দৈনিক ১০০০ টাকা ইনকাম করার ২৫টি উপায়

দেশের মানুষের সংখ্যা তুলনায় যদি কর্মসংস্থানের সংখ্যা কম হয় তাহলে সেক্ষেত্রে একটি দেশের বেকারত্বের সংখ্যা অনেক বেড়ে যায় এবং এই বেকারত্ব মানুষকে মানসিকভাবে পঙ্গু করে ফেলে। তাই আজকে আপনাদেরকে বেকারত্ব দূর করার মাধ্যমে নিজেদের স্বাবলম্বী করে তোলার জন্য বেশ কিছু অনলাইনে এবং অফলাইন ইনকামের ধারণা দেবো এবং এই কাজগুলো করার মাধ্যমে আপনারা  দৈনিক ১০০০ টাকা ইনকাম এবং এর চেয়েও বেশি ইনকাম করতে পারবেন। আজকে আপনাদের জানাবো দৈনিক ১০০০ টাকা ইনকাম করার ২৫টি উপায় সম্পর্কে।

আপনারা অনেকেই হয়তো বেকার অবস্থায় জীবন কাটাচ্ছেন এবং কাজকর্ম না পেয়ে হতাশার মধ্যে দিন দিন ডুবে যাচ্ছেন, এই হতাশা দূর  এবং বেকারত্ব দূর করার জন্য আপনাদের প্রয়োজন সঠিক একটি গাইড লাইনের । আপনাদের বেকারত্বের এই সমস্যাটি উপলব্ধি করতে পেরে আজকে এই পোষ্টের মাধ্যমে আপনাদেরকে জানাবে দৈনিক ১০০০ টাকা ইনকাম করতে পারার মতন সহজ কিছু উপায়। আজকের এই পোষ্টের মাধ্যমে আপনারা জানতে পেরে যাবেন দৈনিক ১০০০ টাকা ইনকাম করার ২৫টি উপায়। তাহলে চলুন আর দেরি না করে দৈনিক ১০০০ টাকা ইনকাম করার ২৫টি উপায় গুলো জেনে নেওয়া যাক,

দৈনিক ১০০০ টাকা ইনকাম

জীবনে চলার পথে আমাদের প্রত্যেকেরই অর্থের প্রয়োজন , আর তাই আজকে আপনাদের জন্য যে বিষয়বস্তুটি নিয়ে আলোচনা করব সেটি হল দৈনিক ১০০০ টাকা ইনকাম করার উপায় সম্পর্কে। খুব স্মার্টলি যেসব কাজগুলো করার মাধ্যমে আপনি গড়ে দৈনিক ১০০০ টাকা ইনকাম ইনকাম করতে পারেন এই কাজগুলোর সম্পর্কে আজকে আপনাদেরকে ধারণা দেয়ার চেষ্টা করবো। আজকে আপনাদেরকে জানাবো অনলাইন এবং অফলাইন দুটি মাধ্যমে কিভাবে আপনি দৈনিক ১০০০ টাকা ইনকাম করতে পারবেন। তাহলে চলুন আর দেরি না করে দৈনিক ১০০০ টাকা ইনকাম করার উপায় গুলো জেনে নেওয়া যাক,

১।ডেটা এন্ট্রিঃ ডেটা এন্ট্রি নামটি আপনারা হয়তো অনেকেই শুনে থাকবেন। বর্তমানে অনলাইন ইনকাম এর একটি জনপ্রিয় মাধ্যম হয়ে দাঁড়িয়েছে ডাটা এন্টির কাজ। দেশের অনেক যুবক এই ডাটা এন্ট্রিট কাজ করে নিজেদেরকে স্বাবলম্বী করে তুলছে। দেশ এবং দেশের বাইরে বিভিন্ন ধরনের কোম্পানি রয়েছে যে কোম্পানিগুলো তাদের ডেটা পরিচালনার জন্য লোক নিয়োগ করে থাকেন। আপনি এই সকল কোম্পানিগুলোর সাথে কমিউনিকেশন করে ডেটা এন্ট্রির কাজগুলো করতে পারেন এই কাজটি করতে বিশেষ দক্ষতা ছাড়াই খুব সহজে কাজগুলো করা যায় বলে বিভিন্ন ধরনের এবং বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষটি এই ডেটা এন্ট্রির কাজ করতে পারেন এবং ডাটা এন্ট্রির কাজ করে দৈনিক ১০০০ টাকা ইনকাম করতে পারেন অনায়াসে।

২। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংঃ দৈনিক ১০০০ টাকা ইনকাম এর আরেকটি সহজ এবং জনপ্রিয় মাধ্যম হল অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর মাধ্যমে আপনি দৈনিক ১০০০ এবং এর চাইতেও বেশি অংকের অর্থ উপার্জন করতে পারেন। এবং এই অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার জন্য আপনাকে কোন ইনভেস্ট করতে হবে না। তবে এফিলিয়েট মার্কেটিং করার জন্য আপনার থাকতে হবে একটি জনপ্রিয় ওয়েবসাইট অথবা ইউটিউব চ্যানেল , যে চ্যানেল বা ওয়েবসাইটে রেগুলার অনেক ভিজিটর আসা যাওয়া করে। এরকম যদি একটি জনপ্রিয় ওয়েবসাইট থাকে তাহলে আপনি খুব সহজেই বিভিন্ন বড় বড় কোম্পানিগুলোর প্রোডাক্ট আপনার ওয়েবসাইটে দেওয়ার লিংকের মাধ্যমে বিক্রি করার মধ্যে দিয়ে ইনকাম করতে পারেন।

৩। ফ্রিল্যান্সিং ঃ আপনার যদি অনলাইনে কাজ করার অভিজ্ঞতা থাকে তাহলে সে ক্ষেত্রে আপনি ফ্রিল্যান্সিং করেও অর্থ উপার্জন করতে পারবেন। ফ্রিল্যান্সিং কাজের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের কাজে রয়েছে। বিভিন্ন মার্কেটপ্লেস গুলোতে একাউন্ট করার মাধ্যমে আপনি আপনার দক্ষতা অনুযায়ী ফ্রিল্যান্সিং কাজ বেছে নিয়ে সেগুলো যদি নিষ্ঠা এবং সততার সাথে পর্যাপ্ত সময় দিয়ে কাজগুলো করতে পারেন তাহলে সে ক্ষেত্রে আপনি খুব সহজেই দৈনিক গড়ে ১০০০ টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

৪। কন্টেন্ট রাইটিংঃ বিভিন্ন বিষয়ে যদি আপনার পর্যাপ্ত জ্ঞান থাকে এবং আপনি যদি লেখালেখি করতে ভালোবাসেন বা বিভিন্ন বিষয়ে লেখালেখি করার ওপরে আপনার বিশেষ দক্ষতা থাকে তাহলে সে ক্ষেত্রে আপনি কন্টেন্ট রাইটিং করেও অর্থ উপার্জন করতে পারেন। কনটেন্ট রাইটার হিসেবে বিভিন্ন জনপ্রিয় ওয়েবসাইটের মালিকেরা লোক নিয়োগ করে থাকে। আপনি সেই ধরনের কোন ওয়েবসাইটের মালিকের সাথে যোগাযোগ করার মাধ্যমে কন্টেন্ট রাইটিং এর কাজ করতে পারেন অথবা নিজেও একটি ওয়েবসাইট তৈরি করে সেখানে কন্টেন্ট রাইটিং এর কাজ করতে পারেন।

