চিয়া সিড খাওয়ার ২৩টি স্বাস্থ্য উপকারিতা - চিয়া সিড এর দাম কত

বর্তমানে স্বাস্থ্য সচেতন অনেক মানুষেরই খাদ্য তালিকার কমন একটি উপাদান হল চিয়া সিড। আমরা অনেকেই এই বীজকে অত্যন্ত পুষ্টিকর এবং দ্রুত ওজন কমাতে কার্যকরী বলে জানি। তবে এখনো অনেক মানুষ রয়েছে যারা চিয়া সিডের উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে জানেনা। ছোট এই বীজগুলোর ভিতরে প্রচুর পুষ্টিগুণ এবং চিয়া সিডের স্বাস্থ্য উপকারিতা এত বেশি যে একে  সুপার ফুড হিসেবেও বিবেচনা করা হয়।

হয়তবা প্রথম অবস্থাতে ছোট এই বীজগুলোকে সুপার ফুড বলতে শুনলে কিছুটা হাস্যকর বা অবাক হওয়ার মতন লাগলেও , যখন আপনারা বিস্তারিতভাবে এই ছোট বীজ জাতীয় দ্রব্যের উপকারিতা সম্পর্কে জানবেন তখন হয়তো বুঝতে পারবেন কেন এই বীজকে সুপার ফুড বলা হয়। আজকে শুধু চিয়া সিডের উপকারিতায় নয় এই সিট কিভাবে খেতে হয় এবং উপকারী এই বীজের কেজি প্রতি দাম কত , এই বিষয়েও আপনাদের জানাবো।

সূচিপত্রঃ চিয়া সিড খাওয়ার উপকারিতা - চিয়া সিড খাওয়ার অপকারিতা

চিয়া সিড খাওয়ার উপকারিতা

চিয়া সিড খুবই পুষ্টিকর এবং স্বাস্থ্যাসম্মত খাবার হিসেবে ,স্বাস্থ্যসচেতন মহলে পরিচিত।কিন্তু আপনারা কি জানেন চিয়া সিড খাওয়ার উপকারিতাগুলো সম্পর্কে বিস্তারিত বা কোন কোন ক্ষেত্রে চিয়া সিডের উপকারিতে আমরা পেতে পারি ? যদি না জানা থাকে তাহলে চলুন যেনে নেয়া যাক চিয়া সিড খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে। চিয়া সিড সাহায্য করে-

পুষ্টিঘাটতি পূরণ করতেঃ চিয়া সিডের ভেতরে রয়েছে প্রোটিন , ফাইবার , ওমেগা থ্রি , ফ্যাটি এসিড , ক্যালসিয়াম , ম্যাগনেসিয়াম , ফসফরাস , সোডিয়াম , পটাশিয়াম , আইরন , ক্লোরোজেনিক এসিড  ছাড়াও আরো রয়েছে কার্বোহাইড্রেট , পানি , চিনি , খাদ্য আশ , গ্লুটেন ইত্যাদি উপাদান। আর বিভিন্ন পুষ্টি উৎপাদনে ভরপুর থাকায় একে সুপার ফুডো বলা হয়। যেহেতু চিয়া সিডের ভেতরে এ ধরনের গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি উপাদান পাওয়া যায় তাই এই সিড খেলে খেলে শরীরের পুষ্টি ঘাটতি পূরণ হয়।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতেঃ আমাদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম হওয়ার অন্যতম প্রধান কারণ হলো চাহিদা অনুযায়ী শরীরে পুষ্টি না থাকা। শরীর যখন তার চাহিদা অনুযায়ী পুষ্টি পাবে তখন অটোমেটিক্যালি এর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে , এছাড়াও চিয়া সিডে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ গড়ে তোলার জন্য অত্যন্ত জরুরী। যেহেতু চিয়া সিডের ভেতরে শরীর গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান গুলো মজুদ পাওয়া যায় তাই নিয়মিত চিয়া সিট খেলে দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।

কর্মক্ষমতা বাড়াতেঃ চিয়া সিড থেকে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন পাওয়া যায় ,বিশেষজ্ঞদের মতে মুরগির ডিমের তুলনায় প্রায় তিনগুণ বেশি প্রোটিন রয়েছে এই চিয়া সিডে। আর প্রোটিন হলো শরীরের শরীরের কর্মক্ষমতা বাড়ানোর অন্যতম প্রধান হাতিয়ার। পর্যাপ্ত পরিমাণে প্রোটিন থাকায় চিয়া সিড দুর্বলতা কাটিয়ে শরীরকে কর্মক্ষম করে তুলতেও সাহায্য করে।

