ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো - ফ্রিল্যান্সিং কি হালাল - ফ্রিল্যান্সিং কত প্রকার

আজকে আপনাদের সাথে ফ্রিল্যান্সিং বিষয়ে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করার চেষ্টা করব। বর্তমানে দেশ ও বিদেশে ফ্রিল্যান্সিং পেশাটি জনপ্রিয়তার শীর্ষে থাকলেও , এখনো অনেক মানুষ রয়েছেন যাদের ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কে সঠিক এবং বিস্তারিত জ্ঞান নেই। তাই আজকে আপনাদের জানাবো ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো , ফ্রিল্যান্সিং কি হালাল , ফ্রিল্যান্সিং কত প্রকার ইত্যাদি বিষয়ে বিস্তারিত।

আপনিও চাইলে ফ্রিল্যান্সিং এর মাধ্যমে নিজের ইচ্ছা মতন কাজ করে স্বাবলম্বী হয়ে উঠতে পারে অথবা চাকরির পাশাপাশি ফ্রিল্যান্সিং করে অর্থনৈতিকভাবে আরো একটু সচ্ছল জীবন যাপন করতে পারেন তবে এর আগে আপনাকে ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কে সঠিক কিছু ধারণা নিতে হবে, আর ফ্রিল্যান্সিং সংক্রান্ত বিষয়গুলো সম্পর্কে জানতে আপনাদের সাহায্য করার জন্য আজকে এই পোস্টে আলোচনা করব  ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো , ফ্রিল্যান্সিং কি হালাল , ফ্রিল্যান্সিং কত প্রকার এই বিষয়গুলো সহকারে ফিন্যান্সিং সম্পর্কিত আরো বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য নিয়ে । আপনি যদি ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কে জানতে আগ্রহী হন তাহলে অবশ্যই পুরো পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ে দেখুন।

সূচিপত্রঃফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো - ফ্রিল্যান্সিং কি হালাল - ফ্রিল্যান্সিং কত প্রকার

ফ্রিল্যান্সিং কি

আপনারা হয়তো জেনে থাকবেন বাংলাদেশসহ পৃথিবীর প্রায় সব দেশের মানুষই বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং এর মাধ্যমে নিজেদেরকে ক্যারিয়ার গড়তে শুরু করেছে। বিশ্বের অনেক মানুষই ফ্রিল্যান্সিং এর মাধ্যমে নিজেদের ক্যারিয়ার গড়ে নিলেও এখন পর্যন্ত অনেকেই হয়তো ফ্রিল্যান্সিং কি এই সম্পর্কে  বিস্তারিত ভাবে জানেন না, আবার অনেকের মোটামুটি ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কে মৌলিক ধারণা থাকলেও বিস্তারিত ভাবে ফ্রিল্যান্সিং কি তা জানতে চান। তাই এখন আপনাদের সাথে ফ্রিল্যান্সিং কি এ বিষয়ে আলোচনা করব।
ফ্রিল্যান্সিং হলেও এক ধরনের অনলাইন পেশা , এই পেশাতে আপনি অনলাইন বা ইন্টারনেটকে কাজে লাগিয়ে বিভিন্নভাবে টাকা আর্ন করতে পারেন। ফ্রিল্যান্সিংয়ের একটি বড় সুবিধা হল এই পেশাতে আপনি ইচ্ছামত দিন বা রাতের যেকোনো সময় টাইম দিয়ে অর্থ উপার্জন করতে পারবেন। এই পেশাতে কাজ করার কোন নির্দিষ্ট বা ধরা বাধা সময় থাকে না। ফ্রিল্যান্সিং কাজের সুবিধা হল এটি আপনি ঘরে বসে করতে পারেন এবং আপনার যদি পর্যাপ্ত জ্ঞান বা দক্ষতা থাকে তাহলে মাস শেষে একটা মোটা অংকের অর্থ আপনি উপার্জন করতে পারবেন।

