কুমড়ো বীজের ১৬টি উপকারিতা - কুমড়ো বীজ খাওয়ার নিয়ম

কুমড়ো খাওয়ার যেমন একাধিক স্বাস্থ্য উপকারীতা আছে  , কুমড়োর বীজের ভেতরে রয়েছে অসাধারণ কিছু স্বাস্থ্য  উপকারিতা। বিভিন্ন ধরনের পুষ্টি উপাদান থাকায় এই বীজকে পাওয়ার হাউস বললে ও ভুল কিছু বলা হবে না। কিন্তু অপ্রয়োজনীয় মনে করে আমরা বেশিরভাগ মানুষই এই কুমড়ো ফেলে দিয়ে থাকি। কুমড়ো বীজ ফেলে দেয়ার আগে এর উপকারীতা গুলো একবার পড়লে হয়ত আপনিও এই বীজগুলো সংগ্রহ করবেন।

কুমড়ো বীজের ভেতরে নানান ধরণের পুষ্টিগুন রয়েছে এবং কুমড়ার ভেতরে থাকা উপাদানগুলো আমাদের স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে ,আর এর কারণে কুমড়োবীজ খাদ্য তালিকাতে যুক্ত রাখলে শরীরের বিভিন্ন সমস্যাগুলো অনায়াসে দূর করে নেয়া সম্ভব।কুমড়ো বীজে্র যে কত উপকারীতা আছে তা আপনাদের জানবো আজকের এ পোস্টে।

সূচিপত্রঃ কুমড়ো বীজের উপকারিতা - কুমড়ো বীজ খাওয়ার নিয়ম

 কুমড়ো বীজের উপকারিতা

রঙ্গিন সবজি হিসেবে পরিচিত মিষ্টি কুমড়ার রয়েছে নানান স্বাস্থ্য উপকারিতা , তবে শুধু মিষ্টি কুমড়ারই নয় একাধিক স্বাস্থ্য উপকারিতা পাওয়া যায় এই কুমড়ো বীজ থেকে। আর এই কুমড়ো বীজ খাওয়ার মাধ্যমে শরীরের বেশ কিছু জটিল সমস্যা সমাধান করে ফেলা যায় অনায়াসে। আমরা অধিকাংশ মানুষই আমাদের খাদ্য তালিকায় প্রায়ই মিষ্টি কুমড়া নামক সবজিটি যুক্ত করলেও রান্না করার সময় বা মিষ্টি কুমড়া কাটার সময় এর বীজগুলো ফেলে দিয়ে থাকি কিন্তু আমাদের অপ্রয়োজনীয় মনে করা এই কুমড়ো বীজের যে কত উপকারিতা রয়েছে তা জানলে আপনারা অবাক হবেন। কুমড়ো বীজ সাহায্য করে,

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতেঃ কুমড়ো বীজ থেকে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার , ম্যাগনেসিয়াম , প্রোটিন , জিংক , অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট , সালফার , আইরন , ফসফরাস , কপার ,ভিটামিন এ , বি , কে , ওমেগা ৩ ও ৬ , ফ্যাটি অ্যাসিড , বিটা ক্যারোটিন ইত্যাদি উপাদান পাওয়া যায়। আর এই উপাদান গুলো আমাদের শরীরের পুষ্টি ঘাটতি পূরণ করার মাধ্যমে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তুলতে সাহায্য করে। আর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ার কারণে ,কুমড়ো বীজ খাদ্য তালিকায় নির্দিষ্ট পরিমাণে যুক্ত করলে বিভিন্ন ধরনের রোগ শরীরে বাসা বাঁধার সুযোগ পায়না।

হাড় মজবুত করতেঃ কুমড়ো বীজ থেকে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম ,ম্যাগনেসিয়াম ও জিংক পাওয়া যায় আর এই উপাদান গুলো আমাদের শরীরের হাড় এবং দাঁত গঠনে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। আমাদের শরীরে যদি ক্যালসিয়ামের ঘাটতি দেখা যায় তাহলে , এর থেকে অস্টিওপোরোসিস রোগ সহ হাড়ের বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিতে পারে । শরীরে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি পূরণ করার ক্ষেত্রে কুমড়ো বীজ রাখতে পারে বিশেষ অবদান।

খাদ্য ডাইজেস্টের সাহায্য করেঃ কুমড়ো বীজ থেকে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার পাওয়া সম্ভব , আর আপনারা জানেন যে ফাইবার জাতীয় খাবার গুলো আমাদের খাদ্য ডাইজেস্টের জন্য কতটা উপকারী। সঠিকভাবে খাদ্যর ডাইজেস্টের কাজটি করার মাধ্যমে হজম প্রক্রিয়াকে উন্নত করতে সাহায্য করে কুমড়ো বীজ।

