উজ্জ্বল ত্বক বা বলতে পারেন গ্লোয়িং স্কিন এর প্রত্যাশা আমাদের সকলেরই
থাকে, উজ্জ্বল ত্বক পাওয়ার জন্য আমরা কত কিছুই না ব্যবহার করে থাকি , কিন্তু
অনেক সময় দেখা যায় আমাদের আসা অনুযায়ী ফল পাওয়া হয় না। আপনাদের এই সকল
সমস্যার সহজ সমাধান করার জন্য নিয়ে এসেছি ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধির উপায়।
ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধির উপায় গুলো জানতে হলে পোস্টটি শেষ পর্যন্ত করে
দেখুন।
আজকের এই পোস্টের মূল আলোচনার বিষয় হলো-ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধির উপায়। ত্বকের
উজ্জ্বলতা বৃদ্ধির সঠিক নিয়ম গুলো যদি আপনার জানা না থাকে তাহলে আপনি, ত্বকের
উজ্জ্বলতা বৃদ্ধির উপায় নামক এই পোস্টটি করার মাধ্যমে বিষয়টি ক্লিয়ার ভাবে
জেনে নিতে পারবেন। এই পোস্টটি পড়লে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধির উপায়
ছাড়াও আপনি আরো যে বিষয়গুলো জানতে পারবেন সেগুলো হলো-তাদের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধির
খাবার , মুখের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধির ঘরোয়া উপায়, মেয়েদের মুখের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধির
উপায় এবং ছেলেদের ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধির উপায়। চলুন তাহলে আর দেরি না করে
বিষয়গুলো ক্লিয়ার ভাবে জেনে নেওয়া যাক।
আজকে আমরা ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধির উপায় গুলো এক এক করে জেনে নেব। আপনি
যদি glowing skin বা ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতে চান তাহলে নিচে দেখানো
পদ্ধতি গুলো অবশ্যই অনুসরণ করুন। আপনি যদি ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধির উপায় গুলো
না জেনে থাকেন, তাহলে এই পোস্টটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন এবং জেনে নিন ত্বকের
উজ্জ্বলতা বৃদ্ধির উপায় গুলো। ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধির জন্য যে উপাদান গুলো
ব্যবহার করা হয়ে থাকে সেগুলো হল।
হলুদ
কাঁচা দুধ
অ্যালোভেরা জেল
কমলার রস এবং কমলার খোসা
পাকা পেঁপে
বেসন
কলা
টক দই
মধু
আমন্ড অয়েল
নারিকেল তেল
চিনি
কফি
হলুদঃ হলুদের রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ত্বকের উজ্জ্বলতা
বাড়ানোর জন্য সামান্য একটু হলুদ গুড়া এবং এক চামচ গোলাপজল ও মধু মিশিয়ে,
ভালোভাবে মিক্স করে আপনার মুখের ত্বকে সারারাত লাগিয়ে রেখে সকালবেলা নরমাল
টেম্পারেচারে থাকা পানি দিয়ে ভালোভাবে মুখ ধুয়ে ফেলুন। এভাবে কিছুদিন ব্যবহারের
