মাসে ২০ হাজার টাকা ইনকামের সেরা ৪৫টি উপায়

যেকোনো কাজ বা যেকোনো কিছু করার পেছনে মানুষের ইচ্ছা শক্তিটা অনেক বড় একটি বিষয়। আপনার যদি কোন কিছু করার ইচ্ছা থাকে তাহলে , বারবার ব্যর্থ হলেও আপনি যখন পুনরায় চেষ্টা করবেন তখন একসময় ঠিকই আপনার সফলতা আসবে। আর অর্থ উপার্জন বা টাকা আয় করার বিষয়টিও এর আওতার বাইরে নয় অর্থাৎ আপনি যদি মাসে নূন্যতম ২০ হাজার টাকা ইনকাম করতে চান তাহলে এই বিষয়টিও আপনার কাছে অসাধ্য কিছু হবে না যদি আপনার জানা থাকে এর উপায় সম্পর্কে।

যদিও কাজ করার ইচ্ছা সম্পূর্ণ ডিপেন্ড করেবে আপনাদের ওপর , কিন্তু এই ব্যাপারে আমরা আপনাদের সাহায্য করতে পারি মূল্যবান কিছু গাইডলাইন দেয়ার মাধ্যমে। অর্থাৎ আপনি যদি মান্থলি নূন্যতম  ২০ হাজার টাকা ইনকাম করতে চান তাহলে , কোন কোন কাজগুলো করলে আপনি খুব সহজেই মাস শেষে কমপক্ষে ২০ হাজার টাকা ইনকাম করতে পারবেন সে ব্যাপারে সঠিক ধারণা দিতে পারি। আর ইনকামের এই কাজটি আপনি করতে পারেন অনলাইন এবং অফলাইন দুইভাবে। মানে হচ্ছে আপনি চাইলে অনলাইনে অথবা অফলাইনে যে কোন ভাবেই ইনকাম করতে পারবেন শুধু জানতে হবে এর উপায় গুলো।

মাসে ২০ হাজার টাকা আয় করার উপায়

আপনাদের আগেই বলেছি মাসে ন্যূনতম ২০ হাজার টাকা ইনকাম করার অনলাইন এবং অফলাইন দুইটি আছে , আর এই উপায় গুলোর ভেতরে রয়েছে একাধিক পদ্ধতি। তাহলে চলনা দেরি না করে , কোন কোন কাজগুলোর মাধ্যমে এবং কিভাবে মাসে বিশ হাজার টাকা আপনি খুব সহজে ইনকাম করে ফেলতে পারবেন সে বিষয়ে জেনে নেওয়া যাক। মান্থলি ২০ হাজার টাকা ইনকামের উপায় গুলো হতে পারে নিম্নরূপ ,

অনলাইন উপায়-

ইউটিউব থেকে উপার্জনঃ মোবাইল দিয়ে ইউটিউব থেকে অর্থ উপার্জন করার জন্য সর্বপ্রথমে আপনার যে কাজটি করতে হবে সেটি হল , আপনাকে একটি ইউটিউব চ্যানেল খুলতে হবে। আপনারা জানেন বর্তমানে প্রায় সকল মানুষই বিভিন্ন জিনিস বা তথ্য জানার জন্য ইউটিউবে সার্চ করে থাকে অথবা এমনিতেও অনেক সময় ইউটিউব ভিডিও দেখতে থাকে। আপনি যদি ইউটিউব চ্যানেলের মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের ভিডিও তৈরি করে আপলোড করেন তাহলে এই চ্যানেলগুলোর মধ্যে দিয়ে বিজ্ঞাপন দেখানোর মাধ্যমে অর্থ ইনকাম করতে পারবেন। আপনার যদি একটি ইউটিউব চ্যানেল থেকে থাকে তাহলে সেই চ্যানেলে বিভিন্ন বিষয়ের ওপরে ভ্লগ ভিডিও তৈরি করে আপলোড দেওয়ার মাধ্যমেও আপনি অর্থ উপার্জন করতে পারবেন। তবে সে ক্ষেত্রে অবশ্যই আপনার চ্যানেলের পর্যাপ্ত পরিমাণে সাবস্ক্রাইবার থাকা জরুরী। আপনি আপনার চ্যানেলে খাবার রেসিপি , ফানি ভিডিও , বিনোদনমূলক ভিডিও , শিক্ষামূলক ভিডিও ইত্যাদি ভিডিও তৈরি করে আপলোড দেওয়ার মাধ্যমে এবং গুগল এডসেন্স এর মাধ্যমে অর্থ ইনকাম করতে পারবেন।

ফেসবুকের মাধ্যমে মোবাইল দিয়ে উপার্জনঃ বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়াম মাধ্যমিক হিসেবে আমরা বয়সী মানুষ ফেসবুক ইউজ করি , কিন্তু আপনাদের মধ্যে অনেকেরই হয়তো জানা নাই যে আপনার হাতে থাকা মোবাইল ফোনটির মাধ্যমে ফেসবুক থেকেও অর্থ উপার্জন করা যায়। ফেসবুক থেকে অর্থ উপার্জন করতে হলে সর্বপ্রথমেই আপনাকে একটা ফেসবুক পেজ খুলতে হবে এবং এই ফেসবুক পেজে বিভিন্ন ধরনের পোস্ট , কনটেন্ট , ভিডিও আপলোড করার মাধ্যমে এখান থেকেও একটা ভালো অংকের অর্থ উপার্জন করা সম্ভব ।

ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্টঃ বিদেশি কোম্পানিগুলো মাঝে মাঝেই তাদের প্রয়োজন অনুযায়ী ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট নিয়োগ দিয়ে থাকে তাই , আপনি যদি শিক্ষিত হয়ে থাকেন এবং সুন্দরভাবে অন্যের সাথে  কমিউনিকেশনের যোগ্যতা রাখেন তাহলে ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসেবে বিভিন্ন কোম্পানির সাথে যুক্ত হতে পারেন। বিদেশি অনেক বড় বড় কোম্পানি তাদের প্রতিষ্ঠানের জন্য ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট নিয়োগ দিয়ে থাকে। ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসেবে যুক্ত হতে হলে আপনাকে ফ্রিল্যান্সার , ফাইভার , আপ ওয়ার্ক, টাস্ক র‍্যাবিট এই জাতীয় ওয়েবসাইট অথবা প্ল্যাটফর্ম গুলোতে প্রোফাইল ক্রিয়েট করতে হবে।ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসেবে কাজ করা যেহেতু ঘরে বসেই পসিবল তাই 

ভার্চুয়াল একাউন্টেন্টঃ  ঘরে বসে ইনকামের উপায় খুঁজছেন এ ধরনের মানুষদের জন্য আরও একটি স্ট্যান্ডার্ড কাজ হল ভার্চুয়াল একাউন্টেন্ট।আপনি যদি একাউন্টিং এর উপরে কোন ডিগ্রী নিয়ে থাকেন তাহলে এ কাজটি আপনার জন্য অনেক সুবিধার হবে। বিভিন্ন বড় বড় কোম্পানিগুলো তাদের লেনদেনের হিসাব রাখার জন্য ভার্চুয়াল একাউন্টেন্ট নিয়োগ দিয়ে থাকে , এই কোম্পানিগুলোর সাথে যুক্ত হয়ে আপনি ভার্চুয়াল একাউন্টেন্ট হিসেবে কাজ করতে পারেন ।

কন্টেন্ট রাইটিংঃ বিভিন্ন বিষয়ে যদি আপনার পর্যাপ্ত জ্ঞান থাকে এবং আপনি যদি লেখালেখি করতে ভালোবাসেন বা বিভিন্ন বিষয়ে লেখালেখি করার ওপরে আপনার বিশেষ দক্ষতা থাকে তাহলে সে ক্ষেত্রে আপনি কন্টেন্ট রাইটিং করেও অর্থ উপার্জন করতে পারেন। কনটেন্ট রাইটার হিসেবে বিভিন্ন জনপ্রিয় ওয়েবসাইটের মালিকেরা লোক নিয়োগ করে থাকে। আপনি সেই ধরনের কোন ওয়েবসাইটের মালিকের সাথে যোগাযোগ করার মাধ্যমে কন্টেন্ট রাইটিং এর কাজ করতে পারেন অথবা নিজেও একটি ওয়েবসাইট তৈরি করে সেখানে কন্টেন্ট রাইটিং এর কাজ করতে পারেন।

রিমোট জব করেঃ আপনি যদি শিক্ষিত হয়ে থাকেন এবং আপনার যদি অনলাইনে কাজ করার অভিজ্ঞতা বা দক্ষতা থাকে তাহলে সে ক্ষেত্রে আপনি ঘরে বসে রিমোট জব করতে পারেন ।অল্প কথায় যদি বলা যায় তাহলে রিমোট জব বলতে বোঝায় , ঘরে বসেই মাল্টিন্যাশনাল , আন্তর্জাতিক অথবা বিদেশি যাই বলেন না কেন এই ধরনের কোম্পানিগুলোর সাথে জব করা।
এই কাজটি অনেকটা বেশিও অফিশিয়াল কাজের মতন তবে পার্থক্য শুধু এইটুকুই যে ঘরে বসেই আপনি অনলাইনের মাধ্যমে বিদেশি কোম্পানিগুলোর সাথে এই কাজটি করতে পারেন। সাধারণ এই কাজগুলোতে প্রথমে আপনার দক্ষতা দেখা হয় এবং এরপর আপনার দক্ষতা অনুযায়ী আপনাকে কাজ দেয়া হয়। এখন আপনার মনে প্রশ্ন আসতে পারে রিমোট জব আপনি কোথায় থেকে পাবেন বা রিমোট যবে জয়েন হবেন কিভাবে ? এবার জানাচ্ছি এই প্রশ্নের উত্তর , রিমোট জব পেতে হলে আপনাকে প্রথমে লিংকডিন (linkedin) এ প্রোফাইল ক্রিয়েট করতে হবে। এরপর এখান থেকে রিমোট জব লিখে সার্চ দিলে বিভিন্ন ধরনের রিমোট জবের তালিকা আপনার সামনে শো করবে সেখান থেকে আপনি আপনার দক্ষতা অনুযায়ী কাজ বেছে নিয়ে , কোম্পানির সাথে যুক্ত হয়ে কাজ করতে পারেন।

অনলাইন রিসেলিংঃ মোবাইলের মাধ্যমে রিসেলিং ব্যবসা করে আপনি খুব সহজেই টাকা ইনকাম করতে পারবেন। এই ব্যবসাতে আপনাকে নিজে থেকে কোন টাকা পয়সা ইনভেস্ট করতে হবে না। অনলাইন রিসেলিং ব্যবসায়ী আপনাকে যে কাজটি করতে হবে সেটি হল প্রোডাক্ট এর নির্মাতা বা বিক্রেতার সাথে সোশ্যাল মিডিয়া মাধ্যমে যুক্ত হয়ে তাদের পণ্য বা প্রোডাক্টগুলো বিভিন্নভাবে এবং বিভিন্ন মাধ্যমে প্রচার করতে হবে। এবং এই পণ্যগুলোর লাভের পরিমাণ এর ওপরে ভিত্তি করে প্রতিষ্ঠানের মালিক আপনাকে কমিশন দিবে। 

