোগ করে দেবে amazon থেকে ইনকাম করার। এর জন্য আপনাকে অ্যামাজনের হ্যান্ড মেড ক্রাফটস বিভাগের রেজিস্ট্রেশন করতে হবে এবং আপনি আপনার হ্যান্ড মেড ক্রাফটস তৈরি করে দিতে পারবেন।
এগুলো ছাড়াও অ্যামাজনে আপনি আরো বেশ কিছু উপায়ে অ্যামাজনে কাজ করতে পারেন অ্যামাজনের এই কাজগুলোর নিচে একে একে তুলে ধরা হলো।
- সেলসম্যান
- ডেলিভারি ম্যান
- ওয়েবসাইট ডেভলপার
- সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার
- কাস্টমার সাপোর্ট
অ্যামাজন থেকে কিভাবে আয় করা যায়
আপনার যদি হাতে প্রচুর সময় থাকে অথবা আপনি যদি বেকার হয়ে থাকেন তাহলে শুধু শুধু টাইম নষ্ট না করে amazon থেকে বিভিন্ন উপায়ে আয় করতে পারেন। অবশ্য অনেকেই এ বিষয়ে জানেন না যে অ্যামাজন থেকে কিভাবে আয় করা যায়। অ্যামাজন থেকে কিভাবে আয় করা যায় এ বিষয়টি না জানলে উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই, কারণ আজকে এই পোস্টের মাধ্যমে আপনাকে জানিয়ে দেয়া হবে amazon থেকে কিভাবে আয় করা যায় সেই সম্পর্কে। অ্যামাজন থেকে আপনি বেশ কয়েকটি উপায়ে আয় করতে পারবেন অ্যামাজন থেকে কিভাবে আয় করা যায় নিচে সেগুলো একে একে বর্ণনা করা হলোঃ
এফিলিয়েট মার্কেটিংঃ অ্যামাজনে আয় করার একটি সহজ এবং জনপ্রিয় পদ্ধতি হল অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে ইনকাম করা। আপনি আপনার পছন্দ মতন বা অ্যামাজন কোম্পানির সাথে কন্টাক করে যে কোন পণ্যের অ্যাফিলিয়েট লিংক তৈরি করে সেই লিংকটি আপনি আপনার বিভিন্ন যোগাযোগ মাধ্যম যেমন facebook , youtube , twitter , instagram ইত্যাদির মাধ্যমে পাবলিশ করেন এবং সেই লিংক থেকে যদি কেউ পণ্যটি ক্রয় করে তাহলে অ্যামাজন প্রতিষ্ঠানের মালিক থেকে আপনি প্রোডাক্ট বিক্রির জন্য কমিশন পাবেন। এভাবে আপনি amazon এফিলিয়েট মার্কেটিং করে ইনকাম করতে পারেন।
অ্যামাজন মেশিনিক্যাল ট্রাকঃ অ্যামাজন মেশিনিক্যাল ট্রাক এর মাধ্যমেও আপনি আমাজন থেকে আয় করতে পারবেন। বিভিন্ন দেশের ফ্রিল্যান্সাররা amazon এর এই মেশিনিকাল ট্রাক এর কাজ করে থাকে। প্রযুক্তি বা কম্পিউটারের মাধ্যমে আমরা যে কাজগুলো করায় সেগুলোর পেছনে একজন দক্ষ মানুষের হাত থাকে কারণ এই কাজগুলো যখন আমরা কম্পিউটারকে সিডিউল আকারে বলে দিই তখনই কেবল কম্পিউটার সেই কাজগুলো করে দিতে পারে। কম্পিউটারের বিভিন্ন সেটিংস গুলো ঠিকঠাক মতন করার জন্য এর পেছনে অনেক লোক কাজ করে। তাই আপনার যদি মেশিনিক্যাল ট্রাক সম্পর্কে সঠিক ধারনা থাকে তাহলে আপনি এই কাজটির মাধ্যমে amazon থেকে ইনকাম করতে পারেন।
