সূরা ওয়াকিয়া বাংলা উচ্চারণ - সূরা ওয়াকিয়া ফজিলত

পবিত্র কুরআনের ফজিলত পূর্ণ এবং বরকতময় সূরাগুলোর মধ্যে একটি হল সূরা ওয়াকিয়া। সূরা ওয়াকিয়া হলো পবিত্র কোরআনের ৫৬ তম সূরা ,এই সূরাটির অবতীর্ণ হয় মক্কায় এবং এই মর্যাদাপূর্ণ সুরাটির রয়েছে বিশেষ ফজিলত তাই এই সূরাটি আমাদের সকলেরই আমল করা উচিত তবে শুরুতেই ভালোভাবে জেনে নেওয়া উচিত সূরা ওয়াকিয়া ফজিলত । যারা আরবি পড়তে জানেন না তাদের উদ্দেশ্যে এই পোস্টে দেয়া থাকবে সূরা ওয়াকিয়া বাংলা উচ্চারণ এবং এর অর্থ।

সূরা ওয়াকিয়া হল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি সূরা। এই সূরাটির নিয়মিত আমল করার মাধ্যমে অশেষ সওয়াব হাসিল করা যায় এবং পাশাপাশি দৈনন্দিন জীবনের বেশ কিছু সমস্যা দূর করা যায়। আজকে এই পোস্টের মাধ্যমে আপনাদেরকে এই বরকতময় সূরাটির অর্থাৎ সূরা ওয়াকিয়া ফজিলত ,সূরা ওয়াকিয়া বাংলা উচ্চারণ জানানোর পাশাপাশি আরো জানাবো সূরা ওয়াকিয়া আরবি এবং সূরা ওয়াকিয়া অর্থ। এবং এই সকল বিষয়গুলো এই পোস্টের মাধ্যমে আপনাদের সামনে আলাদা আলাদা ভাবে তুলে ধরবো। তাহলে চলুন আর দেরি না করে এই ফজিলতপূর্ণ সূরাটির আরবি , বাংলা , অর্থ এবং ফজিলত জেনে নেওয়া যাক।

সূরা ওয়াকিয়া ফজিলত

সূরা ওয়াকিয়া ফজিলত আপনারা অনেকেই জানেন না। কিন্তু কোরানের এই সূরাটি অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ এবং সূরা ওয়াকিয়া ফজিলত অনেক বেশি। এই সূরা নিয়মিত আমল করার বরকতে আল্লাহ পাক সওয়াবের পাশাপাশি দৈনন্দিন জীবনের বিভিন্ন সমস্যা ও দূর করে দেন। তাই সূরা ওয়াকিয়া ফজিলত জেনে নিয়মিত এই সূরাটির আমল করা উচিত। তাহলে চলুন এখন আমরা কুরআনের অন্যতম বরকতময় সূরা , সূরা ওয়াকিয়া ফজিলত জেনেনি।

দৈনিক একই নিয়মে এই সূরা পাঠে সর্বক্ষেত্রে লাভবান হবে। কোন ক্ষেত্রে ক্ষতিগ্রস্ত হবে না। হুযরে পাক (সাঃ) বলেন, ইহা অত্যন্ত ফজীলতের সূরা। ইহা প্রতি রাতে পাঠ করলে পাঠকারী সর্বদা ধনী থাকবে। ইহা প্রত্যহ ফরজ ও এশার বাদে পাঠ করলে সে কখোনো গরিব হবে না। এই সূরা তাবীজ লিখে গর্ভবতীর প্রসব বেদনার কালে কোমরে বেঁধে দিলে সহজে সন্তান প্রসব হয়। প্রসবের পরে সাথে সাথে ইহা আবার খুলে নিতে হয়। ইহার তাবীজ শরীরে বেঁধে রাখলে যেকোনো বিপদ হইতে রক্ষা পাওয়া যায়।  ইহা প্রত্যহ ৭বার করে পাঠ করলে বিবাদ-সাদী, মামলা-মোকদ্দমা এবং যেকোনো ব্যাপার অনুকূল ফল পাইবে। এই সূরার দ্বারা কেও অর্থশালী হতে চাইলে জুমআর দিন হতে আরম্ভ করে ৭দিন পর্যন্ত প্রত্যেক ফরজ নামাযের পর এই সূরা ২৫বার ও পরবর্তী জুমআর রাতে মাগরিবের নামাযের পর ২৫ বার পড়বে ও এশার নামাযের পর ২১বার দরূদ শরীফ পড়বে। তারপর প্রতিদিন সকাল ও সন্ধায় ১বার করে পড়তে থাকবে। ইনশা আল্লাহ, অতি সত্বর সে ধনবান হবে।