খারাপ কোলেস্টেরল দূর করতেঃ চিয়া সিড আমাদের শরীর থেকে টক্সিক উপাদান গুলো বের করে দেওয়ার মাধ্যমে রক্ত পরিষ্কার করতে এবং খারাপ কোলেস্টেরল দূর করতে সাহায্য করে। দ্রবণীয় ফাইবার থাকাই খুব সহজে চিয়া সিট আমাদের শরীর থেকে খারাপ কোলেসটেরল দূর করতে পারে।

হজমে সহায়তা করেঃ খাদ্য আঁশ অর্থাৎ ফাইবার - এই উপাদানটি প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায় চিয়া সিডে। আর ফাইবার হল হজমে সহায়তাকারী একটি উপাদান , আর এই কারণে চিয়া সিড হজম প্রক্রিয়াকে উন্নত করতে ও খাদ্য হজমে সহায়তা করতে সাহায্য করে।

কোষ্ঠকাঠিন্যা দূর করেঃ ফাইবার শুধু খাদ্য হজমে সহায়তা করেন না পাশাপাশি কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতেও সাহায্য করে। আপনারা হয়তো অনেকেই জানেন কোষ্ঠকাঠিন্যের মূল কারণ হলো ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার গুলো না খাওয়া। ফাইবার সমৃদ্ধ হওয়ায় চিয়া সিড আমাদের পরিপাকতন্ত্র ভালো রাখতে সাহায্য করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্যর সমস্যা দূর করে। যারা কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় ভুগে থাকেন চিয়া সিড খেতে পারেন এতে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর হবে এবং পেট পরিষ্কার থাকবে।

আরো পড়ুনঃ ক্যামোমাইল চা পানের উপকারিতা।

হার্ট ভালো রাখতেঃ হার্টের জন্য ওমেগা থ্রি অত্যন্ত উপকারী এবং খুবই ক্ষতিকর হলো কোলেস্টেরল। আর চিয়া সিডে প্রচুর পরিমাণে ওমেগাথি বিদ্যমান থাকা থাকাই এবং পাশাপাশি  শরীর থেকে খারাপ কোলেস্টেরল দূর করতে পারে বলে এটি আমাদের হার্ড ভালো রাখার ক্ষেত্রে বিশেষ অবদান রাখতে পারে এবং বিভিন্ন গবেষণার ফলাফল হিসেবেও এটা জানতে পারা যায় যে নিয়মিত চিয়া সিড খেলে হার্টের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটে এবং হার্টের অসুখের ঝুঁকি কম থাকে।

ওজন কমাতেঃ চিয়া সিড হল একেবারে কম ক্যালরিযুক্ত একটি খাবার এবং এই খাবারটি কোলেস্টেরল কমাতে বিশেষ সাহায্য করে তাই ওজন কমানোর ক্ষেত্রে চিয়া সিডের অবদান অনেক বেশি। এছাড়াও চিয়া সিড খেলে বেশ অনেকক্ষণ ধরে পেট ভারী অনুভব হওয়ায় ক্ষুধা কম লাগে থাকে যার ফলে খাদ্য বেশি গ্রহণের প্রবণতা হয় ,যা শরীরের অতিরিক্ত ওজন কমানোর ক্ষেত্রে অত্যন্ত সহায়ক। চিয়া সিড একদিকে যেমন ওজন কমানোর ক্ষেত্রে কার্যকরী অন্যদিকে এই সিড গ্রহণের মাধ্যমে শরীর তার প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান গুলো পেয়ে যায় বিধায় শরীর দুর্বল হয়ে পড়ে না , আর এ কারণে যারা ডায়েট করেন তাদেরকে ডায়েটিশিয়ানরা খাদ্য তালিকায় নির্দিষ্ট পরিমাণ চিয়া সিট রাখার পরামর্শ দিয়ে থাকেন।

