এফিলিয়েট মার্কেটিং কি - এফিলিয়েট মার্কেটিং সাইট

আপনারা জানেন অনলাইন থেকে মানুষ বিভিন্ন ধরনের কাজ করে অর্থ উপার্জন করার মাধ্যমে নিজেদের অবস্থার পরিবর্তন করে এবং বেকারত্ব দূর করে নিজেদেরকে স্বাবলম্বী করে ফেলতে পারেন। তবে একেলিয়েট মার্কেটিং করার পূর্বে ভালোভাবে জেনে নিতে হবে এফিলিয়েট মার্কেটিং কি এবং এফিলিয়েট মার্কেটিং সাইট গুলো সম্পর্কে। আর আজকে আপনাদেরকে এই পোষ্টের মাধ্যমে  এফিলিয়েট মার্কেটিং সাইট এবং এফিলিয়েট মার্কেটিং কি এই বিষয়েই জানাবো।

আপনারা যদি কেউ এফিলিয়েট মার্কেটিং এর চিন্তাভাবনা করে থাকেন তাহলে অবশ্যই প্রথমে এই পোস্টটি মনোযোগ এবং ধৈর্য সহকারে শেষ পর্যন্ত পড়ুন , কেননা এই পোষ্টের মাধ্যমে আজকে আমরা আলোচনা করতে চলেছি এফিলিয়েট মার্কেটিং কি এবং এফিলিয়েট মার্কেটিং সাইট সম্পর্কে। শুধু তাই নয় এই পোস্টের মাধ্যমে আপনারা আরো জানতে পেরে যাবেন এফিলিয়েট মার্কেটিং এর সুবিধা ও অসুবিধা এছাড়াও জানতে পারবেন এফিলিয়েট মার্কেটিং হালাল কিনা। তাই সঠিকভাবে এই বিষয়গুলো বিস্তারিত জানার জন্য পুরো পোস্টটি পড়ুন।

এফিলিয়েট মার্কেটিং কি

আপনারা অনেকেই হয়তো এফিলিয়েট মার্কেটিং শুনেছেন , শুনেছেন কিন্তু অনেকেই হয়তো এসিলিয়েট মার্কেটিং কি এ বিষয়ে বিস্তারিতভাবে জানে না। তবে এফিলিয়েট মার্কেটিং কি এই বিষয়ে আপনাদের নলেজ রাখা দরকার কেননা এই অ্যাসিলিয়েট মার্কেটিং করেও বেশ ভালো পরিমাণ অর্থ উপার্জন করা সম্ভব। তাই এখন আপনাদের সাথে এফিলিয়েট মার্কেটিং কি আলোচনা করব ।এফিলিয়েট মার্কেটিং কি এই বিষয়ে যাদের পর্যাপ্ত জ্ঞান নেই তারা অবশ্যই বিষয়টি জেনে রাখতে পারেন।তাহলে চলুন আর দেরি না করে জেনে নেয়া যাক এফিলিয়েট মার্কেটিং কি।

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং মূলত এক ধরনের অনলাইন মার্কেটিং অর্থাৎ অনলাইন মার্কেটিং এর একটি ধরন হলো অ্যাফিলিয়েট মার্কেটে। সাধারণত বিভিন্ন প্রোডাক্ট উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান তাদের পণ্যগুলো  বিক্রয় এবং প্রচারের জন্য অনলাইন প্রকাশনদের শরণাপন্ন হয়ে থাকে বিশেষ করে যারা ব্লগ , ওয়েবসাইট, ইউটিউব চ্যানেল অথবা অন্য কোন সোশ্যাল মিডিয়াম মাধ্যমে চালিয়ে থাকে তাদের। এই প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের পণ্য , বা সেবাগুলো আপনার এই সোশ্যাল মিডিয়া মাধ্যমগুলোর সাহায্যে তাদের পণ্যের লিংকগুলো অন্যদের কাছে প্রচার করে যাতে করে এই লিংকের মাধ্যমে ক্রেতারা তাদের পণ্যগুলো বেশি বেশি কিনতে পারে এবং কিনতে আগ্রহী হয়। আর ওনার সোশ্যাল মিডিয়া মাধ্যমগুলো ব্যবহার করে এ কাজটি করার জন্য প্রতিষ্ঠানের মালিক আপনাকে একটা নির্দিষ্ট মূল্যের অর্থ প্রদান করে থাকে। সুতরাং বুঝতে পারছেন , আপনার ব্লগে , ওয়েবসাইটে , সোশ্যাল মিডিয়া পেজে অথবা ইউটিউব চ্যানেলে কোনো প্রতিষ্ঠানের সেবা বা অন্য প্রমোট করাই হলো এফিলিয়েট মার্কেটিং।