ফলে দেখবেন আপনার ত্বক আগের চেয়ে অনেক বেশি উজ্জ্বল হয়ে যাবে।
কাঁচা দুধঃ ত্বকের প্রাকৃতিক ব্লিচ হিসেবে কাঁচা দুধ খুব ভালো কাজ
করে। কাচা দুধ , বেসন এবং মুলতানি মাটির মিশ্রণে একটি পেস্ট বানিয়ে সেই
পেস্টটি না শুকানো পর্যন্ত মুখে লাগিয়ে রাখলে, আপনার মুখের ত্বকের গভীর
থেকে ময়লা দূর করবে এবং আপনার ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করবে। এছাড়াও আপনি
কাঁচা দুধ কটন বলের সাহায্যে প্রতিদিন লাগাতে পারেন, নিয়মিত কাঁচা দুধ
মুখের ত্বকে ব্যবহার করলে ধীরে ধীরে আপনার ত্বকের উজ্জ্বলতা অনেক বৃদ্ধি পাবে।
অ্যালোভেরা জেলঃ মুখের ত্বকে এলোভেরা জেল ব্যবহার শুধু ত্বকের
উজ্জ্বলতা করে না এটি ত্বককে নরম এবং কোমল করতে সাহায্য করে। অ্যালোভেরা জেল
মাস্কের মতন করে মুখের ত্বকে প্রতিদিন ১০ মিনিট লাগিয়ে রাখলে তবে উজ্জ্বলতা
বৃদ্ধি পায়। তবে বাজারের কেনা অ্যালোভেরা জেল গুলোর পরিবর্তে, প্রাকৃতিক
এলোভেরার পাতা সংগ্রহ করে সেখান থেকে জেল বের করে ব্যবহার করলে দ্রুত ফলাফল
পাওয়া যাবে।
কমলার রস এবং কমলার খোসাঃ ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতে কমলার রস এবং
কমলার খোসার ব্যবহার যুগ যুগ ধরে চলে আসছে।সামান্য একটু দুধের সাথে কমলার খোসার গুড়া বা পাউডার মিশিয়ে সেটি মুখে এবং
হাতে পায়ে লাগানোর পরে হালকাভাবে কিছুক্ষণ মেসেজ করুন এরপর ধুয়ে ফেলুন। এতে
আপনার ত্বক উজ্জ্বল হবে এবং স্ক্রাব করা হয়ে যাবে। এছাড়াও মসুরের ডাল বাটা এবং কমলার রস একসাথে মিশিয়ে আপনার মুখে লাগিয়ে রাখুন।
কিছুক্ষণ পরে এটি শুকিয়ে গেলে পানি দিয়ে ভালোভাবে ধুয়ে ফেলুন। কমলার খোসা
এভাবে মুখের ত্বকে লাগালে মুখের কালচে ভাব দূর হবে এবং আপনার ত্বক উজ্জ্বল
হবে।
পাকা পেঁপেঃ পাকা পেঁপে পেস্ট করে মুখের ত্বকের ব্যবহার করলে এটি ত্বকের
মৃত কোষ দূর করতে সাহায্য করে। পাকা পেঁপে যেহেতু ত্বকের মৃত কোষ দূর করে সুতরাং
ত্বকে পাকা পেপে ব্যবহারের পরে স্বাভাবিকের তুলনায় টপ অনেক উজ্জ্বল দেখায়।
বেসনঃমুখের কালো দাগ দূর করে ত্বককে উজ্জ্বল করে , সপ্তাহে অন্তত চার থেকে
পাঁচ দিন বেসনের সাথে তিন চার চামচ লেবুর রস ও টক দই মিশিয়ে পেস্ট
বানিয়ে মুখে ৩০ মিনিটের জন্য লাগিয়ে রেখে তারপর ধুয়ে ফেলুন।
কলাঃপাকা কলার সাথে দুইয়ের পেস্ট বানিয়ে এর ভেতরে পাঁচ থেকে সাত ফোঁটা
লেবুর রস মিশিয়ে নিন, এবার এই মিশ্রণটি মুখে ভালোভাবে লাগিয়ে শুকিয়ে না
যাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। শুকিয়ে গেলে ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেললে
আপনার মুখে বলিরেখা দূর হয়ে যাবে এবং আপনার ত্বকও উজ্জ্বল হবে
