মাম্পস এর ১২টি ঘরোয়া চিকিৎসা - মাম্পস কেন হয়

মাম্পস নামক রোগটি মূলত শিশু-কিশোরদের একটি রোগ তবে এই রোগে আক্রান্ত হতে পারেন যে কোন বয়সী মানুষ এবং গর্ভবতী মহিলারাও। এই রোগটির থেকে সেরে উঠতে বেশ কিছুদিন সময় লেগে যায় আর এই রোগটি হল অত্যন্ত যন্ত্রণাদায়ক একটি রোগ এবং শুধু যন্ত্রণাদায়কই নয় এই রোগটি ছোঁয়া চেয়েও বটে। তবে কিছুটা সতর্ক এবং সাবধানতার সহিত চললে অনেক ক্ষেত্রেই এই রোগের জটিলতা এরানো সম্ভব তাই এই বিষয়ে এখন আপনাদের জানাবো মাম্পস এর ঘরোয়া চিকিৎসা এবং মাম্পস কেন হয় । এই পোস্টটি পড়ার মাধ্যমে আপনারা জানতে পারবেন মাম্পস এর ১২টি ঘরোয়া চিকিৎসা সম্পর্কে।

মাম্পস এর ঘরোয়া চিকিৎসা জানা থাকলে এবং মাম্পস কেন হয় সে বিষয়ে সঠিক জ্ঞান থাকলে অনেক ক্ষেত্রেই এই রোগটি প্রতিরোধ বা প্রতিহত করা সম্ভব। হয়তো জেনে থাকবেন মাম্পস একটি ছোঁয়াচে রোগ তাই এই রোগ সম্পর্কে সচেতন হওয়া এবং শিশুদের এই রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের থেকে দূরে রাখার চেষ্টা করা উচিত। মাম্পস সম্পর্কে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়ে সাজানো হয়েছে আজকের এই পোস্টটি। এই পোস্টটির মাধ্যমে মাম্পস এর ১২টি ঘরোয়া চিকিৎসা  এবং মাম্পস কেন হয় এই বিষয়ে বিস্তারিত জানার পাশাপাশি আপনারা আরো জানতে পারবেন মাম্পস এর লক্ষণ ,মাম্পস রোগীর খাবার ,মাম্পস এর জটিলতা সম্পর্কে। তাহলে চলুন আর দেরি না করে মাম্পস এর ঘরোয়া চিকিৎসা সম্পর্কে জানার জন্য মাম্পস এর ১২টি ঘরোয়া চিকিৎসা - মাম্পস কেন হয় নামক এই পোস্টটি করে মনোযোগ দিয়ে পড়ে নেওয়া যাক।

সূচিপত্রঃ মাম্পস এর ১২টি ঘরোয়া চিকিৎসা - মাম্পস কেন হয়

মাম্পস কেন হয়

আপনারা অনেকেই হয়তো মাম্পস নামক রোগের নাম শুনে থাকবেন। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এই রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকে শিশু এবং কিশোর-কিশোরীরা , তবে প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষ এবং প্রেগনেন্ট মহিলাদের এই রোগে আক্রান্ত হওয়া অস্বাভাবিক বা নতুন কিছু নয়। কিন্তু আপনি কি জানেন মাম্পস কেন হয় ? অনেকেই হয়তো মাম্পস কেন হয় এই বিষয়ে সঠিকভাবে জানেন না। যারা জানেন না তাদের চিন্তার মূলক কারণ নেই কেননা এখন আপনাদেরকে জানাবো মাম্পস কেন হয় এই বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত। তাহলে চলুন আর দেরি না করে জেনে নেওয়া যাক মাম্পস কেন হয়।

