স্পিনিং ও স্ক্র্যাপিং এর অসুবিধা - Buying কীওয়ার্ড দিয়ে টাকা ইনকাম - কীওয়ার্ড নির্বাচন সম্পর্কে আলোচনা
আর্টিকেল লিখার সময় এমন কিছু বিষয় আছে যে বিষয়গুলো বাদ দে আর্টিকেল লিখলে
ভবিষ্যতে সেটি আমাদের ওয়েবসাইটের ক্ষতির কারণ হতে পারে, আবার এমন কিছু বিষয় আছে
সেই বিষয়গুলো নিয়ে আমরা যদি আর্টিকেল লিখি তাহলে পাঠকেরা আমাদের পোস্টগুলো
পড়ার জন্য আগ্রহী হয়ে উঠবি। আজকে এই পোস্টটি আমরা এই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি
নিয়ে আলোচনা করব।
আজকের এই পোষ্টের আলোচনার মূল বিষয়বস্তু হল, ভবিষ্যতে কোন বিষয়গুলো আমাদের ওয়েবসাইটের ক্ষতির কারণ হতে পারে এবং কোন বিষয়গুলো একটু খেয়াল করে লিখলে আর্টিকেলটি আকর্ষণীয় হবে ও এখান থেকে আমরা ইনকাম করতে পারব। আপনি যদি এ বিষয়গুলো জানতে আগ্রহী হন তাহলে পুরো পোস্টটি ধৈর্য এবং মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
পোষ্টের সূচিপত্রঃস্পিনিং ও স্ক্র্যাপিং এর অসুবিধা - Buying কীওয়ার্ড দিয়ে টাকা ইনকাম - কীওয়ার্ড নির্বাচন সম্পর্কে আলোচনা।
- আর্টিকেল স্পিনিং কি
- স্পিনিং এর অসুবিধা
- স্ক্র্যাপিং কাকে বলে
- স্পিনিং ও স্ক্র্যাপিং করে আর্টিকেল লিখা যাবে কিনা
- Buying কীওয়ার্ড র্যাঙ্ক করে টাকা ইনকাম
- লং টেল কিওয়ার্ড
- কোন ধরনের কিওয়ার্ড দিয়ে পোস্ট লেখা উচিত
- আর্টিকেল রাইটিং স্ট্র্যাটিজি
- কীওয়ার্ড নির্বাচন
আর্টিকেল স্পিনিং কি
আমাদের মধ্যে অনেকেই আছে যারা স্পিন শব্দটি আগে শুনেছি বা স্পিন শব্দটির
সাথে আগে থেকেই পরিচিত। আজকে চলুন তবে আমরা আলোচনা করি আর্টিকেল স্পিনিং জিনিসটা
কি। আর্টিকেল স্পিনিং বলতে আমরা আসলে কোন একটি আর্টিকেলের ওপর ভিত্তি করে আর
আরেকটি আর্টিকেল তৈরি করা কে বুঝি। কিন্তু একটি আর্টিকেলকে ভিত্তি করে আরেকটি
আর্টিকেল তৈরি করলেও ভাষাগত দিক দিয়ে আর্টিকেল দুটি সম্পূর্ণ আলাদা হতে
হবে। আলাদা বলতে আগের আর্টিকেলে যে শব্দগুলো ব্যবহার করা হয়েছে, নতুন
আর্টিকেলের মূল ভাবটা একই থাকবে কিন্তু ভাষাগুলো আলাদা হবে। এক কথায়, আগের
আর্টিকেলে আমরা যে শব্দগুলো ব্যবহার করব, পরের আর্টিকেল সেই একই শব্দগুলো
ব্যবহার না করে ওই শব্দেরই সমার্থক শব্দ ব্যবহার করব।
গুগলে এমন অনেক পিন আর্টিকেল লিখার ওয়েবসাইট আছে, যেখানে একটি আর্টিকেল পেস্ট করে দিলে ওই ধরনেরই আরেকটি আর্টিকেল মুহূর্তের মধ্যেই স্পিনিং করে লিখে দিবে। এমনই একটি ওয়েবসাইটের নাম হলো, free artical spinner. এই ওয়েবসাইটে আপনি যদি একটি আর্টিকেল দেন তাহলে মুহূর্তের মধ্যেই এই আর্টিকেলের ওপর ভিত্তি করে আরেকটি আর্টিকেল আপনাকে লিখে দিয়ে দেবে। এবং এ ক্ষেত্রে আপনার কোন কপিরাইট সংশ্লিষ্ট অসুবিধা হবে না। এখান থেকে আপনি সম্পূর্ণ ইউনিক একটি আর্টিকেল পেয়ে যাবেন।