৫। ভ্লগ ভিডিওঃ আপনার যদি একটি ইউটিউব চ্যানেল থেকে থাকে তাহলে সেই চ্যানেলে বিভিন্ন বিষয়ের ওপরে ভ্লগ ভিডিও তৈরি করে আপলোড দেওয়ার মাধ্যমেও আপনি অর্থ উপার্জন করতে পারবেন। তবে সে ক্ষেত্রে অবশ্যই আপনার চ্যানেলের পর্যাপ্ত পরিমাণে সাবস্ক্রাইবার থাকা জরুরী। আপনি আপনার চ্যানেলে খাবার রেসিপি , ফানি ভিডিও , বিনোদনমূলক ভিডিও , শিক্ষামূলক ভিডিও ইত্যাদি ভিডিও তৈরি করে আপলোড দেওয়ার মাধ্যমে এবং গুগল এডসেন্স এর মাধ্যমে অর্থ ইনকাম করতে পারবেন।

৬। ওয়েবসাইট থেকে ইনকামঃ আপনার যদি একটি ওয়েবসাইট থাকে তাহলে সেই ওয়েবসাইটে নিয়মিত ভাবে কোন নির্দিষ্ট বিষয় নিয়ে অথবা বিভিন্ন বিষয়ের উপরে কন্টেন্ট তৈরি করে এবং সেগুলো আপলোড দেয়ার মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করতে পারবেন। তবে অবশ্যই ওয়েবসাইট থেকে ইনকাম করতে হলে সর্বপ্রথমে আপনার ওয়েবসাইটে পর্যাপ্ত পরিমাণ ভিজিটর আসার ব্যবস্থা করতে হবে এবং যখন ভালো সংখ্যায় ডিজিটাল আসা শুরু করবে তখন আপনি আপনার ওয়েবসাইটে গুগল এডসেন্স সেট করার মাধ্যমে এবং এই এড আপনার ওয়েবসাইট এর মাধ্যমে মানুষের কাছে উপস্থাপন করে দৈনিক 10 ডলার এর বেশি অর্থাৎ 1000 টাকার বেশিও আপনি ইনকাম করতে পারবেন।

৭। মাইক্রো জবঃ আপনার হাতে যদি খুব বেশি সময় না থাকে তাহলে আপনি মাইক্রো জব গুলো করতে পারেন , মাইক্রো জবে সাধারণত একটি নির্দিষ্ট টাইমের মধ্যে ছোট ছোট কিছু কাজ সম্পন্ন করতে দেওয়া হয় যেমন -ব্লগ লেখা , ডেটা বের করা , সমীক্ষা পূরণ ইত্যাদি। মাইক্রো জবের মাধ্যমে আপনি এই সকল ছোট কাজগুলো স্বল্প সময়ের মধ্যে সম্পন্ন করে দৈনিক ৫০০ - ১০০০ টাকা পর্যন্ত ইনকাম করতে পারবেন।

৮। ওয়েব ডেভলপারঃ আপনি যদি ভালোমতো কোডিং এর কাজ করতে জানেন তাহলে সে ক্ষেত্রে ওয়েব ডেভলপার হিসেবেও কাজ করতে পারেন। বিভিন্ন ধরনের বেশি এবং বিদেশি কোম্পানিগুলো প্রায় সময়ই ভালো মানের ওয়েব ডেভলপার নিয়োগের জন্য সার্কুলার দিয়ে থাকে। আপনি এইসব কোম্পানি গুলো খুঁজে বের করে তাদের সাথে কন্টাক করার মাধ্যমে ওয়েব ডেভলপার হিসেবে কাজ নিতে পারেন। আর আপনি যদি ভালো একজন ওয়েব ডেভেলপার হয়ে থাকেন তাহলে সে ক্ষেত্রে এক হাজার থেকে এক লাখ টাকা পর্যন্ত ইনকাম করতে পারবেন।

৯। প্রুফ রিডিংঃ প্রুফ রিডিং এর কাজটিও অত্যন্ত সহজে এবং এই মাধ্যমে সহজেই দৈনিক ১০০০ টাকায় ইনকাম করা সম্ভব। বিভিন্ন ধরনের জনপ্রিয় ওয়েবসাইট বা কোম্পানিগুলো তাদের কনটেন্ট অথবা বিজ্ঞাপন গুলো মার্কেটপ্লেসের ছাড়ার আগে সেগুলো ঠিক আছে কিনা দেখার জন্য প্রুফ রিডার নিয়ে থাকে , এই প্রুফ রিডারদের এই কাজ হল কোম্পানি বা ওয়েবসাইটের কনটেন্ট অথবা বিজ্ঞাপন গুলো ঠিক আছে কিনা অথবা কোন ভুল ভ্রান্তি আছে কিনা সেগুলো বের করা।

