গর্ভাবস্থায় কি কি সবজি খাওয়া যাবে না - ছেলে সন্তান পেটের কোন দিকে নড়ে
আপনি যদি প্রথমবার প্রেগনেন্ট হন বা না জেনে থাকেন গর্ভাবস্থায় কোন কোন বিষয় গুলো জানা উচিত তাহলে এই পোস্টটি পড়ুন কারন, এ পোস্টের মাধ্যমে আপনি জানতে পেরে যাবেন গর্ভাবস্থায় কি কি সবজি খাওয়া যাবে না ও ছেলে সন্তান পেটের কোন দিকে নড়ে এই বিষয়ে পাশাপাশি আরো গুরুত্বপূর্ণ বেশ কয়েকটি বিষয়,যেমন - গর্ভাবস্থায় কি কি কাজ করা নিষেধ ,গর্ভাবস্থায় কি কি সমস্যা হয় এবং ঘরে বসেই জানতে পারবেন গর্ভের সন্তান ছেলে না মেয়ে।
সূচিপত্রঃ গর্ভাবস্থায় কি কি সবজি খাওয়া যাবে না - ছেলে সন্তান পেটের কোন দিকে নড়ে
- ছেলে সন্তান পেটের কোন দিকে নড়ে
- গর্ভের সন্তান ছেলে না মেয়ে সহজ ঘরোয়া পরিক্ষায় জেনে নিন
- গর্ভাবস্থায় কি কি সবজি খাওয়া যাবে না
- গর্ভাবস্থায় কি কি কাজ করা নিষেধ
- গর্ভাবস্থায় কি কি সমস্যা হয়
ছেলে সন্তান পেটের কোন দিকে নড়ে
পেটের সন্তান ছেলে নাকি মেয়ে এটি জানার কৌতুহল প্রতিটি বাবা মায়ের ভেতরেই জাগে , কিন্তু বর্তমানে সরকার বিভিন্ন পারিবারিক জটিলতা রোধের জন্য ,ভূমিষ্ঠ হওয়ার আগে সন্তান ছেলে না মেয়ে এটি জানার ব্যাপারে নিষেধ জারি করায় ,পেটের সন্তান ছেলে না মেয়ে অনেক সময় জানা হয়ে ওঠে না।তাই বাচ্চার নড়াচড়া দেখে কিভাবে ছেলে না মেয়ে হবে বুঝবেন তা জানাবো ।আজ আপনাদের বলবো ছেলে সন্তান পেটের কোন দিকে নড়ে। অনেকেই জানেন না ছেলে সন্তান পেটের কোন দিকে নড়ে।যারা জানেন না তারা জেনে নিন ছেলে সন্তান পেটের কোন দিকে নড়ে।
পেটে যদি ছেলে সন্তান থেকে থাকে তাহলে বাচ্চার নড়াচড়া ডান দিকে অনুভব হয় এবং পেটের ডান দিক ভারী মনেহয়। পেট নিচের দিকে ঝুলে থাকে এবং পেট অতিরিক্ত ভারী বোধ হয়না। এছাড়াও ছেলে সন্তান হলে.৪-৫ মাসেই নড়াচড়া করে এবং পাশাপাশি জোরে লাথি মারে। পক্ষান্তরে পেটে মেয়ে বাচ্চা থাকলে নড়াচড়া বাম দিকে অনুভব হয়। ছেলে সন্তান পেটের কোন দিকে নড়ে বুঝতে পেরেছেন আশা করি।
গর্ভের সন্তান ছেলে না মেয়ে সহজ ঘরোয়া পরিক্ষায় জেনে নিন
