কিডনি রোগ কি ভাল হয় - কিডনি ভালো আছে কিনা বোঝার ২টি উপায়

আমাদের শরীরের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি অর্গান হল কিডনি বা বৃক্ক। আমাদের শরীরের জন্য ক্ষতিকর যেমন ইউরিক অ্যাসিড , এমোনিয়া , ক্রিয়েটিনিন এই জাতীয় পদার্থ গুলোকে প্রস্রাবের মাধ্যমে শরীর থেকে বের করে দেয় কিডনি। এজন্য কিডনির স্বাস্থ্যের ব্যাপারে আমাদের সচেতন থাকা উচিত। তবে আমাদের শরীরে থাকা গুরুত্বপূর্ণ এই অর্গান টি বিভিন্ন সময় বিভিন্ন কারণে ক্ষতিগ্রস্ত এবং রোগাক্রান্ত হতে পারে, আর তাই কিডনি ভালো আছে কিনা বোঝার উপায় এবং কিডনি রোগ কি ভাল হয় এই বিষয়ে সকলের জেনে রাখা উচিত। কিডনির অবস্থা বোঝার জন্য আজ আপনাদের জানাবো  কিডনি ভালো আছে কিনা বোঝার ২টি উপায় সম্পর্কে।

যারা কিডনি রোগী আছেন অথবা যারা কিডনির স্বাস্থ্য সম্পর্কে সচেতন হতে চান তারা সকলেই সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ সহকারে করুন কেননা এই পোষ্টের মধ্যে আপনারা কিডনি সম্পর্কিত বিভিন্ন ধরনের গুরুত্বপূর্ণ পেয়ে যাবেন যেমন -কিডনি ভালো আছে কিনা বোঝার উপায় , কিডনি রোগ কি ভাল হয় , কিডনি রোগীদের খাবার তালিকা ,কিডনি রোগী কি দুধ খেতে পারবে ইত্যাদি সহ আরো বেশ কিছু বিষয়। এই পোস্টে আপনাদের জানাবো কিডনি ভালো আছে কিনা বোঝার ২টি উপায় সম্পর্কে, তাই আর দেরি না করে কিডনি সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলো জানার জন্য পোস্টটি পড়ে ফেলুন।

কিডনি ভালো আছে কিনা বোঝার উপায়

কিডনি হল আমাদের শরীরে অন্যতম প্রধান অর্গান। তাই কিডনির ব্যাপারে সবসময় সতর্ক থাকা উচিত এবং জেনে রাখা উচিত কিডনি ভালো আছে কিনা বোঝার উপায় গুলো। কারণ কিডনি ভালো আছে কিনা বোঝার উপায় গুলো যদি আপনার জানা থাকে তাহলে আপনি খুব সহজেই আপনার কিডনির অবস্থা বুঝতে পারবেন আর যদি কোন সমস্যা মনে হয় তাহলে দ্রুত ডাক্তারের শরণাপন্ন হয়ে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা গ্রহণ করতে পারবেন। তাই আজকে আপনাদের কিডনি ভালো আছে কিনা বোঝার উপায় সম্পর্কে। আজকে আপনাদের জানাবো কিডনি ভালো আছে কিনা বোঝার ২টি উপায় সম্পর্কে।

কিডনি রোগের ক্ষেত্রে প্রাথমিক অবস্থাতে কোন লক্ষণ প্রকাশ পায় না বলে , বাইরে থেকে কিডনির কোন সমস্যা বোঝা যায় না। তাই কিডনির সমস্যা বোঝার জন্য বা কিডনি ভালো আছে কিনা জানার জন্য ক্লিনিক্যালি টেস্ট করানোর বিষয়টি খুবই জরুরী। কিডনি ভালো আছে কিনা বোঝার জন্য আপনাকে ক্লিনিক্যালি দুইটি টেস্ট করাতে হবে এবং এই দুইটি টেস্টের মাধ্যমে আপনি সিওর হতে পারবেন আপনার কিডনির সুস্থতা সম্পর্কে। কিডনি ভালো আছে কিনা বোঝার এই দুটি টেস্ট হলো, 