সফটওয়্যার ডেভেলপঃ আপনি যদি সফটওয়্যার ডেভলপার হয়ে থাকেন তাহলে এটির মাধ্যমে আপনি amazon থেকে ভালো ইনকাম করতে পারবেন। তবে হ্যাঁ সফটওয়্যার ডেভেলপের কাজের জন্য আপনাকে সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্টের উপরে পারদর্শী হওয়া লাগবে। এবং সফটওয়্যার এর ওপরে আপনার প্রচুর জ্ঞান থাকা লাগবে।
Amazon কাইন্ডলিঃ আমাজন কাইন্ডলি থেকে আপনি বিভিন্ন ধরনের গল্প উপন্যাস , আর্টিকেল , সাহিত্য ইত্যাদি লিখে গ্লোবাল ওয়ার্ল্ড এ পাবলিশ করার মাধ্যমে আপনি আমাজন কাইন্ডলি থেকে ইনকাম করতে পারেন। অ্যামাজন কাইন্ড এর মাধ্যমে আপনি আপনার লিখনীগুলো অনলাইন করে সেগুলো এমাজনের মাধ্যমে কয়েক ঘন্টার মধ্যে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে দিতে পারেন এবং এই লেখাগুলো বিক্রি করে amazon যখন ইনকাম শুরু করবে তখন আপনাকে এর থেকে বেশ কিছু অর্থ কমিশন আকারে দিবে।
অ্যামাজন সেলারঃ আপনি যদি ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের মালিক হন তাহলে আপনার প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন পণ্য আপনি অ্যামাজনের রেজিস্ট্রেশন করার মাধ্যমে সেল করতে পারেন। আপনার প্রতিষ্ঠান যদি জনপ্রিয় না হয়ে থাকে তাহলে আপনি অ্যামাজনের এই জনপ্রিয় ই-কমার্স এর মাধ্যমে আপনার প্রতিষ্ঠানের প্রোডাক্টগুলো অন্যের কাছে খুব সহজেই বিক্রি করতে পারবেন। এইভাবে প্রোডাক্ট সেল করলে amazon কে কিছুটা অর্থ পরিশোধ করতে হবে ঠিকই কিন্তু এর বিনিময়ে আপনার পণ্যটিও বিক্রয় হয়ে যাবে এবং আপনি সেখান থেকে অর্থ উপার্জন করতে পারবেন।
ডেলিভারি ম্যানঃ অ্যামাজনে অর্ডার করা বিভিন্ন পণ্যগুলো কাঙ্ক্ষিত জায়গা মতন পৌঁছে দিয়ে আপনি অ্যামাজন এর ডেলিভারি ম্যান হিসেবে কাজ করতে পারেন। ডেলিভারি ম্যান হিসেবে কাজ করতে আপনাকে যা করতে হবে সেটি হল অনলাইনের মাধ্যমে অ্যামাজন থেকে যারা বিভিন্ন পণ্য বা প্রোডাক্ট অর্ডার করে তাদের পণ্যগুলো কাঙ্ক্ষিত জাগা মতন পৌঁছে দিয়ে , ডেলিভারি ম্যান হিসেবেও আপনি অর্থ উপার্জন করতে পারবেন।
অ্যামাজন একাউন্ট তৈরি করার নিয়ম
একাউন্ট তৈরি করার নিয়ম সম্পর্কে আপনি যদি না জেনে থাকেন তাহলে অ্যামাজন একাউন্ট তৈরি করার নিয়ম এখনই জেনে নিন আপনাদের সুবিধার জন্য এমাজনে কিভাবে একাউন্ট তৈরি করতে হয় সে সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে নিচে আলোচনা করা হলোঃ
প্রথমে আপনার ক্রম ব্রাওজার বা যেকোনো ব্রাওজার ওপেন করে নিয়ে www.amazon.com টাইপ করে অ্যামাজনে ঢুকতে হবে এবং হাতের ডান পাশে আপনি Amazon & list এর অপশনে ক্লিক করতে হবে। তারপর আরেকটি sign in নামে অপশন দেখতে পাবেন আর তার নিচেই ' new customer? Start here 'এ ক্লিক করতে হবে।
