ব্রণ দূর করার উপায় - তৈলাক্ত ত্বকের ব্রণ দূর করার উপায়

আমাদের চেহারার সৌন্দর্য নষ্ট করার জন্য ছোট্ট একটি ব্রণই যথেষ্ট, এই কারণে আমাদের চেহারায় বা ত্বকে ব্রণ কারোরই কাম্য নয়। ব্রণ সাধারণত হরমোনাল প্রবলেম হয়ে থাকলেও কিছু টিপস বা পদ্ধতি অনুসরণের মাধ্যমে এর প্রকোপ কমিয়ে আনা সম্ভব। তাই আজকে আমরা জানবো ব্রণ দূর করার উপায় এবং তৈলাক্ত ত্বকের ব্রণ দূর করার উপায় সম্পর্কে।

ব্রণের সমস্যা নিয়ে আমরা অনেকেই বুঝে থাকি বিশেষ করে টিনেজ বয়সের ছেলেমেয়েরা। বিভিন্ন কারণেই ত্বকের ব্রণের সমস্যা দেখা দিতে পারে , আজকের এই পোস্টটি যদি আপনি মনোযোগ সহকারে পড়েন তাহলে এই পোস্টের মাধ্যমে ব্রণ দূর করার উপায় গুলো সম্পর্কে জানতে পারবেন এবং আরো জানতে পারবেন তৈলাক্ত ত্বকের ব্রণ দূর করার উপায়। কিভাবে সাত দিনে ব্রণ দূর করা যায় সেই সম্পর্কেও বিস্তারিত আলোচনা রয়েছে । ব্রণ দূর করার উপায় বা তৈলাক্ত ত্বকের ব্রণ দূর করার উপায় গুলো বিস্তারিত জানতে হলে পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়ুন।

সূচিপত্রঃব্রণ দূর করার উপায় - তৈলাক্ত ত্বকের ব্রণ দূর করার উপায়

ব্রণ দূর করার উপায়

ব্রণের সমস্যায় ভুগতে হয় প্রায় অনেককেই। ব্রণ হলো এক ধরনের হরমোনাল প্রবলেম। বিভিন্ন বয়সী মানুষের মধ্যে ব্রণের সমস্যা থাকলেও যারা উঠতি বয়সে তাদের ক্ষেত্রে এই সমস্যাটি বেশি দেখা যায়। আজকে আমরা জানবো ব্রণ দূর করার উপায় সম্পর্কে। আপনার যদি ব্রণের সমস্যা থেকে থাকে তাহলে কি নিয়ে দুশ্চিন্তার কোনো কারণ নেই কারণ আপনি আপনার ঘরে থাকা বিভিন্ন উপকরণ দিয়েই খুব অল্প সময়ের মধ্যে সারিয়ে নিতে পারবেন ব্রণের সমস্যা। ভাবছেন কি সেই ঘরোয়া উপকরণ যেগুলোর মধ্যে দিয়ে সহজে ব্রণ সারিয়ে তোলা যায় , দুশ্চিন্তার কোনো কারণ নেই এই বিষয়টি এখনই আপনাদের জানিয়ে দিচ্ছি। ঘরোয়া উপকরণ দিয়ে ব্রণ দূর করার উপায় গুলো যারা জানেন না , তারা পোস্টের এই অংশটি পড়ুন এবং জেনে নিন গ্রহণ দূর করার উপায় গুলো।

লবঙ্গ এবং টক দইঃ লবঙ্গ ব্রন দূর করতে খুবই উপকারী একটি উপাদান। প্রথমে কয়েকটি লবঙ্গ গুড়া করে নিন অথবা পেস্ট তৈরি করে নিন এর সাথে কিছুটা টক দই মিশিয়ে ব্রনের স্থানগুলোতে লাগিয়ে রাখুন।১৫-২০ পরে প্যাকটি শুকিয়ে গেলে পানি দিয়ে মুখ ভালোভাবে পরিষ্কার করে ফেলুন। এই প্যাকটি নিয়মিত কিছুদিন ব্যবহার করলে ব্রণের সমস্যা সমাধান হবে।

