দাঁত ব্যথা হলে করণীয় - দাঁত ব্যথার এন্টিবায়োটিক - দাঁত ব্যথার দোয়া

দাঁত থাকতে দাঁতের মর্ম না বোঝা - বলে একটি প্রবাদ আছে , এই কথাটি আসলেই সত্য যে যখন আমাদের দাঁত ভালো থাকে তখন দাঁতের প্রতি যত্নবান হতে আমরা অত্যন্ত অবহেলা করি এবং যার ফলে দেখা যায় তাতে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা ও দাঁতে ব্যথা। দাঁত ব্যথাকে সামান্য ভাবার কোন অবকাশ নেই কারণ দাঁত ব্যথা ওরাল ক্যান্সার অথবা বিভিন্ন ক্যান্সারের লক্ষণ হিসেবেও প্রকাশ পেতে পারে। তাই আজকে এই প্রশ্নের মাধ্যমে জেনে নিন দাঁত ব্যথা হলে করণীয় , দাঁত ব্যথার এন্টিবায়োটিক এবং দাঁত ব্যথার দোয়া সম্পর্কে।


আমাদের মধ্যে অনেকেই মাঝে মাঝে দাঁতের ব্যথার সমস্যায় ভূগে থাকে। দাঁত ব্যাথাকে হালকাভাব না নিয়ে সময় মতন ডাক্তারি পরামর্শ গ্রহণ করা যদিও উচিত তারপরেও দাঁত ব্যথা হলে করণীয় , দাঁত ব্যথার এন্টিবায়োটিক এবং গাছ ব্যথার দোয়া সম্পর্কে এই পোস্টে আপনাদের সাথে আলোচনা করা হবে। বিষয়গুলো যদি আপনি জানতে চান তাহলে অবশ্যই পোস্টের শেষ অংশ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ুন।

সূচিপত্রঃ দাঁত ব্যথা হলে করণীয় - দাঁত ব্যথার এন্টিবায়োটিক - দাঁত ব্যথার দোয়া

দাঁত ব্যথা কেন হয়

দাঁতের সমস্যা নিয়ে ভোগের নিয়ে এমন মানুষ খুবই কম রয়েছে। তাতে বিভিন্ন সমস্যার মধ্যে অন্যতম একটি সমস্যা হল তার ব্যথা। কিন্তু দাঁত ব্যথা কেন হয় বা দাঁত ব্যথার পিছনে কারণ কি সেটা কি আমরা সকলে জানি? আসলে দাঁত ব্যথার পেছনে বিভিন্ন কারণ থাকতে পারে। আমাদের দাঁতের সঠিক যত্ন না নেয়ার কারণে হতে পারে দাঁতের বিভিন্ন সমস্যা এবং এখান থেকে সৃষ্টি হতে পারে দাঁতের ব্যথা । চলুন আজকে দাঁতের ব্যথা কেন হয় তার সম্ভাব্য কারণ গুলো জেনে নেয়া যাক। দাঁত ব্যথার সম্ভাব্য কারণ গুলোর মধ্যে রয়েছে।

  • দাঁতের গোড়ায়  প্রবাহ বা সংক্রমণ হলে
  • দাঁত ক্ষয় হলে
  • দাঁতের গোড়া ফুলে গেলে
  • দাঁত গর্ত হলে
  • দাঁতের সেনসেটিভিটি বেড়ে গেলে
  • দাগ ক্ষতিগ্রস্ত বা দুর্বল হলে
  • ঠিক মতন দাঁত পরিষ্কার না করলে
  • শরীরে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি থাকলে
  • দাঁতের উপরের অংশ ভেঙ্গে গেলে
  • দাঁতের মজ্জ নষ্ট হয়ে গেলে
  • দাঁত নড়ে গেলে
  • হতে পারে কোন জটিল রোগের লক্ষণ

