মানসিক রোগের শারীরিক লক্ষণ - মানসিক রোগ থেকে মুক্তির ১১টি উপায়

আমাদের সকলেরই মানসিক রোগ সম্পর্কে জানা উচিত কেননা আমরা মানসিক রোগ বলতে মস্তিষ্কের সমস্যা বা পাগল ভেবে থাকি, কিন্তু আসলে এই ধারণাটি, একেবারেই ভুল মানসিক সমস্যা মানে শুধুমাত্র মস্তিষ্কের সমস্যা নয়। আর তাই মানসিক রোগের ব্যাপারে সচেতন হওয়ার জন্য এই বিষয়ে বিস্তারিতভাবে আমাদেরকে জানতে হবে কারণ আমরা অধিকাংশ মানুষই কোন না কোন ভাবে মানসিক রোগে আক্রান্ত। গবেষণায় দেখা গেছে প্রতি চার জন মানুষের ভেতরে প্রায় একজন মানুষ কোন না কোন ভাবে মানসিক রোগে আক্রান্ত। 

আমাদের মধ্যে অনেকেই মানসিক রোগী আছেন এবং অনেকে হয়তো এ বিষয়টি বুঝতেও পারেন কিন্তু শুধুমাত্র লোকজনের কথা ভেবে সহজে চিকিৎসার দিকে আগান না , তবে এই কাজটি করা মোটেও ঠিক নাই কারণ আপনি যদি সঠিক সময়ে চিকিৎসা গ্রহণ করতে পারেন তাহলে সে ক্ষেত্রে মানসিক রোগ থেকে সম্পন্ন সেরে উঠতে পারেন। যারা মানসিক রোগ থেকে মুক্তির জন্য ঘরোয়া ভাবে নিজে নিজে চেষ্টা করতে চান তাদের ক্ষেত্রে আজকের প্রশ্নের মাধ্যমে শেয়ার করা হবে মানসিক রোগ থেকে মুক্তির উপায়। এছাড়াও এই পোস্টটি মনোযোগ সহকারে সম্পন্ন করলে আপনি জানতে পারবেন মানসিক রোগের শারীরিক লক্ষণ , মানসিক রোগ থেকে মুক্তির উপায় , মানসিক রোগী চেনার উপায় , মানসিক রোগ কি ভালো হয় ইত্যাদি বিষয় সম্পর্কে। 

মানসিক রোগ কত প্রকার

মানসিক সমস্যা এক ধরনের রোগ , নিউরোট্রান্সমিটারের কম বেশি হওয়ার মানুসিক প্রক্রিয়াটিই হল মানসিক রোগের প্রধান কারণ, আপনাদের মধ্যে অনেকেই মানসিক রোগ কত প্রকার সেটি জানতে চেয়ে থাকেন , তাই আজকে আপনাদেরকে মানসিক রোগ কত প্রকার এই বিষয়টি জানাবো। মানসিক সমস্যা বা মানসিক রোগ মূলত দুই প্রকার , যথা;

  • নিউরোসিস এবং
  • সাইকোসিস নিউরোসিস

মানসিক রোগের শারীরিক লক্ষণ

মানসিক রোগের বেশ কিছু শারীরিক লক্ষণ রয়েছে , এবার আপনাদেরকে মানসিক রোগের শারীরিক লক্ষণ গুলো সম্পর্কে জানাবো , কারণ আমাদের মধ্যে মানসিক রোগের মৃদু লক্ষণ অনেকের মধ্যে থাকলেও আমরা এটি বুঝতে পারিনি এর প্রধান কারণ হলো আমরা সবাই মানসিক রোগের শারীরিক লক্ষণ গুলো জানিনা। যদি আপনারা মানসিক রোগের শারীরিক লক্ষণ গুলো জেনে শুরু থেকেই এই সমস্যার জন্য সঠিক চিকিৎসা গ্রহণ করেন তাহলে এই রোগ থেকে খুব সহজেই সেরে ওঠা সম্ভব। তাই জন্য দেরি না করে মানসিক রোগের শারীরিক লক্ষণ গুলো জেনে নেয়া যাক।মানসিক রোগের শারীরিক লক্ষণ গুলো হল ,