টুথপেস্টঃ টুথপেস্ট দিয়েও আপনি সারিয়ে ফেলতে পারেন আপনার মুখের ব্রণ। প্রথমে অল্প পরিমাণে টুথপেস্ট হাতে নিয়ে সেটি পুরো মুখে মাখিয়ে রাখুন অথবা যেই স্থানগুলোতে ব্রণ দেখা দিয়েছে সেই ব্রনের উপরে টুথপেস্ট মাখিয়ে কিছুক্ষণ রেখে দিন নিয়মিত কয়েকদিন করলে টুথপেস্ট দূর করতে খুব ভাল ফল পাবেন।

শসাঃ চোখের নিচের কালো দাগ দূর করতে বা রূপচর্চার ক্ষেত্রে শসার ভূমিকা আমরা অনেকেই জানি, কিন্তু অনেকে হয়তো বা এটি জানিনা যে শসা মুখের বা ত্বকের ব্রণ দূর করতেও অনেক ভালো কাজ করে। ব্লেন্ডারে শসা ব্লেন্ড করে অথবা শসার রস বের করে সেটি ব্রনের স্থানে বা মুখে লাগিয়ে রাখুন এতে আপনার ব্রণের সমস্যা দূর হবে। আর শসার পেস্ট তৈরি করা বা ব্লেন্ড করা যদি ঝামেলা মনে করেন তাহলে শসা কেটে কিছুক্ষণ পানির মধ্যে ভিজিয়ে রেখে সেই পানিটি দিয়ে মুখ ধুলেও ব্রণের ক্ষেত্রে অনেক উপকার পাওয়া যায়।

রসুনঃ ব্রণের সমস্যা দূর করতে রসুনের ভূমিকা অপরিসীম। রসুন কেটে বা রসুনের পেস্ট তৈরি করে ব্রণের স্থানগুলোতে লাগিয়ে রাখুন। এভাবে ব্রণের উপরে রসুন এর রস কয়েকদিন লাগিয়ে রাখলে দেখবেন কত দ্রুত আপনার মুখে ব্রণ সেরে যাবে।

গ্রিন টিঃ ব্রণের সমস্যা দূর করতে বা ব্রণ সারাতে গ্রিন টি ও খুব ভালো কাজে দেয়। গ্রিন টি বানিয়ে সেটি ভালোভাবে ঠান্ডা করে ব্রণের ওপরে লাগিয়ে রাখুন অথবা গ্রিন টি বানানোর পরে টি ব্যাকটি ফ্রিজে রেখে কিছুক্ষণ ঠান্ডা করে ব্রণের ওপরে দিয়ে রাখুন। এই পদ্ধতিটি কয়েকদিন নিয়মিত ফলো করলেই আপনার ব্রণের সমস্যা দূর হয়ে যাবে।

এছাড়াও ব্রণ দূর করার জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করুন এবং রাতে পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুমের ব্যবস্থা করুন। ব্রণ সারাতে প্রতিদিন এক টুকরো বরফ কিউব তোকে বুঝতে পারেন অথবা লেবুর রস পানির সাথে মিশিয়ে তুলার সাহায্যে ব্রণের স্থানগুলোতে লাগিয়ে রাখতে পারেন এই পদ্ধতি গুলো অনুসরণ করলে আপনার মুখের কালো দাগের পাশাপাশি ব্রণের সমস্যাও দূর হবে। আশা করছি ঘরোয়া পদ্ধতিতে ব্রণ দূর করার উপায় গুলো বুঝতে পেরেছেন।

