eosinophils normal range - eosinophils meaning in bengali

অনেক সময় ব্লাড কাউন্ট রেজাল্টে দেখা যায় Eosinophils এর মাত্রা ,নরমাল রেঞ্জে চেয়ে অনেক বেশি থাকে। বিশেষ করে যাদের এলার্জিটিক সমস্যা রয়েছে। তবে যে শুধু এলার্জিক কারণেই রক্তে eosinophils মাত্রা বাড়বে তা নয় , এর পেছনে আরো একাধিক কারণ থাকতে পারে।  eosinophils এই কথাটির সাথে অনেকেই পরিচিত থাকলেও eosinophils meaning in bengali অধিকাংশ মানুষই জানে না। তাই আজকে আপনাদেরকে জানাবো eosinophils নরমাল রেঞ্জ কত এবং eosinophils এর বাংলা meaning।
eosinophils রক্তের গুরুত্বপূর্ণ একটি সেল , আর যা কিনা সঠিক মাত্রায় থাকলে দেহের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ কাজে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে কিন্তু যদি অস্বাভাবিক হারে এই cells এর মাত্রা রক্তে বাড়তে থাকে , তাহলে অনেক সময় এটি হতে পারে চিন্তার বিষয় কারণ , অনেক সময় অস্বাভাবিক হারে  eosinophils বেড়ে গেলে এটি সরাসরি ইন্ডিকেট করতে পারে ক্যান্সারকে। তাই আজকে আপনাদেরকে এই গুরুত্বপূর্ণ cells এর সম্পর্কে বিশেষ কিছু তথ্য জানাবো এবং আরো জানাবো eosinophils normal range কত। eosinophils সম্পর্কে important তথ্য গুলো জানার জন্য আপনি যদি interested হয়ে থাকলে পোস্টটি পড়তে পারেন।

Table of Content: eosinophils normal range - eosinophils meaning in bengali

eosinophils কি

মানবদেহের রক্ত কোষ তিনটি উপাদান দিয়ে গঠিত , যার মধ্যে একটি হল শ্বেত রক্তকণিকা যেটাকে ইংরেজিতে বলা হয় white blood cells. এই শ্বেত রক্তকণিকার বেশ কয়েকটি উপধরণ রয়েছে , যার মধ্যে একটি উপধরণ এর নাম হলো eosinophils. আমাদের শরীরের বোন ম্যারও এর ভেতরের উৎপন্ন হয় eosinophils. Eosinophils এর ভিতর বেশকিছু granule থাকে এই granule গুলোর ভেতরে রয়েছে বিশেষ কিছু এনজাইম।Eosinophils আমাদের শরীরের ইমিউনিটির ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজটি করে। বিশেষ কিছু পরজীবী বা প্যারাসাইট যখন আমাদের শরীরে প্রবেশ করে তখন , এই পরজীবী গুলোর  এগেইনেস্টে eosinophils ফাইট করে এবং ফাইট করে আমাদেরকে পরজীবী গুলোর ইনফেকশন থেকে প্রটেক্ট করে। এছাড়াও আমাদের শরীরের যখন কোন এলার্জেন্ট প্রবেশ করে তখন সেগুলো কেউ প্রটেক্ট করার ক্ষেত্রে ভূমিকা পালন করে eosinophils.

eosinophils meaning in bengali

বাংলায় eosinophils কে বলা হয় উষারঞ্জক এবং eosinophils এর বাংলা উচ্চারণ হলো ইওসিনোফিলস। অনেকে eosinophils এর বাংলা উচ্চারণ বলে থাকেন , ইসনোফিল। কিন্তু এটি সঠিক উচ্চারণ নয় eosinophils এর সঠিক বাংলা উচ্চারণ হলো - ইওসিনোফিলস।

eosinophils normal range

আমাদের ব্লাডের  কমপ্লিট ব্লাড কাউন্ট বা ডিফারেন্সিয়াল ব্লাড কাউন্ট যখন করা হয় তখন তাতে দেখা যায় যে আমাদের শরীরে রক্তের মধ্যে টোটাল কত শ্বেত রক্তকণিকা আছে এবং তার মধ্যে ইন্ডিভিজুয়াল শ্বেত রক্তকণিকার পার্সেন্টেজ কত। নরমাল বা স্বাভাবিক শ্বেত রক্তকনিকার মাত্রা হলো 1- 3% এবং যদি এ্যাবসল্যুট কাউন্ট নেওয়া হয় সেক্ষেত্রে eosinophils normal range is 0 - 450 per microliter of blood. অর্থাৎ পার মাইক্রো লিটার ব্লাডে  0 থেকে 450 এর মধ্যে eosinophils থাকতে পারে এবং এটি হলো eosinophils এর নরমাল মাত্রা। আর যখন পার মাইক্রো লিটার ব্লাডে eosinophils মাত্রা 500 এর ওপরে চলে যায় তখন সেটাকে eosinophilia বলা হয়।

What level of eosinophils indicate cancer

রক্তে eosinophils এর মাত্রা নরমাল রেঞ্জের চেয়ে বেড়ে গেলে যে এটি ক্যান্সার কে ইন্ডিকেট করবে , ব্যাপারটি এমন নয়। কারণ , eosinophils কাউন্ট বাড়তে পারে বিভিন্ন কারণে, যা আপনারা পূর্বেই। আর রক্তের eosinophils মাত্রার বিভিন্ন লেভেল রয়েছে যেমন- 

  • 450 cells per microliter normal eosinophils
  • 500-1500  cells per microliter eosinophils are mild condition
  • 1500-5000 cells per microliter eosinophils are moderate condition, &
  • 5000+ cells per microliter eosinophils are severe condition

