কি খেলে শরীর ঠান্ডা হবে - গরমে কোন খাবার খাওয়া যাবে না
বাংলাদেশ সহ পৃথিবীর আরো বেশ কয়েকটি দেশের উপর দিয়ে বয়ে চলেছে তীব্র তাপদাহ। তাপদাহ সম্পর্কে সচেতন হতে আজকে আমরা জানবো তাপদাহ কি এবং তাপদাহ হলে করণীয় বিষয় সম্পর্কে। তবে শুধু এটুকুই জানলে চলবে না এর সাথে সাথে এই প্রচন্ড গরমে কোন খাবার খাওয়া যাবেনা এবং গরমে কি খেলে শরীর ঠান্ডা থাকবে এই বিষয়গুলো জানতে হবে কারণ প্রতিনিয়তই এই গরমের কারণে হিট স্ট্রোক এ আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা।
এই তীব্র তাপদাহের মধ্যে নিজেকে সচেতন করতে এবং শরীর সুস্থ রাখতে আজকের আলোচনার মূল বিষয় হলো তাপদাহ হলে করণীয় এবং কি খেলে শরীর ঠান্ডা হবে এই বিষয় দুটি। তবে এই দুটি মূল বিষয় হলেও এর পাশাপাশি আপনি জানতে পারবেন গরমে কোন খাবার গুলো খাওয়া যাবে না সপ্তাহের প্রভাবে কি হতে পারে এবং গরমের তীব্রতা নিয়ে নবীজি কি বলেছেন সে সম্পর্কে হাদিস। এই সমস্ত বিষয়গুলো যদি আপনার জানা না থাকে তবে অবশ্যই এ তাপদাহ হলে করণীয় এবং কি খেলে শরীর ঠান্ডা হবে নামকপোস্টটি সম্পন্ন করুন এবং জেনে নিন।সূচিপত্রঃ তাপদাহ হলে করণীয় - কি খেলে শরীর ঠান্ডা হবে
- তাপদাহ কি
- তাপদাহের প্রভাব কি হতে পারে।
- তাপদাহ হলে করণীয়
- কি খেলে শরীর ঠান্ডা হবে
- গরমে কোন খাবার খাওয়া যাবে না
- গরমের তীব্রতা নিয়া নবীজি কি বলেছেন
তাপদাহ কি
দেশের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া তাপদাহের প্রভাবে ছোট বড় , যুবক বৃদ্ধ সকলের
জীবনে অতিষ্ঠ প্রায় ঘর। থেকে বের হলে তাপদাহের কারণে জীবনটা বেরিয়ে আসার
মতন উপক্রম হচ্ছে। আমরা সকলেই তাপদাহ কথাটার সাথে পরিচিত হলেও , তাপদাহ কি বা
কাকে বলে এই বিষয়ে ব্যাখ্যা কি আমরা জানি? হয়তো অনেকেরই জানা নেই তাপদাহ
কি। সাধারণত বায়ুমণ্ডলের তাপমাত্রা বৃদ্ধি হল তাপদাহের প্রধান কারণ। সূর্য থেকে
যে তাপশক্তি পৃথিবীপৃষ্ঠে আসে তার কিছু অংশ পৃথিবীকে উত্তপ্ত করে এবং অধিকাংশ
বিকরিত হয়ে পুনরায় বায়ুমণ্ডলে চলে যায়।
কিন্তু বায়ুমন্ডলে ব্যাপক পরিমাণ কার্বন-ডাই-অক্সাইড , মিথেন গ্যাস সহ বিভিন্ন
গ্যাস জমা হওয়ার ফলে ভূপৃষ্ঠের তাপ বিকিরণ বাধাগ্রস্থ হয় এবং এসব গ্যাস
পাপ শোষণ করে যার ফলে দেখা দেয় ক্রমাগত ভূপৃষ্ঠে উপরিভাগ উত্তপ্ত
হচ্ছে। পৃথিবীর এই উত্তপ্ত অবস্থায় হল তাপদাহ । পৃথিবী উত্তপ্ত করা ছাড়াও গ্রীন
হাউজ প্রতিক্রিয়ার জন্য দায়ী গ্যাস গুলোর মধ্যে কার্বন ডাই অক্সাইড অন্যতম।
তাপদাহের প্রভাবে কি হতে পারে
তাপদাহের প্রভাব সম্পর্কে আমাদের অত্যন্ত সচেতন হওয়া উচিত কারণ তাপদাহের কারণে হতে পারে বিভিন্ন ধরনের প্রাকৃতিক বিপর্যয়। ও তাপদাহে প্রভাবে কি হতে পারে সে বিষয়ে আমাদের সকলেরই জেনে রাখা এবং সচেতন হওয়া প্রয়োজন। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য যে আমাদের মধ্যে অনেকেই জানেন না তাের প্রভাবে কি হতে পারে। তাই তাপদাহের প্রভাবে কি হতে পারে এই বিষয়ে সচেতন করার জন্য আজকের এই পোস্টে এই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করব। তাহলে চলুন আর দেরি না করে সাব্যাহের প্রভাবে কি হতে পারে সে বিষয়গুলো সম্পর্কে জেনে নেয়া যাক।
