বুক ধড়ফড় দূর করার ১০টি ঘরোয়া উপায় - বুক ধরফর এর ঔষধ
হার্টের পালস রেটের গতি বেড়ে গেলে , যখন আমরা এই বিষয়টি উপলব্ধি করতে পারি, এই পরিস্থিতিই হচ্ছে বুক ধরফর। অনেকের কাছে এটি অত্যন্ত আতঙ্কের একটি বিষয় , কারণ বেশিরভাগ মানুষই মনে করে যে বুক ধরফর করার অর্থই হল হৃদরোগ - আপনাদের এই ধারণাটি কতটুকু সত্য তা জানাবো আজকের এই পোষ্টের মাধ্যমে আর পাশাপাশি বুক ধরফরের এই সমস্যা কিভাবে ঘরোয়া উপায়ে সমাধান করবেন এই বিষয়েও বিস্তারিত বলবো।
বুক ধরফর বা হঠাৎ করে পালসে রেট বেড়ে যাওয়ার এই বিষয়টি নিয়ে বেশিরভাগ
মানুষেরই সঠিক জ্ঞান নেই। তাই বুক ধরফর এর বিষয়ে সঠিকভাবে জানতে আজকের এই
পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়ুন কারণ এই পোস্টে থাকছে বুক ধরফর সংক্রান্ত বেশ অনেক গুলো
বিষয়ে এবং তথ্য যা হয়তো আপনাদের অনেকেরই অজানা।
সূচিপত্রঃ বুক ধড়ফড় দূর করার ঘরোয়া উপায় - বুক ধরফর এর ঔষধ
- বুক ধড়ফড় করার কারণ
- বুক ধড়ফড় দূর করার ঘরোয়া উপায়
- পেটে গ্যাস হলে কি বুক ধরফর করে
- বুক ধড়ফড় দূর করার দোয়া
- বুক ধরফর এর ঔষধ
বুক ধড়ফড় করার কারণ
বুক ধরফর করা বিভিন্ন বয়সী মানুষদের মধ্যে কমন সমস্যা গুলোর মধ্যে একটি হয়ে দাঁড়িয়েছে বর্তমানে। আমাদের শরীরের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অর্গান হার্ট বা হৃদযন্ত্র সব সময় স্পন্দিত হতে থাকলেও সাধারণ অবস্থায় আমরা এটি অনুভব করতে পারিনি , কিন্তু বিভিন্ন কারণে যখন হৃদস্পন্দনের এই গতি অনুভূত হয় তখন এই সমস্যাটিকে ক্লিনিক্যালি বলা হয় কার্ডিয়াক বেশি সংকোচন বা Palpitations এবং একে সহজ বাংলায় বলা হয় বুক ধড়ফড় করা। অধিকাংশ মানুষই মনে করেন বুক ধড়ফড় করার মানেই হলো হার্টের রোগ। অবশ্যই বুক ধরফর করা বিষয়টি হার্টের সাথে রিলেটেড , কিন্তু বুক ধরফর করার অর্থ এই নয় যে এটি হার্টের রোগ। হ্যাঁ , অনেক সময় হার্টের বিভিন্ন রোগের কারণে বুক ধরফর করে , তবে হার্টের রোগ ছাড়াও আরো অনেক কারনে বুক ধড়ফড় করে ,বুক ধড়ফড় করার উল্ল্যেখযোগ্য কারনগুলোর ভেতরে রয়েছে,
- রক্তে সুগারের মাত্রা কমে গেলে বা হাইপোগ্লাইসেমিয়া দেখা দিলে
- রক্তচাপ বেড়ে গেলে অথবা কমে গেলে
- অ্যানিমিয়া বা রক্তস্বল্পতার সমস্যা থাকলে
- ডিহাইড্রেশনের কারণে
- শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে গেলে
- ব্যায়াম বা অতিরিক্ত শারীরিক পরিশ্রম করলে
- মানসিক চাপে থাকলে
- পেটে অতিরিক্ত এসিডিটি বা গ্যাস
- অতিরিক্ত চা ,কফি পান করলে
- অ্যালকোহল , ধূমপান বা নেশা জাতীয় দ্রব্য সেবনের ফলে
- হরমোনের সমস্যার কারণে অথবা হরমোনের তারতম্য দেখা দিলে , যেমন - থাইরয়েড এর সমস্যা থাকলে ,মেয়েদের পিরিয়ড অথবা প্রেগনেন্সিতে বুক ধরফরের সমস্যা হতে পারে।