ক্রেতারা যখন আপনার এই অনলাইন মাধ্যম গুলো থেকে পণ্যের লিংক ব্যবহার করে নির্দিষ্ট পণ্য গুলো কিনবে তখন এই পণ্যের বিক্রয় এবং মূল্যের ওপর ভিত্তি করে আপনাকে প্রতিষ্ঠানের মালিক কমিশন দিবে। বিভিন্ন পণ্যের ওপরে আপনাকে কি পরিমান কমিশন দেবে এটি কোম্পানির মালিক আপনাকে আগে থেকেই জানিয়ে দেবে , এটাকে মূলত বলা হয়ে থাকে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং। আপনি যেকোনো পণ্য , সেবা , প্রতিষ্ঠান এমনকি ডোমেইন , হোস্টিং এর অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করতে পারেন আপনার ব্লগ , ওয়েবসাইট , পেজ অথবা ইউটিউব চ্যানেলে। আশা করি এফিলিয়েট মার্কেটিং কি বুঝতে পেরেছেন।

এফিলিয়েট মার্কেটিং এর সুবিধা

এবার আপনাদের জানাবো এফিলিয়েট মার্কেটিং এর সুবিধা বা অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কেন করবেন। যারা এফিলিয়েট মার্কেটিং করার চিন্তাভাবনা করছেন তাদের অবশ্যই এফিলিয়েট মার্কেটিং এর সুবিধা অসুবিধা গুলো জেনে নেওয়া উচিত। তাই চলুন প্রথমে এফিলিয়েট মার্কেটিং এর সুবিধা গুলো জেনে নেওয়া যাক , অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর সবচেয়ে বড় সুবিধা হল এখানে কোন ইনভেস্টমেন্ট ছাড়াই মোটামুটি ভালো অংকের অর্থ উপার্জন করা যায় আর এই কারণেই দিন দিন এফিলিয়েট মার্কেটিং এর জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পাচ্ছে । বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দেখা যায় জনপ্রিয় পন্য বা পরিষেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোই এফিলিয়েটের জন্য বিভিন্ন ধরনের অনলাইন মাধ্যম গুলোকে অফার প্রদান করে থাকে আর তাই এই পণ্যগুলো সবার কাছে পরিচিত বলে বিক্রির ক্ষেত্রেও খুব একটা চাপ নিতে হয় না।

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর আরেকটি বড় সুবিধা হল এর কারণে আলাদা কোন পরিশ্রম বা সময় ব্যয় করতে হয় না কারণ। এটি আপনার পার্টিকুলার কাজের মধ্যেই আপনি যুক্ত করে দিতে পারেন। বিষয়টি আরেকটিও সহজভাবে আপনাদের বোঝানো যায় , মনে করুন আপনি একটি ওয়েবসাইটের ভেতরে কোন পণ্যের এফিলিয়েট মার্কেটিং করতে চান , সে ক্ষেত্রে এই অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর জন্য আপনাকে আলাদা কোন কষ্ট না করে আপনি নির্দিষ্ট নিয়মে যেই কন্টেন্ট বা আর্টিকেলগুলো আপনার ওয়েবসাইটে পাবলিশ করেন তার মধ্যেই আপনি যেই প্রতিষ্ঠানের পন্য বা পরিষেবার অ্যাটিলিয়েট করবেন তার লিংকটি অ্যাড করে দিতে পারেন। অর্থাৎ এসিলিয়েট মার্কেটিং করার জন্য এক্সট্রা কোন সময় ব্যয় না হওয়া অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর আরেকটি বড় সুবিধা।