ওয়েবসাইট থেকে ইনকামঃ আপনার যদি একটি ওয়েবসাইট থাকে তাহলে সেই ওয়েবসাইটে নিয়মিত ভাবে কোন নির্দিষ্ট বিষয় নিয়ে অথবা বিভিন্ন বিষয়ের উপরে কন্টেন্ট তৈরি করে এবং সেগুলো আপলোড দেয়ার মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করতে পারবেন। তবে অবশ্যই ওয়েবসাইট থেকে ইনকাম করতে হলে সর্বপ্রথমে আপনার ওয়েবসাইটে পর্যাপ্ত পরিমাণ ভিজিটর আসার ব্যবস্থা করতে হবে এবং যখন ভালো সংখ্যায় ডিজিটাল আসা শুরু করবে তখন আপনি আপনার ওয়েবসাইটে গুগল এডসেন্স সেট করার মাধ্যমে এবং এই এড আপনার ওয়েবসাইট এর মাধ্যমে মানুষের কাছে উপস্থাপন করে দৈনিক 10 ডলার এর বেশি ইনকাম করতে পারেন ঘরে বসেই।

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংঃ অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং বর্তমানে জনপ্রিয় একটি ব্যবসা আর এই অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার জন্য আপনাকে কোন ইনভেস্ট করতে হবে না। তবে এফিলিয়েট মার্কেটিং করার জন্য আপনার থাকতে হবে একটি জনপ্রিয় ওয়েবসাইট অথবা ইউটিউব চ্যানেল , যে চ্যানেল বা ওয়েবসাইটে রেগুলার অনেক ভিজিটর আসা যাওয়া করে। এরকম যদি একটি জনপ্রিয় ওয়েবসাইট থাকে তাহলে আপনি খুব সহজেই বিভিন্ন বড় বড় কোম্পানিগুলোর প্রোডাক্ট আপনার ওয়েবসাইটে দেওয়ার লিংকের মাধ্যমে বিক্রি করার মধ্যে দিয়ে ইনকাম করতে পারেন।

ফ্রিল্যান্সিং ঃ আপনার যদি অনলাইনে কাজ করার অভিজ্ঞতা থাকে তাহলে সে ক্ষেত্রে আপনি ফ্রিল্যান্সিং করেও অর্থ উপার্জন করতে পারবেন। ফ্রিল্যান্সিং কাজের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের কাজে রয়েছে। বিভিন্ন মার্কেটপ্লেস গুলোতে একাউন্ট করার মাধ্যমে আপনি আপনার দক্ষতা অনুযায়ী ফ্রিল্যান্সিং কাজ বেছে নিয়ে সেগুলো যদি নিষ্ঠা এবং সততার সাথে পর্যাপ্ত সময় দিয়ে কাজগুলো করতে পারেন ঘরে বসেই ভালো উপার্জন করতে পারবেন।

ডেটা এন্ট্রিঃ আপনারা জানেন বর্তমানে ডাটা এন্ট্রির কাজ ফ্রিল্যান্সিং কাজ গুলোর মধ্যে জনপ্রিয়তার শীর্ষে অবস্থান করছে। এই ডেটা এন্ট্রি করার মাধ্যমে আপনি অনায়াসে মাসে ৫০ হাজার টাকা ইনকাম করে ফেলতে পারেন। তবে এ কাজটি করার জন্য প্রথমে আপনাকে ডাটা এন্ট্রি কাজের জন্য একটি বিশ্বস্ত ওয়েবসাইট খুঁজে নিতে হবে এরপর একটি কম্পিউটার অথবা ল্যাপটপ এবং ইন্টারনেট সংযোগ থাকলেই খুব সহজেই ডেটা এন্টির মধ্যে দিয়ে আপনি অর্থ উপার্জন করতে পারবেন। এই ডেটা এন্ট্রির কাজটি আপনি ফুল টাইম অথবা পার্ট টাইম অর্থাৎ আপনার ইচ্ছামতন করতে পারেন।

আরো পড়ুনঃ দৈনিক ১০০০ টাকা ইনকাম করার উপায়

মাইক্রো ওয়ার্কার্স সাইট থেকে ইনকামঃ মাইক্রো ওয়ার্কার্স সাইট থেকেও দক্ষতা ছাড়াও খুব সহজেই আপনি ইনকাম করতে পারেন। আর এই সাইট থেকে ইনকাম করতে হলে প্রথমে আপনাকে মাইক্রো ওয়ার্কার্স সাইট এর ওয়েবসাইট এ গিয়ে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। এরপর রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন হয়ে গেলে বিভিন্ন ধরনের আপনার সামনে শো করবে সেগুলোর মধ্যে থেকে যে কাজটি আপনি করতে পারেন বা যে কাজটির উপরে আপনার ভালো জ্ঞান আছে সেই কাজটি বেছে নিয়ে এর মাধ্যমে ইনকাম করতে পারেন।

