পেটে আলসারের লক্ষণ - আলসার কত দিনে ভালো হয়

আলসার হলো অতি পরিচিত রোগ গুলোর মধ্যে একটি এবং এই রোগটি অত্যন্ত কমন যে কোন বয়সের মানুষের যে কোন সময় এ রোগ হতে পারে। আলসার খুব কমন হলেও অত্যন্ত জটিল। কারণ এখান থেকে সৃষ্টি হতে পারে ক্যান্সার তাই সবসময় আমাদেরকে আলসারের ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে এবং জেনে রাখতে হবে পেটে আলসারের লক্ষণ। তাই আজকে আমরা পেটে আলসারের লক্ষণ সহ আরো বেশ কিছু বিষয়ের পাশাপাশি আলোচনা করব আলসার কত দিনে ভালো হয় এই বিষয়টিও।

পেটে আলসার হলে এই রোগের জন্য রোগীকে বেশ অনেকদিন ভোগান্তি পোহাতে হয়। তাই দ্রুত আলসার থেকে সেরে ওঠার জন্য এই পোস্টে আমরা জানব আলসার হলে করণীয় , আলসার রোগীর খাবার , আলসার কত দিনে ভাল হয় , আলসার হলে কি ঔষধ খাব ইত্যাদি বিষয় সহ আলসার সম্পর্কিত বিভিন্ন তথ্য। আপনি যদি পেটে আলসারের লক্ষণ এবং আলসার কত দিনে ভালো হয় এই বিষয়গুলোর পাশাপাশি আলসার সম্পর্কিত আরো বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেতে চান তাহলে , পোষ্টটি অবশ্যই শেষ পর্যন্ত পড়ুন।

সূচিপত্রঃ পেটে আলসারের লক্ষণ - আলসার কত দিনে ভালো হয়

আলসার কেন হয়

আলসার নামক রোগটির সাথে অনেকেই পরিচিত , কিন্তু সুনির্দিষ্ট ভাবে হয়তো অনেকেই জানেন না আলসার কেন হয়। আলসার এক ধরনের জটিল রোগ এবং এই রোগটি হলে রোগীকে অনেকদিন ভুগতে হয়। তাই আমাদেরকে সাবধান এবং সতর্ক থাকতে হবে যাতে করে আলসার সৃষ্টি না হয়,  আর আলসার থেকে সাবধান থাকার জন্য জানতে হবে আলসার কেন হয় বা এর কারণ। আলসার হল এক ধরনের ঘা বা ক্ষত । সাধারণত পাকস্থলী এবং ক্ষুদ্রান্ত এই ঘা বা ক্ষত হয়ে থাকে।পেটে আলসার হওয়ার পেছনে বেশ কিছু কারণ রয়েছে , । যেমন

ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণঃ এক ধরনের ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমনের ফলে পেটে আলসারের সৃষ্টি হয় আর এই ব্যাকটেরিয়া টির নাম হল 'হেলিকোবেক্টার পাইলোরি'। পেটে এই ব্যাকটেরিয়াটির সংক্রামন দেখা দিলে পাকস্থলীর দেয়ালে প্রদাহ সৃষ্টি হয় এবং এই প্রদাহ ধীরে ধীরে আলসার বা ক্ষততে পরিণত হতে থাকে।হেলিকোবেক্টার পাইলোরি ব্যাকটেরিয়াটি খাবার ও পানি আদান-প্রদানের মাধ্যমে একজন থেকে আরেকজনের ছড়িয়ে পড়তে পারে।

জেনেটিকঃ জেনেটিক বা বংশগত কারণও হতে পারে আলসারের কারণ । বংশের ভেতরে অথবা পূর্বপুরুষদের কারো যদি আলসার হওয়ার রেকর্ড থাকে তাহলে বংশগত কারণে সেই আনসার বংশ পরম্পরায় চলে আসতে পারে। বিশেষ করে 'ও' গ্রুপ রক্তধারীদের ক্ষেত্রে আলসার রোগের সম্ভাবনা বেশি থাকে।