টক দইঃ টক দই এর মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ল্যাকটিক এসিড। এই
ল্যাকটিক এসিড ত্বকের ময়শ্চারাইজার ধরে রাখতে এবং বলিরেখা দূর করতে ভীষণ
সাহায্য করে। সপ্তাহে তিন থেকে চার দিন টক দই টকে ব্যবহার করা গেলে ত্বকের
উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পাবে এবং রোদের পোড়া দাগও দূর হবে।
মধুঃমধুর মধ্যে রয়েছে প্রথম পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা ত্বকের তারণ্য ধরে
রাখতে এবং ত্বকের লাবণ্য বৃদ্ধি করতে ভীষণ উপকারী একটি উপাদান। এ কারণে
নিয়মিত মধু পানের ফলে ভেতর থেকে আপনার ত্বকের লাবণ্য বৃদ্ধি পায় এবং ত্বকের
কুঁচকে যাওয়া ভাব দূর করে।
আমন্ড অয়েলঃ আমন্ড অয়েলে রয়েছে প্রথম পরিমানে ভিটামিন -ই, এ
কারণে নিয়মিত আমন্ড অয়েল ত্বকে লাগালে , ত্বক উজ্জ্বল হয়।
নারিকেল তেলঃ নারিকেল তেলে রয়েছে ফ্যাটি এসিড, মশ্চারাইজার এবং নারিকেল
তেল সানস্ক্রিম হিসেবেও ভালো কাজ করে। এ কারণে নিয়মিত নারিকেল তেল তোকে
ম্যাসাজ করলে ত্বক উজ্জ্বল হয় এবং রোদের পোড়া ভাব দূর হয়।
চিনি ও কফিঃ এক চামচ চিনি , এক চামচ কফি এবং সামান্য একটু মিশিয়ে
মুখের ত্বকে আলতোভাবে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে ম্যাসাজ করলে করলে, ত্বকের মৃত কোষ
দূর হয় এবং উজ্জ্বল হয়।
ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধির খাবার
ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধির জন্য শুধু স্কিনে বিভিন্ন ধরনের প্যাক এবং
উন্নত মানের প্রোডাক্ট ব্যবহার করলে চলবে না, ভেতর থেকে ত্বকের উজ্জ্বলতা
বৃদ্ধির জন্য স্বাস্থ্যকর খাবারের ওপরেও যোগ দিতে হবে। কিছু খাবার রয়েছে
যেগুলো ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধির জন্য ভীষণ দরকারি। এই খাবারগুলো খেলে
ভেতর থেকে আপনার ত্বক উজ্জ্বল হবে। আজকে আমরা ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধির খাবার
গুলো সম্পর্কে জানব, চলুন তাহলে দেরি না করে তখন উচ্চতা বৃদ্ধির খাবার গুলো
সম্পর্কে জেনে নেয়া যায়।
পানিঃ ত্বকের যত্ন বা উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করার জন্য যাই বলা হোক না কেন এই
রুটিনে 'পানি' নাম না থাকলেই যেন নয়। পানি যে শুধু আমাদের শরির তাজা এবং সতেজ
রাখে তা নয়, এটি ত্বকের যত্ন এবং উজ্জ্বলতা বৃদ্ধির একটি অন্যতম উপাদান। এটি
আমাদের শরীরে বিভিন্নভাবে প্রবেশ করা ক্ষতিকর উপাদান বিভিন্নভাবে বের করে দিতে
সাহায্য করে। তাই দিনে পযাপ্ত পানি পানের সাথে যত পারেন তত পানি খান
ফলঃ ত্বক ভালো রাখতে ফলমূলের উপর আপনি চোখ বন্ধ করে বিশ্বাস করতে পারেন।