ফ্রিল্যান্সিং কত প্রকার

আপনাদের মধ্যে অনেকেই জানতে চান ফ্রিল্যান্সিং কত প্রকার , আসলে ফ্রিল্যান্সিং কাজের ভেতরে হাজার হাজার কাজ রয়েছে এবং আপনার যদি অনলাইন ও ফ্রিল্যান্সিং এর উপরে দক্ষতা থাকলে তাহলে আপনি বিভিন্ন ফ্রিল্যান্সিংয়ের কাজ পেয়ে যাবেন। ফ্রিল্যান্সিং কাজ সাধারণত দুই ধরনের অর্থাৎ দুইভাবে এই ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ করা যায় - কি হলো অনলাইনে এবং অপরটি অফলাইনে। তবে বিভিন্ন প্রকারের ফ্রিল্যান্সিং কাজের মধ্যে বেশ জনপ্রিয় কিছু ফ্রিল্যান্সিং কাজ রয়েছে। আজকে আপনাদেরকে ফ্রিল্যান্সিং এর জনপ্রিয় কাজগুলোর নাম জানাবেন, ফ্রিল্যান্সিং কাজের মধ্যে রয়েছে
  • কোডিং
  • প্রোগ্রামিং
  • ডেভেলপিং
  • কপিরাইটিং
  • গ্রাফিক ডিজাইন
  • ওয়েব ডিজাইন
  • ভিডিও এডিটিং
  • আর্টিকেল রাইটিং
  • ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট
  • সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন
  • অ্যাপ ডেভলপমেন্ট
  • বুক কিপিং
  • ব্র্যান্ডিং
  • ট্রান্সলেশ্ন
  • লোগো ডিজাইন
  • ডাটা এন্ট্রি
  • কপি পেস্টিং
  • ডিজিটাল মার্কেটিং
  • অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড কনসালটিং
  • ফটো এডিটিং
  • টি শার্ট ডিজাইন
  • সোশ্যাল মিডিয়া স্পেশালিস্ট
  • ব্লগিং

