ফুসফুস ক্যান্সারের ১০টি লক্ষণ - ফুসফুস ক্যান্সার কি ভাল হয়

ফুসফুস ক্যান্সার অত্যন্ত জটিল এবং মারাত্মক একটি লোক এবং এর চিকিৎসা খরচও অনেক ব্যয়বহুল। প্রতিবছর প্রায় ৩০ লক্ষ মানুষ মারা যায় এই ফুসফুস ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মারা যায়।এই রোগে আক্রান্ত হতে পারে নারী-পুরুষ সবাই। তাই ফুসফুস ক্যান্সার সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য  আজকে আমরা জানবো ফুসফুস ক্যান্সারের লক্ষণ। এই পোস্টের মাধ্যমে আপনাদের জানাবো ফুসফুস ক্যান্সারের ১০টি লক্ষণ ও ফুসফুস ক্যান্সার কি ভাল হয় এই বিষয়গুলো সম্পর্কে।

আজকে আমরা আলোচনা করব  ফুসফুস ক্যান্সার সম্পর্কে। ফুসফুস ক্যান্সার সম্পর্কে সচেতন হওয়ার জন্য , ফুসফুস সংক্রান্ত যেকোনো সমস্যার ক্ষেত্রে সাবধান হতে হবে। ফুসফুসের ক্ষেত্রে সামান্য অসাবধানতাও হতে পারে ক্যান্সারের প্রধান কারণ। ফুসফুস ভালো রাখার ব্যাপারে সচেতন  হওয়ার জন্য আজ আপনাদের জানাবো -ফুসফুস ক্যান্সারের কারণ ,ফুসফুস ক্যান্সারের লক্ষণ ,ফুসফুস ক্যান্সার হলে করনীয় ,ফুসফুস ক্যান্সার কি ভাল হয় ইত্যাদি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো। এই পোস্টের মাধ্যমে আপনারা জানতে পারবেন ফুসফুস ক্যান্সারের ১০টি লক্ষণ এবং ফুসফুস ক্যান্সার কি ভাল হয় এই বিষয় দুটি বিস্তারিত ভাবে

সূচিপত্রঃ ফুসফুস ক্যান্সারের ১০টি লক্ষণ - ফুসফুস ক্যান্সার কি ভাল হয়

ফুসফুস ক্যান্সারের কারণ

শরীরের একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অর্গান হলো ফুসফুস , এই ফুসফুসের সাহায্যে আমরা শ্বাস-প্রশ্বাসের প্রধান কাজটি করে থাকি , আর এই ফুসফুসের একটি অত্যন্ত জটিল মারাত্মক অসুখ হলো ফুসফুস ক্যান্সার ।ফুসফুস যদি ক্যান্সার নামক হয় তাহলে, ফুসফুসের সেলগুলো অস্বাভাবিক বা অনিয়ন্ত্রিত ভাবে বাড়তে থাকে। আজকে আমরা আলোচনা করব এবং জানবো ফুসফুস ক্যান্সারের কারণ সম্পর্কে। আপনি যদি ফুসফুস ক্যান্সারের কারণগুলো না জেনে থাকেন তাহলে অবশ্যই এই বিষয়টি জেনে নিন।

তামাক সেবন হল ফুসফুস ক্যান্সার হওয়ার অন্যতম প্রধান কারণ।যেহেতু সিগারেটের মূল উপকরণ হলো তামাক সেক্ষেত্রে গবেষণায় দেখা গেছে যারা দীর্ঘদিন ধরে আনুমানিক প্রায়৩০-৪০ বছর ধরে , দিনে ২-৩ প্যাকেট সিগারেট সেবন করেন তাদের মধ্যে প্রায় ৮০-৯০ ভাগ লোকই ফুসফুস ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়। তামাক সেবন ছাড়াও অসংখ্য মানুষ ফুসফুস ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে থাকে, এর কারণ হলো

  • বংশগত কারণ
  • বায়ু দূষণ
  • শরীরে কেমিক্যাল প্রবেশ 
  • এক্সরে রেডিয়েশন

সাধারণত দেখা যায় বংশগত কারণে ফুসফুস ক্যান্সার হতে পারে এমনকি যারা এক্সরে রেডিয়েশন সেক্টরে কাজ করে থাকেন তাদের ক্ষেত্রে রেডিয়েশনের প্রভাবে ফুসফুস ক্যান্সারের ঝুঁকি বেড়ে যায়।এছাড়াও দূষিত বায়ু শরীরের প্রবেশ করলে সেক্ষেত্রে ফুসফুস ক্যান্সারের ঝুঁকি বেড়ে যায় বিশেষ করে যারা এ সকল দূষিত বায়ুর কারখানা গুলোতে শ্রমিক হিসেবে কাজ করে যেমন - রাবার , কয়লা , পেট্রোলিয়াম ইত্যাদি খনি গুলোতে কাজ করা শ্রমিকদের মধ্যে ফুসফুস ক্যান্সারের প্রবণতা বেশি দেখতে পাওয়া যায়।

