হার্টের সমস্যার লক্ষণ - হার্ট ভালো রাখার উপায়
হার্ট আমাদের শরীরের অতান্ত গুরুত্বপূর্ণ অর্গাণ গুলোর মধ্যে একটি ,হার্ট অকার্যকর হয়ে যাওয়া মানে পুরো শরীর অকার্যকর হয়ে যাওয়া।তাই আমদের উচিত হার্টের যত্ন নেয়া।আর এ বিষয়ে সচেতন হওয়ার জন্য আমরা আজকে জানবো হার্টের সমস্যার লক্ষণ ও হার্ড ভালো রাখার উপায় সম্পর্কে। কেননা হার ভালো না থাকলে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে যে কোন সময় আপনার মৃত্যু পর্যন্ত ঘটতে পারে ।
অনেক সময় হার্টের সমস্যার প্রাথমিক লক্ষণ গুলো কি আমরা খুব স্বাভাবিকভাবে
বিবেচনা করি ,এর প্রধান কারণ হলো সম্পর্ক হার্টের সমস্যা সম্পর্কে আমাদের
সঠিক জ্ঞান না থাকে। হার্ট ভালো রাখতে এবং হার্টের বিভিন্ন সমস্যার জন্য সঠিক
সময়ে চিকিৎসা গ্রহণ করতে হলে আমাদেরকে অবশ্যই হার্ট বিষয়ক জ্ঞান থাকা উচিত
যেমন হার্টের সমস্যার লক্ষণ কি , হার্ট ভালো রাখার উপায় , হার্ড ভালো আছে বুঝার
উপায় , হার্টের জন্য ক্ষতিকর খাবার , হার্টের ব্যথা কোথায় হয় ইত্যাদি
বিষয়গুলো। আর এই বিষয়গুলো যদি আপনার জানা না থাকে তাহলে বিস্তারিতভাবে জানতে এই
পোস্টটি মনোযোগ সহকারে শেষ পর্যন্ত পড়ুন।
সূচিপত্রঃ হার্টের সমস্যার লক্ষণ - হার্ট ভালো রাখার উপায়
- হার্টের সমস্যার লক্ষণ
- হার্টের ব্যথা কোথায় হয়
- হার্ট ভালো রাখার উপায়
- হার্ট ভালো আছে বুঝার উপায়
- হার্টের জন্য ক্ষতিকর খাবার
- কি খেলে হার্ট ভালো থাকে
- মেয়েদের হার্টের সমস্যার লক্ষণ
হার্টের সমস্যার লক্ষণ
আজকেই আমরা জানবো হার্টের সমস্যার লক্ষণ সম্পর্কে। কারণ দিন দিন হার্টের
রোগীর সংখ্যা আশঙ্কা জনক হারে বেড়েছে। আর এখন কমবয়স্ক মানুষদের মধ্যেও হার্টের
সমস্যার প্রবণতা অনেক বেড়েছে। তাই আমাদের জেনে রাখা উচিত হার্টের সমস্যার লক্ষণ
এবং এ বিষয়ে সতর্ক হওয়া প্রয়োজন। সঠিক সময়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের
জন্য আপনাদের ও জেনে রাখা উচিত হার্টের সমস্যার লক্ষণ। এই ধরনের লক্ষণগুলো প্রকাশ
ফেলে অবশ্যই অতি দ্রুত ডাক্তার দেখানো উচিত। তাই চলুন জেনে না যাক হার্টের
সমস্যার লক্ষণগুলো। হার্ট সুস্থ না থাকলে বা হার্টকে কোন সমস্যা থাকলে যেই লক্ষণ
গুলো প্রকাশ পেতে থাকে সেগুলো হল,
বুকে ব্যাথাঃ বুকে ব্যথা হওয়া হার্টের যেকোন সমস্যার প্রথম এবং প্রধান লক্ষণ। হুকের মাঝখানে বা বাম পাশে যদি ব্যথা হতে থাকে তাহলে দেন আপনার হার্ট ভালো নেই। এই ব্যথা ধীরে ধীরে বাম ঘাড়ে এবং হাতে ছড়িয়ে পড়তে পারে।