বৈদিক উষ্ণায়নের ফলে পৃথিবীর বুকে যে তাপদাহের সৃষ্টি হয় এর ফলে হিমায়িত বরফ গলে গিয়ে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বেড়ে যাবে এবং সমুদ্রের পানি পরিমাণ বেড়ে যাবে এতে করে উপকূলীয় শহর বা দেশগুলো তলিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকবে। এই আকাঙ্ক্ষার মধ্যে বাংলাদেশ ও ভয়াবহ অবস্থানে রয়েছে বৈশ্বিক উষ্ণায়ন বা তাপদাহ বৃদ্ধির ফলে সমুদ্র উপকূলে তলিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনায় বাংলাদেশের স্থান ৭ম ।এছাড়াও তাপদাহের প্রভাবে পৃথিবীর বুকে যে সব যেসব সমস্যা সৃষ্টি হবে বা হচ্ছে , সেগুলো হল
- খরা
- বন্যা
- অনাবৃষ্টি
- দাবানল
- সাইক্লোন
- জলোচ্ছ্বাস
- নদী ভাঙ্গন
- পানির লবণাক্ততা
বিশেষ তাপদাহের ফলে ভূপৃষ্ঠের তাপমাত্রা বেড়ে গিয়ে এই ধরনের প্রাকৃতিক
দুর্যোগের সম্মুখীন হতে হবে এবং ইতিমধ্যে আমরা এ ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ গুলোর
সম্মুখীন হতে শুরু করেছি। সাপ্তাহের কারণে হিমবাহ গুলো আশঙ্কা জনক হারে বলে
যাচ্ছে এতে করে পৃথিবীর একটি বিশাল অংশক্ষরায় আক্রান্ত হতে চলেছে। প্রতি
তিন দশকে ০.১৬ থেকে ০.৭০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা বাড়ছে। এবং
বিশেষজ্ঞরা এও জানিয়েছেন যে এইভাবে যদি ক্রমশ তাপমাত্রা বাড়তেই থাকে তাহলে ২০৪০
চালের মধ্যে হিমবাহ বলে যেতে পারে এবং এশিয়ার অন্যতম সুন্দর রাষ্ট্র
মালদ্বীপ অন্যতম সুন্দর বিশ্বের মানচিত্র থেকে নিশ্চিহ্ন হয়ে যেতে পারে।
ইন্দোনেশিয়া , ফিজি , মরিসাস এর মত দ্বীপ রাষ্ট্রগুলোর অবস্থান নিয়েও অত্যন্ত
আশঙ্কা রয়েছে।
তীব্র গরম হলে করণীয়
আপনি কি জানেন তাপদাহ হলে করণীয় কি। এই অতিষ্ঠ গরমের মধ্যে বা তাপদাহের মধ্যে
আমরা বেশ কিছু নিয়মকানুন যদি মেনে চলি তাহলে হয়তো কিছুটা হলেও স্বস্তি পেতে
পারি। তাপদাহের কারণে বয়ে যাওয়া গরমের প্রভাবেই জনজীবন আজ বিপর্যস্ত তাই এই
তাপদাহর মধ্যেও কিছুটা শক্তি পেতে হলে আপনাকে জানতে হবে তাপদাহ হলে করণীয়
বিষয়গুলো সম্পর্কে। তাই এই পোস্টে আলোচনা করব চাকদাহ হলে করণীয় কি সে
বিষয়ে। আপনি যদি না জেনে থাকেন তাপদাহ হলে করণীয় কি তাহলে এই গরমে স্বস্তি
পেতে পেতে জেনে নিন তাপদাহ হলে করণীয় বিষয়গুলো।
- প্রচুর পরিমাণে পানি পান করুন
- মৌসুমী ফল গুলোর রস পান করুন
- কি খেলে শরীর ঠান্ডা হবে
- প্রস্রাবের রং গাঢ় হলদে ভাব হলে বুঝতে হবে এটি পানি শূন্যতার লক্ষণ এবং এ পরিস্থিতিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করুন।
- বাইরে বের হলে ছাতা ব্যবহার করুন
