জরায়ু ক্যান্সারের লক্ষণ - জরায়ু ক্যান্সারের হোমিও চিকিৎসা - জরায়ু মুখের ক্যান্সারের টিকার দাম

জরায়ু ক্যান্সার অত্যন্ত মারাত্মক এবং ব্যাপক হারে ছড়িয়ে পড়া একটি আতঙ্কের নাম হয়ে দাঁড়িয়েছে নারী সমাজের জন্য। প্রতিবছর সারা বিশ্বে প্রায় ১২ হাজারের বেশি নারী এই রোগে আক্রান্ত হচ্ছে এবং প্রায় আট হাজারের বেশি নারী মৃত্যুবরণ করছে জরায় ক্যান্সারে।তাই সকলের সুস্বাস্থ্য রক্ষার জন্য এই পোস্টে আজকে আমরা জানবো জরায়ু ক্যান্সার লক্ষণ, জরায়ু ক্যান্সারের হোমিও চিকিৎসা ও জরায়ু মুখের ক্যান্সারের টিকার দাম সম্পর্কে।

এই পোস্টে আজকে আমাদের মূল আলোচনার বিষয় জরায় ক্যান্সার লক্ষণ, জরায়ু ক্যান্সারের হোমিও চিকিৎসা এবং জরায়ু মুখের টিকার দাম হলেও এই বিষয়গুলো ছাড়া আমরা আজকে আরো জানবো জরায়ু ক্যান্সার কেন হয় , জরায়ু ক্যান্সার প্রতিরোধে করণীয় এবং জরায়ু ক্যান্সার প্রতিরোধের খাবারগুলো সম্ভব। আপনি যদি জরায়ু ক্যান্সার বিষয়ক এই বিষয়গুলো জানতে চান তাহলে অবশ্যই এই পোস্টটি মনোযোগ দিয়ে পড়ে নিতে হবে। মনোযোগ সহকারে জরায় সংক্রান্ত এই পোস্টটি পড়লে আশা করছি আপনি বিভিন্ন বিষয়ে উপকৃত হতে পারবেনা।

সূচিপত্রঃ জরায়ু ক্যান্সার লক্ষণ - জরায়ু ক্যান্সারের হোমিও চিকিৎসা - জরায়ু মুখের ক্যান্সারের টিকার দাম

জরায়ু ক্যান্সার কেন হয়

জরায় ক্যান্সার বর্তমানে নারীদের মাঝে অত্যন্ত আকাঙ্ক্ষা হারে বেড়ে চলেছে , কিন্তু জরায়ু ক্যান্সার কেন হয় অথবা কেনই বা এত মারাত্মকভাবে বেড়ে চলেছে। আমাদেরকে জানতে হবে এর পেছনের কারণগুলো। জরায়ু ক্যান্সার কেন হয় শুধু এতটুকুই জানলে চলবে না পাশাপাশি এই এই ব্যাপারে  সচেতনতাও বাড়াতে হবে। তাই আজকে আমরা জানবো জরায়ু ক্যান্সার কেন হয় ,গুরুত্বপূর্ণ এই বিষয়টি।

জরায়ু মুখের ক্যান্সারের জন্য " হিউমান পেপুলুমা ভাইরাস" নামক এক ধরনের ভাইরাস কাজ করে। এই ভাইরাসকে সংক্ষেপে PHP ভাইরাসও বলা হয়। জরায়ুতে এই ভাইরাসের সংক্রমণ ঘটলে যদি সঠিক চিকিৎসা না হয় তাহলে ধীরে ধীরে এটি ক্যান্সারে পরিণত হতে থাকে। এছাড়াও জরায়ু ক্যান্সারের পেছনে আরো যে সকল কারণ দায়ী সেগুলো হল,

  • বাল্যবিবাহ।
  • ঘন ঘন বাচ্চা ধারণ ও প্রসব করা।
  • অতিরিক্ত সহবাস করা।
  • জরায়ু মুখ ভালো করে পরিষ্কার না করে।
  •  শরীরে পর্যাপ্ত আয়রনের ও পুষ্টির অভাব
অধিকাংশ ক্ষেত্রেই মেয়েদের শারীরিক চাহিদা অনুযায়ী পুষ্টি উপাদান গুলো শরীরে থাকে না। আর সঠিক পরিমাণে আইরন এবং বিভিন্ন খনিজ উৎপাদন গুলো শরীরে না থাকার কারণে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম হয় ,সেই সুযোগে বিভিন্ন ধরনের ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়া গুলো জরায়ুতে আক্রমণের সুযোগ পায় এর ফলে দেখা দেয় জরায়ু ক্যান্সার। পর্যাপ্ত পুষ্টি সম্পন্ন খাবার খাওয়ার পাশাপাশি জরায়ু ক্যান্সার এর আরেকটি অন্যতম কারণ হলো পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার অভাব। জরায়ু মুখ ভালোভাবে পরিষ্কার করা না হলে, সহজে এখানে ভাইরাস ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ ঘটায় এবং এর ফলে ক্যান্সারের সম্ভাবনা থাকে।