  • নিঃশ্বাস নিতে অসুবিধা
  • মাথাব্যথা
  • মাথা ঘোরা
  • দুর্বলতা অনুভব করা
  • বুকে ব্যথা
  • হজমের সমস্যা
  • অনিদ্রার সমস্যা বা ঘুম কমে যাওয়া
  • হার্টবিট কম বা বেশি হওয়া
  • সাইনাস এর সমস্যা
  • স্কিন প্রবলেম যেমন -অ্যাকজিমা , চুলকানি , ব্রণ ইত্যাদি
  • পেশিতে টান অনুভব করা
  • হাত পা অবশ লাগা এবং জ্বালাপোড়া অনুভব করো
  • বমি বমি ভাব
  • চোখে ঝাপসা দেখা
তবে মনে রাখবেন , উপরের এই লক্ষণগুলো প্রকাশ পাওয়ার মানে এই নয় যে এগুলো শুধুমাত্র মানসিক রোগের লক্ষণ , উপরের দেওয়া লক্ষণগুলো বিভিন্ন রোগের উপসর্গ হিসেবেও প্রকাশ পায় আর এই কারণেই এই লক্ষণগুলো দেখা দিলে শুধুমাত্র মানসিক সমস্যা মনে না করে প্রথমে ভালোভাবে পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে নিশ্চিত হন যে শারীরিক কোন রোগ আছে কিনা। যদি বিশেষ কোনো শারীরিক রোগ ছাড়া এসব লক্ষণ প্রকাশ পেতে থাকে তাহলে কেবল তখনই এগুলোকে মানসিক রোগের শারীরিক লক্ষণ বলা যাবে। আশা করছি বিষয়টি বুঝতে পেরেছেন।

মানসিক রোগী চেনার উপায়

এবার আপনাদেরকে মানসিক রোগী চেনার উপায় জানাবো। আমি কারণ মানসিক রোগী চেনার উপায় গুলো যদি আপনার জানা থাকে সেক্ষেত্রে এই ধরনের রোগী চিনতে আপনার সুবিধা হবে এবং এদের চিকিৎসার আওতায় আনা সহজ হবে। তবে হঠাৎ দু একটি ক্ষেত্রে এইসব লক্ষণগুলো মিলে গেলেই যে সে মানসিক রোগী এমনটি ভাবার কিছু নেই , তবে যদি এইসব লক্ষণগুলো কোন মানুষের মধ্যে তীব্র আকারে বা দীর্ঘস্থায়ীভাবে দেখা দেয় তাহলে সে ক্ষেত্রে তাদেরকে সঠিক চিকিৎসার আওতায় আনা জরুরি। তাই সর্বপ্রথমে চলুন মানসিক রোগী চেনার উপায়গুলো জেনে নেওয়া যায়। মানসিক রোগীদের মধ্যে নিম্নলিখিত লক্ষণগুলো প্রকাশ পেয়ে থাকে যেমন ,

  • খিটখিটে মেজাজ
  • কোন বিষয়ে সহজে সিদ্ধান্ত নিতে না পারা
  • কাজকর্মের ক্ষেত্রে উদাসীন 
  • নিজের যত্ন না নেওয়া
  • সুইসাইড বা নিজের ক্ষতি করার চেষ্টা করা
  • প্রায় প্রায় একা একা কথা বলা তোর মত
  • সামান্য কারণে হঠাৎ উত্তেজিত হয়ে পড়া 
  • অন্যদের মধ্য থেকে নিচেকে সবসময় আলাদা রাখা
  • সব সময় বিষন্নতায় ভোগা
  • যে কোন বিষয়ে অতিরিক্ত সন্দেহ করা 
  • নিজেদের লোকজনকে শত্রু ভাবা 
  • সব সময় চুপচাপ থাকা
  • অস্থিরতা
  • মানুষকে অবিশ্বাস করা
  • বিভিন্ন সমস্যার জন্য নিজেকে দায়ী করা
  • সব সময় ভয় পাওয়া
  • একা একা হাসা
  • ঘুম কমে যাওয়া
  • সব সময় মন খারাপ থাকা

