রাতে ঘুম না আসার রোগের নাম - রাতে ঘুম না হলে করনীয়

সুস্থভাবে বেঁচে থাকার জন্য সঠিক মাত্রায় অত্যন্ত জরুরী কারণ, পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুম না হওয়ার জন্য-হাই প্রেসার , হার্টের সমস্যা , লিভারের সমস্যা সহ বিভিন্ন ধরনের শারীরিক জটিলতার সম্মুখীন হতে হয়।কিন্তু এমন অনেক মানুষ আছে যারা রাতে তাড়াতাড়ি ঘুমাতে চাইলেও ঘুমাতে পারেন না, তাই আজকে আমরা এই পোস্টের মাধ্যমে জানবো রাতে ঘুম না আসার রোগের নাম ও রাতে ঘুম না হলে করনীয়  বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত।

আপনি যদি রাতে ঘুম না আসার সমস্যায় ভুগে থাকেন তাহলে আজকের এই পোস্টটি আশা করছি আপনার অনেক উপকারে আসবে কারণ , এই পোস্টের মাধ্যমে আপনাদের জানাবো রাতে ঘুম না আসার রোগের নাম এবং রাতে ঘুম না হলে করনীয় বিষয়সহ কোন ভিটামিনের অভাবে ঘুম কম হয় , রাতে তাড়াতাড়ি ঘুমানোর উপায় ,রাতে ঘুম না আসার কারণ সম্পর্কিত বিভিন্ন তথ্য। তাই ঘুমের সমস্যা সমাধানের জন্য অবশ্যই সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।

সূচিপত্র ঃ রাতে ঘুম না আসার রোগের নাম - রাতে ঘুম না হলে করনীয়

রাতে ঘুম না আসার কারণ

রাত হলো ঘুমানোর জন্য , কারণ ঘুমের মাধ্যমে আমাদের শরীরের অনেক সমস্যা দূর হয়ে যায়  এবং  শরীর সুস্থ রাখতে ঘুমের কোন বিকল্প নেই। কিন্তু এমন অনেক মানুষ দেখতে পাওয়া যায় যাদের রাতের বেলা ঠিক মতন ঘুম আসে না, আবার অনেকের ঘুম আসলেও কিছুক্ষণ পরে তা ভেঙ্গে যায় এবং দ্বিতীয়বার আর ঘুম আসতে চায় না। আপনাদের কি জানা আছে রাতে ঘুম না আসার কারণ কি হতে পারে এই বিষয়ে। যদি রাতে ঘুম না আসার কারণ সম্পর্কে আপনার জানা না থাকে তাহলে  আলোচনার মাধ্যমে জেনে নেওয়া যাক রাতে ঘুম না আসার কারণগুলো।

স্ট্রেস ,মানসিক চাপ ও দুশ্চিন্তাঃ রাতে ঘুম না আসার প্রধান কারণ হতে পারে স্ট্রেস ,মানসিক চাপ ও দুশ্চিন্তা। স্ট্রেস ,মানসিক চাপ ও দুশ্চিন্তা এই বিষয়গুলো আপনার - আমার ঘুমকে প্রভাবিত করতে পারে। আমরা বিভিন্ন সময় সাংসারিক , অফিসিয়াল চাপ , পড়াশোনা সহ বিভিন্ন কারণে স্ট্রেস ,মানসিক চাপ ও দুশ্চিন্তায় থাকি আর এ বিষয়গুলো রাতে ঘুম না হওয়ার অন্যতম কারণ হয়ে দাঁড়ায়।

পর্যাপ্ত পানি পান না করাঃ প্রায় বিশ হাজার মানুষের উপরে গবেষণা করে দেখা গেছে রাতে ঘুম না আসার আরেকটি অন্যতম প্রধান কারণ হলো ডিহাইড্রেশন , অর্থাৎ শরীরে যদি পর্যাপ্ত পানি না থাকে বা পানির ঘাটতি থাকে তাহলে এটি ঘুম আসার ক্ষেত্রে সমস্যার সৃষ্টি করে আর যার ফলে অনিদ্রার সমস্যা দেখা দেয়। গবেষণায় দেখা গেছে যে যাদের ডিহাইড্রেট থাকে তারা অনিদ্রার সমস্যায় কম হবেন এবং এদের রাতে ভালো ঘুম হয়।