তৈলাক্ত ত্বকের ব্রণ দূর করার উপায়

যেকোনো ধরনের তকেই ব্রণের সমস্যা দেখা দিলেও তৈলাক্ত ত্বকে ব্রণের সমস্যা একটু বেশি দেখা যায়। এবং তৈলাক্ত ত্বকে যদি একবার ব্রণের সমস্যা দেখা দেয় তাহলে সেটি সারিয়ে তোলা বেশ ঝামেলার বা পরিচর্যার বিষয় হয়ে দাঁড়ায়। তৈলাক্ত ত্বকে বেশি ব্রণ হওয়ার অন্যতম কারণ হলো ধুলোবালি। অন্যান্য যে কোন ত্বকের চাইতে তৈলাক্ত ত্বকে ধুলোবালি আটকাই এবং এই ধুলাবালি থেকে সৃষ্টি হয় ব্রণের সমস্যা। যারা অয়েলি স্কিন বা তৈলাক্ত ত্বকের ব্রণের সমস্যা নিয়ে ভুগছেন তারা জেনে নিন তৈলাক্ত ত্বকের ব্রণ দূর করার উপায়। পোস্টের এই অংশটি পড়ার মাধ্যমে আপনি জেনে যাবেন তৈলাক্ত ত্বকের ব্রণ দূর করার উপায় সম্পর্কে এবং খুব সহজেই তৈলাক্ত ত্বকের ব্রণ দূর করতে পারবেন। চলুন তাহলে আর কথা না বাড়িয়ে তৈলাক্ত ত্বকের ব্রণ দূর করার উপায় গুলো জেনে নেওয়া যাক।

আরো পড়ুনঃ শুষ্ক ত্বকের যত্ন নেওয়ার উপায়

টুথপেস্টঃ তৈলাক্ত ত্বক থেকে ব্রণ দূর করার অন্যতম সহজ পদ্ধতি হলো টুথপেস্ট ব্যবহার। টুথপেস্ট ত্বকের তৈলাক্ত ভাব দূর করতে ভীষণভাবে সাহায্য করে। একটু টুথপেস্ট নিয়ে যদি ব্রণের স্থানগুলোতে লাগিয়ে রাখেন তাহলে তৈলাক্ত ত্বক থেকে ব্রণ দূর করতে এটি খুবই ফলদায়ক হবে। তবে প্রথমে বা শুরুর দিকে অল্প মাত্রায় টুথপেস্ট ব্যবহার করা ভালো

লেবু এবং মধুর রসঃ তৈলাক্ত ত্বকের ব্রণ দূর করার উপায় হিসেবে লেবু এবং মধুর রস দুটোই খুবই উপকারী। লেবু এবং মধুর সমান মাত্রায় একটি বাটিতে মিশিয়ে নিন এবার এই মিশ্রণটি ব্রণের স্থানে অথবা পুরা মুখে কিছুক্ষণ লাগিয়ে রাখুন এরপর মুখ পরিষ্কার করে ফেলুন। এই পদ্ধতিটি কয়েকদিন অনুসরণের ফলে আপনার মুখের অয়েলি ভাবও অনেক কমে আসবে এবং মুখের ব্রণের সমস্যাও দূর হবে।

চন্দন পাউডার ও গোলাপ জলঃ আপনি যদি তৈলাক্ত ত্বকে ব্রণের সমস্যা নিয়ে ঝামেলায় থাকেন তাহলে আপনার জন্য খুব সহজে একটি সমাধান হলো চন্দন পাউডার ও গোলাপ জলের প্যাক। ঝামেলা মুক্তভাবে চন্দন পাউডার এবং এর মধ্যে দুই এক চামচ গোলাপ জল মিশিয়ে একটি প্যাক তৈরি করে নিন এবং আপনার পুরো মুখে এই প্যাকটি কিছুক্ষণের জন্য লাগিয়ে রাখুন , কয়েকদিন নিয়মিত এই পদ্ধতিটির ফলো করে দেখুন আপনার তৈলাক্ত স্কিন থেকে ব্রণের সমস্যা অনেকটাই কমে যাবে এবং ত্বকের তৈলাক্ত ভাব অনেকটাই দূর হবে।

