ইফতারের দোয়া - ইফতারের দোয়া বাংলা উচ্চারণ

রমজান মাসে গুরুত্বপূর্ণ আমল গুলোর মধ্যে ইফতার। একটি নির্দিষ্ট সময়ে ইফতার করার মাধ্যমে রোজা ভঙ্গ করাও এক ধরনের ইবাদত। ইফতারের আগ মুহূর্তে বান্দা যখন খাবার সামনে নিয়ে , নির্দিষ্ট সময়ের জন্য অপেক্ষা করে এই সময়টি আল্লাহর কাছে খুবই পছন্দের , আর এই কারণে ইফতারের সময় হালাল যে কোন দোয়া কবুল হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি থাকে। যেহেতু ইফতার এর সময় দোয়া কবুল হয় , তাই এই সময় ইফতারের নির্দিষ্ট দোয়ার পাশাপাশি নিজের মতন করে প্রয়োজনীয় সকল কিছু এবং দুনিয়া ও আখিরাতের কল্যাণ আল্লাহর কাছে চাওয়া যায়।

ধর্মীয় ভাবে হাদিস কোরআন সম্মত উপায়ে কোন দোয়াটি আপনি ইফতারের আগে দোয়া করবেন এ বিষয়ে আজকে আপনাদের জানাবো । ইফতার সামনে নিয়ে বিভিন্ন তাসবীহ তাহলীল দোয়া কালাম পড়া অত্যন্ত সওয়াবের কাজ এবং ইফতারের নির্ধারিত সময় হলে ইফতারের দোয়া পড়ার মাধ্যমে কোন কিছু খেয়ে রোজা ভঙ্গ করাও এক ধরনের ইবাদত। আর এই ইবাদতটি যথাযথ পালনের জন্য আপনার যদি জানা না থাকে ইফতারের দোয়া সম্পর্কে তাহলে আজকের এই পোস্টটি পড়ার মাধ্যমে ইফতারের দোয়ার বাংলা উচ্চারণ সহ আরবি জেনে নিতে পারেন , যা আমাদের জন্য আখিরাতে মুক্তির পথ হতে পারে।

সূচিপত্রঃ ইফতারের দোয়া - ইফতারের দোয়া বাংলা উচ্চারণ

ইফতারের দোয়া

بسم الله اَللَّهُمَّ لَكَ صُمْتُ وَ عَلَى رِزْقِكَ اَفْطَرْتُ

ইফতারের দোয়া বাংলা উচ্চারণ

উচ্চারণঃ আল্লাহুম্মা লাকা সুমতু ওয়া তাওয়াক্কালতু আ'লা রিযকিকা ওয়া আফতারতু বিরাহমাতিকা ইয়া আরহামার রাহিমীন। 
অর্থঃ ইয়া আল্লাহ! আমি তোমারই সন্তুষ্টির জন্য রোজা রেখেছিলাম এবং তোমার উপর ভরসা করেছি ও (এখন) তোমারই অনুগ্রহ দ্বারা ইফতার করতেছি। তুমি রহমান রাহিম।

ইফতারের জরুরি কয়েকটি মাসাআলা

মাসআলাঃ নিজের দিন একটু দেরি করে ইফতার করা ভালো। যখন নিশ্চিত হবে যে সূর্য অস্ত গেছে তখন ইফতার করবে। যতক্ষণ পর্যন্ত নিশ্চিত না হবে ততক্ষণ পর্যন্ত শুধু ঘড়ির ওপর নির্ভর করা উচিত নয়। কেননা অনেক সময় ঘড়িও ভুল হয়ে যায়। এমনকি যদি কেউ আজান দিয়ে দেয় আর সময় হওয়ার সম্পর্কে সন্দেহ থাকে তবুও ইফতার করা ঠিক নয়। মাসআলাঃ যদি নিশ্চিতরুপে জানা যায় যে, সূর্য অস্ত গেছে তাহলে সাথে সাথে ইফতার মুস্তাহাব। দেরী করে ইফতার করা মাকরুহ। মাসআলাঃ খোরমা দিয়ে ইফতার করা উত্তম। অথবা অন্য কোন মিষ্টি জাতীয় দিয়ে ইফতার করবে। যদি তাও না থাকে তাহলে শুধু পানি দিয়ে ইফতার করবে। অনেক মহিলা এবং পুরুষ লবণ দিয়ে ইফতার করে সওয়াব মনে করে এগুলো ভুল ধারণা। মাসআলাঃ যতক্ষণ পর্যন্ত সূর্যান্তের ব্যাপারে সন্দেহ থাকে ততক্ষণ পর্যন্ত ইফতার করা জায়েয নেই।(বেহেশতী জেওর)।
মন্তব্য , দিনের শেষে সূর্য অস্ত যাওয়ার সাথে সাথে রোজা ভঙ্গ করার জন্য পানাহার করাকে ইফতার বলে। ইফতার করতে সর্বোৎকৃষ্ট বস্তু হলো খোরমা, পানির, শরবত, ফল ফ্রুট ইত্যাদি। ইফতার দেরি করে করা মাখরুহ। অবশ্য আকাশ যদি মেঘাচ্ছন্ন থাকে তবে কিছু দেরি করে ইফতার করবে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন

comment url