যাকাত কি - কাদের উপর যাকাত ফরজ - যাকাত কাদেরকে দেওয়া যাবে

হওয়ার পরেও অথবা নিসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক হওয়ার পরেও কেউ যদি যথাযথভাবে যাকাত আদায় না করে তাহলে কিয়ামতের দিনটাকে কঠোর শাস্তি ভোগ করতে হবে। যাকাত দেওয়ার আগে আমাদেরকে অবশ্যই জানতে হবে যাকাত কি ,কাদের উপর যাকাত ফরজ এবং কাদেরকে যাকাত দেয়া যাবে।

যাকাত সম্পর্কে কুরআনে আরও বলা রয়েছে-সেদিন জাহান্নামের আগুনে তা উত্তপ্ত করা হবে এবং তা দিয়ে কপালে, পাঁজরে এবং পিঠে দাগ দেওয়া হবে। যাকাত ফরজ হওয়ার সত্বেও যারা তা আদায় করেনা এবং অস্বীকার করে তাদের ব্যাপারে ইসলামের বিধান রয়েছে, পরকালে তাদেরকে কঠোর শাস্তি ভোগ করতে হবে। সেই জন্য জ্বালানি সব পরিমাণ অর্থের মালিক আছেন তারা সকলেই যথাযথভাবে যাকাত আদায়ের চেষ্টা করুন এবং জেনে নিন কাদের উপর যাকাত ফরজ এবং কাদেরকে যাকাত দেওয়া যাবে।

সূচিপত্রঃ যাকাত কি - কাদের উপর যাকাত ফরজ - কাদেরকে যাকাত দেওয়ার জন্য

যাকাত কি

যাকাত আরবি শব্দ । এর অর্থ হচ্ছে বৃদ্ধি ,পবিত্রতা , পরিছন্নতা । ইসলামী পরিভাষায় ধনী ব্যক্তিদের নিসাব পরিমাণ অর্থাৎ নির্ধারিত পরিমান সম্পদ থাকলে সেই সম্পদের নির্দিষ্ট অংশ গরিব বা অভাবী লোকদের মধ্যে বিতরণ করে দেওয়াকে যাকাত বলে। যাকাত দেয়ার মাধ্যমে সম্পদশালী ব্যক্তির হাতে সম্পদ পুঞ্জিভূত হয়ে থাকে না । যাকাত দেওয়ার মাধ্যমে সম্পদের মালিকের মন থেকে কৃপণতা দূর হয় এবং গরিবরা তাদের অর্থনৈতিক অসুবিধা কাটিয়ে উঠতে পারে । ধনীদের সম্পদের মধ্যে গরিবের হক আছে এই কারণে যাকাতের মাধ্যমে গরিবের হক ঠিক মতন আদায় করলে ধনীদের সম্পদ পবিত্র হয় এবং আল্লাহপাক সেই সম্পদের বরকত দান করেন ।

কুরআনের অনেক জায়গায় সালাতের সাথে সাথে যাকাতের কথা উল্লেখ আছে , আল্লাহ পাক বলেছেন-অর্থঃ "আর তোমরা নামাজ কায়েম করো এবং যাকাত প্রদান কর"(সূরা আল-মোজাম্মেল, আয়াত ২০)। জাকাত হলো দরিদ্রদের জন্য আল্লাহ প্রদত্ত অধিকার। এটি ধনীদের কোন দয়া বা অনুগ্রহ নয় বরঞ্চ এটি আদায় করা ধনীদের ফরজ । এ প্রসঙ্গে আল্লাহপাক বলেন- " তাদের ধনসম্পতি অবশ্যই দরিদ্র ও বঞ্চিতদের অধিকার রয়েছে" (সূরা আল যারিয়াত , আয়াত ১৯)।

আরো পড়ুনঃতারাবির নামাযের মোনাজাত।

যাকাত প্রদানকারীকে আখিরাতের দিন প্রচুর পরিমাণ পুরস্কার দেয়া হবে যা মানুষ কখনো কল্পনাও করতে পারে না। একটি হাদিস থেকে পাওয়া যায় -আল্লাহ তা'আলা তাঁর বান্দাকে বলেন -" হে বনি আদম! আমার পথে খরচ করতে থাকো । আমি আমার অফুরন্ত ভান্ডার থেকে তোমাদের দিতে থাকবো"(বুখারী ও মুসলিম শরীফ)

যাকাত প্রদানকারীদের সম্পর্কে আল্লাহতালা আরো বলেন -" আমি অবশ্যই তোমাদের সাথে আছি ,যদি তোমরা নামাজ কায়েম করো এবং যাকাত দাও"(সূরা আল মায়দা, আয়াত ১২)। জাকাত দানকারীর পুরস্কার ও কৃপণ ব্যক্তির দুঃসংবাদ সম্পর্কে এক হাদিসে আছে -দানশীল ব্যক্তি আল্লাহর নিকটবর্তী , জান্নাতের নিকটবর্তী এবং জাহান্নামের দূরবর্তী। আশা করি যাকাত কি বুঝতে পেরেছেন ।