বেসন ও টক দইঃ রূপচর্চার কাজে বেসনের ব্যবহার দীর্ঘদিন ধরে চলে আসছে , ওয়েলি স্কিন থেকে ব্রণের সমস্যা দূর করতে আমাদের মাথায় রাখতে হবে বেসনের কথা কারণ অয়েলি স্কিন থেকে ব্রণ দূর করতে বেসন খুবই সহজলভ্য এবং উপকরণ। বেসনের সাথে টক দই মিশিয়ে একটি পেজ তৈরি করুন এর সাথে আপনি চাইলে কিছুটা হলুদ এবং মধু ও মিশিয়ে নিতে পারেন উপকরণগুলো একসাথে ভালোভাবে মিশিয়ে মুখের ত্বকে লাগিয়ে রাখুন। শুকিয়ে গেলে ঠান্ডা পানি দিয়ে ভালোভাবে মুখ ধুয়ে ফেলুন এটি আপনার মুখের রোদে পোড়া দাগ দূর করতে এবং তৈলাক্ত ত্বক থেকে ব্রণের সমস্যা দূর করতে ভীষণ কার্যকরী হবে।

এছাড়াও তৈলাক্ত ত্বকের ব্রণ দূর করার উপায় হিসেবে যে কাজগুলো করতে হবে সেগুলো হল দিনের মধ্যে কয়েকবার পরিষ্কার পানি দিয়ে মুখ ধুতে হবে এবং মুখের ত্বকে টমেটোর রস লাগিয়ে রাখতে পারন কারণ টমেটো স্কিন থেকে ওয়েল দূর করতে খুব কার্যকরী এবং এটি আপনার ত্বকের প্রাকৃতিক ব্রিজ হিসেবে কাজ করবে এবং আপনার ত্বকের লোমকূপের গোড়াগুলো পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করবে।

ছেলেদের মুখের ব্রণ দূর করার উপায়

ব্রণ উঠতি বয়সের ছেলেমেয়েদের কমন একটি সমস্যা। এবং অনেকের ক্ষেত্রে এই সমস্যাটি দীর্ঘ মেয়াদ প্রবলেম হিসেবে দেখা দেয়। উঠতি বয়সের ছেলেদের বা মেয়েদের ক্ষেত্রে হরমোনের তারতম্যতার কারণে সাধারণত এই ব্রণের প্রকোপ দেখা দেয়। ব্রণ দূর করতে মেয়েরা বিভিন্ন ধরনের রূপচর্চা তে থাকলেও সময়ের অভাবে অথবা ধৈর্যের অভাবে ছেলেদের ক্ষেত্রে রূপচর্চার বিষয়টি খুব একটা হয়ে ওঠেনা। এই কারণে পোস্টের এই অংশটি মূলত ছেলেদের মুখের ব্রণ দূর করা উপায় গুলো নিয়ে আলোচনা করব। পোস্টের এই অংশে ছেলেদের মুখের ব্রণ দূর করার কিছু সহজ সমাধান সম্পর্কে জানাবো। যেগুলো অনুসরণ করে খুব সহজে এবং অল্প সময়ের জন্য নিয়মিত ব্যবহার করে ছেলেরা মুখের ব্রণ দূর করে নিতে পারবে। সময় নষ্ট না করে এবার তাহলে ছেলেদের মুখের ব্রণ দূর করার উপায় গুলো জেনে নেওয়া যাক।

আরো পড়ুনঃ রুক্ষ চুল সিল্কি করার উপায়

বরফঃ মুখের ত্বকের ব্রণ দূর করতে ছেলেদের জন্য অত্যন্ত সহজে একটি সমাধান হলো বরফ কিউব কিছুক্ষণ মুখের ত্বকে ঘষা। নিয়মিত যদি মুখের ত্বকে এক টুকরো বরফের কিউব বসা যায় তাহলে খুব দ্রুততম সময়ে এটি ত্বকের ব্রণ দূর করতে বিশেষ ভাবে সাহায্য করবে। ছেলেরা যেহেতু রূপচর্চার পেছনে খুব একটা টাইম দিতে চাই না এই কারণে এই পদ্ধতিতে ব্রন করা তাদের জন্য সবচেয়ে সহজ একটি পদ্ধতি।