সূরা ওয়াকিয়া আরবি

সূরা ওয়াকিয়া ফজিলত জানার পরে নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন এই সূরাটি কতটা মর্যাদাপূর্ণ এবং নিয়মিত আমল করার মাধ্যমে দৈনন্দিন জীবনে আমাদের কতটা উপকার হতে পারে। তাই এখন আপনাদেরকে সূরা ওয়াকিয়া আরবি জানাবে। যারা শুদ্ধ রূপে আরবি পড়তে পারেন তাদের অবশ্যই কুরআন তেলাওয়াতের সময় অথবা কোরআনের যে কোন সূরা তেলাওয়াতের সময় আরবি দেখে পড়ায় উত্তম কেননা। আরবি দেখে কুরআন তেলাওয়াত করলে , আরবি প্রতিটি হরফের জন্য আল্লাহপাক আমাদেরকে দশটি করে নেকি দিয়ে থাকেন। যারা সূরা ওয়াকিয়া আরবি জানতে চান তাদের জন্য এই মর্যাদাপূর্ণ সম্পূর্ণ সূরাটি নিচে আরবিতে দেওয়া হলো,
بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَٰنِ الرَّحِيمِ
১) إِذَا وَقَعَتِ ٱلْوَاقِعَةُ
২) لَيْسَ لِوَقْعَتِهَا كَاذِبَةٌ
৩) خَافِضَةٌ رَّافِعَةٌ
৪) إِذَا رُجَّتِ ٱلْأَرْضُ رَجًّا
৫) وَبُسَّتِ ٱلْجِبَالُ بَسًّا
৬) فَكَانَتْ هَبَآءً مُّنۢبَثًّا
৭) وَكُنتُمْ أَزْوَٰجًا ثَلَٰثَةً
৮) فَأَصْحَٰبُ ٱلْمَيْمَنَةِ مَآ أَصْحَٰبُ ٱلْمَيْمَنَةِ
৯) وَأَصْحَٰبُ ٱلْمَشْـَٔمَةِ مَآ أَصْحَٰبُ ٱلْمَشْـَٔمَةِ
১০) وَٱلسَّٰبِقُونَ ٱلسَّٰبِقُونَ
১১) أُو۟لَٰٓئِكَ ٱلْمُقَرَّبُونَ
১২) فِى جَنَّٰتِ ٱلنَّعِيمِ
১৩) ثُلَّةٌ مِّنَ ٱلْأَوَّلِينَ
১৪) وَقَلِيلٌ مِّنَ ٱلْءَاخِرِينَ
১৫) عَلَىٰ سُرُرٍ مَّوْضُونَةٍ
১৬) مُّتَّكِـِٔينَ عَلَيْهَا مُتَقَٰبِلِينَ
১৭) يَطُوفُ عَلَيْهِمْ وِلْدَٰنٌ مُّخَلَّدُونَ
১৮) بِأَكْوَابٍ وَأَبَارِيقَ وَكَأْسٍ مِّن مَّعِينٍ
১৯) لَّا يُصَدَّعُونَ عَنْهَا وَلَا يُنزِفُونَ
২০) وَفَٰكِهَةٍ مِّمَّا يَتَخَيَّرُونَ
২১) وَلَحْمِ طَيْرٍ مِّمَّا يَشْتَهُونَ
২২) وَحُورٌ عِينٌ
২৩) كَأَمْثَٰلِ ٱللُّؤْلُؤِ ٱلْمَكْنُونِ
২৪) جَزَآءًۢ بِمَا كَانُوا۟ يَعْمَلُونَ
২৫) لَا يَسْمَعُونَ فِيهَا لَغْوًا وَلَا تَأْثِيمًا
২৬) إِلَّا قِيلًا سَلَٰمًا سَلَٰمًا
২৭) وَأَصْحَٰبُ ٱلْيَمِينِ مَآ أَصْحَٰبُ ٱلْيَمِينِ
২৮) فِى سِدْرٍ مَّخْضُودٍ