প্রথম হোক বা দ্বিতীয় ,গর্ভের সন্তান ছেলে না মেয়ে এ নিয়ে কৌতুহল শুধু বাবা-মায়ের থাকে না , এ বিষয়ে জানার আগ্রহ থাকে নবাগত শিশুর পরিবারের সবার। আমাদের নানী - দাদী মুখে শোনা এমন বেশ কয়েকটি প্রচলিত প্রথা রয়েছে যেগুলোর মাধ্যমে ঘরোয়া ভাবে আপনি জেনে নিতে পারবেন গর্ভের সন্তান ছেলে না মেয়ে।আজ আপনাদের জানাবো গর্ভের সন্তান ছেলে না মেয়ে তা জানার প্রচলিত প্রথা গুলো।এবার তহলে প্রচলিত প্রথা গুলো গর্ভের সন্তান ছেলে না মেয়ে সহজ ঘরোয়া পরিক্ষায় জেনে নিন।গর্ভের সন্তান ছেলে না মেয়ে তা সহযে আপনি বুঝতে পারবেন বেশ কিছু লক্ষণ দেখে এই লক্ষণ গুলো হল,
খাবারের প্রতি আগ্রহঃ কোন ধরনের খাবারের ওপরে বিশেষ আগ্রহ জন্মাচ্ছে তা
দেখে গর্ভের সন্তান ছেলে না মেয়ে হবে তা বোঝা যায় , যেমন গর্ব অবস্থায় যদি
মিষ্টি বা মিষ্টি জাতীয় খাবারের প্রতি আকর্ষণ বেড়ে যায় তাহলে ধরে নেওয়া হয়
মেয়ে হবে আর যদি মসলাযুক্ত বা ঝাল খাবারের উপরে আগ্রহ বেড়ে যায় সে ক্ষেত্রে
ছেলে হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
হার্টবিটঃ হার্টবিট বা পালস রেট দেখেও আপনি বুঝতে পারবেন সন্তান ছেলে না মেয়ে হতে
চলেছে। আপনার হার্টবিট যদি ১৪০ বা এর বেশি মনে হয় তাহলে সে ক্ষেত্রে মেয়ে
হওয়া সম্ভব না থাকে , আর যদি পাল্টে ১৪০ এর কম হয় সে ক্ষেত্রে সম্ভাবনা থাকে
ছেলে হওয়ার।
উইকনেসঃ বমি ভাব বা উইকনেস এর ব্যাপারটি গর্ভাবস্থায় অত্যন্ত স্বাভাবিক , তবে
সকালের দিকে উইকনেস ,বমি বা বিভিন্ন সমস্যা দিনের অন্যান্য সময় তুলনায়
বেশি অনুভব করেন তাহলে মেয়ে হবে আর যদি সকালে উইকনেস না হয় তাহলে ছেলে হবে
ধরে নেয়া যায়।
আরো পড়ুণঃ গর্ভাবস্থায় খেজুর খাওয়ার উপকারিতা।
পেটে বাচ্চার অবস্থানঃপেটে বাচ্চার অবস্থান যদি আপনার কাছে ডান দিকে মনেহয় তাহলে
বুঝবেব ছেলে আর বাচ্চার অবস্থান বামে বা পুরো পেট জুড়ে মনেহলে বুঝবেন মেয়ে।এছাড়াও
পেট অতিরিক্ত ভারী হলে মেয়ে এবং হাল্কা হলে ছেলে।
স্তনের আকারঃ অনেক সময় মেয়ে বাচ্চা গর্ভে থাকলে গর্ভাবস্থায় ডান স্তনের চেয়ে বাম স্তন একটু বড় হয় আর গর্ভে ছেলে থাকলে বাম স্তনের চেয়ে ডান একটু স্তন বড় হয়।
বিছানায় শোয়ার স্বাচ্ছন্দঃ বিশ্রাম বা ঘুমের সময় কোন পাশে শুতে আপনি বেশি স্বাচ্ছন্দ বোধ করছেন তারপরে যাচাই করে বোঝা যায় গর্ভের সন্তানের লিঙ্গে। বিছানায় আপনি যদি ডান পাশে ঘুরে শুতে বেশি স্বাচ্ছন্দ করেন তাহলে ছেলে আর যদি বাম পাশে শুতে পছন্দ করেন তাহলে মেয়ে হবে।