এফিলিয়েট মার্কেটিং এর অসুবিধা

এর আগে আপনাদেরকে এফিলিয়েট মার্কেটিং এর সবিধার কথা জানিয়েছি , তবে এফিলিয়েট মার্কেটিং এর নয় এর বেশ কিছু অসুবিধা রয়েছে। তাই আপনারা যারা অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর কথা চিন্তা করছেন তাদের এফিলিয়েট মার্কেটিং এর অসুবিধা সম্পর্কেও জেনে রাখা উচিত , তাই এবার আপনাদের এফিলিয়েট মার্কেটিং এর অসুবিধা গুলোর কথা জানাবো। এফিলিয়েট মার্কেটিং এর সবচেয়ে বড় অসুবিধা হলো , অ্যাফিলিয়েট এর কাজটি করার জন্য আপনার ইন্টারনেট মাধ্যমকে জনপ্রিয় হতে হবে। অর্থাৎ হুটহাট করেই আপনি যেকোন একটা ব্লগ , ওয়েবসাইট বা ইউটিউব চ্যানেল খুলেই এফিলিয়েট মার্কেটিং করতে পারবেন না , এই কাজটি করার জন্য আপনার ওয়েবসাইট বাই ইউটিউব চ্যানেলটিকে জনপ্রিয় হতে হবে এবং বেশ ভালো সংখ্যার ভিজিটর থাকা লাগবে সুতরাং বুঝতেই পারছেন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং একটু সময়ের ব্যাপার। তবে আগে থেকেই যদি আপনার কোন জনপ্রিয় ওয়েবসাইট বা ইউটিউব চ্যানেল থেকে থাকে তাহলে সে ক্ষেত্রে, খুব সহজে আপনি আসিলিয়েট মার্কেটিং করতে পারবেন।

আরো পড়ুনঃ মাসে ৫০০০০ টাকা ইনকাম করার উপায়

এফিলিয়েট মার্কেটিং এর ক্ষেত্রে আরো যেসব সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় সেটি হল , দেখা যাচ্ছে আপনি কোন জনপ্রিয় বা ভালো মানের পণ্য বা পরিষেবার লিংক আপনার ইন্টারনেট মাধ্যমগুলোতে শেয়ার করেছেন কিন্তু সময়ের পরিবর্তনের সাথে সাথে সেই পণ্য বা পরিষেবা গুলোর মান আগের মতন ভালো থাকছে না , আর সে ক্ষেত্রে দেখা যাবে ক্রেতাদের এসব পণ্যের উপরে আগ্রহ কমে যায় যার ফলে বিক্রয় কম হয়। আর আপনারা জানেন লিংক ব্যবহার করে পণ্য ক্রয়ের উপরে ভিত্তি করেই নির্দিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো কমিশন দিয়ে থাকে আর তাই অন্যের ওপরে আগ্রহ হারালে ক্রেতারা যেহেতু পণ্য ক্রয় করতে চাই না আর সে ক্ষেত্রে অন্য বেশি বিক্রয় হয় না বলে আপনার কমিশনের পরিমাণও কমে যেতে পারে।

এছাড়াও দিন দিন যেহেতু এফিলিয়েট মার্কেটিং এর জনপ্রিয়তা ব্যাপক হারে বাড়ছে সুতরাং এই সেক্টরে কাজ করাও একটু কঠিন হয়ে পড়ছে কেননা , এফিলিয়েট মার্কেটিং করতে গেলে অনেক প্রতিযোগীর সম্মুখীন হতে হয় । আর বিভিন্ন ধরনের বড় বড় বা জনপ্রিয় প্রতিযোগী গুলোর সাথে প্রতিযোগিতা করা একটু কঠিন হয়ে পড়ে।

এফিলিয়েট মার্কেটিং কি হালাল

আপনাদের মধ্যে অনেকেই আছেন যারা সঠিকভাবে জানতে চেয়ে থাকেন  এফিলিয়েট মার্কেটিং কি হালাল এই বিষয়ে। তাই আপনাদেরকে এখন এফিলিয়েট মার্কেটিং কি হালাল এই বিষয়টির উপরে ক্লিয়ার একটি ধারণা দেয়ার চেষ্টা করব। এই পোস্টের ওপরের অংশে আপনারা ভালোভাবে জেনেছেন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কি এই বিষয়ে তাই আজ এই বিষয়টির দিকে যাচ্ছে এখন আপনাদের বলব এফিলিয়েট মার্কেটিং কি হালাল এই বিষয়টি।

আরও পড়ুনঃ রিয়েল ইনকাম সাইট সম্পর্কে

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং হালাল হবে নাকি হারাম হবে এ বিষয়টি নির্ভর করে একান্ত আপনার উপরে কারণ , আপনি আপনার ইন্টারনেট মাধ্যমে কোন ধরনের অন্যের লিংক এড করছেন বা কোন ধরনের পণ্যের ওপর এফিলিয়েট করছেন তার ওপরে নির্ভর করে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং হালাল নাকি হারাম সেই বিষয়টি। অর্থাৎ আপনি যদি কোন বৈধ অথবা ইসলামের নিষিদ্ধ নয় এই ধরনের পণ্যের এফিলিয়েট করেন তাহলে সে ক্ষেত্রে অবশ্যই অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং বৈধ বা হালাল। আর আপনি যদি ইসলামে নিষিদ্ধ এমন কোন পন্যের (যেমন-মদ ,জুয়া ইত্যাদি) এফিলিয়েট করেন তাহলে অবশ্যই এটি অবৈধ বা হারাম, আশা করছি বিষয়টি বুঝতে পেরেছেন।