বুকে চাপ অনুভব করাঃ হার্টের সমস্যা থাকলে যখন তখন বুকের ভেতরে চাপ বা অস্বস্তি অনুভব হয়। বিশেষ করে উত্তেজিত হয়ে গেলে, মানসিক টেনশন বা চাপে থাকলে অথবা শারীরিক পরিশ্রম করলে এই সমস্যাটি দেখা দেয় এটি মূলত হার্ট ভালো না থাকার কারণে হয়ে থাকে।
শ্বাসকষ্ট হওয়াঃ আপনার যদি এক না জাতীয় কোন সমস্যা না থাকে আর হঠাৎ করে
শ্বাসকষ্ট অনুভব হয় প্রাথমিকভাবে ধরে নিতে হবে আপনার হার্টের সমস্যা রয়েছে।
কারণ হার্টের সমস্যা থেকে শ্বাসকষ্টের অসুবিধা হয়ে থাকে , কারণ হার্টের সমস্যার
কারণে ফুসফুসের প্রভাব পড়ে আর এ কারণে হার্টের সমস্যা থাকলে শ্বাসকষ্ট হতে
পারে।
আরো পড়ুণ ঃ টনসিল ইনফেকশন এর লক্ষণ
একটুতেই ক্লান্ত লাগাঃ হার্ট ভালো না থাকলে বা হার্টের কোন সমস্যা থাকলে অল্পতেই ক্লান্ত হয়ে পড়ার প্রবণতা দেখা যায়। কোন কাজ করলে অথবা কোন কারণ নেই এক্সাইটেড হয়ে গেলে শরীর ভীষণ ক্লান্ত লাগে এবং হার্টবিট বেড়ে যায় যেটাকে আমরা বলে থাকি বুক ধড়ফড় করা।
হঠাৎ অজ্ঞান হয়ে যাওয়াঃ কোন বিশেষ কারণ ছাড়া আপনি যদি হঠাৎ অজ্ঞান
হয়ে যান বা বারবার অজ্ঞান হয়ে যাওয়ার প্রবণতা দেখতে পান তবে অবশ্যই ডাক্তারের
শরণাপন্ন হন কারণ, অজ্ঞান হয়ে চাওয়া একই হার্টের সমস্যার আরেকটি লক্ষণ।
হঠাৎ করে অতিরিক্ত ঘাম হওয়াঃ হার্টের সমস্যা আরেকটি বিশেষ লক্ষণ হল সময়
সময় শরীরে অতিরিক্ত ঘাম হওয়া। বিশেষ করে যারা ডায়াবেটিস রোগী আছেন তাদের যদি
হার্টের সমস্যা থেকে থাকে তবে অতিরিক্ত ঘামের সমস্যাটি দেখা যায়। আর হঠাৎ করে
অতিরিক্ত ঘেমে যাওয়া এটি হার্ট এটাকের একটি লক্ষণ।
হার্টবিট কম বেশি হওয়াঃ হার্টবিট বা হৃদ স্পন্দন যদি কোন কারণ ছাড়াই উঠানামা করে তাহলে , বুঝতে হবে আপনার হার্ট ভালো নেই এবং হার্টের কোন সমস্যা রয়েছে। আর এই হার্টবিট ওঠানামার কারণে অনেক সময় হার্ট অ্যাটাকে ঝুঁকি বেড়ে যায়
মাথাব্যথা সাথে বমি ভাবঃ মাথাব্যথা কে আমরা সাধারণ মনে করলেও
মাথাব্যথা হতে পারে হার্টের সমস্যা অন্যতম লক্ষণ। বিশেষ করে মাথাব্যথা সাথে
বমি বমি ভাব থাকা হতে পারে হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণ। এ কারণে মাথাব্যথা এবং বমি ভাব
থাকলে অবশ্যই সতর্ক হোন।
হার্টের ব্যথা কোথায় হয়
এবার আমরা জানবো হার্টের ব্যথা কোথায় হয়। অনেকেই হার্টের ব্যথা কোথায় হয় এই
বিষয়ে প্রশ্ন করে থাকেন অনেকে আবার ভাবেন বুকের ব্যথা মানেই বোধহয় হাতের
ব্যথা।আমাদেরকে সঠিকভাবে জেনে নেওয়া উচিত , হার্টের ব্যথা কোথায় হয়। আসলে বুকে
হওয়া সব ব্যথাই হার্টের ব্যথা না, হার্টের ব্যথা হবে বুকের বাম পাশে
তবে কখনো কখনো বুকের মাঝখানেও ব্যথা হতে দেখা যায়। কিন্তু হার্টের কারণে
খুব কম সময়ে বুকের মাঝখানে ব্যথা হয়। এবং হার্টের কারণে বুকে ব্যথা হলে তা