সাধারণত রক্তে ইসমোফিলের মাত্রা যখন 5000 ক্রস করে তখন এই মাত্রাটিকে জরুরি অবস্থা হিসেবে বিবেচনা করা হয় এবং অনেক ক্ষেত্রে এটি ক্যান্সারকে ইন্ডিকেট করে। তবে এ ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়ার জন্য অবশ্যই উপযুক্ত পরীক্ষা-নিরীক্ষা করাতে হবে কারণ , আপনাদের আগেই জানিয়েছি eosinophils বেড়ে যাওয়ার অর্থই ক্যান্সার নয়। আর বিভিন্ন কারণে eosinophils বাড়তে পারে। তাই eosinophils এই নির্দিষ্ট মাত্রাটি আদৌ ক্যান্সারকে নির্দেশ করছে কিনা , এ ব্যাপারে যথেষ্ট এবং উপযুক্ত পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে নিশ্চিত হতে হবে।

Eosinophils কেন বাড়ে

অনেক সময় দেখা যায় ব্লাড টেস্টে eosinophils নরমাল রেঞ্জেতে বেশি থাকে ,eosinophils কাউন্ট বেশি হওয়ার পেছনে বেশ কয়েকটি কারণ থাকে যেমন - বিভিন্ন রকম প্যারাসাইটিক ইনফেকশন হলে বা বিভিন্ন রকম বা কৃমি যেগুলি থাকে সে গুলি শরীরের প্রবেশ করলে Eosinophils এর কাউন্ট  বাড়তে পারে। শরীরে প্রবেশ করলে তার জন্য Eosinophils কাউন্ট বাড়তে পারে, এছাড়া কি কারণে বাড়তে পারে বিভিন্ন রকম এলার্জিক কন্ডিশনে ,এ্যজমা এটবিক ড্রমাটাইটিস ,এটি ছাড়া আরও বিভিন্ন রকম এলার্জিক কন্ডিশনে  ইউজিনোফিলের কাউন্ট বাড়তে পারে। আবার যদি কারো কোন ড্রাগে এলার্জি যদি কারো থাকে ।কোন স্পেসিফিক ড্রাগে যদি কারোর এলার্জি থাকে সেটি নেওয়া হলে কিন্তু সেই ক্ষেত্রে Eosinophils সাময়িকভাবে বেড়ে যেতে পারে।

 Read more: What to Do if Hemoglobin is Low in Blood

এগুলো ছাড়াও অনেক সময় অটো ইমিউন ডিজিজের কারনেও বেড়ে যেতে পারে Eosinophils। আমাদের শরীরের মধ্যে কিছু অ্যান্টি বডি উৎপন্ন হয় যেগুলি আমাদের শরীরের বিভিন্ন অ্যান্টিজেন্ট কে টার্গেট করে এবং আমাদের বিভিন্ন অরগান নষ্ট করে ফেলতে পারে, আর এ ধরনের অটো ইমিউন ডিজিজ থাকলে Eosinophils কাউন্ট বেড়ে যায়। বিভিন্ন রকম ম্যালিগন্যান্সি বা ক্যান্সারের অথবা লিম্ফোমা থাকলে সেক্ষেত্রেও কিন্তু Eosinophils বাড়তে পারে।Eosinophils বেড়ে গেলেই সেটা খারাপ এমন না , অনেক ক্ষেত্রে কিন্তু আমাদের শরীরকে বিভিন্ন রকম ইনফেকশন থেকে প্রটেক্ট করার জন্য Eosinophils বাড়ে এবং আমাদেরকে রোগ থেকে প্রোটেক্ট করে। সবচেয়ে সাধারন যে কারণগুলোর জন্য Eosinophils বেড়ে যেতে পারে সেগুলো হলো - কৃমি ,প্যারাসাইটিক ইনফেকশন ,অ্যাজমা বা অ্যালার্জি , রাইনাইটিস etc.

eosinophils বেশি হলে কি হয়

রক্তে যদি eosinophils বেশি হয়ে যায় , তাহলে শরীর বেশ কিছু প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করে। শরীরের এইসব লক্ষণ বা প্রতিক্রিয়া দেখে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা যেতে পারে যে রক্তের eosinophils মাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে। রক্তে eosinophils এর মাত্রা বেশি হলে ,হতে পারে-

  • স্কিনে ফুসকুড়ি , চুলকানি , র‍্যশ
  • বেড়ে যেতে পারে হাঁপানি , এজমা , এলার্জি
  • দেখা দিতে পারে শ্বাসকষ্ট , সর্দি , কাশি
  • পরজীবী সংক্রমণের কারণে হতে পারে ডায়রিয়া

মন্তব্য , eosinophils এর মাত্রা বেশি হওয়া সবসময়ই খারাপ না বা ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায় না ।অনেক সময় প্যারাসাইটিস ইনফেকশন গুলো থেকে আমাদের শরীরকে রক্ষা জন্য eosinophils এর মাত্রা বেড়ে যায়। তাই রক্তের eosinophils মাত্রা বেড়ে গেলেই এটি ক্ষতির কারণ অথবা এটি ক্যান্সারকে নির্দেশ করছে এমনকি ভেবে আতঙ্কিত হওয়ার প্রয়োজন নেই। তবে হ্যাঁ রক্তে যদি eosinophils মাত্রা বেড়ে যায় তাহলে অবশ্যই এর ব্যাপারে ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করতে হবে পাশাপাশি উপযুক্ত টেস্ট করানোর মাধ্যমে কারণ সনাক্ত করতে হবে এবং ফিজিশিয়ানের নির্দেশনা মতামত চলতে হবে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন

comment url