ক্যাফেইন বা নিকোটিন জাতীয় পানীয় পান করাঃ অতিরিক্ত পরিমাণে চা ,কফি বা এই জাতীয় ক্যাফেইন বা নিকোটিন জাতীয় পানীয় পান করার কারণে রাতে ঘুম না আসার সমস্যা তৈরি হয়। আমরা বিভিন্ন সময় ক্লান্তি এবং মানসিক চাপ এমনকি কোন কারণ ছাড়াও দিনের মধ্যে বেশ কয়েক কাপ যা চা কফি পান করি। অতিরিক্ত চা, কফি পান করা শরীরের পক্ষে উপকারিতার চেয়ে অপকারিতা বেশি করে থাকে এবং পাশাপাশি সৃষ্টি করে রাতে ঘুম না আসার সমস্যা।

ইলেকট্রিক ডিভাইসঃ প্রযুক্তি নির্ভর হওয়ায় বর্তমানে আমরা বিভিন্নভাবে ইলেকট্রিক ডিভাইস গুলোর উপরে নির্ভরশীল। এই ইলেকট্রিক ডিভাইস গুলো খুব সহজে বিভিন্ন কাজ সম্পন্ন করতে আমাদের সাহায্য করলেও এই ডিভাইস গুলো রাত্রে বেলা সঠিক ভাবে ঘুম না হওয়ার এবং ঘুম না আসার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। অর্থাৎ বিভিন্ন ধরনের ইলেকট্রিক ডিভাইস বিশেষ করে - ল্যাপটপ , মোবাইল ফোন , কম্পিউটার এগুলো রাত্রেবেলা ঘুম না আসার কারন ,কেননা এই যন্ত্রগুলো আমাদের মস্তিষ্ক এবং চোখ দুটোকেই উত্তেজিত করে যার ফলে অনিদ্রার সমস্যা দেখা দেয়।

আরো পড়ুনঃ ভিটামিন বি এর অভাবে কোন রোগ হয়

ঘুমের পরিবেশ ঠিক না থাকাঃ রাত্রে বেলা ঘুম না আসার আরেকটি কারণ হতে পারে ঘুমের পরিবেশ ঠিক না থাকা। অর্থাৎ ঘুমানোর ঘর , স্থান বা বিছানা যদি উপযুক্ত না হয় বা অতিরিক্ত গরম হয় তাহলে সেই ক্ষেত্রে রাত্রে বেলা ঘুম আসতে অসুবিধা হতে পারে।

শারীরিক রোগঃ রাতে ঘুম না আসার কারন হতে পারে শরীরের কিছু সমস্যা বা শারীরিক রোগ যেমন-কিডনি , লিভার , হার্ট , প্রোস্টেট ,ফুসফুস, পেটের এসিডিটি ,মেনপোজ ইত্যাদি রোগের কারণেও রাতে ঘুম না আসার সমস্যা হতে পারে।

ওষুধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াঃ শারীরিক অসুস্থতার কারণে ঔষধ সেবনের ফলে অনেক সময় বিভিন্ন ধরনের ওষুধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হিসেবেও রাতে ঘুম না আসার সমস্যা লক্ষ্য করা যায়।