মানসিক রোগ থেকে মুক্তির উপায়

প্রায় মানুষদের মধ্যেই মানসিক রোগের মৃদু এবং তীব্র লক্ষণগুলো থাকে কিন্তু হয়তো বা সব সময় এই বিষয়গুলো আমরা বুঝতে পারিনা। মানসিক রোগ দূর করার জন্য সর্বপ্রথমে আমাদের জানতে হবে মানসিক রোগ থেকে মুক্তির উপায় সম্পর্কে , কারণ যখন আমাদের মানসিক রোগ থেকে মুক্তির উপায় গুলো জানা থাকবে তখন আমরা সেই অনুযায়ী বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়ার চেষ্টা করতে পারব এবং মানসিক রোগ থেকে মুক্ত থাকতে পারবো। আমাদের ভেতরে বেশিরভাগ মানুষই যেহেতু কোনো না কোনোভাবে মানসিক রোগে আক্রান্ত তাই, অনেকেই মানসিক রোগ থেকে মুক্তির উপায় জানতে চেয়ে থাকেন। আর আজকে আপনাদের এই বিষয়টি জানানোর জন্যই এখন আলোচনা করব মানসিক রোগ থেকে মুক্তির উপায় এবং এই আলোচনার মাধ্যমে আপনারা মানসিক রোগ থেকে মুক্তির উপায় সম্পর্কে বেশ কিছু কার্যকরী টিপস যাবেন।এখন আপনাদের জানাবো মানসিক রোগ থেকে মুক্তির ১১টি উপায়।তাহলে চলুন দেরী না করে মানসিক রোগ থেকে মুক্তির ১১টি উপায় জেনে নেয়া যাক।

পর্যাপ্ত ঘুম বা বিশ্রামঃ আমাদের শারীরিক এবং মানসিক সুস্থতার জন্য পর্যাপ্ত ঘুম এবং বিশ্রাম দুটোই অত্যন্ত জরুরী। শরীরে পর্যাপ্ত ঘুম অথবা বিশ্রামের ঘাটতি থাকে , এটি যেমন শারীরিক স্বাস্থ্যের উপরে প্রভাব ফেলে ঠিক একইভাবে মানসিক স্বাস্থ্যের উপরেও বিশেষ প্রভাব ফেলে। আর তাই মানসিক রোগ থেকে মুক্তির জন্য পর্যাপ্ত ঘুম এবং বিশ্রামের ব্যবস্থা করা অত্যন্ত জরুরী।

আরো পড়ুনঃ ঘুম না হলে করণীয়

পুষ্টিকর খাবার গ্রহণঃ শরীরে যখন বিভিন্ন ধরনের পুষ্টি ঘাটতি দেখা দেয় তখন এর থেকে সৃষ্টি হয় নানান ধরনের রোগ, আর বিভিন্ন রোগের উপসর্গ হিসেবে দেখা দেয় অতিরিক্ত মানসিক চাপের মতন সমস্যা যেমন শরীরে পুষ্টি ঘাটতি বা বিভিন্ন ভিটামিনের দেখা দিলে সেখান থেকে হতে পারে অনিদ্রার সমস্যা যা কিনা আপনার মানসিক চাপ বাড়িয়ে দিতে সাহায্য করতে পারে আর আপনারা জানেন মানসিক চাপ বেড়ে গেলে তা আমাদের মানসিক স্বাস্থ্যের উপরে প্রভাব ফেলে এবং আমাদেরকে মানসিক রোগীতে পরিণত করতে সাহায্য করে।