ফুসফুস ক্যান্সারের লক্ষণ

ফুসফুস ক্যান্সারেরে কারণ গুলোতো আমরা জানলাম এবার আমরা জানবো ফুসফুস ক্যান্সারের লক্ষণ সম্পর্কে। আমরা যেকোন শারীরিক জটিলতায় মারাত্মক আকার ধারণ না করা পর্যন্ত সেটির ব্যাপারে সিরিয়াস হইনা , আর এর কারণ হলো যথাযথ জ্ঞানের অভাব। প্রথম থেকেই সচেতন না হলে ফুসফুস ক্যান্সারের শেষ পরিণতি হয় নিশ্চিত মৃত্যু। আর তাই এই ঘাতক রোগ ফুসফুস ক্যান্সারের লক্ষণ জানা অত্যন্ত জরুরি।ফুসফুস ক্যান্সারের লক্ষণ গুলো জানা না থাকার কারণে আমরা সময় মতন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারি না এবং যার ফলে পরিস্থিতি জটিল হয়ে যায় এবং যেখান থেকে আরোগ্য লাভ করা অসম্ভব হয়ে পড়ে। তাই চলুন আর জেনে নেওয়া যাক ফুসফুস ক্যান্সারের লক্ষণ সম্পর্কে। আজকে আমরা জানবো ফুসফুস ক্যান্সারের ১০টি লক্ষণ সম্পর্কে । নিচের অংশটুকু ভালোভাবে পড়ুন এবং জেনে নিন ,ফুসফুস ক্যান্সারের ১০টি লক্ষণ।

  1. নিঃশ্বাস নিতে অসুবিধা হওয়া এবং বিভিন্ন সময় নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে যাওয়া
  2. অধিকাংশ সময় প্রচন্ড কাশি হওয়া
  3. কাশির সময় বুকে ব্যথা করা
  4. কাশির সাথে রক্ত আসা
  5. বলার কণ্ঠস্বর পরিবর্তন হয়ে যাওয়া
  6. কাঁধের স্নায়ুতে সমস্যা হওয়া এবং মাংসপেশি দুর্বল হয়ে যাওয়া
  7. ক্ষুধা ,ওজন দুটোই কমে যাওয়া
  8. শরীর সবসময় ক্লান্ত লাগা
  9. গাইনেকোমেস্টিয়া রোগ হওয়া -এই রোগ হলে স্তনের টিসুগুলো বর্ধিত হতে থাকে যার ফলে , পুরুষদের স্তনও নারীদের মতন বড় হয়ে যায়। এটিও ফুসফুসের ক্যান্সারের একটি লক্ষণ।
  10. ফুসফুসের স্নায়ুর সাথে চোখের পাতার স্নায়ুর সংযোগ থাকার কারণে ফুসফুস ক্যান্সার হলে,চোখের পাতা দুর্বল অনুভব হয়

ফুসফুস ক্যান্সার প্রতিরোধ

দিন দিন ক্যান্সার রোগীর সংখ্যা ক্রমাগত হারে বেড়েই চলেছে , এর মধ্যে ফুসফুস ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগীর ব্যতিক্রম নয়। তাই ফুসফুসের ক্যান্সার রোধ করার জন্য আমাদেরকে অবশ্যই জানতে হবে, ফুসফুস ক্যান্সার প্রতিরোধ করার উপায়। তাই আজকে আমরা চলুন আলোচনার মাধ্যমে জেনে নিয়ে ফুসফুস ক্যান্সার প্রতিরোধ করার উপায়গুলো।