যাকাতের তাৎপর্য

ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভের মধ্যে যাকাত একটি। যাকাত আদায় করা ফরজ এবং এর তাৎপর্য অপরিসীম। ইসলামী যাকাত ব্যবস্থা সমাজে প্রচলিত থাকলে , সমাজে দরিদ্র অভাবী মানুষের নানাবিধি সমস্যার সমাধান হয়। এবং ধনীরাও তাদের দায়মুক্ত হওয়ার সুযোগ পায়। কাজেই ইসলামে যাকাতের তাৎপর্য অপরিসীম। যাকাতের যাকাত দেওয়ার নিয়ম এই কারণেই করা হয়েছে যে ,সমাজে কেউ সম্পদের পাহাড় গড়বে , সুউচ্চ ইমারতে বসবাস করবে , আর অন্যদিকে কেউ অনাহারে দিন কাটাবে এমন বৈষম্য দূর করার জন্য।

কারণ ইসলাম ধর্ম এই ধরনের কিছু সমর্থন করে না। আর এই কারণেই সমাজে অর্থনৈতিক বৈষম্য দূর করার জন্য আল্লাহতালা যাকাতের বিধান করেছেন এবং ধনীদের ওপর যাকাতকে ফরজ করেছেন । রাসুলুল্লাহ(সা) বলেছেন -আল্লাহতালা লোকেদের উপর যাকাত ফরজ করেছেন, যাকাতের অর্থ নেয়া হবে ধনীদের থেকে এবং দান করা হবে দূরত্বদের মধ্যে(বুখারী ও মুসলিম শরীফ)। সাধারণত মানুষের মনে অর্থের প্রতি লোক থাকে। যে কৃপণ স্বভাবের হয়, সে নিজের কষ্টে উপার্জিত অর্থ কাউকে দিতে চাইনা।

আরো পড়ুনঃ রোজা নষ্ট হওয়ার কারণ

এই কারণে আল্লাহ তায়ালা সম্পদশালী ব্যক্তিদের মনকে লোভ , কৃপণতা, স্বার্থপরতা প্রভৃতি বিভিন্ন  দোষ থেকে মুক্ত ও পবিত্র রাখার জন্য যাকাতের ব্যবস্থা করেছেন । এবং যাকাতকে ফরজ করে দিয়েছে। সকল সম্পদের প্রকৃত মালিক আল্লাহ রাব্বুল আলামিন এবং মানুষের নিকট সেই সম্পদ শুধুমাত্র আমানত স্বরূপ । মানুষ নিজের শ্রম ও মেধা দ্বারা সম্পদ অর্জন করে এবং প্রয়োজন মোতাবেক তা খরচ করে। কিন্তু সম্পদ শুধু নিজের ভোগবিলাসের জন্য খরচ করা ইসলামে অনুমোদন করে না ।

কারণ ধনী মানুষের সম্পদের ওপর গরিবের হক রয়েছে । মুহাম্মদ (সা) ও খোলাফায়ে রাশেদীনের আমলে সরকারি ব্যবস্থাপনায় যাকাত আদায় করা হতো। এবং সেই যাকাত সরকারিভাবেই গরিবদের মাঝে বন্টন করা হতো।এতে যারা নিসাব পরিমাণ অর্থের মালিক তারা যাকাত দিতে বাধ্য থাকত এবং যারা যাকাত পাওয়ার হকদার তারা যাকাতের অর্থ পেয়ে উপকৃত হতো। কোরআন ও হাদিসের নির্দেশ মোতাবেক যাকাত আদায় করা ও বিতরণ করা মুসলমানদের দায়িত্ব।

যাকাতের মাধ্যমে সমাজে ধনী-দরিদ্রের মধ্যেকার বৈষম্য দূর হয় । আল্লাহর নির্দেশ মতো যথার্থভাবে যাকাত প্রদান করলে সমাজে কোন লোক অন্নহীন , বস্ত্রহীন , গৃহহীন থাকবে না , কেউ না খেয়ে মারা যাবে না,কেউ বিনা চিকিৎসায় কষ্ট পাবে না। যাকাতের মাধ্যমে বহু দরিদ্র ব্যক্তিকে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী করে তোলা সম্ভব । ইসলামের প্রথম যুগে যাকাতের ব্যবস্থা প্রচলিত থাকায় তখন যাকাত নেওয়ার মতন লোক খুঁজে পাওয়া কষ্টকর ছিল । যাকাতের মাধ্যমে সম্পদের পবিত্রতা আসে ।