ত্বকের সমস্যায় এবং সুন্দর্যঃ মেয়ে সন্তান হলে ত্বকের সুন্দর্য অনেটায় নষ্ট
হয়ে যায় যেমন -ত্বকের বিভিন্ন সাদা স্পট দেখা দেওয়া , ত্বক অতিরিক্ত
শুষ্ক হয়ে যাওয়া , ব্রণ হওয়া ইত্যাদি। গর্ভে ছেলে সন্তান
থাকলে সেক্ষেত্রে মায়ের চেহারা সুন্দর , লাবণ্যময় হয়ে উঠতে দেখা যায়।
তবে মনে রাখবেন উপরে দেওয়া সব পদ্ধতি গুলো প্রচলিত ,এগুলোর সাইন্টিফিক বা শরীয়ত সম্মত কোন প্রমান নেই। তাই এই লক্ষাণ গুলো দেখে ছেলে/মেয়ে হবে মনে প্রাণে বিশ্বাস করে নেয়া উচিত নয়। গর্ভের সিন্তাচ ছেলে না মেয়ে তা সঠিক ভাবে জানার জন্য আল্ট্রসনোগ্রাফির সাহায্য নিতে পারেন, কিন্তু পারিবারিক বিভিন্ন জটিলতা এড়ানোর জন্য বাংলাদেশ সরকার এ বিষয়টি নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। তাই গর্ভের সন্তান ছেলের না মেয়ে এই বিষয়ে অতিরিক্ত চিন্তা বা দুশ্চিন্তা না করে উপরওয়ালার ছেড়ে দেওয়াই ভালো এবং আল্লাহ যাকে যে সন্তান দেবেন সেটিতে সন্তুষ্ট থাকা উচিত।
গর্ভাবস্থায় কি কি সবজি খাওয়া যাবে না
আপনারা সবাই জানেন শরীরের জন্য সবজি খুবই উপকারী , কিন্তু আপনারা কি জানেনে এমন কিছু সবজি আছে যেগুলো গর্ভাবস্থায় খাওয়া ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে।গর্ভাবস্থায় কি কি সবজি খাওয়া যাবে না ,এই বিষয়ে সঠিক ভাবে জেনে রাখা একজন গর্ভাবতী মায়ের জানা খুবই জরুরি। তাই আজ আপনাদের জানাবো গর্ভাবস্থায় কি কি সবজি খাওয়া যাবে না।গর্ভাবস্থায় যে যে সবজি গুলো ক্ষতির কারণ হতে পারে সেগুলো হলো,
আরো পড়ুণঃ গর্ভাবস্থায় মুড়ি খেলে কি হয়
করলা,সজনে পাতা বা ডাটা ,পেঁপে ,বেগুন , এলোভেরা গর্ভাবস্থায় এই কয়েকটি সবজি পরোপুরি এড়িয়ে চলার পাশাপাশি যেকোন প্রকারের কাঁচা সবজি ,ভালভাবে না ধোয়া সবজি সম্পূন্নরূপে বাদ দিতে হবে কারন, গর্ভাবস্থায় শরীরের ইমিউনিটি কম থাকায় এ ধরনের সজির মাধ্যমে বিভিন্ন রোগের সংক্রামিত হতে পারে।আশা করছি গর্ভাবস্থায় কি কি সবজি খাওয়া যাবে না বুঝতে পেরেছেন।
গর্ভাবস্থায় কি কি কাজ করা নিষেধ
গর্ভাবস্থায় নারীদের মানসিক এবং শারীরক বিভিন্ন পরিবর্তন হয়। এ সময় খুবই সাবধান এবং সতর্ক থাকতে হয়। সাংসারিক জীবনে ঘরের খুঁটিনাটি কাজ থেকে বিভিন্ন ধরণের কাজ করতে হয়, কিন্তু এমন কিছু কাজ আছে যেগুলো গর্ভাবস্থায় করলে বাচ্চার ক্ষতি হতে পারে , তাই জানতে হবে গর্ভাবস্থায় কি কি কাজ করা নিষেধ।আপনি যদি না জেনে থাকেন গর্ভাবস্থায় কি কি কাজ করা নিষেধ তাহলে বিষয়টি এখুনি জেনে নিন।