জরায়ু ক্যান্সারের লক্ষণ

ক্যান্সারকে আমরা আরেকটি নামে জানি আর সেটি হল ' নিরব ঘাতক '। ক্যান্সারকে নীরব ঘাতক বলার অর্থ হল, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ক্যান্সার বা এই জাতীয় জটিল রোগগুলোর প্রাথমিক অবস্থায় কোন লক্ষণ প্রকাশ পায়না। আর যখন বিভিন্ন উপসর্গ বা লক্ষণ গুলো প্রকাশ পায় দেখা যায় যে এই সময় রোগটি বেশ অনেক দূর এগিয়ে গেছে। জরায় ক্যান্সারও এই ধারাবাহিকতার বাইরে নয়। জরায়ু সংক্রান্ত বিষয়গুলো যেহেতু অত্যান্ত সেনসেটি এই কারণে এবং বর্তমানে দেশে এবং দেশের বাইরে জরায়ু ক্যান্সার রোগীর সংখ্যা যেহেতু বেড়েই চলেছে তাই আমাদের জেনে রাখা ভালো জরায়ু ক্যান্সার লক্ষণ গুলো। জরায়ু ক্যান্সার লক্ষণ গুলো আমাদের জানা থাকলে আমরা দ্রুত ডাক্তারি পরামর্শ গ্রহণ করতে পারবো এবং ক্যান্সারের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পারবে। তাই করুন আজকে জেনে নেওয়া যাক জড়াও ক্যান্সার লক্ষণগুলো। জরায়ু ক্যান্সারের লক্ষণগুলো হলো ,

  • ডায়াবেটিস রোগীদের মতন ঘন ঘন প্রস্রাব
  • প্রস্রাব নিয়ন্ত্রণ করতে না পারা
  • প্রস্রাবের সাথে রক্ত যাওয়া
  • প্রস্রাব পায়খানার সময় জরায়ুতে ব্যথা ও জ্বালাপোড়া অনুভব হওয়া 
  • মাসিক অনিয়মিত হওয়া
  • পা ফোলা
  • দুর্গন্ধযুক্ত অতিরিক্ত সাদা স্রাব হওয়া

জরায়ু ক্যান্সার প্রতিরোধে করনীয়

প্রতিনিয়তই সারা বিশ্বের জরায়ু ক্যান্সার রোগী এভাবে বাড়ছে তা অবশ্যই একটি চিন্তার বিষয়। তবে আমরা যদি প্রথম থেকে জরায়ুর সুস্থ বা ভালো রাখার ব্যাপারে একটু সতর্ক বা সচেতন হয় তাহলে অনেক ক্ষেত্রেই ডরাও ক্যান্সার প্রতিরোধ করা সম্ভব। জরায়ু ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে হলে অবশ্যই এর পূর্বে জেনে নেওয়া উচিত জড়ায় ক্যান্সার প্রতিরোধে করণীয় বিষয়গুলো। আপনার যদি জরায়ু ক্যান্সার প্রতিরোধে করণীয় বিষয়গুলো সম্পর্কে সঠিক ধারণা না থাকে তাহলে এখনই এই পোস্টের মাধ্যমে জরায়ু ক্যান্সার প্রতিরোধে করণীয় বিষয়গুলো জেনে নিতে পারেন।

নিয়মতান্ত্রিক চলাফেরা করাঃ আমরা মেয়েরা নিজেদের স্বার্থের ব্যাপারে বিভিন্ন ক্ষেত্রে এবং বিভিন্ন কারণেই উদাসীন থাকে , তবে এ ব্যাপারটি মোটেও উচিত নয়। কারণ নিজেকে সুস্থ রাখতে হলে অবশ্যই কিছু নিয়ম কানুন মেন্টেন করে চলতে হবে। যেমন  সময় মতন ও পর্যাপ্ত ঘুমের ব্যবস্থা করা , সময় মতন খাবার খাওয়া , মেন্টালি ফ্রেশ থাকে। এই সকল নিয়মকানুন গুলো মেনে চললে অনেক ক্ষেত্রেই ক্যান্সার সহ আরো বিভিন্ন শারীরিক জটিলতা থেকে আমরা মুক্ত থাকতে পারবো।