ডিমের সাদা অংশ এবং লেবুর রসঃ ছেলেরা দ্রুত ব্রণ সারানোর জন্য ডিমের সাদা অংশ এবং এর সাথে সামান্য কিছু পরিমাণ লেবুর রস মিশিয়ে মুখে কিছুক্ষণের জন্য লাগিয়ে রাখতে পারেন। ডিমের সাদা অংশ এবং লেবুর রস দুটোই খুব তাড়াতাড়ি ব্রণের সমস্যা দূর করতে সাহায্য করবে।

পর্যাপ্ত ঘুমানোঃ মুখের ব্রণ দূর করতে অথবা ত্বক ভালো রাখার প্রথম যে সহজ সমাধানটি সেটি হল পর্যাপ্ত ঘুমানো। আপনার ঘুম যদি পর্যাপ্ত না হয় তাহলে স্কিনে বিভিন্ন ধরনের সমস্যার পাশাপাশি এটি আপনার ব্রণের মাত্রা কে বাড়িয়ে দেবে। তাই ব্রণের সমস্যা থেকে বাঁচতে হলে অবশ্যই আপনার ঘুমের দিকে সিরিয়াস হতে হবে।

পর্যাপ্ত পানি পানঃ পানি আমাদের শরীর থেকে বিভিন্ন ধরনের টক্সিক পদার্থগুলো বের করে দেয় । আর এই কারণে বেশি পানি পান করলে আমাদের ত্বক এবং শরীর স্বাস্থ্য সবই ভালো থাকে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করলে আপনার শরীরের মধ্যে  থেকে বিষক্রিয়া গুলো দূর হবে এবং যার ফলে আপনার ব্রণের সমস্যাও ধীরে ধীরে কমে যাবে।

এছাড়াও ছেলেদের মুখের ব্রণ দূর করার জন্য বারবার মুখ ধোয়ার অভ্যাস করতে হবে যাতে কোন ধুলাবালি ত্বকে না লেগে থাকে এবং সময় মতন পুষ্টিকর ও স্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণের চেষ্টা করতে হবে বাইরের ভাজাপোড়া অথবা অস্বাস্থ্যকর খাবার গুলো সম্পন্ন এড়িয়ে চলতে হবে ,তবেই ব্রণের সমস্যা থেকে সমাধান মিলবে।

লেবু দিয়ে ব্রণ দূর করার উপায়

ব্রণ দূর করতে অত্যন্ত কার্যকরী একটি উপাদান হল লেবু । বিভিন্ন উপকরণের সাথে লেবু এড করে আপনি খুব সহজেই ব্রণ দূর করতে পারেন। ভাবছেন লেবু দিয়ে কিভাবে ব্রণ দূর করা যায়, এত চিন্তিত হয়ে পড়ার কোন কারণ নেই এখনই আপনাদের জানিয়ে দেওয়া হবে লেবু দিয়ে ব্রণ দূর করার উপায়। চলুন তাহলে আর দেরি না করে লেবু দিয়ে ব্রণ দূর করার উপায় গুলো আমরা জেনে নেই। বেশ কয়েকটি পদ্ধতি অনুসরণ করে আপনি লেবু দিয়ে ব্রণ দূর করতে পারেন।

লেবু দিয়ে ব্রণ দূর করাঃ লেবুর সাথে কোন কিছু না মিশিয়েও শুধু লেবুর রস দিয়ে আপনি দূর করে নিতে পারেন আপনার ত্বকের ব্রণ। লেবু থেকে রস বের করে কটন বা তুলার সাহায্যে স্থানগুলোতে লাগিয়ে রাখুন সরাসরি লেবু লাগানো যদি সমস্যা মনে করেন, তাহলে এর সাথে দুই এক চামচ পানি মিশিয়ে নিতে পারেন।