দাঁতের মাড়ি ব্যথা করে কেন

দাঁতের মাড়ি ব্যথা খুবই কমন একটি সমস্যা , বিভিন্ন সময় দাঁতের মাড়ি বিভিন্ন কারণে ব্যথা হয়ে থাকে।দাঁতের মাড়ি দেখা করে কেন এর কারণটি আজকে আমরা জানি। কারণ দাঁতের মাড়ি ব্যথা করে কেন এটি জানা থাকলে খুব সহজেই আমরা এর চিকিৎসা করতে পারব, তাই চলুন আর জেনে নেওয়া যাক দাঁতের মাড়ি ব্যথা করে কেন। দাঁতের মাড়ি দেখা করার বিভিন্ন কারণ থাকতে পারে, তবে এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য একটি কারণ হলো সঠিক পদ্ধতিতে ব্রাশ না করা যার জন্য দাঁতের সেনসিটিভিটি বেড়ে যাওয়া এবং ব্যথা হওয়া । সঠিক পদ্ধতিতে ব্রাশ না করার ফলে অথবা দাঁতের মাড়ি ক্ষয় হয়ে গিয়ে দাঁতের ভেতরে থাকার ডেন্টিন বের হয়ে গেলে তখন দেখা দেয় দাঁতের মাড়ি ব্যথা হওয়া।

আরো পড়ুনঃ কোলন ইনফেকশনের লক্ষণ

তাছাড়াও দাঁতের মাড়ি ব্যথা হওয়ার আরেকটি অন্যতম উল্লেখযোগ্য কারণ হলো , শক্ত ব্রাশ বেশীক্ষণ ধরে ব্যবহার করা। শুধু শক্ত ব্রাশ ব্যবহার করা নয় , শক্ত যেকোনো কিছু বেশিক্ষণ ধরে চিবানোর ফলেও দাঁতের মাড়ি ব্যাথার কারণ হতে পারে।গর্ভাবস্থায় বিভিন্ন ধরনের হরমোনের তারতম্য হতে পারে বাত ব্যথার আরেকটি উল্লেখযোগ্য কারণ। এছাড়াও আরও যে সকল কারণে মাড়ির দাঁত ব্যথা হতে পারে সেগুলো হল।

  • শক্ত টুথব্রাশ ব্যবহার করা
  • মাড়ির রোগ
  • মাড়ির দাঁতের গোড়ায় প্রবাহের কারনে
  • ভিটামিন কে এর অভাবে
  • ভিটামিন সি এর অভাবে দাঁতের মাড়ি ফুলে গেলে 

দাঁতের মাড়ি ক্ষয় হয় কেন

দাঁত ও মাড়িয়ে ক্ষয় হওয়ার কারণে দেখা দেয় দাঁতের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা  যেমন -দাঁত ব্যথা এবং দাঁতের সেনসিটিভিটি বেড়ে যাওয়া ইত্যাদি। দাঁতের মাড়ি ক্ষয়জনিত এই সকল সমস্যা সমাধান করার পূর্বে আমাদের সতর্ক হওয়া যাতে দাঁতের মাড়ি ক্ষয় না হয় । আর দাঁতের মাড়ির ক্ষয় রোধ করতে আমাদের জানতে হবে দাঁতের মাড়ি ক্ষয় হয় কেন এই ব্যাপারটি । দাঁতের মাড়ি ক্ষয় হয় কেন এই বিষয়ে জ্ঞান থাকলে আমরা খুব সহজেই দাঁতের মাড়ির ক্ষয় রোধ করতে পারবো। চলুন তাহলে দাঁতের মাড়ি ক্ষয় হয় কেন এর প্রধান এবং উল্লেখযোগ্য কারণ গুলো জেনে নেয়া যাক।

  • বিভিন্ন আঘাত প্রাপ্ত হতে থাকলে দাঁতের মাড়ি ক্ষয় হয়
  • শক্ত টুথব্রাশ বেশিক্ষণ ধরে ব্যবহারের ফলে দাঁতের মাড়ি ক্ষয় হয়
  • জোরে জোরে দাঁত ব্রাশ করলে
  • শক্ত জিনিস বেশিক্ষণ চিবালে দাঁতের মাড়ি ক্ষয় হতে পারে
  • দাঁতের ফাঁকে খাদ্য কণা জমে পাথরের সৃষ্টি হলে এখান থেকে দাঁতের মাড়ি ক্ষয় হওয়ার সম্ভাবনা থাকে
  • দাঁতের মাড়িতে ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ ঘটলে
  • মাড়ির দাঁতের এনামেল নষ্ট হলে