ধীরে ধীরে বাম ঘাড় সহ হাতের দিকে ছড়িয়ে পড়তে পারে। হার্টের ব্যথা অনেক সময় চাপ
লাগার মতন অনুভব হয় আবার কখনো কখনো খোঁচা লাগার অনুভূতি আসে এবং পাশাপাশি শ্বাস
প্রশ্বাসের অসুবিধা ও হয়ে থাকে। আবার দেখা যায় বুকের ব্যথা বেড়ে গেলে টেনশন
মুক্ত থাকলে অথবা নিলে অনেকটা কম হয় অথচ অন্য কারণে যদি বুকে ব্যথা হয়
তাহলে বিশ্রামে এসব ব্যথা কম হয়না।
হার্ট ভালো রাখার উপায়
আমাদের শরীরের গুরুত্বপূর্ণ অর্গানগুলোর মধ্যে হার্ট অন্যতম। তাই আমাদেরকে
জানতে হবে হার্ট ভালো রাখার উপায় সম্পর্কে। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য যে আমাদের
মধ্যে অধিকাংশ মানুষই জানে না হার্ট ভালো রাখার উপায় সম্পর্কে। তাই চলুন আজকে
জেনে নেওয়া যাক হার্ট ভালো রাখার উপায় গুলো। হার্ট ভালো রাখতে হলে,
মানসিক চাপ কমানোঃ হার্ট সুস্থ রাখতে হলে অবশ্যই মানসিক দুশ্চিন্তা ,
টেনশন বা কোন কিছু নিয়ে অতিরিক্ত উত্তেজিত হওয়া ইত্যাদি বর্জন করতে হবে।
পাশাপাশি হার্ট ভালো রাখতে সবসময় মেন্টালি ফ্রেশ থাকার চেষ্টা করতে
হবে।
ওজন কমাতে হবেঃ যদি শারীরিক ওজন স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি থাকে তাহলে এটি
হার্টের জন্য মারাত্মবোধের কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। তাই হার্ট ভালো রাখতে হলে
শরীরের অতিরিক্ত ওজন কমাতে হবে এবং এই ওজন কমাতে হবে অবশ্যই প্রাকৃতিক নিয়মে।
আপনি যদি ওজন কমানোর ঔষধ খান তাহলে ঔষধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হিসেবে বিভিন্ন
সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে।
আরো পড়ুনঃ পেট ব্যথা কমানোর উপায়
শরীর চর্চাঃ নিয়মিত শরীরচর্চার মাধ্যমে আমরা হার্ট সুস্থ রাখতে পারি।
প্রতিদিন যদি শরীরচর্চার সময় বা সুযোগ পাওয়া না যায় তাহলে সপ্তাহে অন্তত তিন
থেকে চার দিন কমপক্ষে এক ঘন্টা শরীর চর্চা করা উচিত। আর যদি এটিও কোন ভাবে সম্ভব
না হয় তাহলে অন্তত প্রতিদিন ৩০ মিনিট হাঁটার অভ্যাস করা অত্যন্ত জরুরি এটি হার্ট
ভালো রাখার পাশাপাশি শরীরের বিভিন্ন সমস্যা দূর করতে সাহায্য করবে।
তেল,চর্বি ও মসলাযুক্ত খাবার না খাওয়াঃ হার্ট সুস্থ এবং ভালো রাখতে হলে
অবশ্যই তেল চর্বিযুক্ত ও বেশি মসলাযুক্ত খাবার গুলো অবশ্যই পরিহার করতে হবে। কারণ
এসব খাবার গুলো শরীরে কোলেস্ট্রল এর মাত্রা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে আর যার ফলে
হার্ট ব্লক সহ দেখা দিতে পারে বিভিন্ন ধরনের হার্টের সমস্যা। হার্ট ভালো রাখতে
অবশ্যই রেড মিট , কলিজা , মগজ এই জাতীয় খাবার গুলো কম খাওয়ার