এফিলিয়েট মার্কেটিং কিভাবে শুরু করবো

অনেকেই প্রশ্ন করতে পারেন এফিলিয়েট মার্কেটিং কিভাবে শুরু করবো? তাই এবার চলুন এফিলিয়েট মার্কেটিং কিভাবে শুরু করবো এই বিষয়টি সম্পর্কে আলোচনা শুরু করা যাক। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার জন্য প্রথমে আপনাকে একটি ওয়েবসাইট , ইউটিউব চ্যানেল অথবা facebook পেজ ক্রিয়েট করতে হবে। এরপর কোন একটি নিশ বা টপিক বাছাই করে নিয়ে নিয়মিত সেই টপিকের উপরে ভিডিও বা কনটেন্ট ভালোভাবে এসইও করে আপলোড করার মাধ্যমে আপনার মিডিয়াটিতে জনপ্রিয় পর্যায়ে নিয়ে যেতে হবে। এরপর যখন আপনার মিডিয়াটিতে বেশি বেশি ভিজিটর আসা যাওয়ার শুরু করবে তখন আপনি যেই ধরনের নিশের ওপরে ইউটিউব চ্যানেল বা ওয়েবসাইট ক্রিয়েট করেছেন সেই ধরনের অন্য রিলেটেড প্রতিষ্ঠানগুলোর সাথে যোগাযোগ করার মাধ্যমে , তাদের পণ্য বা প্রতিষ্ঠানটিকে আপনার ওয়েবসাইট বাই ইউটিউব চ্যানেল এর ভেতরে প্রমোট করে সেখান থেকে এফিলিয়েট মার্কেটিং শুরু করতে পারবেন।

এফিলিয়েট মার্কেটিং সাইট

এবার আসা যাক এফিলিয়েট মার্কেটিং সাইট প্রসঙ্গে।এফিলিয়েট মার্কেটিং শুরুর আগে এফিলিয়েট মার্কেটিং সাইট  সম্পর্কে জেনে নেওয়া অত্যন্ত জরুরী। কারণ আপনি যদি এফিলিয়েট মার্কেটিং সাইট গুলো না জেনে মার্কেটিং শুরু করতে যান , তাহলে হয়তো বা আপনাকে বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রতারিত হতে হবে। তাই একিলিয়েট মার্কেটিং শুরু করার আগে অবশ্যই এফিলিয়েট মার্কেটিং সাইট গুলো সম্পর্কে ভালোভাবে জেনে নিন। আজকে আপনাদেরকে কিছু জনপ্রিয় এফিলিয়েট মার্কেটিং সাইট এর নাম জানাবো , নিচে দেশ এবং দেশের বাইরের কিছু অ্যাফিলিয়েট সাইট এর নাম তুলে ধরা হলো,

  • BDSHOP 
  • DARAZ
  • SHOPNOBARI
  • SHOHOZSELL
  • DAINA HOST
  • POPULAR HOST BD
  • AMAZON 
  • GO DADDY
  • eBay affiliate program
  • GiddyUp
  • PartnerStack
  • Fiverr
  • Affiliaxe
  • Flipkart
মন্তব্য , ধৈর্য ও মনোযোগ সহকারে উপরিউক্ত আলোচনাটি পড়ার মাধ্যমে এতক্ষণে আপনারা নিশ্চয়ই এফিলিয়েট মার্কেটিং কি এবং এফিলিয়েট মার্কেটিং সাইট সম্পর্কে ভালোভাবে জেনে নিয়েছেন। আপনি চাইলে এই অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার মাধ্যমে অনলাইন থেকে হালাল অর্থ উপার্জন করতে পারেন। তবে এর আগে আপনাকে একটি জনপ্রিয় ওয়েবসাইট অথবা ইউটিউব চ্যানেল তৈরি করতে হবে আর এর জন্য নিয়মিত আপনাকে ধৈর্য সহকারে আপনার ওয়েবসাইটে বা ইউটিউব চ্যানেলে নতুন নতুন কনটেন্ট পাবলিশ করতে হবে, আশা করি ধৈর্য সহকারে এই কাজটি করতে পারলেই আপনি খুব সহজে এফিলিয়েট মার্কেটিং করার মাধ্যমে নিজের অবস্থান উন্নতি করতে পারবেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন

comment url