- অনেক সময় বিভিন্ন ঔষধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হিসেবে বুক ধরফর করতে পারে , বিশেষ করে কোকেন বা অ্যামফিটামিন জাতীয় ঔষধের কারণে এ সমস্যা হয়ে থাকে। আবার অনেক সময় এলার্জির ঔষধ , নাকের ড্রপ এবং ওজন কমানোর ঔষধ সেবনের ফলেও বুক ধড় করে সমস্যা হয়।
বুক ধড়ফড় দূর করার ঘরোয়া উপায়
বুক ধরফর করলে প্রাথমিক অবস্থাতেই এ ব্যাপারে বেশি আতঙ্কিত হওয়ার প্রয়োজন নেই,
কিছু ঘরোয়া টিপস অবলম্বন করার মাধ্যমে সাধারণ কারণে হওয়া বুক ধরফর করার সমস্যা
আপনি খুব সহজেই সমাধান করে নিতে পারেন। যেহেতু বুক ধরফর এর এই সমস্যাটি বিভিন্ন
বয়সের মানুষের মধ্যে দেখা যায় তাই প্রাথমিকভাবে এই সমস্যার সমাধান হিসেবে আপনি
যে ঘরোয়া উপায় গুলোও অনুসরণ করতে পারেন সেগুলো হলো ,
মানসিক চাপমুক্ত থাকাঃ অনেক সময় হুট করেই বুক ধরফর করা সমস্যা বোধ
হয় , এর কারণ হতে পারে হরমোনের তারতম্য অথবা রক্তচাপের কমবেশি হওয়া। এই
পরিস্থিতিতে উত্তেজিত বা দুশ্চিন্তা গ্রস্থ না হয়ে যতটা সম্ভব শান্ত থাকার
চেষ্টা করতে হবে। কারণ আপনারা জানেন , মানসিক চাপ আমাদের পালস রেট এর গতি
বাড়িয়ে দেয় যার ফলে সমস্যা বুক ধরফর করে সমস্যা হয় , আর এ কারণেই যখন রক্ত
চাপ বা হরমোন জনিত কারণ অথবা অন্য কোন সমস্যার কারণে বুক ধরফর করবে সেই সময় যদি
অযথা উত্তেজিত বা এ ব্যাপারে দুশ্চিন্তা গ্রস্থ হয়ে পড়ে তাহলে সে ক্ষেত্রে দেখা
যাবে বুক ধরফর এর মাত্রা আরো বেড়ে যাবে। তাই বুক ধরফর করলে শান্ত থাকার চেষ্টা
করুন , এছাড়াও যে কোনো কারণে হওয়া মানসিক চাপ বা দুশ্চিন্তায় এড়িয়ে চলার
চেষ্টা করুন।
**
হাঁটাহাঁটি অথবা ব্রিদিং এক্সারসাইজঃ যখনই বুক ধরফর এর সমস্যা
লক্ষ্য করবেন তখন সমান স্থানে একটু হাঁটাহাঁটি করুন এবং ব্লিপিং এক্সারসাইজ করুন।
অনেক সময় মানসিক চাপ এবং ভয়ের কারণে যখন আমাদের বুক ধরফর এর সমস্যা হয় সেই
সময় হাটাহাটি এবং ব্রিডিং এক্সারসাইজ করলে এ সমস্যা সমস্যা সেরে যায়। গভীর
শ্বাস-প্রশ্বাসের এই ব্রিডিং এক্সারসাইজ করলে কিছুক্ষণের মধ্যে আপনার পালসেটের
গতি অনেকটাই স্বাভাবিক চলে আসবে।
শরীরকে হাইড্রেট রাখুনঃ শরীরে ডিহাইড্রেশন দেখা দিলে সে
ক্ষেত্রেও বুক দেওয়ার পরে সমস্যা লক্ষ্য করা যায় তাই সময় শরীরকে হাইড্রেট
রাখার চেষ্টা করুন এবং নিয়মিত পর্যাপ্ত পানি পান করুন। যখন বুক ধরফরের সমস্যা
ফেস করবেন তখন একটু পর পর ধীরে ধীরে পানি পান করুন এতে আপনার শরীর ডিহাইড্রেশন
মুক্ত হবে হবে এবং বুক ধরফর ধীরে ধীরে কমে যাবে। এছাড়াও বিশেষজ্ঞদের মতে জানা
যায় বুক ধরফরের সময় হালকা কুসুম গরম পানিতে গোসল করলে পরিস্থিতি অনেকটা
স্বাভাবিক হয়ে যায়।
নিয়মিত শরীর চর্চাঃ আমাদের শরীরকে ফিট এবং রোগমুক্ত রাখার জন্য
নিয়মিত শরীর চর্চার বিকল্প নেই। তাই শরীরের এসব ছোটখাটো সমস্যা দূর করার জন্য