বিশেষ করে খাবার খাওয়ার পরে খাদ্যের যে কণাগুলো আমাদের দাঁতের ফাঁকে ঢুকে থাকে সেগুলো যদি ঠিক মতন বের না করা হয় তাহলে এখান থেকে ব্যাকটেরিয়াল ইনফেকশন হয়। সাধারণত শর্করা জাতীয় খাবার গুলো খাওয়ার পরে যদি ঠিক মতন দাঁত পরিষ্কার না করা হয় তাহলে এখান থেকে ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ ঘটবে এবং যার ফলে দাঁতের মাড়ি অথবা দাঁত ধীরে ধীরে ক্ষয় হতে থাকবে। আশা করছি দাঁতের মাড়ি ক্ষয় হওয়ার কারণগুলো বুঝতে পেরেছেন।

দাঁত ব্যথা হলে করণীয়

আপনারা নিশ্চয়ই এতক্ষণে দাঁত ব্যথার কারণ গুলো ভালোভাবে জেনে নিয়েছেন। এবার তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক দাঁত ব্যথা হলে করণীয় বিষয় সম্পর্কে। দাঁত ব্যথা হলে করণীয় বিষয় সম্পর্কে আপনার যদি জানা থাকে তাহলে খুব সহজেই আপনি দাঁতের ব্যথা দূর করে নিতে পারববেন। দাঁত ব্যথা হওয়ার বিভিন্ন কারণ থাকতে পারে তবে দাঁত ব্যথার পেছনে যে কারণে থাকুক না কেন, দাঁতে ব্যাথার সময় পদ্ধতি গুলো সঠিকভাবে প্রয়োগ করেন তাহলে খুব অল্প সময়ের মধ্যেই দাঁতের ব্যথা থেকে আরোগ্য লাভ করতে পারেন। তাহলে চলুন দাঁত ব্যথা হলে করণীয়  অথবা দাঁত ব্যথা হলে কি করবেন সে বিষয়ে বিস্তারিতভাবে জেনে নেওয়া যাক।

লবণ এবং গরম পানিঃ দাঁতের ব্যথা থেকে আরাম পেতে হলে কুসুম গরম পানিতে লবণ মিশিয়ে কুলকুচি করার চেষ্টা করুন , দিনের মধ্যে বেশ কয়েকবার এভাবে কুলকুচি করলে দাঁতের ব্যথা কম হয়।

নিম পাতাঃ দাঁত ব্যথা হলে নিমপাতা ফোটানো পানি হালকা গরম অবস্থায় এর ভেতরের লবণ দিয়ে কুলি করুন।এতে দাঁতের ব্যথা থেকে অনেকটা আরাম মিলবে। 

সরষের তেলঃ দাঁতের ব্যথা কমাতে সরিষার তেল অত্যন্ত উপকারী। সরিষার তেলের সাথে হলুদ এবং লবন মিশিয়ে দাঁতের ব্যথায় স্থানে লাগিয়ে রাখুন, এতে খুব দ্রুত আপনার দাঁতের ব্যথা কমাতে সাহায্য করবে।

লবঙ্গঃ দাঁতের ব্যথা দূর করতে অত্যন্ত উপকারী একটি মসলা জাতীয় দ্রব্য হল লবঙ্গ। দাঁতের ব্যথার সময় কয়েকটি লবঙ্গ মুখে দিয়েছি চিবালে, দাঁতের ব্যথা থেকে অনেকটাই আরাম পাওয়া যায়। এছাড়াও দাঁতের ব্যথা দূর করতে লবঙ্গ টেস্টের ভেতরে অলিভ অয়েল তেল দিয়ে দাঁতের ব্যথার স্থানে কিছুক্ষণ লাগিয়ে রাখলেও দাঁত ব্যথা দূর হয়।

পেয়ারা পাতাঃ দাঁত ব্যথা দূর করতে অত্যন্ত উপকারী। দাঁতের ব্যথার সময় কয়েকটি পেয়ারার পাতা মুখে দিয়ে চিবাতে থাকলে দ্রুত দাঁত ব্যথা সেরে যায়।

আদাঃ আদার ভেতরে ব্যথা-নাশক উপাদান থাকাই দাঁতে ব্যথা হলে ব্যথা স্থানে আদার পেস্ট অথবা আদার রস লাগালে আরাম পাওয়া যায়।