ফল্ মুল শুধু আমাদের শরীরের জন্যই উপকারী নয় বরং আমাদের ত্বকের জন্যও অনেক
গুরুত্বপূর্ণ। ত্বক ভালো রাখার এই রুটিনে বিভিন্ন ধরনের ফল-মূলের
গুরুত্বপূর্ণ
ভিটামিন ই এবং সি জাতীয় খাবারঃ ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করার এবং
ত্বককে ভালো রাখতে সবচেয়ে বেশি সাহায্য করে ভিটামিন ই, সি জাতীয় খাবার।
টমেটোঃ টমেটোতে থাকে 'বিটা ক্যারেটিন' আমাদের ত্বকে যত্নের পাশাপাশি
উজ্জ্বল ও মসৃন করর তোলে
লেবুঃলেবুতে থাকা প্রধান উপাদান ভিটামিন সি ও আরো ভিটামিন উজ্জ্বল ও
হাইড্রেট করতে সাহায্য করে।
কমলাঃ কমলা ও মোসম্বির অ্যান্টি অক্সিডেন্ট আমাদের ন্যাচারালি স্কিনটোন
বাড়াতে সাহায্য করে।
মাল্টাঃ মাল্টা আমাদের ত্বকে ফর্সা ও উজ্জ্বল করে আমাদের ত্বকে থাকা
মেলানিন কমানোর মাধ্যমে।
শসাঃআমাদের ত্বকে একটি ঠান্ডা এবং প্রশান্তি এনে দেওয়ার কথা আসলেই
প্রথমে মাথায় আসে শশার নাম। দেখতে গেলে শশা একটি ফল, সবজি, রূপবতীদের
রুপচর্চার অন্যতম উপাদান। এটি খাওয়ার মাধ্যমে যেমন আমাদের শরীর ভালো থাকে
তেমন এটি খাওয়ার মাধ্যমে আমাদের ত্বকও ভালো থাকে। অনেকে ভাবেন যে শশার প্যাক
দিয়েই হয়তো রূপচর্চা করা যায় কিন্তু তা নয়, আপনি শশা খাওয়ার মাধ্যমেও ত্বক
উজ্জ্বল ও ভালো রাখতে পারেন। এটিতে থাকা ভিটামিন কে ও সি, বিভিন্ন অ্যান্টি
অক্সিডেন্ট আপনার ত্বক উজ্জ্বলের পাশাপাশি আপনার বয়সের ছাপ কমাতেও অনেক
সাহায্য করে।
গ্রিন টিঃ আমরা অনেকেই গ্রিন টির সাথে পরিচিত। এটি যে শরীরের জন্য
কতটা উপকারী তা তো আমরা সবাই জানি। অনেকে এটি ডায়েট চার্ট আবার অনেকে এটি
নিজের স্কিন কেয়ার বা স্কিনকে গ্লো করার জন্যও ব্যবহার করেন। শুনতে আশ্চর্য
লাগলেও এটি সত্যি। গ্রিনটি শুধু আমাদের শরীর ভালো রাখতেই নয় বরং ত্বকের
উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি, ত্বকের যত্নেও প্রচুর ভুমিকা পালন করে। তাই দিন ২ বার
গ্রিনটি খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন।
বাদামঃ ত্বকের জন্য ভিটামিন ছাড়াও কিছু অ্যাসিড ও ন্যাচারাল ফ্যাট
দরকার, আর এই ফ্যাট আমরা পর্যাপ্ত পরিমাণে পেতে পারি বাদাম এবং বাদাম জাতীয়
ড্রাই ফ্রুটস গুলো থেকে। এই ফ্যাট বা অ্যাসিডের জন্য আপনাকে আলাদাভাবে কিছু
করতে হবে না বরং আমরা বা আপনি যেসব মাছ খান তা থেকেই এই সব এসিড এবং ফ্যাট
পেয়ে যাবেন৷ মাছে থাকা কিছু ন্যাচারাল এসিড এবং ফ্যাট (ওমেগা থ্রি) ত্বককে
সুন্দর, উজ্জ্বল ও ব্রণের সমস্যা দূরীকরণে গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান। তাই
সপ্তাহে ২/৩ দিন মাছ খাওয়ার চেষ্টা করুন।
আপেলঃ ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি ও ফ্লোলেস করতে আপেলও সাহায্য করে।