রাতে ঘুম না আসার রোগের নাম

অনেক মানুষেরই রাতে ঘুম না আসার সমস্যার কথা শোনা যায় এবং আপনাদের মধ্যেও হয়তো এমন কিছু মানুষ আছে যারা রাতে ঘুম না আসার সমস্যায় ভুগছেন। আপনার কি জানেন রাতে ঘুম না আসার যেই সমস্যাটাকে আমরা সাধারণ সমস্যা ভেবে থাকি , আসলে তা হলো এক ধরনের রোগ? এবং এই রোগে আক্রান্ত বিশ্বের প্রায় ৩০ শতাংশ বা তারও বেশি মানুষ।অনেকেই আছেন যারা রাতে ঘুম না আসার রোগের নাম জানেন না, তাদেরকে আজকে জানাবো এই রোগের নামটি।তাহলে চলুন আর দেরী না করে রাতে ঘুম না আসার রোগের নাম জেনে নেয়া যাক।

রাতে ঘুমাতে সমস্যা হওয়ার বা রাতে ঘুম না আসার রোগের নাম হলো "ইনসমেনিয়া" যাকে আমরা সাধারণভাবে অনিদ্রা বলে থাকি।এই ইনসমেনিয়া বা অনিদ্রা নামক রোগে শিশু-বৃদ্ধ সহ যেকোনো বয়সের মানুষ।ইনসমেনিয়া কারণে মেজাজ খিটখিটে , কাজ করার ইচ্ছা কমে যাওয়া , সারাদিন শরীর ক্লান্ত লাগা , সব সময় ঘুম ঘুম ভাব থাকা , স্মৃতিশক্তি লোপ পাওয়া এবং হ্যালুসিনেশন সহ শারীরিক ভাবে অনেক ধরনের সমস্যা সম্মুখীন হতে হয়। অনেকে আবার ইনসমেনিয়া বা অনিদ্রা থেকে মুক্তির জন্য ঘুমের ওষুধ যা শরীরের উপরে মারাত্মক প্রভাব ফেলে।

কোন ভিটামিনের অভাবে ঘুম কম হয়

আপনারা জানেন বা জেনেছেন রাতে ঘুম না হওয়া হলো এক ধরনের রোগ , কিন্তু আপনারা কি জানেন কোন ভিটামিনের অভাবে ঘুম কম হয় বা অনিদ্রার সমস্যা হয়।অনেকেরই হয়ত জানা নেয় কোন ভিটামিনের অভাবে ঘুম কম হয় ।তাই আজকে আমরা জেনে নেব কোন ভিটামিনের অভাবে ঘুম কম হয় এই বিষয়টি।কোন ভিটামিনের অভাবে ঘুম কম হয় তা যদি আপনাদের জানা থাকে তাহলে খুব সহজেই এই ভিটামিনের ঘাটতি পূরণ করার মাধ্যমে অনিদ্রার সমস্যা দূর করতে পারবেন। তাহলে চলুন আর দেরি না করে কোন ভিটামিনের অভাবে ঘুম কম হয় এই বিষয়টি জেনে নেয়া যাক।

আরো পড়ুনঃ ভিটামিন ডি এর অভাবে কোন রোগ হয় এবং ভিটামিন ডি জাতীয় খাবার

প্রধানত ভিটামিন ডি এবং ভিটামিন বি ১২ এর কারণে অনিদ্রা বা ঘুম কম হওয়ার সমস্যা হয়ে থাকে । এছাড়াও ঘুম কম হওয়ার পেছনে রয়েছে আইরন, ম্যাগনেসিয়াম , ক্যালসিয়াম ও ওমেগা-৩ এর ঘাটতি।তাই  অনিদ্রার সমস্যা দূর করার জন্য শারীরিক চাহিদা অনুযায়ী ভিটামিন ডি এবং বি ১২ জাতীয় খাবার গুলো পর্যাপ্ত পরিমাণে খাওয়া উচিত।