স্পিনিং এর অসুবিধা
অনেক ব্যক্তি আছে যারা google স্পিন করে আর্টিকেল লিখে থাকে। এক্ষেত্রে তাদের আর্টিকেলগুলো ইউনিক হয় ঠিকই কিন্তু পরবর্তীতে অনেক সমস্যা হতে পারে। আপনি যদি কোন আর্টিকেল গুগল স্পিন করেন তাহলে সেটি গুগল র্যাংকিং এ আসবে কিনা সেটা অনিশ্চিত। গুগল থেকে স্পিন করে আর্টিকেল লিখলে অনেক সময় সেটি গুগল র্যাংকিং এ আসে না। আর গুগল যদি এটা টেস্ট করতে পারে যে আপনি স্পিন করে করে আর্টিকেল লিখছেন তাহলে আপনার ওয়েবসাইটের পোস্ট নিয়ে আর কখনোই আসবেনা। এটি যেহেতু আর্টিকেল লিখার লিগেল উপায় না সেহেতু এভাবে আর্টিকেল লিখলে পরবর্তীতে আপনার ওয়েবসাইটের ক্ষতি হতে পারে।
স্ক্র্যাপিং কাকে বলে
আমরা এতক্ষণ আর্টিকেল স্পিনিং সম্পর্কে জানলাম, এবার আমরা জানবো স্ক্র্যাপিং কাকে
বলে সে বিষয়ে। যদি আমরা কোন স্ক্র্যাপিং ওয়েবসাইটে গিয়ে, কোন একটি
কিওয়ার্ড দিয়ে দিই তাহলে সেই ওয়েবসাইট আমাদের কিওয়ার্ডের ভিত্তিতে পুরো একটা
আর্টিকেল লিখে দিয়ে দেবে। আর্টিকেল লিখার এই প্রক্রিয়াটিকে আমরা স্ক্র্যাপিং
বলি। আপনি google এ আর্টিকেল স্ক্রাপিং লিখে সার্চ দিলে এমন অনেক ওয়েবসাইট আপনার
সামনে চলে আসবে।
স্পিনিং ও স্ক্র্যাপিং করে আর্টিকেল লিখা যাবে কিনা
আপনি যদি আমাকে পার্সোনালি জিজ্ঞেস করেন যে পিনিং ও ক্রাপিং করে আর্টিকেল লিখা উচিত কিনা? তাহলে আমার উত্তর হবে আপনি যদি ভবিষ্যতে গুগল এডসেন্স থেকে ইনকাম করতে চান, তাহলে কখনোই গুগল স্পিন করে আপনার আর্টিকেল লেখা উচিত হবে না। কারণ এগুলো আর্টিকেল লিখার বৈধ উপায় না আর এটি google ট্রেশ করতে পারলে আপনার ওয়েবসাইট ব্যান্ড হয়ে যেতে পারে।
Buying কীওয়ার্ড র্যাঙ্ক করে টাকা ইনকাম
পোস্টের এ অংশে আমরা আলোচনা করব buying কিওয়ার্ড সম্পর্কে। বাইং কিওয়ার্ড বিষয়টি হলো, মনে করেন কোন ব্যক্তি কোন প্রোডাক্ট সম্পর্কে জানতে গুগলে সার্চ দিল। প্রোডাক্টটি কেমন আসল, নকল চেনার নিয়ম কোথায় পাওয়া যায় ইত্যাদি সম্পর্কে। আর আপনি হয়তো টার্গেট করেন ওই টাইপের কাস্টমারদের যারা এসব লিখে গুগলে সার্চ দেয়।
আরো পড়ুনঃ প্লেজারিজম সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে এখানে চাপ দিন
আপনার ফোকাস সবসময় থাকে এ ধরনের ব্যক্তিদের জন্য পোস্ট লিখ। আপনাদের সুবিধার
জন্য নিচে একটি স্ক্রিনশট এর মাধ্যমে উদাহরণ দিয়ে বিষয়টি আরো সহজ করার চেষ্টা
করা হলো। মনে করেন শীতকালে আমরা অনেকেই আসল খেজুরের গুড় চেনার জন্য গুগলের
সার্চ দিয়ে থাকি, তো এইভাবে যদি আপনি একটি পোস্ট লিখে পোস্টটি google এ
রাংক করাতে পারেন। তাহলে এই বিষয়ে কেউ গুগলের সার্চ দিলে আপনার পোস্টটি সবার
সামনে চলে আসবে।
