প্রাকৃতিকভাবে ফর্সা হওয়ার উপায়

ফর্সা ত্বক আমারা সকলে কামনা করি ,  কেননা চেহারার সৌন্দর্যের একটি বড় অংশ জুড়ে রয়েছে ফর্সা ত্বকের স্থান। তবে আমাদের মধ্যে অনেকেরই গায়ের রং একটু চাপা হয়ে থাকে। অনেকেই হয়তো জানেন না প্রাকৃতিকভাবে ফর্সা হওয়ার বেশ কিছু উপায় আছে যেগুলো সঠিকভাবে ফলো করলে স্থায়ী ভাবে ফর্সা হওয়া সম্ভব।

প্রাকৃতিকভাবে ফর্সা হতে হলে অবশ্যই এর জন্য ব্যবহার করতে হবে ফর্সা হওয়ার প্রাকৃতিক উপাদান গুলো আর এই ব্যাপারে আজকে আপনাদের বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ টিপস জানাবো। প্রাকৃতিকভাবে ফর্সা হওয়ার জন্য বেশি কিছু করার প্রয়োজন পড়ে না আমাদের ঘরে থাকা এসব ন্যাচারাল উপাদান গুলো দিয়েই প্রাকৃতিকভাবে ফর্সা হওয়া সম্ভব। তাহলে চলুন আর দেরি না করে কিভাবে প্রাকৃতিকভাবে ফর্সা হওয়া যায় এই বিষয়ে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।

