এলার্জির কারণ - স্কিন এলার্জি থেকে মুক্তির ১২টি উপায়

বিভিন্ন ধরনের এলার্জির ভেতরে স্কিনের এলার্জি অত্যন্ত জটিল একটি সমস্যা।স্কিনের এলার্জির কারণে অনেক সময় অত্যন্ত কষ্টদায়ক পরিস্থিতি পার করতে হয়। এই কষ্টদায়ক পরিস্থিতি  থেকে মুক্তির জন্য আজকে আমরা জানবো স্কিন এলার্জি থেকে মুক্তির ১২টি উপায়। আপনি যদি ,স্কিন এলার্জি থেকে মুক্তির ১২টি উপায় জেনে রাখেন তাহলে ,স্কিনের এলার্জি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারবেন। তাই অবশ্যই ভালোভাবে জেনে রাখুন স্কিন এলার্জি থেকে মুক্তির উপায়।

আজকে আমরা এই পোস্টে স্কিন এলার্জি থেকে মুক্তির উপায় এর পাশাপাশি স্কিনের এলার্জি সম্পর্কিত বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সম্পর্কে আলোচনা করব এবং আজকের এই পোস্টের মূল আলোচনার বিষয় হলো ,স্কিন এলার্জি থেকে মুক্তির ১২টি উপায়। স্কিন এলার্জি থেকে মুক্তির উপায় এর পাশাপাশি এই পোস্টে আরো থাকছে , স্কিন অ্যালার্জি ক্রিমের নাম , ক্রিম এলার্জির ঔষধ , এলার্জি জাতীয় সবজির তালিকা  এবং এলার্জি মুক্ত খাবার তালিকা। আপনি যদি স্কিন এলার্জি থেকে মুক্তির উপায় জানতে চান তাহলে অবশ্যই ,স্কিন এলার্জি থেকে মুক্তির ১২টি উপায় নামক এই পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।

সূচিপত্রঃ এলার্জির কারণ -  স্কিন এলার্জি থেকে মুক্তির ১২টি উপায়

এলার্জির কারণ

এলার্জি হলো জটিল একটি সমস্যা , আমরা প্রায় সবাই কোন না কোন ভাবে এলার্জিতে আক্রান্ত হই। আরে এলার্জি নামক রোগে আক্রান্ত হলে বেশ কষ্ট এবং ঝামেলা পোহাতে হয়। তবে এক এক জনের এলার্জির ধরন এক এক রকম। কিন্তু প্রশ্ন হল , কেন হয় এই এলার্জি বা অ্যালার্জির কারণ কি। আমাদের মধ্যে অধিকাংশ মানুষই কোনো না কোনোভাবে এলার্জিতে আক্রান্ত হলেও এলার্জির সঠিক কারন হয়তো আমরা অনেকেই জানিনা, আমরা অনেকেই জানিনা এলার্জি আসলে কখন হয় , তাই চলুন আজকে জেনে নেওয়া যাক এলার্জির কারণ সম্পর্কে।

প্রাকৃতিক ভাবেই আমাদের শরীরে একটি রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা রয়েছে, যে প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে আমরা ইমিউন সিস্টেম নামে জানি। শরীরের এই রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থায় যদি কখনো কোন সমস্যা দেখা দেয় তখনই আসলে এলার্জি হয়। আমাদের শরীরের ভেতরে এমন কিছু সেনসিটিভ কোষ রয়েছে যেগুলো  আমাদের শরীরে যখন ক্ষতিকর কোন কিছু প্রবেশ করতে দেখে তখন, সেগুলোর সাথে লড়াই করে আমাদের শরীরকে বিভিন্ন রোগের হাত থেকে সুস্থ রাখে।কিন্তু আমাদের শরীরের জন্য ক্ষতিকর না এরূপ বস্তুগুলো কে ক্ষতিকর ভেবে আমাদের শরীর যখন প্রতিক্রিয়া করে তখন সেই প্রতিক্রিয়াকে আমরা অ্যালার্জি বলে থাকি।

আরো সহজে এবং অল্প কথায় বলতে গেলে এলার্জি বলতে যা বোঝায় সেটি হল , আমাদের শরীরের ইমিউন সিস্টেমের গোলযোগ বা সমস্যার কারণে শরীর যখন , ক্ষতিকারক না হওয়া সত্ত্বেও ক্ষতিকর  মনে করে বিভিন্ন বস্তু বা খাবারের প্রতি যে প্রতিক্রিয়ার বহিঃপ্রকাশ ঘটায় তাকেই সাধারণত আমরা এলার্জি বলে থাকি। এই এলার্জির কারণে প্রতিক্রিয়া দেখাতে পারে স্কিন , চোখ , নাক এই সকল সেনসিটি অঙ্গগুলো। এবং বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এলার্জির কারণ হয়ে থাকে,