এফ কমার্স এর মাধ্যমে ইনকামঃ অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশের মানুষ ফেসবুক ব্যবহারে বেশি স্বাচ্ছন্দ বোধ করে এবং অধিকাংশ মানুষই facebook ব্যবহার করে। এই ফেসবুকের একটি ব্যবসায়িক প্ল্যাটফর্মের নাম হল এফ কমার্স। এই এফ কমার্স এর মাধ্যমে বিভিন্ন প্রোডাক্ট সেল করার মধ্যে দিয়ে খুব সহজেই অর্থ উপার্জন করা সম্ভব।

ব্লগিং করেঃ আপনার যদি ব্লগ লিখার উপরে অথবা ব্লগ ভিডিও তৈরি করার উপরে বিশেষ দক্ষতা থাকে তাহলে আপনি খুব সহজেই ব্লগিং করার মাধ্যমে দৈনিক হাজার টাকা ইনকাম করতে পারেন। ব্লগিংয়ের এই কাজটি আপনি আপনার নিজের ওয়েবসাইটেও করতে পারেন অথবা অন্যের ওয়েবসাইটে গেস্ট ব্লগিং করার মাধ্যমে উপার্জন করতে পারেন।

 ই কমার্স ব্যবসাঃ আপনারা অনেকেই হয়তো জেনে থাকবেন অনলাইন ই কমার্স ব্যবসা বর্তমানে কতটা জনপ্রিয়। আপনি একটি ই-কমার্স ওয়েবসাইট ক্রিয়েট করার মাধ্যমে এর মধ্যে দিয়ে বিভিন্ন পোশাক , প্রোডাক্ট মানুষের কাছে বিক্রি করে বেশ বড় অঙ্কের একটি অর্থ উপার্জন করতে পারেন। এই ব্যবসাতে অনলাইনের মাধ্যমে গ্রাহকদের কাছে থেকে তাদের চাহিদা অনুযায়ী পণ্যের অর্ডার গ্রহণ করে তাদের কাঙ্খিত ঠিকানাই নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে অন্য পৌঁছে দিতে পারলেই দিন দিন আপনার ই কমার্স ওয়েবসাইট জনপ্রিয়তা অর্জন করবে এবং আপনার প্রোডাক্টগুলো বেশি বিক্রি হবে আর এর মাধ্যমে আপনি দিনে শুধু হাজার টাকা নয় বরং মাসে অন্ততপক্ষে ৫০ হাজারেরও বেশি ইনকাম করতে পারবেন।

মাইক্রো জবঃ আপনার হাতে যদি খুব বেশি সময় না থাকে তাহলে আপনি মাইক্রো জব গুলো করতে পারেন , মাইক্রো জবে সাধারণত একটি নির্দিষ্ট টাইমের মধ্যে ছোট ছোট কিছু কাজ সম্পন্ন করতে দেওয়া হয় যেমন -ব্লগ লেখা , ডেটা বের করা , সমীক্ষা পূরণ ইত্যাদি। মাইক্রো জবের মাধ্যমে আপনি এই সকল ছোট কাজগুলো স্বল্প সময়ের মধ্যে সম্পন্ন করে দৈনিক ৫০০ - ১০০০ টাকা পর্যন্ত ইনকাম করতে পারবেন।

হোম মেড খাবারের ব্যবসাঃ বর্তমান যুগের মানুষ অত্যন্ত কর্মব্যস্ত হওয়ার কারণে বিভিন্ন সময়ে অনলাইনে খাবার অর্ডার করে অফিস আদালতের লাঞ্চ সেরে নেই। আপনি যদি চান তাহলে এ ধরনের অফিসের সাথে যোগাযোগ করে হোমমেড লাঞ্চ অর্ডার নেয়া এবং ডেলিভারি দেওয়ার মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করতে পারেন

ওয়েব ডেভলপারঃ আপনি যদি ভালোমতো কোডিং এর কাজ করতে জানেন তাহলে সে ক্ষেত্রে ওয়েব ডেভলপার হিসেবেও কাজ করতে পারেন। বিভিন্ন ধরনের বেশি এবং বিদেশি কোম্পানিগুলো প্রায় সময়ই ভালো মানের ওয়েব ডেভলপার নিয়োগের জন্য সার্কুলার দিয়ে থাকে। আপনি এইসব কোম্পানি গুলো খুঁজে বের করে তাদের সাথে কন্টাক করার মাধ্যমে ওয়েব ডেভলপার হিসেবে কাজ নিতে পারেন। আর আপনি যদি ভালো একজন ওয়েব ডেভেলপার হয়ে থাকেন তাহলে সে ক্ষেত্রে এক হাজার থেকে এক লাখ টাকা পর্যন্ত ইনকাম করতে পারবেন।

প্রুফ রিডিংঃ প্রুফ রিডিং এর কাজটিও অত্যন্ত সহজে এবং এই মাধ্যমে সহজেই দৈনিক ১০০০ টাকা বাড়িতে বসেই ইনকাম করা সম্ভব। বিভিন্ন ধরনের জনপ্রিয় ওয়েবসাইট বা কোম্পানিগুলো তাদের কনটেন্ট অথবা বিজ্ঞাপন গুলো মার্কেটপ্লেসের ছাড়ার আগে সেগুলো ঠিক আছে কিনা দেখার জন্য প্রুফ রিডার নিয়ে থাকে , এই প্রুফ রিডারদের এই কাজ হল কোম্পানি বা ওয়েবসাইটের কনটেন্ট অথবা বিজ্ঞাপন গুলো ঠিক আছে কিনা অথবা কোন ভুল ভ্রান্তি আছে কিনা সেগুলো বের করা।