মাম্পস হল এক ধরনের ভাইরাস ঘটিত রোগ , হাঁচি কাশির মাধ্যমে এই রোগের ভাইরাস একজন থেকে আর একজনের সংক্রামিত হয় , আর মাম্পস নামক এই রোগটি হয়ে থাকে প্যারোটিভ গ্ল্যান্ড বা লালা গ্রন্থিতে ভাইরাসের সংক্রমণের কারণে প্রদাহ সৃষ্টির মাধ্যমে। প্যারামিস্কো নামক ভাইরাস শরীরে প্রবেশের মাধ্যমে এই রোগটি হয়ে থাকে ,  আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে থাকা মানুষ গুলোর মধ্যে মাম্পসের ভাইরাস সংক্রামিত হয়। মাম্পসের ভাইরাস হাঁচি , কাশি , খাবার আদান প্রদান , একই গ্লাসে বা বোতলে পানি খাওয়ার মাধ্যমে এই রোগটি একজন থেকে আরেকজনের শরীরে প্রবেশ করে কারণ এই ভাইরাসটি অত্যন্ত ছোঁয়াচে একটি ভাইরাস।

মাম্পস এর লক্ষণ

এবার আপনাদের জানাবো মাম্পস এর লক্ষণ গুলো।মাম্পস এর  ভাইরাসের মাধ্যমে লালা গ্রন্থী সংক্রামিত প্রদাহ সৃষ্টি হতে বেশ কিছুদিন সময় লাগে। অর্থাৎ এই রোগের ভাইরাস শরীরে প্রবেশ করার সাথে সাথে মাম্পস এর লক্ষণ বা উপসর্গ প্রকাশ পায় না , এর উপসর্গ প্রকাশ পেতে ২/৩ সপ্তাহ লেগে যায়।মাম্পস এর লক্ষণ হিসেবে প্রথম দিকে,

  • জ্বর (প্রায় ১০৩/১০৪ ডিগ্রি)
  • মাথা ব্যথা
  • শরীরের বিভিন্ন স্থানে ব্যথা
  • লালাগ্রন্থি ফুলে যাওয়া এবং প্রদাহ সৃষ্টি হওয়া
  • চোয়ালের উপরের অংশে এবং কানের সামনে অংশ ফুলে যাওয়া এবং প্রচন্ড ব্যথা হওয়ার
  • চোয়াল ভারী এবং শক্ত হয়ে যাওয়া
  • কোন কিছু খেতে অথবা গিলতে ব্যথা অনুভব হয়

মাম্পস এর ঘরোয়া চিকিৎসা

মাম্পস যেহেতু একটি ছোঁয়াচে রোগ এবং এই রোগের কারণে আক্রান্ত ব্যক্তিকে বেশ কিছুদিন ভীষণ কষ্ট করতে হয় তাই মাম্পস এর ঘরোয়া চিকিৎসা সকলের জেনে রাখা উচিত । কারণ মাম্পস এর ঘরোয়া চিকিৎসা সম্পর্কে জ্ঞান থাকলে মাম্পস এর ব্যথার যন্ত্রণাদায়ক কষ্ট থেকে কিছুটা হলেও রেহাই পাওয়া সম্ভব।তাই চলুন আর দেরী না করে মাম্পস এর ঘরোয়া চিকিৎসা সম্পর্কে জেনে নেয়া যাক।এখন আপনাদের নিচে মাম্পস এর ১২টি ঘরোয়া চিকিৎসা সম্পর্কে জানাব। নিচে মাম্পস এর ১২টি ঘরোয়া চিকিৎসা দেওয়া হলো।ঘরোয়া ভাবে মাম্পস এর ব্যথা কমাতে ব্যবহার করতে পারেন ,

আদার রসঃ আপনারে সকলেই নিশ্চয় জানেন  আদায় রয়েছে অ্যান  আন্টিইনফ্লামেটরি এবং এন্টিভাইরাল উপাদান তাছাড়াও আদা ব্যথানাশক হিসেবেও বিশেষ সাহায্য করে, তাই মাম্পসের ব্যথা কমাতে আদার রস অথবা আদা চা খেতে পারেন। এছাড়াও আদা থেঁত করে এর রস আক্রান্ত স্থানে লাগালেও ব্যথা অনেকটা কমে যায়।

আরো পড়ুনঃ টনসিল ফোলা কমানোর উপায়

এলোভেরা জেলঃ এর আগে আপনারে এলোভেরা জেলের বিভিন্ন উপকারিতার কথা শুনেছেন।এলোভেরা জেলের নানাবিধ উপকারিতার মধ্যে মাম্পসের ব্যথা কমানো এর আরেকটি উপকারিতা।এলোভেরার পাতা থেকে জেল সংগ্রহ করে এর সাথে সামান্য হলুদ মিশিয়ে ব্যথা স্থানে লাগালে ,ব্যথা ও যন্ত্রণা উভয় কম হয়।