গোলমরিঃ দাঁত ব্যথা কমাতে ব্যবহার করতে পারেন গোল মরিচের গুড়া। গোলমরিচের গোড়ার সাথে একটু লবণ ও সামান্য পানি মিশিয়ে একটি পেস্ট তৈরি করুন, এবং এই পেস্টটি দাঁতের ব্যথায় স্থানে কিছুক্ষণ লাগিয়ে রাখুন।

রসুনঃ রসুন থেত করে দাঁতের ব্যাথার স্থানে চেপে ধরে থাকুন অথবা লাগিয়ে রাখুন , দাঁতের ব্যথা থেকে মুক্তি দিতে সাহায্য করবে রসুন।

আরো পড়ুনঃ রসুন খাওয়ার উপকারিতা

পেয়াজঃ দাঁতের ব্যথার সময় পেঁয়াজ চিবিয়ে খান অথবা এক টুকরো পেঁয়াজ দাঁতের ব্যথার স্থানে চেপে ধরে রাখুন, পেঁয়াজ আপনাদের দাঁত ব্যথা কম করতে সাহায্য করবে।

আলুঃ শুনতে কিছুটা অবাক করার মতন হলেও সত্য যে আলু আমাদের দাঁতের ব্যথা কমাতে সাহায্য করে। দাঁত ব্যথায় ম্যাজিকের মতন সমাধান পেতে ব্যথার স্থানে আলু কেটে অথবা থেঁতো করে লাগিয়ে রাখুন। খুব দ্রুত আপনার দাঁতের ব্যথা সেরে যাবে।

বরফঃ দাঁত ব্যথা কম করার আরেকটি সহজ সমাধান হলো বরফ এর ব্যবহার। রেফ্রিজারেটরে রাখা বরফ আমাদের সকলের ঘরেই থাকবে প্রায় দাঁতের ব্যথার সময় কিছু বরফ কুচি করে নিয়ে কাপড়ে পেঁচিয়ে দাঁতের ব্যথার স্থানে চেপে রাখন।বরফের ঠান্ডা ভাব আপনার দাঁতের ব্যথা কমাতে সাহায্য করবে।

আপনাদের সচেতন করার জন্য জানিয়ে রাখা ভালো যে তাদের ব্যথার সময় মিষ্টি জাতীয় খাবার গুলো না খাওয়া ভালো , কারণ এতে করে দাঁতের ব্যথা আরো বেড়ে যেতে পারে। উপরে দেওয়া এই পদ্ধতি গুলো সাধারণ গাছ দেখানোর জন্য। আপনার যদি দাঁতের কোন অসুখের কারণে রাতে ব্যথা হয় তাহলে এই পদ্ধতি গুলো সামরিক আরাম দিলেও দাঁত ব্যথা নির্মূল করবে না। তাই আপনার যদি দাঁতে বড় ধরনের কোন সমস্যা বা জটিলতা থাকে তাহলে দ্রুত ডেন্টিস্টের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

দাঁত ব্যাথার ঔষধ

অনেক সময় দাঁতের ব্যথা এতটাই তীব্র আকার ধারণ করেছে ঘরোয়া টোটকা গুলো এপ্লাই করার মতন সময় এবং ধৈর্য থাকে না তখন আমাদের শরণাপন্ন হতে হয় দাঁতের ব্যথার ঔষধে। যদিও সাধারণ সমস্যার জন্য দাঁতের ব্যথার ঔষধ গুলো সেবন না করে ঘরোয়া উপায়ে দাঁত ব্যথা দূর করার তারপরেও করা উচিত , তারপরেও পরিস্থিতি বিবেচনা করে আপনাদের জন্য বেশ কিছু দাঁত ব্যথার ঔষধের নাম লিখে তুলে ধরা হলো। দাঁতের ব্যথা দূর করার জন্য আপনাদের জন্য বেশ কার্যকরী কয়েকটি হোমিও ঔষধ এবং এলোপ্যাথি ওষুধের নাম নিতে তালিকা কারে দেওয়া হলো।