ট্রান্সলেটরঃ আপনার যদি একাধিক ভাষার ওপরে দক্ষতা থাকে তাহলে সে ক্ষেত্রে আপনি ট্রান্সলেটর হিসেবে যুক্ত হয়েও জব করতে পারেন। আন্তর্জাতিক বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান বা কোম্পানিগুলো তাদের কনটেন্ট গুলোকে ট্রান্সলেট করার জন্য ট্রান্সলেটর নিয়োগ দিয়ে থাকে , আপনি যদি একাধিক ভাষায় পারদর্শী হন তাহলে এই ধরনের ট্রান্সলেটর জব অথবা ট্রান্সলেট করার কাজগুলোর সাথে যুক্ত হয়ে অর্থ ইনকাম করতে পারেন।

ট্রান্সক্রিপশনিস্টঃ শুধু ট্রান্সলেটর নয় ট্রান্সক্রিপশনিস্ট হিসেবেও যুক্ত হয়ে আপনি বাড়িতে থেকেই খুব সহজে প্রতিদিন ইনকাম করতে পারেন তবে এই কাজটি করার জন্য আপনার মনোযোগ এবং টাইপিং স্পিড দুটোই থাকতে হবে। কারণ আপনি যখন ট্রান্সক্রিপশনিস্ট হিসেবে কাজ করবেন তখন আপনাকে একটি অডিও অথবা ভিডিও শুনতে দেওয়া হবে এবং যেটি মনোযোগ দিয়ে শোনার পরে সেখানে কি বলছে সেটি দ্রুত টাইপ করতে হবে। আপনি যত কম সময়ের মধ্যে এই কাজটি করে ফেলতে পারবেন আপনার অর্থ উপার্জন ততটাই সহজ হবে অর্থাৎ আপনার টাইপিং স্পিডের উপরে নির্ভর করছে অর্থ উপার্জনের স্কেল। তাই এই কাজের জন্য আপনার যথেষ্ট মনোযোগ এবং টাইপিং স্পিড থাকা জরুরি আপনি যদি মনোযোগ সহকারে ভিডিও বা অডিও ক্লিপটি  শুনে দ্রুত টাইপিং করতে পারেন এবং স্বল্প সময়ের মধ্যে নির্দিষ্ট কাজটি সম্পন্ন করতে পারেন তাহলে সে ক্ষেত্রে প্রতিদিন আপনি বেশ ভালো অংকের একটি অর্থ উপার্জন করতে পারবেন।

অনলাইন টিউটরঃ আপনি যদি গ্রাজুয়েট হয়ে থাকেন তাহলে সে ক্ষেত্রে অনলাইন টিউটর হতে পারেন। যেহেতু আজকাল বিভিন্ন ক্লাসের ছাত্রছাত্রীরা অনলাইনের মাধ্যমে শিক্ষা গ্রহণ করে থাকে সুতরাং সেক্ষেত্রে আপনি লাইভ অনলাইন টিউটর বা অনলাইনে টিউশনি করেও ইনকাম করতে পারেন এতে করে আপনার প্রতিদিন কম করে এক থেকে দুই হাজার টাকা ইনকাম হয়ে যাবে। এছাড়াও আপনি ইউটিউব চ্যানেলের মাধ্যমে বিভিন্ন সাবজেক্ট এর উপরে শিক্ষামূলক ভিডিও আপলোড করার মাধ্যমেও শিক্ষার্থীদের পড়াতে পারেন এবং অর্থ উপার্জন করতে পারেন।

সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিংঃ আপনি ইচ্ছা করলে সোশ্যাল মিডিয় মাধ্যমগুলোতে অযথা সময় নষ্ট না করে ফেসবুক , লিংকদিন , টুইটার , ইন্সটাগ্রাম ইত্যাদির মাধ্যমে গুলো ব্যবহার করে সোশ্যাল মিডিয়াম মার্কেটিং এর মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করতে পারে। এই প্লাটফর্ম গুলো ব্যবহার করে আপনি আপনার পরিষেবা গুলো বিভিন্ন মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে পারেন এবং সেখান থেকে আপনার দৈনিক ভালো অংকের একটা অর্থ উপার্জন হতে পারে।

অনলাইন সার্ভেঃ অনলাইন সার্ভে করেও আপনি প্রতিদিন হাজার টাকার বেশি ইনকাম করতে পারবেন। বিভিন্ন ধরনের ছোট-বড় অনেক কোম্পানি রয়েছে যারা নাকি তাদের প্রতিষ্ঠান বা প্রোডাক্টের অনলাইন সমীক্ষার জন্য লোক নিয়োগ করে থাকে, আপনি যদি অনলাইন সার্ভে করতে চান তাহলে এই ধরনের প্রতিষ্ঠানগুলোকে খুঁজে বের করে তাদের ওয়েবসাইটে সাইন আপ করার মাধ্যমে এই কাজের সাথে যুক্ত হতে পারেন এবং অনলাইন সার্ভে করে অর্থ উপার্জন করতে পারেন।