  • ধুলোবালি বা ময়লা - যেটাকে আমরা ডাস্ট এলার্জি বলে থাকি
  • ঠান্ডা লাগা জনিত  - যেটাকে বলা হয় কোল্ড এলার্জি
  • বিভিন্ন খাবারের কারণে ত্বকের প্রতিক্রিয়া - যেটাকে বলা হয় স্কিন এলার্জি

স্কিন এলার্জি থেকে মুক্তির উপায়

স্কিনের এলার্জি অত্যন্ত যন্ত্রণাদায়ক এবং অস্বস্তিকর এক ধরনের সমস্যা। বিভিন্ন জিনিস বা খাবার হওয়ার কারণে আমাদের ত্বকে যখন প্রতিক্রিয়া দেখা যায়, সেটাকে বলা হয় স্কিন এ্যলার্জি। আর এই স্কিন এলার্জির কারণে হতে পারে ত্বকে - চুলকানী , র‍্যাশ , ফোলাভাব ইত্যাদি। অনেকের স্কিন এলার্জি থাকলেও অধিকাংশ মানুষই জানে না স্কিন এলার্জি থেকে মুক্তির উপায়। তাই যখন স্কিনে এলার্জি দেখা দেয় তখন ভয় কষ্ট করে এটি সহ্য করতে হয় আর না হয় বিভিন্ন ঔষধ গুলো সেবন করতে হয়। আজকে আমরা আলোচনা করব স্কিন এলার্জি থেকে মুক্তির উপায় সম্পর্কে। কারণ এই স্কিন এলার্জি থেকে মুক্তির উপায় গুলো জানা থাকলে খুব সহজেই ত্বকের এলার্জি থেকে মুক্তি পেতে পারেন। স্কিন এলার্জি থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য আজকে আমরা জানবো স্কিন এলার্জি থেকে মুক্তির ১২টি উপায়। আপনার  যদি বিভিন্ন খাদ্যে বা অন্য কোন উপকরণে এলার্জি থেকে থাকে তাহলে ,স্কিন এলার্জি থেকে মুক্তির ১২টি উপায় জেনে রাখুন।

নিমপাতাঃ স্কিনের এলার্জি সহ যেকোনো ধরনের এলার্জি দূর করতে, নিম পাতার গুড়া সকালে খালি পেটে এক গ্লাস পানির সাথে এবং রাতে ঘুমানোর আগে এক গ্লাস পানির সাথে মিশিয়ে খেলে ১-২ মাসের মধ্যে এলার্জির প্রকোপ  অনেকাংশে কমে যাবে। ত্বকের এলার্জি অন্যতম প্রধান কারণ হলো ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ। ত্বকের যেকোনো ধরনের এলার্জি দূর করতে নিমপাতা সেদ্ধ করা পানি দিয়ে নিয়মিত গোসল করলে , এটি ত্বকের এলার্জি দূর করতে অসাধারণ ক্ষমতা রাখে।

আরো পড়ুণঃ নিম পাতার উপকারিতা

পেয়ারা পাতাঃ পেয়ারা পাতা ব্লেন্ড করে এই পেস্ট  লাগালেও স্কিন এলার্জি থেকে অনেকটা রেহাই পাওয়া যায়। এছাড়াও পেয়ারা পাতার রস সেবনের ফলে যেকোনো ধরনের এলার্জি কমাতে পেয়ারা পাতা অত্যন্ত উপকারী। অ্যালার্জি মূল কারণ হলো রক্তে হিস্টামিন নিঃসরন। পেয়ারার পাতা সেই হিস্টামিন নিঃসরণ বন্ধ করে এলার্জিকে প্রতিহত করতে পারে।

সজিনা পাতা ঃ ত্বকের এলার্জি দূর করতে সজনে পাতাও রাখতে পারে বিশেষ অবদান।সজনে পাতার ভিতরে বিভিন্ন ঔষধি উপাদান সহ এর ভেতরের রয়েছে এন্টি অ্যালার্জিটিক উপাদান। আর এ কারণে এলার্জি কমাতে সজনে পাতা ভূমিকা রাখতে পারে। আপনার ত্বকের এলার্জি কমানোর জন্য আপনি কাজে লাগাতে পারেন সজনে পাতাকে। ত্বকে যেখানে এলার্জি আক্রান্ত হয় সেই স্থান সজনে পাতা বেটে লাগালে অথবা সজনে পাতা খেলে এলার্জি সমস্যা দূর হয়।