১০। হোম মেড খাবারের ব্যবসাঃ বর্তমান যুগের মানুষ অত্যন্ত কর্মব্যস্ত হওয়ার কারণে বিভিন্ন সময়ে অনলাইনে খাবার অর্ডার করে অফিস আদালতের লাঞ্চ সেরে নেই। আপনি যদি চান তাহলে এ ধরনের অফিসের সাথে যোগাযোগ করে হোমমেড লাঞ্চ অর্ডার নেয়া এবং ডেলিভারি দেওয়ার মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করতে পারেন, এতে প্রতিদিন আপনার প্রায় ১০০০  বা তার চেয়েও বেশি ইনকাম হবে।

১১। ভার্চুয়াল একাউন্টেঃ ভার্চুয়াল একাউন্টে বা হিসাব রক্ষক হিসেবও আপনি বিভিন্ন কোম্পানিগুলোর সাথে যুক্ত হয়ে কাজ করতে পারেন। আপনি যদি একাউন্টিং এর উপরে কোন ডিগ্রী নিয়ে থাকেন তাহলে এ কাজটি আপনার জন্য অনেক সুবিধার হবে। বিভিন্ন বড় বড় কোম্পানিগুলো তাদের লেনদেনের হিসাব রাখার জন্য ভার্চুয়াল একাউন্টেন্ট নিয়োগ দিয়ে থাকে , এই কোম্পানিগুলোর সাথে যুক্ত হয়ে আপনি ভার্চুয়াল একাউন্টেন্ট হিসেবে কাজ করতে পারেন এবং খুব সহজেই দৈনিক গড়ে ১০০০ নয় এর চেয়েও বেশি অর্থ উপার্জন করতে পারেন।

১২। ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্টঃ ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসেবে কাজ করার পদ্ধতিটিও বর্তমানে বেশ জনপ্রিয়তা লাভ করছে। কারণ এই কাজটির মাধ্যমেও খুব সহজেই অর্থ উপার্জন করা সম্ভব হচ্ছে। আপনার যদি কমিউনিকেশন স্কিল ভালো থাকে তাহলে সে ক্ষেত্রে আপনি বিভিন্ন কোম্পানিগুলোর সাথে ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসেবে যুক্ত হয়ে কাজ করতে পারেন। ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট এর প্রধান কাজ গুলো হয় ক্লায়েন্ট মিটিং এটেন্ড করা , কাজের সিডিউল করা , website পরিচালনা করা, ফোন কল রিসিভ করা ইত্যাদি আর এই কাজগুলো করার জন্য সাধারণত বিভিন্ন কোম্পানিগুলো বা প্রতিষ্ঠানগুলো ঘন্টায় হিসেবে পেমেন্ট দিয়ে থাকে সুতরাং ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসেবে কাজ করে আপনি খুব সহজেই দিনে ১০০০ টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

১৩। ট্রান্সলেটরঃ আপনার যদি একাধিক ভাষার ওপরে দক্ষতা থাকে তাহলে সে ক্ষেত্রে আপনি ট্রান্সলেটর হিসেবে যুক্ত হয়েও জব করতে পারেন। আন্তর্জাতিক বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান বা কোম্পানিগুলো তাদের কনটেন্ট গুলোকে ট্রান্সলেট করার জন্য ট্রান্সলেটর নিয়োগ দিয়ে থাকে , আপনি যদি একাধিক ভাষায় পারদর্শী হন তাহলে এই ধরনের ট্রান্সলেটর জব অথবা ট্রান্সলেট করার কাজগুলোর সাথে যুক্ত হয়ে অর্থ ইনকাম করতে পারেন।