উচ্চ রক্তচাপ কমাতেঃ রক্তের খারাপ কোলেস্টেরল কমানো এবং সরকারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখার মাধ্যমে উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে এবং উচ্চ রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে চিয়া বীজ। উচ্চ রক্তচাপের রোগীরা রক্তচাপ কমানোর জন্য ব্যবহার করতে পারেন তবে যাদের রক্তচাপ অলরেডি স্বাভাবিকের চেয়ে কম বা কম থাকে তাদের ক্ষেত্রে নিয়মিত চিয়া সিড না খাওয়াই ভালো।

ডায়াবেটি নিয়ন্ত্রণে রাখতেঃ চিয়া সিড রক্তের শর্করার মাত্রা কমানোর মাধ্যমে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করতেও সহায়ক ভূমিকা পালন করতে পারে। উচ্চমাত্রার ডায়াবেটিস রোগীরা এই রোগ নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য খাদ্য তালিকায় চিয়াসীড যুক্ত করতে পারেন । তবে যেহেতু চিয়া সিড রক্তে সুগারের মাত্রা কমাতে যথেষ্ট সাহায্য করে তাই যারা ডায়াবেটিসের ঔষধ সেবন করেন এবং ইনসুলিন গ্রহণ করেন তারা অবশ্যই এই বীজ গ্রহণের পূর্বে ডাক্তারি পরামর্শ নিবেন। কেননা চিয়া সিডের পাশাপাশি ঔষধ ও ইনসুলিন গ্রহণের ফলে ডায়াবেটিস স্বাভাবিকের তুলনায় কমে গিয়ে সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।

রক্তস্বল্পতা দূর করেঃ শরীরের রক্তস্বল্পতার অন্যতম মূল কারণ হলো আয়রনের ঘাটতি। চিয়া সিডের ভেতরে পর্যাপ্ত পরিমাণে আয়রন থাকায় , এটি আমাদের শরীরের হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বৃদ্ধি করতে এবং রক্তস্বল্পতা দূর করতে সাহায্য করে থাকে।

মেটাবোলিজম বাড়াতেঃ চিয়া সিড আমাদের মেটাবলিজম বাড়াতেও সাহায্য করে। মেটাবলিজম হলো খাদ্য উপাদানকে ভেঙ্গে শক্তিতে রূপান্তর করার এক ধরনের প্রক্রিয়া।মেটাবলিজম আমাদের শরীরের বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাজ করে থাকে , আর চিয়া সিড এর ভেতরে থাকা উপাদান গুলো আমাদের শরীরের মেটাবলিজমকে বাড়াতে বা উন্নত করে।

অনিদ্রা দূর করতেঃ রাতে ঘুম না আসা বা অনিদ্রার সমস্যার অন্যতম কারণ গুলো হল  মানসিক চাপ বা স্ট্রেস , ডিহাইড্রেশন অথবা হজম প্রক্রিয়ার সমস্যা। চিয়া সিড হজমে সমস্যা দূর করে , শরীরকে হাইড্রেট রাখে এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ হওয়ায় এই সিড স্টেস কমাতেও সাহায্য করে ।আর তাই চিয়া সিড খেলে অনিদ্রার সমস্যা দূর করে এবং রাতে ভালো ঘুম হতে সাহায্য করে।

হাড় মজবুত করতেঃ চিয়া সিডে আছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম আর ক্যালসিয়াম যে আমাদের হাড় গঠনের ক্ষেত্রে কতটা জরুরী এটি হয়তো নতুন করে আর বলার অপেক্ষা রাখে না। চিয়া সিডে শরীরে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি পূরণ হওয়ার কারণে দেহের হাড় গুলো মজবুত থাকে। চিয়া সিডে শুধু ক্যালসিয়ামই নয় যথেষ্ট পরিমাণে ম্যাগনেসিয়াম ও ফসফরাস রয়েছে , যে উপাদান গুলো হাড় মজবুত রাখতে অত্যন্ত প্রয়োজন।

আরো পড়ুনঃ আপেল সিডার ভিনেগার হালাল কিনা

কোলন ক্যান্সার প্রতিরোধ করতেঃ চিয়া সিডের ভেতরে থাকা উপাদান গুলো কোলন ক্যান্সারের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতেও সাহায্য করে এছাড়া চিয়া সিড নিয়মিত খেলে কোলন পরিষ্কার থাকে বলে অনেকটাই করুন ক্যান্সারের ঝুঁকিমুক্ত থাকা যায়। এছাড়া অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকায় চিয়াসীড ক্যান্সার প্রতিরোধে হিসেবে কাজ করে।