পুদিনা পাতা ঃ পুদিনা পাতা শরীরের বিভিন্ন সমস্যা দূর করার পাশাপাশি স্কিনের এলার্জির সমস্যা ও দূর করতে পারে। পুদিনা পাতার ভেতরে প্রচুর পরিমাণে এন্টিঅক্সিডেন্ট , অ্যান্টি ইনফ্লামেটরি উপাদান এবং রোজমারিনিক এসিড রয়েছে এই উপাদানগুলো আমাদের শরীরে এলার্জি দূর করতে সাহায্য করে এবং শ্বাসকষ্ট বা অ্যাজমা সমস্যাকে কমাতে সাহায্য করে।

তুলসি পাতাঃ ঠান্ডা লাগা জনিত সর্দি কাশি সারাতে তুলসী পাতার উপকারিতার কথা আমরা কে না জানি, তবে তুলসী পাতা শুধু ঠান্ডা লাগা জনিত সর্দি কাশি কমাতে সাহায্য করেনা স্কিনের এলার্জি কমাতেও রাখতে পারে বিশেষ অবদান। পুদিনা পাতায় রয়েছে অ্যান্টি ইনফ্লামেটরি উপাদান যার কারণে, স্কিনে অ্যালার্জি হলে সেই স্থানে পুদিনা পাতা বেটে লাগালে অথবা পুদিনা পাতার রস আক্রান্ত স্থানে ব্যবহার করলে দ্রুত স্কিনের অ্যালার্জি থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।

অ্যাপেল সিডার ভিনেগারঃ ওজন কমানো থেকে শুরু করে বিভিন্ন কাজে অ্যাপেল সিডার ভিনেগার এর উপকারিতার কথা আমরা অনেকেই জানি। তবে অ্যাপেল সিডার ভিনেগার শুধু ওজন কমাতে নয় স্কিনের অ্যালার্জি দূর করতেও সাহায্য করে। পানির সাথে অ্যাপেল সিডার ভিনেগার মিশিয়ে ত্বকে এলার্জির আক্রান্ত স্থানে হাত দিয়ে অথবা কটন বলের সাহায্যে ব্যবহার করুন , এই ভিনেগার আপনার স্কিনের অ্যালার্জি কমাতে অনেক ভালো সাহায্য করবে।

নারিকেল তেলঃ আমাদের ত্বক এবং চুলের যত্ন নিতে নারিকেল তেল যেমন উপকারী , স্ক্রিনের অ্যালার্জি কমাতেও নারিকেল তেলের কার্যকারিতা রয়েছে অনেক বেশি।ত্বকে এলার্জি আক্রান্ত স্থানে নারিকেল তেল হালকা গরম করে ,আলতো ভাবে লাগিয়ে রাখুন। এলার্জির প্রাদুর ভাব না কমা পর্যন্ত এক-দেড় ঘণ্টা পর পর হালকা কুসুম গরম তেল আক্রান্ত স্থানে লাগালে খুব সহজেই স্কিন অ্যালার্জর সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে।

এলোভেরার রসঃ অ্যালোভেরা জেল এর অনেক উপকারিতা মধ্যেও আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ উপকারিতা হলো, এলোভেরার পাতার মধ্যে থাকা জেল আমাদের শরীরের ইসনোফিলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। এলোভেরা জেল প্রাকৃতিক অ্যান্টিবায়োটিক হিসেবেও ব্যবহার করা যায় , তাই শরীরে এলার্জি বেড়ে গেলে অ্যালোভেরার রস পান করলে অথবা এলার্জির কারণে স্কিনে সমস্যা দেখা দিলে অ্যালোভেরার রস আক্রান্ত স্থানে লাগালে দ্রুত এবং অনেক উপকার পাওয়া যায়।

আরো পড়ুনঃ সজনে পাতার উপকারিতা

ফিটকিরি পানিঃ ফিটকিরি পানীয় এলার্জি কমাতে অনেক ভালো কাজ করে। এলার্জির কারণে স্কিনের আক্রান্ত স্থানটিতে ফিটকিরির পানি দিয়ে কিছুক্ষণ পরপর ২-৩ বার ধুয়ে ফেললেই এলার্জি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে।