আপেলে থাকে অনেক নিউট্রিয়েন্ট এবং ভিটামিন এ,সি এবং বি কমপ্লেক্স, এটি আমাদের
আমাদের ত্বকের শুষ্কভাব দূর এবং গ্লো করতে অনেক সাহায্য করে। তাই দিনে একটি
বা দেড় খান আপেলা খাওয়া যেমন শরীরের জন্য ভালো তেমনি সেটি ত্বকের জন্যও
উপকারী।
পাকা পেঁপেঃ প্রচুর এন্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ একটি হল ফল হল
পেঁপে। পাকা পেঁপেতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ছাড়াও রয়েছে ভিটামিন ই এবং
ভিটামিন সি, যে ভিটামিন গুলো ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে ভীষণ কার্যকরী
এ কারণে পাকা পেঁপে খেলে স্বাস্থ্যজ্জল ত্বক পাওয়া যায়।
চেহারার সৌন্দর্য বৃদ্ধির উপায়
চেহারার সৌন্দর্য বৃদ্ধি করা এমন কোন কঠিন বা অসম্ভব কাজ নয়। আপনি আপনার
কর্মব্যস্ত জীবনের মধ্যে থেকে একটু সময় বের করে কিছু টিপস এবং কিছু
নিয়ম কানুন মেনে চললেই চেহারা সৌন্দর্য বৃদ্ধি করতে পারবেন।
চলুন তাহলে চেহারার সৌন্দর্য বৃদ্ধির উপায় গুলো জেনে নেয়া যাক।
পর্যাপ্ত ঘুমঃ আপনি যদি ইসট্যান্ট গ্লো পেতে চান, তাহলে তো ডাবের
পানির কথা না বললেই নয়। সকাল বেলায় ঘুম থেকে উঠে ও রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে
এই ডাবের পানি দিয়ে মুখ ধুলেই আপনার চেহেরা মুহুর্তের মধ্যেই উজ্জ্বল হয়ে
উঠবে।
মধুঃমধুর মধ্যে রয়েছে প্রথম পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা ত্বকের তারণ্য
ধরে রাখতে এবং ত্বকের লাবণ্য বৃদ্ধি করতে ভীষণ উপকারী একটি উপাদান। এ
কারণে নিয়মিত মধু পানের ফলে ভেতর থেকে আপনার ত্বকের লাবণ্য বৃদ্ধি পায়
এবং ত্বকের কুঁচকে যাওয়া ভাব দূর করে।
টমেটোর ব্যবহারঃচেহেরার সৌন্দর্য বৃদ্ধি করার জন্য টমেটো একটি খুব
ভালো একটি উপাদান। এর জন্য একটি টমেটো ভালো ভাবে পেস্ট বানিয়ে এমনি মুখে
লাগান বা টমেটোর পেস্টটিতে সামান্য লেবুর রস মিশিয়ে লাগিয়ে ১২-১৫ মিনিট মতো
রেখে দিয়ে সেটা ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। টমেটোতে থাকা 'লাইকোপিন'
নামের একটি উপাদান আমাদের চেহেরার ত্বকের জন্য অনেক উপকারী। এই উপাদানটি
আমাদের ত্বকে থাকা 'ডেড স্কিন সেল্স' পরিষ্কার করে এবং আমাদের ত্বকে থাকা
দাগ দূর করে।
অ্যাভোকাডঃ অ্যাভোকাড আমাদের প্রায় সবারই জানা শোনা একটি ফল। এটি যে
শুধু খাওয়ার জন্য তা নয়, অ্যাভোকাড রুপচর্চা, বিশেষ করে ত্বকের পুষ্টু
বাড়াতে অনেক সাহায্য করে। এর জন্য একটি অ্যাভোকাড ভালো করে পেস্ট বানিয়ে
সেটি মুখে লাগিয়ে রাখুন এবং ১২-১৫ মিনিট পর প্রথমে ঠান্ডা দুধ দিয়ে এবং
