আয়াতুল কুরসি কখন পড়তে হয় - আয়াতুল কুরসি পাঠের ফজিলত

আয়াতুল কুরসি কুরআনের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ একটি আয়াত এবং এই আয়াত সম্পর্কে নবীজি (সা) বলেছেন - সবকিছুরই একটি চূড়া থাকে আর কুরআনের সূরা হলো আয়াতুল কুরসি এবং এই পোস্টের মাধ্যমে আপনারা বুঝতে পারবেন আয়াতুল কুরসি তেলাওয়াত করা আমাদের জন্য কেন এবং কতটা জরুরী।

আয়াতুল কুরসি নামক এই মর্যাদাপূর্ণ আয়াতটি সম্পর্কে আমাদের সকলেরই বিস্তারিত জ্ঞান রাখা প্রয়োজন। আয়াতুল কুরসি এই ছোট্ট আয়াতটি আমলের মাধ্যমে আমরা অশেষ সওয়াবের পাশাপাশি জান্নাতে যাওয়ার বাধা অতিক্রম করতে পারব।

সূচিপত্রঃ আয়াতুল কুরসি কখন পড়তে হয় - আয়াতুল কুরসি পাঠের ফজিলত

আয়াতুল কুরসি পাঠের ফজিলত

আয়াতুল কুরসি ফজিলত অনেক বেশি , কুরআন মাজিদের সবচেয়ে মর্যাদা পূর্ণ আয়াত হল আয়াতুল কুরসি। আজকে আপনাদের  কুরআনের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ আয়াত অর্থাৎ আয়াতুল কুরসি ফজিলত সম্পর্কে জানাবো। প্রত্যেক ফরজ নামাজের পরে আয়াতুল কুরসী পাঠ করা সুন্নত। কেউ যদি রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে তাড়াতাড়ি তাড়াতাড়ি পাঠ করে তাহলে এই আয়াতুল কুরসি ফজিলত এর বরকতে সকাল পর্যন্ত শয়তান তার কোনো ক্ষতি করতে পারবে না এবং তার হেফাজতের জন্য আল্লাহ পাক সকাল পর্যন্ত একজন ফেরেশতা নিয়োজিত রাখবেন। এছাড়াও আয়াতুল কুরসি ফজিলত এর বদৌলতে আল্লাহ পাক বিভিন্ন প্রকার বালা মুসিবত এবং অভাব অনটন দূর করবেন।

হযরত উবাই বিন কা'ব (রাঃ) বলেন, রাসূল (সাঃ) ফরমান, " হে আবু মুনযির! তোমার কি জানা আছে কোরআনের কোন আয়াতটি শ্রেষ্ঠতম?" আমি বললাম, "আল্লাহ এবং তাঁর রাসূলই ভালো জানেন।" তিনি আবার বললেন "হে আবু মুনযির! তোমার কি জানা রয়েছে, আল্লাহর কিতাবের কোন আয়াতটি সর্বশ্রেষ্ঠ?" এবার আমি বললাম, "আল্লা-হু লা ইলা-হা ইল্লাহুওয়াল হাইয়্যুল কাইয়্যূম, উবাই বলেন, এ সময় হুযর (সাঃ) আমার বক্ষে হাত মেরে বললেন, " জ্ঞান তোমার মোবারক হোক, হে আবু মুনযির।" (মুসলিম) নিজ দেহ, গৃহ বা অন্য কারো গৃহ বন্ধ করতে হলে এশার নামাযান্তে আয়াতুল কুরসী পড়ে বুকে বা হাতের তালুতে বুকে ফুঁ দিয়ে ১বার বা ৩বার জোরে তালি দিবে। এই আয়াত পড়ে শিশুদের বুকে ফু দিলে শিশুরা বদনজর থেকে রক্ষা পায়।
তালির শব্দ যতদূর পৌঁছাবে ততদূর পর্যন্ত জ্বীন-পরী, ভূত-প্রেত, দৈত্য-দানব কিছুই আসতে পারবে না। অন্ধকারের চলাফেরা করলে সাপ-বিচ্ছু, জন্তু-জানোয়ার, কোন ক্ষতি করতে পারবে না। ইহা লিখে দোকানের দরজায় ঝুলিয়ে রাখলে রুজি বৃদ্ধি পাবে। অর্থের জন্য কারো মুখাপেক্ষী হবে না। এই আয়াত বেশি পরিমাণে পাঠ করলে কবরের আযাব মাফ হবে। একাধারে ৩১৩ বার পাঠ করলে শত্রু তার নিকট পরাজিত হবে। তার জান আল্লাহর রহমতে ফেরেশতারা হেফাজত করবে। ফরজ নামাজের পরে এতটা পাঠ করলে জান্নাতে প্রবেশের বাধা শুধু মৃত্যু। এছাড়া অসংখ্য নেকি হাসিল হবে বিপদ-আপদ হতে নিরাপদ থাকবে। সুস্বাস্থ্যের জন্য ইহার তেলওয়াত খুবই উপকারী এই আয়াত বেশি পরিমাণে পাঠ করলে কবরের আযাব মাফ হয় সুতরাং বুঝতেই পারছেন আয়াতুল কুরসি ফজিলত কত বেশি।

আয়াতুল কুরসি কোন সূরার আয়াত

আপনাদের মধ্যে এমন অনেক মানুষ আছে যারা হয়তো জানেন না যে আয়াতুল কুরসির কোরআনের কোন সূরা নয় , এটি একটি আয়াত এবং এই আয়াতটিকে পবিত্র কুরআনের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ আয়াত বলা হয়। যারা জানেন না তাদের উদ্দেশ্যে আজকে আপনাদেরকে জানাবো আয়াতুল কুরসি কোন সূরার আয়াত। তাহলে চলুন আর দেরি না করে যারা আয়াতুল কুরসি কোন সূরার আয়াত এ বিষয়টি জানেন না তারা জেনে নিন। আয়াতুল কুরসি হল -কুরআনের ২ নং সূরা , আল বাকারা এর ২৫৫ নম্বর আয়াত। সূরা বাকারা মদিনায় অবতীর্ণ হয় বলে এই সূরাকে মাদানী সূরা বলা হয়। সূরা বাকারা হল কুরআনের সবচেয়ে বড় সূরা।  সূরা বাকারার  আয়াতের সংখ্যা হল ২৮৬ এবং এই সূরার ২৫৫ নম্বর আয়াতকে বলা হয় আয়াতুল কুরসি।

আয়াতুল কুরসি কখন পড়তে হয়

আপনারা কি জানেন আয়াতুল কুরসি কখন পড়তে হয় বা আয়াতুল কুরসি কখন আমল করা উত্তম?  যদি না জেনে থাকেন তাহলে , এই বিষয়টিও সঠিকভাবে জেনে নিন। আয়াতুল কুরসি যেহেতু অত্যন্ত ফজিলত পূর্ণ একটি আয়াত তাই আয়াতুল কুরসি কখন পড়তে হয় এই বিষয়েও আপনাদের সঠিক জ্ঞান থাকা প্রয়োজন। আয়াতুল কুরসি পড়ার বা আমল করার উত্তম সময় গুলো হল,

  • প্রত্যেক ফরজ নামাজের পরে
  • ঘুমাতে যাওয়ার আগে
  • আয়াতুল কুরসী আমল করুন সকাল এবং সন্ধ্যায়
  • ফজরের নামাজের পরে
  • মাগরিবের নামাজের পর
  • এছাড়াও যেকোনো সময় বেশি বেশি আয়তুল কুরসি পাঠ করার মাধ্যমে অসে সওয়াব হাসিল করা যায়

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন

comment url