বেকিং সোডাঃ রান্নার কাজে বেকিং সোডার কথা আমরা অনেকেই জানি বা অনেকে রান্নায় বেকিং সোডা ব্যবহার করি। কিন্তু বেকিং সোডা শুধু রান্নার কাজেই নয় এটি শরীরের এলার্জি কমাতে সাহায্য করে। এলার্জির কারণে ত্বকের চুলকানি,র‍্যাশ বা জ্বালাপোড়া করলে। সামান্য পানির সাথে বেকিং সোডা মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে আক্রান্ত স্থানে লাগালে দ্রুত এলার্জির সমস্যা দূর হয়

ওটমিলঃ ওটমিল নামক খাদ্যটির মধ্যে রয়েছে প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং এন্টি এলার্জেটিক উপাদান সমূহ। এই কারণে ওটমিল খেলে খুব সহজেই ত্বকের এলার্জি থেকে এবং অন্য যেকোনো এলার্জি থেকে মুক্তি মেলে।ওটমিল এলার্জি প্রতিরোধক হিসেবে শরীরে কাজ করে থাকে।

আইস কিউব বা ঠান্ডা পানি ব্যবহারঃ স্কিন স্কিন এলার্জি থেকে মুক্তি পেতে ব্যবহার করতে পারেন ঠান্ডা পানি অথবা আইস কিউব। এলার্জি আক্রান্ত স্থানে আইস কিউব ঘষলে অথবা ঠান্ডা পানি দিয়ে সেই জায়গাটা কিছুক্ষণ ধরে ধুয়ে ফেললে , বেশ অনেকটা আরাম পাওয়া যায়। কিছুক্ষণ পরপর ঠান্ডা পানি বা আইসকিউস আক্রান্ত স্থানে ব্যবহার করলে স্কিনের এলার্জি কমাতে এটি সাহায্য করবে।

এসব উপায় ছাড়াও স্কিন অ্যালার্জি থেকে মুক্তি পাওয়ার সহজ এবং সাধারণ উপায় হল , যে সকল বস্তু বা খাবার গুলোতে এলার্জির প্রবণতা দেখা যায় পারতপক্ষে সেই সকল খাবার গুলো খাওয়া এবং এলার্জি উৎপাদন কারী বস্তুগুলো ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকা। খুব প্রয়োজন না হলে যে সৃষ্টি হয় এ ধরনের খাবার ও বস্তু ব্যবহার না করা।

স্কিন এলার্জি ক্রিমের নাম

স্কিনের এলার্জি দূর করার জন্য বেশ কায়েকটি কার্যকর ক্রিম রয়েছে , এবার আমরা জানবো স্কিন এলার্জি ক্রিমের নাম। এই ক্রিমগুলো স্কিনের এলার্জি দূর করার ক্ষেত্রে বিশেষ সাহায্য করে থাকে, তাই আপনি জেনে রাখতে পারেন স্কিন এলার্জি ক্রিমের নাম গুলো।

  • Ointment.Bactoderm
  • Methivate N .
  • Neovate. Ointment
  • Neocort Ointment
  • Beson N.Ointment
  • Mexiderm N Ointment
  • Albet N ointment same cream

ত্বকের এলার্জির ঔষধ

অনেকেই স্কিনের এলার্জি থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য , ত্বকের এলার্জির ঔষধ এর নাম জানতে চান।এলার্জির অসহ্য যন্ত্রণা থেকে মুক্তির জন্য আজ আমরা জানবো কয়েকটি কার্যকরী ত্বকের এলার্জির ঔষধ এর নাম।

  • Alatrol
  • Alcet
  • Alagra
  • Fexo
  • Avil
  • Bilan
  • Biltin
  • Ebatin
  • Ebastin
  • milastin
  • Avil retard