নিয়মিত শরীর চর্চার অভ্যাস গড়ে তুলুন। নিয়মিত শরীর চর্চা করলে আপনার শরীরের
মাসলগুলো শক্তিশালী হবে এবং শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে উঠবে। অনেক সময় দেখা
যায় হুট করে একদিনে অতিরিক্ত শরীর চর্চা করার ফলে , অথবা অতিরিক্ত শারীরিক
পরিশ্রম করার কারণে হার্টবিট বেড়ে গিয়ে বুক ধড়ফড় করে , আপনি যদি নিয়মিত শরীর
চর্চা করতে থাকেন তাহলে এ ধরনের সমস্যার হাত থেকে রেহাই পাবেন।
অতিরিক্ত চা,কফি এবং নেশা জাতীয় দ্রব্য বর্জন করুনঃ বুক ধরফর করার
পেছনের আরেকটি কারণ হলো ধূমপান , অ্যালকোহল সেবন সহ অন্যান্য যে কোন
নেশা জাতীয় দ্রব্য সেবন করা। শুধু নেশা জাতীয় দ্রব্যই নয় অতিরিক্ত চা কফি পান
করাও কিন্তু হতে পারে বুক ধরফরের আরেকটি অন্যতম কারণ। তাই বুক ধরফরের সমস্যা রোধ
করতে হলে ধূমপান বা অ্যালকোহল জাতীয় দ্রব্য সেবন করা সম্পূর্ণরূপে পরিহার করার
পাশাপাশি অতিরিক্ত চা কফি পান করা থেকেও বিরত থাকুন। খেয়াল রাখুন প্রতিদিন যেন
নির্দিষ্ট পরিমাণের চেয়ে অতিরিক্ত চা কফি পান করা না হয় , কারণ এতে করে শরীরে
অন্যান্য সমস্যার পাশাপাশি বুক ধরফর করার সমস্যাও বৃদ্ধি পাবে।
**
অ্যাসিটিক খাবার পরিহার করুনঃ পেটে অতিরিক্ত এসিডিটি বা গ্যাস এর কারণেও বুক ধরফরের সমস্যা হয়ে থাকে। তাই যে জাতীয় খাবারগুলোতে পেটে অতিরিক্ত গ্যাস হয় অথবা যে খাবারগুলো খেলে আপনার এসিডিটির সমস্যা হয় সে খাবারগুলো অল্প পরিমানে খাওয়ার চেষ্টা করুন অথবা প্রয়োজনে সম্পূর্ণ বর্জন করুন। এছাড়াও বাইরের তৈরি অস্বাস্থ্যকর যে কোন খাবার , ফাস্টফুড বা ভাজাপোড়া জাতীয় খাবার গুলো পরিহার করা উত্তম কারণ এর থেকে অনেক সময় পেটে প্রচুর পরিমাণে এসিডিটির তৈরি হয় যার কারণে বুক ধরফরের সমস্যা হয়ে থাকে। আর যদি পেটে এসিডিটির কারণে বুক ধরফর এ সমস্যা হচ্ছে বলে মনে হয় তাহলে সে ক্ষেত্রে ,এসিডিটি কমানোর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতেহবে। পেটে গ্যাস এসিডিটি কমানোর জন্য ঘরোয়া পদ্ধতি গুলো অবলম্বন করতে পারেন যেমন -হাঁটাহাঁটি করা , পানি পান করা ইত্যাদি। অথবা অ্যাসিডিটি দূর করার ঔষধ সেবন করতে পারেন।
রক্তশূন্যতা দূর করুনঃ আপনার শরীরে যদি রক্তশূন্যতা থাকে তাহলে সে
ক্ষেত্রে বুক ধরফর করার এই সমস্যাটি নতুন কিছু নয়। তাই শরীরে রক্তশূন্যতা দেখা
দিলে বা রক্তশূন্যতার সমস্যা থাকলে অবশ্যই এটি দূর করার চেষ্টা করুন। শরীরের
রক্তশূন্যতা দূর করার জন্য অবশ্যই যেসব খাবারে হিমোগ্লোবিন রয়েছে অর্থাৎ যেসব
খাবার শরীরে রক্ত উৎপাদনের সাহায্য করে ও রক্তশূন্যতা দূর করে সে সকল খাবার গুলো
খাদ্য তালিকায় যুক্ত করুন , আর এর মাধ্যমেও যদি রক্তশূন্যতার সমস্যা দূর না হয়
তাহলে ডাক্তারি পরামর্শ মোতাবেক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করুন অথবা ও ঔষধ সেবন