একাকীত্ব দূর করাঃ মানসিক রোগ থেকে মুক্তি পাওয়ার আরেকটি সহজ উপায় হলো একাকীত্ব দূর করা, কারণ মানুষ যখন একা একা থাকে তখন বিভিন্ন ধরনের দুশ্চিন্তা ঘিরে ধরে আর এই বিষয়টি মানসিক স্বাস্থ্যর ওপরে বিশেষ প্রভাব বিস্তার করে। আর এই কারণে মানসিক রোগ থেকে মুক্তি পেতে হলে একাকীত্ব দূর করতে হবে , একাকীত্ব দূর করার জন্য পরিবারের সাথে সময় দিতে হবে অথবা বন্ধু বান্ধবের সাথে আড্ডা , ঘুরতে যাওয়া ইত্যাদির ব্যবস্থা করতে হবে কিংবা আপনি একাকীত্ব দূর করার জন্য বই পড়া চেয়েও বেশি নিতে পারেন।

সৃজনশীল কর্মকাণ্ডের চিন্তা করাঃ মানসিক রোগ থেকে মুক্তি পাওয়ার আরেকটি বিশেষ উপায় হল সৃজনশীল কর্মকাণ্ডে চিন্তাভাবনা করা অর্থাৎ নতুন কিছু করার চিন্তা করা। আপনি যখন সৃজনশীল কিছু অথবা নতুন কিছু তৈরির চিন্তা করবেন তখন আপনার মনোযোগ সেদিকে থাকবে এবং আপনি অতীত এবং ভবিষ্যৎ নিয়ে কম চিন্তা করবেন। আর আপনি যখন সৃজনশীল কাজের সাথে জড়িত হয়ে যাবেন বা নিজেকে ব্যস্ত রাখবেন তখন বিভিন্ন ধরনের দুশ্চিন্তা আপনাকে ঘিরে ধরতে পারবে না।

শরীর চর্চাঃ মানসিক রোগ কমানোর উপায় হিসেবে আপনি বেছে নিতে পারেন শরীরচর্চাকে , কেননা নিয়মিত শরীফ চর্চা করলে এটি আমাদের মানসিক চাপ , দুশ্চিন্তা কমাতে সাহায্য করে যার ফলে আমাদের মানসিক স্বাস্থ্য ভালো থাকে আর এই কারণে মানসিক রোগ থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য নিয়মিত শরীর চর্চা করতে পারেন।

আরো পড়ুনঃ শরীর চর্চার উপকারিতা

ধর্মীয় কাজে মনোযোগী হওয়াঃ ভেতরের ধর্মীয় অনুভূতি জাগ্রত করার মাধ্যমেও আপনি অনেক ক্ষেত্রেই মানসিক রোগ থেকে মুক্তি পেতে পারেন। মানসিক রোগ থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য নিজ নিজ ধর্মীয় কাজগুলো করার চেষ্টা করুন অর্থাৎ আপনি যে ধর্মের মানুষ সেই ধর্মের ধর্মীয় কাজগুলো বেশি বেশি করতে থাকলে এর মাধ্যমে আপনি মানসিক শান্তি পাবেন এবং মানসিক রোগ থেকে অনেক ক্ষেত্রেই মুক্ত থাকতে পারবেন।

রুটিন মাফিক জীবন যাপন করাঃ মানসিক রোগ থেকে মুক্ত থাকার জন্য রুটিন মাফিক জীবন যাপন করার চেষ্টা করুন। আপনি যখন আপনার দৈনন্দিন কাজগুলোকে রুটিন মাফিক সাজিয়ে নেবেন তখন দেখবেন সময় মতন একটার পর একটা কাজ করতে গেলে দুশ্চিন্তা অথবা মানসিক চাপগুলো অনেকাংশেই কমে গেছে , কেননা আপনি যখন রুটি চলবেন তখন বিভিন্ন বিষয় নিয়ে দুশ্চিন্তা করার সময় পাবেন না , কারণ মানুষ যখন কাজে-কর্মে ব্যস্ত থাকে তখন দুশ্চিন্তাগুলো ঘিরে ধরতে পারেনা আর যখন কাজকর্মহীন বা অবসর সময় কাটাতে থাকে বিভিন্ন ধরনের দুশ্চিন্তাগুলো ঠিক তখনই ঘিরে ধরে।