ফ্রিল্যান্সিং কি হালাল

আপনারা জেনেন ফ্রিল্যান্সিং কাজের ভেতরে অনেক ধরনের কাজ রয়েছে, এবং এই ফ্রিল্যান্সিং কাজের মধ্যে দিয়ে অনেক বেকার যুবক তাদের নিজেদের ক্যারিয়ার গড়তে সক্ষম হয়েছে কেননা এই  ফ্রিল্যান্সিং কাজের মাধ্যমে বেশ ভালো অংকের একটি অর্থ উপার্জন করা যায়। আর  অর্থ উপার্জন এর কথা আসলে সেখানে হালাল-হারামের একটি বিষয় চলে আসে। অনেকেই জানতে চান বা অনেকের ভেতরেই একটি প্রশ্ন আসতে পারে ফ্রিল্যান্সিং কি হালাল নাকি হারাম, এবং অনেকেই সার্চ এর মাধ্যমে ফ্রিল্যান্সিং কি হালাল এই বিষয়টি জানার চেষ্টাও করেছেন। তাই এখন আপনাদেরকে ফ্রিল্যান্সিং কি হালাল এই প্রশ্নের উত্তরটি বোঝানোর চেষ্টা করব।
অনলাইন বা ফ্রিল্যান্সিং এর মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের কাজ করে অর্থ উপার্জন করা যায়। এখন বিষয় হলো আপনি কোন পথ অবলম্বন করে অর্থ উপার্জন করছেন সেই বিষয়টি। এখন আপনি যদি ফ্রিল্যান্সিং এর মাধ্যমে ইসলাম যে সকল কাজ নিষেধ করেছে সেই ধরনের কাজ করার মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করেন তাহলে অবশ্যই সেটি অবৈধ বা হারাম হবে। আর আপনি যদি ফ্রিল্যান্সিং করে নিজের সততা ,শ্রম দিয়ে ইসলামের যেসব কাজ জায়েজ আছে সেই কাজগুলো করে থাকেন তাহলে অবশ্যই নিঃসন্দেহে এটি আপনার জন্য হালাল বা বৈধ উপার্জন হবে।
বিষয়টি আপনাদেরকে আরো ভালোভাবে বোঝানো যাক , মনে করুন ফ্রিল্যান্সিং কাজের মধ্যে রয়েছে গ্রাফিক ডিজাইন , টি-শার্ট ডিজাইন, লোগো ডিজাইন এই জাতীয় কাজগুলো। এখন যদি আপনি এমন কোন টি শার্ট ডিজাইন করেন বা এমন কোন কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠানের জন্য লোগো ডিজাইন করেন যেখানে মানুষ অথবা কোন জীবজন্তুর ছবি আঁকতে হয় , এবং এই কাজটি করার মাধ্যমে যদি আপনি অর্থ উপার্জন করেন তাহলে অবশ্যই এ কাজটি ইসলামের দৃষ্টিতে অবৈধ বা হারাম হবে কেননা আপনারা জানেন ইসলাম ধর্মে মানুষ অথবা কোন জীবজন্তু , পশুপাখির ছবি অঙ্কন করা নিষেধ রয়েছে, তবে আপনি যদি এই ধরনের কোন ছবি ছাড়া গাছপালা , ফুল - ফল , নদী , পাহাড়-পর্বত ইত্যাদি জাতীয় ছবি অংকনের মাধ্যমে লোগো বা টি শার্ট ডিজাইন করে থাকেন তাহলে এ কাজটি আপনার জন্য সম্পন্ন হালাল কারণ এই ধরনের ছবি অংকনের ক্ষেত্রে ইসলাম বাধা দেয় না।