রাতে ঘুম না হলে করনীয়

সুস্থভাবে বেঁচে থাকার জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুমের বিকল্প নেই। রাতে ঠিক মতন ঘুম না হলে বিভিন্ন ধরনের শারীরিক জটিলতায় করতে হয় কিন্তু অনেকেই রয়েছেন তাদের স্বাভাবিকভাবে ঘুম আসে না , আর ঘুম না আসার কারণে এই ধরনের মানুষেরা অনেক সময় ঘুমের ঔষধ সেবন করে থাকেন। ঘুমের ঔষধ সেবনের ফলে সাময়িকভাবে কিছুটা উপকার পাওয়া গেলেও শরীরের উপরে এর ক্ষতিকর প্রভাব অনেক বেশি হয়ে থাকে , তাই চলুন আজকে রাতে ঘুম না হলে করনীয় বিষয়ে সম্পর্কে আলোচনা করা যাক এবং এই আলোচনার মাধ্যমে জেনে নেওয়া যাক রাতে ঘুম না হলে করনীয় বিষয়গুলো সম্পর্কে। রাতে ঘুম না হলে করনীয় বিষয়ে হিসেবে সর্বপ্রথমে জানতে হবে ঘুম না আসার কারণ নেই এবং সঠিক নিয়মে এই কারণগুলোর সমাধান করতে হবে। রাতে সঠিক সময়ে , স্বাভাবিকভাবে যদি ঘুম না আসে তাহলে যে কাজগুলো আপনাকে করতে হবে সেগুলো হলো ,

কুসুম গরম পানিতে গোসলঃ হালকা কুসুম  পানিতে গোসল করলে বেশি সময় ধরে আমাদের শরীর ঠান্ডা থাকে যার ফলে শরীরের এই ঠান্ডা ভাব তাড়াতাড়ি ঘুম আসতে সাহায্য করে।

ঘুমের জন্য উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি করুনঃ ঘুমানোর স্থান বা পরিবেশ যদি ঠিক না থাকে তাহলে ঘুম না আসার সমস্যা তৈরি হয়।তাই ভালোভাবে ঘুম আসার জন্য ঘুমের পরিবেশ ঠিক করা প্রয়োজন।ঘুমানোর স্থান যদি ঠান্ডা , কোলাহলমুক্ত , অন্ধকার হয় তাহলে ঘুম আসার ক্ষেত্রে এই বিষয়গুলো সাহায্য করে।

শরীর চর্চাঃ আপনি যদি লক্ষ্য করেন যে প্রতিদিনই রাতে ঘুম আসার ক্ষেত্রে সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে তাহলে দিনের বেলায় অন্ততপক্ষে ৩০ মিনিট শরীর চর্চার করুন। দিনের বেলা নিয়মিত শরীর চর্চার ফলে , আপনার শরীর এক্টিভ থাকবে এবং রাতে সহজে ঘুম আসতে সাহায্য করবে।

শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়ামঃ শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম রাতের বেলা ঘুম আসার ক্ষেত্রে আপনাকে যথেষ্ট সাহায্য করবে।তাই রাতে ঘুম না আসলে শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম করুন।শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম করতে  কিছুক্ষণের জন্য নিঃশ্বাস ধরে রাখুন এরপর ছেড়ে দিন , এভাবে ১০ থেকে ১৫ বার করুন। প্রতিদিন এই নিয়মে শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম করলে রাতে ঘুম না আসার সমস্যা দূর হবে।

পর্যাপ্ত পানি পান করুনঃ ডিহাইড্রেশন বা পানি শূন্যতার কারনে অনিদ্রার সমস্যা হয়ে থাকে। তাই আপনি যদি রাতে ঘুম না আসার অসুবিধা হয় ভোগেন তাহলে অবশ্যই পর্যাপ্ত পানি পান করুন এবং শরীর ডিহাইড্রেট রাখুন। শরীরে পর্যাপ্ত পানি থাকলে অথবা শরীর ডিহাইডেট থাকলে রাতে ঘুম না আসার সমস্যা দূর হবে।