ডায়াবেটিস কমাতেঃ কুমড়ো বীজ রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করার মাধ্যমে ডায়াবেটিস কমাতে এবং ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। ডায়াবেটিস টাইপ টু এর রোগীদের জন্য কুমড়ো বীজ খুবই উপকারী। কুমড়ো বীজের ভেতরে থাকা ম্যাগনেসিয়াম সুগার লেভেল স্বাভাবিক রাখতে পারে এটি গবেষণা দ্বারা প্রমাণিত।

উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করেঃ ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করার পাশাপাশি কুমড়ো বীজ উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণেও যথেষ্ট ভূমিকা পালন করে থাকে। কুমড়ো বীজের ভেতরে থাকা ম্যাগনেসিয়াম নামক উপাদানটি উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখার কাজ করে থাকে।

কাজ করে প্রদাহ বিরোধী হিসেবেঃ কুমড়া বীজ কিন্তু আমাদের শরীরে প্রদাহ বিরোধী হিসেবেও কাজ করতে পারে , পারে কারণ এই বীজে রয়েছে এন্টি ইনফর্মেটরি উপাদানও। তাই শরীরের যে কোন প্রদাহ এবং ব্যথা কমাতেও খেতে পারেন কমড়ো বীজ।

হার্ট ভালো রাখেতেঃ কুমড়ো বীজের ভেতরে থাকা বিশেষ কিছু উপাদান আমাদের হার্ট ভালো রাখতেও সহায়তা করে থাকে আর এই উপাদান গুলোর মধ্যে রয়েছে ওমেগা 3 ও ওমেগা 6 , ফাইবার , অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এই উপাদানগুলো রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করার মাধ্যমে হার্ট অ্যাটাক , হার্ড ব্লক , স্ট্রোক সহ হার্টের বিভিন্ন সমস্যা দূরে রাখতে সাহায্য করে এবং হার্টের সুস্থতা বজায় রাখে এবং মনোসেচুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে বলে সহজে রক্তের খারাপ কোলেস্টেরল দূর করতে এবং ভালো কোলেস্টেরল বৃদ্ধি করার পাশাপাশি হার্ট ভালো রাখতে অবদান রাখে এই বীজ।

আরো পড়ুনঃ ভিটামিন ডি যুক্ত খাবারের অভাবে কি হয়

ক্যান্সার প্রতিরোধ করেঃ কুমড়ো বীজ হাটে সুরক্ষা দেয়ার পাশাপাশি ক্যান্সার প্রতিরোধে হিসেবেও কাজ করে থাকে কারণ কুমড়ো বীজ থেকে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট পাওয়া যায় আর এন্টিঅক্সিডেন্ট আমাদের শরীরে ক্যান্সারের সেলগুলোর ড্যামেজ করতে সাহায্য করে। যেহেতু এখন পর্যন্ত ক্যান্সার নির্মূলের জন্য নির্দিষ্ট কোন কার্যকরী ঔষধ আবিষ্কৃত হয়নি তাই ক্যান্সারের থাকার জন্য কুমড়ো বীজ খুবই কার্যকরী একটি উপাদান।

গর্ভাবস্থায় পুষ্টি ঘাটতি পূরণ করেঃ গর্ভবতী মায়েদের জন্য এক্সট্রা পুষ্টির দরকার হয় শরীরে। কারণ এই অবস্থাতে মা পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ করলে এর মাধ্যমে গর্ভের সন্তান পুষ্টি পায় এবং সুস্থভাবে বেড়ে উঠতে পারে। কুমড়ো ভিজে থাকা বিভিন্ন ধরনের খনিজ উপাদান এবং ভিটামিন গর্ভাবস্থায় পুষ্টি ঘাটতি পূরণে সাহায্য করে এবং গর্ভে থাকা বাচ্চার চোখ , কিডনি , হার্ট , ব্রেন ইত্যাদি সঠিকভাবে বিকাশের ক্ষেত্রে সাহায্য করে। গর্ভাবস্থায় গর্ভবতী মায়েদের জিংক এবং আয়রনের এক্সট্রা ঘাটতি পূরণ করতেও সাহায্য করে থাকে কুমড়ো বীজ।

ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখেতেঃ শারীরিক বৃদ্ধি পাওয়ার অন্যতম একটি কারণ হলো অতিরিক্ত খাদ্য গ্রহণ করা। কুমড়ো বীজ খেলে , বেশ অনেকক্ষণ পেট ভারি হয়ে থাকে এবং ক্ষুধা লাগার প্রবণতা কম থাকে কারণ কুমড়ো বীজে রয়েছে ফাইবার এবং প্রোটিন। অপরদিকে এই বীজে থাকা উপাদান গুলো শরীরে পুষ্টি ঘাটতি পূরণ করে যার ফলে কম খাদ্য গ্রহণ করলেও শরীর দুর্বল হয়ে পড়ে না। কুমড়ো বীজ খেলে যেহেতু ক্ষুধা রাখার প্রবণতা কমে যায় তাই এর মাধ্যমে ওজন কমানোর সহজ হয়ে যায়।