দাঁত ব্যথার এলোপ্যাথি ওষুধের নামঃ

  • Fenamic 500 /Fanamic 250
  • Napa One
  • Tab -Tory60 Tab- Exilok 20
  • Cap:- Moxacil500
  • Tab: Amodis400
  • Etorix 60.mg.90mg.120.mg.
  • Tb.Flamex400mg=200mg.
  • Tb.Teservix100mg.
  • Tbmarven100mg 
  • Tb.Flexi100mg
দাঁতের ব্যথা দূর করার হোমিওপ্যাথি ওষুধঃ
  • মার্ক সল
  • ক্যামমিলা
  • আর্নিকা
  • হেপার সালফ
  • সিলিসিয়া
  • আর্সেনিক
  • ব্রায়োনিয়া
  • মারকুরিয়াস
  • পালসেটিল্লা

দাঁত ব্যথার এন্টিবায়োটিক

দাঁতের পরিস্থিতি এবং দাঁত ব্যথার তীব্রতা উপরে ভিত্তি করে দাঁত ব্যথার এন্টিবায়োটিক গুলো প্রয়োজন হতে পারে। এই কারণে দাঁত ব্যথার ওষুধ গুলোর পাশাপাশি, দাঁত ব্যথার এন্টিবায়োটিক এর নাম গুলো জানিয়ে রাখা ভালো। দাঁত ব্যথার এন্টিবায়োটিক এর নাম গুলো যদি আপনার জানা না থাকে তাহলে, এই পোস্টের মাধ্যমে দাঁত ব্যথার এন্টিবায়োটিক গুলোর নামও জেনে নিতে পারেন। দাঁত ব্যথার উপরে বেশ কয়েকটি কার্যকারী এন্টিবায়োটিকের নাম নিচে উল্লেখ করা হলো। তবে অবশ্যই দাঁত ব্যথার এন্টিবায়োটিক গুলো সেবনের পূর্বে কোন একজন ডেন্টিস্টের পরামর্শ নেয়া ভালো।

  • Cap .Tycil 500mg
  • Cap.Moxacil500mg. 
  • Cap.Lebac500mg.
  • Cap.Sefrad500mg.
  • Tb.Cefotil plus500mg,

দাঁত ব্যথার দোয়া

কুরআন হল পূর্ণাঙ্গ একটি জীবন ব্যবস্থা, আর এই কারণে আল্লাহ পাক কুরআনের মধ্যে সকল সমস্যা, এবং সকল অসুখের সমাধান রেখেছে। কোরআনের মধ্যে এমন একটি আয়াত রয়েছে যেই আয়াতটি পাঠ করলে এর উসিলায় আল্লাহ পাক আমাদের দাঁতের ব্যথা দূর করে দেবেন। দাঁত ব্যথার দোয়া টি সম্পর্কে আপনাদেরকে জানা আছে , আপনাদের যদি দাঁত দেখার দোয়া সম্পর্কে জানা না থাকে তাহলে, দাঁত ব্যথার দোয়াটি জেনে নিন। কারণ দাঁত ব্যথার দোয়াটি যদি আপনার জানা থাকে তাহলে বিভিন্ন সময় নিজের এবং অন্যের প্রয়োজনে এই দোয়াটি ব্যবহার করতে পারবেন।

কুরআনের ৬৭ নম্বর সূরা - সূরা আল মূলক এর মধ্যে ২৩ নম্বর যে আয়াতটি রয়েছে সেই আয়াতটি আমরা দাঁত ব্যাথার দোয়া হিসেবে ব্যবহার করতে পারি। চলুন এবার তাহলে দাঁত ব্যথার দোয়া এর আরবি ,বাংলা উচ্চারণ জেনে নেওয়া যাক।

গর্ভাবস্থায় দাঁত ব্যথা হলে করণীয়

গর্ভাবস্থায় প্রোজেস্টেরন হরমোনের প্রভাবের ফলে প্রায় মহিলাদেরই দাঁত ব্যথার সমস্যা দেখা দেয়। গর্ভাবস্থা অত্যন্ত সেনসিটিভ একটি পরিস্থিতি হওয়ার কারণে , হুটহাট করে কোন ঔষধ বা পেইন কিলার খাওয়া উচিত না। তাই চলুন গর্ভাবস্থায় দাঁত ব্যথা হলে করনীয় বিষয় হিসেবে ঘরোয়া টোটকা জেনে নেওয়া যাক।