ডিমের সাদা অংশ এবং লেবুর রসঃ ব্রণ দূর করতে দুর্দান্ত দুইটি উপাদান হলো ডিমের সাদা অংশ এবং লেবুর রস। এই উপাদান দুটি ভালোভাবে মিশিয়ে নিন এবং আপনার মুখের ত্বকে কিছুক্ষণের জন্য লাগিয়ে রাখুন। কয়েকদিন এ পদ্ধতি অনুসরণ করলে আপনার মুখের ত্বক থেকে ব্রণের সমস্যা দূর হবে।

লেবুর রস এবং কমলার রসঃ লেবু এবং কমলা দুটোই ভিটামিন সি এ ভরপুর এবং রূপচর্চার জন্য অত্যন্ত কার্যকরী। সমপরিমাণ লেবুর রস এবং কমলার রস ভালোভাবে মিশিয়ে মুখের ত্বকে ব্যবহার করুন আপনি চাইলে এর সাথে কিছুটা বেসন এড করতে পারেন। এই পদ্ধতিতে মুখের ত্বক থেকে কালো দাগ যেমন দূর হবে ব্রণের সমস্যা পাশাপাশি সেরে যাবে।

কাঁচা দুধ এবং লেবুর রসঃ ত্বক পরিষ্কার করতে  কাঁচা দুধের ভূমিকা অনেক বেশি। কাঁচা দুধের সাথে এক চামচ লেবুর রস মিশিয়ে হাতের সাহায্যে অথবা কটনের সাহায্যে আপনার মুখের ত্বকে লাগিয়ে রাখুন আপনার ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ানোর পাশাপাশি ব্রণের সমস্যা সমাধান করতে সাহায্য করবে।

লেবুর রস ও মধুঃ মধু এবং লেবুর রস একসাথে ত্বকে ব্রণের সমস্যার পাশাপাশি কালো ভাবের সমস্যা দূর হবে। লেবু এবং মধু সমপরিমাণে ভালোভাবে মিশিয়ে মুখের ত্বকে ব্যবহার করুন এবং ১৫-২০ মিনিট পরে ঠান্ডা পানি দিয়ে ভালোভাবে মুখ পরিষ্কার করে ফেলুন।

৭ দিনে ব্রণ করার উপায়

দাগহিন এবং ব্রণ মুক্ত চেহারা কার না ভালো লাগে। বিশেষ করে সামনে যখন কোন অনুষ্ঠান বা আয়োজন থাকে তখন আমরা সবাই চাই সকলের মধ্যে নিজেকে একটু আলাদা বা সুন্দর দেখাচ্ছে আর সেই সময় যদি মুখের ত্বকে ব্রণ থাকে তাহলে সেটি হয়ে ওঠে সবচেয়ে বিরক্তিকর একটি বিষয়। এই সমস্যাটি হয়তো বা অনেকেই ফেস করতে হয়। এ কারণে আজকে আপনাদের জানাবো ৭ দিনে ব্রণ  দূর করার উপায় সম্পর্কে। কয়েকটি পদ্ধতি যদি আপনি রেগুলার সাত দিন ভালোভাবে ফলো করতে পারেন তাহলে আশা করা যায় সাত দিনের মধ্যেই আপনার ব্রণ দূর হয়ে যাবে। ৭ দিনে ব্রণ দূর করার উপায় গুলো সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।

গ্রিন টিঃ টি ঠান্ডা করার গ্রিন টি অথবা গ্রিন টি এর ব্যাগটি ব্রণের স্থান সহ গোটা মুখের মাখন এবং গ্রিন টি এর ব্যাগটি ব্রণের স্থানগুলোতে কিছুক্ষণ পরে চেপে ধরে থাকো, এই পদ্ধতিটি রেগুলার সাত দিন অনুসরণ করলে আপনার ব্রণের সমস্যা দূর হয়ে যাবে।

আরো পড়ুনঃ ডার্ক সার্কেল দূর করার উপায়

মধুঃ ব্রণ দূর করতে মধুর মতন কার্যকরী উপাদান খুব কমই রয়েছে। আপনি যদি সাত দিনে ব্রণ দূর করতে চান তাহলে ব্রণের স্থানগুলোতে মধু লাগিয়ে সারা রাতের জন্য রেখে দিন সকালে পরিষ্কার পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। রেগুলার করতে থাকুন সাত দিন পরে দেখবেন আপনার মুখ থেকে সেরে গেছে।

