চুল সিল্কি করার উপায় - রুক্ষ চুল সিল্কি করার উপায়

ফ্রিজি চুল বা রুক্ষ চুল নিয়ে আমরা অনেকেই সমস্যায় থাকি, দেখা যায় শ্যাম্পু করার পরেও চুলের ঝলমলে ভাব আসে না। যারা এ ধরনের সমস্যায় রয়েছেন তাদের জন্য আজকে নিয়ে হাজির হয়েছে চুল সিল্কি করার উপায় নিয়ে। চুল সিল্কি করার উপায় ছাড়াও এই পোস্টে আপনি জানতে পারবেন চুল শিল্পী করার শ্যাম্পু এবং তেলের নাম। এই পোষ্টের মধ্যে দিয়ে আপনি  চুল এবং কোঁকড়া চুল সিল্কি করার উপায় সম্পর্কেও জানতে পারবেন।

আশা করছি এই পোস্টটি পড়ার পরে আপনি আপনার রুক্ষ চুলকে সিল্কি এবং স্বাস্থ্যজ্জল করে নিতে পারবেন ঘরে বসে। আপনি যদি পুরো পোস্টটি মনোযোগ দিয়ে পড়েন তাহলে ঘরে বসেই বা পার্লার এবং অতিরিক্ত অর্থ খরচ করা ছাড়াই নিজে নিজেই আপনি আপনার চুল সিল্কি করে নিতে পারবেন। তবে শর্ত হল, চুল সিল্কি করার এই উপায় গুলো জানতে হলে আপনাকে অবশ্যই পুরো পোস্টটি মনোযোগ দিয়ে পড়তে হবে, এবং সঠিকভাবে জেনে নিতে হবে চুল সিল্কি করার উপায় গুলো।

সূচিপত্রঃ চুল সিল্কি করার উপায় - রুক্ষ চুল সিল্কি করার উপায়

চুল সিল্কি করার উপায়

ঝলমলে স্বাস্থ্যজ্জ্বল চুল আমাদের প্রত্যেকেরই একটি প্রত্যাশা বস্তু। আপনার চুল যতই সুন্দর থাকুক না কেন সঠিক পরিচর্যার অভাবে ধীরে ধীরে এটি ফ্রিজি এবং রুক্ষ হয়ে যাবে। আর ফ্রিজি এবং রুক্ষ চুল দেখতে কারোই ভালো লাগেনা। আপনি কি জানেন চুল সিল্কি করার সঠিক উপায় গুলো কি? যদি জেনে না থাকেন তাহলে চুল সিল্কি করার উপায় গুলো সম্পর্কে জেনে নিন। ঠিকমত কিছু নিয়ম এপ্লাই করলে আপনি আপনার ফ্রিজি এবং রুক্ষ  চুলকে সিল্কি করে তুলতে পারেন ।আজকে আমরা এই পোস্টে আলোচনা করছি চুল সিল্কি করার উপায় নিয়ে। আর কথা না বাড়িয়ে তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক চুল সিল্কি করার উপায় গুলো সম্পর্কে।

পুষ্টিকর খাবারঃ চুল সিল্কি এবং মজবুত রাখার প্রথম এবং প্রধান শর্ত হলো পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ করা। আপনি যতই বাইরে প্রোডাক্ট বা ঘরোয়া তৈরি প্যাক ব্যবহার করেন না কেন, পুষ্টিকর এবং স্বাস্থ্যকর খাবার গুলো না খেলে কখনোই আপনার চুল সিল্কি এবং মজবুত রাখা সম্ভব নয়। এই কারণেই চুল সিল্কি এবং মজবুত রাখতে আপনাকে অবশ্যই ভিটামিন , প্রোটিন , মিনারেল যুক্ত খাবার গুলো গ্রহণ করতে হবে।