এলোভেরা রসঃ গর্ভবস্থায় দাঁতে ব্যথা হলে এবং দাঁতের গোড়া দিয়ে রক্ত পড়ার সমস্যা দেখা দিলে অ্যালোভেরা পাতা থেকে জেল বের করে মুখের ভিতর এর  কিছুক্ষণ রাখুন এবং এরপরে মুখ পরিষ্কার করে ফেলুন। অ্যালোভেরা জেল ও মুখের ভেতরে রাখার ফলে তাদের ব্যথা দূর হবে এবং কোন প্রকার ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ থাকলে সেটিও দূর হবে।

বেদানার রসঃ দাঁতের প্লাক দূর করতে এবং দাঁতের ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ এর হাত দাঁতের মাড়ি এবং দাঁতকে সুরক্ষার দিতে বেদানার রস অত্যন্ত কার্যকরী। গর্ভাবস্থায় দাঁত ব্যথার সমস্যা দেখা দিলে বেদানা রস দিয়ে যদি ফুলকুচি করা যায় বা কিছুক্ষণ মুখের ভেতরে এ রাখা যায় তাহলে দ্রুত দাঁত ব্যথা সারাতে এই রস সাহায্য করবে।

আরো পড়ুনঃ গর্ভাবস্থায় পেয়ারা খাওয়ার উপকারিতা

লবঙ্গঃ অবস্থায় দাঁতের ব্যথা বোধ করলে লবঙ্গ পেস্ট তৈরি করি এর সাথে অলিভ অয়েল মিশিয়ে দাঁতের উপরে লাগিয়ে রাখলে দাঁত ব্যথা দূর হবে। অথবা দু একটি লবঙ্গ চিবিয়ে খেলেও ব্যথা দূর হয়।

গ্রিন টিঃ গর্ভাবস্থায় দাঁত ব্যথা সারাতে একটি অত্যন্ত সাহায্যকারী পানীয় হলো গ্রিন টি। গ্রিন টির ভেতরে এন্টিব্যাকটেরিয়া আল উপাদান থাকায় , এই পানিওটি পান করলে ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ জনিত দাঁতের যে কোনো সমস্যা দূর করতে এবং দাঁত ব্যথা সারাতে বিশেষ ভূমিকা পালন করতে পারে।

রসুনঃ গর্ভাবস্থায় দ্রুত দাঁতের ব্যথা সারানোর জন্য রসুন পেস্ট বানিয়ে বা থেত করে দাঁতের  ব্যথার স্থানে চেপে রাখুন। দেখবেন কোন পার্থক্য প্রতিক্রিয়া ছাড়াই দ্রুত দাঁত ব্যথা দূর হয়ে গেছে।

এছাড়াও গর্ভাবস্থায় দাঁতের ব্যথা দূর করতে হলে হালকা কুসুম গরম পানিতে লবণ মিশিয়ে কিছুক্ষণ পর পর  কুলকুচি করার চেষ্টা করুন। নরম টুথব্রাশ ব্যবহার করলে এবং ব্রাশ করার সময় অতিরিক্ত জোরে জোরে ঘাষা বন্ধ করুন।

মন্তব্য , দাঁত ব্যথা হলে করণীয় বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে এই প্রশ্নের মাধ্যমে আপনাদের জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। দাঁত ব্যথা সকলের মধ্যে অত্যন্ত কমন একটি সমস্যা। ছোট বড় বিভিন্ন কারণে দাঁত ব্যথার সমস্যা দেখা দিতে পারে। সাধারণ দাঁত ব্যথার সমস্যা গুলো দূর করার জন্য উপরিউক্ত পদ্ধতি গুলো অনুসরণ করার পরেও যদি তাদের ব্যথা না ছাড়ে তাহলে, বিষয়টি নিয়ে অবহেলা বা দেরি না করি দ্রুত কোন ডেন্টিস্টের পরামর্শ গ্রহণ করা উচিত কারণ দাঁত ব্যথা হতে পারে ক্যান্সার নামক মরণ ব্যাধির লক্ষণ। তাই এই ব্যাপারে অবহেলা না করে সচেতন হন।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url