শবে কদরের নামাজের নিয়ম - শবে কদরের নামাজ কত রাকাত
সূচিপত্রঃ শবে কদরের নামাজের নিয়ম - শবে কদরের নামাজ কত রাকাত
শবে কদরের নামাজ কত রাকাত
শবে কদর উদযাপনের রাত্রিগুলোতে অনেকেই দ্বিধা দ্বন্ধে ভোগেন এই পবিত্র এবং ফজিলতপূর্ণ রাতের নামাজের রাকাত সংখ্যা নিয়ে। শবে কদরের রাত্রিটিকে বলা হয় ভাগ্য রজনী এবং এই রাতে ইবাদত বন্দেগী এবং নামাজ , কালামের মাধ্যমে কাটালে হাজার বছরের চেয়েও বেশি সময় ইবাদত করার সমতুল্য সওয়াব পাওয়া যায়। শবে কদরের রাত্রে নামাজ আদায়ের জন্য এর কোন নির্দিষ্ট রাকাত নেই অর্থাৎ শবে কদরের রাত্রিতে যে যত অধিক সংখ্যক নফল নামাজ আদায় করতে পারবে সে তত লাভবান বা তার সব তত বেশি হবে। শবে কদরের রাত্রিতে এশা এবং তারাবির নামাজ পড়ার পর দুই রাকাত শবে কদরের নফল নামাজের নিয়তে যে যত ইচ্ছা নামাজ আদায় করতে পারেন।
শবে কদরের নামাজের নিয়ম
শবে ক্বদরের রাতে মাগরিবের পর গোসল করে ই'শা ও তারাবির নামাযের পরে বিতরের নামাযের পূর্বে দু'দু'রাকআ'ত করে কমপক্ষে বার রাকআ'ত নামায পড়তে হয়। এই নামায সুন্নাত। এই নামাযে প্রথম রাকআ'ত একবার সূরা ক্বদর ও দ্বিতীয় রাকআ'ত ৩ বার সূরা ইখলাস পড়তে হয়। এছাড়া ইচ্ছা অনুযায়ী অন্য নিয়মেও পরে যায়। সমস্ত রাত নামায, তেলাওয়াত তাসবীহ, দোয়া দরূদ পড়বে। শেষ রাতে গুনাহ মাফের জন্য এবং আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণের জন্য আল্লাহর দরবারে মুনাজাত করবে।
বিভিন্ন ধর্মীয় বই-পুস্তকগুলোতে শবে কদরের নামাজের বিশেষ কিছু নিয়ম
পাওয়া গেলেও বুযুর্গাম দের মতে এই নামাজের বিশেষ কোনো নিয়ম নেই , দুই
রাকাত শবে কদরের দফল নামাজের নিয়তে এই পবিত্র রাতে যে যত বেশি নামাজ আদায়
করতে পারে সে তত সওয়াবের অধিকারি হবে।
মন্তব্য , রমজান মাস কি হলো রহমত , মাগফিরাত এবং নাজাতের মাস আর এই
মর্যাদাপূর্ণ মাসের মধ্যে এমন একটি রাত রয়েছে যেই রাতে ইবাদত করার মাধ্যমে
হাজার বছর ধরে ইবাদত করার সমতুল্য সব লাভ করা যায় আর এই রাত্রিটি হল
লাইলাতুল কদরের রাত। নবীজি আমাদেরকে এই রাতটি তালাশ করতে বলেছেন
রমজানের শেষ দশ দিনের মধ্যে বেজোর রাত্রি গুলোতে। আল্লাহপাক আমাদের
সকলকে যথাযথভাবে লাইলাতুল কদরের এই রাত্রি উদযাপনের তৌফিক দান করুন এবং এই
বরকতময় রাতের ওসিলায় আমাদের সকলকে জাহান্নাম থেকে নাজাত দান
করুন( আমীন)।
নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন
comment url