- অনেক শক্তিদিয়ে করতে হয় এমন কাজ
- মাটিতে ঝুঁকে কোনা কাজ না করা
- পেটের উপর চাপ পড়ে এমন কাজ না করা
- অতিরিক্ত ভারী কিছু কোথাও নিয়ে যাওয়া বা ভারী জিনিস মাটি থেকে ওঠানো।
- হিল লাগানো জুতা স্যান্ডের না পরা
- ২০- ৩০ মিনিটের বেশি বা অনেকক্ষন দঁড়িয়ে থাকতে হয় এমন কাজ না করা
- রাসায়নিক পদার্থ যুক্ত দ্রব্য বা এসিড জাতীয় দ্রব্য দিয়ে কোন কিছু পরিষ্কার না করা বা এসিড জাতীয় দ্রব্য ব্যবহার না করা।
- ক্যাফেইন , ধূমপান ,এলকোহল জাতীয় খাবার এড়িয়ে চলা
- ডাক্তারি পরামর্শ ছাড়া কোন ঔষধ সেবন না করা
গর্ভাবস্থায় কি কি সমস্যা হয়
আপনারা সবাই জানেন গর্ভাবস্থায় হরমোনাল পরিবর্তনের কারনে শারীরিক অনেক পরিবর্তন হয়।এই সময় মেয়েরা বিষেশ এর পরিস্থিতি মধ্যে দিয়ে দিন কাটায়। গর্ভাবস্থায় মুড সুইং থেকে শুরু করে বিভিন্ন ধরনের আসুবিধার সম্মখিন হতে হয়।গর্ভাবস্থায় কি কি সমস্যা হয় ফেস করতে হয় তা হয়ত যারা প্রথম বারের মতন মা হতে চলেছেন তারা অনেকেই জানেন না।তাই যারা প্রথম বার মাতৃত্বের স্বাধ নিতে চলেছেন তারা জেনে নিন গর্ভাবস্থায় কি কি সমস্যা হয়।
- মাথা ঘোরা
- বমি ভাব
- শারীর দূর্বল ও ক্লান্ত ভাব
- কোমর ব্যাথা
- মাথাব্যাথা
- পিঠের দিকে ব্যাথা
- হাত পা কামড়ানো
- রক্ত শূন্যতা
- পেটে এসিডিটির মাত্রা বেড়ে যাওয়া
- ইউরিন ইনফেকশন
- ডায়াবেটিস
- রক্তচাপ বেড়ে যাওয়া
- পা ফোলা বা পায়ে পানি জমা
- কোষ্ঠকাঠিন্য
- অতিরিক্ত সাদা স্রাব
গর্ভাবস্থায় এসব সমস্যা গুলো খুবই কমন ,তবে এ সমস্যার পাশাপাশি যাদি গর্ভাবতী মা চোখে ঝাপসা দেখে , অতিরিক্ত জ্বর , রক্তক্ষরণ ,খিচুনির মতন সমস্যা দেখা দেয় ,তাহলে যত দ্রুত সম্ভব নিকটস্থ এবং গাইনি ডাক্তারের পরামর্শ গহন করুন।
আরো পড়ুন ঃ কতটুকু সাদা স্রাব হওয়া স্বাভাবিক
মন্তব্য, এতক্ষনে নিশ্চয় আপনারা জেনে গেছেন গর্ভাবস্থায় কি কি সবজি খাওয়া যাবে না এবং ছেলে সন্তান পেটের কোন দিকে নড়ে। গর্ভাবস্থায় মা ও বাচ্চার সুস্বাস্থ্যের জন্য সতর্কতার সাথে চলুন এবং উপরওয়ালা যে সন্তানই দিক না কেন তাতেই খুশি থাকুন।