প্রাকৃতিকভাবে ফর্সা হওয়ার উপায়

পাকা পেঁপেঃ পাকা পেঁপের মাধ্যমে আপনি শুধু অভ্যন্তরীণ স্বাস্থ্য উপকারিতা পাবেন না এই দিয়ে আপনি করে নিতে পারবেন রূপচর্চায়ও। রূপচর্চার কাজে পাকা পেপেঁ যুগ যুগ ধরে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। পাকা পেঁপে শরীর এবং ত্বক দুটোর জন্যই ভীষণ উপকারী। পাকা পেঁপে খাওয়াও যেমন ত্বকের জন্য উপকারী কেমন বাহ্যিকভাবে ত্বকের ব্যবহার করাও অত্যান্ত উপকারী । বাজারে আপনি পাকা পেঁপে দিয়ে রূপচর্চার জন্য পেঁপের বিভিন্ন ধরনের স্ক্রাব , ফেসওয়াশ , ফেসপ্যাক ইত্যাদি পেয়ে যাবেন। তবে আপনার যদি ঘরে পাকা পেঁপে থাকে অথবা আপনি সরাসরি কাঁচা পেঁপে ত্বকে লাগাতে পারেন তবে ত্বকের জন্য এটি সবচেয়ে ভালো হয়। এবার জেনে নিন কিভাবে পাকা পেঁপে দিয়ে রূপচর্চা করবেন।
পাকা পেঁপে ব্লেন্ড করে এর সাথে সামান্য ময়দা বা বেসন মিশিয়ে, হালকা হাতে ত্বকের উপর ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে মাসাজ করতে থাকুন। কিছুক্ষণ ম্যাসাজ করার পরে পেঁপের মিশ্রণটি ত্বকে ১৫ মিনিটের জন্য শুকাতে দিন এরপর ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। আপনার ত্বকের প্রাকৃতিক স্ক্রাব এর কাজ করবে এবং আপনার ত্বক থেকে মৃত কোষ দূর করতে সাহায্য করবে।
পাকা পেঁপে কিউব করে কেটে নিয়ে মুখ , ঘাড় এবং গলায় নিয়মিত কিছুক্ষণ ঘষাঘষি করলে কালো দাগ দূর হয়। । পাকা পেঁপের রসের সঙ্গে মধু , লেবুর রস , এলোভেরা জেল একসাথে মিশিয়ে ব্যবহার করতে পারলে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ে।
পাকা পেঁপে দিয়ে ঘরোয়া ভাবে ফেসপ্যাক তৈরি করে আপনি যদি ত্বকে লাগাতে পারেন তাহলে ত্বকের বিভিন্ন সমস্যার সমাধানে এটি বিশেষভাবে সাহায্য করবে এবং পাশাপাশি প্রাকৃতিকভাবে ত্বককে ফর্সা করে তুলবে। তবে পাকা পেঁপের ফেসপ্যাক তৈরির আগে অবশ্যই পাকা পেঁপের ফেসপ্যাক তৈরি করার নিয়ম গুলো জেনে নিন। আর পাকা পেঁপের সাথে বিভিন্ন উপাদান মিশিয়ে এই ফেসপ্যাকটি তৈরি করে ত্বকে লাগালে শুধু প্রাকৃতিক ভাবে ত্বক ফর্সাই করবে না এছাড়াও ত্বকের আরো যেসব সমস্যা রয়েছে সেগুলোর সমাধান করবে।
পাকা পেঁপের সাথে কলা পেস্ট করে ভালোভাবে মিশিয়ে মিশিয়ে ফেসপ্যাক তৈরি করে নিন এটি আপনার ত্বকের কালো দাগ এবং ব্রণের সমস্যা দূর করতে সাহায্য করবে।
পাকা পেঁপে কলা এবং ডিমের সাদা অংশ ভালোভাবে মিশিয়ে ও ফেসপ্যাক তৈরি করে নিতে পারে। এই প্যাকটি বিশ মিনিটের জন্য তোকে লাগিয়ে রেখে ঠান্ডা পানি দিয়ে ভালোভাবে মুখ ধুয়ে ফেলুন। এভাবে ফেসপ্যাক ব্যবহার করলে আপনার টক টানটান হবে এবং আপনার ত্বক থেকে বয়সের ছাপ দূর হবে।
পাকা পেঁপের সাথে কমলার রস অথবা কমলার খোসার গুড়া একসাথে মিশিয়ে ফেসপ্যাক তৈরি করে নিতে পারেন। রূপচর্চার কাজে পাকা কলা এবং কমলা দুটোই ভীষণ উপকারী উপাদান।
ত্বকের জন্য উপকারী আরেকটি ফেসপ্যাক হল পাকা পেঁপে ,দুধ এবং মধু। কলা , পাকা পেঁপেএবং মধু ভালোভাবে মিশিয়ে ফেসপ্যাক করুন। এটি আপনি ত্বকে লাগিয়ে ৩০ মিনিট অপেক্ষা করুন এবং শুকিয়ে গেলে ভালোভাবে পরিষ্কার করে নিন।