পেশী মজবুত করতেঃ প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন এবং ক্যালসিয়াম থাকায় চিয়া সিড আমাদের পেশীগুলো মজবুত এবং দেহের হাড় মজবুত করতে সাহায্য করে। এজন্য ক্রীড়াসক্রিয় ব্যক্তিদেরকে বিশেষজ্ঞগণ ও পুষ্টিবিদরা চিয়া সিড খাওয়ার জন্য সাজেস্ট করে থাকেন। বলা হয়ে থাকে মুরগির ডিমের চেয়ে তিনগুণ এবং দুধের চেয়ে পাঁচ গুণ বেশি প্রোটিন এবং ক্যালসিয়াম পাওয়া যায়।

প্রদাহ কমাতেঃ ওমেগা থ্রি এবং ফ্যাটি এসিড চিয়া সিডকে করে তুলেছে প্রদাহ বিরোধী হিসেবেও , তাই চিয়া সিড আমাদের শরীরের যেকোনো ধরনের প্রদাহ কমাতেও কাজ করতে পারে।

আর্থ্রাইটিস বা জয়েন্ট এর ব্যথা দূর করতেঃ আপনারা আগেই জেনেছেন যে চিয়া সিডের ভেতরে থাকা ওমেগা থ্রি এবং ফ্যাটি এসিড উপাদান গুলো থাকার কারণে প্রদাহ বিরোধী হিসেবে কাজ করে এই বীজ। আন্টি ইনফ্লামেটরি বৈশিষ্ট্যের কারণে শুধু প্রদাহ কমাতেই নয় আর্থ্রাইটিস বা জয়েন্ট এর ব্যথা সারাতেও উপকারী চিয়া সিড।

স্ট্রেস কমায় ও ডিপ্রেশন দূর করেঃ প্রতিদিন সকালে এবং রাতে নির্দিষ্ট পরিমাণে চিয়া সিড খেলে , আমাদের শরীরের স্বাভাবিক তাপমাত্রা বজায় থাকে। আর শরীরের স্বাভাবিক তাপমাত্রা বজায় থাকার কারণে মানসিক চাপ  ও ডিপ্রেশন কম হয়। শুধু তাই নয় এন্টিঅক্সিডেন্ট থাকার কারণে স্ট্রেস কমানোর ভালো একটি মাধ্যম হলো চিয়া সিড।

ত্বক ভালো রাখতেঃ শরীরের স্বাস্থ্য উন্নতি করার পাশাপাশি আমাদের ত্বকের যত্ন নিতে এবং ত্বক ভালো রাখতেও রয়েছে চিয়া নামক এই বীজের যথেষ্ট ভূমিকা। চিয়া সিড খেলে ভেতর থেকে গ্লো করার পাশাপাশি ব্রণের সমস্যাও কম হয়। এক কথায় শরীরের বিভিন্ন পুষ্টির ঘটতি পূরণ করে ত্বক ভালো রাখর ক্ষেত্রেও রয়েছে এর বিশেষ কার্যকরীতা।

বয়সের ছাপ দূর করতেঃ আমাদের ত্বকে বয়সের ছাপ পড়ার মূলে রয়েছে শরীরে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এর ঘাটতি। চিয়া সিডে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকায় , নিয়মিত চিয়া সিড খেলে আমাদের ত্বকের উপর থেকে বয়সের ছাপ দূর হয়।

আরো পড়ুনঃ অলিভ অয়েলের উপকারিতা এবং আসল অলিভ অয়েল চেনার উপায়

চুল ভালো রাখতেঃ শুধু ত্বক ভালো রাখতে নয় চুলকে স্বাস্থ্যজ্জ্বল , মজবুত করার গুণাগুণ রয়েছে চিয়া সিডে। ত্বক এবং চুল আমাদের শরীরের সাথেই রিলেটেড তাই শরীরে যখন পুষ্টি উপাদান গুলোর ঘাটতি থাকে না তখন শরীর ভালো থাকার পাশাপাশি ত্বক ও চুল দুটোই ভালো থাকে।