কোন কিছু নিয়ে অতিরিক্ত চিন্তা না করাঃ মানসিক রোগ থেকে মুক্তি পেতে হলে আপনাকে অবশ্যই যে কোন বিষয় নিয়ে অতিরিক্ত চিন্তা বা দুশ্চিন্তা করা পরিহার করতে হবে , কারণ আপনি যখন কোন কিছু নিয়ে অতিরিক্ত চিন্তা বা দুশ্চিন্তা করবেন তখন এই বিষয়গুলো আপনার মানসিক স্বাস্থ্যের উপরে প্রভাব ফেলবে। তাই যে কোন কিছুকে স্বাভাবিকভাবে এবং পজেটিভ ভাবে মেনে নেওয়ার চেষ্টা করতে হবে।

আত্মবিশ্বাস বা মনোবল তৈরি করাঃ আমাদেরকে দৈনন্দিন জীবনে পারিবারিক এবং সামাজিক বিভিন্ন ক্ষেত্রেই বিভিন্ন ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়, বিপদের সময় বা সমস্যায় পড়লে নিজেদের ওপরে আত্মবিশ্বাস বা মনোবল তৈরি করার চেষ্টা করতে হবে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই আমরা দুশ্চিন্তায় বা স্ট্রেস লেবেল বেড়ে যায় প্রধান কারণ হলো নিজেদের ওপরে আত্মবিশ্বাস না থাকা এবং মনোবল ভেঙ্গে যাওয়া।তাই যে কোন সমস্যাই করলে সেটি নিয়ে বিভিন্ন ধরনের দুশ্চিন্তা না করে , সমস্যা বা বিপদ মোকাবেলা করার জন্য নিজের উপরে আত্মবিশ্বাস এবং মনোবল দৃঢ় রাখতে হবে।

সবার সাথে কমিউনিকেশন রাখুনঃ আপনারা জানেন একাকীত্ব আমাদের মানসিক রোগ বাড়িয়ে দিতে সাহায্য করে এ কারণে, মানসিক রোগ থেকে বা মানসিক চাপ থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য সবার সাথে কমিউনিকেশন রাখার চেষ্টা করুন। নিজের ভেতরের চাপ গুলো অথবা সমস্যার কথাগুলো অন্যের সাথে শেয়ার করার চেষ্টা করুন এতে আপনার মানসিক চাপ এবং স্ট্রেস অনেকটা কম হবে যা আপনাকে মানসিক রোগ থেকে মুক্ত থাকতে সাহায্য করবে।

ডাক্তারি পরামর্শ গ্রহণ করুনঃ আপনারা জানেন যে মানসিক রোগ একটি জটিল সমস্যা তাই আপনি যদি নিজের ভেতরে অথবা আপনার কাছের মানুষদের ভেতরে মানসিক রোগের লক্ষণ গুলো দেখেন তাহলে সেক্ষেত্রে আপনার উচিত হবে দ্রুত ডাক্তারি পরামর্শ গ্রহণ করা এবং সেই পরামর্শ অনুযায়ী ঔষধ এবং সাইকেল থেরাপি নেওয়ার মাধ্যমে দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠার চেষ্টা করা।

মানসিক রোগ কি ভালো হয়

আপনাদের মধ্যে অনেকেই জানতে চেয়ে থাকেন মানসিক রোগ কি ভালো হয় এই বিষয়টি। তাই এখন আপনাদের সাথে মানসিক রোগ কি ভালো হয় এই বিষয়টি নিয়ে কথা বলব। আমরা অনেক সময়  আশেপাশের মানুষ কটুক্তি বা হাসি ঠাট্টা করবে এই ভেবে ডাক্তার দেখাতে বিলম্ব করি কিন্তু মানসিক রোগীদের ক্ষেত্রে চিকিৎসা অত্যন্ত জরুরি , শুরু থেকে যদি সঠিকভাবে চিকিৎসা গ্রহণ করা যায় তাহলে সে ক্ষেত্রে মানসিক রোগ থেকে সম্পূর্ণভাবে মুক্ত থাকা সম্ভব। যাদের ভিতরে মানসিক রোগ গুলো মৃদুভাবে রয়েছে তারা যদি শুরু থেকে চিকিৎসা গ্রহণ করে তাহলে খুব অল্প সময়ের মধ্যে এই রোগ থেকে সেরে ওঠার সম্ভাবনা থাকে ।