ভিডিও এডিটিংঃ ভিডিও এডিটিং বর্তমানে অর্থ উপার্জনের একটি জনপ্রিয় মাধ্যম। আপনি যদি ভিডিও এডিট করার কাজ জানেন তাহলে বিভিন্ন ধরনের ভিডিও গুলো এডিটিং করার মাধ্যমে দৈহিক হাজার টাকা ইনকাম করতে পারেনা। বিভিন্ন ধরনের জনপ্রিয় ইউটিউব চ্যানেলগুলো অনেক সময় তাদের চ্যানেলের ভিডিওগুলোকে এডিট করার জন্য এডিটর নিয়োগ দিয়ে থাকেন আপনি এ ধরনের চ্যানেল গুলোর সাথে যোগাযোগ করার মাধ্যমে ভিডিও এডিটর হিসেবে ভিডিও এডিটিং করে অর্থ উপার্জন করতে পারবেন।

ফটো এডিটিংঃ ভিডিও এডিটিং এর মতই ফটো এডিটিং করেও আপনি অনলাইনে ইনকাম করতে পারেন
গ্রাফিক ডিজাইনঃ গ্রাফিক ডিজাইন যদি আপনার জানা থাকে আপনি যদি বাসায় বসে খুব সহজেই ইনকাম করতে সক্ষম হবেন। বিভিন্ন ধরনের গ্রাফিক্স ডিজাইনগুলো যখন আপনি মার্কেটপ্লেসে দিয়ে রাখবেন তখন , প্রয়োজন অনুসারে মানুষ এগুলো দেখবে এবং এই ডিজাইনগুলো কেনার জন্য আপনার সাথে কন্টাক করবে , গ্রাফিক ডিজাইনের এই কাজগুলোতে কোন কোন ক্ষেত্রে সময় লাগলেও বেশ ভালো অংকের অর্থ উপার্জন করা সম্ভব হয়। তাই গ্রাফিক ডিজাইনের কাজ যদি আপনার জানা না থাকে তাহলে এই জাতীয় একটি কোর্স করে ঘরে বসেই ডিজাইন শুরু করতে এবং মার্কেটপ্লেসে আপলোড দিয়ে ইনকাম করতে পারেন।
প্রোগ্রামিং করেঃ প্রোগ্রামিং এর চাহিদা বর্তমানে অনেক বেশি , আপনার যদি প্রোগ্রামিং এর ওপরে দক্ষতা থাকে সে ক্ষেত্রে আপনি মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানি অথবা সফটওয়্যার যারা তৈরি করে তাদের সাথে যোগাযোগ করার মাধ্যমে প্রোগ্রামিং এর কাজটি করতে পারেন। কিন্তু এক্ষেত্রে আপনার প্রোগ্রামিং কাগজের উপরে যথেষ্ট দক্ষতা থাকতে হবে।
বিভিন্ন গেমিং অ্যাপের মাধ্যমেঃ এমন অনেক অ্যাপস রয়েছে যেগুলোর মাধ্যমেও ঘরে বসে ইনকাম করার সহজ। উঠতি বয়সের প্রজন্মের কাছে গেমিং অ্যাপ গুলো ইনকামের সহজ একটি মাধ্যম হয়ে উঠেছে। এ ধরনের গেমিং অ্যাপ গুলো ব্যবহার করেও আপনি ইনকাম করতে পারেন।
ওয়েবসাইট বিক্রিঃ অনেক আইটি সেন্টার রয়েছে যারা নাকি ওয়েবসাইট বিক্রি করার মধ্যে দিয়ে অনেক টাকা ইনকাম করছে । আপনার যদি ওয়েবসাইট তৈরি করার নিয়ম জানা থাকে তাহলে , ওয়েবসাইট তৈরি করে তাতে এডসেন্স প্রুভ করিয়ে, এই ওয়েবসাইটগুলো অন্যের কাছে বিক্রি করার মধ্যে দিয়েও উপার্জন করতে পারেন। এরকম ওয়েবসাইট তৈরি করে বিক্রি করার মাধ্যমে সামান্য কিছু ইনভেস্টমেন্ট করলেও বেশ ভালো উপার্জন হয়। ওয়েবসাইট বিক্রি করা হতে পারে ঘরে বসে উপার্জনের বেস্ট একটি মাধ্যম।

অফলাইন ব্যবসা-

ফ্যাশন ডিজাইনার হয়েঃ আপনি যদি টেইলরি জানেন , তাহলে সে ক্ষেত্রে ঘরে বসে খুব সহজে বিভিন্ন ডিজাইনের ড্রেস তৈরি করে এবং এর ড্রেসগুলো বাণিজ্যিকভাবে বিক্রি করার মাধ্যমেও ঘরে বসে অর্থ উপার্জন করতে পারেন। 

শিশুদের ডে কেয়ার সেন্টার করেঃ আমাদের আশেপাশে এমন অনেক ফ্যামিলি রয়েছে যেই ফ্যামিলি গুলোতে দেখা যায় বাবা-মা দুজনে কোন না কোন জব করেন সে ক্ষেত্রে এসব ফ্যামিলিরা ভালো মানের একটি শিশুদের ডে কেয়ার সেন্টার খুঁজে থাকেন , যেখানে তার সন্তানদেরকে নিরাপদে এবং নিশ্চিন্তে রাখতে পারবে। তাই আপনি যদি শিশুদের যত্ন নিতে পারেন তাহলে আপনার ঘরেই তৈরি করতে পারেন শিশুদের জন্য ডে কেয়ার সেন্টার।

পশু পালন করেঃ বাসাযর ফাঁকা জায়গা থাকলে সেখানে গরু ছাগল পালন করে অথবা ছাদের উপরে মুরগি পালন করার হতে পারে আপনার জন্য একটি ইনকামের উপায়। গরু-ছাগলের দুধ , হাঁস মুরগির ডিম এসবের চাহিদার যেহেতু কোন কমতি থাকে না তাই এসব গৃহপালিত পশুগুলো পালন করার মাধ্যমেও  ইনকাম করতে পারেন।