২৯) وَطَلْحٍ مَّنضُودٍ
৩০) وَظِلٍّ مَّمْدُودٍ
৩১) وَمَآءٍ مَّسْكُوبٍ
৩২) وَفَٰكِهَةٍ كَثِيرَةٍ
৩৩) لَّا مَقْطُوعَةٍ وَلَا مَمْنُوعَةٍ
৩৪) وَفُرُشٍ مَّرْفُوعَةٍ
৩৫) إِنَّآ أَنشَأْنَٰهُنَّ إِنشَآءً
৩৬) فَجَعَلْنَٰهُنَّ أَبْكَارًا
৩৭) عُرُبًا أَتْرَابًا
৩৮) لِّأَصْحَٰبِ ٱلْيَمِينِ
৩৯) ثُلَّةٌ مِّنَ ٱلْأَوَّلِينَ
৪০) وَثُلَّةٌ مِّنَ ٱلْءَاخِرِينَ
৪১) وَأَصْحَٰبُ ٱلشِّمَالِ مَآ أَصْحَٰبُ ٱلشِّمَالِ
৪২) فِى سَمُومٍ وَحَمِيمٍ
৪৩) وَظِلٍّ مِّن يَحْمُومٍ
৪৪) لَّا بَارِدٍ وَلَا كَرِيمٍ
৪৫) إِنَّهُمْ كَانُوا۟ قَبْلَ ذَٰلِكَ مُتْرَفِينَ
৪৬) وَكَانُوا۟ يُصِرُّونَ عَلَى ٱلْحِنثِ ٱلْعَظِيمِ
৪৭) وَكَانُوا۟ يَقُولُونَ أَئِذَا مِتْنَا وَكُنَّا تُرَابًا وَعِظَٰمًا أَءِنَّا لَمَبْعُوثُونَ
৪৮)أَوَءَابَآؤُنَا ٱلْأَوَّلُونَ
৪৯) قُلْ إِنَّ ٱلْأَوَّلِينَ وَٱلْءَاخِرِينَ
৫০) لَمَجْمُوعُونَ إِلَىٰ مِيقَٰتِ يَوْمٍ مَّعْلُومٍ
৫১) ثُمَّ إِنَّكُمْ أَيُّهَا ٱلضَّآلُّونَ ٱلْمُكَذِّبُونَ
৫২) لَءَاكِلُونَ مِن شَجَرٍ مِّن زَقُّومٍ
৫৩) فَمَالِـُٔونَ مِنْهَا ٱلْبُطُونَ
৫৪) فَشَٰرِبُونَ عَلَيْهِ مِنَ ٱلْحَمِيمِ
৫৫) فَشَٰرِبُونَ شُرْبَ ٱلْهِيمِ
৫৬) هَٰذَا نُزُلُهُمْ يَوْمَ ٱلدِّينِ
৫৭) نَحْنُ خَلَقْنَٰكُمْ فَلَوْلَا تُصَدِّقُونَ
৫৮) أَفَرَءَيْتُم مَّا تُمْنُونَ
৫৯) ءَأَنتُمْ تَخْلُقُونَهُۥٓ أَمْ نَحْنُ ٱلْخَٰلِقُونَ
৬০) نَحْنُ قَدَّرْنَا بَيْنَكُمُ ٱلْمَوْتَ وَمَا نَحْنُ بِمَسْبُوقِينَ
৬১) عَلَىٰٓ أَن نُّبَدِّلَ أَمْثَٰلَكُمْ وَنُنشِئَكُمْ فِى مَا لَا تَعْلَمُونَ
৬২) وَلَقَدْ عَلِمْتُمُ ٱلنَّشْأَةَ ٱلْأُولَىٰ فَلَوْلَا تَذَكَّرُونَ
৬৩) أَفَرَءَيْتُم مَّا تَحْرُثُونَ
৬৪) ءَأَنتُمْ تَزْرَعُونَهُۥٓ أَمْ نَحْنُ ٱلزَّٰرِعُونَ
৬৫) لَوْ نَشَآءُ لَجَعَلْنَٰهُ حُطَٰمًا فَظَلْتُمْ تَفَكَّهُونَ
৬৬) إِنَّا لَمُغْرَمُونَ
৬৭) بَلْ نَحْنُ مَحْرُومُونَ
৬৮) أَفَرَءَيْتُمُ ٱلْمَآءَ ٱلَّذِى تَشْرَبُونَ
৬৯) ءَأَنتُمْ أَنزَلْتُمُوهُ مِنَ ٱلْمُزْنِ أَمْ نَحْنُ ٱلْمُنزِلُونَ
৭০) لَوْ نَشَآءُ جَعَلْنَٰهُ أُجَاجًا فَلَوْلَا تَشْكُرُونَ
৭১) أَفَرَءَيْتُمُ ٱلنَّارَ ٱلَّتِى تُورُونَ
৭২) ءَأَنتُمْ أَنشَأْتُمْ شَجَرَتَهَآ أَمْ نَحْنُ ٱلْمُنشِـُٔونَ
৭৩) نَحْنُ جَعَلْنَٰهَا تَذْكِرَةً وَمَتَٰعًا لِّلْمُقْوِينَ
৭৪) فَسَبِّحْ بِٱسْمِ رَبِّكَ ٱلْعَظِيمِ