আপনার পোস্টটি যদি গুগল রাঙ্কিং এ সামনে থাকে তাহলে, পাঠক আপনার পোস্টটি ক্লিক করবে এবং আসল গুড় বা নকল গুড় চেনার নিয়ম সম্পর্কে পড়বে। যেহেতু গুড় সম্পর্কে জানতে সম্পর্কে সার্চ দিয়েছে তার মানে সে হয়তো গুড় কিনতে চাই। যদি এমনটাই হয় তাহলে আপনি এই লোকগুলোর কাছে গুড় বিক্রি করতে পারবেন। আপনার যদি নিজস্ব খেজুরের ব্যবসার না থাকে তাহলে আপনি অন্যের ব্যবসা এখানে প্রমোট করে দিতে পারেন।
আরো পড়ুনঃ পোস্টের মধ্যকার গ্রামাটিকাল ভুল সংশোধনের নিয়ম
পাশে একটি লিংক দিয়ে দিতে পারেন যে এখানে ১০০ ভাগ নির্ভেজাল খেজুরের গুড় পাওয়া যায় বলে। এভাবে buying কিওয়ার্ড বিক্রি করার মাধ্যমে আপনি অর্থ উপার্জন করতে পারেন। আপনি যদি অন্য কারো ব্যবসা আপনার পোষ্টের মধ্যে প্রমোট করেন তাহলে আপনার পোস্ট দেখে যারা যারা খেজুরের গুড় কিনবে তার উপরে ভিত্তি করে কমিশন হিসেবে ওই ব্যবসায়ীর কাছ থেকে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ নিতে পারেন।
লং টেল কিওয়ার্ড
যে কোন পোস্ট বা আর্টিকালের আরেকটি অপরিহার্য অংশ হলো কিওয়ার্ড। আমরা আগের পোস্টগুলো থেকে কিওয়ার্ড সম্পর্কে জেনেছি। তাহলে আজকে চলুন আলোচনা করা যাক লং টেল কি ওয়ার্ড সম্পর্কে। লং টেল কথাটি শুনেই হয়তো বা আপনারা অনেকে ধারণা করতে পারছেন যে এটি কি ধরনের কিওয়ার্ড হতে পারে। মানুষ যখন ভূগোলে কোন কিছু সম্পর্কে সার্চ দেয় তখন সাধারণত ছোট ছোট কিওয়ার্ড দিয়ে বেশি সার্চ দেয়।
মনে করেন কেউ URL সম্পর্কে জানে না এ বিষয়ে জানার জন্য সে, গুগলে সার্চ দিয়েছি
তাহলে সে কি লিখে সার্চ দিবে? এটি জানার জন্য বেশিরভাগ মানুষই ইউআরএল কি, এটি
লিখে সার্চ দিবে। এখানে, URL কি? এটা হল একটি শর্ট টেল কিওয়ার্ড।
তাহলে এটিকে লং তেল কিওয়ার্ড করতে হলে কি করতে, হয় এটিকে যদি আমরা লং টেল
কিওয়ার্ড বানাতে চাই তাহলে URL কি ,এর সাথে আমরা যুক্ত করে দিতে পারি ইউ আর এল
এর কাজ বা url কি ব্যাখ্যা কর, তাহলে এটি লং টেল কিওয়ার্ড হয়ে যাবে। আরো
সহজভাবে যদি বলা যায় তাহলে বলতে হয় যে কিওয়ার্ডগুলো তে মাত্র দুইটা শব্দ থাকে
সেগুলোকে শর্ট টেল কিওয়ার্ড বা জাস্ট কিওয়ার্ড বলে। আর যেগুলোতে দুইয়ের
বেশি শব্দ থাকে সেই সকল কিওয়ার্ডগুলোকেওয়ার্ড বলে। শর্ট তেল কিওয়ার্ডের সার্চ
ভলিউম বেশি থাকে।
কোন ধরনের কিওয়ার্ড দিয়ে পোস্ট লেখা উচিত
যেহেতু শর্ট টেল কিওয়ার্ড দিয়ে মানুষ বেশি সার্চ দেয়, সেক্ষেত্রে শর্ট টেল
কিওয়ার্ডের সার্চ ভলিয়ম বেশি থাকে। কিন্তু আপনি যদি পোস্ট লিখার শুরুর
দিকে থাকেন, এই ধরুন যেমন আপনি সবে মাত্র পোস্ট লিখা শুরু করেছেন সে ক্ষেত্রে
আপনার লং টেল কিওয়ার্ড নিয়ে কাজ করা মোটেও উচিত হবে না। কারণ যেহেতু অনেক
মানুষ শর্ট টেল কি ওয়ার্ড নিয়ে কাজ করে, তাই আপনি হঠাৎ করেই শর্ট
টেল কিওয়ার্ড দিয়ে পোস্ট লিখে, SEO রেংকিং এ পোস্ট গুলো
শুরুতে আনতে পারবেন না।