চেষ্টা করতে হবে তবে এড়িয়ে যেতে পারলে বেশি ভালো হয়।
ধূমপান ও মদ্যপানঃ হার্ট ভালো না থাকার অন্যতম প্রধান কারণ হিসেবে
দেখা হয় ধূমপান ও মদ্যপান করাকে। ধূমপান ও মধ্যপানের ফলে শরীরে বিভিন্ন
ধরনের বিষক্রিয়া সৃষ্টি হয় এবং রক্তচাপ বাড়াতে সাহায্য করে যা
আমাদের হার্টের উপরে বিশেষ প্রভাব বিস্তার করে আর এই কারণে হার্টের সমস্যা
হয়ে থাকে। তাই হার্ট সুস্থ রাখতে হলে অবশ্যই মধ্য পান ও ধূমপান পরিহার করতে
হবে।
অতিরিক্ত লবণ ও চিনি বর্জন করতে হবেঃ লবণ ও চিনি এই দুটো উপাদানই শরীরের
জন্য অত্যন্ত খারাপ । তাই খাবারের যত কম পারা যায় লবণ ও চিনি ব্যবহার করতে হবে।
লবণ আমাদের রক্তচাপ বাড়াতে সাহায্য করে , আর রক্ত চাপ বেড়ে গেলে
এটি হার্ট কে প্রভাবিত করে এবং হৃদস্পন্দন বাড়িয়ে দেয়। আর খাবারও চিনি
ব্যবহারের ফলে আমাদের শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা বৃদ্ধি পায় যা কিনা হার্ট
ব্লকের অন্যতম কারণ। আর এই কারণে অবশ্যই আমাদেরকে লবণ ও চিনি বর্জন করতে হবে।
এছাড়াও হার্ট সুস্থ রাখতে বা ভালো রাখতে নিয়ম মেনে চলাফেরা বা জীবন যাপন করতে
হবে যেমন-সময় মতন খাওয়া দাওয়া করা , দৈনিক সাত থেকে আট ঘন্টা ঘুমানো , শারীরিক
পরিশ্রম অনুযায়ী প্রয়োজনীয় বিশ্রামের ব্যবস্থা করা এবং অস্বাস্থ্যকর
খাবার পরিহার করা। আশা করি হার্ট ভালো রাখার উপায় গুলো বুঝতে পেরেছেন।
হার্ট ভালো আছে বুঝার উপায়
আমরা জেনেছি হার্টের সমস্যার লক্ষন ও হার্টে ভালো রাখার উপায়, কিভাবে বুঝবো আমাদের হার্ট ভাল আছে কিনা। আপনাদের কি জানেন হার্ট ভাল আছে বুঝার উপায় ? যদি জানা না থাকে তাহলে ,অবশ্যয় এই বিষয়টী জেনে নিন।তাহোলে আর দেরি না করে জেনে নেয়া যাক হার্ট ভালো আছে কি বুঝার উপায়।হার্ট ভালো আছে কি বুঝার সবচেয়ে সহয উপায় হলো পালস রেট চেক করা , আপনার হার্ট যদি ভালো থাকলে বা সুস্থ থাকে তাহলে স্বাভাবিক অবস্থায় প্রতি মিনিটে পালস রেট হবে ৬০ থেকে ১০০ এর ভেতরে। আপনার হার্টের পালস রেট যদি মিনিটে ৬০-১০০ এর ভেতরে থাকে তাহলে বুঝবেন আপনার হার্ট ভালো আছে। আর যদি দেখেন আপনার হার্টের পালস রেট মিনিটে ৬০ এর কম বা ১০০ এর বেশি হয় তাহলে বুঝবেন আপনার হার্ট সুস্থ্য বা ভালো নেই।
আরো পড়ুনঃ ওজন কমাতে গ্রিন টি খাওয়ার নিয়ম
এছাড়াও হার্ট ভালো আছে কিনা আরেকটে পরিক্ষার মাধ্যমে বুজতে পারবেন , হার্ট ভালো আছে কিনা বোঝার পরিক্ষাটি করারা জন্য প্রথম আপনাকে দুই পা সামনে সোজা করে বসতে হবে , এবার হাটু ভাঁজ না করে আপনাকে দুই পায়ের তালু ,দুই হাত দিয়ে ছুঁতে হবে। হাঁটু ভাজ না করে আপনি যদি পায়ের পাতা ছুঁতে পারেন তাহলে বুঝবেন আপনার হার্ট ভালো আছে।আর যদি পায়ের পাতা ছুঁতে আপনাকে হাঁটু ভাজ করতে হয় তাহলে জানবেন আপনার হার্ট সুস্থ্য নেই।
