পোষ্টের মধ্যে আপলোড করা স্ক্রিনশট - গ্রামাটিকাল চেকার - কপিরাইটিং - প্লেজারিজম সম্পর্কে আলোচনা

পোস্ট বা আর্টিকেল লেখার সময় শুধু মূল পোস্টটি ভালোভাবে লিখলেই হয় না , এর সঙ্গে আনুষঙ্গিক কিছু বিষয় খেয়াল রাখতে হয়। আর আমরা যদি এই বিষয়গুলো হালকা ভাবে দেখি, তাহলে বিভিন্ন সময়  আমাদেরকে অনেক ভোগান্তি বা অসুবিধা পোহাতে হতে পারে। আপনাদেরকে এই অনাকাঙ্ক্ষিত অসুবিধার হাত থেকে সাবধান করাই আজকে আমার এ পোষ্টের মূল্য।

আমরা যদি অনাকাঙ্ক্ষিত ভোগান্তি বা অসুবিধা গুলো পোহাতে না চাই, তাহলে কিছু বেসিক নিয়ম-কানুন আমাদের মাথায় রাখতে হবে। যেমন প্লেজারিসম কেন করা যাবে না, আমাদের পোস্টগুলো কেউ কপি করেছে কিনা বা আমাদের লেখাগুলো অন্য কারও লেখার সাথে কপি হয়ে যাচ্ছে কিনা ইত্যাদি বিষয়গুলো। তাই আমরা আজ এ বিষয়গুলো নিয়ে পোস্টের ভেতরে আলোচনা করব। আর এ বিষয়গুলো জানতে হলে পুরো পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।

আলোচনার বিষয়বস্তু সমূহঃপোষ্টের মধ্যে আপলোড করা স্ক্রিনশট, গ্রামাটিকাল চেকার, কপিরাইটিং , প্লেজারিজম সম্পর্কে আলোচনা।

স্ক্রিনশট এর প্রয়োজনীয়তা 

অনেক সময় আমাদেরকে টিউটোরিয়াল এর মতন করে আর্টিকেল বা পোস্ট লিখতে হয়।যেখানে কোন কিছু সম্পর্কে আমাদেরকে বলে দিতে হয় যে , কোন কাজটি কিভাবে করতে হবে , কোথায় ক্লিক করতে হবে , কোথায় চাপ দিয়ে ডাউনলোড করতে হবে ইত্যাদি। এই ধরনের পোস্ট বাটিকের লেখার জন্য, হোস্টেল ভেতরে আমাদের স্ক্রিনশট ব্যবহার করার প্রয়োজন হয়। 

স্ক্রিনশট কিভাবে আপলোড করা উচিত

আমাদের পোস্টের ভেতরে আপলোড করার সময় খেয়াল রাখতে হবে যে, স্ক্রিনশটটি কোন অংশের সেটি যাতে ভালোভাবে বোঝা যায়। স্ক্রিনশট নেওয়ার সময় আমাদেরকে আরো মাথায় রাখতে হবে যে কিভাবে স্ক্রিনশটটি নিলে দেখতে ভালো লাগে। আপনাদের সুবিধার জন্য example হিসেবে দুইটি স্ক্রিনশট এর মাধ্যমে দেখানো হলো, যে স্ক্রিনশট গুলি কিভাবে নিলে দেখতে ভালো লাগবে বা পোস্ট এর ভেতরের স্ক্রিনশট গুলো কিভাবে আপলোড করা উচিত।

আরো পড়ুনঃ Buying কিওয়ার্ড দিয়ে কিভাবে ইনকাম করা যায়।


ধরা যাক , আর্টিকেল লিখার নিয়ম এটি লিখে গুগলে সার্চ দিলে দেখতে কেমন লাগে , সেটি দেখানোর জন্য একটি স্ক্রিনশট নেওয়া হল। নিচে দেওয়া স্ক্রিনশটের পিকচারটি ভালোভাবে দেখলে বুঝতে পারবেন, যে এখানে পুরো স্কিনেরই স্ক্রিনশট নেওয়া আছে যেটি দেখতে মোটেও ভালো লাগছে না।