- ত্বককে রোদের তাপ থেকে বাঁচাতে এই তাপদাহের সানস্ক্রিম ব্যবহার করা অত্যন্ত জরুরি
- ঘামের মাধ্যমে শরীর থেকে অতিরিক্ত লবণ পানি বের হয়ে যায় এই লবণ পানির ঘাটতি পূরণ করার জন্য স্যালাইন খাওয়ার চেষ্টা করুন।
- সুতি এবং হালকা রঙের কাপড় গুলো পরিধানের চেষ্টা করুন
- কালো রঙের কাপড় এড়িয়ে চলুন এর পরিবর্তে সাদা কাপড় ব্যবহার করুন।
- নিয়মিত একের অধিক বার গোসলের চেষ্টা করুন
- কারো বুকে ব্যথা ,দুর্বলতা , মাথা ঘোরা ইত্যাদি লক্ষণ গুলো দেখা দিলে দ্রুত ডাক্তারের শরণাপন্ন হন কারণ হতে পারে এগুলো হিট স্ট্রোকের লক্ষণ।
- অতিরিক্ত শারীরিক পরিশ্রম বা শরীর চর্চা করা থেকে বিরত থাকুন
কি খেলে শরীর ঠান্ডা হবে
এই প্রচন্ড তাপদাহে শরীরকে একটু শান্তি দিতে আমাদের বিশেষ নজর দিতে হবে খাদ্য
তালিকার ওপর। গরম এবং গরমের ভেতরে কি খেলে শরীর ঠান্ডা হবে এই সম্পর্কে সঠিক
জ্ঞান না থাকার কারণে আমরা হয়ে যাওয়ায় তাপদাহের কারণে ডায়রিয়া এবং পেটে
গ্যাস সহ আক্রান্ত হচ্ছে বিভিন্ন ধরনের শারীরিক জটিলতায়। তাই এই প্রচন্ড তাপদাহে
সুস্থ থাকতে হলে জানতে হবে কি খেলে শরীর ঠান্ডা হবে এই খাবার গুলো সম্পতি ।
সময়োপযোগী এই খাবারগুলো না খাওয়ার কারণে আমাদের তৈরি হচ্ছে অনিদ্রার মতন
সমস্যাও। তাই চলুন আজকে জেনে নেওয়া যাক কি খেলে শরীর ঠান্ডা হবে বা এই গরমে কোন
খাবারগুলো স্বস্তি এনে দেবে সেই বিষয়ে।
পানিঃ এই প্রচন্ড গরমে শরীরের সতেজ রাখতে হলে আমাদেরকে পান করতে হবে প্রচুর
পরিমাণে পানি। গরমেকে আর ঠান্ডা এবং সতেজ রাখতে পানির কোন বিকল্প নেই। তাই গরমো
উপযোগী আপনি যে খাবারগুলোই খান না কেন তার সাথে প্রচুর পরিমাণে পানি অথবা তরল
জাতীয় খাবার গুলো গ্রহণ করতে হবে।
ফলের রসঃ গরমে বিভিন্ন ফলের রস বিশেষ করে ডাবের পানি আমাদের শরীরের জন্য অত্যন্ত
প্রয়োজনীয় একটি পানীয় কারণ এই ফলের রস গুলোর মাধ্যমে আমরা শরীরের পানি শূন্যতা
দূর করতে পারবো এবং সাথে সাথে ঘামের মাধ্যমে বেরিয়ে যাওয়া শরীরের
বিভিন্ন খনিজ উপাদান গুলোর ঘাটতি পূরণ করতে পারব। তাই এই গরমে প্রচুর ফলের
রস পান করুন।
টাটকা ও সবুজ শাকসবজিঃ অতিরিক্ত গরমের কারণে পেটে গ্যাসের সমস্যা প্রায় সকলেরই
হয়ে থাকে। তাই এই তাপদাহের মধ্যে উচ্চ প্রোটিন সমৃদ্ধ বা রিচ ফুড জাতীয় খাবার
গুলো না খেয়ে সহজে শরীর হজম করতে পারে এই জাতীয় খাবার গুলো খাওয়ার চেষ্টা করুন
এতে আপনার শরীর প্রয়োজনীয় শক্তি পাবে এবং খাদ্য হজমে অসুবিধা হবে না।
লেবু পানিঃ শরীর সতেজ রাখতে পান করতে পারেন লেবু পানি কারণ লেবু আমাদের শরীরকে ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে।, লেবুর ভেতরে থাকা ভিটামিন সি আমাদের শরীরের আর্দ্রতা ধরে রাখতে এবং ত্বক সতেজ রাখতে অত্যন্ত উপকারী।
প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবারঃ গরমের হজমে সহায়তা করার জন্য এবং ক্লান্তি দূর করার জন্য