পুষ্টিকর খাবার গ্রহণঃ শরীরের প্রয়োজনীয় পুষ্টির অভাব জরায়ু ক্যান্সার থেকে শুরু করে অন্যান্য যেকোনো অসুখের জন্য দায়ী। আমাদের নারী শরীরে বিভিন্ন ধরনের খনিজ উপাদান এবং ভিটামিনের ঘাটতি থাকে প্রচুর। গর্ভধারণ অথবা প্রতিমাসে মিনস বা মাসিকের সময় আমাদের শরীর থেকে প্রচুর পরিমাণে রক্তক্ষরণ হয়। শরীরের এই রক্তক্ষরণের মাধ্যমে বিভিন্ন খনিজ উপাদান এবং আয়রনের ঘাটতি দেখা দেয় । কিন্তু আমরা কোন মেয়েরাই এই ব্যাপারে সচেতন হয়নি আমাদের শরীরের পুষ্টি ঘাটতি অনুযায়ী পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ করুন। আর এর ফলে দিনে দিনে শরীরে পুষ্টি ঘাটতি দেখা দিতে থাকে এবং আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমতে থাকে। আর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমানোর কারণে জরায়ু ক্যান্সার সহ আরো বিভিন্ন রোগের সম্ভাবনা দেখা দেয়। আর এই কারণেই জরায়ু ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে হলে আমাদেরকে অবশ্যই পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ করতে হবে।

পরিষ্কার পরিচ্ছন্নঃ জড়ায় ক্যান্সার প্রতিরোধ করার আরেকটি অন্যতম উল্লেখযোগ্য উপায় হলো পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা । আমরা জানি জরায় ক্যান্সারে মূল্য রয়েছে ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়াল সংক্রমণ। তাই , জরায়ু যদি পরিষ্কার না থাকে তাহলে এই ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়া গুলো খুব সহজেই জরায়ুতে সংক্রমণ ঘটাতে পারে , এবং এখান থেকে সৃষ্টি হতে পারে ইনফেকশন যা সঠিক চিকিৎসা না করানোর ফলে পরবর্তীতে পরিণত হতে পারে জরায়ু ক্যান্সারে।

আরো পড়ুনঃ কোলন ইনফেকশনের লক্ষণ

নিরাপদ যৌন সম্পর্কঃ জরায়ু ক্যান্সার প্রতিরোধ করার জন্য যৌন সম্পর্কের ব্যাপারে আমাদের অত্যন্ত সচেতন থাকা প্রয়োজন। আমরা যদি যৌন সম্পর্কের ব্যাপারে এবং যৌন মিলনের সময় সচেতন না হয় তাহলে , পুরুষাঙ্গ থেকে বিভিন্ন ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়া যৌনাঙ্গে সংক্রমণ ঘটাতে পারে এবং এখান থেকে সৃষ্টি হতে পারে জরায়ু ক্যান্সার এ কারণে সহবাস বা যৌন মিলনের আগে এবং পরে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার ব্যাপারে অত্যন্ত সচেতন হওয়া জরুরি। এছাড়াও সহবাসের সময় বা যৌন মিলনের সময় যদি জরায়ু বারবার অতিরিক্ত আঘাতপ্রাপ্ত হয় তাহলে এখান থেকে প্রদাহ ও ইনফেকশনের সৃষ্টি হতে পারে যা পরবর্তীতে রূপ নিতে পারে ক্যান্সারে এ কারণে জরায়ু ক্যান্সার প্রতিরোধ করার জন্য নিরাপদ যৌন স্বাস্থ্য সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে।

জরায়ু মুখের টিকা গ্রহন করাঃ জরায়ুর ক্যান্সার প্রতিরোধের জন্য জরায়ু মুখের টিকাগুলো গ্রহণ করা অত্যন্ত জরুরি। বিশেষ করে , বিবাহিত জীবন শুরু করার আগে এই টিকাগুলো গ্রহণ করা সবচেয়ে ভালো। তবে বিবাহিত জীবন শুরু করার পরেও যত তাড়াতাড়ি সম্ভব জরায়ুর মুখের ক্যান্সার প্রতিরোধী এই টিকাগুলো গ্রহণ করা উচিত। জরায় মুখে এই কিতাবগুলো জরায়ুর ক্যান্সারের সব ধরনের উপর কার্যকরী না হলেও এই টিকাগুলো গ্রহণ করা থাকলে অনেক ক্ষেত্রেই জরায়ু ক্যান্সার প্রতিরোধ করা সম্ভব।