অপরদিকে একই স্ক্রিনশট এর পিকচার আমরা আরেকভাবে নিয়েছি যেখানে শুধু প্রয়োজনীয় অংশগুলো বাদ দিয়ে ফেলা হয়েছে। নিচের স্ক্রিনশটটিতে অপ্রয়োজনে অংশগুলো বাদ দিয়ে ফেলার কারণে উপরের তুলনায় নিচের স্ক্রিনশটটি দেখতে অনেক ক্লিন এবং প্রফেশনাল মনে হচ্ছে।



পরে আর্টিকেলটিতে আমরা মাত্র দুইটি রেজাল্ট রেখে বাকি সবগুলো ক্রপ করে ফেলেছি, দুইটি রেজাল্ট রাখার কারণ এই যে আর্টিকেল লেখার নিয়ম সম্পর্কে গুগলে সার্চ লেক কোডটা শুরুতে আসে এবং কোনটা পরে আছে সেটা বোঝানোর জন্য দুইটি রেজাল্ট রাখা হয়েছে। স্ক্রিনশট নেয়ার এই টেকনিক গুলোর ব্যাপারে আপনাকে অবশ্যই সচেতন হতে হবে যে, কোন অংশটুকু রাখলে ভালো লাগে এবং কোন অংশটুকু না রাখলেই নয় এ বিষয়ে।

কম্পিউটারের স্ক্রিনশট নেওয়ার নিয়ম

মোবাইল থেকে স্ক্রিনশট নেওয়ার নিয়ম আমরা প্রায় সবাই জানে, আজকে তাই চলুন আমরা জেনে নিই কম্পিউটার থেকে কিভাবে স্ক্রিনশট নেওয়া যায় । কম্পিউটার বা পিসি থেকে বেশ কয়েকটি উপায় স্ক্রিনশট নেওয়া যায় , তবে তার মধ্যে সবচাইতে সহজ নিয়ম হলো আপনি যে পেজটির স্ক্রিনশট নিবেন সেটি প্রথমে আপনার কম্পিউটারের ডিসপ্লের উপর রাখতে হবে। আপনি আপনার ল্যাপটপ বা পিসিতে উইন্ডোজ টেন বা উইন্ডোজ ইলেভেন সেটাই ব্যবহার করুন , স্টার্ট মেনুতে চপ দিন এবং Sniping tool সার্চ করুন।

আরো পড়ুনঃ আর্টিকেল স্পিনিং ও স্ক্র্যাপিং করলে কি অসুবিধা হতে পারে।

Sniping tool অপশনটি আসলে এটিকে আমরা ওপেন করব। ওপেন করা হয়ে গেলে New বাটাম টিতে চাপ দিব এবং যতটুকু অংশের আমরা স্ক্রিনশট নিব সেই অংশটুকু সিলেক্ট করব। স্ক্রিনশট নেওয়ার অংশটুকু সিলেক্ট করলেই স্ক্রিনশট হয়ে যাবে। স্ক্রিনশটটিকে সেভ করার জন্য আমরা উপরের থ্রি ডট মেনট এ ক্লিক করব এবং একটু নিচের দিকে এসে সেভ বাটনটিতে চাপ দিয়ে সেভ করে নেব।

ছবি বা স্ক্রিনশটের উপর ওয়াটার মার্ক দেয়ার নিয়ম

অনেক সময় আমাদের ওয়েবসাইটের ছবি চুরি করে অন্যরা তাদের নিজেদের ওয়েবসাইটে ব্যবহার করে। আমাদের ওয়েবসাইটের এই ছবিগুলো চুরি করার হাত থেকে বাঁচানোর জন্য ,আমরা ছবি বা স্ক্রিনশট গুলোর উপর আমাদের ওয়েবসাইটের নাম লিখেছি গুলো ওয়াটার মার্ক করে দিতে পারি।

এই কাজটি করার জন্য প্রথমে আমাদেরকে ফটোশপ ওপেন করতে হবে, এবং ওপেন অপশনটি থেকে আমরা যে ছবি বা স্ক্রিনশটের উপর ওয়াটার মার্ক করব সেই ছবিটি ফটোশপে নিয়ে আসতে হবে। এবার সাইডে থাকা আইকন গুলোর মধ্যে থেকে আমরা টেক্সট টুল এর ওপর একবার চাপ দিব এবং ছবির উপরে একবার চাপ দিব, এরপর লিখার সাইজগুলো যদি বড় মনে হয় তাহলে আমরা ctrl+a দিয়ে সিলেক্ট করে লেখার সাইটটি ঠিক করে নেব।