অ্যালোভেরা জেল এবং ভিটামিন ইঃ অ্যালোভেরা জেল ও ভিটামিন এ দুটি উপাদানের চুল সিল্কি করতে ভীষণ কার্যকরী। প্রথম একটি বাটিতে ২-৩ চামচ এলোভেরা জেল নিয়ে এর মধ্যে ২-৩ টি ভিটামিন ই ক্যাপসুল যুক্ত করুন কিছুক্ষণ নাড়াচাড়া করলে দেখবেন ভিটামিন ই এবং এলোভেরা জেল মিশে ক্রিম বা জেলের মতন আকার ধারণ করেছে , এটি আপনার চুল এবং মাথার ত্বকে লাগিয়ে রাখুন । এক দেড় ঘন্টা পরে শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে ৩-৪ দিন এভাবে এলোভেরা জেল এবং ভিটামিন ই ক্যাপসুল মাথায় অ্যাপ্লাই করলে না চুল খুব তাড়াতাড়ি সিল্কি হয়ে যাবে।

কলা এবং পেঁপের প্যাকঃ কলা এবং পেঁপেছে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন, যা চুলকে মজবুত এবং সিল্কি করতে সাহায্য করে। এই কারণে কবলা এবং পেঁপে ভালোভাবে পেস্ট করে এটি চুলে লাগিয়ে রাখতে পারেন এতে  চুল সিল্কি এবং  চুলের গোড়াও মজবুত হবে।

 আরো পড়ুনঃ চোখের নিচের কালো দাগ দূর করার উপায়

চিনিঃ রূপচর্চার কাজে বহু আগে থেকেই চিনির ব্যবহার হয়ে আসছে, শুধু রূপচর্চায় নয় চুল সিল্কি এবং মাথার ত্বকের মৃত কোষ দূর করতে চিনি ভীষণ কার্য করি। শ্যাম্পু করার সময় শ্যাম্পুর মধ্যে এক থেকে দেড় চামচ চিনি দিয়ে , মাথায় ৪-৫ মিনিটে রেখে ফুল ধুয়ে ফেললে স্বাভাবিকের তুলনায় আপনার চুল অনেক সিল্কি দেখাবে। শ্যাম্পু , চিনি এবং এর সাথে আপনি চাইলে কিছুটা লেবুর রস এড করতে পারেন।

নারিকেলের দুধ ও লেবুর রসঃ নারিকেলের দুধ এবং লেবুর রস ভালোভাবে মিশিয়ে নিন এবার এই মিশ্রণটি মাথার ত্বকে লাগিয়ে রেখে ৩০ মিনিট পরে শ্যাম্পু করে ফেলুন। নারিকেলের দুধ ও লেবুর রস মাথার ত্বকে ব্যবহার করলে আপনার চুল প্রয়োজনীয় ভিটামিন সি পাবে যার ফলে চুলের গোড়া শক্ত এবং চুল সিল্কি হবে।

হট অয়েল মাসাজঃ চুল সিল্কি এবং চুলের গোড়ার শক্ত করতে হট ওয়েল মাসাজের ভূমিকা অপরিসীম। সপ্তাহে ৩-৪ দিন শ্যাম্পু করার এক ঘন্টা পূর্বে হট অয়েল মাসাজ করুন। আপনি চাইলে রাতে ঘুমানোর আগে এই হট ওয়েল মাসাজ করে সকালে চুল ধুয়ে ফেলতে পারেন। হট ওয়েল মাসাজ এর  জন্য আপনি আপনার পছন্দ মতন যে কোন ধরনের তেল ব্যবহার করতে পারেন ,যেমন-নারিকেল তেল , অলিভ অয়েল , আমন্ড অয়েল , ক্যাস্টর অয়েল ইত্যাদি।

ডিম ও দুধের প্যাকঃ ফিজি এবং রুক্ষ চুলকে ঝলমলক করতে ডিম ও দুধের প্যাক খুবই কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। এই প্যাকটি তৈরি করার জন্য ডিম ,২-৩ চামচ দুধ ,১ চামচ মধু ,১ চামচ অলিভ অয়েল ভালোভাবে মিক্স করুন। আপনি চাইলে এর মধ্যে টক দই এড করতে পারেন। এবার এই প্যাকটি মাথার ত্বকে লাগিয়ে রেখে ৫০-৬০ মিনিট পরে শ্যাম্পু দিয়ে ভালোভাবে চুল ধুয়ে ফেলুন।