৭৫) فَلَآ أُقْسِمُ بِمَوَٰقِعِ ٱلنُّجُومِ
৭৬) وَإِنَّهُۥ لَقَسَمٌ لَّوْ تَعْلَمُونَ عَظِيمٌ
৭৭) إِنَّهُۥ لَقُرْءَانٌ كَرِيمٌ
৭৮) فِى كِتَٰبٍ مَّكْنُونٍ
৭৯) لَّا يَمَسُّهُۥٓ إِلَّا ٱلْمُطَهَّرُونَ
৮০) تَنزِيلٌ مِّن رَّبِّ ٱلْعَٰلَمِينَ
৮১) أَفَبِهَٰذَا ٱلْحَدِيثِ أَنتُم مُّدْهِنُونَ
৮২) وَتَجْعَلُونَ رِزْقَكُمْ أَنَّكُمْ تُكَذِّبُونَ
৮৩) فَلَوْلَآ إِذَا بَلَغَتِ ٱلْحُلْقُومَ
৮৪) وَأَنتُمْ حِينَئِذٍ تَنظُرُونَ
৮৫) وَنَحْنُ أَقْرَبُ إِلَيْهِ مِنكُمْ وَلَٰكِن لَّا تُبْصِرُونَ
৮৬) فَلَوْلَآ إِن كُنتُمْ غَيْرَ مَدِينِينَ
৮৭) تَرْجِعُونَهَآ إِن كُنتُمْ صَٰدِقِينَ
৮৮) فَأَمَّآ إِن كَانَ مِنَ ٱلْمُقَرَّبِينَ
৮৯) فَرَوْحٌ وَرَيْحَانٌ وَجَنَّتُ نَعِيمٍ
৯০) وَأَمَّآ إِن كَانَ مِنْ أَصْحَٰبِ ٱلْيَمِينِ
৯১) فَسَلَٰمٌ لَّكَ مِنْ أَصْحَٰبِ ٱلْيَمِينِ
৯২) وَأَمَّآ إِن كَانَ مِنَ ٱلْمُكَذِّبِينَ ٱلضَّآلِّينَ
৯৩) فَنُزُلٌ مِّنْ حَمِيمٍ
৯৪) وَتَصْلِيَةُ جَحِيمٍ
৯৫) إِنَّ هَٰذَا لَهُوَ حَقُّ ٱلْيَقِينِ
৯৬) فَسَبِّحْ بِٱسْمِ رَبِّكَ ٱلْعَظِيمِ

সূরা ওয়াকিয়া বাংলা উচ্চারণ

অনেক মানুষ আছেন যারা শুদ্ধভাবে আরবি পড়তে পারেনা , তাদের কথা চিন্তা করে আজকে আপনাদেরকে সূরা ওয়াকিয়া বাংলা উচ্চারণ জানাবো।সূরা ওয়াকিয়া বাংলা উচ্চারণ শেয়ার করার মূল উদ্দেশ্য এটাই যে যারা আরবি পড়তে পারেনা তারাও যেন সূরা ওয়াকিয়া বাংলা উচ্চারণ দেখে এই ফজিলতপূর্ণ সূরাটি আমল করতে পারেন এবং এর মাধ্যমে অশেষ সওয়াবের অধিকারী হতে পারেন। তাই চলুন আর দেরি না করে সূরা ওয়াকিয়া বাংলা উচ্চারণ জেনে নেওয়া যাক।সূরা ওয়াকিয়া বাংলা উচ্চারণ নিচে তুলে ধরা হলো,
বিসমিল্লাহির রহমা-নির রহি-ম
১) ইযা-ওয়াকা‘আতিল ওয়া-কি‘আহ।
২) লাইছা লিওয়াক‘আতিহা-কা-যিবাহ।
৩) খা-ফিদাতুর রাফি‘আহ।
৪) ইযা-রুজ্জাতিল আরদুরাজ্জা-।
৫) ওয়া বুছছাতিল জিবা-লুবাছছা-।
৬) ফাকা-নাত হাবাআম মুমবাছছা-।
৭) ওয়া কুনতুম আঝওয়া-জান ছালা-ছাহ।
৮) ফাআসহা-বুল মাইমানাতি মাআসহা-বুল মাইমানাহ।
৯) ওয়া আসহা-বুল মাশআমাতি মাআসহা-বুল মাশআমাহ ।
১০) ওয়াছছা-বিকূনাছছা-বিকূন।
১১) উলাইকাল মুকাররাবূন।
১২) ফী জান্না-তিন না‘ঈম।
১৩) ছু ল্লাতুম মিনাল আওওয়ালীন।
১৪) ওয়া কালীলুম মিনাল আ-খিরীন।
১৫) ‘আলা-ছুরুরিমমাওদূ নাহ।
১৬) মুত্তাকিঈনা ‘আলাইহা-মুতাকা-বিলীন।
১৭) ইয়াতূ ফূ‘আলাইহিম বিলদা-নুমমুখাল্লাদূন।