এরপর আমরা ভেতরে লেখাগুলো ctrl+a দিয়ে সিলেক্ট করে নিজের ইচ্ছামতন টেক্সট কালার দিয়ে নেব। এবার লেখাগুলো ctrl +a দিয়ে সিলেক্ট করে আমরা আমাদের ওয়েবসাইটের নাম এখানে বসিয়ে দেবে। এবার আমরা ctrl+t একসাথে চাপ দিলে আমাদের ট্রান্সফর্ম সেকশনটি চলে আসবে । ট্রান্সফর্ম সেকশনটি আসলে এর বাইরে মাউস পয়েন্টার রেখে আমরা একটু বাঁকা করে দিব, এবং সাইডে টান দিয়ে আমরা লিখার সাইজ ছোট বড় করে নিতে পারি।

 স্ক্রিনশটের ওপরে আমাদের ওয়েবসাইটের নাম লিখা হয়ে গেলে, নামটাকে আমাদের একটু ঝাপসা করে দিতে হবে ,এই কাজটি করার জন্য আমাদেরকে ডানদিকে চলে আসতে হবে। ডানদিকে আসলে আমরা লেয়ার অপশনের মধ্যে , অপাসিটি নামে আমরা একটি অপশন পাব। এখানে এসে আমরা অফাসিটির মাত্রা কমিয়ে দিব, এমনভাবে কমাবো যাতে করে আমাদের ওয়েবসাইটের নামটা স্ক্রিনশটের উপরে থাকলেও স্ক্রিনশটে লেখা গুলো পড়তে মানুষের অসুবিধা না হয় আবার নামটাও বোঝা যায়।

গ্রামটিকাল বা ব্যাকরণগত ভুল সংশোধন

পোস্ট এর এই অংশে আমরা আলোচনা করব কিভাবে গ্রামটিকাল বা ব্যাকরণগত ভুলগুলো আমরা সমাধান করতে পারি সে সম্পর্ক। লেখালেখি করার সময় যদি আমাদের বাংলা বা ইংরেজি গ্রামাটিকাল বা ব্যাকরণগত ভুল হয়ে থাকে তাহলে সেটি কিভাবে সমাধান করব এবং রিপ্লেস করবো, আসুন এটি জেনে নেওয়া যাক । 

ইংরেজি গ্রামারটিকাল ভুল সংশোধনঃআমাদের ব্রাউজার যেগুলো আছে সেগুলো বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ইংরেজি খুব ভালোভাবে সাপোর্ট করে, বাংলা খুব একটা ভালোভাবে সাপোর্ট করে না। ফলে আমরা আমাদের ইংরেজি গ্রামারটিকাল  error চেক গুলো আমরা ব্রাউজার ইন্টারফেসর করতে পারব। আর আমরা যদি বাংলা ব্যাকরণগত গুলো ঠিক করতে চাই তাহলে আমরা যে কোন ব্রাউজার দিয়ে এটি করতে পারব না। এক্ষেত্রে আমাদেরকে যেটা করতে হবে, সেটি হল আমাদেরকে আলাদা করে কোন এক্সটেনশন যুক্ত করতে হবে।

আরো পড়ুনঃ কিভাবে কিওয়ার্ড নির্বাচন করতে হয়। 

আমরা যখন ইংরেজিতে কোন পোস্ট লিখব তখন যদি কোন গ্রামটিকাল ভুল থাকে তাহলে ভুল গুলোর নিচে লাল কালি দিয়ে আন্ডারলাইন করা থাকবে্এ‌টা দেখে আমরা বুঝতে পারব যেখানে কোন গ্রামটিকাল ভুল আছে। এরপরেও আপনি যদি বুঝতে না পারেন সে আসলে আপনার কি ভুল আছে তাহলে, আপনি আন্ডারলাইন করা লেখাগুলোর উপরে মাউস পয়েন্টার নিয়ে গিয়ে আপনি যদি রাইট ক্লিক করেন , তাহলে যে লোডিং ডিকশনারি উঠবে সেখানে বানানটির আপনি বেশ কয়েকটি অপশন দেখতে পাবেন। এখান থেকে আপনি সঠিক বানানটি বেছে নিতে পারেন পারেন। এইভাবে আপনি আপনার ব্রাউজার থেকে ইংরেজি ভুল বানান গুলো সংশোধন করে নিতে পারবেন।