১৪। ট্রান্সক্রিপশনিস্টঃ শুধু ট্রান্সলেটর নয় ট্রান্সক্রিপশনিস্ট হিসেবেও যুক্ত হয়ে আপনি প্রতিদিন ৫০০ থেকে ১০০০ টাকা পর্যন্ত খুব সহজেই ইনকাম করতে পারেন তবে এই কাজটি করার জন্য আপনার মনোযোগ এবং টাইপিং স্পিড দুটোই থাকতে হবে। কারণ আপনি যখন ট্রান্সক্রিপশনিস্ট হিসেবে কাজ করবেন তখন আপনাকে একটি অডিও অথবা ভিডিও শুনতে দেওয়া হবে এবং যেটি মনোযোগ দিয়ে শোনার পরে সেখানে কি বলছে সেটি দ্রুত টাইপ করতে হবে। আপনি যত কম সময়ের মধ্যে এই কাজটি করে ফেলতে পারবেন আপনার অর্থ উপার্জন ততটাই সহজ হবে অর্থাৎ আপনার টাইপিং স্পিডের উপরে নির্ভর করছে অর্থ উপার্জনের স্কেল। তাই এই কাজের জন্য আপনার যথেষ্ট মনোযোগ এবং টাইপিং স্পিড থাকা জরুরি আপনি যদি মনোযোগ সহকারে ভিডিও বা অডিও ক্লিপটি  শুনে দ্রুত টাইপিং করতে পারেন এবং স্বল্প সময়ের মধ্যে নির্দিষ্ট কাজটি সম্পন্ন করতে পারেন তাহলে সে ক্ষেত্রে প্রতিদিন আপনি বেশ ভালো অংকের একটি অর্থ উপার্জন করতে পারবেন।

১৫। অনলাইন টিউটরঃ আপনি যদি গ্রাজুয়েট হয়ে থাকেন তাহলে সে ক্ষেত্রে অনলাইন টিউটর হতে পারেন। যেহেতু আজকাল বিভিন্ন ক্লাসের ছাত্রছাত্রীরা অনলাইনের মাধ্যমে শিক্ষা গ্রহণ করে থাকে সুতরাং সেক্ষেত্রে আপনি লাইভ অনলাইন টিউটর বা অনলাইনে টিউশনি করেও ইনকাম করতে পারেন এতে করে আপনার প্রতিদিন কম করে এক থেকে দুই হাজার টাকা ইনকাম হয়ে যাবে। এছাড়াও আপনি ইউটিউব চ্যানেলের মাধ্যমে বিভিন্ন সাবজেক্ট এর উপরে শিক্ষামূলক ভিডিও আপলোড করার মাধ্যমেও শিক্ষার্থীদের পড়াতে পারেন এবং অর্থ উপার্জন করতে পারেন।

১৬। সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিংঃ আপনি ইচ্ছা করলে সোশ্যাল মিডিয় মাধ্যমগুলোতে অযথা সময় নষ্ট না করে ফেসবুক , লিংকদিন , টুইটার , ইন্সটাগ্রাম ইত্যাদির মাধ্যমে গুলো ব্যবহার করে সোশ্যাল মিডিয়াম মার্কেটিং এর মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করতে পারে। এই প্লাটফর্ম গুলো ব্যবহার করে আপনি আপনার পরিষেবা গুলো বিভিন্ন মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে পারেন এবং সেখান থেকে আপনার দৈনিক ভালো অংকের একটা অর্থ উপার্জন হতে পারে।

১৭। ফটোগ্রাফিঃ ফটোগ্রাফির ওপরে যদি আপনার ভালো দক্ষতা থাকে এবং আপনি যদি একজন ভালো ফটোগ্রাফার হয়ে থাকেন তাহলে আপনার যদি একটি ডিএসএলআর ক্যামেরা অথবা ভালো মানের একটি এন্ড্রয়েড বা স্মার্টফোন থাকে তাহলে এই ফোন বা ক্যামেরার মাধ্যমে বিভিন্ন জিনিসের ফটোগ্রাফি করার মাধ্যমে এবং সেই ফটোগ্রাফি গুলো আন্তর্জাতিক মার্কেটপ্লেসিং সেল করার মাধ্যমে একটি ভালো অংকের অর্ধ উপার্জন করতে পারেন। এছাড়াও আপনি যদি ভাল একজন ফটোগ্রাফার হয়ে থাকেন তাহলে ফটোগ্রাফির কাজ করতে পারেন বিভিন্ন কনসার্ট , বিয়ে জন্মদিন বা যেকোনো সামাজিক অনুষ্ঠানে।