হার্টের জন্য ক্ষতিকর খাবার
হার্ট ভালো বা সুস্থ্য রাখেতে হলে আমাদের জানতে হবে হার্টের জন্য ক্ষতিকর খাবার গুলো সম্পর্কে। আমাদের যদি হার্টের জন্য ক্ষতিকর খাবার গুলোর নাম জানা থাকে তাহলে এ খাবার গুলো থেকে আমরা দূরে থাকতে পারবো এবং আমাদের হার্ট ভালো থাকবে। তাহলে চলুন দেরি না করে জেনে নেয়া যাক, হার্টের জন্য ক্ষতিকর খাবার গুলো কিকি।হার্টের জন্য ক্ষতিকর হলো
ফাস্ট ফুডঃ ফাস্ট ফুড বা ভাজাপোড়া খাবারগুলো হার্টের রোগীদের জন্য অত্যান্ত ঝুঁকিপূর্ণ , ekushey-tv.com এর দেওয়াই ওয়েবসাইট থেকে জানা যায় , আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশন জার্নাল এর একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছে যে নিয়মিত যারা খাবার fast food খাই তাদের মধ্যে হার্টের অসুখে আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়ার সংখ্যা অন্যদের তুলনায় ২০ শতাংশ বেশি থাকে। এছাড়াও অতিরিক্ত ভাজা অথবা ডিপ ফ্রাই করা মুখরোচক খাবারগুলোতে তেলের পরিমাণ বেশি থাকায় এগুলো শরীরে কোলেস্টেরল বাড়াতে সাহায্য করে যা হার্টের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। কারণ ডিপ ফ্রাই করা খাবার গুলোতে সেচুরেটেড ফ্যাটের সাথে যুক্ত হয় তেল যা শরীরের ফ্যাটের মাত্রা বাড়িয়ে তুলে।
রেডমিট ঃ হার্টের সমস্যার জন্য রেডমি জাতীয় খাবার গুলো অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ । রেডমিট জাতীয় খাবার গুলো এড়িয়ে চলার পাশাপাশি , বর্জন করতে হবে কলিজা , মগজ , নেহারি এ সকল খাবার গুলো। এ সকল খাবার গুলো শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়ানোর পাশাপাশি হার্ট অ্যাটাক ও হার্ট ব্লকের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়।
ডিমঃ হার্ট ভালো রাখতে ডিম খেতে হবে বুঝে শুনে , কারণ ডিমের সাদা অংশ হার্টের রোগীদের জন্য ক্ষতিকর না হলেও ডিমের কুসুম হার্টের জন্য ক্ষতিকর। কারণ ডিমের কুসুমের ভেতরের রয়েছে কোলেস্ট্রল। তাই হার্ট ভালো রাখতে অতিরিক্ত ডিমের কুসুম না খাওয়া ভালো।
ঘি ও মাখনঃ ঘি , মাখন, ডালডা এই জাতীয় খাবার গুলো হার্টের জন্য মোটেই শোভনীয় নয় কারণ এ ধরনের খাবার গুলোর মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ও উচ্চমাত্রায় স্যাচুরেটেড ফ্যাট যা কিনা হার্টের বিভিন্ন সমস্যা তৈরি করতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে এ কারণে অবশ্যই হার্ট ভালো রাখতে খাদ্য তালিকা থেকে এ ধরনের খাবারগুলো বাদ দিতে হবে।