চালের পানিঃ চুল ঘন ,লম্বা এবং ঝলমলে করতে বহুকাল আগে থেকেই চাও ধোয়া পানির ব্যবহার হয়ে আসছে। খানিকটা চাল ভালোভাবে ধুয়ে নিয়ে এর মধ্যে কিছুটা পানি দিয়ে সারারাত ভিজিয়ে রাখুন সকালে গোসলের পূর্বে এই পানি আপনার চুলে এবং মাথায় ভালোভাবে লাগিয়ে ৩০ মিনিটের জন্য অপেক্ষা করুন এরপর শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। চালের পানির পরিবর্তে আপনি ভাতের মাড়ও ব্যবহার করতে পারেন, ভাতের মার ব্যবহারের পূর্বে অবশ্যই এটি ভালোভাবে ঠান্ডা করে নেবেন।

মেহেদী এবং চায়ের লিকারঃ গাছের মেহেদী বাটা এবং এর সাথে চায়ের লিকার মিছিয়ে একটি প্যাক তৈরি করুন। এই প্যাকটি আপনার চুলের গোড়া মজবুত এবং চুল সিল্কি করতে ভীষণ ভালো কাজ করবে। মেহেদী এবং চায়ের লিপারের সাথে ডিমও যুক্ত করা যেতে পারে। তবে যাদের ঠান্ডা লাগা এবং কোল্ড এলার্জির সমস্যা আছে তারা এই প্যাকটি একটু সাবধানে ব্যবহার করবেন কারণ মেহেদী অত্যন্ত ঠান্ডা আর এটি মাথায় লাগিয়ে বেশিক্ষণ থাকলে ঠান্ডা লেগে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

রুক্ষ চুল সিল্কি করার উপায়

আজকে আমরা জেনে নেব দুঃখ চুল সিল্কি করার কয়েকটি ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে। আপনার যদি রুক্ষ চুল সিল্কি করার উপায় উপায়গুলো জানা না থাকে, তাহলে এই পোস্টের মাধ্যমে তা জেনে নিন এবং ঘরোয়াভাবে বিভিন্ন পদ্ধতি এপ্লাই করে আপনার রুক্ষ চুল সিল্কি করেছিলেন। প্লিজ যে যে উপাদান গুলোর সাহায্যে আপনার দুঃখ চুল সিল্কি করতে পারেন সেগুলো হলো,

অয়েল মাসাজঃ চুলের জন্য তেল কতটা উপকারী তা তো আমরা সকলেই জানি, তাই সপ্তাহে ৩-৪ দিন পারলে আগের দিন রাতে বা গোসলের ২ ঘন্টা আগে মাথায় তেল মাসাজ করুন। রাতে যদি আপনি তেল মাসাজ করেন তাহলে একটু খেয়াল রাখবেন যাতে আপনার বালিশের কভারটি যাতে শক্ত না হয়, শক্ত হলে তেল দেওয়ার পর আপনার নরম চুলগুলি সেই শক্ত বালিশের কভারের সাথে বার বার ঘষা লেগে ভেঙে বা খয় হয়ে যেতে পারে। 
কন্ডিশনার ব্যবহার করাঃগোসলের পর শ্যাম্পু ব্যবহারের পর অবশ্যই কন্ডিশনার চুলের উপর লাগাবেন। চুলের গোড়া বা মাথার ত্বকে লাগাবেন না। ২. সপ্তাহে ২ দিন ট্রিম ও হেয়ার মাস্ক ব্যবহার করা।
আরো পড়ুনঃ লম্বা হওয়ার উপায় 
লেবুর রসঃ আমরা সবাই জানি লেবুতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ভিটামিন সি আমাদের মুখের ত্বকের সাথে আমাদের মাথা ত্বকের জন্য অনেক উপকারী। লেবুর রস মাথায় বা চুলে লাগানোর মাধ্যমে চুল থাকা খুশকি ও ময়লা তো দূর হয়ই আবার চুল হয়ে ওঠে মজবুত, উজ্জ্বল ও সিল্কি। আপনার চুল অতি রুক্ষ হলে সপ্তাহে ৩-৪ দিন নারিকেল তেল ও তারসাথে লেবুর রস মিশিয়ে গোসলের ২ঘন্টা আগে এটি চুলে লাগিয়ে মাসাজ করুন এবং পরে ধুয়ে ফেলুন। 
টক দইঃ আমরা হয়তো অনেকেই জানি না যে টক দইও আমাদের চুলের জন্য কতটা উপকারী। টকদইয়ে থাকা কার্বোহাইড্রেট, ভিটামিন, প্রোটিন আমাদের চুল্কে সিল্কি, উজ্জ্বল, মজবুত ও নতুন চুলের যোগান দেয় আর টক দইয়ে থাকা ভালো ব্যাকটেরিয়া আমাদের মাথার ত্বকে থাকা ডেড স্কিন সেলস সরিয়ে নতুন সেলসের যোগান দেয়। টকদইয়ের ব্যবহার বেশি কঠিন নয় আপনাকে সপ্তাহে ৩-৪ দিন গোসলের ৩০-৩৫ মিনিট আগে নারিকেল তেল বা আমন্ড অয়েলের সাথে মিশিয়ে সেটি মাথার ত্বকে লাগিয়ে রাখতে হবে এবং পরে সেটি শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। 
মাথায় মেহেদী ব্যবহারঃ মেহেদী ব্যবহার আমাদের চুলকে শক্ত করে ও চুল ভেঙে যাওয়া রোধ করে। তাই সপ্তাহে ২-৩ দিন মেহেদী পাতা বেটে তার মধ্যে একটি ডিমের ও যেকোনো তেল যেমন নারিকেল তেল, আমন্ড অয়েল বা অলিভ অয়েল দিয়ে সেটি ৩০-৪০ মিনিটের জন্য রেখে দিন।