চিকিৎসা গ্রহণঃ আমরা বিশেষ করে মেয়েরা শারীরিক ছোটখাটো সমস্যা বা অসুবিধা গুলোকে খুব একটা প্রাধান্য দিন না কিন্তু এমন কাজটি করা মোটেও উচিত নয়। জরায়ুর যেকোন হোক বা বড় হোক সমস্যা দেখা দিলে দেরি না করে দ্রুত ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করা উচিত। কারণ ক্যান্সার নামক মরণব্যাধিগুলোর শুরুর দিকে সেরকম কোন লক্ষণ থাকে না আর যখন লক্ষণ প্রকাশ পায় তখন রোগটি বেশ অনেক দূর এগিয়ে যায় আর এই কারণে এই রোগগুলোকে নীরব ঘাতক বা সাইলেন্ট কিলার নামে ডাকা হয়। জরায় যেহেতু একটি অত্যন্ত সেনসিটিভ জায়গা এর জন্য এই জায়গার ছোট থেকে ছোট সমস্যা ও ধীরে ধীরে অনেক বড় এবং জটিল আকার ধারণ করতে পারে। তাই জরায়ু ক্যান্সার প্রতিরোধের জন্য জরায়ু বিষয়ক যেকোনো সমস্যায় অবহেলা না করে দ্রুত ডাক্তারি পরামর্শ গ্রহণ করুন।

শরীর চর্চা করাঃ বিভিন্ন কাজে ব্যস্ত থাকলেও শরীর সুস্থ রাখার জন্য আমাদেরকে অবশ্যই প্রতিদিন অল্প হলেও কিছুটা টাইম বের করতে হবে শরীর চর্চা করার জন্য। শরীর চর্চার মাধ্যমে জরায় ক্যান্সার সহ অন্যান্য যেকোনো ক্যান্সার এবং ও অসুখ-বিসুখ থেকে চরিত্রের সুস্থ রাখতে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই সবসময় শুয়ে বসে না থেকে ছোটখাটো শারীরিক ব্যায়াম করতে হবে আর যদি শারীরিক ব্যায়ামের সময় পাওয়া না যায় তাহলে অন্ততপক্ষে ৩০ মিনিট সকালে অথবা বিকেলে হাঁটাহাঁটি করার চেষ্টা করতে হবে।

জরায়ু ক্যন্সার প্রতিরোধের খাবার

জরায়ু মুখের ক্যান্সার সহ শরীরের বিভিন্ন ক্যান্সার প্রতিরোধ করার জন্য আমাদেরকে খাদ্য তালিকায় কিছু পরিবর্তন আনা অত্যন্ত জরুরি। আমরা আজকে জানবো জরায় ক্যান্সার প্রতিরোধে কিছু খাবারের নাম। এই খাবারগুলো শুধু জরায়ু ক্যান্সার নয় শরীরের বিভিন্ন ক্যান্সার প্রতিরোধ করতেও সাহায্য করবে। চলুন তাহলে জরায়ু ক্যান্সার প্রতিরোধের খাবার গুলোর নাম জেনে নেওয়া যাক,

প্রচুর পরিমাণে সবুজ শাকসবজি খেতে হবে , কারণ এই সবুজ শাকসবজি গুলোর মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।ভিটামিন সি যুক্ত খাবার গুলো বেশি পরিমাণে খেতে হবে কারণ ভিটামিন সি যুক্ত খাবার গুলো আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে এবং ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে।

মৌসুমী ফল অথবা ফলের রস ফান করতে হবে, বিভিন্ন মৌসুমে যে সকল ফল পাওয়া যায় সেগুলো থেকে টাকা জুস বের করে পান করুন।পেঁয়াজ , আদা ও রসুন খাদ্য তালিকায় খাবার গুলো যুক্ত করুন কারো এবং এগুলো ক্যান্সার প্রতিরোধী খাবার। এছাড়াও ক্যান্সার প্রতিরোধ করার জন্য গ্রিন টি , ব্রকলি , টমেটো , মটরশুটি , কমলা, গাজর , মিষ্টি আলু , কুমড়া এবং বিভিন্ন মৌসুমে যে সকল শাকসবজি গুলো পাওয়া যায় সেগুলো প্রচুর পরিমাণে খেতে হবে।