নখের ভঙ্গুরতা কমাতেঃ আমাদের হাতের নখ গুলো অনেক ভঙ্গুর হয়ে যাই অর্থাৎ একটুতেই ভেঙ্গে যায় আর এর কারণ হিসেবে আমরা মনে করি বেশি নেলপলিশ , কাপড় ধোয়া পাউডার এবং ডিস ওয়াশিং বার বা লিকুইড ব্যবহার , এগুলো আমাদের হাত পা এর নখ গুলোর উপরেকারণে কিছুটা প্রভাব বিস্তার করলেও হাত পায়ের নখ ভঙ্গুর হওয়ার মূল কারণ হলো শরীরে আয়রন , ক্যালসিয়াম প্রোটিন ও ফলিক এসিডের ঘাটতি। চিয়া সিড নখের এই ভঙ্গুরতা দূর করতেও ভূমিকা পালন করতে পারে কারণ চিয়া সিডে পর্যাপ্ত পরিমাণে আইরন ,ক্যালসিয়াম ও প্রোটিন রয়েছে যা শরীরের ঘাটতি পূরণ করার মধ্যে দিয়ে নখের ভঙ্গুরতা দূর করে থাকে।

চিয়া সিড এর দাম কত

মরুভূমি দেশ বা অঞ্চল গুলোতে চিয়া সিডের ফলন ভালো হলেও প্রযুক্তির উন্নতি সাধনের ফলে বর্তমানে বিভিন্ন অঞ্চল সহ অনেক দেশেই চিয়া সিড বাণিজ্যিকভাবে চাষাবাদ করা হয় আর এই কারণে অনলাইন অর্ডার সহ আশেপাশে থাকা কনফেকশনারি বা মুদির দোকানে খুব সহজেই এই চিয়া সিড পাওয়া যায়। জাত এবং গুণগত মান অনুসারে  চিয়া সিডের দামে বেশ কিছুটা তারতম্য দেখা যায়। গুণগত মানের ভিত্তিতে প্রতি কেজি চিয়া সিডের দাম বা মূল্য হয়ে থাকে ৬০০ থেকে ১০০০ টকার ভেতরে।

চিয়া সিড কিভাবে খেতে হয়

চিয়া সিড হল অত্যন্ত পুষ্টিকর একটি খাবার এই খাবারটি একাধিক ভাবে খাওয়া যেতে পারে তবে বেশিরভাগ মানুষ পানি বা জুসের সাথে মিশিয়ে খেয়ে থাকেন আবার অনেকের দ্রুত ওজন কমানোর জন্য লেবুর রসের সাথে বা লেবু পানির সাথে সকালে এবং রাতে খেয়ে থাকেন। পানি অথবা জুসের সাথে মিশিয়ে খাওয়া ছাড়াও চিয়া সিড খাওয়া যায় সালাদের সাথে যুক্ত করে , বিভিন্ন ধরনের কুকিজে বা পুডিং,স্মুদির সাথেও। চিয়া সিডের নিজস্ব কোন স্বাদ বা গন্ধ নেই বলে যে কোন কিছুর সাথেই মিশিয়ে এটি খেতে কোন সমস্যা হয় না। চিয়া সিড পানি বা অন্য কিছুর সাথে মিশিয়ে ছাড়াও এমনি খাওয়া গেলেও গলায় আটকে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকাই , শুকনো চিয়া সিড না খাওয়ার জন্য অনুরোধ করা হলো।

মন্তব্য, সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ সহকারে যদি আপনি পড়ে থাকেন তাহলে হয়তো নিশ্চয়ই এতক্ষণে বুঝতে পেরেছেন চিয়া সিডকে কেন বলা হচ্ছে সুপার ফুড। চিয়া সিডের ভেতরে রয়েছে স্বাস্থ্য ভালো রাখার মতন অনেক উপকারিতা। তবে সতর্কতার বিষয়ে যে উপকারী বলেই মাত্রাতিরিক্ত বীজ জাতীয় দ্রব্যটি খাদ্য তালিকায় যুক্ত করা যাবে না , কেননা তাতে ক্ষতি হওয়ার কিছু সম্ভাবনা রয়েছে। তাই চিয়া সিড খাদ্য তালিকায় যুক্ত করার পূর্বে, প্রতিদিন কি পরিমান এই সিড খাওয়া যাবে এবং চিয়া সিডের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া বা অপকারিতা গুলো সম্পর্কে ভালোভাবে জেনে নিন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন

comment url