কি খেলে ব্লাড ক্যান্সার হয় - ব্লাড ক্যান্সার হলে কতদিন বাঁচে

ব্লাড ক্যান্সার হল রক্তের লোহিত কণিকা হওয়া এক ধরনের ক্যান্সার যা অস্থিমজ্জার ভেতরে থাকা রক্ত গঠনকারী কোষকে বিশেষভাবে প্রভাবিত করে। ব্লাড প্রেসার প্রধানত তিন ধরনের হয়ে থাকে। এই ক্যান্সার হওয়ার বিশেষ কোনো বয়স না থাকলেও ,বেশকয়টি গবেষণায় দেখা গেছে যে বয়স্কদের তুলনায় শিশুরা ব্লাড ক্যান্সারে ঝুঁকিতে বেশি থাকে। তাই যে কোন বয়সী মানুষই যাতে ব্লাড ক্যান্সারে আক্রান্ত না হয় সেই জন্য কি খেলে ব্লাড ক্যান্সার হয় বা হওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে এই বিষয়ে জেনে রাখা দরকার।

ব্লাড ক্যান্সার অত্যন্ত জটিল একটি রোগ এবং এই রোগটি সম্পর্কে অনেকেই জানতে চেয়ে থাকেন যে ব্লাড ক্যান্সার হলে রোগী কত দিন বাঁচে আজকের এই পোস্টের মাধ্যমে আপনারা এই বিষয়টি ক্লিয়ার ভাবে জানানোর চেষ্টা করব।

সূচিপত্রঃ কি খেলে ব্লাড ক্যান্সার হয় - ব্লাড ক্যান্সার হলে কতদিন বাঁচে

কি খেলে ব্লাড ক্যান্সার হয়

খাদ্যাভ্যাসের দিকে অবহেলা করা অথবা অসাস্থ্যকর খাবারগুলো বেশিরভাগ ক্ষেত্রে আমাদের বা ব্লাড ক্যান্সারের জন্য দায়ী। এমন অনেক খাবার আছে যেগুলো আমরা খাদ্য তালিকায় যুক্ত করার ফলে দিন দিন নিজেরাই নিজেদের ব্লাড ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়াচ্ছি। তাই চলুন আজকে জেনে নেওয়া যাক কি খেলে ব্লাড ক্যান্সার হয়। কারণ কি খেলে ব্লাড ক্যান্সার হয় এই বিষয়গুলো যখন আমাদের জানা থাকবে তখনই আমরা এর জন্য সচেতন হতে পারব। তাই চলুন কি খেলে ব্লাড ক্যান্সার হয় সেই খাদ্যের নাম গুলো জেনে নেওয়া যাক।

কৃত্রিম রং ব্যবহার করা খাবারঃ আজকাল বিভিন্ন ধরনের কৌটা জাত বা বাজারজাতকরণ খাবার গুলোর মধ্যে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই আকর্ষণীয় করে তোলার জন্য কৃত্রিম রং ব্যবহার করা হয় যা নাকি আমাদের শরীরের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর এবং ব্লাড ক্যান্সারের জন্য দায়ী। তাই আমরা যদি বাজারের এই কৃত্রিম রং ব্যবহার করা খাবার গুলো বর্জন করতে পারি তাহলে অনেক অংশে ব্লাড ক্যান্সারের ঝুঁকি থেকে মুক্ত থাকতে পারে । কৃত্রিম রং ব্যবহার করা খাবার গুলোর মধ্যে রয়েছে সাদা ময়দা, লো ফ্যাট প্রডাক্ট গুলো রয়েছে। এগুলো আমরা খালি চোখে দেখে হয়তো রং বুঝতে পারি না কিন্তু এর ভেতরে প্রচুর পরিমাণে কৃত্রিম রং মেশানো হয় যা ব্লাড ক্যান্সারের কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে।

আরো পড়ুনঃ দাঁত ব্যথা হলে করণীয় এবং দাঁত ব্যথার দোয়া

অতিরিক্ত রেড মিট খাওয়াঃ ব্লাড ক্যান্সারের অন্যতম আরেকটি কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে অতিরিক্ত রেড মিট খাওয়া। মাংস শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় হলেও অতিরিক্ত খাওয়া কখনোই ভালো লক্ষণ নয় তাই অতিরিক্ত রেডমি খাওয়া পরিহার করে শাকসবজি এবং ফল খাওয়ার উপরে বেশি নজর দিন এগুলো আপনার ব্লাড ক্যান্সারের ঝুঁকি কম করতে সাহায্য করবে।

ভেজিটেবল অয়েলঃ ভেজিটেবল বা শাকসবজি আমাদের শরীরের জন্য অপরিহার্য হলেও ভেজিটেবল অয়েল শরীরের ক্ষেত্রে খুব একটা সুফল বয়ে আনে না কারণ ভেজিটেবল অয়েল তৈরি করার সময় রাসায়নিক বিভিন্ন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তৈরি করা হয় যা কিনা ব্লাড ক্যান্সার সহ অন্য যেকোনো ক্যান্সার এর ঝুঁকি বাড়াতে সাহায্য করে।