বাংলা ব্যাকরণগত ভুল সংশোধনঃ বাংলা বানান সংশোধন করার জন্য আপনাকে যে কাজটি করতে হবে সেটি হল, যখন আপনি পোস্টটি শুরুতে ড্রাইভ আকারে বর্ণনা লিখবেন, হে লেখাটি আপনি চাইলে অভ্রর স্পেল চেকার এর মধ্যে লিখতে পারেন। আপনার কম্পিউটারে যদি অভ্র ইনস্টল করা থাকে তাহলে আপনি স্টার্ট মেনুর উপরে চাপ দিন ।

এবার সার্চ বারে গিয়ে অভ্র স্পেল চেকার খুজে বের করুন। এবার আপনি অভ্র স্পেল চেকার এর মধ্যে যদি কোন কিছু লিখে স্পেল চেক এর ওপরে চাপ দিই তাহলে, যে বানানগুলো আমাদের পোষ্টের মধ্যে ভুল আছে সেগুলো লাল কালিতে লেখা উঠবে। এই বানানগুলোর ঠিক করার জন্য আমরা যদি সঠিক বানানটি সিলেক্ট করে চেঞ্জ অল অপশনে ক্লিক করি তাহলে ,যত জায়গায় এই বানানটি ভুল আছে সব জায়গা থেকে ঠিক বানানটি রিপ্লেস হয়ে যাবে। আর যদি চেঞ্জ ওয়ানস এ ক্লিক করি তাহলে শুধু নির্দিষ্ট একটি জায়গা থেকে সঠিক বানানটি রিপ্লেস হবে।

কপিরাইটিং

কপিরাইটিং কথাটি শুনলে প্রাথমিকভাবে আমাদের মনে ধারণা আসে, যে এটি হয়তো বা কপিরাইট বিষয়ক বা কপি পেস্টিং  বিষয়ক কিছু। কপিরাইট বলতে আমরা সবাই জানি কোন কিছু যেমন কোন পোস্ট বা আর্টিকেলের  মালিকানা । কিন্তু কপিরাইট বলতে যা বোঝায় সেটি কপিরাইট বা কপি পেস্টিং এর কোনটি না। এখন আপনার মনে প্রশ্ন আসতে পারে যে , তাহলে কপিরাইট বিষয়টা আসলে কি ? কপিরাইট এই বিষয়টি ব্যাখ্যা করে বোঝানো খুবই কঠিন ,তাই চলুন উদাহরণের মাধ্যমে আপনাদেরকে কপিরাইট বিষয়টি বোঝানো যাক। কপিরাইট ব্যাপারটি বুঝতে হলে আমাদেরকে তিনটি বিয়ষ মাথায় রাখতে হবে। বিষয় তিনটি হলো,

  • Attention
  • Promise
  • Call to action

Attention : মনে করুন, আপনি ফেসবুক স্কুল করতে করতে কোন একটা অফার যেমন ধরুন ফ্রিতে ডিজিটাল মার্কেটিং করার কোর্স এইরকম কিছু একটা। এই অফারটি দেখে আপনার মনে হতে পারে ফ্রিতে ডিজিটাল মার্কেটিং কোর্স ? দেখা যাক কি আছে এর ভেতরে। ভেতরে দেখে আপনার মনে হল এটিতে আপনি কাজ শিখতে আগ্রহী, তখন আপনি নিশ্চয়ই এটি সম্পর্কে বিস্তারিত পড়ার জন্য পোস্টে ক্লিক করবেন ।  বিস্তারিত পোস্টটি পড়ে আপনি এই কাজটি করার জন্য আকৃষ্ট হয়ে গেলেন, এবং ভর্তি হওয়ার জন্য লিংকে চাপ দিয়ে ভর্তি হয়ে গেলেন ।