তারপর ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এর ফলে আপনার ত্বকের পুষ্টি উপাদান
বাড়বে এবং ফলস্বরূপ আপনার চেহেরা অনেক তাড়াতাড়ি গ্লো করা শুরু করবে।
ত্বকে ডিম ব্যবহারঃ চেহেরার উজ্জ্বলতা বাড়াতে ডিমও খুব উপকার।
অনেকে কাঁচা ডিমে থাকা গন্ধের কারণে অবহেলা করে থাকে কিন্তু তারা হয় তো
জানেই না যে তারা কত বড় ভুল করছে। আপনি যদি খুব সহজেই চেহেরার উজ্জ্বলতা
বৃদ্ধি করতে চান তাহলে ডিমের সাদা অংশ ভালোভাবে ফেটিয়ে নিয়ে সেটি মুখে
শুকিয়ে না যাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। তারপর ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
লেবুর রস এবং চিনিঃএকটি পাত্রে ৬-৭ চামচ লেবুর রস ও ১-২ চামচ চিনি
নিয়ে ভালোভাবে মিশিয়ে সেটি মুখে লাগিয়ে স্ক্রাব করতে থাকুন এবং চিনিগুলো
গলে গলে আসবে তখন সেটি ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন এবং ময়েশ্চারাইজার
লাগিয়ে নিন।
মুখের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধির ঘরোয়া উপায়
মুখের ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধির জন্য বাজারের কেমিক্যালযুক্ত প্রোডাক্ট
গুলো ইউজ না করে আমরা ঘরোয়া বিভিন্ন উপাদান দিয়েও মুখের ত্বকের উজ্জ্বলতা
বৃদ্ধি করতে পারি। ঘরোয়া উপাদান গুলো মুখে উজ্জ্বলতা বৃদ্ধির জন্য
অনেক নিরাপদ। আপনি যদি মুখেরতা বৃদ্ধির ঘরোয়া উপায় গুলো না জেনে থাকেন
তাহলে অবশ্যই এ পোস্টটি পড়ার মাধ্যমে জেনে নিন। আলোচনা করব মুখে উদ্ধতা
বৃদ্ধির ঘরোয়া উপায় সম্পর্ক। ঘরে থাকা এমন কিছু উপাদান দিয়ে মুখের
উজ্জ্বলতা বৃদ্ধির উপায় আপনাদের জানাবো নিজেই উপাদানগুলো সব সময় কম বেশি
আমাদের ঘরে থাকে। চলুন তাহলে মুখের উচ্চতা বৃদ্ধির ঘরোয়া উপায় গুলো জেনে
নেওয়া যাক। যে যে ঘরোয়া উপাদান গুলো কাজে লাগিয়ে আপনি আপনার মুখের
উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতে পারেন সেগুলো হলো,
হলুদ
বেসন
আলু
নারিকেল তেল
টমেটো , লেবু ও গোলাপ জলের প্যাক
মধু, টক দই আর লেবুর প্যাক
হলুদঃ হলুদ আমাদের নিত্যদিনের রান্নার কাজে ব্যবহৃত একটি মসলা,
এই মসলাটি সবসময় আমাদের সবার ঘরেই থাকে। শুধু রান্নার কাজে নয়, রূপচর্চার
কাজেও হলুদ ব্যবহার করে আমরা সুন্দর এবং উজ্জ্বল ত্বক পেতে পারি। হলুদ এবং
গোলাপজল মিশিয়ে আপনি একটি প্যাক তৈরি করে আপনার মুখের ত্বকে লাগিয়ে
খুব তাড়াতাড়ি মুখের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতে পারবেন।
বেসনঃ বেসন প্রায় সবসময় আমাদের ঘরে থাকে,
বিভিন্ন রেসিপি ,মুখোরচক খাবার তৈরির পাশাপাশি বেসন দিয়ে আমরা মুখের
উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে নিতে পারি। বেসন , হলুদ এবং টক দই ভালোভাবে মিশিয়ে
ঘাড় এবং মুখে লাগিয়ে রাখুন, মিশ্রণটি শুকিয়ে গেলে ঠান্ডা পানি
দিয়ে ভালোভাবে ধুয়ে ফেলুন এতে আপনার মুখের এবং ঘাড়ের কালচে দাগ দূর
হবে।
আলুঃ আমাদের প্রতিটি ঘরে প্রতিদিন রান্নার কাজে আলু ব্যবহার করা
হয়, তাই আলু সবসময় আমাদের ঘরে থাকে বললেই চলে। এটু যেহেতু সবসময় আমাদের
ঘরে থাকে সুতরাং এই আলুকে কাজে লাগিয়ে আপনি আপনার চেহারা উজ্জ্বল করে
ফেলতে পারেন। আলু আপনার চেহারার রোদে পোড়া দাগ এবং কালচে ভাব দূর করে
মুখের ত্বক উজ্জ্বল করতে ভালো কাজ করে। প্রথমে আলু গ্রেট করে দুই থেকে তিন
চামচ রস বের করুন ,এই রস আপনার মুখের ত্বকে ২০ মিনিটের জন্য লাগিয়ে রেখে
ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। নিয়মিত কয়েকদিন আলুর রস ব্যবহার করার পরে
আপনার ত্বকের উজ্জ্বলতার প্রমাণ আপনি নিজেই পেয়ে যাবেন।
নারিকেল তেলঃ আমরা সবাই কমবেশি চুলের যত্নে নারিকেল তেল
ব্যবহার করে থাকি, সুতরাং এই নারিকেল তেল দিয়েও আমাদের ঘরে মজুদ থাকে।
আপনি যদি প্রতিদিন রাত্রে ঘুমানোর আগে ,মুখ ভালোভাবে পরিষ্কার করে দু/
তিন মিনিট নারিকেল তেল ম্যাসাজ করেন তাহলে আপনার ত্বক দিন দিন উজ্জ্বল
হয়ে উঠবে।
টমেটো, লেবু ও গোলাপ জলের প্যাকঃ ঘরে থাকা কিছু জিনিস দিয়েই আপনি
আপনার উজ্জ্বলতা চাইলেই পেয়ে যেতে। বাসায় থাকা কমন কিছু জিনিস যেমন: টমেটো,
লেবু ও গোলাপ জল দিয়েই হয়ে উঠবে আপনার ত্বক উজ্জ্বল। এর জন্য একটি টমেটোকে
ব্লেন্ড করে তাতে পরিমাণ মতো লেবুর রস ও সামান্য গোলাপ জল মিশিয়ে সেটা
মাস্ক আকারে মুখে লাগিয়ে রাখুন এবং শুকিয়ে গেলে ধুয়ে ফেলুন।
মধু, টক দই আর লেবুর প্যাকঃ আবার আপনি চাইলে মধু, টক দই আর লেবু
দিয়েও একটি গ্লো মাস্ক অ্যাপ্লাই করতে পারে। একটি পাত্রে ২-৩চামচ মতো টক
দই, পরিমাণ মতো লেবুর রস ও মধু মিশিয়ে আপনার মুখে লাগিয়ে রাখুন এবং শুকিয়ে
গেলে বা ১২-১৫ মিনিট পর সেটি ধুয়ে ফেলুন।
ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করার জন্য বেসন, মধু আর কফির মিশ্রণও কম উপকারী
নয়। এটি আপনার মুখের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধির সাথে সাথে আপনাকে রোদের ক্ষতিকর
রশ্মি থেকেও রক্ষা করে।
মন্তব্য, আশা করছি এই পোস্টটি পড়ার মাধ্যমে আপনি ত্বকের
উজ্জ্বলতা বৃদ্ধির উপায় সম্পর্কে বিভিন্ন ধরনের টিপস পেয়ে গেছেন।
ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধির উপায় গুলো ঠিকঠাক ফলো করে আপনি আপনার স্কিনকে
গ্লোয়িং করে তুলুন এবং সকলের কাছে আকর্ষণীয় হয়ে উঠুন।
নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন
comment url