এলার্জি জাতীয় সবজি তালিকা

যদিও প্রতিটি মানুষই গঠন এবং বৈশিষ্ট্যের দিক দিয়ে কিছুটা আলাদা তাই সব খাবারেই যে সবার এলার্জির প্রবণতা দেখা দিবে ব্যাপারটি এমন নয়।তবে , এমন কিছু খাবার রয়েছে যেই খাবারগুলো প্রায় সব মানুষের ক্ষেত্রেই কম বা বেশি এলার্জি সৃষ্টি করতে পারে। তাই এখন আমরা জানবো এলার্জি জাতীয় সবজির তালিকা। আপনিও সঠিক ভাবে এলার্জি জাতীয় সবজি তালিকা জেনে নিন।যাদের শরীর অত্যন্ত সেন্সেটিভ তাদের ক্ষেত্রে এই খাবারগুলো প্রায়ই এলার্জি তৈরি করে থাকে, এলার্জি জাতীয় এই সবজি গুলো হল - মিষ্টি কুমড়া , পুইশাক , বেগুন , গাজর ,লেটুস পাতা , ক্যাপসিকাম , বাঁধাকপি , ফুলকপি, ধনেপাতা, টমেটো এই সবজি গুলোর মধ্যে প্রচুর পরিমাণে এলার্জির উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়।

সবজি ছাড়াও যে সকল খাবারের মধ্যে প্রচুর পরিমাণ এলার্জি থাকে এবং যে  সকল খাবার গুলো খাওয়ার ফলে বিভিন্ন ধরনের এলার্জি প্রবণতা বেড়ে যায় সেই সকল খাবার গুলো হল- চিংড়ি মাছ , পুটি মাছ , ইলিশ মাছ , গরুর দুধ ও মাংস , হাঁসের মাংস ডিমের কুসুম বিশেষ করে হাঁসের ডিমে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে এলার্জি , মসুরের ডাল , বিভিন্ন ধরনের বাদাম। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এই জাতীয় খাবার গুলো এলার্জি তৈরি করে থাকে যাদের রক্তের গ্রুপ -ও , এ কে এবং এবি। এ সকল উল্লেখযোগ্য খাবারগুলো ছাড়াও আরো অনেক খাবারের মধ্যে এলার্জির কম বেশি উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায় তবে সব খাবারেই সবার এলার্জি হবে ব্যাপারটি এমন নয় ,আশা করছি বিষয়টি বুঝতে পেরেছেন।

এলার্জি মুক্ত খাবার তালিকা

বেশ কিছু খাবার রয়েছে যেই খাবারগুলো আমাদের এলার্জির মাত্রা কমাতে সাহায্য করে এবং এই খাবার গুলো সাধারণত এলার্জি মুক্ত খাবার হিসেবে পরিচিত, এবার আমরা জানবো এলার্জির মুক্ত খাবার তালিকা। অনেকেই হয়তো জানেন না কোন খাবারগুলোতে এলার্জির মাত্রা বা প্রভাব কম করতে সাহায্য করে। যদি না জেনে থাকেন তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক অ্যালার্জি মুক্ত খাবার তালিকা। যেসব খাওয়ার গুলো আমাদের এলার্জির মাত্রাকে কম করতে সাহায্য করে সেই খাবারগুলো হলো -রসুন , লাল আঙ্গুর , মধু , চিয়াসিডস ,হলুদ ,এলাচ ,কলা ,শসা ,ব্রকলি , আপেল , বেদানা ,পুদনা পাতা , তুলসি পাতা ,গ্রীন টি , লাও , পেপে , পটল ইত্যাদি সহ আরো উল্লেখ না করা বেশ কিছু খাবারের মধ্যে এলার্জি নেই বললেই চলে।

আরো পড়ুনঃ পেয়ারা পাতার উপকারিতা

তবে কে আগেও বলেছি , একটি মানুষই সৃষ্টিগত এবং বৈশিষ্ট্য কত ভাবে আলাদা তাই সবারই যে কি ধরনের খাবারে এলার্জি হবে এমন কোন কথা নেই । তাই যে সকল খাবারগুলোতে সাধারণভাবে এলার্জির উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায় না , এই খাবার গুলোতেও অনেক সময় এলার্জি দেখাতে পারে তবে এসব খাবারে এলার্জি হয় এসব মানুষের সংখ্যা হাতে গোনা দু একজন দেখা যায়।

মন্তব্য , স্কিন এলার্জি থেকে মুক্তির ১২টি উপায় নামক এই পোস্টটি পড়ার মাধ্যমে এতক্ষণে নিশ্চয়ই , ভালোভাবে জেনে গেছেন স্কিন এলার্জি থেকে মুক্তির উপায় গুলো। স্কিনের এলার্জি যেহেতু ভীষণ জটিল একটি রোগ এই কারণে ,এই রোগ থেকে মুক্ত থাকার জন্য পারতো পক্ষে যেসব খাবার বা বস্তুতে এলার্জি রয়েছে সেই খাবার এবং বস্তুগুলো এড়িয়ে চলার চেষ্টা করি।


এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন

comment url