অ্যালোভেরা জেলঃ রূপচর্চার কাজে এলোভেরা জেল কতটা গুরুত্বপূর্ণ সেটা আমরা সকলেই জানি। পাতা থেকে সংগ্রহ করা জেল মুখে অথবা ব্রণের স্থানে নিয়মিত লাগাতে থাকুন। সাত দিনের মধ্যে ধীরে ধীরে আপনার ব্রণের সকল সমস্যা এবং ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা সমাধান হয়ে যাবে।

টমেটোঃ টমেটো আমাদের ত্বকের প্রাকৃতিক ব্লিচ হিসেবে খুব ভালো কাজ করে। তবে টমেটোর রস ব্যবহারের ফলে লোমকূপের গোড়াগুলো পরিষ্কার থাকে এবং ব্রণের সমস্যা অনেক কম হয়। তাই রেগুলার যদি মুখের ত্বকে টমেটোর রস ব্যবহার করা যায় তাহলে আশা করা যায় সাত দিনের মধ্যে আপনার ত্বক থেকে সব ব্রণ গায়েব হয়ে যাবে।

পেঁপেঃ সাত দিনের মধ্যে ব্রণের সমস্যা দূর করার জন্য আপনি ব্যবহার করতে পারেন পেঁপে।  পেঁপের সাথে যদি আপনি কিছু চালের গুড়া মেশাতে পারেন তাহলে এটি ত্বকের স্ক্রাব হিসেবে কাজ করবে,পেঁপে ত্বক পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে। পেঁপের পেস্ট এবং চালের গুড়া এই দুই উপাদান মিশিয়ে একটি প্যাক তৈরি করুন এই প্যাকটি আপনার মুখের ত্বকে লাগিয়ে রেখে শুকিয়ে যাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করুন ঠান্ডা পানি দিয়ে এবার মুখ ভালোভাবে পরিষ্কার করে ফেলে। এভাবে ছয় সাত দিন ব্যবহারের ফলে আপনার ত্বক থেকে ব্রণের সমস্যা পুরোপুরি সমাধান হয়ে যাবে।

আপেলঃ সাত দিনের মধ্যে ত্বক ত্বক থেকে ব্রণের সমস্যা দূর করার জন্য আপেলের পেস্ট অত্যন্ত কার্যকর। আপেল পেস্ট করে ব্রণের স্থানগুলোতে রেগুলার লাগাতে দেখবেন কয়েকদিনের মধ্যেই আপনার সমস্যা একেবারে চলে গেছে। আপেলের পরিবর্তে  আপেল সিডার ভিনেগার পানির সাথে মিশিয়ে তুলার সাহায্য ব্যবহার করতে পারেন।

একরাতে ব্রণ দূর করার উপায়

আমরা চাই ব্রণের সমস্যা আমাদের ত্বক থেকে যত তাড়াতাড়ি দূর করা যায় ততই ভালো। এই কারণে আমরা অনেক সময় এক রাতের মধ্যে ব্রণ দূর করার উপায় খুঁজে থাকে। আজকে আপনাদের সাথে আলোচনা করব এই বিষয়েই। এক রাতের মধ্যে হয়তো বা সম্পূর্ণরূপে গ্রহণ দূর করা সম্ভব নয় কিন্তু এক রাতের মধ্যে ব্রণ অনেকটাই সারিয়ে তোলা সম্ভব। আপনি যদি এক রাতে ব্রণ দূর করার উপায় গুলো খুঁজে থাকেন তাহলে এই পোস্টের এই অংশটি আপনার জন্য। এক রাতে ব্রণ দূর করার উপায় বা এক রাতে ব্রণ কমানোর উপায় যদি আপনার জানা না থাকে বা আপনি যদি জানতে চান তাহলে এই অংশটি মনোযোগ সহকারে পড়ে দেখুন। এক রাতের মধ্যে ব্রণ দূর করতে বা সারিয়ে তোলার জন্য আপনি বেশ কিছু প্যাক ব্যবহার করতে পারেন। নিচে এক রাতে ব্রণ দূর করার কয়েকটি প্যাক আপনাদের জন্য শেয়ার করা হলো আপনি এই ব্যাগগুলোর মধ্যে থেকে সুবিধা অনুযায়ী ব্যবহার করে দেখতে পারেন।