কাদের উপর যাকাত ফরজ

মুসলমান হওয়া সত্বেও আমাদের হয়তো বা অনেকের মধ্যেই সঠিক ধারণাটি নেই যে যাকাত কাদের উপর ফরজ। চলুন তাহলে এবার আলোচনা করা যাক কাদের উপর যাকাত ফরজ। ৭ ধরনের ব্যক্তি হলে তাদের উপর যাকাত আদায় করা ফরজ এরা হলো,

  • মুসলমান হওয়াঃ যাকাত ফরজ হওয়ার প্রথম শর্ত হলো মুসলমান হওয়া । কোনো অমুসলিমের উপরে যাকাত ফরজ নয় । সুতরাং যদি কেউ অমুসলিম থেকে মুসলিম হয় তাহলে তাকে তার অতীতের যাকাত দিতে হবে না , যেদিন থেকে সে মুসলমান ঘর ধর্ম গ্রহণ করবে সেদিন থেকে তাকে যাকাত দিতে হবে ।
  • নিসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক হওয়ায় ঃ নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র বাদে যদি কারো নিকটে  সাড়ে ৫২ তোলা রুপা বা সাড়ে ৭ তোলা সোনা থাকে তাহলে তাকে যাকাত দিতে হবে।
  • নিসাব পরিমাণ সম্পদ প্রয়োজনের অতিরিক্ত হওয়াঃ যে সব দ্রব্যের উপর মানুষের জীবন যাত্রা নির্ভর করে, সেসব জিনিসপত্রকে প্রয়োজনীয় দ্রব্য বলে । এগুলোর ওপর যাকাত ফরজ হয়নি
  • ঋণগ্রস্থ না হওয়াঃ ঋণগ্রস্থ ব্যক্তি হিসাব পরিমান সম্পদের মালিক হলেও তার ওপর যাকাত ফরজ হবে না। তবে ঋণ পরিশোধ করার পরেও সে যদি পরিমাণ সম্পদের মালিক হয় তবে তাকে অবশ্যই যাকাত দিতে হবে ।
  • মাল বা সম্পদ এক বছর স্থায়ী থাকাঃ নিশাব পরিমাণ সম্পদ ব্যক্তির হাতে এক বছর স্থায়ী না থাকলে তার ওপর যাকাত ফরজ হয় না। হাদিসে আছে ," ওই সম্পদের যাকাত নেই যা পূন্য এক বছর মালিকানায় না থাকে"।
  • জ্ঞান সম্পন্ন হওয়াঃ যাকাত ফরজ হওয়ার অন্যতম শর্ত হচ্ছে জ্ঞান সম্পন্ন হওয়া । জ্ঞান বুদ্ধিহীন বা পাগল যতই সম্পদের মালিক হোক না কেন , তার উপরে যাকাত ফরজ নয় ।
  • বালেগ হওয়াঃ যাকাত তা তাকে অবশ্যই বালেগ বা প্রাপ্তবয়স্ক হতে হবে। শিশু বা নাবালেকের উপর যাকাত ফরজ না।

যাকাত কাদেরকে দেওয়া যাবে

যাকাত কাদেরকে দেওয়া যাবে সে সম্পর্কে এবার বিস্তারিত জেনে নিন। যাদেরকে যাকাত দেওয়া যাবে তাদেরকে বলা হয় যাকাতের মাসারিফ। কোন কোন খাতে বা যাকাত কাদের করে দেওয়া যাবে সে সম্পর্কে স্বয়ং আল্লাহতালা তা নির্ধারণ করে দিয়েছেন। এ প্রসঙ্গে কুরআনে আল্লাহপাক বলেছেন-" যাকাত তো কেবল , নিঃস্ব , অভাবগ্রস্থ , দাশ মুক্তির জন্য , ঋণে ভরাক্রান্ত , আল্লাহর পথে ও মুসাফিরদের জন্য ইহা আল্লাহর বিধান (সুরা আল তওবা, আয়াত ৬০)

আরো পড়ুনঃ ঈদুল ফিতরের তাকবীর

যাকাত যাদেরকে দেওয়া যাবে তাদের একটি তালিকা নিচে দেওয়া হলো, সাধারণত আট ধরনের ব্যক্তিকে যাকাত দেওয়া জায়েজ আছে।এরা হল,