ধূমপান বর্জন করাঃ আপনারা ইত্যমধ্যে জেনেছেন যে তামাক সেবন হলো ফুসফুস ক্যান্সার হওয়ার প্রধান কারণ। তাই ফুসফুস ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে হলে অবশ্যই ধূমপান বর্জন করতে হবে। প্রতিবছর বিশ্বের বিপুল সংখ্যক মানুষ, তামাক সেবনের কারনে ফুসফুস ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন। তাই ফুসফুস ক্যান্সার প্রতিরোধ করার জন্য ধূমপান বর্জন করা অত্যন্ত জরুরী। শুধু ধূমপান বর্জনই নয় ধূমপান সেবনকারীর সঙ্গ বর্জন করতে হবে। কেননা , ফুসফুসের রোগে আক্রান্ত শুধু ধূমপানকারী নয় ধূমপান করার সময় এর আশেপাশে থাকা লোকজনও আক্রান্ত হতে পারে।

দূষিত বায়ু এড়িয়ে চলুনঃ ফুসফুসের যেকোন সমস্যা থেকে মুক্ত থাকবে এবং ফুসফুস ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে হলে ধূমপানের পাশাপাশি অবশ্যই দূষিত বায়ু এড়িয়ে চলতে হবে , কারণ অতিরিক্ত দূষিত বায়ুর প্রভাবেও ফুসফুস ক্যান্সার হয়ে থাকে। যে সকল স্থানে দূষিত বায়ুর প্রভাব বেশি সেই স্থানগুলোতে পারতপক্ষে কম যাতায়াত করতে হবে অথবা ঘর থেকে বের হওয়ার সময় ধুলোবালি,গাড়ির কালো ধোয়া ও দূষিত বায়ু প্রতিরোধ করার জন্য ফেস মাস্ক পরিধান করতে হবে।ফেস মাস্কের মাধ্যমে কিছুটা হলেও ফুসফুস ক্যান্সার প্রতিরোধ করা সম্ভব হবে।

আরো পড়ুনঃ ফুসফুস ভালো রাখার উপায়

খাদ্যাভ্যাসের পরিবর্তনঃ ফুসফুস ক্যান্সার প্রতিরোধ করার জন্য অবশ্যই আপনাকে খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন আনতে হবে। অস্বাস্থ্যকর, অতিরিক্ত তেল চর্বি , ভাজাপোড়া , ফাস্টফুড ইত্যাদি খাবার গুলো  পরিহার করে স্বাস্থ্যসম্মত এবং যেসব খাবারগুলোতে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে , খাদ্য তালিকায় সেই খাবারগুলো যুক্ত করতে হবে।

ক্যান্সার প্রতিরোধী খাবার খেতে হবেঃ ফুসফুস ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে হলে অবশ্যই ক্যান্সার প্রতিরোধী খাবার গুলো খাদ্য তালিকায় রাখতে হয়। ফুসফুস ক্যান্সার প্রতিরোধ করার জন্য বিশেষ কার্যকরী খাবার গুলো হলো - আপেল , আঙ্গুর , আনারস , কলা , পেয়ারা , মিষ্টি কুমড়া , ব্লকলি , লাল ক্যাপসিকাম , পালং শাক , রসুন , আদা ইত্যাদি খাবার গুলো বিশেষ উল্লেখযোগ্য। এছাড়াও ফুসফুস ক্যান্সার প্রতিরোধ করার জন্য ওমেগা থ্রি , ভিটামিন ই,ডি এবং সি যুক্ত খাবার গুলো বেশি বেশি খেতে হবে।

গ্রিন টি পান করুনঃ ফুসফুসের সুরক্ষা এবং ফুসফুস ক্যান্সার প্রতিরোধ করার জন্য নিয়মিত দুইবেলা গ্রিন টি পানের অভ্যাস করুন। কারণ গ্রিন টি ফুসফুসের ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে সাহায্য করুন। গ্রিন টি শুধু ফুসফুসের ক্যান্সার নয় শরীরের অন্য যেকোন ক্যান্সার প্রতিরোধেও বিশেষ কার্যকরী ভূমিকা পালন করে থাকে। গ্রিন টির ভেতরে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ফুসফুস ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে সাহায্য করুন। এবং গবেষণায় দেখা গেছে , যারা নিয়মিত গ্রিন টি পান করে তাদের তুলনায় গ্রিন টি পান না করা ব্যক্তিদের ফুসফুস ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার সংখ্যা বেশি।

এছাড়াও ফুসফুস ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে হলে , ফুসফুসের যে কোন সমস্যায় অবহেলা করে দ্রুত ডাক্তারি পরামর্শ গ্রহণ করতে হবে , আর যেহেতু জেনেটিক্যালি ফুসফুস ক্যান্সার হয়ে থাকে তাই যাদের আত্মীয়-স্বজন অথবা বংশের কারো ফুসফুস ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার রেকর্ড রয়েছে তারা ছয় মাস অথবা বছরে একবার রেগুলার চেকআপের জন্য ফুসফুস পরীক্ষা করাতে পারেন , এতে প্রয়োজন অনুসারে ফুসফুসের ক্যান্সারের বিরুদ্ধে সঠিক সময়ে চিকিৎসা গ্রহণ করতে পারবেন।