অন্যদিকে যেহেতু লং টেল কিওয়ার্ড নিয়ে বেশি মানুষ লিখালি করে না সে ক্ষেত্রে,
আপনি যদি লংপেল কিওয়ার্ড নিয়ে পোস্টবভার্টিকেল লিখেন তাহলে এগুলো খুব সহজেই
google রেংকিং এর সামনে চলে আসবে। এরপর আপনি যখন দেখবেন যে আপনার সাইটে একটি ভালো
পরিমানের ভিউয়ার রেগুলার আসা যাওয়া শুরু করেছে তখন আপনি আস্তে আস্তে শর্ট
কিওয়ার্ড নিয়ে কাজ শুরু করতে পারেন।
আর্টিকেল রাইটিং স্ট্র্যাটিজি
এবার আমরা আলোচনা করব আর্টিকেল লেখার স্ট্রাটিজি সম্পর্কে। আমরা যখন কোন আর্টিকেল লিখি তখন কি আমরা আগে থেকে সে বিষয়ে জেনে রাখি বা সে বিষয়ে এক্সপার্ট থাকি ? না, আমরা যখন কোন বিষয়ে আর্টিকেল লিখি তখন সে বিষয়ে আমরা এক্সপার্ট থাকি না। আর্টিক্যাল লেখার সময় আমরা বিষয়বস্তুটির সম্পর্কে গুগলে সার্চ দি এবং সে বিষয়ে ধারণা নেই।
আরো পড়ুনঃ স্ক্রিনশটের উপর ওয়াটার মার্ক দেয়ার নিয়ম
গুগলে সার্চ দিয়ে আমরা দেখি সে কিওয়ার্ড এর সার্চ ভলিউম কেমন, কোন
আর্টিকেলের জন্য আমরা যে কিওয়ার্ড চিন্তা ভাবনা করি সেটা যদি গুগল সার্চ দিয়ে
দেখি যে এর কোন ভ্যালু নেই বা কেউ এটি লিখে সার্চ দেয় না তখন আমরা এ বিষয়ে
লেখালেখি করি না। আর যদি দেখি যে এই কিওয়ার্ড গুলো দিয়ে মানুষ সার্চ দেয় বা
এগুলো সম্পর্কে জানতে চাই তখন আমরা সেই কিওয়ার্ড টা নিয়ে লেখালেখি করি।
কীওয়ার্ড নির্বাচন
পোস্ট বা আর্টিকেল এর ক্ষেত্রে কিওয়ার্ড নির্বাচন খুবই একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আমাদের পোষ্টের যদি না থাকে তাহলে, মানুষ সার্চ দিয়ে আমাদের পোস্টগুলো খুজে পাবেনা বা আমাদের পোস্টগুলো গুগলের SEO রেংকিং এ আসবে না। আপনি যদি একেবারেই না জানেন যে কিওয়ার্ড কিভাবে নির্বাচন করতে হয় তাহলে সে ক্ষেত্রে, আপনি যে বিষয় নিয়ে আর্টিকেল লিখবেন ভাবছেন সে বিষয়টি লিখে গুগলে সার্চ দিলেই দেখবেন এ বিষয়ে করে অনেকগুলো সাজেশন চলে আসছে।
এই সাজেশন গুলোর মধ্যে থেকে আপনি ইচ্ছামতন কিওয়ার্ড নির্বাচন করতে পারেন, এবং এই
কীওয়ার্ডগুলো নিয়ে লিখালিখি শুরু করতে পারেন। গুগলের সার্চ
দিলে কিওয়ার্ডের সাজেশন গুলো কিভাবে আসে সেটি দেখানোর জন্য নিচে একটি
স্ক্রিনশট আপনাদের সাথে শেয়ার করা হলো,
এভাবে গুগলে সার্চ দিয়ে আপনি ফোকাস কিওয়ার্ড অথবা কীওয়ার্ড নির্বাচন করতে
পারেন আপনার পোষ্টের জন্য। আশা করি বুঝতে পেরেছেন কিভাবে আপনি কিওয়ার্ড নির্বাচন
করবেন।
এই পোষ্টের মধ্যে স্বল্প পরিসরে আপনাদেরকে জানানোর চেষ্টা করেছি কোন বিষয়গুলো
ভবিষ্যতে আপনার ওয়েবসাইটের ক্ষতি করতে পারে এবং কোন বিষয়গুলো খেয়াল করে
লিখলে আপনার ওয়েবসাইট টি সহজে seo ranking এ আসতে পারে। আশা করি এই তথ্যগুলো
আপনার ওয়েবসাইটের ক্ষেত্রে ভবিষ্যতে অনেক উপকারে আসবে।
নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন
comment url