পুরুষ এবং মহিলার প্রজনন স্বাস্থ্য ভালো রাখতেঃ কুমড়ো বীজ পুরুষ এবং মহিলাদের প্রজনন স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সহায়তা করে। শুক্রাণুর গুণগত মান বৃদ্ধি করার পাশাপাশি মূত্রনালী সংক্রমণ রোধ করতে এবং টেস্টোস্টেরন আমার মনের মাত্রা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে কুমড়ো বীজ। এছাড়াও কুমড়ো বীজ খেলে প্রোস্টেট ক্যান্সারের ঝুঁকি কম হয় মেয়েদের মেনোপজ হওয়ার পরে অস্টিওপোরোসিস রোগের সম্ভাবনা কম থাকে।

প্রোস্টেট ভালো রাখেঃ পুরুষের প্রোস্টেট ভালো রাখার ক্ষেত্রে বিশেষভাবে সহায়তা করে থাকে কুমড়ো বীজে থাকা উপাদানগুলো। কুমড়ো বীজ নিয়মিত খাদ্য তালিকায় যুক্ত রাখলে প্রোস্টেট ক্যান্সারের ঝুঁকি মুক্ত থাকার পাশাপাশি প্রোস্টেট  বড় হওয়াসহ এ সংক্রান্ত বিভিন্ন সমস্যা থেকে মুক্ত থাকা যায়। প্রস্টেটিক হাইপারপ্লেসিয়া রোগীদের ক্ষেত্রে আদর্শ একটি খাবার হিসেবে বিবেচনা করা যেতে পারে কুমড়ো বীজকে।

অনিদ্রা দূর করতেঃ কুমড়ো বীজের ভেতরে থাকা উপাদানগুলো অনিদ্রা দূর করে ভালো ঘুমের আসার ক্ষেত্রে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে থাকে। কুমড়ো বীচে থাকা অ্যামিনো এসিড অনেকরা দূর করতে সাহায্য করে এছাড়াও কুমড়ো বীজ খেলে মেলা টোনিন হরমোন নিঃসরণের মাত্রা বৃদ্ধি পায় যার ফলে অনিদ্রার সমস্যা দূর হয়। আর এই কারণে যাদের অনিদ্রার সমস্যা রয়েছে তারা ভালো ঘুমের জন্য কুমড়ো বীজ ব্যবহার করে দেখতে পারেন।

আরো পড়ুনঃ অ্যাপেল সিডার ভিনেগার খাওয়ার নিয়ম

কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করেঃ কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করার জন্য ফাইবার সমৃদ্ধ খাবারগুলো খাওয়া অত্যন্ত জরুরি। ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার গুলো খেলে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূরে থাকে আর কুমড়ো বীজে উচ্চ ফাইবার থাকাই যাদের কোষ্ঠকাঠিন্য রয়েছে তারা এই সমস্যা দূর করার জন্য নিয়মিত কুমড়ো বীজ খাদ্য তালিকায় রাখতে পারেন। কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার পাশাপাশি কুমড়ো বীজ পেট পরিষ্কার রাখতেও সাহায্য করে।

দুশ্চিন্তা মানসিক চাপ কমাতেঃ কুমড়ো বীজ থেকে পাওয়া প্রচুর পরিমাণে ম্যাগনেসিয়াম আমাদের মানসিক চাপ , স্ট্রেস , দুশ্চিন্তা কমাতে সাহায্য করে। কুমড়ো বীজ খেলে সেরোটোনিম নামক এক ধরনের হরমোন নিঃসরণ এর মাত্রা বেড়ে যায় আর এই হরমোনটি আমাদের মানসিক চাপ কমানোর জন্য অত্যন্ত জরুরি। এই হরমোনটি স্নায়বিক চাপ কমিয়ে আমাদেরকে স্ট্রেস মুক্ত থাকতে সাহায্য করে আর মানসিক চাপমুক্ত থাকার কারণে এর সঙ্গে রিলেটেড থাকা রোগ বা সমস্যা গুলো কম হয়।

ত্বক ও চুল ভালো রাখতেঃ প্রচুর পরিমাণে এন্টিঅক্সিডেন্ট , জিংক , সালফার , ফ্যাটি অ্যাসিড , ওমেগা থ্রি , ভিটামিন এ , ভিটামিন বি এবং কে এই উপাদান গুলো শরীর সুস্থ রাখার পাশাপাশি তকো চুল ভালো রাখতেও সাহায্য করে থাকে। আর এ কারণে কুমড়ো বীজ খেলে চুল স্বাস্থ্যজ্জ্বল এবং ঘন হওয়ার পাশাপাশি ত্বক গ্লোয়িং , সুন্দর এবং চেহারার উপরে বয়সের ছাপ দূর হয়। কুমড়ো বীজ খেলে ব্রনের সমস্যা অনেক কম হয় এবং ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখতে সহায়তা করে।