ফুসফুস ক্যান্সার হলে করনীয়

ফুসফুস এর মাধ্যমে শ্বাস-প্রশ্বাসের প্রধান কাজটি পরিচালিত হয়ে থাকে এবং ফুসফুস বিভিন্ন কারনে, বিভিন্ন ভাবে ক্যান্সারে আক্রান্ত হতে পারে ,তাই আমাদের জানে রাখতে হবে ফুসফুস ক্যান্সার হলে করনীয় সম্পর্কে। ফুসফুস ক্যান্সার হল অত্যন্ত মারাত্মক এবং জটিল একটি রোগ। আর এই রোগের ক্ষেত্রে সামান্য অবহেলা বা অসচেতনতা হতে পারে মৃত্যুর কারণ তাই আসুন আমরা জেনে নিয়ে খুব খুশ ক্যান্সার হলে করণীয় সম্পর্ক। যদি শারীরিক লক্ষণ দেখে অথবা অন্য কোন ভাবে আপনি বুঝতে পারেন যে , আপনার ফুসফুস ক্যান্সারে আক্রান্ত তাহলে দেরি না করে যত দ্রুত সম্ভব একজন ভালো ফুসফুস ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ এর বিশেষ শরণাপন্ন হওয়া উচিত।

এরপর ডাক্তার বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষার পরে যে পরামর্শ দিবে , সেই পরামর্শ অনুযায়ী আপনাকে পরবর্তী ধাপের জন্য অগ্রসর হতে হবে। আপনার ফুসফুস ক্যান্সারের সেলগুলো বা টিউমার যদি প্রাথমিক অবস্থায় থাকে তাহলে, ডক্টর আপনাকে সরাসরি সার্জারির জন্য সাজেস্ট করবে । আর যদি আপনার ক্যান্সার ছড়িয়ে পড়ে বা সেকেন্ড গ্রেডে থাকে , তাহলে সেক্ষেত্রে রেডিয়েশন থেরাপির মাধ্যমে ক্যান্সার নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করবে। অনেক সময় রেডিয়েশন থেরাপি এবং কেমোথেরাপি একসাথে চিকিৎসা দিয়ে থাকেন চিকিৎসাক।

 ফুসফুস ক্যান্সার কি ভাল হয়

ফুসফুস ক্যান্সারের রোগীরা প্রায় সময়ই একটি প্রশ্ন করে থাকেন যে ফুসফুস ক্যান্সার কি ভাল হয় ? তাই চলুন আজকে আপনাদেরকে ফুসফুস ক্যান্সার কি ভাল হয় এই প্রশ্নের উত্তরটি জানানোর চেষ্টা করা যাক। আমাদের সকলের মাঝেই ক্যান্সার হলো একটি আতঙ্কের নাম , তাই ক্যান্সার নিয়ে আতঙ্কিত হওয়াটা স্বাভাবিক। কিন্তু আমাদের উচিত আতঙ্কিত না হয়ে ফুসফুস সহ বিভিন্ন ক্যান্সার সম্পর্কে ভালোভাবে জেনে রাখা। ফুসফুস ক্যান্সারের মাত্রা বা তীব্রতা চারটি স্তরে ভাগ করা হয়েছে। আগেকার দিনে মনে করা হতো ফুসফুস ক্যান্সার কোনভাবেই নিরাময় যোগ্য নয় এটি শুধু প্রতিরোগযোগ্য। কিন্তু বর্তমানে চিকিৎসা পদ্ধতির অগ্রগতির কারণে সঠিক সময়ে যদি ফুসফুস ক্যান্সারের চিকিৎসা করানো যায় তাহলে অবশ্যই এটি নিরাময় যোগ্য।