আবার মনে করুন আপনি একজন বায়ারের কাছে থেকে বৈধ একটি কাজ গ্রহণ করেছেন কিন্তু সেই কাজটি আপনি সততার সাথে করছেন না তাহলে এ ক্ষেত্রে আপনার কাজটি হালাল হবে না কারণ আপনি যখন বায়ারের কাছে থেকে কাজ গ্রহণ করেছেন তখন এটি আপনার উপরে দায়িত্ব বা আমানত হয়ে গেছে তাই আপনি যদি সঠিকভাবে বা বৈধ উপায়ে কাজটি বায়ারকে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে বুঝিয়ে না দেন তাহলে এটি অবশ্যই আপনার জন্য আমানতের খেয়ানত স্বরূপ হবে।আর আপনি যদি ,বায়ারের কাছ থেকে নেওয়া বৈধ কাজটি সময় মতন এবং নিষ্ঠার সাথেসম্পন্ন করার মাধ্যমে সঠিক সময়েহ্যান্ডওভার করে দিতে পারেন তাহলে অবশ্যইএতে কোনসমস্যা নেই ,এবং আপনার পরিশ্রম দিয়ে করা এই কাজটিসম্পূর্ণ বৈধ বা হালাল 
বিষয়টি আরো ক্লিয়ার করার জন্য আরেকটি উদাহরণ দেওয়া যায়, ধরে নিন আপনি ওয়েবসাইটের বিজ্ঞাপন দেখানোর মাধ্যমে অনলাইন থেকে বা ফ্রিল্যান্সিং করে অর্থ উপার্জন করেন সেক্ষেত্রে আপনার ওয়েবসাইটে দেখানো বিজ্ঞাপন গুলো যদি অবৈধ বা রাজনৈতিকতা বিরোধী কিংবা যে ধরনের বিজ্ঞাপন দেখে দেশ ও জাতি এবং যুব সমাজ ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে এই ধরনের বিজ্ঞাপন শো করানোর মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করেন তবে অবশ্যই এটি হারাম। কিন্তু আপনি যদি মানুষের উপকারে আসতে পারে এ ধরনের বিজ্ঞাপন দেখানোর মাধ্যমে অথবা মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হবে না এ ধরনের বিজ্ঞাপন দেখানোর মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করেন তাহলে অবশ্যই এটি সম্পূর্ণ হালাল।
সুতরাং বুঝতেই পারছেন অনলাইনে বিভিন্ন ধরনের কাজ রয়েছে যেগুলোর মাধ্যমে আপনি হালাল ভাবে ইনকাম করতে পারেন আবার এমন কিছু কাজ রয়েছে যেগুলো করা আপনার জন্য হারাম। যে কোন কাজ গ্রহণের পূর্বে কাজটি সম্পর্কে হালাল না হারাম চিন্তা-ভাবনা করে তারপরে কাজটি শুরু করুন। আর যদি কোন কাজের ক্ষেত্রে আপনি বুঝতে না পারেন যে কাজটি হালাল না হারাম তাহলে দ্বিধাদ্বন্দ্বে না বুঝে কাজটি স্কিপ করুন , কারণ সহি বুখারী শরীফের ২০৫১ ,৫২ এবং মুসলিম শরীফের ১৫৯৯ হাদিস দুটি থেকে জানতে পারা যায় যে নবীজি বলেছেন - অবশ্যই হালাল ও হারাম দুটি বিষয় স্পষ্ট । আর এই হালাল-হারামের মাঝখানে এমন কিছু বিষয় রয়েছে যেগুলো সংগ্রহ করল যা অনেক লোকই জানে না। যে ব্যক্তি এই সন্দেহ পূর্ণ বিষয়গুলো থেকে দূরে থাকবে , সে তার দিন এবং মর্যাদা কি রক্ষা করবে আর যে এই সন্দেহপূর্ণ কাজগুলো করবে সে হারামে পতিত হবে। আশা করছি আমি সঠিক ভাবে আপনাদেরকে বোঝাতে পেরেছি ফ্রিল্যান্সিং কি হালাল না হারাম এই বিষয়টি।