ইলেকট্রিক ডিভাইস গুলো দূরে রাখুনঃ বর্তমানে আমরা বিভিন্ন ধরনের গুরুত্বপূর্ণ অফিসিয়াল কাজ অথবা পড়াশোনা বিষয়ক সহ অন্যান্য প্রয়োজনে ইলেকট্রিক ডিভাইস গুলো গভীর রাত পর্যন্ত  ব্যবহার করে থাকি। এই ইলেকট্রিক ডিভাইস গুলো আমাদের চোখ এবং মস্তিষ্ককে উত্তেজিত করে যার ফলে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটে এবং সহজে ঘুম আসে না। তাই শুতে যাওয়ার কমপক্ষে আধা ঘন্টা আগে ইলেকট্রিক এই ডিভাইস গুলোর ব্যবহার সম্পূর্ণ রূপে বন্ধ করতে হবে।

মানসিক চাপমুক্ত থাকার চেষ্টা করুনঃ রাতে ঘুম না আসার কারণ গুলোর মধ্যে অন্যতম হলো মানসিক চাপ। আমরা যখন মানসিক চাপের ভেতরে থাকি তখন এটি আমাদের ঘুমের প্রক্রিয়া বেকার ঘটায় , যার ফলে অনেকবার সমস্যা দেখা দেয়। তাই রাতে ভালো ঘুমের জন্য যে কাজগুলো উনাকে মানসিক প্রশান্তি প্রদান করবে এমন কাজ করুন অর্থাৎ মানসিক চাপমুক্ত থাকার চেষ্টা করুন।

রাতে তাড়াতাড়ি ঘুমানোর উপায়

এবার আমরা আলোচনা করব রাতে তাড়াতাড়ি ঘুমানোর উপায় সম্পর্কে , কারণে এমন অনেক মানুষ আছে যাদের রাতে ঘুম আস্তে আস্তে অসুবিধা হয় এবং তাড়াতাড়ি ঘুমাতে চাই না। তাই চলুন আজকে জেনে নেওয়া যাক কোন কাজগুলো করলে রাতে তাড়াতাড়ি ঘুম আসে। আপনি যদি রাতে তাড়াতাড়ি ঘুমানোর উপায় গুলো সঠিকভাবে ফলো করেন আশা করা যায় এই টিপসগুলো খুব দ্রুত ঘুম আসতে সাহায্য করবে।রাতে তাড়াতাড়ি ঘুমানোর টিপস গুলো হলো,

  • ঘুমানোর পরিবেশ শান্ত এবং ঠান্ডা রাখুন
  • ঘরের লাইট বন্ধ রাখুন 
  • মানসিক চাপমুক্ত থাকার চেষ্টা করুন
  • শুতে যাওয়ার আগে কমপক্ষে 8 থেকে 10 বার শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম করুন
  • প্রতিদিন ঘুমাতে যাওয়ার একটি নির্দিষ্ট সময় বা রুটিং তৈরি করুন
  • দিবা ঘুম পরিহার করুন
  • প্রতিদিন অন্ততপক্ষে ৩০ মিনিট শরীর চর্চা করুন
  • নির্দিষ্ট সময়ে বিছানায় শুতে যাওয়ার অন্তত এক ঘন্টা অথবা ৩০ মিনিট আগে ইলেকট্রিক ডিভাইস গুলো বন্ধ করুন।
  • পর্যাপ্ত পানি পান করুন এবং শরীরকে ডিহাইড্রেট রাখুন।
  • ঘুমাতে যাওয়ার আগে হালকা কুসুম গরম পানিতে গোসল করুন
  • তাড়াতাড়ি ঘুমানোর জন্য রাত্রে বেলা ক্যাফেইন বা নিকোটিন জাতীয় পানীয় পান করা থেকে বিরত থাকুন
  • যে খাবারগুলো ঘুম আসছে সাহায্য করে , রাতের খাবারে এ ধরনের খাবার গুলো যুক্ত করুন যেমন-মধু , কসুম গরম দুধ ইত্যাদি