কোঁকড়া চুল সিল্কি করার উপায়

কোকড়ানো চুলের সমস্যা, নতুন করে আর বলার কিছু থাকেনা। কোকরানো চুলের যত্ন নেয়া এবং কোকড়ানো চুল সিল্কি করা খুব একটা সহজ কাজ নয়। তবে আজকে এই পোস্টের মাধ্যমে আমরা কোঁকড়ানো চুল সিল্কি করারও কয়েকটি উপায় সম্পর্কে আলোচনা করব। আপনি যদি পোকরা চুল সিল্কি করার উপায় সম্পর্কে জানতে চান তাহলে এই পোষ্টের নিচের অংশের চোখ রাখুন এবং জেনে নেই কোঁকড়া চুল সিল্কি করার উপায়।

অ্যালোভেরাঃআমরা সকলেই জানি যে অ্যালোভেরায় থাকা এনজাইম আমাদের চুলকে শুষ্কতা থেকে দূরে রাখে। তাই সপ্তাহে ৩-৪ দিন গোসলের আগে অ্যালোভেরা (বা অ্যালোভেরার জেল) ও নারিকেল তেল ভালোভাবে মিশিয়ে সেটি মাথায় লাগিয়ে ১০-১২ মিনিট ভালোভাবে মাসাজ করুন, এবং তারপর সেটি শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে নিন। এটি আপনার চুলকে সিল্কি করতে সাহায্য করবে
ডিমঃঅনেকেই ডিম নিয়ে এটি জানেন যে ডিম চুলের জন্য উপকারী কিন্তু গন্ধের জন্য সেটি ব্যবহার করতে চান না। কিন্তু এটির মাধ্যমে তারা তাদের চুলের জন্য একটি অন্যতম ও অনিবার্য কাজটিই অবহেলা করছেন। ডিমে থাকা প্রোটিন, ফ্যাটি অ্যাসিড ও মিনারেলস আমাদের চুলকে অতি উজ্জ্বল, সোজা ও শক্ত করতে সাহায্য করে। তাই সপ্তাহে ২-৩ দিন ডিম মাথায় ভালোভাবে লাগিয়ে রাখুন তারপর কিছুক্ষণ পর ধুয়ে ফেলুন। 
কলা ও মধুর প্যাকঃ কলা ও মধুকে আমরা সবাই স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্যই জানি, কিন্তু অনেকেই হয়তো জানেনই না যে কলা আমাদের চুলকে সোজা ও মজবুত এবং সিল্কি রাখতে সাহায্য করে। এরজন্য আপনি একটি পাত্রে কলাকে ফেটিয়ে তার মধ্যে মধু মিশিয়ে সেটি চুলে ভালোভাবে লাগিয়ে রাখতে পারেন। 
হট অয়েল মাসাজঃ গোসলের আগে হালকা গরম তেল ১০-১২ মিনিট মাসাজ করুন। Hot oil মাসাজ আপনার চুলের গোড়ায় রক্ত সঞ্চালন বাড়িয়ে দেবে এবং আপনার চুল শক্ত এবং সিল্কি করতে সাহায্য করবে।
হেয়ার সিরামঃহেয়ার সিরাম ব্যবহার করে আপনি খুব সহজেই আপনার কোঁকড়ানো চুল সিল্কি করে নিতে পারেন। হেয়ার সিরাম আপনি ঘরোয়া ভাবেও তৈরি করে নিতে পারেন অথবা বাজার থেকে কিনেও ব্যবহার করতে পারেন। ঘরোয়াভাবে হেয়ার সিরাম তৈরি করার জন্য আপনার প্রয়োজন হবে চায়ের লিকার , এলোভেরা জেল এবং ভিটামিন ই ক্যাপসুল। এই উপাদান গুলো একসাথে ভালোভাবে মিক্স করে এক ঘন্টার জন্য লাগিয়ে রাখুন এবং এরপর ভালো মানের শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন।