ঘি এবং ডুমুরের পাতাঃ গাছের পাতা বিয়ের ভেতরে ভালোভাবে গরম করে, সহ্য করার মতন তাপমাত্রায় আসলে সেই কথাগুলি ব্যথায় স্থানে 30 মিনিট লাগিয়ে রাখুন। এইভাবে নিয়মিত কিছুদিন ব্যবহার করলে অল্প দিনের মধ্যে মাম্পসের ব্যথা অনেক কমে যায়।ঘি এর পরিবর্তে গরম তেলে ডুবিয়েও এই কাজটি করা যায়।

গোলমরিচের পেস্টঃ গোলমরিচের গুড়ার সাথে সামান্য পরিমাণ পানি মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে মাম্পস এর ব্যথার স্থানে লাগাতে পারে না।গোল মরিচের পেস্টও মাম্পের ব্যথা কমাতে দ্রুত কাজ করে।

হরতকির পেস্টঃ মাম্পের যন্ত্রণাদায়ক ব্যাথা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য পানির সাথে হরতকির গুড়া মিশিয়ে ভালোভাবে পেস্ট বানিয়ে আক্রান্ত স্থানে লাগিয়ে রাখতে পারেন। হরতকির এই পেস্ট ব্যথায় স্থানে লাগালে , হরতকিতে থাকা এন্টি  ইনফ্লামেটরি উপাদানের কারনে মাম্পেস প্রকোপ কমাতে সাহায্য করবে।

বেশি বেশি তরল খাবার খাওয়াঃ মাম্পসের ঘরোয়া চিকিৎসার মধ্যে আরেকটি হল বারবার বেশি বেশি তরল খাবার অথবা পানি পান করা।মাম্পস প্রচুর পানি পান করতে হয় এবং সব জাতীয় তরল জাতীয় তরল খাবার খেতে হবে কেননা এই অবস্থায় শরীরকে হাইড্রেট রাখা খুবই জরুরী।

রোগীর ব্যবহৃত জিনিসপত্র আলাদা রাখাঃ মাম্পস রোগটি যেহেতু এই কারণে রোগীর ব্যবহৃত জিনিসপত্র , আর কাপড়চোপড় কিছুদিন আলাদা রাখা এবং পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা উচিত।এছাড়াও রোগীর ব্যবহৃত থালা-বাসন এবং কাপড়-চোপড় গরম পানিতে ধুতে হবে। বাসায় যদি ছোট শিশু বা বাচ্চা থাকে তাহলে মানস আক্রান্ত রোগীর থেকে দূরে রাখতে হবে।

হালকা গরম পানিতে শরীর স্পঞ্জ করাঃ আপনারা জানেন মাম্পসের ক্ষেত্রে শরীরের তাপমাত্রা ১০৩/১০৪ হয়ে যায় তাই তাপমাত্রা কমানোর জন্য রোগীকে বারবার হালকা গরম পানিতে টাওয়েল ভিজিয়ে শরীর স্পঞ্জ করে দিতে হবে অথবা মাথায় পানি ঢালার মাধ্যমে তাপমাত্রা কমানোর চেষ্টা করতে হবে।

লবণ পানি দিয়ে গার্গেল এবং কুলি করাঃ নাম্পসের ভাইরাস ও সেকেন্ডারি ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ কমানোর জন্য এবং ব্যথার উপশম করার জন্য হালকা কুসুম গরম পানিতে লবণ দিয়ে দিনের মধ্যে বেশ কয়েকবার গার্গেল এবং ভালোভাবে কুলকুচি করতে হবে।

বিশ্রাম এবং পুষ্টিকর খাবারঃ মাম্পস দ্বারা আক্রান্ত হলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য এবং ভাইরাস প্রতিহত করার জন্য  বেশি বেশি পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ করতে হবে এবং পাশাপাশি পর্যাপ্ত বিশ্রাম ও ঘুমের ব্যবস্থা করতে হবে।