আরো পড়ুনঃ রসুনের উপকারিতা ও অপকারিতা

এই খাবার গুলো খাদ্য তালিকায় দুঃখ করা ছাড়াও আপনাকে এড়িয়ে চলতে হবে ভাজাপুড়া ও অতিরিক্ত তৈলাক্ত মসলাযুক্ত খাবার , ফাস্টফুড , প্রসেসফুড এবং ফরমালিনযুক্ত শাক -সবজি ,ফল এবং অন্যান্য যে কোন খাবার সম্পূর্ণরূপে বর্জন করতে হবে। এই ধরনের প্রিজারভেটিভ ও ফরমালিনযুক্ত খাবার গুলোর পরিবর্তে টাটকা শাক সবজি , টাটকা ফলমূল খাবারগুলো খাদ্য তালিকায় যুক্ত করতে হবে।

জরায়ু মুখের ক্যান্সারের টিকার দাম

জরায় ক্যান্সার প্রতিরোধ করার জন্য এর টিকা অত্যন্ত জরুরি। তবে এর আগে জেনে নেওয়া প্রয়োজন জরায়ু মুখের ক্যান্সারের টিকার দাম। চলুন তাহলে এবার জরায়ু মুখের ক্যান্সারের টিকার দাম জেনে নেওয়া যায়। সাধারণত জরায় ক্যান্সার প্রতিরোধের জন্য দুই ধরনের টিকা দেওয়া হয়ে থাকে,যথা

  • সারভারিক্স ভ্যাকসিন
  • কোয়াড্রিভেলেন্ট ভ্যাকসিন

এই ভ্যাকসিন গুলো বিভিন্ন হাসপাতাল , ক্লিনিক অথবা ভ্যাকসিন কেন্দ্রগুলোতে পাওয়া যায়। এই ভ্যাকসিনগুলোর মূলত তিনটি করে ডোজ থাকে। সারভারিক্স ভ্যাকসিন গুলোর দাম বিভিন্ন ক্লিনিক ভেবে ২০০০ - ৩০০০ টাকা , এবং কোয়াড্রিভেলেন্ট ভ্যাকসিন গুলোর দাম সাধারণত একটু বেশি, এই ভ্যাকসিনের দাম মোটামুটি ৪০০০ - ৬০০০ টাকা। তবে সতর্কতার বিষয় হলো যে এই ভ্যাকসিন গুলো নেওয়ার পরে , জরায়ু ক্যান্সারে আক্রান্ত হবেনা এমন ভাবা মোটেও উচিত নয়। 

কারণ এই ভ্যাকসিন গুলো জরায় ক্যান্সারের শত শত ধরনের ভেতরে মাত্র যেই চারটি ভাইরাসের ধরনের বেশিরভাগ মেয়েরা আক্রান্ত হয় এই চার ধরনের বিরুদ্ধে কাজ করে। অন্য কোন টাইপের ক্যান্সারের ভাইরাস যদি জড়াইতে সংক্রমণ বা আক্রমণ করে তাহলে ভ্যাকসিন নেয়ার পরেও জরায়ু ক্যান্সার হতে পারে।তাই এ কারণে , জরায়ুর মুখের ক্যান্সার এর টিকা গ্রহনের পরেও জরায়ু ক্যান্সার নিয়ে সতর্ক ও সচেতন থাকতে হবে। তবে অবশ্যই এই ভ্যাকসিন গুলো গ্রহণ করা উচিত কারণ, জরায়ু মুখের ক্যান্সারের এই ভ্যাকসিন গুলো গ্রহণ করলে অনেক ক্ষেত্রেই জরায়ু ক্যান্সার থেকে প্রটেক্ট থাকা যায়।

জরায়ু ক্যান্সারের হোমিও চিকিৎসা

হোমিও ডাক্তার বা হোমিও ঔষধ বিশেষজ্ঞরা দাবি করে থাকেন , হোমিও চিকিৎসায় কাটা ছেঁড়া এবং শরীরের কোন ক্ষতি ছাড়াই পুরোপুরি জরায়ু ক্যান্সার নির্মূল করা সম্ভব। এবং বিভিন্ন সময় জরায়ু ক্যান্সার নির্মূলে হোমিও চিকিৎসার সফলতার দেখা যায়। তাই চলুন আজকে আমরা জরায়ু ক্যান্সারের হোমিও চিকিৎসা সম্পর্কে জেনে নিন। হোমিও চিকিৎসা মূলত রোগ এবং রোগী বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী করা হয়। তাই রোগের ধরন এবং রোগীর চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের উপরে ভিত্তি করে যদি সঠিক প্রয়োগ করা যায় তাহলে জরায়ু ক্যান্সারের ক্ষেত্রেও অনেক ভালো ফল পাওয়া যায়। জরায়ু ক্যান্সারের হোমিও চিকিৎসা করার জন্য বেশ কিছু কার্যকারী ঔষধ রয়েছে।