করুন।
আরো পড়ুনঃ রক্তশূন্যতার লক্ষণ এবং রক্তশূন্যতা দূর করার উপায়
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখুনঃ রক্তের সুগারের মাত্রা কমে গেলে এবং
বেড়ে গেলে , এর কারণেও বুক ধরফর এর সমস্যা হয়ে থাকে। আর এ কারণে বুক দেওয়ার পর
এর সমস্যা হলে ডায়াবেটিস চেক করে দেখুন যদি দেখেন যে রক্তের শর্ট করার মাত্রা
কমে গেছে তাহলে এক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ আর যদি রক্তের সুগারের
মাত্রা বেড়ে গিয়ে থাকে তাহলে এটি যত দ্রুত সম্ভব নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করতে
হবে । অনেক সময় দেখা যায় ডায়াবেটিস রোগীরা কঠোরভাবে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ
করতে গিয়ে রক্তের শর্করার মাত্রা এবারে কমিয়ে ফেলেন , যার কারণে বুক ধরফর করার
সমস্যাটি হয়ে থাকে। যারা ডায়াবেটিস রোগী আছেন তারা অবশ্যই রক্তে শর্করার মাত্রা
ঠিকঠাক থেকে কিনা এই বিষয়টি ভালোভাবে পর্যালোচনা করবেন।
পর্যাপ্ত ঘুম এবং বিশ্রামের ব্যবস্থা করুনঃ আমাদের শরীর সুস্থ রাখার
জন্য ঘুমের কোন বিকল্প নেই। শরীর সুস্থ রাখতে হলে অবশ্যই নিয়মিত সাত থেকে আট
ঘন্টা নিরবিচ্ছিন্ন ঘুম দরকার , প্রতিনিয়ত যদি সঠিক মাত্রায় ঘুম না হয় তাহলে
এর প্রভাব পড়তে পারে শরীরের সর্বস্তরে। অর্থাৎ ঠিক মতন ঘুম না হলে শরীরের
বিভিন্ন ধরনের সমস্যার পাশাপাশি , হাটের উপরেও চাপ পড়তে পারে যার কারণে দেখা
দিতে পারে সমস্যা বুক ধরফর করার সমস্যা। আবার অনেক সময় দেখা যায় একটা না
অনেকক্ষণ ধরে পরিশ্রম করার কারণেও বুক ধরফর করে। তাই শুধু একটা না শারীরিক
পরিশ্রম করলেই চলবে না পাশাপাশি শরীরকে যথেষ্ট বিশ্রাম দিতে হবে এবং নিয়মিত
রাতে ৮ ঘন্টা ঘুমানোর অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে এতে করে শরীর সুস্থ এবং অন্যান্য
সমস্যা দূর হওয়ার পাশাপাশি বুক ধরফর করার সমস্যাও প্রতিরোধ করা যাবে।
**
ডাক্তারি পরামর্শ মোতাবেক ঔষধ সেবনঃ অনেক সময় দেখা যায় বিভিন্ন
সমস্যার কারণে আমরা রেজিস্টার ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ ছাড়াই ঔষধ গ্রহণ
করি , আর এই কাজটি করার কারণে অনেক ঔষধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হিসেবে বুক ধরফরের
সমস্যা তৈরি হয়। কারণ শরীরের অবস্থা , বয়স এবং অসুখের তীব্রতা অনুযায়ী যদি
সঠিক মাত্রার ঔষধ সেবন না করা হয় তাহলে সেক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের জটিলতা
ফেস করতে হয় , অনেক সময় দেখা যায় যে প্রয়োজনের তুলনায় অতিরিক্ত ডোজের ঔষধ
গ্রহণের কারণে , পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া স্বরূপ বুক ধরফর এর সমস্যা হয়ে থাকে , তাই