ঠান্ডা পানির সেকঃ মাম্পসের ব্যথা কমানোর জন্য ব্যথার স্থানে বা ফোলা স্থানে ঠান্ডা পানি দিয়ে সেক দিতে পারেন। কারণ এই ঠান্ডা পানির সেক আক্রান্ত স্থানের ব্যথা কমাতে সাহায্য করতে পারে।

লজেন্স অথবা চুইংগাম চিবাতে হবেঃ মাম্পস দিনে অন্ততপক্ষে ৩-৪ চারটি চুইংগাম অথবা লজেন্স হওয়ার চেষ্টা করতে হবে কেননা চুইংগাম চিবালে বা লজেন্স খেলে লালা গ্রন্থি উদ্দীপিত হবে এবং সেখান থেকে রস নির্গত হবে এবং যার কারণে আক্রান্ত স্থানের ফোলা ভাব দ্রুত কমে যাবে।

মাম্পস রোগীর খাবার

সাধারণ অবস্থার তুলনায় মাম্পস রোগীর খাবার দিকে একটু বেশি নজর দিতে হয় এবং মাম্পস রুগীর খাদ্য তালিকা প্রস্তুতের সময় বেশ কিছু বিষয় খেয়াল রাখতে হয়। এখন আপনাদের জানাবো মাম্পস রোগীর খাবার কালিকা প্রস্তুত করার সময় কোন কোন বিষয়গুলো খেয়াল রাখতে হবে। আপনারা ইতিমধ্যে হয়তোবা জেনে গেছেন যে অত্যন্ত যন্ত্রণাদায়ক রোগ এবং এই রোগটির কারণে মুখে এবং গলাতে প্রচন্ড ব্যথা অনুভব হয় আর এই সময়ে রোগীর শরীরকে হাইড্রেট রাখা অত্যন্ত জরুরী হয়ে পড়ে তাই মাম্পস আক্রান্ত রুগীর খাদ্য তালিকায় পানি এবং তরল জাতীয় খাবার বেশি রাখতে হবে।

প্রাথমিক অবস্থাতে যখন ব্যথা অতিরিক্ত থাকে তখন চিবিয়ে খেতে হয় এই ধরনের খাবারগুলো খেতে না দেওয়াই ভালো , এর পরিবর্তে বিভিন্ন ধরনের স্যুপ , সেদ্ধ আলুর , খিচুড়ি , ভালোভাবে সিদ্ধ করা সবজি , মাছের ঝোল , মাড়ি ভাত , ডিম পোচ ,দুধ , পাতলা করে রান্না করার সুজি ইত্যাদি জাতীয় খাবার গুলো খেতে দিতে হবে এবং এই শুধু পাতলা বা তরল খাবারের দিকে খেয়াল রাখলে চলবে না পাশাপাশি রোগী যাতে সকল ধরনের পুষ্টি পাই সেই দিকেও খেয়াল রাখতে হবে। কারণ শরীরে পুষ্টি ঘাটতি না থাকলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে আর যার ফলে আক্রান্ত রোগী দ্রুত সেরে। ব্যথার কারণে রোগী যদি একবারে বেশি পরিমাণে খেতে না পারে তাহলে অবশ্যই অল্প করে বারবার খেতে দিতে হবে।

আরো পড়ুনঃ দাঁত ব্যথা হলে করনীয়

মাম্পসে আক্রান্ত রোগীর খাদ্য তালিকা প্রস্তুত সময় আরও একটি বিষয়ের ক্ষেত্রে বিশেষ নজর দেওয়া উচিত আর সেটি হল রোগীকে যেসব তরল খাবার খেতে দেওয়া হবে সেগুলো যেন মিষ্টি জাতীয় না হয় , কারণ মিষ্টি জাতীয় খাবার যেমন জুস , শরবত ইত্যাদি এই খাবার গুলো খেলে লালা গ্রন্থিকে উদ্দীপিত করতে পারে  এবং এই পরিস্থিতিতে লালা গ্রন্থি উদ্দীপিত হলে অনেক সময় ব্যথা কমার পরিবর্তে আরও বেড়ে গিয়ে রোগীর তীব্রতা সৃষ্টি করতে পারে। তাই অবশ্যই কিছুদিন মানতে রোগীকে মিষ্টি জাতীয় খাবার থেকে বিরত রাখতে হবে।