সপ্তাহে তিন দিন , পাকা পেঁপে , লেবুর রস , চন্দন পাউডার একসাথে মিশিয়ে প্যাক তৈরি করে ব্যবহার করতে পারেন। এই প্যাকটি আপনার ব্রণের সমস্যা দূর করতে কাজ করবে।
ত্বকের যেকোনো ধরনের সমস্যা দূর করতে আপনি তৈরি করে নিতে পারেন হলুদ এবং পাকা কলার ফেসপ্যাক। এই প্যাকটি লাগিয়ে অপেক্ষা করুন ২০ মিনিট, এরপর ধোয়ার আগে কিছুক্ষণ আলতো হাতে মেসেজ করে ঠান্ডা পানি দিয়ে ভালোভাবে পরিষ্কার করে ফেলে।এই প্যাকটি যে কোন ধরনের সমস্যা দূর করতে সাহায্য।
দুধঃ প্রাকৃতিকভাবে ত্বক ফর্সা করার জন্য দুধ খুবই ভালো এবং কার্যকরী একটি উপাদান। কাঁচা দুধের সাথে বিভিন্ন উপকরণ মেশিয়ে প্যাক তৈরি করে ত্বকে লাগালে এটি প্রাকৃতিকভাবে ত্বক ফর্সা করতে সাহায্য করে। প্রাকৃতিকভাবে ত্বক ফর্সা করার জন্য দুধের সাথে যে সকল উপকরণ মেশাতে হবে এবং যে নিয়মে তাকে ব্যবহার করতে হবে তা হল ,
দুধ, মধু ও লেবুর রসঃ ফর্সা করার জন্য দুধ দিয়ে প্যাকটি তৈরি করার জন্য আপনার প্রয়োজন হবে কাঁচা দুধ , মধু এবং লেবুর রসের। উপাদান গুলো একসাথে ভালোভাবে মিশিয়ে আপনার ত্বকে এপ্লাই করুন। এটি আপনার ত্বকের প্রাকৃতিক ব্লিচ হিসেবে কাজ করবে এবং উজ্জ্বল ফর্সা ত্বক পেতে সাহায্য করবে।
দুধ ও কলাঃ কলা ভালোভাবে চটকে নিন এবং এর ভিতরে কাঁচা তরল দুধ দিয়ে একটি পেস্ট তৈরি করুন, কলা ও দুধের পেস্টটি মুখ , ঘাড় এবং হাতে পায়ে লাগান। ত্বকে লাগিয়ে ৩০-৪০ মিনিট অপেক্ষা করুন এবং পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এই প্যাকটি আপনার ত্বক মশ্চারাইজ করার পাশাপাশি ত্বক ফর্সা করতে সাহায্য করবে।
দুধ ও পাকা পেঁপেঃ পাকা পেপে ভালোভাবে চটকে নিন এবার এর মধ্যে আড করুন দধু ,আপনি চাইলে এর গুনগত মান বাড়ানোর জন্য মধুও যুক্ত করতে পারেন।এবার সব উপকরন ভালোভাবে মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন এবং ত্বকে ব্যবহার করুন। যাদের মুখে বয়সের ছাপ পড়া শুরু হয়েছে তাদের ক্ষেত্রেও বয়সের ছাপ দূর করতে এই প্যাকটি বিশেষ ভূমিকা পালন করে।
দুধ ও মুলতানি মাটিঃ ফর্সা হওয়ার জন্য মুলতানি মাটির সাথে কাঁচা তরল দুধ মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে আপনার ত্বকে ব্যবহার করুন। এই প্যকটি ত্বকের অতিরিক্ত তৈলাক্ত ভাব দূর করার পাশাপাশি ত্বক উজ্জ্বল এবং ফর্সা করতে সাহায্য করবে।
এগুলো পদ্ধতি ছাড়াও আপনি কাঁচা দুধ সরাসরি ত্বকে ব্যবহার করতে পারেন। কটন বলের সাহায্যে কাঁচা তরল দুধ ত্বকের উপরে মাসাজ করলে,ত্বকের উপর থেকে কালো দাগ এবং ত্বক পরিষ্কার করার মাধ্যমে দুধে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়িয়ে তুলতে এবং ত্বক স্থায়ীভাবে ফর্সা করতে সাহায্য করে।
বেসনঃ যারা প্রাকৃতিকভাবে ত্বক ফর্সা করার উপায় খুঁজছেন , তাদেরকে জন্য বেসন হতে পারে আদর্শ একটি উপাদান। বেসনের সাথে বিভিন্ন উপকরণ মিশিয়ে ত্বক প্রাকৃতিক ভাবে স্থায়ী ফর্সা করার জন্য ব্যবহার করতে পারেন। ফর্সা হওয়ার জন্য যেসব নিয়মে বেসন ব্যবহার করবেন তা হলো নিম্নরুপ,
বেসন , হলুদ গুঁড়া ও লেবুর রসঃ বেসনের সাথে হলুদের গুড়া ও লেবুর রস মিশিয়ে ফেসপ্যাক তৈরি করুন, আপনি চাইলে এর সাথে গোলাপ জলও মিশাতে পারেন। এটি তৈলাক্ত ত্বকের সমস্যা দূর করার পাশাপাশি ত্বক ফর্সা করতে সাহায্য করবে।