সবজি চাষ করেঃ আপনার বাসায় যদি থাকার জায়গা থাকে তাহলে সেখানে বিভিন্ন ধরনের সবজি চাষ করার মাধ্যমে এবং সেগুলো বাজারে সেল দেওয়ার মাধ্যমেও খুব সহজে ঘরে বসে ইনকাম করতে পারেন। সার ব্যবহার করে মাটিকে উর্বর এবং কীটনাশক ব্যবহার করার মাধ্যমে পোকামাকড় দমন করে অল্প সময়ের মধ্যে সবজি চাষ করে আপনি লাভবান হতে পারেন , আর যদি এক্ষেত্রে আপনার গার্ডেনিং করার হবে থেকে থাকে তাহলে তো বিষয়টি আরো সহজ হয়ে যায়। এতে করে একদিকে আপনার সব পুরনো হয় অন্যদিকে সবজি চাষের মাধ্যমে ইনকামের একটি ব্যবস্থা হয়ে যায়।

কাপড়ের ব্যবসা করেঃ আপনার বাড়ি গ্রাম বা শহর যেখানেই হোক না কেন , বাড়ির ভেতরে বিভিন্ন ধরনের গজ কাপড় , শাড়ি , থ্রি পিস , বাচ্চাদের পোশাক বিক্রি করার মাধ্যমে গড়ে তুলতে পারেন কাপড়ের ব্যবসা। বাসার সাথেই যদি দোকান করার ব্যবস্থা থাকে তাহলে এখানে একটি ফ্যাশন হাউজ করতে পারেন অথবা এইসব প্রোডাক্ট গুলো অনলাইন পেজের মাধ্যমেও বিক্রি করে শাড়ি কাপড়ের ব্যবসা শুরু করতে পারেন।

টিফিন সার্ভিস করেঃ বর্তমান যুগের মানুষ অত্যন্ত কর্মব্যস্ত হওয়ার কারণে বিভিন্ন সময়ে অনলাইনে খাবার অর্ডার করে অফিস আদালতের লাঞ্চ সেরে নেই। আপনি যদি চান তাহলে এ ধরনের অফিসের সাথে যোগাযোগ করে হোমমেড লাঞ্চ অর্ডার নেয়া এবং ডেলিভারি দেওয়ার মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করতে পারেন।

হ্যান্ডকার্ফ তৈরি করেঃ পুরাতন , অব্যবহৃত জিনিসগুলোকে মডিফাই করে সেগুলো ব্যবহারযোগ্য করে তোলা অথবা শোপিস হিসেবে সাজিয়ে রাখার জন্য , আপনার যদি হ্যান্ড ক্রাফ করার দক্ষতা থাকে তাহলে অপব্যবহৃত প্রোডাক্ট গুলো দিয়ে বিভিন্ন হ্যান্ডক্রাফ তৈরি করার মাধ্যমে এবং এগুলো অনলাইন ও অফলাইন সেল দেওয়ার মাধ্যমেও ইনকাম করতে পারেন। এই ধরনের হ্যান্ড ক্রাফ জাতীয় পণ্যগুলোর ব্যাপক চাহিদা রয়েছে বাজারে , তাই প্রোডাক্টগুলো তৈরি করে খুব সহজেই আপনি সেল করতে পারেন।

টিউশনি করে ইনকামঃ আপনি যদি পড়াশুনা জানা শিক্ষিত মানুষ হয়ে থাকেন তাহলে সে ক্ষেত্রে বাসায় টিউশনের ব্যবস্থা করার মাধ্যমে মান্থলি ভালো ইনকামের উপায় করতে পারেন। আপনার যোগ্যতা অনুযায়ী বিভিন্ন শ্রেণীর ছাত্র-ছাত্রীদের টিউশনি করার মাধ্যমে ইনকাম করা সম্ভব এক্ষেত্রে আপনি বাসায় বসে যেমন ইনকামের ব্যবস্থা করতে পারেন এবং পাশাপাশি আপনাকে কোন ইনভেস্টেন্ড করতে হয় না, তাই ঘরে বসে টিউশনির করা হলো অর্থ উপার্জনের অত্যন্ত লাভজনক একটি মাধ্যম।

বিকাশ পেমেন্টের ব্যবসাঃ আপনি যদি কিছু টাকা ইনভেস্ট করে বিকাশ পেমেন্টের ব্যবসা শুরু করতে পারেন তাহলে সে ক্ষেত্রে প্রতিদিন খুব সহজেই ৫০০ - ১০০০ টাকা পর্যন্ত ইনকাম করতে পারবেনা। আপনি বিকাশ , নগদ , রকেট এর এজেন্ট হয়ে অর্থ পাঠানো এবং অর্থ উত্তোলন এর করে কমিশন নেয়ার মাধ্যমে দিনে হাজার টাকা ইনকাম করতে পারেন।

ফার্মেসীঃ আপনার যদি অর্থ ইনভেস্ট করার মতন সামর্থ্য থাকে তাহলে আপনি যেকোন স্থানে ঔষধের দোকান দিতে পারে এবং আরে এখান থেকে প্রতিদিন কমপক্ষে হাজার টাকা ইনকাম করতে পারেন। তবে ওষুধ এর দোকান দেয়ার জন্য আপনার থাকতে হবে ঔষধ সম্পর্কে পর্যাপ্ত জ্ঞান , ফার্মেসি ট্রেনিং এবং ট্রেড লাইসেন্স।