১৮। অনলাইন সার্ভেঃ অনলাইন সার্ভে করেও আপনি প্রতিদিন হাজার টাকার বেশি ইনকাম করতে পারবেন। বিভিন্ন ধরনের ছোট-বড় অনেক কোম্পানি রয়েছে যারা নাকি তাদের প্রতিষ্ঠান বা প্রোডাক্টের অনলাইন সমীক্ষার জন্য লোক নিয়োগ করে থাকে, আপনি যদি অনলাইন সার্ভে করতে চান তাহলে এই ধরনের প্রতিষ্ঠানগুলোকে খুঁজে বের করে তাদের ওয়েবসাইটে সাইন আপ করার মাধ্যমে এই কাজের সাথে যুক্ত হতে পারেন এবং অনলাইন সার্ভে করে অর্থ উপার্জন করতে পারেন।

১৯। ভিডিও এডিটিংঃ ভিডিও এডিটিং বর্তমানে অর্থ উপার্জনের একটি জনপ্রিয় মাধ্যম। আপনি যদি ভিডিও এডিট করার কাজ জানেন তাহলে বিভিন্ন ধরনের ভিডিও গুলো এডিটিং করার মাধ্যমে দৈহিক হাজার টাকা ইনকাম করতে পারেনা। বিভিন্ন ধরনের জনপ্রিয় ইউটিউব চ্যানেলগুলো অনেক সময় তাদের চ্যানেলের ভিডিওগুলোকে এডিট করার জন্য এডিটর নিয়োগ দিয়ে থাকেন আপনি এ ধরনের চ্যানেল গুলোর সাথে যোগাযোগ করার মাধ্যমে ভিডিও এডিটর হিসেবে ভিডিও এডিটিং করে অর্থ উপার্জন করতে পারবেন।

২০। ব্লগিং করেঃ আপনার যদি ব্লগ লিখার উপরে অথবা ব্লগ ভিডিও তৈরি করার উপরে বিশেষ দক্ষতা থাকে তাহলে আপনি খুব সহজেই ব্লগিং করার মাধ্যমে দৈনিক হাজার টাকা ইনকাম করতে পারেন। ব্লগিংয়ের এই কাজটি আপনি আপনার নিজের ওয়েবসাইটেও করতে পারেন অথবা অন্যের ওয়েবসাইটে গেস্ট ব্লগিং করার মাধ্যমে উপার্জন করতে পারেন।

২১। ই কমার্স ব্যবসাঃ আপনারা অনেকেই হয়তো জেনে থাকবেন অনলাইন ই কমার্স ব্যবসা বর্তমানে কতটা জনপ্রিয়। আপনি একটি ই-কমার্স ওয়েবসাইট ক্রিয়েট করার মাধ্যমে এর মধ্যে দিয়ে বিভিন্ন পোশাক , প্রোডাক্ট মানুষের কাছে বিক্রি করে বেশ বড় অঙ্কের একটি অর্থ উপার্জন করতে পারেন। এই ব্যবসাতে অনলাইনের মাধ্যমে গ্রাহকদের কাছে থেকে তাদের চাহিদা অনুযায়ী পণ্যের অর্ডার গ্রহণ করে তাদের কাঙ্খিত ঠিকানাই নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে অন্য পৌঁছে দিতে পারলেই দিন দিন আপনার ই কমার্স ওয়েবসাইট জনপ্রিয়তা অর্জন করবে এবং আপনার প্রোডাক্টগুলো বেশি বিক্রি হবে আর এর মাধ্যমে আপনি দিনে শুধু হাজার টাকা নয় বরং মাসে অন্ততপক্ষে ৫০ হাজারেরও বেশি ইনকাম করতে পারবেন।