প্রোটিন জাতীয় খাবার গুলো অত্যন্ত প্রয়োজন তাই এই গরমে সুস্থ থাকতে হলে প্রোটিন
জাতীয় খাবার গুলো পরিমিত পরিমানে খেতে পারেন বিশেষ করে যেই জাতীয় তরল খাবার
গুলোর মধ্যে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন পাওয়া যায় যেমন- টক দই , মাঠা ,
লাচ্ছি ইত্যাদি। এই খাবারগুলো শরীরে প্রোটিনের চাহিদা পূরণের পাশাপাশি গরমের
পানি শূন্যতা দূর করতে সাহায্য করবে
এছাড়াও এই অতিষ্ঠ গরমে শরীরকে ঠান্ডা রাখতে হলে ঠান্ডা জাতীয় খাবার যেমন লাউ
, চাল কুমড়া , কাঁচা কলা , পটল ইত্যাদি সবজির সাথে মাছ দিয়ে রান্না
করে খেতে পারেন এতে আপনার শরীর ও ঠান্ডা থাকবে এবং শরীরের প্রোটিন ও মানুষের
চাহিদা পূরণ হবে
গরমে কোন খাবার খাওয়া যাবে না
কি খেলে শরীর ঠান্ডা হবে বা এই গরমে কোন জাতীয় খাবার গুলো আমাদের শরীরের স্বস্তি
দেবে সে বিষয়ে তো আমরা উপরে অংশে জেনে নিয়েছি এবার আমরা জানবো গরমে কোন খাবার
খাওয়া যাবে না বা কোন খাবারগুলো আমাদের শরীরে গরমের মাত্রা আরো বাড়িয়ে দিতে
পারে। তাহলে চলুন এবার গরমে কোন খাবার খাওয়া যাবে না এই বিষয়ে জেনে নিই। বেশ
কিছু খাবার রয়েছে যেই খাবারগুলো আমাদের শরীর গরম করতে সাহায্য করে আর এই
অস্বস্তি কর গরমের মধ্যে যদি আমরা সেই খাবার গুলো খাই তাহলে শরীর অতিরিক্ত গরম
হয়ে গিয়ে হিট স্ট্রোকের সম্ভাবনা বাড়িয়ে দেবে। এই গরমে যে খাবার গুলো বেশি
খাওয়া উচিত নয় সেগুলো হলো,
- হাই ক্যালরিযুক্ত খাবার
- মসলাযুক্ত খাবার
- অতিরিক্ত তেল যুক্ত খাবার
- অতিরিক্ত ঝাল খাবার
- চা
- কফি
- আদা
- রসুন
- মধু
- ডিম
- ঘি
এই অতিরিক্ত গরমের মধ্যে শরীরকে সুস্থ রাখতে হলে এই জাতীয় খাবার গুলো বর্জন করুন
বা এড়িয়ে চলুন কারণ উপরের দেওয়াই খাবার গুলো খেলে আপনার শরীরের তাপমাত্রা আরও
বৃদ্ধি পাবে এবং দ্বিগুণ হারে গরম লাগা শুরু হবে সাথে সাথে হজম প্রক্রিয়ার
ব্যাঘাত ঘটবে।
গরমের তীব্রতা নিয়ে নবীজি কি বলেছেন
গরমের তীব্রতা নিয়ে নবীজি কি বলেছেন সেই বিষয়ে আপনার কি ধারণা রয়েছে? আপনি যদি না জানেন গরমের তীব্রতা নিয়ে নবীজি কি বলেছে তাহলে উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই কারণ আমরা আজকে আলোচনা করব নবীজির গরমের তীব্রতা নিয়ে বলা বাণী গুলো সম্পর্কে। আবু হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত নবীজি বলেছেন - জাহান্নাম অত্যান্ত উত্তপ্ত হয়ে কারণে একসময় মহান রাব্বুল আলামিনের কাছে প্রার্থনা করে এবং বলে হে আল্লাহ আমার এক অংশ অন্য শেষ করে দিচ্ছে। এরুপ পরিস্থিতিতে আল্লাহপাক জাহান্নামকে দুটি নিঃশ্বাসে নেয়ার যার একটি হল গরম এবং অপরটি শীত।(বুখারী শরীফ,৩২৬০)।এই থেকেই বোঝা যায় গরম বা তাপদাহে তীব্রতা আমাদেরকে জাহান্নামের কথা মনে করিয়ে দেয়, তাই এই পরিস্থিতিতে আমাদের বেশি বেশি জাহান্নাম থেকে মুক্তির দোয়া করা উচিত।
নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন
comment url