আরো পড়ুনঃ লো প্রেসার হলে করণীয়

আর যাদের ভেতরে তীব্র আকারে মানসিক রোগের লক্ষণ গুলো প্রকাশ পায় তাদের ক্ষেত্রেও সঠিক চিকিৎসার মাধ্যমে কিছুদিন বেশি সময় লাগলেও সুস্থভাবে জীবন যাপন করা সম্ভব। মানসিক রোগ শুরু হওয়ার প্রথম দুই বছরের মধ্যে যদি সঠিক চিকিৎসা গ্রহণ করা যায় তাহলে সেক্ষেত্রে ৭০/৮০ শতাংশ রোগ ভালো হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। সাধারণ মানসিক রোগগুলো সঠিক চিকিৎসার মাধ্যমে হারিয়ে তোলা সম্ভব , তবে যদি সিজোফ্রেনিয়ার মতন জটিল মানসিক রোগ হয় তাহলে সে ক্ষেত্রে রোগীকে পুরোপুরিভাবে সারিয়ে তোলা সম্ভব হয় না কিন্তু চিকিৎসার মাধ্যমে সিজোফ্রেনিয়া মতন মানসিক রোগকেও নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব।

মানসিক রোগ কি বংশগত

মানসিক রোগ কি ভাল হয় এই প্রশ্নটির পাশাপাশি অনেক মানুষ আরেকটি প্রশ্ন করে থাকেন আজ সেটি হলো মানসিক রোগ কি বংশগত ? তাই চলুন এবার মানসিক রোগ কি বংশগত এই বিষয়টিও জেনে নেওয়া যাক। মানসিক রোগের ক্ষেত্রে বংশগতির একটি বিশেষ প্রভাব রয়েছে অর্থাৎ মানসিক রোগ  বংশগত কারণে হতে পারে তবে সব ক্ষেত্রেই মানসিক রোগ বংশগত কারণে হয় না পারিপার্শ্বিক পরিস্থিতি , শারীরিক , মানসিক এবং যৌন নির্যাতন অতিরিক্ত মানসিক চাপ ইত্যাদি সমস্যা গুলোর কারণেও হয়ে থাকে। অর্থাৎ মানসিক রোগ হওয়ার ক্ষেত্রে বংশগত কারণ ছাড়াও আরো বিভিন্ন কারণ থাকতে পারে।

মন্তব্য , উপরিউক্ত পোস্টটি আপনারা যদি মনোযোগ সহকারে পড়ে থাকেন তাহলে এতক্ষণে নিশ্চয়ই  মানসিক রোগের শারীরিক লক্ষণ এবং মানসিক রোগ থেকে মুক্তির উপায় সম্পর্কে জেনে নিয়েছেন কেননা আজকে আপনাদেরকে বিস্তারিতভাবে মানসিক রোগ থেকে মুক্তির ১১টি উপায় সম্পর্কে জানিয়েছি। আপনারা যদি মানসিক রোগ থেকে মুক্তির ১১টি উপায় গুলো সঠিকভাবে মেনে চলতে পারেন তাহলে  আপনার মানসিক রোগ গুলো ক্লিনিক্যাল চিকিৎসা ছাড়াই অনেক ক্ষেত্রেই কমিয়ে আনা সম্ভব। তাই অবশ্যই মানসিক রোগ থেকে মুক্তির উপায় গুলো সঠিকভাবে অনুসরণ করুন এবং পাশাপাশি ভালো একজন সাইকেটিস্ট এর পরামর্শ অনুযায়ী প্রয়োজনে সাইকোথেরাপি গ্রহণ করুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন

comment url