ভিটামিন ই ক্যাপসুল দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায়

দীর্ঘদিন ধরেই বহুলভাবে ব্যবহার করা হয় ভিটামিন ই ক্যাপসুল। ফর্সা হওয়ার সহজ মাধ্যম গুলোর  মধ্যে একটি হল ভিটামিন ই ক্যাপসুল এর ব্যবহার। ফর্সা হওয়া বা রূপচর্চার কাজে বিভিন্নভাবে ভিটামিন ই ক্যাপসুল ব্যবহার করা যেতে পারে। সঠিক নিয়ম জানা থাকলে খুব সহজ এবং কার্যকরী ভাবে রূপচর্চার কাজে ব্যবহার করা যাবে হাতের কাছে থাকা ই ক্যাপসুল।

বাজারের ক্রয় করা হোয়াইটেনিং প্রোডাক্টগুলো দেখা যায় বেশিরভাগ সময় কার্যকরী ফলাফল প্রদান করে না এবং ভালো ফলাফল না দিলেও এর কারণে ত্বকের ক্ষতি কিন্তু ঠিকই হতে থাকে , এবং যার ফলাফল হিসেবে স্কিন ক্যান্সারেরও সম্ভাবনা থেকে যাই ।আপনি যদি ত্বকের ক্ষতি না করে কার্যকরী ভাবে ত্বক ফর্সা এবং ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা দূর করতে চান তাহলে জেনে নিতে পারেন ভিটামিন ই ক্যাপসুল দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায় এবং মুখে ভিটামিন ই ক্যাপসুল ব্যবহারের নিয়ম গুলো।

সূচিপত্রঃ ভিটামিন ই ক্যাপসুল দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায়

ভিটামিন ই ক্যাপসুল দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায়

আপনি কি জানেন ভিটামিন ই ক্যাপসুল দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায় সম্পর্কে ? শুনে নিশ্চয়ই কিছুটা অবাক হচ্ছেন , ভাবছেন ভিটামিন ই ক্যাপসুল দিয়ে আবার কিভাবে ফর্সা হওয়া যায়। কিন্তু অবাক করার মতন হলেও সত্য যে উপায় জানা থাকলে পিটানো এই ক্যাপসুল দিয়েও ফর্সা হওয়া যায়। তাই আজকে আমরা ভিটামিন ই ক্যাপসুল দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায় গুলো সম্পর্কে জানবো। মুখের ত্বক ফর্সা করার জন্য বাজারে কেমিকেল যুক্ত প্রোডাক্টগুলো ইউজ করা বন্ধ করে নিরাপদে ভিটামিন ই ক্যাপসুলগুলো দিয়ে ফর্সা হতে পারেন। আর ভিটামিন ই ক্যাপসুল ব্যবহার করে ফর্সা হতে হলে, আপনাকে ভিটামিন ই দিয়ে বানিয়ে নিতে হবে ফেসপ্যাক। ফর্সা হওয়ার জন্য ভিটামিন ই এর এইচএস প্যাক গুলো আপনি বিভিন্নভাবে বানাতে পারেন যেমন ,

ত্বকে সরাসরি ভিটামিন ই ক্যাপসুল ব্যবহারঃউজ্জ্বলতা বাড়ানোর জন্য আপনি সরাসরি ভিটামিন ই ক্যাপসুল থেকে তেল বের করে মুখের ত্বকে লাগাতে পারেন। রাত্রে ঘুমানোর আগে এভাবে মুখের ত্বকে লাগান এবং সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠে ভালোভাবে ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। এতে আপনার ত্বকের বিভিন্ন সমস্যার পাশাপাশি আপনার ত্বক উজ্জ্বল এবং নরম করতে সাহায্য করবে।

গোলাপ জল ও ভিটামিন ইঃ বাজারের ভালো ব্র্যান্ডের গোলাপ জলের সাথে ভিটামিন ই ক্যাপসুল মিশিয়ে এবং এর সাথে কিছু গ্লিসারিন দিয়ে ভালোভাবে মিক্স করে একটি প্যাক তৈরি করে নিতে পারেন। এই মিশ্রণটি আপনার ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে এবং ত্বকের আদ্রতা ধরে রাখতে সাহায্য করবে।