  • ACR test অর্থাৎ albumin to creatinine ratio এর পরীক্ষা
  • GFR test অর্থাৎ glomerular filtration rate এর পরীক্ষা পরীক্ষা
ACR test: প্রসাবের এলবুমিন ও ক্রিয়েটিনিন এর অনুপাত বিশ্লেষণ করে দেখার পরীক্ষায় হল ACR  টেস্ট। এই পরীক্ষাটির মাধ্যমে মূলত প্রসাবে প্রোটিনের মাত্রা পরীক্ষা করে দেখা হয়। কিডনির ছাঁকন প্রক্রিয়ায় ব্যাঘাত তখনই দেখা দেয় যখন কিডনির কার্যক্ষমতা কমে যায় বা কিডনি কোন রোগে আক্রান্ত হয়। আর কিডনি যদি ছাকন প্রক্রিয়ার এই কাজটি সঠিকভাবে করতে না পারে তখনই প্রসাবে প্রোটিনের উপস্থিতি বেড়ে যায় এবং ACR টেস্টের মাধ্যমে প্রসাবে প্রোটিনের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়। আপনার ACR টেস্টের রিপোর্টে যদি প্রস্রাবে এলবুমিন বা প্রোটিন ধরা পড়ে তাহলে আপনাকে বুঝে নিতে হবে আপনার কিডনিতে কোন না কোন সমস্যা রয়েছে।
GFR test: glomerular filtration rate কাউন্ট করাই হলো GFR টেস্টের মূল উদ্দেশ্য ।এই টেস্টের মাধ্যমে বোঝা যায় কিডনি ভালোভাবে রক্ত ফিল্টার করতে পারছে কিনা। এই টেস্টের মাধ্যমে ডাক্তাররা যদি মনে করে আপনার শরীরের রক্ত সঠিকভাবে ফিল্টার হচ্ছে না তাহলে ধরে নিতে হবে আপনার কিডনির সমস্যা রয়েছে এবং কিডনি সম্পূর্ণভাবে সুস্থ নয়।
আশা করছি কিডনি ভালো আছে কিনা বোঝার ২টি উপায় ভালোভাবে বুঝতে পেরেছেন ।কিডনি ভালো আছে কিনা বোঝার ACR test এবং GFR test এই দুইটি কার্যকরী পরীক্ষা ছাড়াও আলট্রাসনোগ্রাফি এর  মাধ্যমে প্রাথমিকভাবে কিডনির পাথর বা টিউমার জাতীয় কোন সমস্যা রয়েছে কিনা।

কিডনি রোগ কি ভাল হয়

কিডনি ভালো আছে কিনা বোঝার উপায় সম্পত্তি আপনারা এতক্ষণ জানলেন কিন্তু আপনাদের মধ্যে অ প্রশ্ন থাকে কিডনি রোগ কি ভাল হয় এই বিষয়টির উপরে এবং যারা কিডনির বিভিন্ন সমস্যায় জড়িত তাদের মধ্যে বেশিরভাগ সময় কিডনি রোগ কি ভাল হয় এই সংশয়টি কাজ করে। তাই এখন আপনাদের সাথে আলোচনা করব কিডনি রোগ কি ভাল হয় বিষয়টির উপরে। আপনারা জানেন কিডনি আমাদের শরীরের বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ একটি অর্গান এবং শরীরের ছাকন এবং রক্ত ফিল্টারের কাজ করে এই কিডনি , তার কোন কারণে যদি কিডনির সমস্যা জটিল আকার ধারণ করে তখন আমাদের সম্পূর্ণ শরীর প্রায় অচল হয়ে পড়ে।

আরো পড়ুনঃ হার্টের সমস্যার লক্ষণ

আমাদের শরীরের গুরুত্বপূর্ণ এই অর্গান বিভিন্ন সমস্যা রোগে আক্রান্ত হতে পারে যেমন -কিডনিতে পাথর , টিউমার , ইনফেকশন , কিডনি ফেইলিওর ইত্যাদি। এবং আপনারা জানেন কিডনির রোগগুলোর প্রাথমিক অবস্থায় কোন লক্ষণ প্রকাশ পায় না বলেই শুরুতে মানুষ বুঝতে পারে না কিডনির কোন সমস্যা হয়েছে কিনা তাই সে ক্ষেত্রে দেখা যায় কিডনির চিকিৎসা শুরু করতে অনেক দেরি হয়ে যায় তবে যদি কিডনিতে পাথর , ইনজেকশন বা টিউমারের ক্ষেত্রে শুরুতে সঠিক চিকিৎসা শুরু করা যায় আর কিডনিতে হওয়া ইনফেকশন , পাথর বা টিউমার প্রাথমিক পর্যায়েই অপসারণ করা হয় তাহলে কিডনি রোগ ভালো হয় এবং ভালো হতে পারে , কিন্তু যদি কিডনির এই রোগ গুলো শুরুতে বোঝা না যায় এবং চিকিৎসা শুরু করতে অনেকটা সময় কেটে যায় অথবা কিডনি ফেইলিওর কিডনি পুরোপুরি নষ্ট হয়ে যায় সে ক্ষেত্রে কিডনি রোগ থেকে রোগীর ভালো হওয়ার সম্ভাবনা একেবারেই থাকে না।