তারপর Create account নামে একটি ফ্রম আসবে এটিতে আপনাকে আপনার সঠিক তথ্য অনুযায়ী ফিল আপ করতে হবে। আপনাকে আগে আপনার নাম, তারপর ই-মেল, পাসওয়ার্ড এবং সবশেষে আপনাকে আরেকবার আপনার পাসওয়ার্ডটি টাইপ করতে হবে। আর আপনাকে আপনার সঠিক তথ্য অনুযায়ী ফিল আপ করতে হবে। তারপর আপনার Create Your Amazon account অপশনে ক্লিক করার পর সেখানে আপনার ইমেল ভেরিফাই করার জন্য আপনার ই-মেইলে একটি কোড আসবে, সেটি সেখানে বসায়েই হয়ে গেলো আপনার অ্যামাজন একাউন্ট।
অ্যামাজন এফিলিয়েট মার্কেটিং কিভাবে করব
আপনারা যারা অ্যামাজনে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে ইনকাম করতে চান তাদেরকে অবশ্যই আগে এই এফিলিয়েট মার্কেটিং সম্পর্কে মৌলিক একটি ধারণা থাকতে হবে। আসুন তাহলে এবার শুরু করা যায় অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কি এবং আপনি amazon এ কিভাবে অ্যামাজন এফিলিয়েট মার্কেটিং কিভাবে করবে সেই সম্পর্কে জানা যাক। অ্যামাজন এফিলিয়েট মার্কেটিং করার আগে চলুন আমরা জেনে আসি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং টি আসলে কি বা কাকে বলে?
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংঃ অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং টি হল কোন প্রতিষ্ঠানের প্রোডাক্ট আপনি যদি সেল করে দিতে পারেন তাহলে সেই পণ্যটি যে প্রতিষ্ঠান সেই প্রতিষ্ঠানের মালিক পণ্যের মূল্যের উপরে আপনাকে একটি কমিশন দিবে আর এই কমিশনটি হল আপনার লাভ। আরো সহজ ভাবে বলতে গেলে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং হল আপনার যদি কোন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থাকে তাহলে এগুলোর মাধ্যমে আপনি কোন প্রতিষ্ঠানের প্রোডাক্ট এর লিংক পোস্ট করলে যদি সেই লিংক এর মাধ্যমে কেউ প্রোডাক্টটি ক্রয় করে তাহলে এর উপরে নির্ভর করে আপনি প্রতিষ্ঠানের মালিকের কাছ থেকে কমিশন পাবেন এটিকে বলা হয় এফিলিয়েট মার্কেটিং এবার তাহলে জেনে আসা যাক অ্যামাজন এফিলিয়েট মার্কেটিং কিভাবে করব।
Amazon এফিলেট মার্কেটিংঃ অ্যামাজনের মাধ্যমে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করতে হলে প্রথমে আপনাকে একটা amazon এফিলিয়েটের অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে হবে। সব নিয়ম-কানুন ফলো করে আপনি সুন্দরভাবে একটি amazon এফিলিয়েট মার্কেটিং করার অ্যাকাউন্ট তৈরি করে নেবেন এরপর আপনি কোন কোন পণ্য গুলো সেল করতে চাচ্ছেন তার একটি তালিকা amazon কে দিবেন এবং অ্যামাজনের কাছে থেকে সেই পণ্যগুলোর লিংক নেবেন।
এবার সেই লিংকগুলো আপনি আপনার বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া যেমন facebook, twitter , instagram , youtube ইত্যাদি মাধ্যমগুলোর ভেতরে সেই লিংকটি পাবলিশ করবেন , এরপর যতজন ব্যক্তি আপনার এই সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যম থেকে লিংকটির উপরে ক্লিক করে এই পণ্যগুলো কিনবে তার ওপরে ভিত্তি করে আপনি amazon এর কাছে থেকে একটি কমিশন পাবেন। এটাকেই মূলত আমাজন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং বলা হয় এর মাধ্যমে আপনি বেশ ভালো উপার্জন করতে পারবেন অ্যামাজনের মাধ্যমে।