এই সম্পূর্ণ ব্যাপারটি আসলে নির্ভর করবে আপনার কপি রাইটিং এর উপর। আপনি যত ভালোভাবে আপনার পোস্টটি কপিরাইট করতে পারবেন আপনার বিভিন্ন পোস্ট বা বিভিন্ন জিনিস পিকনির ক্ষেত্রে তত উপকারী হবে । আর আপনার কপিরাইট যদি ভালো না হয় তাহলে , আপনার পোস্টগুলো পড়ে পাঠকেরা আকৃষ্ট হবে না এবং এগুলোকে আপনি বিক্রিও করতে পারবেন না।

আমরা পথে ঘাটে বা সোশ্যাল মিডিয়াতে অনেক বিজ্ঞাপন দেখতে পাই। কিন্তু সব বিজ্ঞাপনে কি আমাদের আকৃষ্ট করে? না, সব বিজ্ঞাপনের প্রতি আমরা আকৃষ্ট হই না কিছু কিছু বিজ্ঞাপন আমাদের আকৃষ্ট করে যেটাকে আমরা Attention বলি। সহজ কথাই বলতে গেলে, একজন কপিরাইটের কাজ হলো পাঠকের টেনশন ক্যাচ করা। পাঠক কি চাই ,না চাই সেটি বোঝা এবং সে বিষয়ে লেখালেখি করা।

Promise : আপনি যে সেবা বা পণ্যটি আপনার কাস্টমারদের দিবেন সেটি পেলে তারা যাতে কিছু একটা করতে পারে বা টাকা পয়সা উপার্জন করতে পারে এমন কোনরকম প্রমিসিং কোন কথা আপনি আপনার লেখালেখির মধ্যে রাখবেন। আপনি যদি প্রমিজিং কোন কথা আপনার পোস্টে বা লেখালেখির ভেতরে রাখেন তাহলে, এটি দেখে কাস্টমাররা আপনার পোস্টটি বা সেবাটি কেনার জন্য আগ্রহী হয়ে হবে।

Call to action : যখন আপনি কাস্টমারকে আকৃষ্ট করতে পারবেন , তাদের কাছে প্রমিস করতে পারবেন। তারপরের কাজটি হলে, যেটি দেখে কাস্টমার আকৃষ্ট হয়েছে সেই সেবাটি বা পোস্টটি তাদের হাতে তুলে দেওয়া বা তাদের কাছে বিক্রি করে দাওয়া এটিকে আমরা কল টু অ্যাকশন বলে থাকি ।

আপনাদের বোঝার সুবিধার জন্য আরো সহজ ভাবে বলা যায়, কপিরাইট জিনিসটা হচ্ছে কোন ব্যক্তির মনোযোগ আকৃষ্ট করে, তার কাছে প্রমিজিং কিছু বলে, এর মাধ্যমে কোন সেবা বা পণ্য বিক্রি করাই হলো কপিরাইট।

প্লেজারিজম

এবার আপনাদের সাথে প্লেজারিজম সম্পর্কে আলোচনা করা যাক, মনে করেন আপনি আপনার ওয়েবসাইটে কিছু একটা পোস্ট করেছেন। সেই পোস্টটা অন্য কোন ব্যক্তি চুরি করে তার ওয়েবসাইটে নিজের নাম দিয়ে চালিয়ে দিয়েছি। হতে পারে সেই ব্যক্তি আপনার পোষ্টের সম্পূর্ণ, অর্ধেক বা আংশিক কপি করেছে এবং আপনার ওয়েবসাইট থেকে কপি করার পরেও আপনাকে কোন ক্রেডিট দেয়নি। তাহলে, বুঝতেই পারছেন আপনার লেখা গুলো কেউ চুরি করে অন্যের ওয়েবসাইটে চালিয়ে দেওয়ায় বা অন্যের ওয়েবসাইটের লেখা বা ছবি কপি করে এনে , ওয়েবসাইটের আর আসল মালিককে কোন ক্রেডিট না দিয়ে, নিজের ওয়েবসাইটে চালিয়ে দেওয়ার নামই হচ্ছে প্লেজারিজম।