১৮) বিআকওয়া-বিওঁ ওয়া আবা-রীকা ওয়াকা’ছিম মিম্মা‘ঈন।
১৯) লা-ইউসাদ্দা‘ঊনা ‘আনহা-ওয়ালা ইউনঝিফূন।
২০) ওয়া ফা-কিহাতিম মিম্মা-ইয়াতাখাইয়ারূন।
২১) ওয়া লাহমি তাইরিম মিম্মা-ইয়াশতাহূন।
২২) ওয়া হূরুন ‘ঈন।
২৩) কাআমছা-লিল লু’লুয়িল মাকনূন।
২৪) জাঝাআম বিমা-কা-নূইয়া‘মালূন।
২৫) লা-ইয়াছমা‘ঊনা ফীহা-লাগওয়াওঁ ওয়ালা-তা’ছীমা-।
২৬) ইল্লা-কীলান ছালা-মান ছালা-মা-।
২৭) ওয়া আসহা-বুল ইয়ামীনি মাআসহা-বুল ইয়ামীন।
২৮) ফী ছিদরিম মাখদূদ।
২৯) ওয়া তালহিমমানদূ দ।
৩০) ওয়া জিলিলমমামদুদ।
৩১) ওয়া মাইমমাছকূব।
৩২) ওয়া ফা-কিহাতিন কাছীরাহ।
৩৩) লা-মাকতূ‘আতিওঁ ওয়ালা-মামনূ‘আহ।
৩৪) ওয়া ফুরুশিমমারফূ‘আহ।
৩৫) ইন্নাআনশা’না-হুন্না ইনশাআ।
৩৬) ফাজা‘আলনা-হুন্না আবকা-রা।
৩৭) ‘উরুবান আতরা-বা-।
৩৮) লিআসহা-বিল ইয়ামীন।
৩৯) ছু ল্লাতুম মিনাল আওওয়ালীন।
৪০) ওয়া ছুল্লাতুম মিনাল আ-খিরীন।
৪১) ওয়া আসহা-বুশশিমা-লি মাআসহা-বুশ শিমা-ল।
৪২) ফী ছামূমিওঁ ওয়া হামীম।
৪৩) ওয়া জিলিলম মিইঁ ইয়াহমূম।
৪৪) লা-বা-রিদিওঁ ওয়ালা-কারীম।
৪৫) ইন্নাহুম কা-নূকাবলা যা-লিকা মুতরাফীন।
৪৬) ওয়াকা-নূইউসিররূনা ‘আলাল হিনছিল ‘আজীম।
৪৭) ওয়া কা-নূইয়াকূলূনা আইযা-মিতনা-ওয়া কুন্না-তুরা-বাওঁ ওয়া ‘ইজা-মান আইন্নালামাব‘ঊছূন।
৪৮) আওয়া আ-বাউনাল আওওয়ালূন।
৪৯) কুল ইন্নাল আওওয়ালীনা ওয়াল আ-খিরীন।
৫০) লামাজমূ‘ঊনা ইলা-মীকা-তি ইয়াওমিম মা‘লূম।
৫১) ছু ম্মা ইন্নাকুম আইইয়ুহাদ্দাললূনাল মুকাযযি বূন।
৫২) লাআ-কিলূনা মিন শাজারিম মিন ঝাক্কূম।
৫৩) ফামা-লিঊনা মিনহাল বুতূন।
৫৪) ফাশা-রিবূনা ‘আলাইহি মিনাল হামীম।
৫৫) ফাশা-রিবূনা শুরবাল হীম।
৫৬) হা-যা-নুঝুলুহুম ইয়াওমাদ্দীন।
৫৭) নাহনুখালাকনা-কুম ফালাওলা-তুসাদ্দিকূন।
৫৮) আফারাআইতুমমা-তুমনূন।
৫৯) আ আনতুম তাখলুকূনাহূআম নাহনুল খা-লিকূন।
৬০) নাহনুকাদ্দারনা-বাইনাকুমুল মাওতা ওয়ামা-নাহনুবিমাছবূকীন।
৬১) ‘আলাআননুবাদ্দিলা আমছা-লাকুম ওয়া নুনশিআকুম ফী মা-লা-তা‘লামূন।
৬২) ওয়া লাকাদ ‘আলিমতুমুন্নাশআতাল ঊলা-ফালাওলা-তাযাক্কারূন।
৬৩) আফারাআইতুম মা-তাহরুছূন।
৬৪) আআনতুম তাঝরা‘ঊনাহূআম নাহনুঝঝা-রি‘ঊন।
৬৫) লাও নাশা-উ লাজা‘আলনা-হু হুতা-মান ফাজালতুম তাফাক্কাহূন।
৬৬) ইন্না-লামুগরামূন।
৬৭) বাল নাহনুমাহরূমূন।
৬৮) আফারাআইতুমুল মাআল্লাযী তাশরাবূন।
৬৯) আ আনতুম আনঝালতুমূহু মিনাল মুঝনি আম নাহনুল মুনঝিলূন।
৭০) লাও নাশাউ জা‘আলনা-হু উজা-জান ফালাওলা-তাশকুরূন।
৭১) আফারাআইতুমুন্না-রাল্লাতী তূরূন।