কিডনি রোগী কি দুধ খেতে পারবে

বেশিরভাগ কিডনি রুগীরা একটি প্রশ্ন জানতে চেয়ে থাকেন আর সেটি হল ,কিডনি রোগী কি দুধ খেতে পারবে ? আজকে আপনাদেরকে এই প্রশ্নের উত্তরটি ভালোভাবে বুঝিয়ে বলার চেষ্টা করব , তাহলে চলুন আর দেরি না করে কিডনি রোগী কি দুধ খেতে পারবে বিষয়টি ভালোভাবে জেনে নেওয়া যায়। আপনারা জানেন আমরা দুধের মধ্যেকার পুষ্টি আমাদের শরীরের জন্য কতটা উপকারী দুধ আমাদের শরীরে প্রোটিনের চাহিদা পূরণের পাশাপাশি হাড় মজবুত করা সহ আরো বিভিন্ন কাজ করে থাকেন এবং নিয়মিত সুস্থ শরীরে যারা দুধ পান করে তাদের ক্ষেত্রে কিডনি রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে। সুতরাং যদি কিডনি সুস্থ থাকে বা কিডনির কোন সমস্যা না থাকে তাহলে সে ক্ষেত্রে নিয়মিত দুধ পান করা আমাদের শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী তবে কেউ যদি ক্রনিক কিডনি রোগে আক্রান্ত হয় তবে তাদের ক্ষেত্রে দুধ  বা দুধের তৈরি খাবারগুলো এড়িয়ে চলাই ভালো কেননা কিডনি ভালো না থাকলে দুধ জাতীয় খাবার গুলো হার্ড দুর্বল করে ফেলে এবং কিডনির কার্যকারিতা নষ্ট করে দেয়।

কিডনি রোগী কি মাছ খেতে পারবে

ডিমের পরে এবার আসা যাক কিডনি রোগী কি মাছ খেতে পারবে এই বিষয়টির দিকে। অনেকে এটাও জানতে চেয়ে থাকেন যে কিডনি রোগী কি মাছ খেতে পারবে কিনা। হ্যাঁ ,নিশ্চিন্তে কিডনি রোগীরা মাছ খেতে পারবে। কিডনি রোগীদের জন্য মাছ অত্যন্ত আদর্শ একটি খাবার হতে পারে কেননা মাছের ভেতরে রয়েছে ওমেগা থ্রি , ফাটি এসিড যা, কিডনি সুস্থ রাখতে এবং কিডনির প্রদাহ দূর করতেও সাহায্য করে। মাছ খাওয়া কিডনি রোগীদের জন্য যদিও ভালো তারপরেও চেষ্টা করতে হবে সেই মাছগুলো যেন ফিড এবং বিভিন্ন কেমিক্যাল যুক্ত না হয়। সবচেয়ে বেশি ভালো হয় সামুদ্রিক মাছগুলো খেতে পারলে। তবে যেহেতু সামুদ্রিক মাছে লবণের পরিমাণ বেশি থাকে আর লবণ কিডনি রোগীদের জন্য ক্ষতিকর তাই এই ধরনের মাছ হওয়ার সময় সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে

লেবু কি কিডনির জন্য ক্ষতিকর

এবার আপনাদের সাথে কথা বলবো লেবু কি কিডনির জন্য ক্ষতিকর এ বিষয়টির উপরে। শরীরের দূষিত পদার্থ গুলো বের করে দেওয়ার কাজ করে থাকে কিডনি এছাড়াও কিডনি আরো যেসব গুরুত্বপূর্ণ কাজ করে তার মধ্যে রয়েছে হাড়ের স্বাস্থ্য ভালো রাখা এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখা। বেশ কিছু খাবার রয়েছে যে খাবারগুলো নাকি কিডনির জন্য ক্ষতিকর বা ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে আর এ কারণে অনেকের মধ্যে প্রশ্ন জাগে লেবু কি কিডনির জন্য ক্ষতিকর? না , লেবু কিডনির জন্য খুব একটা ক্ষতিকর নয়। কারণ লেবুর মধ্যে রয়েছে ভিটামিন সি এবং সাইট্রিক এসিড যা কিডনি ভালো রাখতে সাহায্য করুন তবে তাই বলে লেবু বা লেবু পানি অতিরিক্ত খাওয়া ঠিক নয়। কারণ মাত্রাতিরিক্ত লেবু পানি কিডনির অসুবিধার কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে , তবে পরিমাণ বুঝে লেবু পানি খেলে বা লেবু খেলে তা কিডনির জন্য ক্ষতির কারণ হবে না।