  • অভাবগ্রস্থ বা ফকিরঃ যাদের কিছু না কিছু সম্পদ আছে কিন্তু তা প্রয়োজনের তুলনায় অত্যন্ত কম এবং জীবন ধারণের জন্য তাদের অন্যের সাহায্য সহযোগিতার ওপর নির্ভর করতে হয় এ ধরনের অভাবগ্রস্থ বা ফকির লোকদের যাকাত দেওয়া যাবে।
  • সম্বলহীনঃ যারা নিঃস্ব , নিজেদের পেটের ভাবটুকু যোগাড় করতে পারেনা এবং অপব্যস্ত থাকা সত্ত্বেও সম্মানের ভয়ে কারো দ্বারস্থ বা কারো কাছে থাকতে পারে না এই ধরনের ব্যক্তিদের যাকাত দেওয়া যাবে।
  • যাকাতের জন্য নিয়োজিত কর্মচারীবৃন্দঃ যারা যাকাত আদায় করে , রক্ষণাবেক্ষণ করে এবং এগুলো বন্টন করে । তারা যদি আর্থিকভাবে অভাবী হয় তাহলে তাদেরকে যাকাত দেওয়া যাবে।
  • মুসলমান হওয়া অভাবী ব্যক্তিঃ সদ্য মুসলমান হওয়া ব্যক্তিকে ঈমানের উপরে সচল রাখার উদ্দেশ্যে তাকে যাকাত দেওয়া যাবে।
  • মুক্তি কামি দাসঃ কোন দাস যদি তার মনিবের কাছে নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ পরিষদ সাপেক্ষে মুক্তি পাওয়ার চুক্তি করে তাহলে এমন দাস কে মুক্তির লক্ষ্যে যাকাত প্রদান করা যাবে ।
  • ঋণগ্রস্থ ব্যক্তিঃ যে ব্যাক্তি নাকি নিজের প্রয়োজন মিটিয়ে ঋণ পরিশোধ করতে ব্যর্থ সে ধরনের ব্যক্তিকে যাকাত দেয়া যাবে।
  • আল্লাহর পথে জিহাদ যত ব্যক্তিঃ ইসলাম প্রচার-প্রসার অথবা কোন কুফরি ব্যবস্থাকে নির্মূল করতে সকল প্রচেষ্টায় জেহাদের সমতুল্য। আল্লাহর পথে এরূপ প্রচেষ্টায় নিয়োজিত ব্যক্তিকে যাকাত প্রদান করা যাবে ।
  • অসহায় প্রবাসী বা মুসাফির ঃ কোন ব্যক্তি যদি সফলরত অবস্থায় অসহায় হয়ে পড়ে তবে তাকে যাকাত দেওয়া যাবে।

যাকাতের নিসাব বা পরিমান

আজকে আমরা আলোচনা করব যাকাতের নিসাব সম্পর্কে । যাকাতের নিসাব মানে হলো কি পরিমান যাকাত দিতে হবে তার পরিমাপ। নিসাব আরবি শব্দ এর অর্থ হল নির্ধারিত পরিমান । সারা বছর জীবন যাত্রার প্রয়োজনীয় ব্যয় নির্বাহের পর বছর শেষের যার হাতে নিসাব পরিমাণ সম্পদ থাকে তাকে বলা হয় সাহিবে নিসাব বা নিসাবের মালিক। মিশাবের পরিমাণ হল কমপক্ষে সাড়ে সাত তোলা সোনা অথবা সাড়ে ৫২ তোলা রুপা বা এর সমপরিমাণ সম্পদের মালিক।

নিসাব পরিমাণ সম্পদ যদি কারো কাছে এক বছর পর্যন্ত স্থায়ী থাকে তাহলে সেই সম্পদের ৪০ ভাগের এক ভাগ যাকাত হিসেবে দিতে হবে। কিন্তু যদি এক বছর পূর্ণ হওয়ার আগেই সম্পদ নষ্ট হয়ে যায় তাহলে যাকাত দেওয়া লাগবে না। যদি কারো কাছে বছরের প্রথমে নিসাব পরিমাণ সম্পদ থাকে এবং বছরের মাঝখানে কোন কারনে নিসাব হতে সম্পদ কমে যায় তারপর আবার বছরের শেষে নিসব পরিমাণ সম্পদের মালিক হয় তাহলে তাকে যাকাত দিতে হবে।

উৎপন্ন শস্যের যাকাত

উৎপাদনকৃত শস্য যদি সেচ প্রদান ছাড়া বৃষ্টির পানিতে জন্মায় তাহলে প্রয়োজনের অতিরিক্ত ফসলের ১০ ভাগের এক ভাগ যাকাত হিসেবে দিতে হবে। আর সেচের মাধ্যমে শস্য উৎপাদন করা হলে ২০ ভাগের একভাগ যাকাত দিতে হবে।

উপরিক্ত আলোচনার মাধ্যমে আপনারা জানতে পেরেছেন , যাকাত কি , কাদের উপর যাকাত ফরজ এবং যাকাত কাদেরকে দেওয়া যাবে। আপনারা যারা নেসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক রয়েছেন তারা সকলে যথাযথভাবে যাকাত আদায় করুন এবং আপনার সম্পদের পবিত্রতা রক্ষা করুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন

comment url