আরো পড়ুনঃ হার্ট ভালো রাখার উপায়

তবে ফুসফুস ক্যান্সার কি ভালো হয় এই প্রশ্নের উত্তরের সাথে জড়িয়ে আছে ফুসফুস ক্যান্সারের চিকিৎসা কখন শুরু করলে সেটি নিরাময় যোগ্য হবে। ফুসফুস ক্যান্সারের চারটি স্টেজ এর মধ্যে প্রথম স্টেজ থেকে তৃতীয় স্টেজের মধ্যে যদি সঠিক নিয়মে সার্জারি ,রেডিয়েশন থেরাপি অথবা কেমোথেরাপির মাধ্যমে চিকিৎসা শুরু করানো যায় তাহলে ফুসফুস ক্যান্সার থেকে নিরাময় সম্ভব। তবে যদি আপনার অবহেলা বা অসচেতনতার কারনে ফুসফুস ক্যান্সার কোনভাবে চতুর্থ স্টেজে পৌঁছে যায় তাহলে এখান থেকে আর কোনোভাবেই নিরাময় সম্ভব নয়। তবে বর্তমানে চিকিৎসা পদ্ধতি অনেক উন্নত হওয়ায় বিভিন্ন দেশে ফুসফুস প্রতিস্থাপনের পদ্ধতি ও চালু হয়েছে। আশা করছি ফুসফুস ক্যান্সার কি ভালো হয় এই প্রশ্নের উত্তরটি পেয়েছেন।

ফুসফুস ক্যান্সারের চিকিৎসা খরচ 

সার্জারি বা চিকিৎসার মাধ্যমে ফুসফুস ক্যান্সার নিরাময় যোগ্য হলেও এর চিকিৎসা খরচ অনেকটাই ব্যয়বহুল, যেটি মধ্যবিত্ত এবং নিম্নবিত্ত ফ্যামিলির জন্য অত্যন্ত দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। তাই আজকে আমরা এ পোষ্টের মাধ্যমে ফুসফুস ক্যান্সারের চিকিৎসা খরচ সম্পর্কে জানবো। চিকিৎসা পদ্ধতি অনেক উন্নত হওয়ায় ইউএসএ , যুক্তরাজ্য , অস্ট্রেলিয়া সহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে ভারতের চিকিৎসা গ্রহণের জন্য সুবিধা যাতায়াত করে। বাংলাদেশ থেকেও প্রতিবছর অসংখ্য মানুষ চিকিৎসা গ্রহণের জন্য ভারতে গমন করেন। 

আরো পড়ুণ ঃ কোলন ইনফেকশনের লক্ষণ

আপনি যদি আক্রান্ত হন তাহলে উন্নত এবং ভালো চিকিৎসা পাওয়ার জন্য প্রতিবেশী দেশ ভারতে ফুসফুস ক্যান্সারের চিকিৎসা বা সার্জারি করাতে পারেন। আজকে আমরা ভারত সহ বিশ্বের আরো কয়েকটি দেশের ফুসফুস ক্যান্সারের চিকিৎসা খরচ সম্পর্কে জানব। forerunnershealthcare.com নামক ওয়েবসাইট থেকে আমরা জানতে পেরেছি যে , ফুসফুস ক্যান্সারের ধরন এবং স্টেজ অনুযায়ী এর চিকিৎসা খরচ হতে পারে প্রায় ৪ লাখ রুপি থেকে ৬ লাখ রুপি পর্যন্ত। এবং ভারতে ক্যান্সার প্রতিস্থাপনের আনুষঙ্গিক খরচ বাদে চিকিৎসা খরচ হলো ১৮ লক্ষ রুপি থেকে ২৫ লক্ষ রুপি এবং ক্যান্সারের ধরন ও ট্রেজ অনুযায়ী বিভিন্ন দেশের চিকিৎসা পদ্ধতিতে এর খরচ আনুমানিক,

  • আমেরিকা  $15000 থেকে $22000
  • যুক্তরাজ্য $18000 থেকে $26000
  • থাইল্যান্ড $6000 থেকে $6000
  • সিঙ্গাপুর $8000 থেকে $10000

মন্তব্য , পোস্টটি ভালোভাবে পড়ার মাধ্যেমে এতক্ষনে নিশ্চয় জেনে নিয়েছেন ফুসফুস ক্যান্সারের ১০টি লক্ষণ এবং ফুসফুস ক্যান্সার কি ভাল হয় ইত্যাদি বিষয়গুলো। নিউমোনিয়া , ব্রংকাইটিস ,শ্বাসকষ্ট  ইত্যাদি সমস্যার জন্য শুরু থেকে সচেতন হন এবং তামাক সেবন বন্ধ করার মাধ্যমে আপনার ফুসফুসকে ক্যান্সারের হাত থেকে রক্ষা করুন।আশা করছি , ফুসফুস ক্যান্সারের লক্ষণ গুলো জেনে আপনি উপকৃত হয়েছেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন

comment url