অ্যামাজন থেকে কিভাবে শপিং করবেন
Amazon হল সারা বিশ্বের মধ্যে বিশ্বাসযোগ্য একটি ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান। বিভিন্ন অসুবিধা বা ঝামেলার কারণে এখন মানুষ ঘরে বসেই শপিং করতে বেশি পছন্দ করে। এমাজন থেকে কিভাবে শপিং করবেন সে ব্যাপারটি যদি আপনার জানা না থাকে তাহলে অবশ্যই জেনে নিন। এবং ঘরে বসেই অ্যামাজন মাধ্যমে শপিং করে আপনার মূল্যবান সময় রক্ষা করুন। তাহলে চলুন দেরি না করে শুরু করা যাক অ্যামাজন থেকে কিভাবে শপিং করবেন এই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা।
আপনি অ্যামাজনের ওয়েবসাইট থেকে বিভিন্ন পণ্য অর্ডার করে অ্যামাজনের মাধ্যমে শপিং করতে পারবেন। আপনি যদি অ্যামাজনের কোন প্রোডাক্ট দেশে আনতে চান তাহলে অ্যামাজনের যে শপিং লিংকটি আছে সেই লিংকে প্রথমে আপনাকে প্রবেশ করতে হবে এবং আপনি যখন এই লিংকে প্রবেশ করবেন তখন একটি অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে হবে । অ্যামাজনে শপিং একাউন্ট তৈরি করার সময় আপনাকে অবশ্যই সঠিক তথ্য দিয়ে একাউন্ট করতে হবে। আপনি যখন শপিং করার amazon এর এই লিঙ্কে প্রবেশ করবেন তখন সাইন ইন অপশন দেখতে পাবেন এই অপশনে চাপ দিয়ে আপনি অ্যাকাউন্ট তৈরি করে নেবেন।
এরপর অ্যাকাউন্ট তৈরি হয়ে গেলে amazon শপিং এর মধ্যে প্রবেশ করে আপনি আপনার কাঙ্খিত পণ্যের ইংরেজি লিখে সার্চ করবেন আপনার কাঙ্খিত পণ্যটি আপনার সামনে শো করলে সেখান থেকে সিলেক্ট করে, তারপর আপনার দেশের নাম অর্থাৎ আপনি কোন দেশে ডেলিভারি নিতে চান সে বিষয়টি ক্লিয়ার করবেন এরপর আপনার সামনে পণ্যের প্রাইস শো করবে যে কত টাকা দিয়ে বা কত ডলার দিয়ে আপনাকে পণ্যটি নিতে হবে এবং কতদিন পরে পণ্যটি আপনার হাতে প্রবেশ করবে। এ সকল বিভিন্ন ধাপ ঠিকঠাক মতন পুরা করে আপনি দেশে নিয়ে আসতে পারেন।
আপনাদের সুবিধার জন্য অ্যামাজনের শপিং অ্যাকাউন্ট তৈরি করার লিংকটি দেওয়া হল এমাজনের শপিং একাউন্ট লিংক তৈরি করতে এখানে চাপ দিন
মন্তব্য, উপরের পোষ্টটি যদি আপনি মনোযোগ সহকারে পড়ে থাকেন তাহলে এই পোস্টের মাধ্যমে আপনি জানতে পেরেছেন অ্যামাজনে কিভাবে কাজ করব অ্যামাজন থেকে কিভাবে আয় করা যায়, amazon অ্যাকাউন্ট খোলার নিয়ম , amazon এ শপিং করার নিয়ম ইত্যাদি সম্পর্কে। আশা করছি এবার আপনি নিজেই অ্যামাজনে অ্যাকাউন্ট করে সেখান থেকে বিভিন্ন উপায়ে অর্থ উপার্জন করতে পারবেন।
নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন
comment url