অলিভ অয়েল এবং ভিটামিন ইঃ অলিভ অয়েল এবং ভিটামিন ই এর মধ্যে থাকা তেল ভালোভাবে মিক্স করে কি আপনার ত্বকে ব্যবহার করুন । এই মিশ্রণটি আপনার ত্বক থেকে ডেথ স্কিন সেল দূর করতে সাহায্য করবে। এবং ত্বকে না থাকার কারণে স্বাভাবিকভাবেই আপনার ত্বক অনেকটা উজ্জ্বল বা ফর্সা দেখাবে।

ভিটামিন ই ও টক দই ঃ মুখের যেকোনো দাগ সহ রোদে পোড়া দাগ দূর করতে ভিটামিন ই ও টক দই অত্যন্ত কার্যকরী । ভিটামিন ই এবং টক দই একটি বাটিতে ভালোভাবে মিশিয়ে এর মধ্যে কয়েক ফোটা লেবুর রস যুক্ত করুন ও এটি ত্বকে লাগিয়ে অন্ততপক্ষে ১৫ থেকে ২০ মিনিট অপেক্ষা করুন এরপর ভালোভাবে মুখ পরিষ্কার করে ফেলুন কয়েকদিন নিয়মিত করলেই এটি আপনার টক ফর্সা করতে অত্যন্ত কার্যকরী ফলাফল প্রদান করবে।

মুখে ভিটামিন ই ক্যাপসুল ব্যবহারের নিয়ম

অনেকেই হয়তো মুখে ভিটামিন ই ক্যাপসুল এর ব্যবহারের নিয়ম সম্পর্কে জানেন না। তাই এই প্রশ্নের মাধ্যমে আজকে তাদেরকে জানানো হবে মুখে ভিটামিন ই ক্যাপসুল ব্যবহারের নিয়ম গুলি। আপনিও যদি মুখে ভিটামিন ই ক্যাপসুল ব্যবহারের নিয়ম তাহলে , পোষ্টের এই অংশটি পড়ার মাধ্যমে জেনে নিতে পারেন। রূপচর্চার জন্য মুখে ভিটামিন ই ক্যাপসুল এর ব্যবহার বিভিন্নভাবে করা যেতে পারে। যেমন-

স্কিন সিরাম ঃভিটামিন ই ক্যাপসুল আপনি নাইট সিরাম হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন। ভিটামিন ই ক্যাপসুল এর ভেতর থেকে এর তেল বের করে সরাসরি মুখের ত্বকে আলতোভাবে মেসেজ করুন, ড্রাই এবং নরমাল স্কিনের জন্য কে আদ্রতা ধরে রাখতে খুব ভালো কাটছে। মুখের ত্বকে ভিটামিন ই তেল ব্যবহারের সময় হালকা মাসাজের পর হাত দিয়ে পাঁচ মিনিটের জন্য চেপে চেপে বসিয়ে নিন।

নাইট ক্রিমঃ ভিটামিন ই ক্যাপসুলের ভেতরে তেল এবং এলোভেরা জেল ভালোভাবে মিশিয়ে ক্রিম তৈরি করুন রাতে ঘুমানোর আগে মুখে লাগিয়ে নিন এবং সকালে ভালোভাবে ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ পরিষ্কার করে ফেলুন। নাইট ক্রিম হিসেবে এলোভেরা জেল এবং ভিটামিন ই ক্যাপসুল অত্যন্ত ভালো কাজ করে। এছাড়াও যে কোনো ভালো ব্র্যান্ডের ক্রিমের সাথে ভিটামিন ই ক্যাপসুল মিশিয়ে এটি নাইট ক্রিম হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন।

আরো পড়ুনঃ ভিটামিন ডি এর অভাবে কোন রোগ হয় এবং ভিটামিন ডি জাতীয় খাবার

লিপবামঃ লিপজেল বা ভেসলিনের সাথে ভিটামিন ই ক্যাপসুল মিশিয়ে এটি আপনি লিপবাম হিসেবে ব্যবহার করতে পারেনি। লেফট রেগুলার আপনি এইভাবে ভিটামিন ই ক্যাপসুল ঠোঁটের ব্যবহারের মাধ্যমে মসৃণ , কমল এবং গোলাপি ঠোঁট পাবেন।