লেবু এবং দারুচিনির প্যাকঃ রাতারাত ব্রণের সমস্যার সারাতে এই প্যাকটি আপনার জন্য ভীষণ ফলপ্রসু হবে বলে আশা করছি। দারুচিনির গুড়্রার সাথে লেবুর রস যুক্ত করুন এবং এই মিশ্রণটি রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে ব্রনের স্থানগুলোতে লাগিয়ে রাখুন।

ডিম এবং লেবুঃ রাতারাতি ব্রণ কমাতে এটি অনেক ভালো কাজ করবে ডিমের সাদা অংশের সাথে লেবুর রস যুক্ত করুন আপনি চাইলে এর সাথে লবঙ্গ অথবা দারুচিনির গুড়াও সামান্য মিশাতে পারে। উপাদান গুলো একসাথে মিশিয়ে ব্রণের স্থানে লাগিয়ে রাখুন। সারারাত লাগিয়ে রাখার পরে সকাল বেলা মুখ দিয়েছে ।

চন্দন গুড়া ,মুলতানি মাটি এবং মধুঃ তিনটি উপাদান ভালোভাবে মিশিয়ে আপনি চাইলে এর মধ্যে কিছুটা গোলাপ জল মেশাতে পারেন , মিশ্রণটি ব্রনের স্থানে লাগিয়ে সারা রাতের জন্য রেখে দিন দিনের বেলা ভালোভাবে মুখ ধুয়ে পরিষ্কার করে নিন। এক রাতের মধ্যে ব্রণ কতটা কমে গেছে আপনি নিজের চোখেই দেখতে পাবেন।

রসুনঃ রসুনের রস বের করে সরাসরি ব্রণের স্থানে লাগিয়ে রাখুন। রসুন ব্রণের স্থানে লাগানো সময় বা কিছুক্ষণ পরে আপনার একটু সমস্যা দেখা দিবে তাহলে জ্বলা পড়া ভাব। কিন্তু ভয়ের কোন প্রয়োজন নেই দুই এক মিনিট পরে দেখবেন এই জ্বালা ভাব অনেকটাই কমে গেছে। রসুন লাগিয়ে রেখে সারারাত শুকাতে দিন সকালে ভালোভাবে মন ধুয়ে ফেলুন দেখবেন রাতারাতি আপনার ব্রন কমে গেছে বা দূর হয়ে গেছে।

টি ট্রি ওয়েলঃ রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে ব্রনের স্থানগুলোতে সরাসরি টি ট্রি ওয়েল লাগান, সকালে উঠে নিজের চোখে দেখতে পাবেন আপনার ব্রণ কতটা কমে গেছে।

মন্তব্য , আশা করছি এই পোষ্টের মাধ্যমে শেয়ার করা ব্রণ দূর করার উপায় গুলো এবং তৈলাক্ত ত্বকের ব্রণ দূর করার উপায় গুলো জেনে এবং এপ্লাই করে আপনি অনেক উপকৃত হবেন বা হয়েছে। ব্রণের সমস্যা দূর করতে পর্যাপ্ত পানি পান এবং পর্যাপ্ত ঘুমানোর পাশাপাশি বারবার মুখ ধোয়ার এবং মুখ পরিষ্কার রাখার চেষ্টা করুন । এছাড়াও ব্রণের সমস্যা থেকে বাঁচতে হলে অবশ্যই ভালো মানের প্রোডাক্টগুলো (যেমন - বিভিন্ন ক্রিম বা মেকআপ) ব্যবহার করুন।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url