ধূমপানঃ ধূমপান করা ফুসফুসের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর এ কথাটি আমরা সকলেই জানি , তবে ধূমপান শুধু ফুসফুসের জন্য নয় পেটে আলফাল তৈরি করতেও যথেষ্ট ভূমিকা পালন করি। তাই পেটে আলসারের আরেকটি অন্যতম কারণ হতে পারে ধূমপান। শুধু ধূমপানকারীর পেটে আলসাবে সম্ভাবনা থাকে , ধূমপানের সময় যে বিষাক্ত ধোঁয়াটি চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ে সেই ছড়িয়ে পড়ার ধোঁয়ার কারণে , ধূমপান কাদের আশে পাশে থাকা মানুষেরা  আলসারসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হতে পারে।

ব্যাথা নাশক ওষুধঃ ব্যাথা নাশক ওষুধ সেবনের ফলেও পেটে আলসারের সৃষ্টি হতে পারে। আমরা কোথাও ব্যথা হলেই হুটহাট করে ব্যাথানাশক ঔষধ গুলো খেয়ে থাকি কিন্তু এ কাজটি করা একেবারেই উচিৎ নয়। কারণ ব্যথা নাশক ওষুধ গুলোর থেকে তৈরি হতে পারে পেটের আলসার।

আরো পড়ুনঃ হার্ট ভালো রাখার উপায়

খাদ্যাভাসঃ অনিয়মতান্ত্রিক এবং অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস হতে পারে পেটে আলসারের অন্যতম কারণ। অধিক সময় খালি পেটে থাকা অথবা অতিরিক্ত ভাজাপোড়া ,অতিরিক্ত ঝাল বা বাইরের অস্বাস্থ্যকর খাবার গুলো পেটে এসিডিটির মাত্রা বাড়িয়ে দেয় । আর পেটে এসিডিসের মাত্রা বেড়ে গেলে সেখান থেকে দেখা দিতে পারে আলসার ।

আলসার কত প্রকার

পোস্টের উপরের অংশে আলসার কেন হয় এই বিষয়ে আমাদের জানা হয়ে গেছে এবার আমাদেরকে জানতে হবে আলসার কত প্রকার। তাহলে চলুন এবার আমরা জেনে নেই আলসার কত প্রকার। আলসার প্রধানত ৩ প্রকারের হয়ে থাকে , এগুলো হল

  • গ্যাস্ট্রিক আলসার ঃ খাদ্যথলীর ভেতরের আলসার বা ক্ষতকে বলা হয় গ্যাস্ট্রিক আলসার
  • ডিওডিনাম আলসারঃ ক্ষুদ্রান্তের প্রথম ভাগে বা অংশে যে ক্ষত বা আলসারের সৃষ্টি হয় তাকে বলা হয় ডিওডিনাম আলসার।
  • ইসোফেজিয়ান আলসারঃ খাদ্যনালির ভেতরে যে আলসার দেখা দেয় তাকে বলা হয়, ইসোফেজিয়ান আলসার। তবে এই ধরনের আলসার খুব কম দেখা যায়।

পেটে আলসারের লক্ষণ

পেটের আলসার অতি পরিচিত এবং কমন একটি রোগ। প্রায়ই আমরা আশেপাশের বা পরিচিতদের মুখে শনতে পাই আলসারের কথা।আলসার হলে রোগীকে অনেক দিন ভুগতে হয় এই রোগে , এর অন্যতম কারণ হলো পেটে আলসারের লক্ষন না জানার কারণে সময় মত চিকিৎসা না করানো।আর সময় মতন চিকিৎসা না করানোর কারনে রোগটি জটিল হয়ে যায় ,যার ফলে সেরে উঠতে দেরী লাগে। তাই আমাদের জানা উচিৎ পেটে আলসারের লক্ষণ গুলো।অনেকেই হয়ত জানেন না পেটে আলসারের লক্ষণ সম্পর্কে, তাই আজ আমরা জেনে নেব পেটে আলসারের লক্ষণ গুলো। পেটে আলসারের লক্ষণ গুলো হলো