ঘুম বৃদ্ধির উপায়

যারা অনিদ্রার সমস্যায় ভোগেন তারা অনেক সময় ঘুম বৃদ্ধির উপায় সম্পর্কে জানতে চাই। এতক্ষণের আলোচনার মাধ্যমে নিশ্চয়ই আপনারা ঘুম বৃদ্ধির উপায় সম্পর্কে মোটামুটি ভাবে ধারণা পেয়ে গেছে। তারপরেও আপনাদেরকে আরো একবার ঘুম বৃদ্ধির উপায় গুলো জানিয়ে দিচ্ছি। রাতে ঘুম তাড়াতাড়ি ঘুমাতে হলে বা ঘুম বৃদ্ধি করতে হলে আপনাকে কিছু নিয়ম কানুন মেনে চলতে হবে যেমন -  অতিরিক্ত  চা ,কফি পান করা যাবে না । এছাড়াও ঘুম বৃদ্ধি করতে হলে আপনাকে খাদ্য তালিকার দিকে নজর দিতে হবে ,যে খাবারগুলো ঘুম বৃদ্ধিতে সাহায্য করে অথবা রাতে তাড়াতাড়ি ঘুম আসতে সাহায্য করে সে ধরনের খাবার গুলো খেতে হবে। ঘুম বৃদ্ধির খাবার হিসেবে ঘুমাতে যাওয়ার আগে পান করুন কুসুম গরম দুধ , কলা , মধু , সিদ্ধ আলু ইত্যাদি।

আরো পড়ুণ ঃ ভিটামিন বি কমপ্লেক্স এর কাজ

সহজে ঘুম আসার জন্য ঘুমের জায়গা আরামদায়ক , ঠান্ডা , কোলাহল , অন্ধকারাচ্ছন্ন  অত্যন্ত জরুরী। তাই ঘুমাতে যাওয়ার আগে অবশ্যই ঘুমের পরিবেশ ঠিক করুন , ঘুমের পরিবেশ আপনার ঘুম বৃদ্ধিতে সহায়তা করবে। আমাদের ঘুম কম হওয়ার আরেকটি অন্যতম কারণ হলো ইলেকট্রিক ডিভাইস এর ব্যবহার, তাই ঘুমাতে যাওয়ার কমপক্ষে ৩০ মিনিট আগে মোবাইল ফোন , ল্যাপটপ , কম্পিউটার এই ধরনের ইলেকট্রিক ডিভাইস গুলো সম্পন্ন রূপে বন্ধ করে দিন।

ঘুম বৃদ্ধির জন্য নিয়মিত যোগব্যায়াম অথবা শ্বাস প্রশ্বাসের ব্যায়াম করতে পারেন ঘুমাতে যাওয়ার আগে, এটি তাড়াতাড়ি ঘুম আসার ক্ষেত্রে আপনাকে যথেষ্ট সাহায্য সহযোগিতা করবে। ঘুমাতে যাওয়ার একটি ডেইলি রুটিন তৈরি করুন এবং প্রতিদিন একই টাইমে ঘুমানোর চেষ্টা করুন। কয়েকদিনে এভাবে রুটিন ফলো করলে এটি আপনার অভ্যাসে পরিণত হবে এবং ঘুম আসার ক্ষেত্রে সাহায্য করবে।

মন্তব্য , রাতে ঘুম না আসার রোগের নাম - রাতে ঘুম না হলে করনীয় নামক এই পোস্টটি পড়ার মাধ্যমে এতক্ষণে নিশ্চয়ই আপনারা অনিদ্রা বা ঘুমের সমস্যা দূর করার বিভিন্ন উপায় সম্পর্কে ভালোভাবে জেনে নিয়েছি। অনেক মানুষ আছে যারা অনিদ্রা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য বিভিন্ন ধরনের ঘুমের ঔষধের উপরে নির্ভরশীল হয়ে পড়েন , কিন্তু অনিদ্রা দূর করার এই ঔষধ গুলো সাময়িকভাবে উপকার করলেও আমাদের শরীরকে দীর্ঘমেয়াদী ক্ষতির দিকে ঠেলে দেয়। তাই ঘুমের ওষুধ বর্জন করে রাতে ঘুম না হলে করণীয় বিষয়গুলো অনুসরণ করুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন

comment url