৭২) আ আনতুম আনশা’তুম শাজারাতাহাআম নাহনুল মুনশিঊন।
৭৩) নাহনুজা‘আলনা-হা-তাযকিরাতাওঁওয়া মাতা-‘আল লিলমুকবিন।
৭৪) ফাছাববিহবিছমি রাব্বিকাল ‘আজীম।
৭৫) ফালাউকছিমুবিমাওয়া-কি‘ইননুজূম।
৭৬) ওয়া ইন্নাহূলাকাছামুল লাও তা‘লামূনা ‘আজীম।
৭৭) ইন্নাহূলাকুরআ-নুন কারীম।
৭৮) ফী কিতা-বিম মাকনূন।
৭৯) লা-ইয়ামাছছুহূইল্লাল মুতাহহারূন।
৮০) তানঝীলুম মির রাব্বিল ‘আ-লামীন।
৮১) আফা বিহা-যাল হাদীছিআনতুম মুদহিনূন।
৮২) ওয়া তাজ‘আলূনা রিঝকাকুম আন্নাকুম তুকাযযি বূন।
৮৩) ফালাও লাইযা-বালাগাতিল হুলকূম।
৮৪) ওয়া আনতুম হীনাইযিন তানজু রূন।
৮৫) ওয়া নাহনুআকরাবুইলাইহি মিনকুম ওয়ালা-কিল্লা-তুবসিরূন।
৮৬) ফালাওলাইন কুনতুম গাইরা মাদীনিন।
৮৭) তার জি‘ঊনাহাইন কুনতুম সা-দিকীন।
৮৮) ফাআম্মাইন কা-না মিনাল মুকাররাবীন।
৮৯) ফারাওহুওঁ ওয়া রাই হা-নুওঁ ওয়া জান্নাতুনা‘ঈম।
৯০) ওয়া আম্মাইন কা-না মিন আসহা-বিল ইয়ামীন।
৯১) ফাছালা-মুল্লাকা মিন আসহা-বিল ইয়ামীন।
৯২) ওয়া আম্মাইন কা-না মিনাল মুকাযযি বীনাদ্দাল্লীন।
৯৩) ফানুঝুলুম মিন হামীম।
৯৪) ওয়া তাসলিয়াতুজাহীম।
৯৫) ইন্না হা-যা-লাহুওয়া হাক্কুল ইয়াকীন।
৯৬) ফাছাব্বিহবিছমি রাব্বিকাল ‘আজীম।

সূরা ওয়াকিয়া অর্থ

প্রশ্নের উপরের অংশে আপনাদের জানানো হয়েছে সূরা ওয়াকিয়া বাংলা উচ্চারণ এবং সূরা ওয়াকিয়া আরবি, এবার আপনাদের সূরা ওয়াকিয়া অর্থ জানাবো কেননা পবিত্র গ্রন্থ আল কুরআনের যে কোন অংশ বা সূরা অর্থ বুঝে বা অর্থ জেনে পড়ার তাগিদ রয়েছে।সূরা ওয়াকিয়া অর্থ জানা থাকলে আপনারা বুঝতে পারবেন এই বরকতময় এবং ফজিলতপূর্ণ সূরাটির ভেতরে আল্লাহ পাক কি বলেছেন। আপনাদের বোঝার সুবিধার্থে সূরা ওয়াকিয়া অর্থ নিচে তুলে ধরা হলো,
শুরু করছি আল্লাহর নামে যিনি পরম করুণাময়, অতি দয়ালু
১) যখন কিয়ামতের ঘটনা ঘটবে,
২) যার বাস্তবতায় কোন সংশয় নেই।
৩) এটা নীচু করে দেবে, সমুন্নত করে দেবে।
৪) যখন প্রবলভাবে প্রকম্পিত হবে পৃথিবী।
৫) এবং পর্বতমালা ভেঙ্গে চুরমার হয়ে যাবে।
৬) অতঃপর তা হয়ে যাবে উৎক্ষিপ্ত ধূলিকণা।
৭) এবং তোমরা তিনভাবে বিভক্ত হয়ে পড়বে।
৮) যারা ডান দিকে, কত ভাগ্যবান তারা।
৯) এবং যারা বামদিকে, কত হতভাগা তারা।
১০) অগ্রবর্তীগণ তো অগ্রবর্তীই।
১১) তারাই নৈকট্যশীল,
১২) অবদানের উদ্যানসমূহে,
১৩) তারা একদল পূর্ববর্তীদের মধ্য থেকে।
১৪) এবং অল্পসংখ্যক পরবর্তীদের মধ্যে থেকে।
১৫) স্বর্ণ খচিত সিংহাসন।