  • পেট ব্যথা , বিশেষ করে খাওয়ার সাথে সাথে এবং খাওয়ার কয়েক ঘন্টা পরে
  • পেটে মাঝখানে ও ওপরে জ্বালাপোড়া করা
  • বমি ভাব অথবা রক্তবমি হওয়া
  • অতিরিক্ত ঢেকুর ওঠা
  • মাথা ঘুরা
  • কালো পায়খানা 
  • পায়খানার সাথে রক্ত যাওয়া
  • ক্ষুধা কম লাগা এবং সব সময় পেট ভরে থাকা
  • ওজন কমে যাওয়া

আলসার হলে করণীয়

আনসার খুবই কমন একটি রোগ যেকোনো বয়সী মানুষের এই রোগটি হতে পারে , তবে ৫০ বছর বয়সী বা তার বেশি বয়সের মানুষদের ক্ষেত্রে এই রোগটি বেশি দেখা যায়।আলসার যেহেতু কমন রোগ গুলোর মধ্যে একটি তাই যেকোনো সময়ই , যে কেউই এই রোগে আক্রান্ত হতে পারে তাই আমাদের জেনে রাখা উচিত আলসার হলে করণীয় বিষয় সম্পর্কে। আলসার হলে যে কাজটি সর্বপ্রথমে করণীয় সেটি হল যত দ্রুত সম্ভব ডাক্তারি পরামর্শ নেয়া এবং সেই অনুযায়ী ঔষধ সেবন ও নির্দেশনা মোতাবেক খাদ্যাভ্যাস গড়ে তোলা। এছাড়াও আনসার হলে যেই বিষয়গুলো সম্পর্কে সচেতন হতে হবে সেগুলো হল,

স্পাইসি খাবার বাদ দেয়াঃ পেটে আলসার থাকলে আপনাকে অবশ্যয় বেশি মসলা যুক্ত ,ঝাল বা স্পাইসি খাবারগুলো বাদ দিতে হবে। কারন এ ধরণের খাবার গুলো আলসার বাড়িয়ে দিতে সক্ষম।তাই আলসার থেকে দ্রুত সেরে ওঠার জন্য স্পাইসি খাবার বাদ দিতে হবে।

ধূমপান মুক্ত থাকুনঃ ধূমপান আলসার নামক রোগটি রোগটি সৃষ্টি হতে এবং রোগটি বাড়িয়ে দিতে দুটোতেই সাহায্য করে।তাই আলসার হলে আপনারে ধূমপান বা তামাক দেবন বন্ধ করতে হবে।সিগারেটের ধোয়াও যেহেতু বিষাক্ত তাই এই ধোয়া মুক্ত পরিবেশে থাকতে হবে।

বেশিক্ষণ খালি পেটে না থাকা ঃবেশিক্ষণ খালি পেতে থাকলে ,পেটে এ্যসিডিটি হয় এবং যার ফলে আলসারের তীব্রতা বৃদ্ধি পায়, এ কারনে আলসার হলে অল্প পরিমানে বার বার খাবার খেতে হবে।শুধু  আলসার হলেই না ,সুস্থ্য শরীরেও দীর্ঘক্ষণ খালি পেটে থাকার উচিত নয়, এতে করে পেটে এসিডিটির সমস্যা ছাড়াও আরো বিভিন্ন অসুবিধা তৈরি করতে পারে।

পর্যাপ্ত পানি পানঃ আপনারা আগেই জেনেছেন যে পেটে আলসার হওয়ার কারণগুলোর মধ্যে একটি কারণ হলো ,পেটে হেলিকোবেক্টার পাইলোরি নামক ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ। যেহেতু ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণের ফলে আলসার হয়ে থাকে বা হতে পারে এই কারণে আলসার হলে পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করা প্রয়োজন এতে করে ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ কম হতে সাহায্য করে।

মধু ও দারুচিনিঃ পেটের আলসার সারাতে বিশেষ কার্যকরী ভূমিকা পালন করতে পারে মধু ও দারুচিনি।মুধু ভেতরে থাকা উপাদানগুলো আলসার সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করতে পারে। তাই আলসারের রোগীরা যদি দিনে ২ বার কুসুম গরম পানিতে দারুচিনি গুড়া ও মধু মিশিয়ে পান করে তাহলে দ্রুত আলসার রোগ থেকে সরে উঠতে পারবে।