প্রসেস ফুডঃ বর্তমানের আধুনিক যুগে প্রায় ধরনের খাবারগুলো আমরা প্রসেস ফুড আকারে যে কোন কনফেকশনারিতে পেয়ে যেতে পারি। এবং এগুলো একেবারে ঝামেলা হীন ভাবে খুব সহজেই তৈরি করে নেওয়া যায় তাই অধিকাংশ মানুষ এগুলোর উপরে বেশি আকৃষ্ট হন তবে এই জাতীয় প্রসেস ফুড বা কোনটা জাতকরণ খাবার গুলোর মধ্যে প্রচুর পরিমাণে রাসায়নিক পদার্থ প্রয়োগ করা থাকে। আর এই ধরনের প্রসেস ফুড বা কৌটা জাত করন খাবার গুলো আমাদের ব্লাড ক্যান্সার সহ অন্যান্য ক্যান্সার এর মতন মরণ ব্যাধিতে আক্রান্ত হতে সাহায্য করে।

ব্লাড ক্যান্সার কি ভালো হয়

আমাদের সকলের মাঝেই ক্যান্সার মানে হল একটি আতঙ্কের নাম। ব্লাড ক্যান্সার মোটামুটি তিন প্রকার হলেও এই তিন প্রকারের বিভিন্ন ভাগ রয়েছে। ব্লাড ক্যান্সারের এর সকল ভাগের তীব্রতা এবং অসুখের ধরন এক নয়। অনেকের মনের মধ্যেই একটি প্রশ্ন থাকে ব্লাড ক্যান্সার কি ভালো হয়? চলুন আজকে আপনাদেরকে ব্লাড ক্যান্সার কি ভালো হয় এই প্রশ্নের উত্তরটি দেয়ার চেষ্টা করি। ব্লাড ক্যান্সার হলে যদি সঠিক সময়ে সঠিকভাবে চিকিৎসা করা যায় তাহলে , এর থেকে নিরাময় সম্ভব। সঠিক চিকিৎসা পদ্ধতি এবং কিছু নিয়মকানুন মেনে চললে ব্লাড ক্যান্সার অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়।

আরো পড়ুনঃ পিত্তথলির পাথর কেন হয়

ব্লাড ক্যান্সারের বিভিন্ন স্টেজের জন্য প্রয়োজন মতন ঔষধ বা কেমোথেরাপি মাধ্যমে দীর্ঘদিন চিকিৎসার ফলে ৮০% সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। বর্তমানে চিকিৎসা পদ্ধতি উন্নত হওয়ায় অস্থিমজ্জায় ক্যান্সার হলে সেটি প্রতিস্থাপনেরও ব্যবস্থা চালু হয়েছে। ব্লাড ক্যান্সারের ক্ষেত্রে যদি প্রাথমিক পর্যায়ে কেমোথেরাপিতে ক্যান্সার না ছাড়ে তাহলে বোনম্যারো ট্রান্সপ্লান্টেশন এর ব্যবস্থা রয়েছে যদিও এই পদ্ধতিতে ট্রান্সপ্লান্টেশন বেশ কিছুটা ব্যয়বহুল তারপরেও এটি নিরাময় যোগ্য।

ব্লাড ক্যান্সার হলে কতদিন বাঁচে

ক্যান্সারের নাম শুনলেই প্রাথমিকভাবে আমরা খুবই আতঙ্কিত হয়ে পড়ি, এবং এই রোগটি সম্পর্কে অনেকেই অনেক কিছু জানতে চান। অনেকেই জানতে চান ব্লাড ক্যান্সার হলে কতদিন বাঁচে। আসলে ব্লাড ক্যান্সার হলে কতদিন বাঁচে এই বিষয়টি নির্ভর করে ব্লাড ক্যান্সারের ধরন, ক্যান্সারের তীব্রতা এবং আপনার লাইফ স্টাইল এর উপর। সঠিক সময়ে যদি সঠিকভাবে ব্লাড ক্যান্সারে চিকিৎসা শুরু করা যায় তাহলে প্রায় ৮০% নিরাময় সম্ভব এছাড়াও ব্লাড ক্যান্সারে চিকিৎসা পদ্ধতি ভালোভাবে অনুসরণের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করে সুস্থ ভাবে জীবন যাপন করা যায়। বর্তমানে চিকিৎসা পদ্ধতি অনেক উন্নত হওয়ায় ব্লাড ক্যান্সার হলে প্লাজমা এবং বোনম্যারো ট্রান্সপ্লান্টেশন মাধ্যমে অনেকাংশেই সুস্থ থাকা সম্ভব।

মন্তব্য , ক্যান্সার মানুষের জন্য বরাবরই একটি আতঙ্কের নাম , এবং এই ক্যান্সার নামক রোগটি শরীরের অভ্যন্তরে কখন যে বাসা বাধে তার মানুষ বুঝতে পারে না তাই এই রোগকে নীরব ঘাতক বলা হয়। আর এই কারণে এই নীরব ঘাতক সম্পর্কে আমাদের সবসময় যথেষ্ট সচেতন থাকতে হবে। বর্তমান যুগে বিভিন্ন ধরনের ক্যান্সারের প্রাদুর্ভাব বেড়ে যাওয়ার পেছনে রয়েছে আমাদের খাদ্যাভ্যাস তাই অবশ্যই আমাদেরকে জানতে হবে কোন খাবারগুলো আমাদের শরীরে ক্যান্সার প্রতিরোধে হিসেবে কাজ করে এবং কোন খাবারগুলো ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয় এবং এ ব্যাপারে সচেতন হতে হবে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন

comment url