গর্ভবতী মায়ের কোন মাসে কোন সূরা পড়তে হয়

সন্তান যদি নেককার , সৎ , চরিত্রবান , মেধাবী , সুদর্শন , জ্ঞানী এক কথায় সবদিক দিয়ে দ্বীনদার পেতে চান তাহলে এক্ষেত্রে গর্ভাবস্থায়- মায়ের আমলের বিকল্প নেই। আর এই জন্য গর্ভাবস্থার সম্পূর্ণ সময়টি জুড়ে বিভিন্ন মাসে নির্দিষ্ট কিছু সূরার আমল করতে পারেন।

গর্ভাবস্থার আমল গুলোর পাশাপাশি ,গর্ভবতী মায়েদের যদি জানা থাকে কোন মাসে কোন সূরাগুলো পড়তে হবে তাহলে সে ক্ষেত্রে সুন্দর এবং চরিত্রবান একটি সন্তান আল্লাহ চাইলে আপনি পেতে পারেন। যেহেতু গর্ভবতী নারীর দোয়া আল্লাহ পাক কবুল করেন তাই আল্লাহর শুকরিয়া সহ দোয়া করার পাশাপাশি গর্ভাবস্থায় এই নির্দিষ্ট দোয়া গুলো বেশি বেশি আমল করুন। এতে একদিকে যেমন আপনার পেটের সন্তানের সাথে কুরআনের সম্পর্ক স্থাপন হবে অপরদিকে সন্তানের ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল হবে।

গর্ভবতী মায়ের কোন মাসে কোন সূরা পড়তে হয়

সন্তান পেটে থাকা অবস্থায় মা যদি আমলের মাধ্যমে জীবন কাটায় তাহলে সেক্ষেত্রে  , সন্তান আর সৎ এবং নেককার হওয়ায় পরিপূর্ণ সম্ভাবনা থাকে। এছাড়াও কোরআনের বিভিন্ন সূরাগুলো গর্ভাবস্থার বিভিন্ন পর্যায়ে আমল করার মাধ্যমে মেধাবী , সুস্থ , দ্বীনদার , চরিত্রবান , বাচ্চা পাওয়া যায়। সুন্দর , সৎ এবং চরিত্রবান বাচ্চা পাওয়ার জন্য গর্ভবতী মাকে গর্ভাবস্থায় আমল ও বেশি বেশি কোরআন তেলাওয়াত করার পাশাপাশি কুরআনের নির্দিষ্ট সূরাগুলো বিভিন্ন মাসে বেশি বেশি আমল করতে হবে।  গর্ভবতী মায়েদেরকে কোন মাসে কোন সূরাগুলো আমল করতে হবে তার একটি তালিকা নিচে দেওয়া হল ,

  • ১ম মাসে -সূরা আল ইমরান ও সূরা ইনশিক্বাক তেলাওয়াত করতে হবে । সূরা ইমরান  তিলাওয়াত করলে বাচ্চা দামি এবং দ্বীনদার হবে এবং সূরা ইনশিক্বাক তেলাওয়াত করলে গর্ভে সন্তান নিরাপদে থাকবে।
  • ২য় মাসে - সূরা ইউসুফ আমল করার মাধ্যমে বাচ্চা সুদর্শন হবে , এবং বাচ্চার মন মানসিকতাও ভালো , সুন্দর হবে।
  • ৩য় মাসে -অধিক পরিমাণে সূরা মরিয়ম তেলাওয়াত করলে , সন্তান  ধৈর্যশীল পরহেজগার হবে।
  • ৪র্থ মাসে - বেশি বেশি সূরা লোকমান তেলাওয়াত করলে সন্তান মেধাবী এবং বুদ্ধিমান হবে।
  • ৫ম মাসে - সূরা মুহাম্মদ তেলাওয়াত এর মাধ্যমে সৎ এবং চরিত্রবান সন্তান পাওয়া যাবে
  • ৬ষ্ঠ মাসে - বেশি পরিমাণে সুরা ইয়াসিন তেলাওয়াত করলে সন্তান খুবই জ্ঞানী হবে।
  • ৭ম , ৮ম এবং ৯ম মাসে -  গর্ভাবস্থার শেষের তিন মাসে সূরা ইউসুফ , সূরা মুহাম্মদ , সূরা ইব্রাহীম এবং সূরা মরিয়মের কিছু অংশ আমল করতে হবে।

এছাড়াও নিয়মিতভাবে রাতে ঘুমানোর আগে চার কুল ও আয়তুল কুরসী তেলাওয়াত করতে হবে। যদিও গর্ভাবস্থায় বেশি বেশি তুল কোরআন তেলাওয়াতের জন্য তাগিদ দেয়ার কথা বলা রয়েছে কিন্তু কোন জায়গাতে , শুধুমাত্র নির্দিষ্ট সূরা গুলো তেলাওয়াতের ব্যাপারে সেরকম তাগিদ নেই। তবে বুজুর্গানরা চূড়ার বিষয় বস্তু পর্যালোচনা করে বিভিন্ন মাসে এই সূরা গুলো বেশি তেলাওয়াত করার মাধ্যমে গর্ভের সন্তান এ ধরনের বোনের অধিকারী হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন। 

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন

comment url