হলুদঃ ঔষধি গুন সম্পন্ন মসলা জাতীয় দ্রব্য গুলোর মধ্যে হলুদ অন্যতম। হলুদের উপকারিতা বা গুনাগুনের কথা আমরা কম বেশি সকলেই জানি। হলুদের বিভিন্ন উপকারিতা মধ্যে রয়েছে আলসার সারানোর উপকারিতাও। হলুদের ভেতরে থাকা এন্টি ইনফ্লামেটরি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান গুলো আলসার থেকে  সেরে উঠতে সাহায্য করে। হালকা কুসুম গরম পানিতে ও হলুদ এবং মধু মিশিয়ে পান করলে দ্রুত আলসার থেকে সেরে ওঠা যায়।

আরো পড়ুনঃ রসুনের উপকারিতা

রসুনঃ রসুনের ভেতরে বিভিন্ন ধরনের স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে এবং রয়েছে কিছু বিশেষ রোগ সারানোর ক্ষমতা।রসুনের ভেতরে থাকা এন্টি মাইক্রোবিয়াল উপাদান আলসার তৈরির ব্যাকটেরিয়ার সাথে লড়াই করতে এবং এই ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করতে ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই আলসার থেকে সরে উঠার জন্য প্রতিদিন ১-২ কোয়া রসুন চিবিয়ে খেতে পারেন।

আলসার রোগীর খাবার

অনেকেই হয়তো জানেন না আলসার রোগীর খাবার তালিকার সম্পর্ক । তাই চলুন আজকে জেনে নেওয়া যাক আলসার রোগীর খাবার তালিকা প্রস্তুতের সময় কোন ধরনের খাবার গুলো রাখা দরকার।আলসার রোগীর খাবার খাদ্য তালিকায় অবশ্যই ফাইবার বা আঁশ যুক্ত সবজিগুলো রাখতে হবে , এছাড়াও খাদ্য তালিকায় রাখতে হবে ভিটামিন এ ও প্রবায়োটিক যুক্ত খাবার। আলসার রোগীর জন্য আদর্শ খাবার গুলোর মধ্যে রয়েছে

  • ফুলকপি
  • মুলা
  • পাতাকপি
  • ক্যাপসিকাম
  • ব্রকলি
  • গাজর
  • ডুমুর
  • কুমড়া
  • পালং শাক
  • রসুন
  • আদা
  • মধু
  • গ্রিন টি
  • পেঁপে
  • আপেল
  • নাশপাতি
  • ব্লুবেরি
  • স্ট্রবেরি
  • দই
এছাড়াও আলসার রোগীর খাদ্য তালিকা থেকে বাদ দিতে হবে অতিরিক্ত মসলা , ঝাল , লবণ , চর্বি , কার্বোহাইড্রেট , চিনি , দুধের তৈরি খাবার ,রেডমিট , চকলেট , কফি ইত্যাদি খাবারগুলো

আলসার কত দিনে ভালো হয়

অনেকেই জানার আগ্রহ প্রকাশ করে থাকেন আলসার কত দিনে ভালো হয় এই বিষয়ে। তাই আজকে আমরা আলোচনা করব আলসার কত দিনে ভালো হয় তা সম্পর্কে। আনসার যেহেতু অত্যন্ত জটিল একটি রোগ, সচেতন না হলে এই রোগের সংক্রমণ বৃদ্ধি পেতে থাকে এবং একসময় জটিল আকার ধারণ করে ডেকে আনতে পারে মৃত্যু তবে সঠিক সময়ে চিকিৎসা গ্রহণের ফলে আলসার থেকে সম্পূর্ণরূপে সেরে ওঠা যায়।

আলসার থেকে দ্রুত সেরে ওঠার জন্য প্রয়োজন সঠিক চিকিৎসা এবং ডাক্তারি পরামর্শ মোতাবেক সঠিক নিয়মে চলাফোঁড়া এবং খাদ্যাভ্যাস গড়ে তোলা। সঠিক নিয়মে ওষুধ সেবন এবং নিয়মতান্ত্রিক খাদ্যাভ্যাস ও চলাফেরার মাধ্যমে প্রায় তাই অবশ্যই আমাদেরকে আলসার সম্পর্কে শুরু থেকেই সচেতন হওয়া উচিত। সঠিক চিকিৎসা পদ্ধতির মাধ্যমে মোটামুটি ৮ সপ্তাহ বা ২ মাসের মধ্যেই আলসার থেকে সম্পূর্ণরূপে সেরে ওঠা যায় তবে কারো কারো ক্ষেত্রে ১০ সপ্তাহ সময় লেগে যেতে পারে এটি নির্ভর করে রোগের তীব্রতার উপরে। আশা করছি,আলসার কত দিনে ভালো হয় বিষয়টি বুঝতে পেরেছেন।