২২। বিকাশ পেমেন্টের ব্যবসাঃ আপনি যদি কিছু টাকা ইনভেস্ট করে বিকাশ পেমেন্টের ব্যবসা শুরু করতে পারেন তাহলে সে ক্ষেত্রে প্রতিদিন খুব সহজেই ৫০০ - ১০০০ টাকা পর্যন্ত ইনকাম করতে পারবেনা। আপনি বিকাশ , নগদ , রকেট এর এজেন্ট হয়ে অর্থ পাঠানো এবং অর্থ উত্তোলন এর করে কমিশন নেয়ার মাধ্যমে দিনে হাজার টাকা ইনকাম করতে পারেন।

২৩। ফার্মেসীঃ আপনার যদি অর্থ ইনভেস্ট করার মতন সামর্থ্য থাকে তাহলে আপনি যেকোন স্থানে ঔষধের দোকান দিতে পারে এবং আরে এখান থেকে প্রতিদিন কমপক্ষে হাজার টাকা ইনকাম করতে পারেন। তবে ওষুধ এর দোকান দেয়ার জন্য আপনার থাকতে হবে ঔষধ সম্পর্কে পর্যাপ্ত জ্ঞান , ফার্মেসি ট্রেনিং এবং ট্রেড লাইসেন্স।

২৪। গেসারি শপঃ দৈনিক হাজার টাকা ইনকাম নিয়ে আরেকটি লাভজনক অফলাইন ব্যবসা হল গোসারি শপ। দৈনিক হাজার টাকা ইনকামের জন্য তুমি চিন্তা ভাবনা করতে পারেন গোসারি শপের। কেননা গোসারি শপে যেহেতু মানুষের মৃত্যু প্রয়োজনীয় জিনিসগুলো থাকে তাই , খুব সহজেই এই জিনিসগুলো সেল করার মাধ্যমে দৈনিক ভালো অংকের অর্থ উপার্জন করা যায়।

২৫। রেস্টুরেন্টঃ বর্তমানে বিভিন্ন বয়সী মানুষ ছোটখাটো মিটিং , ফ্যামিলি ট্রিট , ফ্রেন্ডসদের সাথে আড্ডা দে অথবা একান্ত সময় কাটানোর জন্য রেস্টুরেন্ট গুলোকে বেছে নেয় তাই আপনি কিছু বেশি টাকা ইনভেস্ট করে একটি ভালো মানের রেস্টুরেন্ট খোলার চিন্তা করতে পারেন। রেস্টুরেন্ট চালু করতে যদিও প্রাথমিক অবস্থায় আপনার বেশ কিছু খরচ হবে ঠিকই কিন্তু একবার এই রেস্টুরেন্টে চালু হয়ে গেলে বা জনপ্রিয়তা লাভ করলে এখান থেকে আপনি দৈনিক হাজার হাজার টাকা অনায়াসে ইনকাম করতে পারবেন।

মন্তব্য , আশা করছি আজকের পোস্টের মধ্যে শেয়ার করা দৈনিক ১০০০ টাকা ইনকাম করার ২৫টি উপায় এর আইডিয়াগুলো আপনার বেকারত্ব দূর করে স্বাবলম্বী করে তুলতে অনেকটা সাহায্য করবে। বর্তমান যুগে সোশ্যাল মিডিয়া মাধ্যমিক যেহেতু আমরা প্রায় সবাই ব্যবহার করি তাই শুধু শুধু এই মাধ্যমগুলোর মাধ্যমে টাইম পাস না করে , আপনার হাতে থাকা স্মার্টফোন , ল্যাপটপ অথবা কম্পিউটার কে কাজে লাগিয়ে এই সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে গুলোকে করে তুলুন উপার্জনের ক্ষেত্রে হিসেবে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন

comment url