মাম্পস এর জটিলতা

মাম্পেস এর কারণে শুধু প্যারোটিভ এবং লালা গ্রন্থিতেই সমস্যা হয় না , বরঞ্চ এই রোগের কারণে শরীরের আরও বিভিন্ন অংশে সমস্যা দেখা দিতে পারে , এবার আপনাদের সাথে মাম্পস এর জটিলতা বা মাম্পসে কারণে কি কি জটিলতা হতে পারে সে সম্পর্কে জানাবো। কেননা মাম্পস ভাইরাস ঘটিত সাধারন একটি রোগ হলেও শরীরের অন্যান্য অংশে যখন এই রোগের কারণে সমস্যা সৃষ্টি হয় তখন সেটিকে মাম্পস এর জটিলতা হিসেবে ধরা হয় আর তখন এই পরিস্থিতিতে বসে না থেকে দ্রুত ডাক্তারের শরণাপন্ন হওয়া উচিত , তাই চলুন মাম্পস এর জটিলতা কোনগুলো তা জেনে নেওয়া যাক।

  • শুক্রাশয় এর প্রদাহ
  • অন্ডকোষে ব্যথা বা প্রদাহ
  • স্তনগ্রন্থিতে ব্যথা
  • অগ্নাশয়ে প্রদাহ
  • শ্রবণ শক্তিতে অসুবিধা
  • বমি 
  • মাথা ব্যথা
  • মস্তিষ্কে প্রদাহ

মাম্পসে আক্রান্ত হলে এই সকল লক্ষণগুলোকে মাম্পস এর জটিলতা হিসেবে ধরা হয়। আর যদি মাম্পসে সাধারণ সমস্যাগুলোর পাশাপাশি  উপরিউক্ত লক্ষণগুলো প্রকাশ পেতে থাকে তাহলে অবশ্যই দেরি না করে ভালো কোনো ডাক্তারের শরণাপন্ন হয়ে এই ব্যাপারে পরামর্শ গ্রহণ করা এবং চিকিৎসা গ্রহণ করা উচিত।

মাম্পস এর ঔষধ

মাম্পসে কোন নির্দিষ্ট চিকিৎসা বা এর কোন এন্টি ভাইরাল ঔষধ নেই। মাম্পসে সাধারণত কোন জটিলতা না থাকলে এবং সতর্কতার সহিত চললে  দুই থেকে  তিন সপ্তাহ পরে এমনিতেই ভালো হয়ে যায় তবে যদি মাম্পসে কারণে জটিলতা সৃষ্টি হতে থাকে তাহলে ডাক্তারের শরণাপন্ন হলে , ডাক্তাররা রোগের ধরন বা সমস্যা বুঝে এন্টিবায়োটিক , ব্যথা ও জ্বর কমানোর জন্য প্যারাসিটামল এবং এ্যসিটামিনোফেক , আইবুপ্রোফের জাতীয় ঔষধ দিয়ে থাকেন।

আরো পড়ুনঃ গর্ভাবস্থায় পেয়ারা খাওয়ার উপকারিতা

মন্তব্য , মাম্পস এর ১২টি ঘরোয়া চিকিৎসা - মাম্পস কেন হয় নামের এই পোস্টটি পড়ার মাধ্যমে আপনারা নিশ্চয়ই এতক্ষণে মাম্পস সম্পর্কে বিস্তারিত জ্ঞান লাভ করেছেন। আপনারা আগেও জেনেছেন যে এই রোগটি একটি ছোঁয়াচে ভাইরাস এর মাধ্যমে সংক্রামিত হয় তাই অবশ্যই আপনার ছেলে সন্তান যদি মামসে আক্রান্ত হয় তাহলে এই রোগ থেকে সেরে না ওঠা পর্যন্ত স্কুলে না পাঠানোর চেষ্টা করব। আর যদি পরিবারের বড়রা এই রোগে আক্রান্ত হয় তাহলে অবশ্যই বাচ্চাদেরকে রোগীর সংস্পর্শে নিয়ে যাওয়া থেকে বিরত থাকুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন

comment url