কিডনি রোগীদের খাবার তালিকা

কিডনি রোগীদের খাবার তালিকা প্রস্তুতির সময় বিশেষ সর্তকতা অবলম্বন করতে হয়। কারণ এই জাতীয় রোগীদের ক্ষেত্রে সব ধরনের খাবার প্রযোজ্য নয়। তাই আপনাদেরকে অবশ্যই কিডনি রোগীদের খাবার তালিকা প্রস্তুত এর আগে কিডনি রোগীদের খাবার তালিকা সম্পর্কে জেনে নিতে হবে। এমন কিছু সবজি রয়েছে যে সবজিগুলো কিডনি রোগীদের জন্য রান্না করার সময় অবশ্যই প্রথমে সিদ্ধ করে পানি ফেলে তারপরে রান্না করতে হবে এই ধরনের সবজি গুলোর মধ্যে রয়েছে -মিষ্টি কুমড়া , কাঁচা কলা , টমেটো , গাজর , মুলা , কাঁচা পেঁপে , আলু ।

শাক-সবজি খাওয়ার ক্ষেত্রেও কিডনি রোগীদের অত্যন্ত সতর্কতা মেনে চলতে হয় , সব ধরনের শাক খাওয়া কিডনি রোগীদের উচিত নয় , তবে কিডনি রোগীরা যে সাপগুলো খেতে পারবে সেগুলো হলো - লাল শাক , ডাঁটা শাক , কলমি শাক , লাউ শাক। সবজির ভেতরে যেসব সবজিগুলো কিডনি রোগীরা এড়িয়ে চলবে সেগুলো হল -বরবটি ,ঢেড়স , মিষ্টি আলু , সজনে পাতা এবং ডাটা , পালং শাক , পুঁইশাক। কিডনি রোগীদের যেসব সবজি খেতে হবে সেগুলো হল - পটল , চাল কুমড়া , লাউ , ঝিঙ্গা , শসা ,চিচিঙা

আরো পড়ুনঃ দ্রুত ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের উপায়

শুধু শাকসবজির ক্ষেত্রে নয় বিভিন্ন ফল জাতীয় খাবার খাওয়ার সময়ও কিডনি রোগীদেরকে জানতে হবে কোন ফলগুলো কিডনির জন্য ক্ষতিকর নয়। কিডনি রোগীদের ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে যেসব ফল সেগুলো হলো - কলা , আমড়া , বড়ই , পাকা আম , কাঁঠাল , ডাবের পানি , নারিকেল দেয়া খাবার এছাড়াও যেকোনো ধরনের ড্রাই ফ্রুটস কিডনি রোগীদের খাওয়া যাবে না। তবে কিডনি রোগীরা খেতে পারবে-পেয়ারা , আপেল , নাশপাতি , কমলা , আনারস , পাকা পেঁপে , বেল। তবে এসব ফলগুলো খেতে হবে পরিমাণ বুঝে।

রেড মিট জাতীয় খাবার যেমন -গরু এবং খাসির মাংস , মহিষ , ভেড়া ইত্যাদির মাংস বাদ দিতে হবে , শুধু মাংসই নয় এইসবের কলিজা , মগজ বাদ দিতে হবে। এছাড়াও কিডনি রোগীদের জন্য লবণ অত্যন্ত ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে তাই লবণ এবং যেসব খাবারে লবণের পরিমাণ বেশি যেমন সামুদ্রিক মাছ এই জাতীয় খাবার গুলো পরিহার করে চলতে হবে।কিডনি রোগীদের খাবার তালিকা থেকে বাদ দিতে হবে অতিরিক্ত তেল মশলা , ঝাল ও চর্বি জাতীয় খাবারের পাশাপাশি যে কোন ধরনের কৌটা জাতকরণ খাবার বা প্যাকেটজাতকরণ খাবার।

মন্তব্য,  কিডনি রোগ যেহেতু শুরুতে কোন লক্ষণ দেখায় না এই জন্য কিডনির ব্যাপারে সবসময় আমাদের সচেতন থাকতে হবে আর কিডনি ভালো রাখতে হলে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করতে হবে এবং ছয় মাস অথবা এক বছর পর পর কিডনি ভালো আছে কিনা সেই পরীক্ষাগুলো করে দেখতে হবে। আশা করছি ঠিকঠাক মতন এই টিপসগুলো অনুসরণ করলে সঠিক সময়ে আপনি কিডনির প্রয়োজনীয় চিকিৎসা গ্রহণ করতে পারবেন এবং আপনার কিডনিকে সুস্থ রাখতে পারবেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন

comment url