আরো পড়ুন ঃ কমলার খোসা দিয়ে রূপচর্চা করার উপায়

বেসন ও ডিমের কুসুমঃ মুখের দাগ দূর করে ত্বক ফর্সা করতে ব্যবহার করুন বেসন ও ডিমের কুসুমের ফেসপ্যাক। ডিমের কুসুমের সাথে বেসন এবং কাঁচা দুধ মিশিয়ে এই প্যাকটি মুখের কালো দাগ দূর করে ত্বক উজ্জ্বল ফর্সা করবে।
বেসন , টক দই ও অ্যালোভেরা জেলঃ বেসন টক দই ও অ্যালোভেরা জেল ভালোভাবে মিশিয়ে একটি পেস্ট তৈরি করুন। এই প্যকটি সপ্তাহে ৩,৪ দিন ব্যবহারে ত্বকের কালো দাগ দূর হওয়ার পাশাপাশি ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পাবে।
এছাড়াও ত্বক ফর্সা করতে ওসব উজ্জ্বল করতে বেসনের সাথে কাঁচা দুধ ও আমন্ড অয়েল মিশিয়ে ব্যবহার করতে পারেন। বেসন ও মসুরের ডাল বাটা একসাথে মিশিয়ে ত্বকে ব্যবহার করলেও , এই প্যাকটি উজ্জল ও ফর্সা করতেও সাহায্য করবে।।
শসাঃ শসা আমাদের রূপচর্চায় অনেক সাহায্য করে বিশেষ করে চোখের নিচের কালো দাগ বা ডার্ক সার্কেল দূর করতে শসার রসের উপকারিতা অপরিচিত। শসার রস ব্যবহার করে শুধু ডার্ক সার্কেলই নয়, গায়ের ত্বক প্রাকৃতিক উপায়ে উজ্জ্বল ফর্সা করে নিতে পারি। শসা দিয়ে রূপচর্চা করার জন্য বা ফর্সা হওয়ার জন্য শসার সাথে মেশাতে হবে বেশ কিছু উপাদান এবং তৈরি করতে হবে ফেসপ্যাক। তাই চলুন জেনে নিয়া যাক শশার সাথে কোন কোন উপাদান গুলো মিশিয়ে প্যাক তৈরি করে এপ্লাই করতে হবে।

  • শসা টক দই , অ্যালোভেরা জেল ও বেসন এর প্যাক
  • শসা , ডিমের কুসুম , বেসন ও কাঁচা হলুদের প্যাক
  • শসা , আটা বা ময়দা , মসুরের ডাল বাটা ও গুড়া দুধের প্যাক
  • শসা , এলোভেরা জেল , চিনির মিশ্রণ

উপরে দেয়া এই উপাদান গুলোর সাথে শসার রস ভালোভাবে মিক্স করে আপনার ত্বকে সপ্তাহে অন্তত ৩-৪ দিন লাগানোর চেষ্টা করুন। এই প্যাকগুলো আপনার ত্বকের প্রাকৃতিক ক্লিনজার হিসেবে এবং ত্বকের ওপরে থাকা কালো দাগ , রোদে পোড়া দাগ এবং ব্রণের দাগ দূর করতে সাহায্য করবে পাশাপাশি আপনার ত্বক উজ্জ্বল এবং ফর্সা করবে।