এ সমস্যা থেকে মুক্ত থাকতে চাইলে অবশ্যই যে কোন ঔষধ গ্রহণের পূর্বে রেজিস্টার
ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করে নিতে হবে।
পেটে গ্যাস হলে কি বুক ধরফর করে
পেটে অতিরিক্ত গ্যাস বা এসিডিটির সমস্যা তৈরি হলে এর থেকে হার্ট এর উপরে চাপ পড়ে
যার কারণে বুক চাপ ধরে থাকা এবং বুক ধরফর করার সমস্যা হয়ে থাকে। তবে বুক চাপ ধরা
বা বুক ধরফর করলেই এটি ধরে নেওয়া যাবে না যে পেটে গ্যাস হয়েছে কারণ গ্যাস
ছাড়াও আরো অনেক কারণে বুক ধরফর করে যার মধ্যে , অন্যতম কারণগুলোর মধ্যে রয়েছে
অ্যাজমা , এলার্জি ইত্যাদি কারণেও বুক ধরফর করতে পারে। তবে এ প্রসঙ্গে
আপনি যদি জানতে চান যে পেটে গ্যাস হলে কি বুক ধরফর করে? তাহলে এর উত্তর হলো
হ্যাঁ পেটে গ্যাস হলে বুকে চাপ লাগা এবং বুক ধরফর করতে পারে। পেটে অতিরিক্ত
পরিমাণ অ্যাসিডিটিও হল বুক ধরফরের অন্যতম একটি প্রধান কারণ।
বুক ধড়ফড় দূর করার দোয়া
সূরা বনী ইসরাঈল ৮২ নাম্বার আয়াতে আল্লাহপাক বলেছেন - আমি যা কিছু
নাযিল করি তা হচ্ছে ঈমানদারদের জন্য রোগ মুক্তি এবং রহমত। পূর্ণাঙ্গ জীবন
ব্যবস্থা এর মধ্যে সকল নির্দেশনা রাখার পাশাপাশি আল্লাহ পাক সকল রোগের মুক্তি ও
রেখেছেন এই পবিত্র গ্রন্থের ভিতরে। বুক ধরফর করার এই সমস্যাটি আমরা খুব সহজে
কোরআনের একটি আয়াত আমল করার মাধ্যমেও দূর করে নিতে পারি। বুক ধরফর দূর করার এ
বিশেষ দোয়াটি হল -কুরআনের ১৩ তম সূরা , সূরা রাদ এর 28 নম্বর আয়াত। আর এ পবিত্র
আয়াত কি হলো ,
বুক ধরফর এর ঔষধ
আপনার যদি বুক ধরফরের সমস্যা হয়ে থাকে তাহলে সেক্ষেত্রে , কিছু ঔষধ সেবন করতে পারেন। ঔষধ গুলো হলো ,Iprasol ,Combair ,Salpium ,Windel Plus , Ipralin. বুক ধরফর এর এই ওষুধগুলো শুধুমাত্র আপনাদের জানানোর জন্য প্রকাশ করা হয়েছে , এই ওষুধগুলো গ্রহণের পূর্বে অবশ্যই ডাক্তারি পরামর্শ গ্রহণ করে নিবেন এবং রেজিস্টার ডাক্তারের কাছে থেকে এর মাত্রাগুলো জেনে নেওয়ার পরেই সেবন করবেন। কারণ কোন ঔষধের রেজিস্টার ডাক্তারের পরামর্শ সেবন করা উচিত নয় এতে , কোন কোন ক্ষেত্রে মারাত্মক প্রতিক্রিয়ার সম্মুখীন হতে হয়। তাই আবারও বিশেষভাবে সবার কাছে অনুরোধ করা হলো ঔষধ গুলো সেবনের পূর্বে অবশ্যই রেজিস্টার ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করে নেবেন।
মন্তব্য , যদিও হার্টের সমস্যা ছাড়াও আরো বিভিন্ন কারণে রোগ ধার করে সমস্যা
হয়ে থাকে কিন্তু তাই বলেই এ ব্যাপারে একেবারে উদাসীন হলে চলবে না কারণ কখনো
কখনো হার্টের সমস্যার কারণে বা সরাসরি হৃদরোগ এর কারণে বুক ধরফর করে থাকে। তাই
যদি দীর্ঘদিন ধরে আপনার বুক ধড়পড় এর সমস্যা চলতে থাকে তাহলে অবশ্যই একজন ভালো
কার্ডিওলজিস্ট দেখান এবং এর সঠিক কারণ উদঘাটন করার পরেই এ ব্যাপারে নিশ্চিত
হন।
নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন
comment url