  • সালফার
  • ম্যাগনেসিয়াম
  • সিপিয়া
  • অরাম মেট
  • থুজা
  • নাইট্রিক এসিড
  • সিকোলি কর
  • গ্রাফাইটস
  • আর্সেনিক
  • বেলেডোনা
  • সাইলেসিয়া
  • ফসফরাস
  • লাইকোপোডিয়াম
  • আয়োডিয়াম
  • কোনিয়াম
  • চায়না
  • ক্যালকেরিয়া কার্ব
  • মার্কসল
  • ক্যালকেরিয়া আয়ড
  • ক্রিয়োজোট
  • ল্যাকেসিস

এই ওষুধগুলো ছাড়াও হোমিও চিকিৎসায় আরো বেশ কিছু জরায়ু  ক্যান্সারে ঔষধ রয়েছে। এই পোস্টে শুধু জরায়ু ক্যান্সারের ক্ষেত্রে জনপ্রিয় , বহু ব্যবহৃত , এবং কার্যকারিতার দিক থেকে উল্লেখযোগ্য ওষুধ গুলোর নাম প্রকাশ করা হয়েছে। তবে ওষুধগুলো সেবনের পূর্বে অবশ্যই কোন হোমিও ঔষধ বিশেষজ্ঞ বা হোমিও ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করে নেবেন। কারণ হোমিও চিকিৎসায় এমন কিছু ঔষধ রয়েছে যারা পরস্পর বিরোধী। তাই পরস্পর বিরোধী দুটি ওষুধ একসাথে খেলে শারীরিক জটিলতা দেখা দিতে পারে এই কারণে একজন হোমিও ঔষধ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেয়া অত্যন্ত প্রয়োজন।

আরো পড়ুনঃ পিত্তথলির পাথর কেন হয়

রোগ ও রোগীর ধরন এবং বৈশিষ্ট্যের উপরে ভিত্তি করে এই ওষুধগুলো কার্যকরী হলে ধীরে ধীরে মাত্রা বাড়িয়ে দীর্ঘদিন সেবনের ফলে আশা করা যায় , কোন অসুবিধা বা শারীরিক ক্ষয়ক্ষতি ছাড়াই জরায়ুর মতন মারাত্মক রোগ থেকে রেহাই পাওয়া যেতে পারে। হোমিও ওষুধ খাওয়ার ব্যাপারে অত্যন্ত ধৈর্যশীল হওয়া অনেক জরুরী কারণ বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায় শরীরে অসুখের ক্ষেত্রে অনেক সুফল দিলেও এই ওষুধগুলো অত্যন্ত ধীরে কাজ করে সেজন্যে, ধৈর্য ধরে দীর্ঘদিন এই ঔষধ গুলোর মাধ্যমে আপনার জরায়ুর চিকিৎসা চালিয়ে গেলে কার্যকরী ফল পাওয়া যাবে (ইনশাআল্লাহ)।

মন্তব্য , আশা করছি মনোযোগ সহকারে জরায়ু ক্যান্সার লক্ষণ , জরায়ু ক্যান্সারের হোমিও চিকিৎসা ও জরায়ু মুখের ক্যান্সারের টিকার দাম সংক্রান্ত এই পোস্টটি পড়ে জরায়ু ক্যান্সার সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে ভালোভাবে জেনে নিয়েছেন এবং এতক্ষণে হয়তো পরিষ্কারভাবে এটি বুঝতে পারছেন যে আপনার সচেতনতা বৃদ্ধিই পারে নীরব ঘাতক এই জরায়ু ক্যান্সার মুক্ত রাখতে। আপনি যদি জরায়ু ক্যান্সারের ব্যাপারে সচেতন না হন তাহলে খুব অল্প সময়ের মধ্যে এই ক্যান্সার কেড়ে নিতে পারে আপনার মহামূল্যবান জীবন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন

comment url