আরো পড়ুনঃ তলপেটে ব্যথা হলে করণীয়
পেস্ট্রি জাতীয় খাবারঃ হার্টের জন্য ক্ষতিকর খাবার গুলোর মধ্যে রয়েছে পেস্ট্রি জাতীয় খাবার গুলোও। চিনি তৈরি এই খাবারগুলো ব্লাড প্রেসার বাড়ানোর পাশাপাশি রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়াতে সাহায্য করে, তাই এই পেজটি জাতীয় খাবার গুলো হার্টের জন্য অত্যন্ত ক্ষতি করে। পেস্ট্রি জাতীয় খাবার গুলোর মধ্য রয়েছেন- পেস্ট্রি কেক ,পুডিং , আইসক্রিম।
এছাড়াও , হট সুস্থ রাখতে হলে অবশ্যই মাছের মাথা , মাছের ডিম , চিংড়ি মাছ , নারিকেল তেল , বিভিন্ন ধরনের প্রসেস ফুড অর্থাৎ কৌটাজাত খাবার বা প্যাকেট জাতকরণ খাবার , কোমল পানীয় খাবারগুলো পরিহার করতে হবে এবং সম্পূর্ণরূপে বর্জন করতে হবে ধূমপান , কারণ ধূমপান হার্টের অসুখগুলোকে উসকে দিতে সাহায্য করে। হার্ট ভালো রাখতে অবশ্যই এ সকল খাবার গুলো থেকে দূরে থাকতে হবে এবং সম্পূর্ণরূপে বর্জনের চেষ্টা করতে হবে।
কি খেলে হার্ট ভালো থাকে
আমরা যদি খাবারের ব্যাপারে একটু সচেতন হয় তাহলে হার্টের বিভিন্ন সমস্যা
গুলো অনেকাংশেই আমরা প্রতিরোধ করতে পারি। তবে কাজটি করার জন্য অবশ্যই আমাদের
জানতে হবে কি খেলে হার্ট ভালো থাকে এ বিষয়ে। আপনারা যদি না জেনে থাকেন কি খেলে
হার্ট ভালো থাকে তাহলে অবশ্যই আপনার হার্ট কে সুস্থ রাখতে হার্ট ভালো রাখার খাবার
গুলোর নাম জেনে নিন। হার্টের জন্য উপকারী খাবার গুলো হল ,
- কমলা
- তরমুজ
- নাশপাতি
- আঙ্গুর
- আপেল
- স্ট্রবেরি ,ব্লুবেরি ,ব্লাকবেরি
- বরই
- লেবু
- গাজর
- শিম
- বরবটি
- ডুমুর
- আদা
- গ্রীন টি
- মিষ্টি আলু
- রসুন
- বাদাম
- ছোলা
- কফি
- টকদই
এছাড়া ,হার্ট ভালো রাখতে সবুজ শাকসবজি ,শস্যদানা এবং ওমেগা ৩ জাতীয় খাবার গুলো খেতে খেতে হবে। এ সকল খাবার গুলো হার্ট ভালো রাখতে যথেষ্ট সাহায্য করে তার এই কারণে প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় এই ধরনের খাবারগুলো রাখা অত্যন্ত জরুরী।
মেয়েদের হার্টের সমস্যার লক্ষণ
বিভিন্ন ক্ষেত্রে দেখা যায় মেয়েদেরকে হার্টের রোগে আক্রান্ত হতে।হার্টের
রোগের লক্ষণগুলোকে প্রাথমিক অবস্থায় আমরা প্রাধান্য দেই না আর যার কারণে
পরবর্তীতে কি মারাত্মক আকার ধারণ। করে তাই আমাদেরকে শুরু থেকে সচেতন হতে হবে
হার্টের সমস্যা গুলো সম্পর্কে।তাই আমরা আজ জানব, মেয়াদের হার্টের সমস্যার লক্ষণ
গুলো সম্পর্কে। মেয়েদের হার্টের সমস্যার লক্ষণ গুলো হল,
- বুকের মাঝখানে অথবা বাম পাশে ব্যথা
- শারীরিক দুর্বলতা বা একটুতেই ক্লান্ত লাগা
- অবসন্নতা
- অনিদ্রা
- শ্বাসকষ্ট হওয়া
- হঠাৎ অতিরিক্ত ঘাম হওয়া
- মাথাব্যথা ও বমি ভাব