গেসারি শপঃ দৈনিক হাজার টাকা ইনকাম নিয়ে আরেকটি লাভজনক অফলাইন ব্যবসা হল গোসারি শপ। দৈনিক হাজার টাকা ইনকামের জন্য তুমি চিন্তা ভাবনা করতে পারেন গোসারি শপের। কেননা গোসারি শপে যেহেতু মানুষের মৃত্যু প্রয়োজনীয় জিনিসগুলো থাকে তাই , খুব সহজেই এই জিনিসগুলো সেল করার মাধ্যমে দৈনিক ভালো অংকের অর্থ উপার্জন করা যায়।

রেস্টুরেন্টঃ বর্তমানে বিভিন্ন বয়সী মানুষ ছোটখাটো মিটিং , ফ্যামিলি ট্রিট , ফ্রেন্ডসদের সাথে আড্ডা দে অথবা একান্ত সময় কাটানোর জন্য রেস্টুরেন্ট গুলোকে বেছে নেয় তাই আপনি কিছু বেশি টাকা ইনভেস্ট করে একটি ভালো মানের রেস্টুরেন্ট খোলার চিন্তা করতে পারেন। রেস্টুরেন্ট চালু করতে যদিও প্রাথমিক অবস্থায় আপনার বেশ কিছু খরচ হবে ঠিকই কিন্তু একবার এই রেস্টুরেন্টে চালু হয়ে গেলে বা জনপ্রিয়তা লাভ করলে এখান থেকে আপনি দৈনিক হাজার হাজার টাকা অনায়াসে ইনকাম করতে পারবেন।

স্ট্রিট ফুডঃ আপনার কাছে যদি নামিদামি রেস্টুরেন্ট খোলার মতন ব্যালেন্স না থাকি তাহলে আপনি ভ্রাম্যমান স্টেট ফুডের দোকান তৈরি করেও সেখান থেকে স্বাস্থ্যসম্মত উপায় বিভিন্ন ধরনের খাবার বিক্রি করার মাধ্যমেও অনায়াসে মাসে ২০ হাজার টাকা এবং কোন কোন সময় এর চেয়ে বেশি উপার্জন করতে পারেন।

সিজিনাল ফল বিক্রিঃ আমাদের দেশে বিভিন্ন সিজনে যে সকল নতুন নতুন ফল গুলো পাওয়া যায় সেগুলো যদি আপনি গ্রাম্য এলাকা থেকে অল্প মূল্যে ক্রয় করে নিয়ে এসে শহর এলাকায় বিক্রি করতে পারেন তাহলে সে ক্ষেত্রেও এটি আপনার মান্থলি ২০ হাজার টাকা ইনকামের সহজ একটি উপায় হবে। আর এক্ষেত্রে আপনার যদি নিজস্ব ফলের বাগান থাকে তাহলে বিষয়টি তো আরো সহজ হয়ে যায়।

আইটি সেন্টার তৈরি করিঃ বর্তমানে অর্থই উপার্জনের আরেকটি লাভজনক ব্যবসা হল আইটি সেন্টার পরিচালনা করা। আপনার যদি অনলাইন কাজের দক্ষতা থাকে বা এ বিষয়ে কোর্স করানোর মতন স্কিল থাকে তাহলে আপনি খুব সহজেই কিছু অর্থ ব্যয় করে , একটি আইটি সেন্টার পরিচালনা করার মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করতে পারবেন। এতে করে একদিকে আপনার যেমন অর্থ উপার্জনের একটি ব্যবস্থা হবে ঠিক অন্যদিকে আপনার কোর্সগুলো করার মাধ্যমে সেই অনুযায়ী অনলাইন কাজ করে দেশের অনেক বেকার মানুষদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হবে।

খাতা কলমের দোকান দিয়েঃ অল্প কিছু অর্থ ব্যয় করার মধ্যে দিয়ে আপনি তৈরি করতে পারেন একটি খাতা কলম এর দোকান। যেহেতু স্টুডেন্টের কাছে খাতা কলম পেন্সিল ইত্যাদির প্রয়োজনীয়তা সব সময় থাকে তাই , আপনি যদি একটি প্রপার জায়গায় অর্থাৎ যে স্থানে স্টুডেন্টদের আনাগোনা বেশি থাকে সেখানে খাতা কলমের দোকান দিতে পারেন তাহলে এক্ষেত্রে ও মাসে ২০ হাজার টাকা অনায়াসে আপনি ইনকাম করতে পারবেন।

অন্যান্যঃ এছাড়াও এ জাতীয় আরো বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খোলার মাধ্যমে এবং অনলাইন বিজনেস বা অনলাইনে কাজ করার মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করতে পারবেন। তবে যেটাই করুন না কেন , অর্থ উপার্জন করতে হলে সর্বপ্রথমে আপনার যেই জিনিসটি প্রয়োজন হবে সেটি হলো ইচ্ছাশক্তি। অর্থাৎ আপনার যদি উপার্জনের ইচ্ছা থাকে তাহলে আপনি একটি নয় একাধিক উপায়ে অর্থ উপার্জন করতে পারবেন এবং মাসে শুধু বিশ হাজার টাকা নয় লক্ষ টাকাও ইনকাম করতে সক্ষম হবেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন

comment url