আলুঃ তখন ফর্সা করার আরেকটি সহজ সমাধান হলো ত্বকে আলুর রস ব্যবহার। আলুর ভেতরে থাকা কয়েক ধরনের ভিটামিন এবং খনিজ উপাদান গুলো আমাদের ত্বকের প্রাকৃতিক ব্লিচ হিসেবে কাজ এবং আলুর রস আমাদের ত্বকের মেছতা দূর করতেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। আজকে আমরা জানবো আলু দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায়। আলুর মাধ্যমে ত্বক ফর্সা করতে আলুর রস আপনি সরাসরি ত্বকে ব্যবহার করতে পারেন কারণ আবার ব্লেন্ড করে এর রসের মধ্যেই ডিমের কুসুম ও বেসন মিশিয়ে ব্যবহার করতে পারেন। অথবা আলুর রস , গোলাপ জল , মধু একসাথে ভালোভাবে মিশিয়ে ত্বকে ব্যবহার করলে ত্বকের কালো দাগ দূর করে ত্বক ফর্সা করতে সাহায্য করে। তবে যদি আপনার ড্রাই স্কিন হয় তাহলে আলুর সাথে লেবুর রসের পরিবর্তে মধু ব্যবহার করুন আর যদি আপনার অয়েলি স্কিন হয় তাহলে মধুর পরিবর্তে লেবুর রস অত্যন্ত কার্যকরী ভূমিকা পালন করবে।
টমেটোঃ টমেটো আমাদের শরীরের জন্য যেমন উপকারী ত্বক উজ্জ্বল ফর্সা করতেও এর রয়েছে বিশেষ ভূমিকা। শীতকালে আমাদের দেশে প্রচুর পরিমাণে পাকা টমেটো পাওয়া যায় , আর এই সময়টিকে কাজে লাগিয়ে আমরা টমেটো দিয়ে আমাদের ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা দূর করার পাশাপাশি ত্বক উজ্জ্বল ও ফর্সা করে তুলতে পারি। তাই চলুন আজকে আলোচনা করা যায় টমেটো দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায় সম্পর্কে। টমেটো দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায় গুলো নিচে একে একে তুলে ধরা হলো।