আলসার থেকে কি ক্যান্সার হয়

প্রায় মানুষ জানতে চান আলসার থেকে কি ক্যান্সার হয়? এই প্রশ্নের উত্তরটি। তাই চলুন আজকে আমরা আলোচনার মাধ্যমে জেনে নিই আলসার থেকে কি ক্যান্সার হয়, এর উত্তর। পেটের আলসার সঠিক চিকিৎসার মাধ্যমে সম্পূর্ণরূপে সারিয়ে ফেলা যায় বা এই রোগ থেকে সেরে ওঠা যায় কিন্তু আপনি যদি সঠিক সময়ে সচেতন না হন এবং চিকিৎসা শুরু না করেন তাহলে,আলসার থেকে পায়খানার সাথে রক্ত এবং খাদ্য থলি ফুটা হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে আর এরপরেও যদি কোন চিকিৎসা না করানো হয় তাহলে সেখান অবশ্যই বাসা বাঁধতে পারে মরণ রোগ ক্যান্সার যার কারণে ভরতে পারে মৃত্যুও।

আলসার হলে কি ঔষধ খাব

আলসারের রোগীরা জানতে চান আলসার হলে কি ঔষধ খাব ? এর উত্তর হল হ্যাঁ , অবশ্যই আনসার হলে যত দ্রুত সম্ভব ডাক্তারি পরামর্শ গ্রহণ করতে হবে এবং সেই অনুযায়ী ঔষধ সেবন করতে হবে। যদি আলসারের ক্ষেত্রে অবহেলা করা হয় এবং ঔষধ বা চিকিৎসা গ্রহণ না করা হয় তাহলে এর থেকে সংক্রমণ বাড়বে এবং এর ফলে খাদ্যনালী ফুটা হয়ে যেতে পারে ও সৃষ্টি হতে পারে পাকস্থলী ক্যান্সার। পেটে হলে , ব্যথা নাশক এবং স্টেরয়েড জাতীয় ঔষধ গুলো সেবনের ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে কোনভাবেই এ জাতীয় ওষুধগুলো খাওয়া যাবে না।আনসার হলে দ্রুত সেরে ওঠার জন্য , যে সকল ওষুধগুলো সেবন করতে হবে , সেগুলো হল
  • এন্টাসিড
  • ওমিপ্রাজল
  • পেন্টপ্রাজল
  • লেন্সো প্রাজল
  • ইসোমিপ্রাজল
  • রেনিটিন
  • ফেমটিডিন
এই জাতীয় ওষুধগুলো সেবনের পাশাপাশি অবশ্যই স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে এবং ধূমপান সম্পন্ন রূপে বর্জন করতে হবে , এছাড়াও পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করতে হবে। আশা করছি আলসার হলে কি ঔষধ খাব এই প্রশ্নের উত্তরটি পেয়েছেন।
মন্তব্য, এই পোস্টটির মাধ্যমে আনসার সম্পর্কিত বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলো পেয়ে নিশ্চয়ই উপকৃত হয়েছেন। পোষ্টের ভেতরে দেয়া আলসারের লক্ষণ গুলো যদি আপনার থেকে থাকে তাহলে অবহেলা বা দেরি না করে যত দ্রুত ডাক্তারি পরামর্শ গ্রহণ করুন এবং প্রয়োজনীয় ওষুধগুলো গ্রহণের মাধ্যমে দ্রুত আলসার থেকে সুস্থ হওয়ার চেষ্টা করুন কেননা আলসারের সংক্রমণ বৃদ্ধি পেলে এখান থেকে তৈরি হতে পারে ক্যান্সার নামক মরণব্যাধি।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন

comment url