ছেলেদের চুল সিল্কি করার উপায়

ছেলেদের বাড়ির বাইরে বেশি সময় কাটানোর ফলে এদের মাথায় চুল ড্যামেজ হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। কারণ ছেলেদের কে বাইরে সব সময় ধুলোবালি এবং রোদের তাপে ঘুরাঘুরি করতে হয়। ক্যামরা পোস্টের এই অংশে আলোচনা করব ছেলেদের তিনটি করার সহজ কিছু উপায় নিয়ে। ছেলেদের চুল সিল্কি করার উপায় সম্পর্কে আপনি যদি জানতে চান তাহলে পোষ্টের এই অংশটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন এবং ছেলেদের চুল সিল্কি করার উপায় গুলো জেনে নিন।

অয়েল মাসাজঃ ছেলেদের চুল কিন্তু করার জন্য অয়েল মাসাজ অত্যন্ত। অয়েল মাসাজের সময় তেলটি হালকা একটু ইসদ উষ্ণ গরম হলে সবচেয়ে ভালো হয় এটা কি আপনি হট অয়েল মাসাজও  বলতে পারেন। সিল্কি চুল পেতে সপ্তাহে তিন থেকে চার দিন গোসলের আগে এই অয়েল মাসাজ অথবা হট কয়েন মাসাজ করুন।

ডিমঃ ছেলেদের চুল সিল্কি করার জন্য ডিম অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান, কারণ ডিমের মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন এবং মিনারেল। আপনি যদি ডিমের ভিতরে মেহেদী , টক দই, দুধ সহ বিভিন্ন উপাদান মিশিয়ে প্যাক তৈরি করে মাথায় ব্যবহার করা ঝামেলা মনে করেন তাহলে , শুধুমাত্র একটি ডিম ভেঙ্গে ভালোভাবে ঠেকিয়ে আপনার পুরো মাথায় লাগিয়ে রাখতে পারেন। এভাবে ডিম পুরো মাথায় লাগিয়ে রেখে ৩০ থেকে ৪০ মিনিট পরে ভালোভাবে শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন এতে আপনার চুলের গোড়া শক্ত হবে এবং চুল কি হবে।

আরো পড়ুনঃবাদাম খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা - কাঁচা বাদামের উপকারিতা

ক্যাস্টর অয়েলঃ ঝলমলে স্বাস্থ্য উজ্জ্বল চুল পেতে চেষ্টা করবেন সপ্তাহে অন্ততপক্ষে ২-৩ ক্যাস্টর অয়েল ব্যবহার করা। ক্যাস্টর অয়েল চুল সিল্কি করতে সাহায্য করে। চুল সিল্কি করার জন্য ক্যাস্টর অয়েলের সাথে ভিটামিন ই ক্যাপসুল মেশাতে পারলে দ্রুত এবং ভালো ফল পাবেন।