কুমড়ো বীজ খাওয়ার নিয়ম

কুমড়ো থেকে বীজ সংগ্রহ করে সেই বীজগুলো ভালোভাবে শুকিয়ে ব্যাটেলে নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে  খেতে পারেন অথবা বাজারেও কুমড়ো বীজ কিনতে পাওয়া যায় সেইগুলো কিনে এনেও এই পুষ্টিকর খাবারটি খাদ্য তালিকায় যুক্ত করতে পারেন। কুমড়ো বীজ বিভিন্ন নিয়মেই খাওয়া যায় ,এই ড্রাই ফ্রুটের সাথে , সালাদের মধ্যে দিয়ে , তরকারির ভেতরে ব্যবহার করে অথবা সামান্য একটু ভেজে নিয়ে খালি মুখেও খাওয়া যায়। এছাড়াও আপনি চাইলে স্নেক জাতীয় খাবার বেক করার সময় এর ওপরে দিয়েও খেতে পারেন। কুমড়ো 

কুমড়ার বীজ কখন খেতে হয়

কুমড়ো বীজ খাওয়ার বিশেষ এবং নির্দিষ্ট কোন সময় ও নিয়ম না থাকলেও বিশেষজ্ঞরা মনে করেন কুমড়ো বীজ খাওয়ার উৎকৃষ্ট সময় হলো সকালে। সকালে নাস্তার সময় কুমড়ো বিচ খেলে সারাদিন শরীরে এনার্জি পাওয়া যায় এবং শরীর কর্মক্ষম থাকে। তবে মনে রাখতে হবে পুষ্টিকর এবং উপকারী বলে কিন্তু অতিরিক্ত মাত্রায় কুমড়ো বীজ খাদ্য তালিকায় ব্যবহার করা যাবে না , কারণ এতে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হতে পারে তাই আপনি প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় সর্বোচ্চ ৩০ গ্রাম কুমড়ো বীজ রাখতে পারেন।

কুমড়ার বিচি কোথায় পাওয়া যায়

কুমড়ো আমাদের দেশের খুবই সহজলভ্য একটি সব্জী , এই সবজিটি আমাদের দেশের সবজায়গাতেই এবং সারা বছরই পাওয়া যায়।যেহেতু সারা বছরই সবজিটা আমাদের দেখে সুলভ মূল্যে প্রচুর পরিমাণে তাই , এই বীজ পাওয়া কোন কঠিন কাজ নয়। যে কোন মানুষ ইচ্ছা করলে বাজার থেকে মিষ্টি কুমড়ো এনে এর বীজ সংগ্রহ করে দীর্ঘদিন ধরে ব্যবহার করতে পারেন অথবা আশেপাশে থাকা যে কোন মুদি দোকান বা ড্রাই ফ্রুট এর দোকান থেকে খুব সহজে সংগ্রহ করা যায় এছাড়াও অনলাইন অর্ডার করার মাধ্যমে কম সময়ের মধ্যে কুমড়ো বীজ সংগ্রহ করা সম্ভব। ১০০ গ্রাম কুমড়ো বীজ সংগ্রহ করার জন্য প্রায় 200 থেকে 300 টাকা ব্যয় করার মাধ্যমে সহযেই অনলাইন অথবা দোকান থেকে সংগ্রহ করতে পারবেন।
মন্তব্য , কুমড়ো বীজ খুবই পুষ্টিকর খাবার এবং এই খাবারটি ড্রাই ফ্রুট হিসেবে সকাল এবং বিকালের নাস্তা তে রাখা যায় আর আপনারা খেয়াল করে দেখবেন যে মিক্সড ড্রাইভ ফ্রুটস এর কৌটাগুলোতে বিভিন্ন ড্রাই ফ্রুট গুলোর সাথে কুমড়ো বীজ যুক্ত করা থাকা। মিষ্টি কুমড়া রান্নার সময় পুষ্টিকর এই বীজ গুলো ফেলে না দিয়ে সংগ্রহ করুন এবং প্রতিদিন নির্দিষ্ট পরিমাণে খাওয়ার চেষ্টা করুন। তবে মিষ্টি কুমড়াতে যেহেতু অনেকেরই এলার্জির প্রবণতা দেখা দেয় , তাই মিষ্টি কুমড়ার বীজে যদি আপনি এলার্জি সমস্যা অনুভব করেন তাহলে এর থেকে দূরে থাকতে পারেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন

comment url