১৬) তারা তাতে হেলান দিয়ে বসবে পরস্পর মুখোমুখি হয়ে।
১৭) তাদের কাছে ঘোরাফেরা করবে চির কিশোরেরা।
১৮) পানপাত্র কুঁজা ও খাঁটি সূরাপূর্ণ পেয়ালা হাতে নিয়ে,
১৯) যা পান করলে তাদের শিরঃপীড়া হবে না এবং বিকারগ্রস্ত ও হবে না।
২০) আর তাদের পছন্দমত ফল-মুল নিয়ে,
২১) এবং রুচিমত পাখীর মাংস নিয়ে।
২২) তথায় থাকবে আনতনয়না হুরগণ,
২৩) আবরণে রক্ষিত মোতির ন্যায়,
২৪) তারা যা কিছু করত, তার পুরস্কারস্বরূপ।
২৫) তারা তথায় অবান্তর ও কোন খারাপ কথা শুনবে না।
২৬) কিন্তু শুনবে সালাম আর সালাম।
২৭) যারা ডান দিকে থাকবে, তারা কত ভাগ্যবান।
২৮) তারা থাকবে কাঁটাবিহীন বদরিকা বৃক্ষে।
২৯)এবং কাঁদি কাঁদি কলায়,
৩০) এবং দীর্ঘ ছায়ায়।
৩১) এবং প্রবাহিত পানিতে,
৩২) ও প্রচুর ফল-মূলে,
৩৩) যা শেষ হবার নয় এবং নিষিদ্ধ ও নয়,
৩৪) আর থাকবে সমুন্নত শয্যায়।
৩৫) আমি জান্নাতী রমণীগণকে বিশেষরূপে সৃষ্টি করেছি।
৩৬) অতঃপর তাদেরকে করেছি চিরকুমারী।
৩৭) কামিনী, সমবয়স্কা।
৩৮) ডান দিকের লোকদের জন্যে।
৩৯) তাদের একদল হবে পূর্ববর্তীদের মধ্য থেকে।
৪০) এবং একদল পরবর্তীদের মধ্য থেকে।
৪১) বামপার্শ্বস্থ লোক, কত না হতভাগা তারা।
৪২) তারা থাকবে প্রখর বাষ্পে এবং উত্তপ্ত পানিতে,
৪৩) এবং ধুম্রকুঞ্জের ছায়ায়।
৪৪) যা শীতল নয় এবং আরামদায়কও নয়।
৪৫) তারা ইতিপূর্বে স্বাচ্ছন্দ্যশীল ছিল।
৪৬) তারা সদাসর্বদা ঘোরতর পাপকর্মে ডুবে থাকত।
৪৭) তারা বলতঃ আমরা যখন মরে অস্থি ও মৃত্তিকায় পরিণত হয়ে যাব, তখনও কি পুনরুত্থিত হব?
৪৮) এবং আমাদের পূর্বপুরুষগণও!
৪৯) বলুনঃ পূর্ববর্তী ও পরবর্তীগণ,
৫০) সবাই একত্রিত হবে এক নির্দিষ্ট দিনের নির্দিষ্ট সময়ে।
৫১) অতঃপর হে পথভ্রষ্ট, মিথ্যারোপকারীগণ।
৫২) তোমরা অবশ্যই ভক্ষণ করবে যাক্কুম বৃক্ষ থেকে,
৫৩) অতঃপর তা দ্বারা উদর পূর্ণ করবে,
৫৪) অতঃপর তার উপর পান করবে উত্তপ্ত পানি।
৫৫) পান করবে পিপাসিত উটের ন্যায়।
৫৬) কেয়ামতের দিন এটাই হবে তাদের আপ্যায়ন।
৫৭) আমি সৃষ্টি করেছি তোমাদেরকে। অতঃপর কেন তোমরা তা সত্য বলে বিশ্বাস কর না।
৫৮) তোমরা কি ভেবে দেখেছ, তোমাদের বীর্যপাত সম্পর্কে।
৫৯) তোমরা তাকে সৃষ্টি কর, না আমি সৃষ্টি করি?
৬০) আমি তোমাদের মৃত্যুকাল নির্ধারিত করেছি এবং আমি অক্ষম নই।
৬১) এ ব্যাপারে যে, তোমাদের পরিবর্তে তোমাদের মত লোককে নিয়ে আসি এবং তোমাদেরকে এমন করে দেই, যা তোমরা জান না।
৬২) তোমরা অবগত হয়েছ প্রথম সৃষ্টি সম্পর্কে, তবে তোমরা অনুধাবন কর না কেন?