  • ত্বক ফর্সা করার জন্য টমেটোর রসের সাথে মসুরের ডাল বাটা , টক দই ভালোভাবে মিশিয়ে ত্বকের ওপরে ব্যবহার করুন ৩০ মিনিট পরে নরমাল পানি দিয়ে অথবা হালকা গরম পানি দিয়ে ত্বক পরিষ্কার করে নিন। এই প্যাকটি ব্যবহারের ফলে আপনার ত্বক থেকে কালো দাগ দূর হওয়ার পাশাপাশি ত্বক উজ্জ্বল হবে।  
  • ব্যবহার করতে পারেন টমেটো রসের সাথে লেবুর রস ও হলুদ গুঁড়া মিশিয়ে ফেসপ্যাক তৈরি করে। এই প্যাকের সাথে আপনি চাইলে যোগ করতে পারেন গোলাপ জল।এটি আপনার ত্বক থেকে রোদে পোড়া দাগ দূর করে ত্বক রং ফর্সা করতে সাহায্য করবে।
  • টমেটোর রসের সাথে যোগ করুন কনফ্লাওয়ার , জাফরান এর পেস্ট , উপকরণগুলো ভালোভাবে মিশিয়ে আপনার মুখ,ঘাড় এবং হাতে পায়ে ব্যবহার করতে পারেন। ত্বকে এই প্যাকটি লাগানোর পরে কিছুক্ষন আলতোভাবে ম্যাসাজ করুন এবং 20 মিনিট পরে পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। প্রাকৃতিক ক্লিনজার হিসেবে এই প্যাকটি কাজ করবে এবং আপনার ত্বক ফর্সা করতে সাহায্য করবে।
  • টমেটোর রস , টক দই , এলোভেরা জেল , বেসন এই উপকরণগুলো ভালোভাবে একসাথে মিশিয়ে নিন এবং একটি ফেসপ্যাক তৈরি করুন। প্রতি সপ্তাহে ৩-৪ দিন এই প্যাকটি ত্বকে লাগিয়ে ৩০ মিনিট অপেক্ষা করুন এরপর নরমাল পানি দিয়ে আপনার টক পরিষ্কার করে ফেলুন। সপ্তাহের মধ্যে আপনার ত্বক ফর্সা করতে বিশেষ কার্যকরী ভূমিকা রাখবে।
  •  টমেটোর রস , চালের আটা , গুড়া দুধ এবং মুশুরের ডাল বাটা একসাথে করেই ফেসপ্যাক তৈরি করতে পারেন এই প্যাকটি ত্বকের প্রাকৃতিক স্ক্রাব হিসেবে কাজ করবে এবং মৃত কোষ দূর করতে সাহায্য করবে।  
  • ডিমের কুসুম , টমেটো রস , কাঁচা হলুদ , বেসন একসাথে মিশিয়ে ফেসপ্যাক তৈরি করে আপনার স্ক্রিনের উপরে সপ্তাহে কমপক্ষে তিন দিন নিয়মিত ব্যবহারের চেষ্টা করুন। এতে আপনার ত্বক পরিষ্কার হবে এবং ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধির পাশাপাশি তৎ ফর্সা হবে।
এলোভেরাঃ প্রাকৃতিকভাবে ফর্সা হওয়ার আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হলো অ্যালোভেরা। এলোভেরার ভেতরের রয়েছে বিভিন্ন ধরনের ঔষধি গুন যা আমাদের শরীর ভালো রাখার পাশাপাশি ত্বক ভালো রাখতে এবং ত্বক ফর্সা করতেও বিশেষভাবে সাহায্য করে। নিয়মিতভাবে গাছ থেকে সংগ্রহ করা এলোভেরার রসের সাথে খাঁটি মধু যুক্ত করে ত্বকের ওপরে মাসাজ করলে ত্বক ফর্সা হয়। এছাড়াও এলোভেরার সাথে মুলতানি মাটি , আলুর রস , চালের গুড়া , বেসন , টক দই , চন্দন পাউডার এসব উপকরণ মিশিয়ে ব্যবহার করলে প্রাকৃতিকভাবে ফর্সা ত্বক পাওয়া যায়।
লেবুঃ ত্বককে প্রাকৃতিকভাবে  ফর্সা করে তোলার ক্ষমতা রয়েছে লেবুর মধ্যেও। স্কিনের বিভিন্ন সমস্যা দূর করার পাশাপাশি ত্বকের প্রাকৃতিক স্ক্রাব এবং ত্বক প্রাকৃতিকভাবে ফর্সা করে তোলার দ্রুত এবং কার্যকরী একটি উপাদান হচ্ছে লেবু। কাঙ্খিত ফলাফল পেতে সপ্তাহে ৩-৪ নিয়মিতভাবে লেবুর সাথে মধু , মুলতানি মাটি , ডিমের কুসুম , চিনি অথবা চালের গুড়া মিশিয়ে প্যাক তৈরি করে তোকে ব্যবহার করুন। অবশ্যই মনে রাখবেন ত্বকে লেবুর রস সরাসরি ব্যবহার না করাই ভালো। স্কিন কেয়ার এর জন্য লেবুর রস ব্যবহার করার সময় অবশ্যই পানি অথবা অন্যান্য উপকরণের সাথে মেশাতে হবে কেননা লেবুতে সাইট্রিক এসিড থাকায় সরাসরি ত্বকে ব্যবহার করলে জ্বালাপোড়া করতে পারে।
মন্তব্য , আপনি যদি প্রাকৃতিকভাবে ফর্সা হতে চান এবং সেই ফর্সা আর যদি স্থায়ীভাবে ধরে রাখতে চান তাহলে অবশ্যই বাজারের কেমিক্যাল যুক্ত বিউটি প্রোডাক্ট গুলো ব্যবহার বন্ধ করে ন্যাচারাল উপাদান গুলোর মাধ্যমে ত্বক ফর্সা করে তোলার চেষ্টা করুন এতে স্কিন অ্যালার্জি , স্কিন ক্যান্সার সহ ত্বক যেকোনো ক্ষতি হওয়া থেকে রক্ষা পাবে। শুধু ফর্সা হওয়ার জন্যই নয় ত্বকের যে কোন সমস্যা সমাধানের জন্য ঘরোয়া উপাদান গুলো ব্যবহার করায় বেশি নিরাপদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন

comment url