ফ্রিল্যান্সিং এর ভবিষ্যৎ কি

ফ্রিল্যান্সিং এর ভবিষ্যৎ কি এই বিষয়ে অনেকেই দ্বিধাদন্ধে ভেবে এবং এর ব্যাপারে জানতে চাই। তাই এখন আপনাদের সাথে ফ্রিল্যান্সিং এর ভবিষ্যৎ কি এই বিষয়টি অল্প কথার মাধ্যমে ভালোভাবে বোঝানোর চেষ্টা করব। আপনারা জানেন ফ্রিল্যান্সিং কাজটি কোন ধরা বাধা নিয়ম ছাড়াই , ঘরে বসে দিনে বা রাতে নিজের সুবিধা মতন টাইম দেয়ার মাধ্যমে এবং নিজের পছন্দ অনুযায়ী কাজ বাছাই করে সেই কাজটি করার মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করা হয়ে থাকে আর তাই ফ্রিল্যান্সিংয়ের এই কাজটিকে মুক্ত পেশাও বলা হয় কারণ এই কাজের ক্ষেত্রে কারো কোন অর্ডার বা নিয়ম সবসময় এর ধরাবাধা।
ইতিমধ্যেই দেশ ও বিদেশের অনেক বেকার যুবক এই ফ্রিল্যান্সিং বা অনলাইন প্রেশার মাধ্যমে নিজেদেরকে ক্যারিয়ার গড়তেও সক্ষম হয়েছে, এছাড়াও অন্যের অধীনস্থ হয়ে কাজ না করার কারণে বা মুক্তভাবে কাজ করার কারনে দিন দিন এই পেশায় নিজেদের ক্যারিয়ার গড়তে এবং নিজেদেরকে স্বাবলম্বী করে তুলতে মানুষ আগ্রহী হয়ে উঠেছে। আর আপনারা জানেন ডে বাই ডে ফ্রিল্যান্সিংয়ের এই পেশাটি কত তা জনপ্রিয়তা লাভ করেছে।
আর জরিপ অনুযায়ী দেখা যায় ডে বাই ডে মানুষের প্রযুক্তি নির্ভরতা এবং অনলাইন পরিষেবা গ্রহণের মাত্রা অনেক বেড়েছে এবং বেড়েই চলেছে । আপনারা একটু লক্ষ্য করলেই বিষয়টি বুঝতে পারবেন। চিন্তা করুন আজ থেকে প্রায় ১০ থেকে ১৫ বছর আগের কথা সেই সময় মানুষের প্রযুক্তি নির্ভরশীলতা এতটা ছিল না কিন্তু বর্তমানে আমরা নিত্য প্রয়োজনীয় বিভিন্ন কাজ থেকে শুরু করে অফিসিয়াল কাজগুলো ঘরে বসে অনলাইনের মাধ্যমে করতে পারি। এমনকি অনলাইনে মাধ্যমে বা ফ্রিল্যান্সিং এর কাজগুলোর মাধ্যমে আমরা ঘরে বসেই অন্যের অধীনস্থ হওয়া ছাড়াই অর্থ উপার্জন করে স্বাবলম্বীও হতে পারি।
অনেকে ফ্রিল্যান্সিং এর ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তিত থাকেন আবার অনেকেই এই পেশায় ভবিষ্যৎ অন্ধকার এ ধরনের কথাও বলে থাকেন , তবে যারা ফ্রিল্যান্সিং এর ভবিষ্যৎ অন্ধকার এই কথাটি বলে থাকেন তাদের আসলে ফ্রিল্যান্সিং এর ভবিষ্যৎ নিয়ে স্বচ্ছ ধারণা নেই । সময়ের সাথে সাথে মানুষ আরো বেশি প্রযুক্তি নির্ভর হয়ে পড়বে আজ থেকে কয়েক বছর আগে বিভিন্ন ধরনের ওয়েবসাইট এর সংখ্যা এত বেশি ছিল না হাতে গোনা বেশ কিছু ওয়েবসাইট ব্যবহৃত হতো কিন্তু বর্তমানে হাজার হাজার এমনকি লক্ষ লক্ষ ওয়েবসাইট আমাদের সামনে শো করে এবং বর্তমানে এই কমার্স কোম্পানি গুলো সংখ্যাও কম নয় যেগুলোর মাধ্যমে আমরা যেকোনো সময় ঘরে বসেই প্রয়োজনীয় যে কোন জিনিস অর্ডার করতে পারি।
ফ্রিল্যান্সিংয়ের অগ্রযাত্রা থেমে যাওয়ার মতন নয় কারণ , দিন দিন মানুষের চাহিদা , ব্যবসা প্রতিষ্ঠান , ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইত্যাদি সংখ্যা বাড়তেই থাকবে আর এগুলোর জন্য বিভিন্ন ধরনের লোগো ডিজাইন এর প্রয়োজন পড়বে। অথবা বর্তমান যুগের মানুষ যেহেতু বিভিন্ন বিষয়ে অত্যন্ত সচেতন এই কারণে তারা বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় বিষয়গুলো জানার জন্য গুগলে রিসার্চ করতে থাকেবে আর যার ফলে ওয়েবসাইটগুলো পাঠকদের চাহিদা অনুযায়ী লেখনি গুলোর মাধ্যমে বিজ্ঞাপন করানোর মধ্যে দিয়ে অর্থ উপার্জন করতে থাকবে।
আর সবচেয়ে বড় বিষয় হলো মানুষ স্বাধীনচেতা ,স্বাধীনভাবে চলতে ভালোবাসে আর ফ্রিল্যান্সিংয়ের মাধ্যমে যেহেতু স্বাধীনভাবে কাজ করা যায় তাই এই সেক্টরে মানুষের সংখ্যা দিন দিন বাড়বে বৈকি কমবে না কারণ সঠিকভাবে ধৈর্য , মেধা , দক্ষতা  এবং শ্রম দিয়ে কাজ করলে যেকোনো চাকরির চেয়ে কম কিছু অর্থ উপার্জন হয় না। একজন ফ্রিল্যান্সার এর চাকরি চলে যাওয়ার কোন ভয় থাকে না অথবা  ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে খুশী করার জন্য অনিচ্ছা শর্তে কোন কাজ করতে হয় না তাই ফ্রিল্যান্সিংয়ের এই পেশায় দিন দিন মানুষের প্রবেশ বাড়ছে এবং এই প্রক্রিয়াটি বেড়েই চলবে।আশা করছি আমি ফ্রিল্যান্সিং এর ভবিষ্যৎ সম্পর্কে আপনাদের বোঝাতে পেরেছি।

ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো

অনেকেই ফিন্যান্সিং কিভাবে শিখব এই বিষয়ে জানতে চেয়ে থাকেন। কারণ ফ্রিল্যান্সিং যেহেতু একটি মুক্ত পেশা এবং এই পেশার মাধ্যমে বেশ ভালো অর্থ উপার্জন তাই এই কাজের প্রতি আগ্রহ বা কৌতুহল থেকেই অনেকে জানতে চান ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখব। তাই আজকে আপনাদেরকে ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো এই বিষয়ে সঠিক গাইডলাইন দেয়ার চেষ্টা করব । তাহলে আর দেরি না করে চলুন ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো বিষয়টি জেনে নেওয়া যাক । ফ্রিল্যান্সিং কাজের জন্য আপনার বিশেষ কোন দক্ষতার প্রয়োজন হয় না অনলাইন সম্পর্কে বা প্রযুক্তি সম্পর্কে মৌলিক জ্ঞান , ধৈর্য এবং চেষ্টার মাধ্যমে যে কেউই এই কাজটি করতে পারে। তবে ফ্রিল্যান্সিং শেখার জন্য প্রয়োজন সঠিক গাইডলাইনের। ফ্রিল্যান্সিংয়ের চাহিদা এবং জনপ্রিয়তা বাড়ার কারণে বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন ধরনের ফ্রিল্যান্সিং শেখানো সেন্টার বা আইটি সেন্টারগুলোর সংখ্যা অনেক বেড়ে গেছে তবে এই ধরনের সকল আইটি সেন্টারই বিশ্বাসযোগ্য নয়।
আপনি যদি ফ্রিল্যান্সিং শেখার জন্য সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন তাহলে সর্বপ্রথমে আপনার কাজ হবে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠিত ফ্রিল্যান্সারের ইউটিউব চ্যানেলগুলো দেখার মাধ্যমে এই বিষয়ে প্রাথমিক জ্ঞান বা ধারণা নেয়া বা আপনার পরিচিত সকল কোন ফ্রিল্যান্সারের কাছে থেকে পরামর্শ গ্রহণ করা। তারপর বিশ্বাসযোগ্য কোন ফ্রিল্যান্সিং শেখানোর প্রতিষ্ঠান বা আইটি সেন্টার খুঁজে বের করা। আপনি যখন ফ্রিল্যান্সিং শেখার জন্য আইসি সেন্টার গুলো খোঁজ নেবেন তখন অবশ্যই আপনাকে মাথায় রাখতে হবে তারা সকল ফ্রিল্যান্সার কিনা ,তারা নিজেরা অনলাইন বা ফ্রিল্যান্সিং থেকে কাম করতে পারে কিনা এবং তাদের সেই অনলাইন ইনকাম গুগল সার্টিফাইড কিনা এই বিষয়গুলো। কারণ বর্তমানে অনেক ধরনের প্রতিষ্ঠান রয়েছে যারা নাকি ফ্রিল্যান্সিং কোর্স শেখানোর নামে গ্রাহকদের কাছ থেকে হাজার হাজার টাকা ন্যায় অথচ তারা নিজেরাই সফল ফ্রিল্যান্সার না।
ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো এই প্রশ্নের উত্তরে আমি বলব -ফ্রিল্যান্সিং শেখার জন্য আপনার একটাই ভালো গাইডলাইনের প্রয়োজন হবে অথবা আপনি একটি ফ্রিল্যান্সিং এর অনলাইন এবং অফলাইন কোর্স করতে পারেন। বর্তমানে অনলাইনেও ডিজিটাল মার্কেটিং , কন্টেন্ট রাইটিং , সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট এর উপরে বিভিন্ন ধরনের কোর্স বিক্রি করা হয়। সেখান থেকে আপনি ভালো এবং সফল ফ্রিল্যান্সারদের কোর্স কেনার মাধ্যমে এ বিষয়ে বিস্তারিত জ্ঞান নিয়ে ফ্রিল্যান্সিং শিখতে পারেন। তবে ফ্রিল্যান্সিং কাজের জন্য সঠিক গাইডলাইনের পাশাপাশি আপনার ধৈর্য এবং প্রাথমিক অবস্থায় ব্যাপক সময় ব্যয় করতে হবে কারণ একজন সফল ফ্রিল্যান্সার হয়ে উঠতে দেড় থেকে দুই বছর সময় লেগে যেতে পারে তাই একজন সফল ফ্রিল্যান্সার হতে গেলে ধৈর্য হারালে চলবে না।

ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজের চাহিদা বেশি।

এবার আপনাদের জানাবো ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজের চাহিদা বেশি। কারণ আপনার যখন জানা থাকবে ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজের চাহিদা বেশি তখন এই জনপ্রিয় কাজগুলোর মাধ্যমে আপনি খুব সহজে এবং কম সময়ের মধ্যে উপার্জন শুরু করতে পারবেন।তাই চলুন দেরি না করে জেনে নেওয়া যাক ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজের চাহিদা বেশি। ফ্রিল্যান্সিং এ জনপ্রিয় এবং চাহিদা সম্পন্ন কাজগুলো হলো,
  • গ্রাফিক্স ডিজাইন
  • কন্টেন্ট রাইটিং
  • সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট
  • ওয়েব ডিজাইন
  • কার্টুন আর্টিস্ট
  • ব্যানার ডিজাইন
  • কপিরাইটার
  • অ্যাপ ডেভলপার
  • অ্যানিমেশন
  • ওয়েব ডেভলপার
  • ট্রানসলেশন
  • ভিডিও এবং ফটো এডিটিং
  • সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট
মন্তব্য , ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কিত পোস্টটি পড়ার মাধ্যমে এতক্ষণে আপনারা নিশ্চয়ই একটি স্বচ্ছ ধারণা পেয়েছেন ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো , ফ্রিল্যান্সিং কি হালাল , ফ্রিল্যান্সিং কত প্রকার এই বিষয়গুলোর উপরে। আপনি যদি ফ্রিল্যান্সিং এর মাধ্যমে ক্যারিয়ার গড়তে চান তাহলে আজই এ বিষয়ে সিরিয়াসলি চিন্তাভাবনা শুরু করুন এবং অবশ্যই সফল কোন ফ্রিল্যান্সারের কাছে থেকে পরামর্শ বা ট্রেনিং গ্রহণ করুন এবং অন্যের অধীনস্থ হওয়া ছাড়াই স্বাধীনভাবে কাজ করে নিজেকে স্বাবলম্বী করে তুলুন।
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url