৬৩) তোমরা যে বীজ বপন কর, সে সম্পর্কে ভেবে দেখেছ কি?
৬৪) তোমরা তাকে উৎপন্ন কর, না আমি উৎপন্নকারী ?
৬৫) আমি ইচ্ছা করলে তাকে খড়কুটা করে দিতে পারি, অতঃপর হয়ে যাবে তোমরা বিস্ময়াবিষ্ট।
৬৬) বলবেঃ আমরা তো ঋণের চাপে পড়ে গেলাম;
৬৭) বরং আমরা হূত সর্বস্ব হয়ে পড়লাম।
৬৮) তোমরা যে পানি পান কর, সে সম্পর্কে ভেবে দেখেছ কি?
৬৯) তোমরা তা মেঘ থেকে নামিয়ে আন, না আমি বর্ষন করি?
৭০) আমি ইচ্ছা করলে তাকে লোনা করে দিতে পারি, অতঃপর তোমরা কেন কৃতজ্ঞতা প্রকাশ কর না?
৭১) তোমরা যে অগ্নি প্রজ্জ্বলিত কর, সে সম্পর্কে ভেবে দেখেছ কি?
৭২) তোমরা কি এর বৃক্ষ সৃষ্টি করেছ, না আমি সৃষ্টি করেছি ?
৭৩) আমি সেই বৃক্ষকে করেছি স্মরণিকা এবং মরুবাসীদের জন্য সামগ্রী।
৭৪) অতএব, আপনি আপনার মহান পালনকর্তার নামে পবিত্রতা ঘোষণা করুন।
৭৫) অতএব, আমি তারকারাজির অস্তাচলের শপথ করছি,
৭৬) নিশ্চয় এটা এক মহা শপথ-যদি তোমরা জানতে।
৭৭) নিশ্চয় এটা সম্মানিত কোরআন,
৭৮) যা আছে এক গোপন কিতাবে,
৭৯) যারা পাক-পবিত্র, তারা ব্যতীত অন্য কেউ একে স্পর্শ করবে না।
৮০) এটা বিশ্ব-পালনকর্তার পক্ষ থেকে অবতীর্ণ।
৮১) তবুও কি তোমরা এই বাণীর প্রতি শৈথিল্য পদর্শন করবে?
৮২) এবং একে মিথ্যা বলাকেই তোমরা তোমাদের ভূমিকায় পরিণত করবে?
৮৩) অতঃপর যখন কারও প্রাণ কন্ঠাগত হয়।
৮৪) এবং তোমরা তাকিয়ে থাক,
৮৫) তখন আমি তোমাদের অপেক্ষা তার অধিক নিকটে থাকি; কিন্তু তোমরা দেখ না।
৮৬) যদি তোমাদের হিসাব-কিতাব না হওয়াই ঠিক হয়,
৮৭) তবে তোমরা এই আত্মাকে ফিরাও না কেন, যদি তোমরা সত্যবাদী হও ?
৮৮) যদি সে নৈকট্যশীলদের একজন হয়;
৮৯) তবে তার জন্যে আছে সুখ, উত্তম রিযিক এবং নেয়ামতে ভরা উদ্যান।
৯০) আর যদি সে ডান পার্শ্বস্থদের একজন হয়,
৯১) তবে তাকে বলা হবেঃ তোমার জন্যে ডানপার্শ্বসস্থদের পক্ষ থেকে সালাম।
৯২) আর যদি সে পথভ্রষ্ট মিথ্যারোপকারীদের একজন হয়,
৯৩) তবে তার আপ্যায়ন হবে উত্তপ্ত পানি দ্বারা।
৯৪) এবং সে নিক্ষিপ্ত হবে অগ্নিতে।
৯৫) এটা ধ্রুব সত্য।
৯৬) অতএব, আপনি আপনার মহান পালনকর্তার নামে পবিত্রতা ঘোষণা করুন।
মন্তব্য , আজকের এই সম্পূর্ণ পোস্টটি জুড়ে ছিল কুরআনের একটি মর্যাদাপূর্ণ সূরা সূরা ওয়াকিয়া বাংলা উচ্চারণ , আরবি , অর্থ এবং ফজিলত সম্পর্কিত। আর আপনারা নিশ্চয়ই এতক্ষণে এই সূরার সম্পর্কে ভালোভাবে জেনেছেন। সূরা ওয়াকিয়া নিয়মিত আমলের ফজিলত অনেক বেশি তাই আল্লাহ পাক আমাদের সকল নিয়মিতভাবে এই সূরা আমল করার তৌফিক দান করুন (আমিন)

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন

comment url