ডার্কে সার্কেল দূর করতেঃ চোখের নিচের কালো দাগ দূর করতে ব্যবহার করুন ভিটামিন ই ক্যাপসুল। চোখের নিচে কালো দাগ দূর করার জন্য আমন্ড ওয়েলের সাথে ভিটামিন ই ক্যাপসুল মিশিয়ে মুখের ত্বকে ব্যবহার করলে অত্যন্ত ভালো ফল পাওয়া যায়। বেশ কিছুদিন ভিটামিন ই ক্যাপসুল এবং আমন্ড অয়েল পুরো মুখ সহকারে চোখের নিচে ব্যবহার করুন কিছুদিন ব্যবহারের ফলে আপনার চোখের নিচের ডার্ক সার্কেল দূর হয়ে যাবে। 

কালো  দাগ দূর করতেঃ মুখের কালো দাগ দূর করার জন্য এলোভেরা জেল , আমন্ড অয়েল , অলিভ অয়েল এর সাথে ভিটামিন ই মিশিয়ে ব্যবহার করতে পারেন অথবা সরাসরি ভিটামিন ই ক্যাপসুলের তেল সরাসরি ত্বকের ব্যবহার করতে পারেন। নিয়মিত ব্যবহারের ফলে আপনার ত্বক থেকে কালো দাগ দূর হয়ে যাবে।

ভিটামিন ই ক্যাপসুল দিয়ে চুল লম্বা করার উপায়

মুখে ভিটামিন ই ক্যাপসুল এর ব্যবহারের নিয়ম সম্পর্কে আমরা জেনে নিয়েছি এবার আমাদেরকে জানতে হবে ভিটামিন ই ক্যাপসুল দিয়ে চুল লম্বা করার উপায় সম্পর্কে। যারা ভিটামিন ই ক্যাপসুল দিয়ে চুল লম্বা করার উপায় গুলো জানেন না তারা এই বিষয়টি জেনে নিতে পারেন। চলুন আপনাদেরকে এবার জানিয়ে দিন ভিটামিন ই ক্যাপসুল দিয়ে চুল লম্বা করার উপায়। মাথার চুল লম্বা করার জন্য বেশ কয়েকটি নিয়মে আপনি ভিটামিন ই ব্যবহার করতে পারেন। এতে আপনার মাথার চুল দ্রুত লম্বা হওয়ার পাশাপাশি চুল স্বাস্থ্যজ্জল এবং সিল্কি হবে।

ভিটামিন ই ক্যাপসুল এর সাথে নারিকেল তেল সামান্য গরম করে মাথার ত্বকে মাসাজ করুন এতে চুলের গোড়ায় রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি পাবে এবং চুল তার প্রয়োজনীয় পুষ্টি পাবে যার ফলে চুরি অতি দ্রুত লম্বা হবে। পাশাপাশি চুলের গোড়া মজবুত করতেও এই পদ্ধতি কার্যকরী। এছাড়্রাও চুলের গ্রোথ বাড়াতে আমন্ড অয়েল অথবা ক্যাস্টর অয়েলের সাথে মিশিয়ে ব্যবহার করতে পারেন।এছাড়া চুল লম্বা করতে সরাসরি মাথায় ভিটামিন ই ক্যাপসুল তেল ব্যাবহার।

আরো একটি উপায় কি ক্যাপসুল দিয়ে আপনি মাথার চুল লম্বা করতে পারেন। এলোভেরা জেল ক্যাস্টর অয়েল এবং ভিটামিন ই ক্যাপসুল একটি বাটিতে ভালোভাবে মিক্স করুন এবং এই মিশ্রণটি চুলের গোড়া সহ সারা চুলে লাগিয়ে রাখুন অন্ততপক্ষে এক ঘন্টা। এক ঘন্টা পরে শ্যাম্পু দিয়ে ভালোভাবে চুল ধুয়ে ফেলুন। এতে আপনার চুলের গোড়া মজবুত হবে এবং চুল লম্বা হবে।

মন্তব্য , আশাকরি নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন ভিটামিন ই শুধু আমাদের শরীর ভালো রাখতে নয় , রূপচর্চা করার জন্য খুবই আদর্শ একটি উপাদান। রূপচর্চার কাজে ভিটামিন ই ক্যাপসুল ব্যবহারের আরেকটি উল্লেখযোগ্য সুবিধা হল এর কারণে ত্বকের কোন ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে না , তাই জেনে বুঝে বাইরের কেমিক্যালযুক্ত প্রোডাক্ট গুলো ব্যবহার না করে রূপচর্চার কাজে নিরাপদে ভিটামিন ই ক্যাপসুল ব্যবহার করতে পারেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন

comment url