প্লেজারিজম করা যাবে না

যেহেতু প্লেজারিজম একটি অপরাধ মূলক কাজ, সেজন্য এই কাজটি কেউ করলে এর বিরুদ্ধে আপনি আইনানুগ ব্যবস্থা  নিতে পারবে। আপনার ওয়েবসাইট থেকে কেউ প্লেজারিজম করলে আপনি তাকে, কপিরাইট স্ট্রাইক দিতে পারবেন। একইভাবে আপনিও যদি আবার অন্য কারো ওয়েবসাইট থেকে কোন কিছু চুরি বা প্লেজারিজম করেন তবে সেই ব্যক্তিও আপনার নামে কপিরাইট স্ট্রাইক দিতে পারবে। আর আমরা সকলেই জানি, যে কপিরাইট আইনে অভিযুক্ত হওয়া মানেই সরাসরি জেল। সেজন্য আমাদের  প্লেজারিজম করা মোটেও উচিত না।

আপনার পোস্ট অন্য কেউ চুরি করেছে কিনা কিভাবে বুঝবেন

আমাদের পোস্টগুলো চুরি করে কেউ অন্যের ওয়েবসাইটে নিজের বলে চালিয়ে দিচ্ছে কিনা সেটা চেক করার জন্য আমাদের যে কাজটি করতে হবে সেটি হলো, পোস্টের লিংকটি কপি করে অন্য একটি ওয়েবসাইটে আসতে হবে। যেই ওয়েবসাইটটির নাম হল Copyscape.com 

এই ওয়েবসাইটে আসার পরে আমাদের কাজ হবে ,আমরা যেই পোস্টের লিংকটা কপি করেছিলাম সেটা ওয়েবসাইটের ভেতরে পেস্ট করা। ওয়েবসাইটের ভেতরে পেস্ট করার পরে গো বাটনে চাপ দিলে, কেউ কপি করেছে কিনা সেই রেজাল্ট আমরা দেখতে পাবো। আমাদের ওয়েবসাইটের পোস্ট যদি কেউ কপি না করে তাহলে, no result found লিখাটি চলে আসবে। কিন্তু এই ওয়েবসাইটের  একটি সমস্যা হল, যে এটি প্রিমিয়াম থিম ছাড়া অন্য কোন থিমে ভালো কাজ করে না।

আপনি যদি বেসিক থিম ব্যবহার করে থাকেন, এবং বেসিক থিম থেকে দেখতে চান যে কেউ আপনার পোস্ট বা লিখাগুলো চুরি করেছে কিনা, চলুন আমরা এবার এ বিষয়টি জেনে নেই। আপনি যেই পোস্টটি চেক করে দেখতে চান সেই পোস্টটির কিছু অংশ, কপি করে গুগলে সার্চ দিয়ে দেখতে পারেন যে আপনার লেখাটি কেউ চুরি করেছে কিনা। 

কেউ যদি আমাদের ওয়েবসাইটের লেখাগুলো চুরি করে থাকে, তাহলে গুগলে সার্চ দিলে যেই যেই ওয়েবসাইট আমাদের লেখাগুলো চুরি করেছে সেগুলো সামনে চলে আসবে। এবং রেজাল্ট গুলো দেখে খুব সহজেই বুঝতে পারব কোন কোন ওয়েবসাইট আমাদের তথ্যগুলো চুরি করেছে। আপনাদের সুবিধার জন্য নিচে একটি স্ক্রিনশট এর মাধ্যমে দেখানো হলো গুগলে সার্চ দিলে কেমন ভাবে তথ্য চুরি হওয়ার রেজাল্টগুলো আমাদের সামনে চলে আসে।

এই পোষ্টের সংক্ষিপ্ত লিখার মধ্যে দিয়ে চেষ্টা করেছি আর্টিকেলর মধ্যে স্ক্রিনশট আপলোডের প্রয়োজনীয়তা, কিভাবে স্ক্রিনশট দিলে ভালো হয় , প্লেজারিজম কেন করা যাবে না, আমাদের পোস্টগুলো চুরি হয়েছে কিনা সেগুলো দেখার নিয়ম ইত্যাদি সম্পর্কে। আশা করছি পোস্ট বা আর্টিক্যাল লিখার এই নিয়ম কানুন গুলো আপনার অনেক উপকারে আসবে এবং এই বিষয়গুলি কাজে লাগিয়ে আপনি একটি ভালো পোস্ট লিখতে পারবেন।


এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন

comment url