মেহেদীঃ চুল সিল্কি এবং মজবুত করার জন্য মেহেদী ছেলে ও মেয়ে উভয়েই নির্দ্বিধায় ব্যবহার করতে পারেন। আপনি চাইলে শুধু মেহেদীও ব্যবহার করতে পারেন অথবা মেহেদীর সাথে চায়ের লিকার, ডিম এড করেও ব্যবহার করতে পারেন।

অ্যালোভেরা জেলঃ চুল সিল্কি এবং মজবুত করতে এলোভেরা জেলের জুড়ি নেই। অ্যালোভেরা জেল এবং ভিটামিন ই ক্যাপসুল মিশিয়ে মাথার ত্বকের ব্যবহার করুন। এটি আপনার চুল সিল্কি এবং মজবুত করতে সাহায্য করবে।

অ্যাপেল  সিডার ভিনেগারঃ ছেলেরা যেহেতু বাইরে ধুলাবালিতে বেশি ঘুরাঘুরি করে এই কারণে এদের মাথার ত্বকে সংক্রমেরও ভয় থাকে, তবে আপনি যদি নিয়মিত পানির সাথে মিশিয়ে অ্যাপেল সিজার ভিনেগার মাথার ত্বকে এবং চুলে ব্যবহার করেন তাহলে আপনার মাথার ত্বকের সংক্রমণ দূর হবে এবং আপনার চুল সিল্কি এবং ঝলমলে হবে।

চুল সিল্কি করার শ্যাম্পু

অনেকেই রয়েছেন যারা ব্যস্ততার কারণে ঘরোয়া ভাবে বিভিন্ন ধরনের প্যাক তৈরি করে চুলের যত্ন নিতে পারেন না। অথবা সারাদিন বিভিন্ন কাজকর্মে থাকার পরে ফ্রি সময়টুকুতে আর ঘরোয়া প্যাক তৈরি করার এনার্জি থাকে না। যারা ব্যস্ততম সময় পার করেন তাদের জন্য বাজারে বিভিন্ন ধরনের চুল সিল্কি করার জৈব সম্পন্ন রয়েছে। আপনি ভালো মানের এই জৈব গুলো ব্যবহার করার মাধ্যমে খুব সহজেই আপনার চুল সিল্কি করে নিতে পারেন। চলুন এবার কয়েকটি চুল সিল্কি করার শ্যাম্পুর নাম জেনে নেওয়া যাক।

  • অনিয়ন শ্যাম্পু
  • এলোভেরা শ্যাম্পু
  • নিম শ্যাম্পু
  • ক্যারেটিন যুক্ত শ্যাম্পু

চুল সিল্কি করার তেল

চুল সিল্কি অথবা মজবুত যেটাই বলেন না কেন, চুলের জন্য তেল অত্যন্ত জরুরি। নিয়মিত তুলে তেল ম্যাসাজ করলে মাথার ত্বকে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি পায় এবং এর ফলে চুল সিল্কি ও মজবুত। আজকে আমরা এমন নাম যার জানবো যেগুলো নিয়মিত ব্যবহার করলে, ধীরে ধীরে আপনার চুল মজবুত এবং সিল্কি হয়ে উঠবে। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক কয়েকটি চুল সিল্কি করার তেলের নাম।

  • অলিভ অয়েল
  • আমন্ড অয়েল
  • ক্যাস্টর অয়েল
  • কোকনাট অয়েল

আরো পড়ুনঃ কমলার খোসা দিয়ে রূপচর্চা করার উপায়

মন্তব্য, আশা করছি এই পোস্টটি পড়ার মাধ্যমে আপনি আপনার কাঙ্ক্ষিত তথ্যগুলো পেয়ে গেছেন। তবে একথা আপনাদের জানিয়ে রাখি , বাজারের কেমিক্যাল যুক্ত যেকোন কোন প্রোডাক্ট ব্যবহারের পূর্বে অবশ্যই এর গুণগত মান সম্পর্কে ভালোভাবে জেনে তারপরে ব্যবহার করবে। না হলে এই কেমিক্যাল গুলো আপনার চুলের এবং ত্বকের ক্ষতি করতে পারে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন

comment url