রাতে মধু খাওয়ার উপকারিতা

 রাতে মধু খাওয়ার উপকারিতা

রাতে ঘুমানোর আগে মুখে খেলে এটি বিভিন্ন ক্ষেত্রে ম্যাজিকের মতন কাজ করে। আপনি যদি রাতে মধু খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে অবগত না থাকেন তাহলে আপনার এখনই জেনে নেওয়া উচিৎ রাতে মধু খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে। চলুন তাহলে দেরি না করে শুরু করা যাক রাতে মধু খেলে আপনি কি কি উপকারিতা পেতে পারেন সে সম্পর্কে।

রাতে হালকা গরম পানির সাথে মধু খেলে আপনি গলা ব্যাথার সমস্যা থেকে উপশমও পেতে পারেন, এছাড়াও রাতে মধু আপনার দাঁতের বিভিন্ন ধরনের ফ্লাক তৈরি করতে বাধা দেবে এবং আপনার এলার্জি সমস্যা থাকলে সেই এলার্জি সমস্যা দূর করতেও খুব ভালো কাজ করবে রাতে মধু সেবন করা। রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে এক গ্লাস পানির ভেতরে একটা চামচ মধু দিয়ে পান করলে এটি আপনার রাতের সাউন্ড স্লিপ করার ক্ষেত্রে সাহায্য করবে।

রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে মধু খেলে এটি আপনার ত্বককে ভিতর থেকে উজ্জ্বল হতে সাহায্য করে। রাতের বেলা ঘুমানোর আগে গরম পানি অথবা গরম দুধের মধ্যে মধু মিশিয়ে খেলে এটি চুল পড়া রোধ করে , ব্রণের সমস্যা দূর করে এবং দৃষ্টি শক্তি বাড়াতেও সাহায্য করে। রাত্রে ঘুমানোর আগে মধু পান করলে এটি মানসিক দুশ্চিন্তা দূর করতেও বেশ ভালো কাজ করে হলে সারাদিন অনেকটাই চিন্তা মুক্ত বা মানসিক চাপ মুক্ত থাকা যায়। রাতের বেলা ঘুমানোর আগে মধু খেলে গলা ব্যথা এবং কফের সমস্যা থেকে বেশ ভালো উপকার পাওয়া যায়।

সকালে মধু খাওয়ার উপকারিতা

রাতের বেলা মধু খাওয়ার যেমন বিশেষ কিছু উপকারিতা হয়েছে তেমন সকালে মধু খাওয়ার উপকারিতা রয়েছে। সকালে মধু খাওয়ার উপকারিতা।আপনি যদি সকালবেলা হালকা কুসুম গরম পানিতে মধু এবং লেবুর রস মিশিয়ে খান তাহলে এটি আপনার লিভারের টক্সিন দূর করতে সাহায্য করবে এবং আপনার অতিরিক্ত ওজন কমাতেও সাহায্য করবে। সকালবেলা মধু খেলে যাদের কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা রয়েছে তারা কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা থেকে রেহাই পাবে এবং সারাদিন শরীর সতেজ এবং কর্মদম থাকবে। সকালবেলা মধুর জল পান করলে শরীরে প্রচুর শক্তি পাওয়া যায় কারণ মধুর মধ্যে রয়েছে প্রাকৃতিক সুগার আর আমরা সকলেই জানি সুগার বা চিনি আমাদের শরীরের শক্তি জোগাতে সাহায্য করে।

মধু সম্পর্কিত হাদিস 

মধু শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী একটি ঔষধ পবিত্র কুরআন থেকে জানা যায় যে মধুর মধ্যে রয়েছে যাবতীয় সকল রোগের ঔষধ। কুরআনে আল্লাহ পাক বলেন-মৌমাছির পেট থেকে নির্গত তরল পদার্থের মধ্যে মানুষের সকল রোগের প্রতিরোধ ব্যবস্থা রয়েছে (সূরা আল নাহাল, আয়াত;৬৯)। এবং হাদিসেও নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মধু খাওয়ার ব্যাপারে তাগিদ দিয়েছেন। নবীজি(সা) নিজে মধু খেতেন এবং অন্যদেরকেও মধু খাওয়ার পরামর্শ দিতেন।

মহানবী (সা) বলেছেন-মৃত্যু ছাড়া সকল রোগের মহা ঔষধ হচ্ছে মধু। এবং এ কথাটি এখন বিজ্ঞানের মাধ্যমেও প্রমাণিত হয়ে গেছে।

অন্য একটি হাদিস থেকে জানা যায়-কোন রোগীকে মধু খাওয়ানো হলে ধীরে ধীরে সে রুগী সুস্থ হয়ে ওঠে(বায়হাকি , হাদিস ৩৪৫ , আস সুনানুল সুগরা , হাদিস ৩৯৫৮)

আরো পড়ুনঃবাদাম খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা - কাঁচা বাদামের উপকারিতা

রাসুলুল্লাহ (সা) বলেছেন-যদি কোন ব্যক্তি মাসে ৩ দিন সকালে খালি পেটে মধু চেটে চেটে খায় তবে সে যে কোন ধরনের বড় রোগ থেকে দূরে থাকবে (ইবনে মাজাহ; হাদিস ৩৪৪১)

মহানবী(সা) বলেন-সকল পানীয়র মধ্যে উত্তম পানীয় হলো মধু (ইবনে মাজাহ,হাকেম)

রাসুলুল্লাহ(সা) -আল্লাহর শপথ করে বলেন যে ঘরে মধু রয়েছে সেই ঘরে অবশ্যই ফেরেশতারা আসে এবং সেই ঘরের বাসিন্দাদের জন্য মাগফিরাতের কামনা করেন। এবং কোন ব্যক্তি যদি পেটে মধু থাকা অবস্থায় মৃত্যুবরণ করে তবে তাকে জাহান্নামের আগুন স্পর্শ করবে না (নিয়ামুল কোরআন)

আয়েশা রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু এর বর্ণনা থেকে জানতে পাওয়া যায়-মধু নবীজি (সা) খুব প্রিয় একটি খাবার ছিল (সহিহ বুখারী হাদিসঃ৫২৪৮)

আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ(রা) থেকে একটি হাদিসের বর্ণনা পাওয়া যায়, যেখানে নবীজি (সা) বলেছেন-বিভিন্ন রোগ থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য তোমরা দুইটি জিনিসকে প্রয়োজনীয় করে নয় । এই জিনিস দুটি হল মধু এবং কুরআন কারণ এই দুইটির মধ্যে রয়েছে সকল রোগের ঔষধ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন

comment url